লেডি_ডন পার্টঃ১২

0
822

লেডি_ডন
পার্টঃ১২
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona

আদিত্য,শাওন,মাহির,মনি ও লিজা সবাই ভাবছে কি ঘটে গেলো কিছুক্ষন আগে….কিভাবে সম্ভব এটা?
এসব নিয়েই তারা আলোচনা করছিলো হঠাৎ করেই বাড়ির সামনে অনেক গুলি কাল গাড়ি এসে থামলো গাড়ি থেকে হুর হুর করে নেমে এলো প্রায় ২,৩ ডজন কালো পোষাক পরিহিত গার্ডস টাইপের লোক,সবার হাতেই ছিল gun (বন্দুক)। ওরা এসে আদিত্য দের ঘিরে ধরল আর কিছু গার্ডস বাসার বাইরে দাঁড়িয়ে বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে আছে যাতে কেউ আক্রমন করতে না পাড়ে।

ঠিক তখনেই একটি luxury গাড়ি এসে থামলো বাসার সামনে,তা থেকে নেমে আসছে একটি অপুর্ব সুন্দরি মেয়ে গায়ে কালো রং এর লেদার জ্যাকেট হাতাগুলি ভাঁজ করে কুনুই পর্যন্ত তুলা,বাম হাতের কুনুই এর ঠিক নিচে আর ঘাড়ের ট্যাটু ২টা আজ স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে তার ফর্সা শরীরে,পায়ে কালো শো,হাতে গ্লাবস,চোখে কালো সান গ্লাস এ যেনো এক অন্যরকম মেয়ে যার পোষাক আষাক এ আছে পাওয়ারের চাপ আর চেহারায় আছে মুগ্ধতা,

মেয়েটা হলো রুহি…!!!

রুহির এই হঠাৎ বদলে যাওয়াটাকে যেনো কেউই সহজ ভাবে নিতে পাড়ছে না….
যে মেয়ে কোনোদিন কারোর মুখের উপড় কথা পর্যন্ত বলে নি, সে মেয়ে আজ বাইরে মারামারি করে এসেছে তাও কোন সাধারন মানুষকে মারে নি
বরং পুলিশদের মেরে এসেছে,
তাতেও রুহির শান্তি হয় নি বাসায় এসে আদিত্যকে থাপ্পড় মেরে আদিত্যের ক্রেডিড কার্ড নিয়ে গেছে আর তা থেকে বেশ মোটা অংকের টাকা তুলে নিয়েছে এরিমধ্যে।

এতদিন রুহি কারো সাথে কখনো গলা উচু করে কথা বলে নি কিন্তু আজ কি হলো তার সবকিছুই কেমন বদলে গেছে পোষাক আষাক, আচারন সবকিছুই বদলে গেছে…

রুহি গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথেই গার্ডসদের দল ২ ভাগে ভাগ হয়ে গিয়ে মাঝখানে রাস্তা করে দিলো,

আদিত্য,মাহির,সাওন,মনি,লিজা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রুহির দিকে।

রুহি দেখতে সুন্দরী হলেও এত ফর্সা ছিল না আজ হঠাৎ করে ফর্সা হয়ে গেছে এর রহস্য কি?
,
,
,
রুহি এসে গার্ডসদের বলল সবাইকে নিয়ে যেতে। সবাইকে নিয়ে প্লেনে তুলা হল।প্রায় ৩ ঘন্টা পর
রুহির প্রাইভেট জেট টি ল্যান্ড করতেই কিছু লোক এসে রুহি আর সবাইকে অভিন্দন জানালো।
সারি সারি লাক্সারি কার দাঁড়িয়েছিল রুহি কে বাড়ি পৌছে দেওয়ার জন্য।

রুহি ধমক দিয়ে বলল আমি এত বিলাশিতা পছন্দ করি না জানো না?

গার্ডসঃ ম্যাম,জয় স্যার বলেছেন আপনার যদি একটুও অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের সবাইকে গুলি করে মারবেন তাই এই ব্যবস্থা।

রুহিঃ হুম বোঝলাম কিন্তু এই কয়েকজনের জন্য এত গুলি কার নিয়ে রোড ব্লক করে যাওয়ার মানেই হয় না।
সবাইকে নিয়ে একটা গাড়িতে যাও বাকিগুলি এখানেই থাক আর আমার বাইক কোথায়?চাবি দাও।
একজন গার্ডস এসে চাবি দিল আর বলল ম্যাম সিকিউরিটির জন্য আজ অন্তত যদি গাড়িতে যেতেন অথবা সাথে যদি কাওকে….

রুহিঃ হা হা হা….. রুহি এতদিন লুকিয়ে ছিল মানে এই না যে সে দুর্বল হয়ে গেছে….

কতদিন নিজের শহরকে দেখি নি গাড়িতে গেলে কি করে হবে।
ওদের সাবধানে নিয়ে যাও কারো গায়ে যেন একটা আছরও না লাগে।
বলে রুহি আদির হাত ধরে টানতে টানতে বাইকের কাছে নিয়ে গিয়ে বলল পিছনে বসো শহরটা দেখতে দেখতে বাসায় যাই।
রুহি একজনের হাত থেকে একটা রিভেলবার নিয়ে আদির হাতে দিয়ে বলল এটা নাও,
আদি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে সে।
আরে আমাকে মারতে দেই নি।রাস্তায় দরকার হতে পাড়ে এটা সবসময় নিজের সাথে রাখবা আর এটা তোমার শহর না তাই এত বোঝে চলার দরকার নাই কিছু এদিক ওদিক দেখলেই গুলি চালাবে।কে মারা গেল আর কি হয়ে গেল এসব ভাবার দরকার নাই।
আদির মনে হচ্ছে সে যেন স্বপ্নে আছে,
কি হচ্ছে কিছুই বোঝতে পাড়ছে না।
আদি বাধ্য ছেলের মত রুহির পিছনে বসলো।

সাওন,মাহির,লিজা,মনি সবাই রুহির দিকে তাকিয়ে আছে।ওদের চোখের পলক পড়ার আগেই রুহির বাইক যেন উধাও হয়ে গেল।

সাওন, মাহির,লিজা মনি একে অপরের মুখ দেখছে আরে ম্যাজিকের মত ওরা কোথায় ভেলিস হয়ে গেল?
একজন গার্ড বলল এসব ভেবে লাভ নাই স্যার, ম্যাডাম এভাবেই ড্রাইভ করেন।জয় স্যার ম্যাডামকে ফুল স্পীডে ড্রাইভ করা শিখিয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয় হল এত স্পীডে ড্রাইভ করেও উনি বা জয় স্যার কেউই কখনো এক্সিডেন্ট করেন না।

এসব না ভেবে আপনারা এখন চলুন।তা না হলে ম্যাডাম রাগ করবেন হয়ত রাগে আমাদের গুলি করে দিবেন।
আসলে ম্যাডামের বরাবরেই মুখ চলে কম, হাত চলে বেশি….উনি অনেক ভাল মনের মানুষ হলেও নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারেন না।
,
,
,
চলবে….!!!
[আগামি পর্বে নতুন হিরো (জয়ের) এন্ট্রি হবে যে আগে থাকেই রুহির জীবনে ছিল]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here