#লেডি_ডন পার্টঃ৩
#writer: Snigda Hossain Mona
আদিত্যঃ মেলা শেষ হোক তারপর আদিত্য চৌধুরীর সাথে বেয়াদবি করার মজা বোঝাব।
,
,
,
,
দেখতে দেখতে মেলা প্রায় শেষ,
শেষ দিন আদিত্য পিছন থেকে শুনছে রুহি আর তার বাবার কথোপোকথন।
আহসান সাহেব এসে রুহির বাবাকে বল্লেন তিনি যেনো রুহিকে বলেন তাদের অফিসে চাকরি করতে,
রুহির বাবা খুব খুশি হল,
তিনি বল্লেন কিন্তু স্যার রুহিকি যদি আপনি একবার বলতেন।
ঠিক আছে আমি গিয়ে রুহিকে বলছি (আহসান সাহেব)
আহসান সাহেবঃ রুহি তুই কাল থেকে অফিসে আসবি মা,আমি তোর কোন কথা শুনতে চাই না। তুই আর কোন অমত করিস না।
রুহিঃ কিন্তু স্যার আমার কোন প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট তো নাই তাহলে….
আহসান সাহেব রুহির কথায় তেমন মনযোগ দিল না কারন তিনি চায় যে করেই হোক রুহিকে তার অফিসে কাজে নিতে।তোর কিছু লাগবে না তুই কাল থেকে জয়েন করছিস এটাই ফাইনাল।
আদিত্য এসব শুনছিল এতক্ষন ধরে
আদিত্যঃওহ বাপ্পি তুমি কত ভাল,আমার প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যবস্থা তুমি নিজেই করে দিলে, এত মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।
ফুলটুসি এবার দেখি তোমার (শয়তানি হাসি দিয়ে)
পরদিন সকালে,
আদিত্যঃমা খেতে দাও
আদিত্যের মা বাবা ২ জনেই অবাক হয়ে বল্লেন এত সকালে তুই….???
আদিত্যঃ ভুত দেখার মত চমকে ওঠার কিছু নেই আমি আজ থেকে অফিস জয়েন করছি বলেই খেতে শুরু করলো আদিত্য।
আহসান সাহেব যেনো আকাশ থেকে পড়ল যে ছেলে কোনদিন অফিস এর রাস্তা পর্যন্ত মারায় নি আজ সে অফিসে জয়েন করবে বলছে তাও নিজের ইচ্ছায়।
আদিত্যের মাঃ দেখছো আমি বলেছিলাম না আমাদের ছেলে একদিন ঠিক সব দায়িত্ব নিবে আমার কথা মিলে গেল, ঠিক আছে বাবা তুই যা।
আদিত্যের বাবাঃকিন্তু….
আদিত্যের মাঃ কোনো কিন্তু নয় ও আজ থে অফিসে যাবে এটাই শেষ কথা।
আদিত্যের বাবাঃ ছেলে যখন বলেছে, ঠিক আছে কি আর করার।ও তাহলে আজ থেকে অফিসে বসবে আমি না হয় কারখানার দিক টা দেখব।
খাওয়া শেষ করে ২ জনেই অফিসে গেল আহসান সাহেব অফিসের সবার সাথে আদির পরিচয় করিয়ে দিলেন,কিন্তু আদির চোখ সবার মাঝে অন্য কাউকে খুজছে।যদিও সে তাকে সহ্য করতে পারে না তবুও আপাদত তার কেন্দ্রবিন্দু সেই মানুষটাই সেটা ভাল বা খারাপ উদ্দেশ্যে, যে কারনেই হোক।
আদিঃসবার সাথেই তো কথা হল কিন্তু ফুলটুসি কোথায় যার জন্য আমার এখানে আসা।
আজ রুহির প্রথম দিন তাই রুহির বাবারো আসতে একটু দেরি হয়েছে।
কিছুক্ষন পর,
দরজায় কেউ নক করলো
May i come in sir?
Yes come in,বলে,আদি তাকিয়ে দেখে
রুহি আর রুহির বাবা দাড়িঁয়ে আছে।
রুহির বাবাঃ ছোট সাহেব আপনি এখানে?
আদিঃআরে আংকেল তুমি দেখছি একদম পাল্টে গেছো ছোট বেলার কথা কিছুই মনে নেই নাকি তোমার?তোমার সাথে কত খেলেছি।আর তুমি এখন আমাকে ছোট সাহেব বলছো?
রুহির বাবাঃ হেসে বল্লেন না বাবা ভুলি কিন্তু এখন তো তুমি বড় হয়েছো তাই….
আদিঃ ছাড়ো তো এসব আমাকে তুমি আদি বলেই ডাকবে, আমি আজকেই অফিসে জয়েন করেছি আর বাবা কারখানায় বসবেন,তোমার জন্য আরো একটা গুড নিউজ আছে তুমি আজ থেকে আর কর্মচারী নও কারখানার ম্যানেজার।
খুব ভদ্রতার সাথে কথা বলছে আদি,যেন এই আদি আর আদিত্য চৌধুরীর মধ্যে অনেক তফাত।
রুহি এতক্ষন দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে ওদের কথা শুনছিল আর ভাবছিল, এত ভাল ব্যবহার….!!! বাবার সাথে কত ভাল ভাবে কথা বলছেন উনি তাহলে কি আমিই সেদিন ভুল বোঝেছিলাম?
রুহির ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে রুহির বাবা বল্লেন এই হলো আমাদের ছোট সাহেব….. কথা শেষ হওয়ার আগেই আদি থামিয়ে দিল,উফ আংকেল আমি আদি ছোট সাহেব নই,
আচ্ছা আচ্ছা বাবা ভুল হয়েছে হেসে হেসে বলল।
রুহির বাবা জানত না যে রুহি আর আদির আগে থেকেই পরিচয় আছে।
আদিঃআচ্ছা আংকেল তুমি এখন কারখানায় যাও বাবা অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।বাকি পরিচয় আমি নিজেই দিয়ে দিব কেমন।
রুহির বাবা আচ্ছা বলে রুহির কাছে বিদায় নিল।
রুহির বাবা যাওয়ার সাথে সাথেই আদি দরজা লক করে দিল,
রুহিঃ একি আপনি দরজা বন্ধ করছেন কেন?
আদিঃ এমা পরিচয় দিব না?
রুহিঃ মানে কি?
আদি এসে রুহির চুলের মুটি ধরে বললো আমি আদিত্য চৌধুরী আর আদি কখনো কারোর ঋন রাখে না তাহলে তোর টা রাখি কি করে বল?
রুহি অবাক হয়ে বলল তারমানে এতক্ষন আপনি অভিনয় করছিলেন?
আদি রুহির চুলের মুটে আরো জুড়ে চেপে ধরে বললো আদি জানে কার সাথে কি কেমন ব্যবহার করতে হয় আংকেল ভালো তাই তার সাথে ভাল ব্যবহার আর তোর সাথে এমন ব্যবহার।
রুহিঃ আহ ছাড়ুন, আমার লাগছে….
আদিঃ তাতে আমার কি,তুই মরলেই বরং আমার ভাল লাগবে আর ভাল করে শোন, আজ থেকে তর জীবনের মালিক আমি,অফিস টাইমে তুই আমার পিএ, আর অন্য সময় তুই আমার…..বাকি টা আর না বলি, এখন থেকে আমার কথায় উঠবি আর আমার কথায় বসবি।আমার কথা বোঝেছিস তুই?
রুহিঃ চাকরি করলে ত (মনে মনে)
আদিঃ আজেবাজে ভাবনা বাদ দে এখন,
আমি জানি তুই কি ভাবছিস চাকরিটা করবি না এই তো?
সে ব্যবস্থাও আমার করা আছে, তুই চাকরি না করলে আংকেলের চাকরিটাও থাকবে না, আর আংকেলের চাকরি না থাকলে তদের সংসারের কি অবস্থা হবে তুই ভাল করেই জানিস।
আর একটা কথা তোর সাথে এখানে কি কি হচ্ছে যদি বাইরে গিয়ে বলিস তাহলে হঠাৎ করেই শুনবি কারখানার কোন যন্ত্রের চাপায় পড়ে আংকেল উপড়ে চলে গেছেন….
না…..কি বলছেন,চুপ করুন আপনি…. আর শুনতে চাই না।ছি আপনি এত খারাপ(রুহি)
আদি রুহির চুল ছেড়ে দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বলল খারাপ কই দেখলে গো ফুলটুসি,এখনো ত কিছুই দেখাই নি,আস্তে আস্তে দেখাবো…..
রুহিঃ কই এসে পড়লাম,দুনিয়ায় এত মানুষ থাকতে এসে এই জানিয়ারটার কাছেই এসে পড়লাম এখন আমি কি করব? (মনে মনে)
চলবে….!!!