লবঙ্গ_লতিকা,পর্ব ১৩,১৪

0
1201

#লবঙ্গ_লতিকা,পর্ব ১৩,১৪
#নুজহাত_আদিবা
পর্ব ১৩

রাতে তমা আঙুর বালার ছোট্ট বাটন ফোনটা নিয়ে অনেকক্ষন গুঁতোগুতি করলো। সাদের নাম্বারটা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

অবশেষে সাদের ফোন নাম্বারটা খুঁজে পাওয়া গেল। একেবারে সবার শেষে ছিল সাদের নাম্বার। তাই নাম্বার খুঁজে পেতে এত বেগ পেতে হয়েছে।

তমা ফোন হাতে একবার পাশ ফিরে তাকালো। নাহ! আঙুর বালা ঘুমিয়ে পরেছে। এবার আর কোনো চিন্তা নেই। তমা কাঁপা কাঁপা হাতে সাদকে একটা কল দিলো।সাদ ফোন রিসিভ করে বললো,”হ্যালো”
তমা সাদের গলার স্বর শুনতে পেয়ে কিছুটা কেঁপে উঠলো। যেন কত যুগ ধরে এই কন্ঠটা তমা শোনেনি। তমা চুপ করে ফোন কানে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। সাদ অপর প্রান্ত থেকে হ্যালো হ্যালো করেই যাচ্ছে। তবু, তমা একেবারে নিরুত্তর।

তমা শেষ পর্যায়ে ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে বললো,”হ্যালো।” সাদ উদ্বিগ্নতা কাটিয়ে উত্তর দিলো,”এত রাতে কল দিলে কেন দাদু? বেশি সমস্যা হচ্ছে? শরীর খারাপ লাগছে? ছোট চাচ্চুকে কল দেবো?”

তমা ভয়ে ভয়ে উত্তর দিলো, “আমি তমা!” সাদ কিছুটা চমকে উঠে কানে হাত দিলো। সত্যিই কী এটা তমার গলা? তমা এত রাতে ফোন দেবেই বা কেন? সাদ গম্ভীর গলায় উত্তর দিলো,”হুম বলো।”

তমার এবার বেশ মন খারাপ হলো। ভেবে ছিল সাদ হয়তো তমার কথা শুনে খুশি হবে। কিন্তু নাহ! সাদ তো আরো হতাশ হয়ে কথা বললো। তমা উদাস কন্ঠে বললো,” না,কিছু না। আমি ফোন রাখছি।” তমা এটুকু বলেই ফোনটা রেখে দিলো। হঠাৎ টুং করে একটা আওয়াজ হলো। তমা বাটন ফোনটায় কান পাতলো। আওয়াজটা কোনো ম্যাসেজের। তমা ম্যাসেজের ওখানে গিয়ে দেখলো, সাদের ফোন নাম্বার থেকে ম্যাসেজ এসেছে। তমা আগ্রহের সহিত ম্যাসেজটাতে চোখ বোলালো। তাতে লিখা ছিল,”এরপর ফোন দেওয়ার হলে নিজের ফোন থেকে দিও। অন্যের ফোন নিয়ে হাতাহাতি করার অভ্যাস পাল্টাও।”

তমা নিজের নতুন ফোনটা দিয়ে সাদের ফোনে একটা কল দিলো। রিং বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সাদ রিসিভ করে হ্যালো বললো। তমা কোনো কথা না বলে ফোন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পরলো। শফিক ভাইয়ের থেকে শিখেছিল কীভাবে এসব বড় বড় ফোন দিয়ে কল দিতে হয়।

সাদ তমার নাম্বারটা টুকে রাখলো। ফোনে সেভ করলো লবঙ্গ লতিকা নামে। লবঙ্গ লতিকা নামটার কথা মনে হতেই সাদ একটু মুচকি হাসলো। নাহ! তমা মেয়েটাকে নিয়ে আর পারা যাচ্ছে না। সারাদিন শুধু তমার কথা মাথায় ঘুরছে!

আঙুর বালা রোদে উঠোনে বসে বসে পান চিবোচ্ছে। তমা উঠোনের পেয়ারা গাছটার ডাল ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে। আঙুর বালা ইশারায় তমাকে নিজের কাছে ডাকলো। তমা আঙুর বালার কাছে এসে বসলো। আঙুর বালা পেছনে ঘুরে পানের পিক ফেলে তমাকে বললো,” কীরে কালকে রাতে এমনে ফ্যাচ ফ্যাচাইয়া কানলি ক্যা?”

তমা ইতস্তত হয়ে বললো,” মায়ের কথা মনে পরছিল তাই ”

আঙুর বালা ঠোঁট টিপে হেসে বললো,”মার কথা মনে পরে না কি নিজের জামাইয়ের কথা মনে পরে?”

তমা লজ্জায় মুখ লুকোলো। আঙুর বালা তমার থুতনি ধরে বললেন,” হুন, আমার লগে এডি লইয়া মিথ্যা কথা কইয়া লাভ নাই। তোগো বয়স আমরাও পার কইরা আইসি। জামাইয়ের লাইগা হারারাইত কাইন্দা সকালে উইঠ্যা কবি মার লাইগা কানসি এডা কিন্তু হইবো না। কালকে তুই যে চুরি কইরা রাইতে বেলা ওরে ফোন দিলি। কী কইসে ও?”

তমা মুখ লুকিয়ে বললো,” কী বলবে? আমি লজ্জায় কল কেটে দিয়েছি।”

আঙুর বালা তমার মুখ উঁচু করে ধরে বললেন,”প্রথম প্রথম এমনি লজ্জা থাকবো। পরে দেখবা নিজেই জামাইয়ের পিছে পিছে ঘুরতাসো।”

তমা ভ্রু নিচু করে বললো,” মোটেও না!”

আঙুর বালা হেসে বললেন,” আমার কথা মিলাইয়া নিস। কয়দিন হ্যানে আসিলো তাই গেসে গা দেইখা কাইন্দা মরলি। এহন আবার এডি কস। ”

তমা উঠোন ছেড়ে দৌড়ে পালালো। এই বুড়িটাও যা তা! খালি লজ্জা ফেলে দেয়!

তমা পুতুলকে কোলে নিয়ে বসে আছে। পাশে নাদিয়াও বসে আছে। নাদিয়ার হাতে পাঁকা কলা। ছোট ছোট দাঁত দিয়ে কুট কুট করে কামড় দিয়ে খাচ্ছে। তমা নাদিয়ার হাত থেকে একটু কলা ভেঙে নিলো। আঙুল দিয়ে মিহি টুকরা করে পুতুলের মুখে গুঁজে দিলো। পুতুল টুপ করে গিলে ফেললো। দাঁতও গজায়নি এখনও পুতুলের। তাতেই এই দশা! পুতুল মুখে থাকা খাবার শেষ করে তমাকে আঙুল দিয়ে ইশারা করলো। আরেকটু কলা ভেঙে মুখে দেওয়ার জন্য। তমা বুঝতে না পেরে এদিক ওদিক তাকালো। পুতুল দিশা না পেয়ে তমার আঙুল ঠোঁট দিয়ে চাটতে শুরু করলো। তমা সুরসুরি লাগায় তমা আঙুল সরিয়ে হেসে ফেললো। পুতুলের দিকে তাকিয়ে তমা হেসে বললো,” দুষ্ট বুড়ি শুধু দুষ্টুমি করে! পঁচা মেয়ে! ” পুতুল কিছু না বুঝেও তমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিলো। তমা পুতুলের গাল দুটো ধরে টুকুস করে একটা কামড় দিয়ে বসলো।

বিকেলে সাদের ছোট চাচা রাফসীন কাজের লোক দিয়ে উঠোনের উত্তর দিকে থাকা পেয়ারা গাছ থেকে পেয়ারা পারিয়েছে। তমা আঙুর বালার ঘরে বসে বসে সেই পেয়ারা খাচ্ছে। একেবারে ডাঁসা ডাঁসা সব পেয়ারা। আঙুর বালা কচকচ করে পেয়ারা খাওয়ার শব্দ শুনে তমার দিকে তাকালো।

আঙুর বালাকে নিজের দিকে তাকাতে দেখে, তমা আরো জোরে আঙুর বালাকে দেখিয়ে দেখিয়ে পেয়ারায় কামড় বসালো। আঙুর বালা এক পর্যায়ে রেগে গিয়ে তমাকে বললো,” ওই ছেঁ/ড়ি! জীবনে পেয়ারা খাস নাই? এমন আওয়াজ কইরা কইরা খাস ক্যা?”

তমা পেয়ারায় কামড় বসাতে বসাতে বললো,” কেন? তোমার হিংসে হয় না কি?”

আঙুর বালা পান চিবুতে চিবুতে বললেন,” ক্যা? আমার হিংসা ক্যা হইবো?”

তমা পেয়ারায় বড় একটা কামড় বসিয়ে বললো,” হিংসে যদি না হয় তবে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? জীবনে খাওনি পেয়ারা? না কি আমার মতো এত সুন্দর করে পেয়ারা খেতে পারো না বলে আফসোস হয়?”

আঙুর বালা রেগে গিয়ে বিছানা থেকে উঠে বললো,” কী কইলি! আমি তোর খাওন দ্যাহা পারি না? তোরে হিংসা করি?”

একথা বলে আঙুর বালা পেয়ারা ঝুড়ি থেকে একটা পেয়ারা বার করলো। তাতে তমার মতো করে জোরে একটা কামড় বসালো। কচ করে জোরে একটা আওয়াজ হলো। তমা চমকে উঠে আঙুর বালার দিকে তাকালো। হঠাৎই তমা জোরে শব্দ করে হেসে উঠলো। আঙুর বালা নিজের হাতে থাকা পেয়ারার দিকে তাকালো। নিজের একটা দাঁত ভেঙে একেবারে আঁটকে গেছে পেয়ারায়। আঙুর বালা আয়নায় গিয়ে চোখ কুঁচকে তাকালো। তারপরে বিছানার নিচ থেকে একটা ঝাড়ু নিয়ে তমার দিকে নিক্ষেপ করে জোরে চিৎকার করে বললো,” শয়/তান ছেড়ি! অস/ভ্য মাইয়ালোক! তোর লাইগা আমার একটা দাঁত পইরা গেসে! বেয়া/দব মাইয়া!”

তমা কোনো রকমে উঠে দৌড়ে পালালো ঘর থেকে। বাইরে গিয়ে দম ফাটিয়ে হাসতে লাগলো। শেষে কিনা এই বুড়ো বয়সে পেয়ারা খেতে গিয়ে দাঁত হারাতে হলো! হায় কপাল!

চলবে….
#লবঙ্গ_লতিকা
#নুজহাত_আদিবা
পর্ব ১৪

আঙুর বালা আলমারি থেকে তমার জন্য সোনার আংটি,চেইন,কানের দুল এসব বের করে রেখেছেন। নতুন বউ যদি একটু সেজেগুজে না থাকে তাহলে কী আর বউ মনে হয়? বিয়ের এতদিন হয়ে গেছে তবুও পাড়ার লোকেরা নতুন বউকে দেখতে আসে।

তমা হাতে নতুন সোনার আংটি পরলো। কানে দুল পরলো। গলায় চেইন পরলো।একটা নতুন নাকের ফুলও দিয়েছে আঙুর বালা। তমা সেটাও আস্তে করে নিজের নাকে পরে ফেললো। তমার নাক আগে থেকেই ফোড়ানো। তাই আর বেশি ঝামেলা পোহাতে হয়নি।

তমার একটা বিষয় নিয়ে বেশ মন খারাপ। অনিতা ফোন করে বলেছে কালকে থেকে তমাকে স্কুলে যেতে হবে। পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়া কোনোভাবেই চলবে না। এখন থেকে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে সোজা তমা ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাবে। সন্ধ্যা হলেই ব্যাগ নিয়ে পড়তে বসবে।

দুপুর বেলা খাওয়া দাওয়া শেষ করে আভুর বালা বিছানায় শরীর এলিয়ে ঘুমিয়ে পরলেন। তমা চুপিচুপি নিজের ডয়ার থেকে নিজের ফোনটা বের করলো।সাদের নাম্বারে একটা কল দিলো। প্রথমবার রিং হলেও সাদ কল রিসিভ করার আগেই কেটে গেল। তারপর সাদ নিজে থেকেই তমাকে ফোন দিলো। তমা কল রিসিভ করে সাদকে বললো,”আপনার মায়ের সমস্যাটা কী? আমার পড়াশোনা নিয়ে এত ঘাটাঘাটি করছে কেন? বিয়ে হয়ে গিয়েছে সংসার করবো। এখন আবার স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে হবে কেন? পড়াশোনা করারই বা কী দরকার? ”

সাদ কানের সামনে ফোন নিয়ে জোরে চিৎকার করে বললো,”কীহ! তোমার মনে যদি এসব চিন্তা ঘোরে তো বাদ দাও। পড়াশোনা করতেই হবে তোমাকে। পড়াশোনা করা ছাড়া কোনো মানুষের কাছে মূল্য পাবে না। সময় থাকতে ভালো হয়ে যাও তমা। আমি তোমার ব্যাপারে প্রতিদিন খোঁজ নেবো। যদি শুনেছি পড়াশোনা বাদ দিয়ে সারাদিন টইটই করছো। তো,দেখো কী অবস্থা করি তোমার।”

তমা বিলাপের স্বরে সাদকে বললো,” ধুর! আমার ভালো লাগে না পড়াশোনা। সারাদিন শুধু পড়া আর পড়া। ছাতার মাথা!”

সাদ নিবিড় কন্ঠে তমাকে বললো,” শোনো, ভালো স্টুডেন্ট হওয়ার জন্য সারাদিন গরুর মতো পড়াশোনা করতে হয় না। কিছু টেকনিক মাথায় থাকলেই হয়। ”

তমা উৎসাহী কন্ঠে বললো,” কী টেকনিক?”

সাদ তমার প্রশ্নের উত্তরে বললো,” পরে শিখিয়ে দেবো। এখন যাও নিজের কাজে যাও।”

তমা আদুরে কন্ঠে বললো,”থাকি না আরেকটু? এই একটু!”

সাদ তপ্ত কন্ঠে তমাকে বললো,”উহুম,একটুও না। নয় এখন ঘুমাবে নয় পড়তে বসবে। কিন্তু তিরিং বিরিং করা মোটেও চলবে না।”

সাদ এটুকু বলেই ফোন কেটে দিলো। তমা অভিমানের অকূল সাগরে গা ভেজালো। কত শখ করে আজ একটু ফোন দিয়েছিল। তবুও এতটুকু মায়া দয়া নেই। কীভাবে নির্দয়ের মতো ফোনটা রেখে দিলো। এখানে থাকাকালীন কত গল্প করতো সাদ।সারাদিন ঘুরাঘুরি করতো! আর এখন! সারাদিনে তমার একটুও খোঁজ নেয় না। একটা বার মনেও করে না তমার কথা। তমা বিক্ষিপ্ত হৃদয়ে এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেল। আঙুর বালা কিছুক্ষন পরই তমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললেন। তমাকে নিয়ে আজ একটু কেনাকাটা করতে বের হবেন। নতুন বউ তেমন কিছু কিনেও দিতে পারেননি। অনিতা নিজে এসব কিছু করতে চাইলেও পারেননি। তমার সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারেননি অনিতা। এরপর তো চলেই গেলেন। তাই আঙুর বালাকে বলেছেন, তমার পছন্দ অনুযায়ী তমাকে কিছু কেনাকাটা করে দিতে।

তমা বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে ঘুম থেকে উঠে বসলো। আঙুর বালা তমাকে বললেন তৈরি হয়ে নিতে। তিনি তমাকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে যাবেন।

তমা আর আঙুর বালা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় নাদিয়াও বায়না ধরলো। সেও তাদের সঙ্গে যাবে। তমা আদর করে নাদিয়ার ছোট দুটো হাত ধরে আঙুর বালার সঙ্গে বেরিয়ে পরলো।

আঙুর বালা তমাকে নিয়ে বড় বাজার মার্কেটে ঢুকলো। এখানে মেয়েদের জামা কাপড় বেশি ভালো পাওয়া যায়। তমা অনেকক্ষন বাছাবাছি করার পর জামাকাপড় কিনলো। আঙুর বালা নাদিয়া আর পুতুল দু’বোনের জন্যও দুটো জামা নিলেন। জামাকাপড় দর্জির কাছে বানাতে দিয়ে আসার সময় তমা আঙুর বালাকে বললো,” আমি একটু বাথরুমে যাবো। তুমি দাঁড়াও তো এখানে।”

আঙুর বালা নাদিয়ার হাত ধরে সেখানে দাঁড়িয়ে রইলো। তমা বাথরুমে গিয়েছিল অন্য উদ্দেশ্যে। উদ্দেশ্য সাধন করে তমা মুচকি হাসতে হাসতে আঙুর বালার সঙ্গে বাড়ি ফিরে গেল।

বাড়ি ফিরে নাদিয়া নিজের নতুন জামা পরে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। তমা পুতুলকেও নতুন জামা পরিয়ে দিলো। তমা আদুরে গলায় পুতুলকে বললো,” বাবুন সোনা কী বেরু দিতে যাবে? কোথায় যাবে ময়না পাখিটা?”

পুতুল কিছু না বুঝেও খিলখিল করে হাসলো। হাত পা নাড়িয়ে নাড়িয়ে বিছানায় বসে খেলতে লাগলো। সন্ধ্যার পর সাদ নিজেই তমাকে ফোন দিলো। তমা কল রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে সাদ বললো,” আমার নাম্বার কী তুমি কাউকে দিয়েছো তমা? এত কল আসছে কেন ফোনে? দু’মিনিট পরপর কী সব অজানা মানুষজন কল দিয়ে বলছে টিস্যু পেপার কিনবে। আমি কী টিস্যু বিক্রেতা না কি?”

তমা মুখে হাসি চেপে রেখে বললো,” আমি কী জানি? আমি আপনার নাম্বার আর কাকে দেবো?”

সাদ এটুকু শুনে তমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না। অগত্যা ফোন কেটে দিলো তমা। ফোনের লাইন কেটে দিয়ে জোরে জোরে হাসতে শুরু করলো তমা। এটা তখন ফোন কেটে দেওয়ার ফল। ওরনার আঁচলে একটা কলম বেঁধে নিয়ে গিয়েছিল তমা।সে সময়ে মার্কেটের বাথরুমে গিয়ে বাথরুমের দেয়ালে সাদের নাম্বার লিখে দিয়ে এসেছে তমা। শুধু এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বাথরুমে কোনো টিস্যু পেপার ছিল না। তাই দেয়ালে সাদের নাম্বারের ওপরে লিখে দিয়েছে, ” পাইকারি দরে টিস্যু পেপার বেচি। কেউ নিতে চাইলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here