গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন
পর্বঃ ৬,৭
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
পর্বঃ ৬
তারপর আমরা গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। আমি ড্রাইভিং করতে লাগলাম, আমরা ভার্সিটি যাওয়ার পড়ে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে সকালের নাস্তা সেরে ফেললাম।। তারপর আমরা ভার্সিটি তে চলে গেলাম।। ভার্সিটিতে গিয়ে আমি গাড়ি পার্ক করলাম। আমরা গাড়ি থেকে নেমে গেলাম।
নিধীঃ কোনো মেয়ের আসেপাশে জানি না দেখি।
আমিঃ হুম।
নিধীঃ যা ক্লাসে যা।
আমিঃ তুমি আগে যাও।
তারপর নিধী আপু ক্লাসে যেতে লাগল। আমিও পিছনে পিছনে যেতে লাগলাম,, আপু পড়ে অনার্স, তৃতীয় বর্ষে, আর আমি প্রথম বর্ষে।
তখনি ভার্সিটির কিছু ছিনিয়র ছেলে আপুকে বাজে মন্তব্য করতে লাগল। অনেক খারাপ কথা বলতে লাগল। আপু কিছু না বলে ক্লাসে চলে গেলো। নিধী আপু লড়াই জগরা একদম পছন্দ করে না।
আমি জয়দের আসতে বললাম। ওরা আসলো
আমি আমার গাড়ি থেকে একটা রড এর খন্ড নিয়ে আসলাম। নিজের সেফটির জন্য সবসময় এটা সাথে থাকে।।
আমরা গিয়ে ছেলেগুলোর সামনে দাড়ালাম। ওখানে একটা ভার্সিটির ছাত্রসংগঠন এর সেগরেটারি তাই কেউ কিছু বলতে পারে না
সবাই ভয় পায়। ওর নাম সুহেল।
সুহেলঃ কি হলো সামনে দাড়ালি কেন?
আমিঃ নিধী আপুকে কি বললি তুই।
সুহেলঃ এটা সিনিয়রদের ব্যপার তুই বুজবি না।
এই কথা বলার সাথে সাথে আমি রড দিয়ে ওর মাথায় আগাত করলাম। মাথায় আগাত করাতেই মাথা থেকে ছিটকে রক্ত পড়তে শুরু করল। সুহেল মাথা দরে বসে পড়ল৷ এটা দেখে ওর সাথে ওর দুজন ফ্রেন্ড ছিলো ওরা এগিয়ে আসলো।।। ওদের দুজন ফ্রেন্ড কেউ এই অবস্থায় করলাম। তারপর সুহেল কে আমি কলারে দরে দারা করলাম।
আমিঃ কি বলছিলি আমি ছোট তাই না?
সুহেলঃ দেখ আমার সাথে কাজ টা ঠিক করতেছিস না পড়ে কিন্তুু অনেক পস্তাবি।
আমিঃ পরের টা কখনো আগে ভাবে না এই নীল।
সুহেলঃ তুই ভাবতেও পারবি না কি অবস্থা হবে তর।
এই কথা বলাতে লাথি মেরে সুহেল কে ফেলে দিলাম। এতোক্ষনে ভার্সিটির অনেক স্টুডেন্ট আমাদের কাহিনী দেখতেছে। আমি বলতে শুরু করলাম,
সিনিয়র দেখে তদের মতো মানুষ রুপি জানোয়ারদের সম্মান করি। নাহলে তর মতো ছেলেদের ব্যবস্থা নেওয়া আমার হাতের মামলা।
তুই কি হয়েছিস তর চাইতে বড় বড় পাপিরা এই ফারহানকে সবসময় বাপ ডাকে খোজ নিয়ে দেখিস।
আমি আবার রড টা হাতে নিলাম। সুহেল এর পায়ে একটা আগাত করলাম।
সুহেলঃ প্লিজ মাফ করে দে আমাকে।
আমিঃ কেন টিজ করার সময় মনে ছিলো না তর।
সুহেলঃ আর কখনো এমন করব এবারের মতো
মাফ কর৷
তদের মতো মানুষদের মাফ করলেও পাপ হবে।
এই বলে ওর আরেক পা তে একটা আগাত করলাম। হঠাৎ নিধী আপু কোথা থেকে দৌড়ে এসে আমাকে টেনে নিয়ে যেতে লাগল। আমি আপুর হাত ছাড়িয়ে নিলাম। আবার গিয়ে সুহেলের বোকে লাথি মারলাম।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আপু এসে আমাকে জড়িয়ে দরলো৷ আপুর ছোঁয়া পেয়ে আমার সব রাগ উধাও হয়ে গেলো।। কলেজের সবাই ত অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। সিনিয়র মেয়ে হয়ে জুনিয়র ছেলেকে এভাবে জড়িয়ে দরে আছে।।
গ্যন্জাম এর কথা শুনে কলেজের ভিপি আসলো।
কলেজের ভিপি হলো জয়ের বড় ভাইয়া। ওনার নাম রায়হান।
সুহেল গিয়ে রায়হান ভাইয়াকে অনেক ভুলভাল বুঝাতে লাগলো। আমি হাসতে লাগলাম রায়হান কোনো কথা না বলে ডিরেক্ট আমার সামনে আসলো।
রায়হান ভাইয়াঃ কি হয়েছে নীল?
আমিঃ ভাইয়া ও নিধী আপু কে টিজ করেছে।।
রায়হানঃ ওকে তোমরা যাও আমি সব সামলে নিবো।
আমিঃ ধন্যবাদ ভাইয়া।।।
তারপর রায়হান ভাই ও সুহেল কে কিছুক্ষন কেলানি দিলো। নিধী আপু আমাকে নিয়ে ক্যন্টিনে চলে আসল। আমাদের সাথে জয় রানা রাজু আর নিধী আপুর কিছু বান্ধবী আসল। আমরা গিয়ে একটা টেবিলে বসলাম।।
নিধীঃ তকে ওদের সাথে ঝামেলা করতে কে বলছে।
আমিঃ ওরা তোমাকে বাজে কথা বলবে আমি চেয়ে চেয়ে দেখব।।
নিধীঃ ওরা বখাটে ছেলে যদি পড়ে তর কোনো ক্ষতি করে৷
আমিঃ দেখো আপু তুমি ভালো করেই জানো আমার সামনে ওরা কিছুই না। শুদু তোমাকে কথা দিয়েছি বলে গ্যন্জাম করি না।।
নিধীঃ না তর এসব করতে হবে না। তর কিছু হলে বাঁচতে পারব না আমি।
আমিঃ হুম৷
নিধীঃ যা ক্লাসে যা এখন।
আমিঃ তুমি যাও আমি একটু পড়ে যাবো।।
নিধীঃ ওকে।
আপু ক্লাসে চলে গেলো আমরা কেম্পাসে চলে গেলাম।
জয়ঃ মামা একটা মেয়ে পছন্দ হয়েছে।
আমিঃ কে সে?
জয়ঃ আমাদের বিভাগের ই গতকাল নতুন ভর্তি হয়েছে।
আমিঃ কে মেয়েটা?
জয়ঃ ওই যে মাঠে বসে আছে।
মেয়েটাকে পিছন থেকে দেখা যাচ্ছে। মুখ দেখা যাচ্ছে না। আমি মেয়েটার পিছনে গিয়ে ডাক দিলাম। আমার দিকে তাকালো মেয়েটা,, তারপর আমি যাকে দেখলাম তাকে দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুুত ছিলাম না।
#চলবে
গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন
পর্বঃ ৭
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
নিধীঃ না তর এসব করতে হবে না। তর কিছু হলে বাঁচতে পারব না আমি।
আমিঃ হুম৷
নিধীঃ যা ক্লাসে যা এখন।
আমিঃ তুমি যাও আমি একটু পড়ে যাবো।।
নিধীঃ ওকে।
আপু ক্লাসে চলে গেলো আমরা কেম্পাসে চলে গেলাম।
এভাবেই খুনসুটিতে কেটে গেলো,,দুইটা মাস ভালোই চলছিলো দিনগুলো।।
জয়ঃ মামা একটা মেয়ে পছন্দ হয়েছে।
আমিঃ কে সে?
জয়ঃ আমাদের বিভাগের ই গতকাল নতুন ভর্তি হয়েছে।
আমিঃ কে মেয়েটা?
জয়ঃ ওই যে মাঠে বসে আছে।
মেয়েটাকে পিছন থেকে দেখা যাচ্ছে। মুখ দেখা যাচ্ছে না। আমি মেয়েটার পিছনে গিয়ে ডাক দিলাম। আমার দিকে তাকালো মেয়েটা আর কেউ না তানহা, ওর সাথে আছে জান্নাত আমাদের ক্লাসম্যট। যার সাথে শপিংমলে দেখা হয়েছিলো।
তানহাঃ আরে নীল তুই?
আমিঃ আমার ও ত এক প্রশ্ন
তানহাঃ আমি ত এখানেই ভর্তি হয়ছি।
আমিঃ আমিও এই ভার্সিটীতে পড়াশোনা করি।
তানহাঃ তাহলে ত ভালোই হলো।
আমিঃ তানহা তর সাথে আমার একটা কথা আছে
তানহাঃ হ্য বল।
আমিঃ এদিকে আসয় পার্সোনাল কথা।।
তানহাঃ হুম চল।
জান্নাতঃ প্রপোজ করবি নাকি?
আমিঃ আমার এতো মরার সখ নেই নিধী আপুর হাতে।
জান্নাতঃ হা হা যতোই বলস না কেন নিধী আপু তকে অনেক ভালোবাসে।।
আমিঃ হ্য জানি ত৷
তারপর আমি আর তানহা ক্যম্পাসে চলে আসলাম। ক্যম্পাসে এসে আমি আর তানহা একটা টেবিলে বসলাম। আমরা কফি খেতে লাগলাম।
তানহাঃ কি বলবি বল,
আমিঃ আগে বল রাখবি
তানহাঃ ওকে বল
আমিঃ আমার এক ফ্রেন্ড তকে পছন্দ করে।
তানহাঃ ত
আমিঃ ওর সাথে রিলেশন করবি।।
তানহাঃ স্যরি আমি পারব না।
আমিঃ প্রবলেম কি?
তানহাঃ তুই ভালো করেই জানিস আমি তকে লাইক করি৷। বাট নিধী আপু তকে অনেক ভালোবাসে তাই তর লাইফ থেকে সরে এসেছি।
আমি রিলেশনে জড়াতে চাই না।
আমিঃ প্লিজ রাজি হয়ে যা তুই।।
তানহাঃ স্যরি রে।।
আমি তানহার হাত দরে ফেললাম।। প্লিজ রাজি হয়ে যা ছেলেটা অনেক ভালো।। ও তকে অনেক ভালোবাসে এই ফাস্ট টাইম ও কোনো মেয়েকে ভালোবেসেছে। তুই অনেক লাকি রে।
তানহাঃ ওকে ওর নাম টা কি?
আমিঃ জয়।
তানহাঃ ছেলেটা তার জন্যই ত সকালে আমার দিকে ড্যবড্যব করে তাকিয়ে ছিলো।।।
আমিঃ তুই চিনলি কেমন করে।
তানহাঃ আমি আমার এক ফ্রেন্ড এর কাছে ওর নাম জিঙ্গাস করেছিলাম।।
আমিঃ হুম।
তখনি কেউ একজন এসে আমার হাত দরে টান দিয়ে উঠিয়েই ঠাস করে আমার গালে একটা থাপ্পর মারল। আমি তাকিয়ে দেখি নিধী আপু,,আমি অবাক হয়ে গেলাম নিধী আপু আমার গায়ে হাত তুলল।
নিধীঃ তর মতো চরিত্র হিন লম্পটকে ভালোবেসেছিলাম আমি আমার ভাবতেই ঘৃণা করতেছে।
আমিঃ কি বলছ এসব।
নিধীঃ এই মেয়ের সাথে তর কিসের সম্পর্ক।
আমিঃ ও আমার ফ্রেন্ড।
নিধীঃ ফ্রেন্ড তাই না,, তুই যখন মাঠ থেকে ওর সাথে আসতেছিলি তখনি তদের আমি ফলো করি।
আরে এসে শুনি মেয়েটা তকে ভালোবাসার কথা বলছে আবার তুই ওর হাত দরে আছিস।
আমিঃ ভুল বুজতেছো তুমি।
নিধীঃনিজের চোখ কখনো ভুল হতে পারে না।
আমিঃ প্লিজ আপু আমার কথাটা শুনো,, চোখের দেখাও কিন্তুু ভুল হয়।
আমি আপুর হাতটা দরে ফেললাম। আপু সাথে সাথে আমাকে আরেকটা থাপ্পর মারল৷
নিধীঃ তর সাহস হলো কি করে আমার হাত দরার চরিত্রহীন ছেলে।
আপুর কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। এতোক্ষনে কলেজের সবাই ক্যম্পাসে চলে এসেছে।
আমার সব ফ্রেন্ডরা নিধী আপুর ফ্রেন্ডরা।। আমি শুধু নিচের দিকে মাথা দিয়ে তাকিয়ে আছি।।
তানহাঃ আপু আমাদের কথা টা শুনেন।।
আমিঃ তানহা প্লিজ চুপ হয়ে যা।
আমার কথা শুনে তানহা আর কিছু বলল না।
তখনি সুহেল আর ওর কিছু ফ্রেন্ড আমার দিকে তাকিয়ে আসলো।।
সুহেলঃ এখানে এভাবে একটা মেয়েকে বিরক্ত কেন করতেছিস।
আমিঃ আমাদের ব্যপার আমাদের বুজতে দে।
এই বলাতে সুহেল আমার গালে একটা থাপ্পর মারল।। আপু কিছুই বলছে না এটা দেখে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। আপু কি করে এতোটা সার্থপর হয়ে গেলো।।
জয় রানা ওরা এগিয়ে আসতে চাইলে আমি হাতের ইসারা দিয়ে অদের থামিয়ে দেয়৷। আমি উঠে যায় গিয়ে আবার ও আপুর হাতের দরি। আপু প্লিজ ঠান্ডা মাথায় কথা বলি আমরা। সুহেল এবার এসে আমাকে দাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।
সুহেলঃ আবার তুই ওকে বিরক্ত করছিস।।
আমিঃ প্লিজ আমাদের কথার মাঝখানে তুই আসিস না।।
সুহেলঃ এতো সহজে কি তকে ছেরে দিবো।
এই বলে সুহেল আমাকে মারতে লাগল। আমি শুধু আপুর দিকে তাকিয়ে আছি। কি করে পাড়ল এতোটা সার্থপর হতে। মার খাওয়াতে যতোটা কষ্ট না হচ্ছে,, তার চাইতে বেশি কষ্ট হচ্ছে আপুর এমন বিহেভিয়ার এ৷
আমার ফ্রেন্ড রা আর সয্য করতে না পেরে।।
সুহেল কে দাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আমাকো টেনে উঠালো। তখনি ক্যম্পাসে পিন্সিপাল সহ আরো স্যার আসলো।।
পিন্সিপালঃ কি হচ্ছে এখানে নীল তোমার এই অবস্থা কেন??
সুহেলঃ আমি বলছি স্যার ও এখানে নিধী কে বিরক্ত করছিলো হাত দরছিলো জুর করে।
তাই এসব সয্য করতে না পেরে আমরা এমন করেছি স্যার।
পিন্সিপালঃ কিন্তুু নিধীর চাচাত ভাই ত নীল।
তারপর নিধী আপু এমন একটা কথা বলল।।
যা শুনে আমার মাথায় আঁকাস ভেঙে পড়লো
নিধী আপু এমন একটা কথা বলবে আমি ভাবতে পারি নি।।। এ কথা শুনে আমি আর এক মুহুর্ত দেরি না করে ক্যম্পাস থেকে বেড়িয়ে আসলাম।
# চলবে