লেডি_ডন
পার্টঃ১৮
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
সবাই মিলে একটা শপিংমলে গেল।
শপিং মলের সেলস বয়,জয়কে দেখেই ভয় পেয়ে গেল।
সেলস বয়ঃ স্যার আপনি কষ্টকরে আসলেন কেনো বল্লেই তো পাটিয়ে দিতাম পছন্দমত নিয়ে নিতেন।
জয়ঃ আমি কিছু নিব না। ম্যাডাম নিবে ফ্লোর খালি করো, আমরা ওয়েট করছি।সবাই বেড়িয়ে গেলে ঢুকব।
সেলস বয়ঃ জ্বি স্যার।
রুহিঃ সবাইকে বের করে দেওয়ার কি দরকার সবার সাথেই কিনব চল।আমার ভিয়াইপি রুল পছন্দ না জয়।
জয়ঃ আমি জানি সেটা,কিন্তু বেবি এই শহর জানে তুমি আমার আত্মা সে জন্যে আমার শত্রুদের তোমার উপড় নজর আছে তাই আমি রিস্ক নিতে চাই না।
রুহিঃ যতসব….
কিছুক্ষন পর সবাইকে বের হয়ে গেলে জয় সবাইকে মলে ঢুকতে বলল,
জয়ঃযা যা নিবি তাড়াতাড়ি নে এখানে বেশিক্ষন থাকা যাবে না।
রুহিঃ চুপ থাক ফাউল।
জয়ঃ রুহি দাঁতে দাঁত চেপে এটা পাবলিক প্লেস…..
রুহি অভিমানি গলায় বলল আমার বিয়ে জয়….
জয়ঃজ্বি ম্যাম বোঝেছি গান ফুলাতে হবে না যান, আপনার যত সময় লাগে নিয়ে নেন আর যা যা মন চায় কিনেন।
রুহি লিজা আর মনিকে নিয়ে চলে গেল।
জয়,সাওন মাহির আর আদিকে ড্রেস নিতে বলে নিজেই পছন্দ করে দিচ্ছে।
রুহি দূর থেকে বলল কিরে তোদের কি এই জন্য এনেছি নাকি তাড়াতাড়ি এদিকে আয়, কি আর করা সবাই গেল শুধু আদি ছাড়া।
রুহিঃ একটা করে ড্রেস নিচ্ছে আর নিজের উপড় রেখে বলছে এটা কেমন লাগছে?অইডা কেমন লাগছে?যেন সে মডেলিং করতেছে।
জয় হাসতে হাসতে বলল,রুহি এমন করলে সারারাত এখানেই শেষ হয়ে যাবে।তুই এক কাজ কর সবগুলিই নিয়ে নে।
সেলস বয় এসে বলল স্যার কি খাবেন কফি অথবা ক্লোড ড্রিংকস। জয় একটু ভেবে বলল সফট ড্রিংকস নিয়ে এসো।
বয় এসে ড্রিংকস দিয়ে গেল,
জয় নিজের ড্রিংকসটা একটু দূরে রেখে দিল,
রুহি একের পর এক ড্রেস দেখেই চলেছে জয় মনিকে বলল মনি আমার ড্রিংকসটা দাও তো,
মনি এগিয়ে দিতে গেল কিন্তু জয় ইচ্ছা করেই ধরল না সবটা ড্রিংক্স রুহির হাতে থাকা একটা ড্রেসে পড়ল। ড্রেসটা পুরো নস্ট হয়ে গেছে।
সেলস বয় এসে বলল স্যার আমি এখুনি পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
জয়ঃ দাঁড়াও,,,,,ড্রেসটার দাম কত?
বয়ঃ ১৫ হাজার টাকা স্যার।
জয়ঃ হুম, আচ্ছা তোমরা সবাই বলতো ড্রেসটা কে নস্ট করছে আমি রুহি নাকি মনি?
সবাই বলল মনি
জয়ঃ মনি তোমার কি মনে হয়?
মনি মাথা নিচু করে বলল আপনিই ধরতে পাড়েন নি
জয়ঃ সবাই তো বলছে তুমি নস্ট করেছো, তাই যত কিছু কিনা হবে সব বিল আমি দিব শুধু এই ড্রেসটার বিল তুমি দিবে মনিকে ইশারা করে বলল।
মনিঃ সবাই যানো আমি কোন কার্ড আনি নি তাই বিল টা দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।
জয়ঃ ধমক দিয়ে তাহলে রুহির সাথে সেইম কাজ টা কিভাবে করেছিলে? answer me….
মনির ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে।
উপস্তিত সবাই অবাক রুহিও
রুহিঃ জয় কি করছিস?
জয়ঃ রুহি তুই জানিস এই সময় তোর মুখ বন্ধ রাখা উচিত চোখ গরম করে বলল।
রুহি মাথা নিচু করে নিল।
তারপর মিস মনি বলো…..
মনিঃ কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,হ্যা সেদিন আমিই প্লেইট টা ভেংগেছিলাম আর রুহির উপড় দোষ দিয়েছিলাম আমি তার জন্য ক্ষমা চাইছি।
জয়ঃ আর কখনো মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিবা?
মনির প্রায় কাঁদো কাঁদো অবস্থা।
জয়ঃ মনির কাছে এসে বলল আরে বোকা মেয়ে ভয় পাচ্ছো কেন বলেছিলাম না এই মনিকে জয়ের একটু টাইট দিতে হবে সেটাই দিলাম। কিচ্ছু হয় নি প্লিজ be confortable….আমি মজা করছিলাম।
কথাগুলি শুনে মনি আত্মা ফিরে পেল।
জয়ঃএই কে আছো ম্যামের জন্য ড্রিংকস নিয়ে এসো।
এই রুহির বাচ্চা তুই দাঁড়িয়ে আছিস কেন যা কি কি নিবে নিয়ে নে।
সবার জন্য রুহি নিজের পছন্দমত ড্রেস নিল। জয় সব বিল দিল,শপিং শেষে সবাই বের হতে যাবে তখন সবাই খেয়াল করল এখানে আদি নেই।
জয়ঃ কি ব্যাপার আদি কোথায়?
রুহিঃ এখানে আসার পর তো ওকে একবারো দেখি নি এমনকি তুই যখন মনিকে বকা দিচ্ছিলি তখনো না।
জয়ঃ আজিব তো কই চলে গেল এই ছেলেটা?
আদি….. আদি….. আদি…???
are you there….???
বয়ঃ ওই স্যার তো অনেক আগেই বেড়িয়ে গেছেন।
জয়ঃ what?
জয় ফোন হাতে নিয়ে, কল দিল আর বলল হুম পিক সেন্ড করছি ১ ঘন্টার মধ্যে অক্ষত অবস্থায় আমার সামনে চাই না হলে গুলি করে সবগুলির মাথার খুলি উড়িয়ে দিব।
রুহিঃ জয়,কি হবে এখন? ওকে কেউ তুলে নিয়ে গেল না তো?
জয়ঃ কিছু হবে না রুহি তুই শান্ত হ…..কেউ নেয় নি মনে হচ্ছে,ও নিজেই গেছে।
তাড়াতাড়ি চল তোদের বাসায় রেখে আমাকে বের হতে হবে।
বাসায় এসে,
জয়ঃ তোরা সবাই রুমে যা আমি আদি কে নিয়ে আসছি।
মনিঃআমি আদিকে খুজতে যেতে চাই, কথা দিচ্ছি ১ ঘন্টার মধ্যে ফিরে আসব। যদি না ফিরে পালিয়ে যাই বাসায় গিয়ে আমার খুলি উঁড়িয়ে দিও।
জয়ঃ আদি তোমার ফ্রেন্ড তুমাকে আমি না করতে পাড়িনা তবে রাত হয়ে গেছে তুমি এখানের কিছুই চিন না তাহলে আমি যাই তোমার সাথে?
মনিঃ না আমাকে একটা গাড়ি দাও আমি মাহিরকে আর সাওনকে নিয়ে যাচ্ছি।
জয়ঃ ঠিক আছে।
লিজা আমি কেন যেতে পারব না জয় কি আমার কেউ না?
মনিঃলিজা ২ জন মেয়ে গিয়ে কি করব বল?যদি কোনো বিপদে পড়ি সাওন মাহির আমাদের নিয়ে সমস্যায় পড়ে যাবে আর আমি যে আদিকে পাবই তার তো গ্যারান্টি নাই। তুই থাক প্লিজ
,
,
,
,
,
কিছুক্ষন পর মনি একটা জায়গায় পৌছাল চারদিক নিস্তব্ধ আর অন্ধকার ভয়ংকরো বটে।
ফোনের ফ্লেশ অন করে মনি এগিয়ে যেতে লাগল সাথে সাথে মাহির আর সাওন ও
কিছুদুর গিয়ে মনি বলল চুপ দাঁড়া তোরা। আমি যা ভাবছিলাম তাই হয়েছে।
সামনে দেখ….
সাওন আর মাহির সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল,এমন কিছু দেখবে তারা ভাবতে পাড়েনি,
মাহিরঃনা এসব মিথ্যা আমি বিশ্বাস করি না এটা হতেই পাড়ে না
,
,
,
,
,
চলবে…!!!