লেডি_ডন পার্টঃ৩,৪

0
1050

লেডি_ডন
পার্টঃ৩,৪
writer: Snigda Hossain Mona

আদিত্যঃ মেলা শেষ হোক তারপর আদিত্য চৌধুরীর সাথে বেয়াদবি করার মজা বোঝাব।
,
,
দেখতে দেখতে মেলা প্রায় শেষ,
শেষ দিন আদিত্য পিছন থেকে শুনছে রুহি আর তার বাবার কথোপোকথন।

আহসান সাহেব এসে রুহির বাবাকে বল্লেন তিনি যেনো রুহিকে বলেন তাদের অফিসে চাকরি করতে,
রুহির বাবা খুব খুশি হল,
তিনি বল্লেন কিন্তু স্যার রুহিকি যদি আপনি একবার বলতেন।
ঠিক আছে আমি গিয়ে রুহিকে বলছি (আহসান সাহেব)
আহসান সাহেবঃ রুহি তুই কাল থেকে অফিসে আসবি মা,আমি তোর কোন কথা শুনতে চাই না। তুই আর কোন অমত করিস না।

রুহিঃ কিন্তু স্যার আমার কোন প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট তো নাই তাহলে….
আহসান সাহেব রুহির কথায় তেমন মনযোগ দিল না কারন তিনি চায় যে করেই হোক রুহিকে তার অফিসে কাজে নিতে।তোর কিছু লাগবে না তুই কাল থেকে জয়েন করছিস এটাই ফাইনাল।

আদিত্য এসব শুনছিল এতক্ষন ধরে

আদিত্যঃওহ বাপ্পি তুমি কত ভাল,আমার প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যবস্থা তুমি নিজেই করে দিলে, এত মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।
ফুলটুসি এবার দেখি তোমার (শয়তানি হাসি দিয়ে)

পরদিন সকালে,
আদিত্যঃমা খেতে দাও
আদিত্যের মা বাবা ২ জনেই অবাক হয়ে বল্লেন এত সকালে তুই….???

আদিত্যঃ ভুত দেখার মত চমকে ওঠার কিছু নেই আমি আজ থেকে অফিস জয়েন করছি বলেই খেতে শুরু করলো আদিত্য।

আহসান সাহেব যেনো আকাশ থেকে পড়ল যে ছেলে কোনদিন অফিস এর রাস্তা পর্যন্ত মারায় নি আজ সে অফিসে জয়েন করবে বলছে তাও নিজের ইচ্ছায়।

আদিত্যের মাঃ দেখছো আমি বলেছিলাম না আমাদের ছেলে একদিন ঠিক সব দায়িত্ব নিবে আমার কথা মিলে গেল, ঠিক আছে বাবা তুই যা।

আদিত্যের বাবাঃকিন্তু….

আদিত্যের মাঃ কোনো কিন্তু নয় ও আজ থে অফিসে যাবে এটাই শেষ কথা।

আদিত্যের বাবাঃ ছেলে যখন বলেছে, ঠিক আছে কি আর করার।ও তাহলে আজ থেকে অফিসে বসবে আমি না হয় কারখানার দিক টা দেখব।

খাওয়া শেষ করে ২ জনেই অফিসে গেল আহসান সাহেব অফিসের সবার সাথে আদির পরিচয় করিয়ে দিলেন,কিন্তু আদির চোখ সবার মাঝে অন্য কাউকে খুজছে।যদিও সে তাকে সহ্য করতে পারে না তবুও আপাদত তার কেন্দ্রবিন্দু সেই মানুষটাই সেটা ভাল বা খারাপ উদ্দেশ্যে, যে কারনেই হোক।

আদিঃসবার সাথেই তো কথা হল কিন্তু ফুলটুসি কোথায় যার জন্য আমার এখানে আসা।
আজ রুহির প্রথম দিন তাই রুহির বাবারো আসতে একটু দেরি হয়েছে।
কিছুক্ষন পর,
দরজায় কেউ নক করলো
May i come in sir?

Yes come in,বলে,আদি তাকিয়ে দেখে
রুহি আর রুহির বাবা দাড়িঁয়ে আছে।

রুহির বাবাঃ ছোট সাহেব আপনি এখানে?

আদিঃআরে আংকেল তুমি দেখছি একদম পাল্টে গেছো ছোট বেলার কথা কিছুই মনে নেই নাকি তোমার?তোমার সাথে কত খেলেছি।আর তুমি এখন আমাকে ছোট সাহেব বলছো?

রুহির বাবাঃ হেসে বল্লেন না বাবা ভুলি কিন্তু এখন তো তুমি বড় হয়েছো তাই….

আদিঃ ছাড়ো তো এসব আমাকে তুমি আদি বলেই ডাকবে, আমি আজকেই অফিসে জয়েন করেছি আর বাবা কারখানায় বসবেন,তোমার জন্য আরো একটা গুড নিউজ আছে তুমি আজ থেকে আর কর্মচারী নও কারখানার ম্যানেজার।

খুব ভদ্রতার সাথে কথা বলছে আদি,যেন এই আদি আর আদিত্য চৌধুরীর মধ্যে অনেক তফাত।

রুহি এতক্ষন দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে ওদের কথা শুনছিল আর ভাবছিল, এত ভাল ব্যবহার….!!! বাবার সাথে কত ভাল ভাবে কথা বলছেন উনি তাহলে কি আমিই সেদিন ভুল বোঝেছিলাম?

রুহির ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে রুহির বাবা বল্লেন এই হলো আমাদের ছোট সাহেব….. কথা শেষ হওয়ার আগেই আদি থামিয়ে দিল,উফ আংকেল আমি আদি ছোট সাহেব নই,
আচ্ছা আচ্ছা বাবা ভুল হয়েছে হেসে হেসে বলল।

রুহির বাবা জানত না যে রুহি আর আদির আগে থেকেই পরিচয় আছে।

আদিঃআচ্ছা আংকেল তুমি এখন কারখানায় যাও বাবা অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।বাকি পরিচয় আমি নিজেই দিয়ে দিব কেমন।

রুহির বাবা আচ্ছা বলে রুহির কাছে বিদায় নিল।
রুহির বাবা যাওয়ার সাথে সাথেই আদি দরজা লক করে দিল,
রুহিঃ একি আপনি দরজা বন্ধ করছেন কেন?

আদিঃ এমা পরিচয় দিব না?

রুহিঃ মানে কি?

আদি এসে রুহির চুলের মুটি ধরে বললো আমি আদিত্য চৌধুরী আর আদি কখনো কারোর ঋন রাখে না তাহলে তোর টা রাখি কি করে বল?

রুহি অবাক হয়ে বলল তারমানে এতক্ষন আপনি অভিনয় করছিলেন?

আদি রুহির চুলের মুটে আরো জুড়ে চেপে ধরে বললো আদি জানে কার সাথে কি কেমন ব্যবহার করতে হয় আংকেল ভালো তাই তার সাথে ভাল ব্যবহার আর তোর সাথে এমন ব্যবহার।

রুহিঃ আহ ছাড়ুন, আমার লাগছে….

আদিঃ তাতে আমার কি,তুই মরলেই বরং আমার ভাল লাগবে আর ভাল করে শোন, আজ থেকে তর জীবনের মালিক আমি,অফিস টাইমে তুই আমার পিএ, আর অন্য সময় তুই আমার…..বাকি টা আর না বলি, এখন থেকে আমার কথায় উঠবি আর আমার কথায় বসবি।আমার কথা বোঝেছিস তুই?

রুহিঃ চাকরি করলে ত (মনে মনে)

আদিঃ আজেবাজে ভাবনা বাদ দে এখন,

আমি জানি তুই কি ভাবছিস চাকরিটা করবি না এই তো?
সে ব্যবস্থাও আমার করা আছে, তুই চাকরি না করলে আংকেলের চাকরিটাও থাকবে না, আর আংকেলের চাকরি না থাকলে তদের সংসারের কি অবস্থা হবে তুই ভাল করেই জানিস।

আর একটা কথা তোর সাথে এখানে কি কি হচ্ছে যদি বাইরে গিয়ে বলিস তাহলে হঠাৎ করেই শুনবি কারখানার কোন যন্ত্রের চাপায় পড়ে আংকেল উপড়ে চলে গেছেন….

না…..কি বলছেন,চুপ করুন আপনি…. আর শুনতে চাই না।ছি আপনি এত খারাপ(রুহি)

আদি রুহির চুল ছেড়ে দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বলল খারাপ কই দেখলে গো ফুলটুসি,এখনো ত কিছুই দেখাই নি,আস্তে আস্তে দেখাবো…..

রুহিঃ কই এসে পড়লাম,দুনিয়ায় এত মানুষ থাকতে এসে এই জানিয়ারটার কাছেই এসে পড়লাম এখন আমি কি করব? (মনে মনে)
চলবে….!!!

#লেডি_ডন
#পার্টঃ৪
#writer:গাজি স্নিগ্ধা হোসেন
আজ আদি আর রুহি ২ জনের এই অফিসে প্রথম দিন….
আদির মন আজ খুব খুশি সে রুহির উপড় শোধ নেওয়া শুরু করতে পেড়েছে তাই…

কিন্তু বেচারি রুহির অবস্থা খুব খারাপ।
যদিও সে সব কাজে বেশ পটু তারপরেও আদির আদেশ পালন করতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে রুহি…
সকাল থেকে আদি রুহিকে ১ মিনিটও বসার সুযোগ দেয় নি কখনো বলতাছে এর কাছ থেকে ফাইল নিয়ে আসো আবার কখনো বলতাছে ওকে গিয়ে ফাইল দিয়ে আসো।
মুলত কারন ছাড়াই ঘোরাইতেছে রুহিকে।
লাঞ্চ করার সময় পর্যন্ত দেয় নি রুহিকে।
,
,
,
রুহি কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছে তবুও আদির পাশে দাড়িয়ে আছে কারন ওর ডেস্ক কোনটা আদি সেটাও রুহিকে বলে নি।

আদি বলল যাও এই ফাইল টা লিজাকে দিয়ে আসো,
আচ্ছা বলে লিজার ডেস্কে গিয়ে ফাইল টা দিয়ে যখন ফিরে আসছিল তখনি ঘড়ির কাঁটায় ৫ টা বাজল,

রুহিঃ যাক বাবা ছুটি হয়েছে,তাই রুহি আর আদির রুমে না গিয়ে অফিস থেকে বাড়িয়ে গেল।

এদেকি আদি রুহির নাম ধরে চেচাঁচ্ছে
দারোয়ান এসে বলল ম্যাডাম তো চলে গেছেন স্যার,
আদিঃ এই মেয়ের সাহস কি করে হয় আমাকে না বলে অফিস থেকে চলে যায়?এর ফল তো তুমাকে ভোগ করতেই হবে ফুলটুসি এসব ভাবতে ভাবতেই আদিও অফিস থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল।

রুহি একরাশ ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখে তার বাবা হাতে মিষ্টি আর কতগুলি ব্যাগ হাতে নিয়ে বসে আছে,সাথে নুরা আর তার মাও আছে
রুহিকে দেখেই তার বাবা বলতে লাগলেন আয় মা আয় মিষ্টি মুখ কর।
জানিস,আদি বাবার আদেশই আমাকে ম্যানেজার করা হয়েছে আর আমার কাজও অনেক কমে গেছে আমাকে আলাদা রুম দেওয়া হয়েছে, জানিস মা আজ আমি খুব খুশি….

রুহিঃ তোমাকে অফিস থেকে সরানোর জন্যই শয়তানটা এসব করছে ( মনে মনে)

নুরাঃ কিরে তুই কি ভাবছিস? বাবা আমাদের সবার জন্য জামা কাপড় এনেছে দেখবি চল।

রুহিঃ জোর করে মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল হুম চল।
সবার খুশি দেখে আদির সম্পর্কে আর কিছু বলল না।নিজের জামা নিয়ে রুমে গেল রুহি, নুরাও গেল সবাই আজ খুব খুশি।

রাতে সবাই খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়ল।
সকালে মায়ের ডাকে রুহির ঘুম ভাংল।

মাঃ সেই কখন থেকে ডাকছি তোর তো উঠার নামেই নাই জানিস কয়টা বাজে? ৯ টা বেজে গেছে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে খেতে আয়।অফিসের কথা কি ভুলে গেছিস নাকি? যেতে যেতে ত দেরি হয়ে যাবে।

রুহিঃ সর্বনাশ ৯ টা বেজে গেছে…!!! তুমি যাও মা আমি এখুনি আসছি ( কাল এত খাটাখাটির জন্য রুহি ক্লান্ত হয়ে গেছিল তাই দেড়ি হয়ে গেছে ঘুম থেকে উঠতে)
রুহি কালকে বাবার আনা জামাটা পড়েছে
নীল রং এর একটা জামা চোখে গাঢ় কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপষ্টিক পড়েছে,দেড়ি হয়ে গেছে তাই না খেয়েই বেরিয়ে গেল রুহি।
অফিসে যেতে যেতে ১০.৩০ বেজে গেছে,

রুহি অফিসে ডুকে দেখে আদি সবার সাথে দাঁড়িয়ে, কোন একটা কনফারেন্সে এর ব্যাপারে কথা বলছে,
রুহি ডুকতেই সবার চোখ রুহির উপড় আটকে গেল রুহিকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে দেখতে,
আদির চোখও আটকে গেছে আদি যেন কিছুতেই রুহির থেকে চোখ সরাতে পাড়ছে না।
আদি কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে রুহিকে উদ্দেশ্য করে বলল,
আদিঃ তা ম্যাডাম আপনি কি মডেল নাকি? আর অফিসটাকে কি আপনার র‍্যাম্প মনে হচ্ছে যে নিজের মন মত সময়ে সাজগুজ করে র‍্যাম্প সো করতে এসেছেন?

আদির কথায় সবাই অবাক হয়ে গেল। কেউ কেউ হেসে দিয়েছে কিন্তু রুহি ততটাও সাজে নি তবুও কিছু মেয়ের রুহিকে প্রথমেই পছন্দ হয় নি কারন রুহি কারো সাথে কথা বলার সুযোগ পায় নি তাই ওরা রুহিকে অহংকারি ভেবেছে তাই সুযোগ পেয়েই অপমান করার জন্য হেসে দিয়েছে।

আদির কথা শুনে আর সবার হাসি দেখে রুহির মাথা লজ্জায় নিচু হয়ে গেছে আর চোখের পানি যেন কোন সংকেত না দিয়েই চোখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে।
আদিঃ সবাই সবার কাজে যান…
সবাই চলে গেল,আদি বলল ন্যাকামি শেষ হলে আপনিও রুমে চলেন।

রুহির কিছু করার নাই বাধ্য হয়ে আদির সাথে রুমে গেল,রুহির জন্য আদির রুমেই একপাশে একটা ডেস্ক রাখা হয়েছে আদির আদেশেই।

আজ থেকে এখানেই বসবা তুমি এখন যাও ফ্রেশ হয়ে এসো ফ্রেশ মানে বোঝেছো তো?

রুহিঃ ফ্রেশ এর আবার কোন মানে হয় নাকি চোখ মুছতে মুছতে…
আদি একটানে রুহিকে কাছে এনে বলে,
হুম হয়…. আমি ফ্রেশ বলতে এই গুলা মুছে আসতে বলছি রুহির ঠোঁটে হাত বুলাতে বুলাতে বলল।
আর কখনো যেন না দেখি তুমি সেজেছো।নিজের অজান্তেই কথা গুলি বলে ফেলছে আদি।

রুহি আদিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বলল,আজব তো আমি কি করব,কি না করব সব কি আপনাকে বলে করতে হবে নাকি?

আদি চেয়ারে বসে পড়ল আর বলল ছেলেদের আকর্ষন করার বেশি ইচ্ছা থাকলে বাজারে নাম লিখালেই তো পারো অফিসে কি দরকার নিজের ভ্রু এর উপড় হাত বুলাতে বুলাতে বেখায়ালি ভাবে কথাটা বলল আদি।

কথাটা শুনে রুহির ইচ্ছা করছে আদিকে একটা থাপ্পড় দিতে, কিন্তু একটা থাপ্পড় দিয়ে তার এই অবস্থা,নিজের অবস্থা আর খারাপ করতে চায় না সে।
তাই আর কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে গেল আর নিজের সব সাজ মুছে বাইরে আসলো।
এসে নিজের ডেস্কে কাজে ব্যস্ত হয়ে গেল,
আদিও কাজে ব্যস্ত যদিও আদি কাজ করার জন্য আফিসে আসেনি তবুও দায়িত্ব যখন নিছে তাই মন দিয়েই কাজ করছে।
দেখতে দেখতে লাঞ্চ এর সময় হয়ে গেল,
সবাই খেতে চলে গেছে কিন্তু আদি রুহিকে যেতে বলে নি,অনেক্ষন পর রুহি আদির কাছে গিয়ে বলল,
রুহিঃ স্যার আমি বাইরে থেকে খেয়ে আসি?

আদিঃ ল্যাপটপ থেকে মুখ ঘুড়িয়ে বলল কি?

মানে স্যার আমি একটু খেয়ে আসি?(রুহি)

আদি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল লাঞ্চের আর ৫ মিনিট আছে। ধরো নামতে ২ মিনিট উঠতে ২ মিনিট আর ১ মিনিটে খাইতে পারবা?
আদির কথা শুনে রুহি অবাক হয়ে আদির দিকে তাকিয়ে আছে..
আদিঃ তাকিয়ে থাকার কিছু নাই ৫ মিনেট দৌড়াদৌড়ি না করে যাও ডেস্কে বসে রেস্ট নাও।

রুহি সকালেও খায়নি ওর ক্ষুদা পেয়েছে কিন্তু কিছু করার নাই,
ঠিক আছে স্যার আমি একটু বেলকনি থেকে আসছি বলে রুহি রুমের বাইরে গেল।
রুহি বাইরে যেতেই কয়েকজন কলিগ এসে বলতে লাগল বাহ তুমি তো বেশ চালাক এসেই স্যারকে হাত করে ফেলছো…
রুহিঃ কি বলছেন এসব স্যারকে হাত করছি মানে?
আরে আরে আমরা বোঝি স্যারকে তো তুমি এক মুর্হুতের জন্যও একা ছাড় না তার উপড় উনার রুমেই নিজের ডেস্ক নিয়েছোএসবের মানে আমরা বোঝি বলেই হাসতে লাগল,
আদি সিসি টিভিতে সব দেখছিল,
দেখছে আর হাসছে,
বোকা হাদারাম বলছিলাম বাইরে না যাইতে শুনল না এবার কাঁদতে কাঁদতে ফিরতে হবে, বাচারি….

রুহি এসব শুনে আর সহ্য করতে না পেরে রুমে এসে ডেস্কে মুখ গুঁজে কাঁদতে লাগল,

রুহিঃ সবাই আমাকে ভাবেটা কি?আমি এতই খারাপ? কেউ বলে বাজারের মেয়ে কেউ বলে স্যারকে হাত করেছি? সবার উপর ঠাডা পড়ুক
উম উম উমমমম…. ফুপিয়ে ফুপিয়ে কথা গুলি বলছে রুহি….
আদি দেখছে আর হাসছে,
এর মধ্যেই রুহির ফোন টা বেজে উঠল, রুহি ফোনটা আদির টেবিলে রেখে বাইরে গেছিল,
রুহি কান্নায় ব্যাস্ত তাই ফোনের শব্দ তার কানে পৌছায় নি।
আদিঃ না এখন ওকে ফোনটা দেওয়া যাবে না রাগের মাথায় কি থেকে কি বলে ফেলবে।আবার না ধরলেও ত হবে না বিশেষ কোন দরকার হলে,
আচ্ছা আমি রিসিভ করে বলি পড়ে কল করতে বলে আদি ফোন টা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে একজন বলে উঠল রুহি তুই খেয়েছিস সকালে ত না খেয়েই চলে গেলি তাই খোজ নেওয়ার জন্যই….
কথা শেষ হওয়ার আগেই
টুট টুট টুট….
ফোনটা কেটে যায় নি আদি কেটে দিয়েছে
উফফ কি যে করে এই মেয়েটা সকালে যে খায় নি বলবে না?
আদি রুহির কাছে গিয়ে দাঁড়ালো….
রুহি তখনো কাঁদছে
আদিঃমানুষের কথায় কান দিতে নেই ম্যাডাম তাতে নিজের কানের ই ক্ষতি হয়।
রুহি মুখ তুলে আদির দিকে তাকাল

আদিঃ দেখো তুমি দেখতে কত সুন্দর এখন যদি তোমার কান খারাপ হয়ে যায় তোমাকে কেউ বিয়ে করবে? করবে নাত তাহলে তোমার কি হবে বলতো?
রুহিঃ অবাক…..
আদিঃইস সুন্দর বলছি কেন এখন তো সুন্দর ও নাই,না খেতে পেয়ে মুখটা চুপসে গেছে তার উপড় চোখ গুলি কেঁদে কেঁদে ফুলিয়ে ফেলছো।
চলো চলো বলে রুহির হাত ধরল আদি,

রুহিঃ হাত টা ছাড়ুন সবাই খারাপ ভাব্বে….

আদিঃঠিক আছে তাহলে নিজেই চলো….

রুহিঃ কোথায় যাব?

আদিঃআমার মান সম্মান বাঁচাতে…

রুহিঃ মানে কি?

আদিঃআরে মানে হল আমার পিএ এত খারাপ দেখতে হলে লোকে কি বলবে বলোত?আমার মান সম্মানের সব শেষ হয়ে যাবে… চল তোমাকে ঠিক করে নিয়ে আসি।
রুহিকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আদি ওকে ঘর থেকে বের করে দেয়।একটু পর নিজেও বাইরে এসে হাঁটতে লাগল আর ফিসফিস করে বলল, এখন যদি আমার সাথে তাল না মিলাও তাহলে টেনেহিছড়ে নিয়ে যাব সবাই তখন খুব বাজে কথা বলবে বোঝেছো।
রুহিঃ বাধ্য মেয়ের মত আদির পিছন পিছন যেতে লাগল

চলবে….!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here