রয়েছ হৃদয়ে #সূচনা_পর্ব

0
2850

#রয়েছ হৃদয়ে
#সূচনা_পর্ব
#কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া

রোহানের সাথে আমার প্রথম দর্শনের স্মৃতিপট খুবই জঘন্য! সহজ ভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়, ‘হেইট এট ফার্স্ট সাইট’ বলে! কেবলই মনে হচ্ছিল, ‘এমন জঘন্য, বেয়াদপ, অসভ্য ছেলে আর দুটো নেই এই ধরায়!’

ডিপার্টমেন্টে সেদিন ছিল আমার দ্বিতীয় দিন। প্রথম ক্লাসটা শেষ করেই ডিরেক্ট ক্যান্টিনে গেলাম। সকাল বেলা কিছু না খেয়ে বের হওয়ার ফলে রাজ্যের ক্ষুধা পেটে এসে হানা দিয়েছে। ক্ষুধা একেবারেই সহ্য করতে পারি না। প্রচন্ড ক্ষুধায় পেট গরম, মাথা গরম! ক্যান্টিনেই বসেই ব্যাস্ত হয়ে বললাম,
“মামা? দুইটা সিঙারা দিন।”
কেন যেন তখন আমার শুধু সিঙারাই খেতে ইচ্ছে করছিল; অন্যকিছু নয়। কিন্তু হায়! আমার ইচ্ছেতে পানি ঢেলে দিতে কোত্থেকে যেন একটা ছেলে ফট করে এসে আমার ঠিক সামনে বসল!
একজন ভার্সিটি পড়ুয়া স্টুডেন্ট এর কোনো ছুরত তার মাঝে বিদ্যমান ছিল না। আমার কিঞ্চিৎ আশংকা হলো; সে কী আদৌ ভার্সিটির কেউ?
শুভ্রতায় মাখামাখি টিশার্টের উপর মেরুন শার্ট; শার্টের সব’কটা বোতাম খোলা! সম্ভবত ঘামে অর্ধ ভেজা চুল, কৃষ্ণবর্ণের মুখ! কপালের কিনারে শিশিরের মতো বিন্দু বিন্দু ঘাম! কেমন যেন ছন্নছাড়া, ইশশ!

আমার সামনে বসে; কেবলই দিয়ে যাওয়া সিঙারা দুটো সে নিজের দুহাতে নিয়ে দুটোতেই দুকামড় বসিয়ে দিল। আমাকে দেখতেই পায়নি টাইপ ভাব করে, খুব আয়েশ করে খেতে খেতে স্বাভাবিক কন্ঠেই বলল,
“মামা? আরো দুইটা সিঙারা দাও তো। খুব ক্ষুধা লাগছে।”
ঘটনার আকস্মিকতায় এতটাই হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম যে, কিছুক্ষণ কোনোরূপ রা’শব্দ করতে পারিনি। মানে আমার সিঙারায় সে কেমন আয়েশ করে কামড় বসিয়ে দিল? যেন ওগুলো তার জন্যই রাখা ছিল! আমি কে, আছি কিংবা নেই; ডাজেন্ট ম্যাটার!

যখন ভ্রম কাটলো তখন রাগে আমার শরীর কেঁপে উঠল। রাগ আরো এক ধাপ বাড়াতেই বুঝি তখন ভেসে এলো,
“আর সিঙারা নাই মামা। শেষ হইয়া গেছে। আর কিছু লাগবো মামা?”
আমি বসা থেকে দাঁড়িয়ে ছন্নছাড়া ছেলেটাকে বললাম,
“এসব কোন ধরনের অসভ্যতা? ম্যানার শিখেননি? ম্যানারলেস, স্টুপিড!”
আমার কথা তার গায়ে লাগবে তো দূর, ধারে কাছেও ঘেঁষেছে বলে বোধ হলো না। ভ্রু’যুগল সামান্য কুঁচকে আগাগোড়া আমায় নিরক্ষন করে আমার ঐ অপমান সূচক কথা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে বলল,
“আরেহ, জুছি যে!”
আমার ক্ষীণ সন্দেহ হলো, এই ছেলে নির্ঘাত কোনো পাগলা গারদ থেকে পালিয়েছে। একে তো অমন উদ্ভট একটা কাজ করলো তার উপর এখন আবার ‘জুছি-ফুছি’ কিসব বলছে! আমি হাঁক ছেড়ে বললাম,
“এই মামা? ক্যান্টিনে এমন পাগল-ছাগল ঢোকে কি করে? এত অসভ্য!”
রোহান তখন মিটিমিটি হাসলো। যেন আমি কোন মজার কথা বলেছি! বসা থেকে দাঁড়িয়ে, টেবিলে দু’হাত রেখে তাতে ভর দিয়ে, একটু ঝুঁকে এসে বলল,
“বাহ! রাগলে তো তোমায় এক্কেবারে জুছিরানী লাগে! কাঁচা মরিচের মতো ঝালে ভর্তি তেজ আছে দেখি! দারুন তো! ইউ নো? ঝাল ইজ মাই মোস্ট ফেভারিট!”
প্রচন্ড রাগে আমি কিছু বলার বোধশক্তি হারিয়ে ফেললাম। ক্ষুধার রাগ আর তার অমন কান্ডখানার রাগ; সব মিলেমিশে ভয়ানক অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিল। ওহ আল্লাহ্‌!

সেদিনের সেই স্মৃতি স্মৃতিপট থেকে অদৃশ্য হতে বেশ অনেকদিন সময় লেগেছিল আমার। কিছুদিন অব্দি তো দূর থেকে ওর ছায়া দেখলেও রাগে শরীর রিনরিন করে উঠতো! ভাগ্যিস রোহান আমার সেইম ব্যাচের হলেও ডিপার্টমেন্ট আলাদা ছিল। তাই দেখা-টেখা খুবই কম হতো। কিন্তু যতবারই দেখা হতো ততোবারই আগুনে ঘি ঢালার মতন তার ওই ‘জুছি রানী’ ডাক তো ছিলই!
দূর থেকে দেখলেও হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে ডাকতো, এই জুছিরানী, এই? ইশশ, কাঁচা মরিচ! আম্মু বলেছে, আজ বাসায় কাঁচা মরিচ নিয়ে যেতে; যাবে তুমি?

কেমন বাঁদর, কেমন ফাজিল? আমার রাগ হতো আবার হাসিও পেতো….

ওর এই ‘জুছিরানীর’ রহস্যা বুঝতে আমার অনেকদিন সময় লেগেছিল। কিন্তু যখন তার ব্যাখ্যা শুনেছিলাম তখন যেই পরিমান আশ্চর্য হয়েছিলাম তা অবর্ণনীয়!
সে আমাকে এই অবিস্মরণীয় ঘটনা বলতে গিয়ে হেসে কুটিকুটি। হাসতে হাসতে সে এদিক সেদিক হেলে পড়ে!
মূল ঘটনা হলো, প্রথম দিন ক্যাম্পাস থেকে ফেরার সময় আমার জুতা ছিড়ে গিয়েছিল, এক্সিডেন্টলি! হুট করে হোঁচট খেলাম আর জুতা ছিড়ে বিচ্ছিরি কান্ড! আমার সেই বিরক্তিকর পরিস্থিতি সে দূর থেকে দেখেছিল। যার ফল স্বরূপ সেই জুতা ছিড়ার সর্টফর্ম হিসেবেই সে আমার এই নামকরণ করেছিল। আর শেষের রানীটাও আসলে রানী অর্থে নয় কিন্তু! সেটা ছিল রাগিনীর সর্টফর্ম। অর্থাৎ ‘জুতা ছিড়া রাগিনী’ থেকে হয়েছি ‘জুছিরানী’!

মানে একটা মানুষ কি পরিমান বদমাইশ হলে; এমন আজগুবি সব চিন্তা করতে পারে, ভাবা যায়?

সবচাইতে আশ্চর্যদায়ক ব্যাপার হচ্ছে, ডিপার্টমেন্ট আলাদা এবং মারাক্তক অপছন্দনীয় এই ছেলেটাই কিভাবে যেন খুব কাছের কেউ একজন হয়ে উঠল! আমার সকাল-দুপুর-দিনের আনাগোনায় তার বিচরণ অদ্ভুত ভাবে মিশে যেতে আরম্ভ হলো। অবশ্য এমন পাগল এড়িয়ে চলাও মুশকিল। আশেপাশে লেগে থাকে, হাসায়, ফাঁসায়!

ক্লাস শেষে বের হলেই প্রায় সময় আমার কাছ ঘেঁষে হাঁটতে হাঁটতে বলতো,
“এই জুছিরানী? তোমার ভ্রু’র পাশের তিলটা আসল নাকি নকল? কেমন যেন নকল নকল গন্ধ পাচ্ছি! মেয়েরা তো আবার নকল-ফকলে মারাক্তক চালু। দেখি দেখি…”
বলেই একটু হেলে আমার তিলটা ছুঁতে চাইতো!
আমি ভ্রু’কুটি করে সরে যেতাম।
কেমন উদ্ভট কথা আর কাজ ছেলেটার! একদম শরীর জ্বলে যাওয়ার মতো। ততদিনে অবশ্য ওকে তুমি করেই বলতাম। সেইম এইজ, সেইম ব্যাচ, আপনি টা ঠিক কেমন যেন! হাঁটা থামিয়ে বলতাম,
“এই? তুমি যে আস্ত একটা পাগল, তা কী তুমি জানো?”
রোহান মাথার পেছন চুলকাতে চুলকাতে বলতো,
“হু, জানি তো। পাগল হওয়ার অনেক সুবিধা বুঝলে? পাগলের পাগলামি সবাইকে না চাইলেও মেনে নিতে হয়। এই যেমন তুমি মেনে নিচ্ছো। এমন সুবিধা জেনেও ‘পাগল না হওয়া’ তো মস্ত বড়ো পাগলামি। ইচ্ছে হলে তুমিও পাগল হয়ে ট্রাই মারতে পারো। দেখবে কেমন মজা….”

আমি আর না হেসে পারতাম না।
ওর এমন পাগলামি দিন দিন বাড়ছিলো বৈ কমছিলো না।

তখন আমাদের মোটামুটি সখ্যতা গড়ে উঠেছে। আগের মতো রাগ হয় না ওর প্রতি। আসলে ওর প্রতি রাগ আমি করতে পারি না কখনোই…কেমন যেন মায়া মায়া!

একদিন ক্যাম্পাসের শিমুলতলায় বসে বই উল্টাচ্ছিলাম, তখনও কই থেকে যেন উদয় হলো ছেলেটা! পাশ ঘেঁষে বসে বলল,
“আচ্ছা জুছিরানী, একটা কথা বলি?”
আমি মাথা না তুলেই বললাম,
“হু।”
“সেদিন কিন্তু আমি ইচ্ছে করে তোমার সিঙারা দুটো খেয়েছিলাম।”
“জানি। বদমাইশ তো।”
রোহান খুব সিরিয়াস হয়ে জিজ্ঞেস করল,
“না বলে তোমার সিঙারা খেয়ে ফেলেছিলাম বলে তুমি কী কঠিন বরদোয়া দিয়েছিলা?”
আমি বই বন্ধ করে কপাল কুঁচকে তাকালাম। রোহান বিরস মুখে বলল,
“ইয়ে মানে, সেদিন বাসায় গিয়ে আমার পেট খারাপ হয়েছিল। উফফ! টানা দুইদিন কী ভোগাটাই না ভুগেছি! বরদোয়াটার ডিরেক্ট পেটে গিয়েই হামলা করতে হলো? এই দেখো, আমার ভুরি কতখানি কমে গিয়েছে! তুমি যেমন সাংঘাতিক তোমার বরদোয়াও ঠিক তেমনই সাংঘাতিক! আমার হাল দেখে মা কী বলল, জানো? বলল,’কই থেকে কী খেয়ে এসেছিস? পইপই করে নিষেধ করি বাহিরের হাবিজাবি কিছু খাইস না! আমার কথা তো শুনিস না, এখন বোঝ মজা!’ আমার মা তো আর জানে না, কোনো খাবার খেয়ে নয়, জুছিরানীর বরদোয়া খেয়ে আমার এই হাল! আহারে আমার পেট! দুটো সিঙারা খেয়ে, দুকেজি ওয়েট লস! দেখ কেমন শুকিয়ে গিয়েছি!”
আমার মনে পড়ে না, ওইদিনের মতো অত হাসা আর কখনো হেসেছি কিনা! খুব হেসেছিলাম। আমার হাসি দেখে রোহান ব্যাথিত হওয়ার মতন করে বলল,
“হেসো না মেয়ে, হেসো না। অন্যে দুঃখে দুঃখ পেতে হয় বুঝলে? নয়তো দাঁত পড়ে যাবে! তখন লোকে বলবে, জুছি বুড়ি! হা হা হা!”
আমার হাসি কমবে বৈ বেড়ে যেত।
এমন করে, ঠিক কেমন করে যেন খুব চমৎকার একটা সম্পর্ক হয়ে গেলো আমাদের! ওর সাথে যতক্ষণ থাকতাম, মনে হতো, জীবন এমন সহজ-সুন্দর কেন? এত আনন্দ, এমন নির্ভেজাল কেন?

ছেলেটা চরম ফাঁকিবাজ। ক্লাস করত না খুব একটা। আমি প্রতিটা ক্লাস শেষে বের হলেই দেখতাম আমার ক্লাসের দরজার দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রথম প্রথম চমকাতাম। রোহান হেসে বলত,
“ইশশ, তুমি কি ভীতু, জুছিরানী!”
আমি একটু রাগ করতাম। হাঁটতে হাঁটতে বলতাম,
“আমার এসব একদম পছন্দ না রোহান। কী সব ফাজলামো সবসময়। বি ম্যাচিউর, ওকে? আর এসব জুছি-ফুছি আবার কী, হুম? আমার একটা সুন্দর নাম আছে; তারিন। হয় তারিন বলে ডাকবা, নয়তো নয়।”
আমার কথা সে পাত্তা দিত না। আমার বারনও শুনত না। সেদিনও শুনল না।
বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,”তারিন-রিনতা-নরিতা-রিতান-নতারি ইজ ইকয়েলটু মাতারি! হা হা হা! না থাক, এই মাতারি-টাতারির দরকার নাই। আমার জুছিরানী-ই ঠিক আছে!”
বলেই হেসে লুটিয়ে পড়ল। কী ভীষণ রাগ লাগল!
হনহনিয়ে হাঁটা ধরলাম। সেই ছেলেটা ছুটে এসে আমার পাশ ঘেঁষে তাল মিলিয়ে হেঁটে হেঁটে তখন বলল,
“সিঙারা খাবে জুছি? গরম গরম সিঙারা? প্রথমে ভাবলাম একা একাই খাই, পরে ভাবলাম, আবার যদি একা খেয়ে পেট খারাপ হয়? তোমার বোরদোয়ার যেই পাওয়ার, বাপরে!”
বলেই হো হো করে ক্যাম্পাস কাঁপিয়ে হেসে উঠল। আমি হাতের নোটবুকটা দিয়ে ওর বাহুতে আঘাত করে বললাম,
“অসভ্য, যাও!”
আমার হাতের নোট বুকটা ছিনিয়ে নিয়ে বলল,
“ইশশ, এত্ত পড়লে তো মাথা খারাপ হয়ে যাবে। কম কম পড়বে, বুঝলে? মাথাটা ঠান্ডা থাকবে।”
আমি বললাম,
“এই ফালতু লজিক নিয়ে ঘুরো বলেই, এমন আধ-পাগল। ফাঁকিবাজ একটা।”

এই ফাঁকিবাজির ফল অবশ্য শেষে গিয়ে টের পেয়েছিল।
একদিন বিকেলে, দীপ্তিহীন রৌদ্দুরের ন্যায় মুখখানা গড়ে, একটু একটু উসখুস করে বলল,
“এই জুছি সামনে তো পরিক্ষা। কিচ্ছু তো পারি না। মনেহয় ফেইল মারবো। হায় হায়! সর্বনাশ!”

আমি খুব মজা পেয়েছিলাম সেদিন। তীর্যক আলোক রেখা এসে যখন ওর ওই কিঞ্চিৎ ভীত, সদা হাস্যজ্জ্বল ধূসর চোখ দুটোতে পড়ল; তা দেখে আমার হাসি বাধ মানেনি। শায়েস্তা করার মতো চমৎকার একটা মাধ্যম পেয়ে হাতছাড়া করলাম না একদমই।
খুব খুশি হওয়ার মতো ভাব করে বললাম,
“বেশ হবে। আমি তখন খুব খুশি হবো। আমায় তুমি জুছি বলো না? তখন তোমায় আমি ‘ফেল্টু বাবা’ বলে ডাকবো। উফফ! ভেবেই মজা লাগছে। রোহান ইজ ইকয়েলটু ফেল্টুবাবা!”
বলেই আমার বিশ্বজয় টাইপ হাসি। পরন্তু বিকেলের মুগ্ধ করা পক্ষীকুলের ডাক আমার সেই হাসির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
স্বচ্ছ সবুজ ঘাসের বুকে সমস্ত শরীর এলিয়ে দিয়ে, দু’হাত ভাজ করে মাথার নিচে রেখে ছেলেটা কেমন করে যেন বলল,
“তোমার হাসি এই বিকেলের মতোই সুন্দর জুছিরানী। কোথায় যেন এসে লাগে। চোখ ধাঁদিয়ে যায়! কী ভয়ংকর সুন্দর জুছি! হেসো না তো!”

আমি বুঝি না ওর কথা। বুঝি না, নাকি বুঝতে চাই না? কে জানি! ঠিক জানি না!
অমন ছন্নছাড়া আউলবাউল, পাগলাটে এক ছেলের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবিনি কখনো। গাছের ডাল থেকে একটা-আধটা কৃষ্ণচূড়া ফুল এসে পড়ে কোলে। আমি ওর দিকে চাই, ও আমার দিকে। দুজনের চোখে চোখ পড়তেই দুজন হেসে ফেলি। রোহান খুব বাচ্চা বাচ্চা মুখ করে বলে, “আবার হাসে মেয়েটা! হেসে হেসেই মেরে ফেললা, উফফ!”

এরপর আরো বহু বিকেল এসেছে আমাদের বন্ধনে; কিন্তু ওমন সুন্দর, স্বচ্ছ, নির্মল, ফিনফিনে বাতাসময় পাগল পাগল বিকেল আর আসেনি!
আসলে যা যায়, তা বোধহয় একেবারেই যায়! আপনি একজন তৃষ্ণার্ত পথিক হয়ে অপেক্ষায় ক্লান্ত, জীর্ণশীর্ণ হয়ে গেলেও হারিয়ে ফেলা তা আর ফিরে আসে না কখনোই!….

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here