লেডি_ডন পার্টঃ৭

0
811

লেডি_ডন
পার্টঃ৭
#লেখিকাঃ গাজি স্নিগ্ধা হোসেন

আজ বেশ কিছুদিন হয়ে গেছে রুহি চাকরি ছেড়ে চলে গেছে,আদির তাতে অনেক খারাপ লেগেছে কিন্তু খারাপের চেয়ে আদির রাগই বেশি হয়ছে। তার জেদের কাছে খারাপ লাগাটা হার মেনেছে,তাই সে রুহিকে আটকানোর চেস্টা করে নি,চলে যাওয়ার পর একবারো রুহির খোঁজও নেয় নি।
যেহেতু আদির বাবা আদিকে সব দায়িত্ব বোঝিয়ে দিয়েছেন আর আদিও যেহতু তার বাবা মা কে কথা দিয়েছে, তাই সে অফিস ছাড়তে পাড়ে নি। আদির বাবা আদির উপ সব সব দায়িত্ব দিয়ে আদির মা কে নিয়ে দেশের বাইরে বেড়াতে গেছেন।

কিন্তু এদিকে রুহির বাড়িতে ঘটল এক দুর্ঘটনা রুহির বাবা হঠাৎ করেই স্টোক করেছে।
(না না এর মধ্যে আদির কোন হাত নাই আদি)
রুহি আর তার পরিবার সবাই মিলে তাকে হসপিটালে নিয়ে এসেছে।
ডাক্তার বলেছে ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হবে অনেক টাকা প্রোয়োজন। রুহির পরিবারে রুহির বাবাই একমাত্র উপার্জনকারী।কি হবে এখন?
বাধ্য হয়েই রুহি আদির অফিসে গেল যদিও যে আদির কাছে যায়নি গিয়েছিল আদির বাবার কাছে কিন্তু তিনি দেশে না থাকায় আদির কাছে যেতে হয়েছে।

রুহিঃ আসতে পাড়ি?

আদিঃ বিরক্ত হয়ে বলল yes come in.

রুহিঃ আসলে স্যার আমার বাবা খুব অসুস্থ তাকে বাঁচানোর জন্য বেশ কিছু টাকা প্রয়োজন…

আদিঃ অন্য দিকে তাকিয়ে বলল তো আমি কি করতে পাড়ি?
রুহিঃ বাবা তো এই অফিসেই কাজ করতেন…

আদিঃতার জন্য কি তাকে বেতন দেওয়া হয়নি?এটা কোন লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি না।

রুহিঃ দয়া করুন স্যার….আপনি সাহার্য্য না করলে বাবা কে বাঁচাতে পাড়ব না।

আদিঃ আমার এত অপ্রয়োজনিয় টাকা নাই যে শুধু শুধু দান করতে যাব।

রুহিঃ দান করতে হবে না স্যার,আমাকে চাকরি দিন, আমি কাজ করে সব শোধ করে দিব।

আদিঃ চাকরি কি মগের মুল্লক নাকি যে তোমার যখন ইচ্ছা হবে ছেড়ে দিবে আবার যখন ইচ্ছা চাকরিতে ডুকে যাবে। চাকরিটা ত তুমি নিজেই ছেড়েছিলে তাই না?

রুহিঃ আর এমন হবে না স্যার,বিশ্বাস করুন আপনি যা করতে বলবেন তাই করব, তবুও আমাকে কিছু টাকা দিন।

আদিঃ হা হা উচ্চ স্বরে হেসে বলল তোকে করবো বিশ্বাস?অসম্ভব…..

যদি কাগজে কলমে লিখে দিস আগামি এক বছর তুই আমার কথা মত চলিবি তবেই টাকা দিব।

রুহিঃঠিক আছে স্যার আমি তাতে রাজি।

আদিঃ বোঝে বলছো?

রুহিঃ আমার কপালে দুঃখ আছে জানি কিন্ত আমার টাকা দরকার তাই রাজি হতেই হবে (মনে মনে)
আদিঃরাজি না থাকলে সময় নস্ট না করে যেতে পারো
রুহিঃ আমি রাজি স্যার।

আদিঃ গুড তাহলে কাল অফিসে চলে আসো। আর আংকেল কোন হসপিটালে আছে বলে যাও চিকিৎসা সহ আগামি একবছর তাদের ভাল থাকার দায়িত্ব আমি নিলাম।টাকা সময় মত পৌছে যাবে।
রুহিঃ আমার আজকেই টাকা লাগবে।

আদিঃ তুমি হসপিটালে পৌছার আগেই টাকা পৌছে যাবে।তুমি এখন আসতে পাড়ো।আর একটা কথা কাল অফিসে আসার সময় সবাই কে বলে এসো কাল থেকে তুমি আর রাতে বাসায় ফিরবে না।

রুহিঃ তার মানে কি?চোখ বড় বড় করে রুহি বলল, ছি আপনি এত নিচ?

আদি রুহির গালে ঠাস করে থাপ্পড় দিয়ে বলল আমাকে এত খারাপ ভাবার সাহস হয় কি করে?
আমার যদি খারাপ ইচ্ছা থাকত,তাহলে তোকে এত টাকা দিয়ে কিনতাম না।এর চেয়ে অনেক কম টাকায় তোর চেয়ে সুন্দরী call girl পাওয়া যায় বোঝলি।
তোকে আমি ঘিন্না করি আর তার কারন টা তুই জানিস। কাল থেকে তর জীবন টা নরক হয়ে যাবে সেই শর্তেই তুই টাকা নিয়ে যাচ্ছিস কথাটা মাথায় রাখিস।

রুহি মাথা নিচু করে বলল কিন্তু বাড়িতে কি বলব?

আদিঃ সেটা আমি বোঝে নিব।

তাহলে ঠিক আছে বলে মাথা নিচু করে রুহি চলে গেল।
,
,
,
কিছুক্ষন পড়,হসপিটালে আদি নিজেই আসল।
নুরা আদিকে দেখেই চিনতে পাড়লো।
নুরাঃ স্যার আপনি…???

আদিঃ হ্যা আংকেল কে দেখতে আসলাম,আন্টি আমায় চিনতে পেড়েছো?

রুহির মাঃ হ্যা বাবা তুমি আদি না? ছোটবেলা কত এসেছো আমাদের বাড়ি।তারপর পড়াশুনার জন্য বিদেশে চলে গেলে তারপর আর দেখা হয় নি।

আদিঃ জ্বি আন্টি গত বছরেই ফিরে এসেছি।

রুহিঃ একটা মানুষের কয়টা রুপ থাকতে পাড়ে? সবার সামনে কত ভাল একজন মানুষ কিন্তু ভিতরে তো একটা অমানুষ।দূর থেকে আদিকে দেখছে আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এগুলা ভাবছে রুহি।

আদিঃ একটা চেক দিল। আন্টি এটা রাখো।
আমি হাসপাতলের সব বিল দিয়ে এসেছি।

রুহির মা আদিকে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল বাবা তুই আরো বড় হ।

আদিঃআমার জন্য দোয়া করো আন্টি।আর শোনো, বাবা মা দেশে নাই থাকলে অবশ্যই আসত।তারা তোমাদের কথা বার বার জিজ্ঞাস করছিল,যেকোনো দরকারে আমাকে অবশ্যই বলবা।
,
,
,
আমি এখন তাহলে যাই আন্ট,বলে উঠে দাঁড়াল আদি, তারপর আবার বলল আন্টি,মা তো বাসায় না রুহি যদি আমাকে একটু রান্না করে দেয় তুমি কি কিছু মনে করবে।

রুহির মা রুহির দিকে তাকিয়ে বলল রুহি যদি রাজি থাকে তাহলে আমি কিছু মনে করব কেন?
বিষয় রুহির ইচ্ছা না তুমি আমায় বিশ্বাস করো ত?
আচ্ছা বোঝিয়ে বলছি।
আদি আবার রুহির মার সাথে বসল তারপর বলল রুহি তুমি একটু বাইরে যাও আন্টির সাথে আমার কথা আছে…..
রুহিঃ ঢং দেখে বাঁচি না।আমি আপনাদের কথা শুনছি না।
আদিঃ তোমাকে যেতে বলছি না? (ধমক দিয়ে)
রুহি মুখ ভেংচি দিয়ে বাইরে চলে গেল।

আদি রুহির মার সাথে অনেকক্ষন কথা বলে বাইরে আসল।বাইরে রুহির সাথে দেখা হল,
তাহলে কাল দেখা হচ্ছে মিস…..
বলে চলে গেল।
,
,
,
চলবে….!!!
গল্পটা ১০ পার্টে শেষ হবে না মনে হচ্ছে।

(আজ আরো একটা পার্ট দিব।দেড়ি করার জন্য দুঃখিত)

আগের পর্বের লিংক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=444661109518977&id=213666762618414

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here