রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন পর্বঃ ৮,৯

0
1867

গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন
পর্বঃ ৮,৯
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
পর্বঃ ৮

এই বলে সুহেল আমাকে মারতে লাগল। আমি শুধু আপুর দিকে তাকিয়ে আছি। কি করে পাড়ল এতোটা সার্থপর হতে। মার খাওয়াতে যতোটা কষ্ট না হচ্ছে,, তার চাইতে বেশি কষ্ট হচ্ছে আপুর এমন বিহেভিয়ার এ৷

আমার ফ্রেন্ড রা আর সয্য করতে না পেরে।।
সুহেল কে দাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আমাকে টেনে উঠালো। তখনি ক্যম্পাসে পিন্সিপাল সহ আরো স্যার আসলো।।

পিন্সিপালঃ কি হচ্ছে এখানে নীল তোমার এই অবস্থা কেন??
সুহেলঃ আমি বলছি স্যার ও এখানে নিধী কে বিরক্ত করছিলো হাত দরছিলো জুর করে।
তাই এসব সয্য করতে না পেরে আমরা এমন করেছি স্যার।
পিন্সিপালঃ কিন্তুু নিধীর চাচাত ভাই ত নীল।
নিধীঃ তাই বলে কি যা ইচ্ছে তাই করবে যখন খুশি হাত দরবে।

নিধী আপুর এই কথা শুনে আমি ক্যম্পাস থেকে চলে আসলাম। পিছন থেকে আমার ফ্রেন্ড রা আমাকে ডাকতে লাগলো আমি কারো ডাকেই সারা না দিয়ে কলেজের পুকুর পাড়ে চলে আসলাম।
পুকুর পাড়ে এসে শিড়ি তে বসে পড়লাম।

চোখে হাত দিয়ে দেখি পানি৷ হ্য আজকে চোখের পানি অটোমেটিক পড়ছে কোনো বাদ মানছে না।
আমি মাথা নিচের দিকে দিয়ে বসে আছি। আর কিছুক্ষন আগের ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা ভাবছি।
হি থেকে কি হয়ে গেলো। সব সুখ সবার কপালে সয় না আজকে তার প্রমাণ পেলাম।

আমার কাদে কেউ হাত রাখল,, পিছনে তাকিয়ে দেখি তানহা,,ওর সাথে জয় রানা রাজু ও আছে।
জয় এসে আমার পাসে বসলো।

জয়ঃ স্যরি রে।
আমিঃ আরে স্যরি কিসের জন্য?
জয়ঃ আমার জন্যই নিধী আপু তকে ভুল বুঝলো।
আমিঃ আরে না এটা আমার কপালে ছিলো।।
জয়ঃ তুই চিন্তা করিস না আমরা সবাই মিলে নিধী আপুকে বুঁজিয়ে বলব তাই হবে।
আমিঃ নারে তার আর দরকার নেই
জয়ঃ কেন?
আমিঃ দেখ ভালোবাসা টিকে থাকে বিশ্বাস উপর নির্বর করে। সে যদি আমাকে ভালোবাসত বিশ্বাস করত তাহলে আমার কথা টা শুনত।
রানাঃ নিধী আপু তকে অনেক ভালোবাসে,,
তাই হয়তো তকে ভুল বুঝতে সময় লাগে নি।
তদের ওই অবস্থায় দেখে তার রাগ উঠে গেছে
জানিস ই ত সে একটু না অনেকটাই রাগি।
আমিঃ প্লিজ ওনার কথা এখানে আর বলবি না।
আর জয় আমি এখন তদের বাসায় যাবো বিকালে ওখান থেকে নানুর বাসায় চলে যাবো।
জয়ঃ ব্যপারটা ঠান্ডা মাথায় ভাবলে হতো না।
আমিঃ প্লিজ এই বিষয়ে আর একটা কথাও বলতে চাই না।।
জয়ঃ আচ্ছা তাহলে সবাই আমার বাসায় চলো দুপুরে খাবার খেয়ে নীল কে বাস্টপে দিয়ে এসে যে যার বাসায় চলে যাবো।
রানাঃ ওকে তাই কর৷।
জয়ঃ মিস,তানহা আপনার কি আমার বাসায় যেতে কোনো প্রবলেম হবে।।
তানহাঃ না আমার কোনো প্রবলেম নেই।
আমিঃ সালা এখন ও কিসের আপনি আপনি বলস আর তুমি করে বলবি। আর তর লাইন ক্লিয়ার।
তানহাঃ আমাদের টা না হয় হলো বাট আমাদের জন্য তকে নিধী আপু কতোটা ভুল বুজলো।
আমিঃ আরে বাদ দে এসব।।
জয়ঃ তার মানে তানহা তুমি রাজি।
তানহাঃ আমি নীলের কোনো কথা ফেলি না।

এই বলাতেই জয় তানহা কে জড়িয়ে দরলো। হঠাৎ করে জড়িয়ে দড়াতে তানহা অনেকটা অপস্তুুত হয়ে গেলো।। তানহা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি ইশারা দিয়ে তানহাকেও জড়িয়ে দরতে বললাম।
তারপর তানহা ও জড়িয়ে দরলো।।

আমিঃ রোমাঞ্চ পড়েও করতে পারবি।

এই বলাতেই দুজন দুজনকে ছেরে দিলো। তারপর আমি বললাম হয়ছে এতো লজ্জা পেতে হবে না।।। তারপর জয় ওর আম্মু কে ফোন দিয়ে বললো আমারা ওদের বাসায় যাচ্ছি।

আমিঃ আমি পিছনের গেট দিয়ে বাহির হচ্ছি তরা
গাড়ি নিয়ে সামনের গেট দিয়ে বের হ।
জয়ঃ ওকে।

যাওয়ার সময় রানার কাছে গাড়ির চাবি পাঠিয়ে দিলাম। আপুকে জানি চাবিটা দিয়ে যায়।।

তারপর আমি পিছনের গেট দিয়ে বের হলাম। আবার আমার নিধী আপুর কথা মনে হলো।।
মনটা খারাপ হয়ে গেলো। জয়ের গাড়ি আমার সামনে নিয়ে আসলো। তানহা জয়ের পাসের ছিটে বসেছে। আমি রানা রাজু পিছনে বসলাম।।

সারারাত আমি একটা কথাও বলি নাই। ওরা অনেক কথা বলানোর চেষ্টা করেছে বাট ব্যর্থ হয়েছে। ওরাও এখন চুপ করে আছে।। জয়ের বাসার সামনে গিয়ে গাড়ি দাড়িয়ে পড়লো।।

আমি গাড়ি থেকে নেমে কারো অপেক্ষা না করে হাটা শুরু করলাম। বাসার সামনে গিয়ে কলিংবেল বাজালাম। জয়ের ছোট বোন এসে দরজা খুলে দিলো। জয়ের ছোট বোনের নাম রাইসা ক্লাস 10
পড়ে।।

রাইসাঃ কেমন আছো নীল ভাইয়া?
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো
তুই কেমন আছিস পিচ্চি?
রাইসাঃ অনেক ভালো।
আমার চকোলেট কই?
আমিঃ আসলে হুট করে এসেছি ত,, তাই আানা হয় নি।
রাইসাঃ ওকে। ভিতরে আসো।।
আমিঃ হুম।

জয় রাও এসে পড়লো, তাই অদের সাথে একসাথে ভিতরে গেলাম। রাইসা তানহার সাথে পরিচয় হলো।

আমিঃ আন্টি কোথায়?।
রাইসাঃ কিচেনে।

আমরা কিচেনে চলে গেলাম। দেখি আন্টি রান্না করতেছে। আন্টির সাথে কুসল বিনিময় করলাম।
তানহার সাথে আন্টি কে পরিচয় করিয়ে দিলাম।

আমরা জয়ের রুমে চলে গেলাম।। জয়ের রুমে গিয়ে আমরা বসে আছি। রাইসা আসলো রুমে কফি নিয়ে। সবাইকে কফি দিলো।

রাইসাঃ ভাইয়া সত্যি কি তানহা আপু তোমার ফ্রেন্ড নাকি অন্যকিছু।
জয়ঃ মানে।
রাইসাঃ না আসলে গাড়ি থেকে নামলা যে ভাবে গাড়ির দরজা খুলে দিলে মনে হয় তোমার স্ত্রী।
জয়ঃ বেশি পেকে গেছিস তাই না।
রাইসাঃ হুম।

সবাই আড্ডা দিতে লাগলো। আমি চুপ করে বসে আছি ওরা কথা বলছে। একটু পড়ে আন্টি আসলো আন্টি এসে আমাদের সাথে একটু আড্ডা দিতে লাগলো। আন্টি চলে গেলো আমার ফোন টা বেজে উঠলো দেখি আম্মু কল দিছে।

আমিঃ আম্মু বলো।
আম্মুঃ কোথায় তুই?
আমিঃ জয়ের বাসায়।
আম্মুঃ নিধীর সাথে কিছু হয়েছে তর?
আমিঃ না ত।
আম্মুঃ তাহলে আসছে থেকেই কান্না করছে
আমিঃ জানি না আমি।
আম্মুঃ বাসায় আসয়।
আমিঃ আজকে বিকালে নানুর বাসায় যাবো।
আম্মুঃ হঠাৎ করে।
আমিঃ ভালো লাগতেছে না কিছুদিন গুড়ে আসি।
আম্মুঃ বাসায় আয় কাপড় নিয়ে যা।
আমিঃ যাওয়ার সময় মার্কেট থেকে নিয়ে নিবো।
আম্মুঃ ওকে।
আমিঃ আমার সিম অফ থাকবে,, নানুর টা দিয়ে ফোন দিবো।
আম্মুঃ সাবধানে যাবি।
আমিঃ হুম দুপুরে আপু খেতে না চাইলে জুর করে খাওয়ে দিয়ো।
আম্মুঃ ওকে।

তারপর আপু কল কেটে দিলো।

তানহাঃ দেখ নীল আরেকবার ভেবে দেখ।
আমিঃ আর ভাবার কিছু নেই।।
জয়ঃ চল এখন খেতে চল।

তারপর আমরা নিচে চলে গেলাম। খেতে বসলাম খাওয়া শেষ হলো। আমরা সাদে চলে গেলাম। সাদে গিয়ে আড্ডা দিলাম। তারপর আন্টি আর রাইসার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম।
জয় রানা রাজু তানহা আমার সাথে বাস্টপে আসলো।

আমিঃ আমি সিম এটা অফ রাখব।
রানাঃ তাহলে যোগাযোগ হবে কি করে?
আমিঃ নিউ সিম নিবো।
রানাঃ ওকে।
আমিঃ বাস ছেরে দেওয়ার সময় হয়েছে আসি আমি।।
জয়ঃ ওকে সাবধানে থাকিস।
আমিঃ হুম তরাও ভালো থাকিস।

আমি বাসে উঠে গেলাম। আমি ভিতরে গিয়ে সিটে বসলাম। সকালেই জয় অনলাইনে টিকেট কেটে রেখেছিলো। বসে আছি বাস ছেরে দেওয়ার সময় হয়ে গেছে। ভাবলাম পাসের সিটে কেউ নেই হয়তো। তাই এক সিটে বসে আরেক সিটে পা দিলাম। কানে হেডফোন লাগিয়ে নিলাম। গান শুনতেছি।

তখনি কেউ একজন আমার শরীরে দাক্কা দিলো।
আমি তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে রাগান্বিত হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

#চলবে

গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন
পর্বঃ ৯
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল

আমিঃ আমি সিম এটা অফ রাখব।
রানাঃ তাহলে যোগাযোগ হবে কি করে?
আমিঃ নিউ সিম নিবো।
রানাঃ ওকে।
আমিঃ বাস ছেরে দেওয়ার সময় হয়েছে আসি আমি।।
জয়ঃ ওকে সাবধানে থাকিস।
আমিঃ হুম তরাও ভালো থাকিস।

আমি বাসে উঠে গেলাম। আমি ভিতরে গিয়ে সিটে বসলাম। সকালেই জয় অনলাইনে টিকেট কেটে রেখেছিলো। বসে আছি বাস ছেরে দেওয়ার সময় হয়ে গেছে। ভাবলাম পাসের সিটে কেউ নেই হয়তো। তাই এক সিটে বসে আরেক সিটে পা দিলাম। কানে হেডফোন লাগিয়ে নিলাম। গান শুনতেছি।

তখনি কেউ একজন আমার শরীরে দাক্কা দিলো।
আমি তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে। অচেনা মেয়েটি আমার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে। বুঝলাম না এভাবে কেন তাকিয়ে আছে।

আমিঃ কিছু বলবেন?
অচেনা মেয়েঃ সিট কি দুইটাই আপনার?
আমিঃ না।
অচেনা মেয়েঃ তাহলে দুই সিট দখল করে বসে আছেন কেন?
আমিঃ আসলে আমি মনে করছিলাম এই সিট টা কেউ বুকিং করে নি।
অচেনাঃ এটা আমার সিট।
আমিঃ স্যরি।

এই বলে পা টা সড়িয়ে নিলাম। আমি জানালা দিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছি।। বাস ছেরে দিলো আমার নানুর বাসা চট্রগ্রাম যেতে যেতে
সকাল হয়ে যাবে। ফোনে সিম ও নেই যে অনলাইনে যাবো অনেকটাই বোরিং লাগতেছে।
পাসের সিটে কোনো ছেলে বসলেও গল্প করতে করতে যাওয়া যেতো। মেয়েদের সাথে ত আমি এমনিতেই কথা কম বলি আর আগ বাড়িয়ে কথা বলার ত কোনো প্রশ্নই আসে না। তখনি মেয়েটি বলে উঠলো।

মেয়েটিঃ হাই আমি হিয়া।
আমিঃ হুম
হিয়াঃ আপনার নাম বলেন।
আমিঃ আমার নাম নীল।।
হিয়াঃ কিসে পড়েন?
আমিঃ অনার্স প্রথম বর্ষে
আপনি?
হিয়াঃ ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে।
তা কোথায় যাচ্ছেন?
আমিঃ সিলেট
হিয়াঃ এটা ত চট্রগ্রামের বাস?
আমিঃ আযব ত জানেন যখন ত প্রশ্ন করেন কেন?
হিয়াঃ আরে বোকা বলতে চাচ্ছি চট্রগ্রাম কোথায় যাচ্ছেন?.
আমিঃ নানুর বাসায়।
হিয়াঃ আপনি কি বিরক্ত হচ্ছেন।
আমিঃ আসলে মেয়েদের সাথে কথা বলার অভ্যাস নেই ত।
হিয়াঃ আমিও ছেলেদের সাথে বেশি কথা বলি না
বাট আপনাকে দেখে অন্যরকম মনে হলো তাই পরিচিত হলাম।
আমিঃ কেন আমাকে দেখতে কি এলিয়েনের মতো যে অন্যরকম লাগে।
হিয়াঃ না, অন্য কোনো ছেলে থাকলে এতোক্ষনে অনেক কথায় বলতো,,,ফেসবুক আইডি চাইতো
নাম্বার চাইত। বাট আপনি ওরকম না।।
আমিঃ ওহ আচ্ছা।
হিয়াঃ আপনার বাসা কি ঢাকায় ই?
আমিঃ হ্য।

তারপর হিয়া নামের মেয়েটি আর কিছু বললো না।
আমিও আাগ বাড়িয়ে কিছু বলে নি৷ এমনিতে মনটা খারাপ আজকে নিধী আপুর ব্যবহারে।
রাত প্রাই এগারোটা বাজে।আম্মুকে একটা কল করা উচিত বাট আমার ত সিম ই নেই ফোনে। এই মেয়েটার কাছে কি ফোন টা চাবো ,, আবার যদি কিছু মনে করে।

হিয়াঃ কিছু বলবেন?
আমিঃ আসলে বাসায় একটু কল করতে চেয়েছিলাম, বাট আমার ফোনে সিম নেই।
হিয়াঃ ওহ আমার টা দিয়ে করেন।

এই বলে হিয়া ওর ফোনটা দিলো,, আমি আম্মুর নাম্বার উঠিয়ে কল দিলাম। আম্মু কল রিসীভ করলো।।

আমিঃ আম্মু আমি নীল
আম্মুঃ তর নাম্বার বন্ধ কেন?
আমিঃ আমি ওই সিম টা আর ইউজ করবো না।
আম্মুঃ কি পাগলামি শুরু করলি বল ত এদিকে
নিধী পাগলের মতো করছে।
আমিঃ নিধী আপু দুপুরে খেয়েছে।
আম্মুঃ হ্য অনেক কষ্ট করে খাওয়াতে হইছে।
আমিঃনিধী আপু কে বইলো না যে আমি নানুর বাসায় আছি।
আম্মুঃ ওকে।।
এটা কার নাম্বার?
আমিঃ অচেনা একজনের।
ভালো থেকো রাখি বাই
আম্মুঃ বাই

আমি কলটা কেটে দিলাম। তারপর হিয়া কে মোবাইল দিয়ে দিলাম। আমি হিয়াকে একটা ধন্যবাদ দিলাম। বাসের সিটে হেলান দিয়ে শুয়ে আছি।

হিয়াঃ আচ্ছা আপনার কিছু হয়েছে?
আমিঃ আমাকে বলছেন?
হিয়াঃ আপনি ছারা এখানে কে আছে?
আমিঃ না ত আমার কি হবে?
হিয়াঃ তাহলে আপনার চোখে পানি কেন?

তারপর আমি চোখে হাত দিয়ে দেখি সত্যিই চোখে পানি আমি চোখটা মুছে ফেললাম। ওমনেই বাস টা থেমে গেলো,, একটা রেস্তোরাঁয় সামনে বাস পার্ক করল। সবাইকে রাতের খাবারের জন্য বলা হলো।

হিয়াঃ চলেন খেয়ে আসি
আমিঃ মুড নেই
হিয়াঃ এতো কথা বলেন কেন?
আসতে বলছি আসেন। খেতে খেতে আপনার গল্প শুনব।

আমরা আর না করলাম না। বাস টা একটা গ্রামে
এসে থামছে। আমরা দুজন রেস্তোরাঁয় চলে গেলাম
হিয়া খাবার অর্ডার করলো। তারপর আমি সব কিছু হিয়া কে বললাম। এসব শুনে হিয়া আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।

হিয়াঃ এই ছোট একটা কাহিনী নিয়ে এতো কিছু?
আমিঃ হুম।
হিয়াঃ মেয়েটিকে বুজানো উচিত ছিলো আপনার।
আমিঃ সে ত শুনতেই চাই নি।
হিয়াঃ খোব খারাপ হয়েছে আপনার সাথে
আমিঃ বাস ছেরে দিবে চলেন।

তারপর আমি বিল দিয়ে বাসে চলে গেলাম।
বাসে গিয়ে আমি আমার সিটে বসে পড়লাম।।
আমার প্রচন্ড গুম পাচ্ছে। আমি গুমিয়ে পড়লাম
হঠাৎ করে আমার গুম ভেঙে গেলো, উঠে দেখি
আমি হিয়ার কাঁদে আমার মাথা। আমি একটু অপস্তুুত হয়ে গেলাম।

আমিঃ স্যরি
হিয়াঃ ইটস ওকে

তারপর আর গুমালাম না হিয়ার সাথে টুকটাক কথা বলতে লাগলাম। সকালে গিয়ে চট্রগ্রাম বাসস্টপে বাস থামলো। আমি আর হিয়া বাস
থেকে নেমে গেলাম৷

হিয়াঃ অনেক কথা বলছি পরিচয় হয়েও ভালো লাগল আপনার নাম্বার টা দেওয়া যাবে।
আমিঃ স্যরি আমার সিম নেই।
হিয়াঃ ইট’স ওকে
তাহলে আসি ভালো থাকবেন।
আমিঃ হুম আপনিও।

তারপর হিয়া চলে গেলো। আমিও একটা রিক্সা নিয়ে নানুর বাসায় চলে গেলাম৷ গিয়ে কলিংবেল দিলাম দরজা টা খুলে গেলো। আমি যাকে দেখলাম অবাক হয়ে গেলাম। ওনিও আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেছে।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here