লেডি_ডন
পার্টঃ২০
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
মনি আদি কে খুঁজে পেলেও জয় বা রুহি কেউ তা জানে না।
জয় আদিকে পাগলের মত খুঁজতেছে।
এদিকে জয় রুহিকে বাসায় রেখে আসলেও। রুহি জয়ের নিষধ মানে নি। জয় বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই রুহিও বেরিয়ে গেছে আদিকে খুঁজতে।
রুহির কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না যে আদি নিজে নিজে কোথাও যেতে পাড়ে।ওর বিশ্বাস আদিকে কেউ তুলে নিয়ে গেছে কারন আদিত এখানে কিছুই চিনে না আর আদির কাছে কোনো টাকা বা ফোন নাই।
,
,
,
,
,
এখন ঘড়িতে রাত ১ টা বাজে সবাই বাসায় চলে এসেছে,আদি মাহির সাওন এমনকি জয় ও
কিন্তু রুহি নাই। রুহি সেই যে বের হয়েছিল এখুনো আসে নি।
জয় সব গার্ডসদের বকাবকি করছে কেন রুহিকে বের হতে দিল সে জন্য।
জয় রাগ কন্ট্রোল করার জন্য তার সামনে থাকা প্রতিটা জিনিস একটার পর একটা ছুড়ে ছুড়ে ফ্লোরে ফেলে দিচ্ছে
জয়ঃ আমি নিজে ওকে বাসায় দিয়ে যাওয়ার পড়েও ওর সাহস কি করে হয় বাইরে যাওয়ার?এই মেয়েটাকে মানুষ করতে পাড়লাম না আফসোস।
সবার টেনশান হচ্ছে
সেই মুহূর্তে রুহির এন্ট্রি হল,রুহিকে দেখে মনে হচ্ছে না এটা কোনো মেয়ে পুরো মাফিয়াদের মত ড্রেস পড়েছে রুহি।
বাসায় এসে বাসার এই অবস্থা আর আদিকে দেখে অবাক হল,
জয় রুহিকে দেখল কিন্তু কিছুই বলল না যেন স্টেচো হয়ে গেছে।
রুহিঃ পরিবেশ গম্ভির হওয়া মানে ঝড়ের পুর্বাভাস….
লিজাঃ তুমি কোথায় চলে গেছিলে তোমার টেনশানে আমাদের জান যায় যায় অবস্থা।
রুহি জয়ের দিকে আড় চোখে দেখে বলল কোথাও নাত আমিত ব্যাস এখানেই ছিলাম।
জয় উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল এখন এটা বলিস না যে তুই এই ড্রেসে ফুল তুলতে গেছিলি।
কাকে মেরে এসেছিস এক্ষুনি বল কোনো আবল তাবল কথা শুনতে চাই না।
রুহিঃএখন কি করব সত্যি বল্লে নিশ্চিত গিলে খাবে মিথ্যা বল্লেও ধরা পড়ব।ন্যাকা কান্না ছাড়া কোন উপায় নাই।
আ আ আ….. তুই আমাকে বকা দিলি জয়….???
জয়ঃ হাহহহ খোদা এই মেয়ে জয়ের সাথে গেম খেলতে চায়…??? ওর চালাকি আমি বুঝতে পাড়ব না এটাও ভাবতে পাড়ে (মনে মনে)
বোঝেছি আচ্ছা থাক বকা দিব না যা রুমে যা।
রুহিঃ বেঁচে গেছি বুঝে নাই বোকা কোথাকার মনে মনে
জয়ঃ সেটা আমি না তুই…
রুহিঃ আমি কি কিছু বলছি নাকি?
জয়ঃ আমি স্পষ্টই শুনতে পাড়ছি তুই মনে মনে কি বলছিস।
আর আমি জানি তুই কাউকে না কাউকে হসপিটালে রেখে এসেছিস কিন্তু আমি তোকে বলেছিলাম আদিকে কেউ নেয় নি ওই নিজে গেছে,শোনিস নি আমার কথা বেচারারা হুদাই মার খেল।
রুহিঃ খেল ত খেল তোর কি? তোকে ত আর মারি নি….
জয়ঃ এই তো স্বীকার করলি এবার সবটা বলে ফেল
রুহিঃ দূর কি করলাম এটা? এখন কি বলব…..কথা ঘুরাতে হবে মনে মনে….
জানিস জয় আমাদের না কাল বিয়ে,
জয়ঃ কিসের মধ্যে কি?
রুহিঃ শোন তর ফালতু কথা শুনার আর বলার সময় আমার নাই। আমার অনেক কাজ আছে
জয়ঃ তাই নাকি? তা কি করবি তুই এখন?
রুহিঃ তোরা বস আমি সেজেগুজে আসছি আমি কাল কি পড়ব সেটা ঠিক করে দিবি তো নাকি? তারপর প্রপোজ করা প্রেকটিস করতে হবে আরও কত কাজ।তোরা থাক আমি আসছি।বলেই দৌড়
জয়ঃ বড়সর কোনো ঝামেলা করে এসেছে নিশ্চিত এখন কথা ঘুড়াতে চাচ্ছে।ফোন হাতে নিয়ে হুম কিছু কি হয়েছে?
ওপাশ থেকে কেও বলল স্যার আপনি জানেন না?
রুহি ম্যাডাম বেহানকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে বেহানের লোকেরা রুহি ম্যাম কে হন্নে হয়ে খুঁজছে।
জয়ঃ হুম বোঝেছি।আচ্ছা রাখছি বলে ফোন কাটল।
সব শান্ত ছিল রুহির সেটা ভাল লাগল না এখন বিয়ের দিকে মন দিব নাকি বেহানকে আটকাব?
এরিমধ্যে রুহি সেজেগুজে হাজির কেমন লাগছে আমায়?
লিজাঃ বাহ খুব সুন্দর বাকি দের মুখে কোন কথা নাই একেক জনের একক কারনে মন খারাপ।
রুহিঃ সবার মুখ দেখেত তা মনে হচ্ছে না। যে ভাল লাগছে
জয় রুহির কাছে এসে বলল বেহানকে কেন মারলি?
রুহিঃআমি ভেবেছিলাম বেহান আদিকে নিয়ে গেছে তাই।তুই বল আমি যদি হারিয়ে যেতাম তুই তোর শত্রু কে মারতি না?
রুহি সবসময় সব করা যায় না একা গিয়ে তুই বেহানকে মারলি তোর যদি কিছু হয়ে যেত
যদি হয়েই যেত তাহলে এতদিন কি শিখালি? ছাড়তো এসব চল বাবা মার কাছে যাই বিয়ের কথা বলতে হবে।
জয়ঃ শান্ত গলায় হুম চল।
রুহিঃ বাবা আসব?
রুহির বাবাঃ কোথায় ছিলে এতক্ষন টেনশানে ফেলে দিয়েছিলে।
রুহিঃ এখানেই ছিলাম বাবা এসব বাদ দাও। একটা কথা বলার জন্য এসেছিলাম
রুহির মাঃ এত জিজ্ঞাস করার কি আছে বলে ফেল।
রুহিঃ জয়কে উদ্দেশ্য করে বলল কি রে বল।
জয়ঃ আমি বলব?
রুহিঃ তো কে বলবে
জয়ঃ তুই বলনা
রুহিঃ আমি পারব না তুই বল
রুহির বাবাঃ আরে কি সমস্যা বল তো
জয়ঃ মামা আমরা বিয়ে করছি।
রুহির বাবা আকাশ থেকে পড়ল খুশিও হল।
এতদিন তো এটাই চাইছিলা তোরাই রাজি ছিলি না।
রুহিঃ হুম বাবা কাল সন্ধ্যায় পার্টি তুমি সবাইকে ইনভাইট করে দাও।
বললে রুহি আর জয় চলে গেল।
জয়ঃআচ্ছা আমি এখন যাই সকালে আসব বলে জয় চলে গেল
রুহিঃ আচ্ছা লিজা শোনো ৬ টায় যদি পার্টি হয় এখন ৩ টা বাজে তারমানে আজকেই আমার বিয়ে তাহলে আমার উচিত এখব মেহেদি পড়া তাইনা?
লিজাঃ হ্যা পড়তেই পাড়ো
রুহি ৩ টা মেহেদি নিয়ে এসে আদি সাওন আর মাহির হাতে দিয়ে দিল
আদিঃ এগুলা দিয়ে আমরা কি করব?
রুহিঃ পড়িয়ে দিবে বলে আদির দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।
মাহির,সাওন লিজা আর মনি কে পড়িয়ে দিবে আর তুমি আমাকে বন্ধুতো এইটুকু করতে পাড়ে।
জয় থাকলে অবশ্য ওই পড়িয়ে দিত।
আদিঃআমি এসব পাড়ি না রুহি….
পাড়ো না তো শিখে নাও আমাকে দিয়ে শুরু করো পড়ে নিজের বউ কে লাগিয়ে দিও।বেশি সময় নেই তাড়াতাড়ি লাগিয়ে দাও তো।
আদি বাধ্য হয়ে মেহেদী পড়িয়ে দিতে লাগল
আদিঃ কি ভাগ্য আমার…. যাকে নিজের বউ ভেবেছিলাম আজ থাকে অন্য কারোর বউ করে দেওয়ার জন্য নিজেই মেহেদী পড়িয়ে দিচ্ছি…..
,
,
,
,
চলবে….!!!