লেডি_ডন
পর্বঃ১৭,১৮
লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
পর্বঃ১৭
আদিঃআমি সব জেনেশুনে কি করে জয়কে বলব,
তুমি এতদিন যাকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছো তাকে আজ আমায় দিয়ে দাও।
কিন্তু আমিও তো রুহিকে ভালবাসি ওকে ছাড়া আমিই বা বাঁচব কি করে?
,
,
,
,
এতক্ষন রাস্তায় কেউ কারো সাথে কোনো বলে নি। বাসায় ফিরেই যে যার রুমে চলে গেল। সবার মন খারাপ।
দেখতে দেখতে সন্ধ্যা পেড়িয়ে রাত হয়ে গেল,
রুহির মা সবাইকে রাতের খাবারের জন্য ডাকতে বলল,
মিলি সবাইকে ডেকে আনল,
রুহিসহ সবাই এসে টেবিলে বসলো,
কিন্তু রুহি না খেয়ে উঠে গেল,
রুহিঃআমি খাব না মা, জয়ের বাসায় যাব….
এতক্ষনে জয় একবারো এই বাসায় আসে নি। ও কখনো আমাকে ছেড়ে এতক্ষন থাকে নি।
একটু বেশিই রাগ করছে মনে হয়।
এটা বলেই রুহি যেতে চাইল আদি দাঁড়িয়ে বলল, আমি কি যেতে পাড়ি?
রুহিঃ হুম অবশ্যই….
লিজাঃ আমিও যেতে চাই…
সাওন,মাহিরঃ লিজা তর কি মনে হয় আমরা যেতে চাই না?
মনিঃ সত্যি বলতে জয় অনেক ফ্রেন্ডলি ওর জন্য খারাপ লাগছে চলো সবাই গিয়ে ওকে নিয়ে আসি।
রুহির মাঃআচ্ছা যেও,কিন্তু আগে খেয়ে নাও তারপর যাও….
আদিঃ আন্টি চিন্তা করবেন না আমরা জয়কে নিয়ে বাইরে খেয়ে নিব।
,
,
,
সবাই মিলে জয়ের বাসায় গেল।
বাসায় ঢুকেই বোঝা যাচ্ছে বাসাটা কোনো রুচিশীল মানুষের। পুরো বাড়িটা সুসজ্জিত।
বাইরে প্রচুর গার্ডস রয়েছে।
বাসায় ঢুকে রুহি সোফায় বসে পড়ল আর বলল,
আদি উপড়ে জয়ের রুম,তুমি যাও ওকে নিয়ে এসো।
আদি উপড়ে গিয়ে একটা রুমে ঢুকল কিন্তু রুমে কেউ নেই।
আদি রুমটা ভাল করে একবার দেখেই বের হয়ে যেতে লাগল,
পিছন থেকে জয় বলল,আরে আদি তুমি এখানে…???আর এসেছো যখন চলে যাচ্ছ কেন?
আদিঃ আসলে আমি তোমার বাড়িত আমি চিনি না,এই রুমে ঢুকে মনে হল এটা কোন মেয়ের রুম তাই চলে যাচ্ছিলাম।
জয়ঃ অহ তাই বলো, এসো ভিতরে এসো এটা আমারেই রুম ভয় নেই।
আদিঃ তোমার পুরো বাড়িটা এত সুন্দর করে সাজানো কিন্তু তোমার রুম এমন কেন?না আসলে রুম টা সুন্দর কিন্তু দেখে মনেই হচ্ছে না এটা কোন ছেলের রুম।
জয়ঃ হুম ঠিকি বলেছো,পুরো বাড়িটা আমার ইচ্ছা মত সাজানো কিন্তু আমার রুমটা রুহি সাজিয়েছে।বেবিডলের পিংক কালার পছন্দ তাই এই রুমে যা আছে সবি পিংক কালার আর এই যে এত টেডি দেখছো সেগুলোও ওই নিয়ে এসেছে।মেয়ের পছন্দের রুম তো মেয়ের মতই হবে তাই না? বলে হেসে উঠল জয়।
এসব ছাড়ো এখন বল তুমি হঠাৎ এখানে….??? বাসা চিনলে কি করে?
আদিঃআমি একা নই আমরা সবাই এসেছি….
জয়ঃ আরে কি বল? প্রথমবার তোমরা আমার বাসায় এসেছো আর আমি এখানে দাঁড়িয়ে বকবক করছি…. চলো চলো ওদের কাছে যাই।বলেই জয় আদির গলা জড়িয়ে ধরল যেমন টা ২জন ভাল কোনো বন্ধু একাসাথে গেলে, গলাগলি করে যায় তেমন।
২ জনেই হাসতে হাসতে নিচে নামছিল হঠাৎ একটা গুলি ২ জনের মাথা ছুই ছুই করে মাঝখান থেকে বেড়িয়ে পিছনের দেওয়ালে লাগল….
জয় অবাক হয়ে গেল, এখানে,আমার উপড় গুলি ছুড়ার সাহস কার হবে?জয়ের মুখোমুখি হওয়ার সাহস এই এলাকায় কারও নাই তাও আবার নিজের বাড়িতে যেখানে এত এত গার্ডস আছে।
জয় একবার পিছনের দেওয়ালে গুলিটার দিকে তাকিয়ে নিচের দিকে তাকাল,
জয়ঃতাই তো বলি জয়ের উপড় গুলি ছুঁড়ার সাহস কার?
লিজাঃতুমি হঠাৎ শুট করলে কেন রুহি? একটু হলেই তো ২ জনের মধ্যে একজনের জান চলে যেত।
রুহিঃ রুহির হাত এখনো টার্গেট মিস করে না সেটাই দেখালাম। অই তো বলেছিল আমি নাকি ভিতু হয়ে গেছি।শুট করতে পাড়ি না?
আমি ভয় পাই না,আমি ওর বউ হওয়ার যোগ্য সেটার প্রমান দেওয়ার জন্য শুট করলাম
জয়ঃ তা তো বোঝলাম কিন্তু তর বলা শেষের কথাগুলি বোঝলাম না।
রুহিঃ না বোঝার মত কি বল্লাম? আমি তোকে বিয়ে করছি। আপত্তি আছে নাকি?থাকলেও কিছু করার নাই তোর আপত্তি গাহ্য হবে না।আমি সিধান্ত নিয়ে ফেলেছি,তর মতামত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি, তাই নেই নি।
রুহির কথাগুলি শোনার সাথে সাথে আদির ভিতরে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে।তার ভিতরে রক্তক্ষরন শুরু হয়ে গেছে যা কেউ দেখতে পাচ্ছে না শুধু আদিই অনুভব করতে পাড়ছে।
জয়ঃ জ হকুম ম্যাডাম,আপনার মুখের কথা আমার কাছে হকুম স্বরুপ আর এখন ত হুকুম করলেন তাহলে না মানার প্রশ্নই উঠে না।
রুহিঃ হইছে ঢং করতে হবে না। চল এখন, অনেক কাজ বাকি
শপিং করতে হবে সবাইকে ইনভাইট করতে হবে।বাবা মা ফুফিকে জানাতে হবে…….আরও কাজ আছে।
জয়ঃ এত তাড়া কিসের সব হবে তুই চাপ নিস না।
রুহিঃ ওমা এখন না করলে কখন করব?
কাল তো আমাদের এনগেইজমেন্ট।
জয়ঃ ওই মাথা ঠিক আছে?আর এত তাড়াহুড়ো করার কি আছে?
রুহিঃ আমি ফিরে আসার সময়েই প্লেন করে এসেছি,এখানে এসেই বিয়ে করব।
তাই তো এদের সবাইকে নিয়ে এসেছি।
এরা বাসায় কাউকে বলে আসে নি এতক্ষনে সবাই মনে হয় এদের খুঁজে খুঁজে পাগল হয়ে গেছে তাই তাড়াতাড়ি করে বিয়েটা করেই ওদের পাটিয়ে দিতে চাই।
জয়ঃ তুই যেমনটা চাইবি।
আচ্ছা চল শপিং করতে যাই,
আদি একনজরে একটা দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে,
দেয়ালের সবটা জুড়ে জয় আর রুহির ছবি।
ছোট বেলা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সব বয়সের ছবি আছে।
জয় আদির কাছে এসে বলল অবাক হয়ে লাভ নাই ব্রো,এসবি পাগলির কাজ, না হলে ড্রয়িং রুমে কেউ পার্সনাল ছবি রাখে? তাও এতগুলি।ওর কথা হল, সবাইকে জানাতে হবে যে অই জয়ের অত্মা তাই এই ব্যবস্থা।
রুহিঃ কি বললি আমি পাগলি? দাড়া আজ তোর হচ্ছে বলে জয়ের কাছে এগিয়ে আসলো
জয় দৌড়ে গিয়ে লিজার পিছনে লুকাল
জয়ঃ কি হল আমি তোমার ফ্রেন্ড না? বাঁচাও না কেন?
লিজা অবাক হয়ে গেল।
জয়ঃ তারমানে আমাকে তোমার পছন্দ না, তাই তো বাঁচাবে না।
লিজাঃ পছন্দ কেন করব না করি করি অবশ্যই করি দাঁড়ান বলছি।
এতক্ষন জয় লিজাকে রুহির সামনে ধরে ছুটছে আর রুহি জয়কে ধরার চেস্টা করছে সামনে লিজা থাকায় মারতে পারচ্ছে না।
লিজাঃ থাক রুহি ছেড়ে দাও আমি উনার হয়ে সুপারিশ করছি।
রুহিঃ শুধু লিজার জন্য ছেড়ে দিলাম।
জয়ঃ থাংকস লিজা…..
লিজাঃ হুম বোঝছি চলো এখন সবাই যাই।
গাড়িতে বসে বসে আদি ভাবছে ওদের মধ্যে কত ভালবাসা, একে অপরের জন্য মরে যেতেও রাজি,জয়ের মত করে রুহিকে কেউ ভালবাসতে পাড়বে না।
রুহি জয়ের কাছেই ভাল থাকবে।
ওরা যদি পাড়ে ভালবাসার মানুষের জন্য নিজের জীবন দিয়ে দিতে, তাহলে আমি কেন পাড়ব না?আমার উচিত আমার ভালবাসার মানুষটাকে ভাল রাখার জন্য তাকে তার যোগ্য কারো হাতে তুলে দিতে?
আমি পারব….যত কষ্টই হোক পারতে আমাকে হবেই।
জানি না কেন আমি জয়কেউ ভালবেসে ফেলেছি ওর প্রতিটা ব্যবহার দেখে মনে হয় আমি যেন জয়কে কত বছর ধরে চিনি।
আমি রুহি বা জয় কাউকেই কষ্ট দিতে পাড়ব না।
,
,
,
,
চলবে…!!!
#লেডি_ডন
#পার্টঃ১৮
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
সবাই মিলে একটা শপিংমলে গেল।
শপিং মলের সেলস বয়,জয়কে দেখেই ভয় পেয়ে গেল।
সেলস বয়ঃ স্যার আপনি কষ্টকরে আসলেন কেনো বল্লেই তো পাটিয়ে দিতাম পছন্দমত নিয়ে নিতেন।
জয়ঃ আমি কিছু নিব না। ম্যাডাম নিবে ফ্লোর খালি করো, আমরা ওয়েট করছি।সবাই বেড়িয়ে গেলে ঢুকব।
সেলস বয়ঃ জ্বি স্যার।
রুহিঃ সবাইকে বের করে দেওয়ার কি দরকার সবার সাথেই কিনব চল।আমার ভিয়াইপি রুল পছন্দ না জয়।
জয়ঃ আমি জানি সেটা,কিন্তু বেবি এই শহর জানে তুমি আমার আত্মা সে জন্যে আমার শত্রুদের তোমার উপড় নজর আছে তাই আমি রিস্ক নিতে চাই না।
রুহিঃ যতসব….
কিছুক্ষন পর সবাইকে বের হয়ে গেলে জয় সবাইকে মলে ঢুকতে বলল,
জয়ঃযা যা নিবি তাড়াতাড়ি নে এখানে বেশিক্ষন থাকা যাবে না।
রুহিঃ চুপ থাক ফাউল।
জয়ঃ রুহি দাঁতে দাঁত চেপে এটা পাবলিক প্লেস…..
রুহি অভিমানি গলায় বলল আমার বিয়ে জয়….
জয়ঃজ্বি ম্যাম বোঝেছি গান ফুলাতে হবে না যান, আপনার যত সময় লাগে নিয়ে নেন আর যা যা মন চায় কিনেন।
রুহি লিজা আর মনিকে নিয়ে চলে গেল।
জয়,সাওন মাহির আর আদিকে ড্রেস নিতে বলে নিজেই পছন্দ করে দিচ্ছে।
রুহি দূর থেকে বলল কিরে তোদের কি এই জন্য এনেছি নাকি তাড়াতাড়ি এদিকে আয়, কি আর করা সবাই গেল শুধু আদি ছাড়া।
রুহিঃ একটা করে ড্রেস নিচ্ছে আর নিজের উপড় রেখে বলছে এটা কেমন লাগছে?অইডা কেমন লাগছে?যেন সে মডেলিং করতেছে।
জয় হাসতে হাসতে বলল,রুহি এমন করলে সারারাত এখানেই শেষ হয়ে যাবে।তুই এক কাজ কর সবগুলিই নিয়ে নে।
সেলস বয় এসে বলল স্যার কি খাবেন কফি অথবা ক্লোড ড্রিংকস। জয় একটু ভেবে বলল সফট ড্রিংকস নিয়ে এসো।
বয় এসে ড্রিংকস দিয়ে গেল,
জয় নিজের ড্রিংকসটা একটু দূরে রেখে দিল,
রুহি একের পর এক ড্রেস দেখেই চলেছে জয় মনিকে বলল মনি আমার ড্রিংকসটা দাও তো,
মনি এগিয়ে দিতে গেল কিন্তু জয় ইচ্ছা করেই ধরল না সবটা ড্রিংক্স রুহির হাতে থাকা একটা ড্রেসে পড়ল। ড্রেসটা পুরো নস্ট হয়ে গেছে।
সেলস বয় এসে বলল স্যার আমি এখুনি পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
জয়ঃ দাঁড়াও,,,,,ড্রেসটার দাম কত?
বয়ঃ ১৫ হাজার টাকা স্যার।
জয়ঃ হুম, আচ্ছা তোমরা সবাই বলতো ড্রেসটা কে নস্ট করছে আমি রুহি নাকি মনি?
সবাই বলল মনি
জয়ঃ মনি তোমার কি মনে হয়?
মনি মাথা নিচু করে বলল আপনিই ধরতে পাড়েন নি
জয়ঃ সবাই তো বলছে তুমি নস্ট করেছো, তাই যত কিছু কিনা হবে সব বিল আমি দিব শুধু এই ড্রেসটার বিল তুমি দিবে মনিকে ইশারা করে বলল।
মনিঃ সবাই যানো আমি কোন কার্ড আনি নি তাই বিল টা দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।
জয়ঃ ধমক দিয়ে তাহলে রুহির সাথে সেইম কাজ টা কিভাবে করেছিলে? answer me….
মনির ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে।
উপস্তিত সবাই অবাক রুহিও
রুহিঃ জয় কি করছিস?
জয়ঃ রুহি তুই জানিস এই সময় তোর মুখ বন্ধ রাখা উচিত চোখ গরম করে বলল।
রুহি মাথা নিচু করে নিল।
তারপর মিস মনি বলো…..
মনিঃ কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,হ্যা সেদিন আমিই প্লেইট টা ভেংগেছিলাম আর রুহির উপড় দোষ দিয়েছিলাম আমি তার জন্য ক্ষমা চাইছি।
জয়ঃ আর কখনো মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিবা?
মনির প্রায় কাঁদো কাঁদো অবস্থা।
জয়ঃ মনির কাছে এসে বলল আরে বোকা মেয়ে ভয় পাচ্ছো কেন বলেছিলাম না এই মনিকে জয়ের একটু টাইট দিতে হবে সেটাই দিলাম। কিচ্ছু হয় নি প্লিজ be confortable….আমি মজা করছিলাম।
কথাগুলি শুনে মনি আত্মা ফিরে পেল।
জয়ঃএই কে আছো ম্যামের জন্য ড্রিংকস নিয়ে এসো।
এই রুহির বাচ্চা তুই দাঁড়িয়ে আছিস কেন যা কি কি নিবে নিয়ে নে।
সবার জন্য রুহি নিজের পছন্দমত ড্রেস নিল। জয় সব বিল দিল,শপিং শেষে সবাই বের হতে যাবে তখন সবাই খেয়াল করল এখানে আদি নেই।
জয়ঃ কি ব্যাপার আদি কোথায়?
রুহিঃ এখানে আসার পর তো ওকে একবারো দেখি নি এমনকি তুই যখন মনিকে বকা দিচ্ছিলি তখনো না।
জয়ঃ আজিব তো কই চলে গেল এই ছেলেটা?
আদি….. আদি….. আদি…???
are you there….???
বয়ঃ ওই স্যার তো অনেক আগেই বেড়িয়ে গেছেন।
জয়ঃ what?
জয় ফোন হাতে নিয়ে, কল দিল আর বলল হুম পিক সেন্ড করছি ১ ঘন্টার মধ্যে অক্ষত অবস্থায় আমার সামনে চাই না হলে গুলি করে সবগুলির মাথার খুলি উড়িয়ে দিব।
রুহিঃ জয়,কি হবে এখন? ওকে কেউ তুলে নিয়ে গেল না তো?
জয়ঃ কিছু হবে না রুহি তুই শান্ত হ…..কেউ নেয় নি মনে হচ্ছে,ও নিজেই গেছে।
তাড়াতাড়ি চল তোদের বাসায় রেখে আমাকে বের হতে হবে।
বাসায় এসে,
জয়ঃ তোরা সবাই রুমে যা আমি আদি কে নিয়ে আসছি।
মনিঃআমি আদিকে খুজতে যেতে চাই, কথা দিচ্ছি ১ ঘন্টার মধ্যে ফিরে আসব। যদি না ফিরে পালিয়ে যাই বাসায় গিয়ে আমার খুলি উঁড়িয়ে দিও।
জয়ঃ আদি তোমার ফ্রেন্ড তুমাকে আমি না করতে পাড়িনা তবে রাত হয়ে গেছে তুমি এখানের কিছুই চিন না তাহলে আমি যাই তোমার সাথে?
মনিঃ না আমাকে একটা গাড়ি দাও আমি মাহিরকে আর সাওনকে নিয়ে যাচ্ছি।
জয়ঃ ঠিক আছে।
লিজা আমি কেন যেতে পারব না জয় কি আমার কেউ না?
মনিঃলিজা ২ জন মেয়ে গিয়ে কি করব বল?যদি কোনো বিপদে পড়ি সাওন মাহির আমাদের নিয়ে সমস্যায় পড়ে যাবে আর আমি যে আদিকে পাবই তার তো গ্যারান্টি নাই। তুই থাক প্লিজ
,
,
,
,
,
কিছুক্ষন পর মনি একটা জায়গায় পৌছাল চারদিক নিস্তব্ধ আর অন্ধকার ভয়ংকরো বটে।
ফোনের ফ্লেশ অন করে মনি এগিয়ে যেতে লাগল সাথে সাথে মাহির আর সাওন ও
কিছুদুর গিয়ে মনি বলল চুপ দাঁড়া তোরা। আমি যা ভাবছিলাম তাই হয়েছে।
সামনে দেখ….
সাওন আর মাহির সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল,এমন কিছু দেখবে তারা ভাবতে পাড়েনি,
মাহিরঃনা এসব মিথ্যা আমি বিশ্বাস করি না এটা হতেই পাড়ে না
,
,
,
,
,
চলবে…!!!