গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন
পর্বঃ ১০,১১
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
পর্বঃ ১০
আমিঃ স্যরি
হিয়াঃ ইটস ওকে
তারপর আর গুমালাম না হিয়ার সাথে টুকটাক কথা বলতে লাগলাম। সকালে গিয়ে চট্রগ্রাম বাসস্টপে বাস থামলো। আমি আর হিয়া বাস
থেকে নেমে গেলাম৷
হিয়াঃ অনেক কথা বলছি পরিচয় হয়েও ভালো লাগল আপনার নাম্বার টা দেওয়া যাবে।
আমিঃ স্যরি আমার সিম নেই।
হিয়াঃ ইট’স ওকে
তাহলে আসি ভালো থাকবেন।
আমিঃ হুম আপনিও।
তারপর হিয়া চলে গেলো। আমিও একটা রিক্সা নিয়ে নানুর বাসায় চলে গেলাম৷ গিয়ে কলিংবেল দিলাম দরজা টা খুলে গেলো। দরজা টা খুলে দিলো হিয়া। হিয়াকে দেখে আমি একটা বড় দরনের সক খেলাম, ও নানুর বাসায় কি করছে?
হিয়াঃ এই যে মি, ফলো করা হচ্ছে।
আমিঃ আযব ত আমি আপনাকে ফলো করতে যাবো কেন?
হিয়াঃ তাহলে আপনি এখানে কি করছেন?
আমিঃ এটা আমার নানুর বাসা।
হিয়াঃ ওহু স্যরি
আমিঃ ইট’স ওকে।
আমি বাসায় ভিতরে গেলাম। দেখি নানু ড্রইংরুমে
বসে আছে৷ নানু আমাকে দেখে আমার দিকে এগিয়ে আসলো।
আমিঃ কেমন আছো নানু?
নানুঃ এতোদিন ভালো ছিলাম না, এখন তুই এসেছিস ভালো থাকব।
আমিঃ হুম বুড়ি
নানুঃ তুই কেমন আছিস?
আমিঃ আছি কোনোরকম।
নানুঃ রাতে তর আম্মু ফোন দিয়েছিলে কেমন যে আছিস ভালোই বুঝতে পারছি।
আমিঃ ওসব কথা বাদ দাও।
মামা,,মামি,,লিমা কোথায়?
নানুঃ লিমা হয়তো ছাদে তর মামা রুমে তর মামি কিচেনে।
আমিঃ ওকে আমি মামা- মামির সাথে দেখা করে আসি।
নানুঃ ওকে।।
আমি কিচেনে চলে গেলাম। দেখি মামি ব্রেকফাস্ট বানাচ্ছে। আমি গিয়ে পিছন থেকে মামির চোখ দরে ফেললাম। মামি ভয় পেয়ে গেলো আমার হাত দরলো মামি।
মামিঃ বাবা এসেছিস?
আমিঃ বুজলা কেমনে আমিই।
মামিঃ তর হাতের ছোয়া আমি চিনব না ভাবলি কি করে?
আমিঃ হুম কেমন আছো মামি?
মামিঃ কি করে ভালো থাকি? কতোদিন পরে আসলি কখনো ত খবর ও নেস না।
আমিঃ ফোনে কথা বলি ত।
মামিঃ হুম বলস বাট আমি ফোন দিলে তুই কি কখনো আগে থেকে বলস।
আমিঃ স্যরি যাও এখন থেকে প্রতিদিন ই কথা বলবো।
মামিঃ মনে থাকলে হয়।
আমিঃ থাকবে মনে।
মামিঃ অনেক জার্নি করে এসেছিস যা ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নে।
আমিঃ ওকে।
মামা আমাকে নিজের ছেলের মতো আদর করে।
মামির কোনো ছেলে নেই এক মেয়ে না হলো লিমা।
ওখান থেকে এসে উপড়ে চলে গেলাম মামার রুমে
দেখি মামা টিভিতে খবর দেখতেছে।
আমিঃ আসসালামু ওয়ালাইকুম মামা
মামাঃ ওয়ালাইকুম আসালাম
কেমন আছিস?
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি?
মামাঃ আমিও ভালো আছি।
খবর দিয়ে আসলেই ত আমি বা ড্রাইভার কে পাঠিয়ে দিতাম৷
আমিঃ না আসতে কোনো সমস্যা হয় নি।
মামাঃ যা ফ্রেশ হয়ে আয় ব্রেকফাস্ট করব একসাথে।
আমিঃ ওকে।
আমি আমার রুমে চলে গেলাম। রুমে গিয়ে,, ওয়াশরুমে গেলাম।।
আর ওদিকে নিধী আপু কালকে রাতে ও খাইনি সকালেও কিছু খাচ্ছে না । কারো সাথে তেমন ভাবে কথা বলে না। সারারাত ই শুদু কান্না করছে।
কালকে বড় আম্মু সারাত ই নিধী আপুর সাথে ছিলো। সবাই জিঙ্গাস করছে কি হয়েছে কাউকে কিছু বলছে না। শুদু সবাইকে এক কথায় বলছে প্লিজ আমাকে একা থাকতে দাও।। সবাই বুজতে পারছে আমার সাথে কিছু হয়েছে। আব্বু জয় কে ফোন করে জয় ও না করে দেয় যে ও কিছু জানে না।
আমি ওয়াশরুম থেকে বের হলাম। দেখি লিমা রুমে এসেছে সাথে হিয়া ও আছে। লিমা আমাকে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে দরলো।।
আমিঃ কেমন আছিস পাগলি?
লিমাঃ বেশি ভালো না
তুমি?
আমিঃ ভালো না কেন?
লিমাঃ তুমি ত ভুলেই গেছো যে তোমার ছোট একটা বোন আছে।
আমিঃ পাগলি বোন আমার আমি তকে কখনো ভুলতে পারব?
লিমাঃ তার জন্যই ত কোনো খোজ খবর নেও না।
আমিঃ আরে না ব্যস্ত থাকি পড়াশোনা নিয়ে।
লিমাঃ পড়াশোনা নিয়ে নাকি নিধী আপুকে নিয়ে।
আমিঃ অনেক পেকে গেছিস দেখা যায়।
লিমাঃ সত্যি কথা বললেই পেকে গেছি তাই না
আমিঃ আরে পড়াশোনার অনেক চাপ।
লিমাঃ হুম বুজলাম। আর ভাইয়া পরিচিতো হও আমার বেস্টু হিয়া। আর হিয়া এ হলো নীল ভাইয়া।
হিয়াঃ পরিচয় হওয়ার দরকার নেই
লিমাঃ মানে?
হিয়াঃ আমরা বাসে একসাথে এসেছি।
লিমাঃ তাহলে পরিচিত হয়েছিস ই মনে হয়।
হিয়াঃ তর ভাইয়া কোনো পরিচয় দেয় নি আসলে ওনার একটু এটিটওড বেশি।
লিমাঃ আসলে তা না ভাইয়া একটু মেয়েদের থেকে দুরে দুরে থাকে। আর কোনো মেয়ের সাথে কথা বলা ভাইয়ার নিষেধ। তাইনা ভাইয়া।
আমিঃ হুম একদম ঠিক বলেছিস।
হিয়াঃ নিষেধ মানে?
লিমাঃ নিধী আপু জানলে একটা মাইর ও মাটিতে পরবে না।
হিয়াঃ ও বুজেছি।
লিমাঃ কি বুজলি?।
হিয়াঃ বাসে নিধী আপুর সাথে ঘটা সব ঘটনা আমাকে বলছে। আর এখন নিধী আপুর সাথে একটু ভুলবুজা বুজি হয়েছে তাই তর ভাইয়া এখানে এসেছে।।
লিমাঃ কি হয়েছে ভাইয়া?
আমিঃ তর ফ্রেন্ড এর কাছেই শুন।
হিয়াঃ ওকে আমিই বলছি,,
এই কথা বলতে না বলতেই হিয়ার ফোনে একটা কল আসে ও রুমের বাহিরে চলে যায়।
আমিঃ তর বান্ধবীর বাসা কোথায়?
লিমাঃ আসলে ভাইয়া ওর মা-বাবা কিছুদিন আগে একটা এক্সিডেন্টে মারা যায়৷ ওদের পরিবারের সাথে আমাদের ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক ছিলো। তার মধ্যো হিয়া আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। তার পর থেকে হিয়া আমাদের বাসায় ই থাকে।
আমিঃ ওহ আচ্ছা।
লিমাঃ হুম নিচে চলো ব্রেকফাস্ট করতে যেতে বলছে আম্মু।
আমিঃ হুম চল।
তারপর আমি আর লিমা ড্রইং রুমে চলে গেলাম। ড্রইং রুমে গিয়ে দেখি হিয়া মামা মামি নানু খাবার টেবিলে বসে আছে।। আমরা সবাই গল্প করতে করতে সকালের নাস্তা করলাম। নাস্তা করা শেষে
আমি আমার রুমে চলে আসালাম,,,,আাসার আগে বলে আসলাম লিমাকে আমার রুমে আসতে।।
আমি আমার রুমে এসে ওয়াইফাই কানেক্টেড করে,,ফেসবুকে ডুকলাম তারপর সব ফ্রেন্ড দের
টেক্সট করে বলে দিলাম আমি ভালো ভাবে পৌছেছি।।
একটু পড়ে লিমা আমার রুমে আসলো।
লিমাঃ ভাইয়া কিছু বলবে?
আমিঃ আজকে কলেজে যাবি?
লিমাঃ আজকে আর যাবো না।
আমিঃ রেডি হ শপিং এ যাবো।
লিমাঃ কেন?
আমিঃ আরে গাঁদি আমার সাথে কোনো কাপড় আনতে দেখছত,, নাকি সারাদিন এক ড্রেসেই থাকব।
লিমাঃ ভাইয়া হিয়াকেও কিন্তুু সাথে নিয়ে যাবো।
আমিঃ আচ্ছা দুজনেই রেডি হ যা।
লিমা চলে গেলো,, আমি শুয়ে পড়লাম আবার ও আমার নিধী আপুর কথা মনে হলো। নিধী আপুর কথা মনে হওয়াতেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আমি কেন তার জন্য কাঁদব সে ত আমাকে ভালোইবাসে না। ভালোবাসলে ত সে একটি বার হলেও আমার কথা টা শুনত। আর চরিত্র হীন ও বলত না। একা থাকলেই এসব মনে হবে তাই আমি নিচে চলে গেলাম৷ নিচে নানু আর মামি টিভি দেখতেছে।
আমিঃ মামি মামা কোথায়?
মামিঃ অফিসে চলে গেছে। কেন কিছু লাগবে?
আমিঃ আরে না দেখছি না তাই জিঙ্গাস করলাম।
লিমা আর হিয়া রেডি হয়ে আসলো। মামি আর নানু কে বলে আমরা গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম।
আমি ড্রাইভ করছি হিয়া আর লিমা পিছনে বসেছে। আমি একটা শপিংমলের সামনে গাড়ি পার্ক করলাম।। গাড়ি থেকে আমরা তিনজন বের হলাম।
আমরা মলের ভিতরে ডুকতে যাবো তখনি আমার সাথে কারো দাক্কা লাগে। তারপর আমি তসর দিকে তাকায় যাকে দেখি তাকে দেখে আমার মুখে হাসি ফুটে উঠে সে সাথে সাথে আমাকে জড়িয়ে দড়ে।
#চলবে
গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন
পর্বঃ ১১
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল
আমিঃ মামি মামা কোথায়?
মামিঃ অফিসে চলে গেছে। কেন কিছু লাগবে?
আমিঃ আরে না দেখছি না তাই জিঙ্গাস করলাম।
লিমা আর হিয়া রেডি হয়ে আসলো। মামি আর নানু কে বলে আমরা গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম।
আমি ড্রাইভ করছি হিয়া আর লিমা পিছনে বসেছে। আমি একটা শপিংমলের সামনে গাড়ি পার্ক করলাম।। গাড়ি থেকে আমরা তিনজন বের হলাম।
আমরা মলের ভিতরে ডুকতে যাবো তখনি আমার সাথে কারো দাক্কা লাগে। তারপর আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখি সজীব আমার স্কুল ফ্রেন্ড। সজীব এসেই আমাকে জড়িয়ে দরলো।। আমিও জড়িয়ে দরলাম,,
আমিঃ কেমন আছিস?
সজীবঃ এই ত ভালো
তুই?
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ
সজীবঃ তর সাথে এভাবে দেখা হবে কখনো ভাবি নি।
আমিঃ সত্যিই আমি সার্পাইজ
সজীবঃ চল এক যায়গায় বসে কথা বলি।
আমিঃ হুম কফি শপে চল।
হিয়াঃ আপনারা যান আমি এখানেই আছি।
আমিঃ আমরা যাবো মানে?
হিয়াঃ আমি সবার সাথেই কফি খায় না।
কথাটা সজীবের দিকে তাকিয়ে বললো
আমিই কিছুই বুজতে পারলাম না।।।
সজীবঃ আচ্ছা তর নাম্বার টা দে।
আমিঃ ফোনে সিম নেই,, তুই দে আমার সিম নেই।
সজীবঃ ওখে।
সজীবঃ সিম নেই কেন?
আমিঃ সে অনেক কাহিনী নেক্সট মিটে বলবো।।
সজীবঃ ওকে আমি আসি,,
তারপর হিয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে সজীব চলে গেলো।। আমি কিছুই বুঝলাম না।
থাক এসব নিয়ে মাথা গামানোর সময় এখন না।
তারপর আমি কিছু কেনাকাটা করলাম। আমরা একটা ঘড়ির দোকানে গেলাম।
আমিঃ দেখো কোনটা ভালো লাগে,,
লিমাঃ ভাইয়া তোমার জন্য।
আমিঃ না তদের জন্য।
হিয়াঃ আমার লাগবে না।
আমিঃ এতো কথা শুনতে লাইক করি না আমি।।
হিয়াঃ স্যরি।
আমিঃ আপনাদের জন্য দুটি পছন্দ করেন আমার জন্য একটা।
হিয়াঃ ওকে।
আমাদের ঘড়ি কিনা হলে আমরা গাড়িতে এসে বসি।
আমিঃ কি খাবি লিমা??
লিমাঃ ভাইয়া ফুচকা
আমিঃ আপনি কি খাবেন?
হিয়াঃ আমিও ফুচকা খাবো।
আমি একটা ফুচকার দোকানের সামনে নিয়ে গাড়ি রাখলাম।।
আমিঃ তোমরা খেতে থাকো আমি আসি।
হিয়াঃ কই যাবেন?
আমিঃ পাঁচ মিনিটে আসবো।।
লিমাঃ ভাইয়া তুমি স্মোক করতে যাবে।
আমিঃ আরে না এসব এখন খায় না।
লিমাঃ আমি জানি। বাট তুমি কোথাও যাবে না বসে থাকো।।
আমিঃ ওকে।
ওরা ফুচকা খেতে লাগলো৷ এমন ভাবে খাচ্ছে মনে হয় বহু বছর পড়ে খাচ্ছে। আমি ওদের খাওয়া দেখতে লাগলাম৷ । ওদের খাওয়া শেষ হলে আমি বিল টা দিয়ে দিলাম। আমরা আবার গিয়ে গাড়িতে বসলাম৷।
আমিঃ আচ্ছা সিম পাওয়া যাবে কোথায়?
লিমাঃ তুমি যাও আমি রাস্তা বলে দিচ্ছি।
আমিঃ ওকে
তারপর আমরা সিম কিনে বাসায় চলে আসলাম।।
বাসায় এসে আমি আমার রুমে চলে আসলাম। একে একে আমার সব ফ্রেন্ড কে কল করলাম।
শুধু বাসায় ফোন দিলাম না। বাসার কাওকেই জানানো যাবে না যে আমি সিম ইউজ করতেছি।
আর জয়দের ও বলে দিছি নাম্বার চাইলে জানি না দেয়। শেষে আমি সজীব কে কল করলাম।।
সজীবঃ আসসালামু ওয়ালাইকুম
আমিঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম
সজীবঃ নীল।
আমিঃ হুম।
বিকালে মিট করবো।
সজীবঃ ওকে।।
লোকেশন টেক্সট করে দিয়ে দিস।
আমিঃ ওকে বাই
কল টা কেটে দিলাম।,,,,দেখতে দেখতে বিকাল হয়ে গেলো৷ আমি আর সজীব একটা কফি শপে মিট করলাম।
সজীবঃ কি কফি বল
আমিঃ ব্লাক কফি
সজীবঃ সেই অভ্যাস টা এখনো আছে।
আমিঃ বদলানোর চেষ্টা করে নি।।
এখন বল হিয়া তকে দেখে এমন করলো কেন?
সজীবঃ হিয়াকে আমি অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি।।
আমিঃ তারপর।
সজীবঃ আমাদের রিলেশন ও ছিলো না বাট একটা
ভুলে সব নষ্ট হয়ে যায়।
আমিঃ এখনো ভালোবাসো?
সজীবঃ অনেক।
আমিঃ ফিরে আসতে চাইলে ফিরিয়ে নিবি।।
সজীবঃ হুম।
আমিঃ ওয়েট
আমি লিমাকে কল করে দশ মিনিটের মধ্যো এখানে আসতে বললাম হিয়াকে নিয়ে। কিছুক্ষন হিয়া আর লিমা কফি শপে আসলো। লিমা এসে আমাদের সাথে বসলো বাট হিয়া এখনো দাড়িয়ে আছে৷ পড়ে আমি বলতে শুরু করলাম দেখো হিয়া তুমি হয়তো আমার জীবনের সমস্ত কহিনী শুনছ।
ভালোবাসায় যদি বিশ্বাস ই না থাকে ওইটাকে ভালোবাসা বলে না।। দুজন দুজনাকে এতো ভালোবাসতা যা এখন শুধু ঘৃণায় পরিনতি হয়ছে।
সজীব ত তোমাকে এখন ও ভালোবাসে।।
এরপর সজীব সবার সামনে কানে দড়ে স্যরি বললো হিয়া কে। সবাই তাকিয়ে আছে সজীবের দিকে।।
আমিঃ দেখেন আপনাকে যদি ভালোই না বাসত
তাহলে নিজের সম্মানের কথা চিন্তা করে হলেও
এখানে সবার সামনে কানে দরত না।
এইবার হিয়ার চোখ দিয়ে পানি এসে পড়ল।
হিয়া সজীবকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে দরলো।
হিয়াঃ আমিও স্যরি।।
সজীবঃ হুম
হিয়াঃ যদি আবার ছেরে যেতে চাও তাহলে পা ভেঙে সারাদিন আমার কাছে রেখে দিবো।
সজীবঃ হুম।
আমিঃ তাহলে তরা থাক আমি আর লিলা যায়।
সজীবঃ আরে এক কাপ কফি ত খেয়ে যা।।
তারপর বসে সবাই কফি খেতে লাগলাম।
লিমাঃ আচ্ছা সজীব ভাইয়ার সাথে তোমার কেমন পরিচয়।
আমিঃ আমি আর সজীব স্কুল জীবনে ভালো ফ্রেন্ড ছিলাম৷ হঠাৎ ওর ভাবার টান্সফার হয়ে যায়।। তাই এখানে চলে আসে পড়ে আর কোনো যোগাযোগ করতে পারি নি।।।
লিমাঃ ওহ আচ্ছা। হিয়া তরা সময় কাটা আমরা যায়৷
আমি আর লিমা বাসায় এসে পরলাম। এভাবে কেটে গেলো পনেরো দিন৷ এই পনেরো দিনে আপুর সাথে একবার ও কথা হয় নি। তাই একটুও ভালোলাগতেছে না। ভাবতেছি কালকেই চলে যাবো গিয়ে আপুকে বুজালেই বুঝতে পারবে৷।
বিকালে আমি হিয়া আর লিমা,, সাদে আড্ডা দিচ্ছি
তখনি জয়ের কল।
আমিঃ হ্য মামা বল।
জয়ঃ মামা নিধী আপু সব যেনে গেছে সত্যিটা।
আমিঃ তুই জানলি কি করে৷
জয়ঃ আজকে আমাকে আর তানহাকে এক সাথে দেখেছে। তারপর আমরা সব বুঁজিয়ে বলছি।
আমিঃ ওকে বাই।
তারপর আমি লিমাকে গিয়ে বললাম। কালকে নিধী আপু আসবে।।
লিমাঃ কে বললো
আমিঃ আপু সব জেনে গেছে আমি সিওর আসবে।
লিমাঃ তাহলে ত ভালোই।
আমিঃ হিয়া তোমাকে একটা কাজ করে দিতে হবে।
হিয়াঃ কি কাজ ভাইয়া।
তারপর আমি বললাম কি করতে হবে,, সবাই হা করে তাকিয়ে আছে।
#চলবে