লেডি_ডন
সিজনঃ২
শেষ_পার্ট
লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
জয় রুহিকে নিয়ে বাড়ি ফিরে অবাক হয়ে গেল,
কারন জয়ের বাড়িতে বেহান,মনি,সাওন,মাহির
সবাই আছে।
জয়ঃ তোমরা সবাই একসাথে তাও এতদিন পর…….?
সাওনঃ এতদিন রুহির কথাতেই যোগাযোগ রাখতে পাড়ি নি আর আজ সেই রুহির অনুরোধেই এখানে আসা।
রুহিঃ হ্যা জয় আমি জানতাম এই খেলায় আমারেই জিত হবে তাই সেই খুশিতে রাতে পার্টি দিয়েছি।আর সেখানেই আমি আমার বিয়ের কথাটা বলে দিব কারন অনেকেই আমার বিয়ের ব্যাপারে জানে না।কিন্তু আমার বাচ্চার বাবার পরিচয় দরকার তাই আজ আমি সবার সামনে আমার বাচ্চার বাবার পরিচয় দিব।
জয়ঃ হুম রুহি ঠিক বলেছিস।সেটাই ভাল হবে। আমিও এটা নিয়ে টেনশান এ ছিলাম।
রুহিঃআচ্ছা সবাই তো জার্নি করে এসেছো যাও বিশ্রাম নাও আমিও একটু বিশ্রাম নিয়ে নেই,এই
বলে রুহি ঘরে চলে গেল।
জয় আরে তোমরা কোথায় যাচ্ছ চল আগে গল্প করে নেই রুহির শরীর খারাপ লাগছে ওকে যেতে দাও।
বলে জয় সবার সাথে গল্পে মেতে উঠল।
কিছুক্ষন পর সবাইকে নিজেদের ঘরে দিয়ে জয়, রুহির ঘরে গেল।
জয়ঃ কাঁদুনি রানী কান্না শেষ হয়েছে?
রুহিঃচমকে উঠে তাড়াতাড়ি চোখ মুছতে মুছতে বলল কিসের কান্না শরির টা ভাল লাগছিল না তাই।
জয়ঃ হুম থাক আমাকে বলতে হবে না।
রুহিঃ জানিস জয় তুই আমাকে অনেক বুঝিস।
জয়ঃ যে যার সাথে থাকে, তার সাথে চলতে চলতে তাকে বুঝে যায় এটা বিশাল কিছু না।
রুহিঃ হুম তা ঠিক।
জয় আমি আদিদের বাড়িতে ফিরে যাব।
জয়ঃ কেন রুহি? এখানেই,আমার কাছেই থাক।
রুহিঃ নারে সমাজ এটা মেনে নিবে না।
জয়ঃ জীবন তো একটাই তাই না? আর সেই জীবনটা নিজের সমাজের না। সমাজের জন্য সারাজীবন কষ্টে কাটিয়ে দিলে কি ভালভাবে জীবন কাটানোর জন্য কি আরো একটা জীবন পাবি?
রুহিঃ দেখ আমার বাচ্চা যখন বড় হবে তখন সে আমাকে কি ভাব্বে? কোন সন্তানই মায়ের এমন জীবন দেখতে যায় না।লোকে ওকে হাজার টা কথা শুনাবে।
জয়ঃ আমি বেঁচে থাকতে রুহির বাচ্চাকে কেউ কথা শুনাবে বিষয় টা হাস্যকর না?
রুহিঃ তুই কত জনের মুখ বন্ধ করবি?
জয়ঃ বোঝেছি…..ঠিকি তো,তোর জিবন, তুই ই সিধান্ত নিবি আমি কিছু বলার কে? কবে যাচ্ছিস তাহলে?আজকেই তাই না,মাহিরদের সাথে? এই জন্যেই ওদের এনেছিস তাই তো?
ভাল খুব ভাল। সিধান্ত যখন নিয়েছিস আমাকে বলছিস কেন চলে যা।
রুহিকে কিছু বলার সু্যোগ না দিয়েই জয় বেরিয়ে গেল।
,
,
,
,
,
রাতের পার্টিতে লোকজন আসা শুরু করেছে। আজ শহরের প্রায় সবাইকে বেশ ভালভাবে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে আর আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।তাই প্রায় অনেকেই সময়ের আগেই চলে আসছে।কিন্তু যার বাড়িতে পার্টি সেই নেই।
মানে আশেপাশে কোথাও জয় নেই।
রুহি বেশ সাজগোজ করেছে,কিন্তু জয়কে খোঁজতে খোঁজতে মেকাপের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
অনেক্ষন খোঁজতে খোঁজতে জয়কে গেস্টরুমে পাওয়া গেল।
রুহি রেগেমেগে আগুন হয়ে আছে।
রুহিঃ অই ফাউল তুই এখানে কি করছিস?
জয়ঃ ঘুমোচ্ছি..
রুহিঃ ঘুমের মধ্যে উত্তর দেওয়া যায়?
জয়ঃ হ্যা যায় তোর কোন সমস্যা?
রুহিঃ তুই কি উঠবি নাকি পানি ঢালব?
জয়ঃ যা মন চায় করতে থাক।
রুহি ওয়াশরুম থেকে এক মগ পানি এনে জয়ের গায়ে ঢেলে দিল
জয়ঃ এই এটা কি করলি?
রুহিঃ যাক বাবা তোই ত পারমিশন দিলি তাই না?
জয়ঃ হুম পানি ঢালা শেষ এবার যা তো এখান থেকে। বিরক্ত করিস না ভাল লাগছে না।
রুহিঃ তুই এখনো উঠবি না?
জয়ঃ না,,,, তুই এক্ষনি বিদায় হ….
রুহিঃ ভিজে গেছিস তো।
জয়ঃ তাতে তোর কি?
রুহি অভিমানি কন্ঠে বলল আদি আমার সাথে এমন করত না জয়,
এত বুদ্ধি কই রাখে এই মেয়েটা কিভাবে কাকে কাবু করতে সব আগেই জেনে বসে আছে(মনে মনে)
জয় এবার বিছানা ছেড়ে উঠে রুহির দিকে তাকাল।বোঝল রুহির মন খারাপ হয়েছে। উফফ কই নিজে রাগ করলাম এখন ম্যাডামের রাগ ভাংগাতে হবে।
জয়ঃ হি হি হি….. কি সেজেছিস এগুলা?
রুহিঃ কেন কি হয়েছে?
জয়ঃ কিছুটা পেত্নি আর কিছুটা শাকচুন্নির মত লাগছে।
রুহিঃ তবে রে হারামি দাড়া তোর হচ্ছে।
জয়ঃ থাক থাক মারামারি করতে হবে না এত ভারি ড্রেস পড়ে জার্নি করিস না রুহি কষ্ট হবে।
রুহিঃ সেসব তোর না ভাবলেও হবে এবার আয় তো।
জয়ঃ আমি যাব না কোথাও তুই যা
রুহিঃ তোকে কোথাও যেতে বলি নি এদিকে আসতে বলেছি,এই নে আমার মেকাপ ঠিক করে দে আর শাড়িটাও ঠিক করে দে।
জয়ঃ তোর মাথার তার কি হিজিবিজি লেগে গেছে নাকি?আমি পড়াব শাড়ি আবার মেকাপ?
রুহিঃ আচ্ছা দিবি না যখন শাড়িটা খোলে বাইরে চলে যাই বলে রুহি শাড়ি খোলার জন্য শাড়িতে হাত দিল আর কিছুটা খুলেও ফেলল।
জয়, দৌড়ে এসে রুহিকে আটকে দিয়ে বলল কি করছিস রুহি? সবকিছুতেই জেদ তাই না। জীবনে শুনেছিস ছেলেরা শাড়ি পড়াতে পাড়ে?
রুহিঃ হ্যা পাড়ে, আদি তো আমায় পড়িয়ে দিত।
এবার জয়ের মুখে আর কথা নেই
জয়ঃফাযিল মেয়ে, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক দিচ্ছি।
যা জিদ করবে করিয়েই ছাড়বে কি ডেঞ্জেরাস মেয়েরে বাবা।
রুহিঃ কিছু বলছিস?
জয়ঃ না মানে মানে কই নাতো বলছি যে আপনাকে কত সুন্দর লাগছে।
রুহিঃ একটু আগেই তো বললি পেত্নির মত লাগছে
জয়ঃ আমি এসব বলছি,প্রশ্নই উঠে না।
জয় কিছুক্ষন চেস্টা করার পরেও শাড়িটাকে সেট করতে পাড়ল না।
জয় ভয়ে ভয়ে বলল একটা কথা বলি রুহি…..
রুহিঃ হ্যা বল
জয়ঃ আমি না এটা কিছুতেই ঠিক করতে পাড়ছি না।
রুহিঃ জীবনে পেড়েছিলি টা কি শুনি? যা সর আমি রেডি হয়ে আসছি।
জয়ঃ আরে কি করছিস এই অবস্থায় বাইরে যাস না।
রুহিঃ কেন কি হয়েছে?
জয়ঃ তোর শাড়ি আর চেহারার যে অবস্থা লোকে দেখে ভাব্বে আমরা এখানে…..
রুহিঃ আমরা এখানে কি…..???
জয়ঃ কিছুনা তুই দাঁড়া আমি কাউকে পাটাচ্ছি বলেই জয় দৌড়।
রুহি, পিছন থেকে বলল ৫ মিনিটের মধ্যে তোকে রেডি দেখতে চাই।
জয় যেতে যেতে বলল আবার জিগায় ২ মিনিটে হয়ে যাব।
রুহিঃ এতক্ষন তো রাগ দেখাচ্ছিলি এখন রাগ কই গেল? আর যাই হোক রুহির সাথে তুই রাগ করে থাকতে পাড়বি না ফাউল।
কিছুক্ষন পর জয় পার্লারের একটা মেয়েকে দিয়ে একটা নতুন বার্বি গাউন পাঠাল রুহির জন্য।
মেয়েটাঃ আসব ম্যাম….
রুহিঃ হুম এসো।
মেয়েটা রুহিকে ড্রেস টা দিল।
রুহিঃ কার এটা? আমি কি করব এটা দিয়ে?
মেয়েটাঃ স্যার বললেন শাড়ি নাকি খুব ঝামেলার ড্রেস আপনি ক্যারি করতে পাড়বেন না এটা পড়ার জন্য বলল।
রুহিঃ পাগল একটা….আচ্ছা দাও বলে রুহি পড়ে নিল মেয়েটা রুহিকে সাজিয়ে দিল।
কিছুক্ষন পর রুহি পার্টিতে আসল মনি গিয়ে রুহিকে এগিয়ে আনল।মাহির সাওন জয় সবাই রুহির পাশে দাঁড়াল
রুহি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল আমি সবার সামনে কিছু বলতে চাই।
জয়ের খারাপ লাগছে কারন রুহি এগুলো বলার পড়েই এখান থেকে চলে যাবে।
,
,
,
সবার দৃষ্টি যখন রুহির দিকে তখন রুহি জয়ের সামনে বসে জয়ের হাত ধরে বলল
জয়,তোর ঘরটা আবার টেডি দিয়ে সাজাবি?
দেয়াল ভর্তি ছবি দিয়ে উদ্ভট ভাবে ড্রয়িং রুম সাজাবি প্লিজ?
জয়ঃ কি বলছিস রুহি?
রুহিঃ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলল বিয়ে করবি আমায়?
খুশিতে জয়ের চোখে পানি চলে এসেছে।
রুহিকে টেনে তুলে নিজে হাঁটু ঘেরে বলল, কথা দে আর কখনো আমায় ছেড়ে যাবি না?
রুহি জয়ের হাতে হাত রেখে বলল কখনো যাব না।
জয়ঃআমি আজেই তোকে বিয়ে করব রুহি।
যেমন কথা তেমন কাজ সবার সামনেই জয় আর রুহির বিয়ে হয়ে গেল।
,
,
,
,
,
রুহি বউ এর সাজে জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে বেশ কিছুক্ষন পড়ে জয় রুমে আসল,
জয়ঃ কিরে এখুনি জেগে আছিস কেন রুহি?তুই এখন আর একা নেই জানিস না?
রুহিঃ তো….
জয়ঃ দুধটা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়।
রুহিঃ তুই কি সারাজীবন শুধু দায়িত্বই পালন করে যাবি জয়? কখনো রুহিকে সুস্থ করার,কখনো লিজার স্বামীর আর কখনো আদির বাচ্চার বাবার দায়িত্ব। তোর কি ভালবাসা পাওয়া বারণ?
জয়ঃ হা হা হা বোকার মত কথা বলছিস রুহি….আমার সব দায়িত্ব ত একজনকে ঘিরেই সেটা হল রুহি।আর আমার কাছে ভালবাসা মানে কি জানিস?
রুহিঃ কি?
জয়ঃ ভাললাগার মানুষটাকে ভাল রাখতে পাড়া মানেই আমার কাছে ভালবাসা।ভালবাসা কেন সার্থের জন্য হবে বল তো।
রুহিঃ জানিস জয়,এই সেইম কথাটাই আদিও আমাকে বলেছিল।
জয়ঃ মানে…?
রুহিঃ আদির শেষ কথা গুলি শুনবি?
জয়ঃ কি বলেছিল আদি?
রুহিঃ আদি তার রক্ত মাখা ২ টি হাত আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলেছিল রুহি আমার সময় শেষ আমি আর বাঁচব না সেটা আমি বোঝতে পাড়ছি।তুমি আমায় কথা দাও তুমি আমার আমানতকে জয়ের কাছে পৌছে দিবে?আমি পাড়ি নি জয়ের দেওয়া আমানত রক্ষা করতে কিন্তু আমি জানি আমার দেওয়া আমানত যদি কেউ রক্ষা করতে পাড়ে সেটা শুধু জয়েই পাড়বে।
আমি চাই আমাদের বাচ্চা জয়ের পরিচয়ে বড় হোক।
জানিস আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম কিন্তু আদি ও তোমার সন্তান…
ও কেন অন্যের পরিচয়ে বড় হবে।
আদি আমায় বলেছিল ভালবাসা মানে কি জানো রুহি ভাললাগার মানুষগুলিকে ভাল রাখতে পাড়ার নামই ভালবাসা।আমার পড়ে তোমাকে আর আমার বাচ্চাকে যদি কেউ ভালরাখতে পাড়ে সেটা একমাত্র জয় আমি যেখানেই থাকি সেখান থেকেই দেখব তোমরা ভাল আছো তাতেই আমার আত্মা শান্তি পাবে।
আর রুহি আমাদের আজ এই অবস্থার জন্য লিজা দায়ী তুমি লিজাকে শাস্তি দিও আর লিজা যেহাতু জয়ের স্ত্রী তুমি জয়কে একা ফেলে কোথাও যেও না।বিশ্বাস করো জয়ের চেয়ে বেশি ভাল তোমায় কেউ বাসতে পাড়বে না।
নিজের স্ত্রীর এই বিশ্বাসঘাতকতা জয় মানতে পাড়বে না খুব কষ্ট পাবে তাই জয়কে সুখে রাখার দায়িত্ব আমি তোমায় দিয়ে গেলাম রুহি।
জয় যদি কষ্টে থাকে ভেবে নিও আমিও কষ্টে থাকব।
আর আমি চাই না আমার বাচ্চা সবার কাছে করুনার পাত্র হয়ে থাকুক।ও জয়ের সন্তান হয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচবে। তুমি আমায় কথা দাও তুমি আমার কথা রাখবে।জয় রাজি না হলেও তুমি ওকে জোর করবে।
আমি আদিকে কথা দিয়েছিলাম জয়।আমার শেষ নিশ্বাসের আগ মুহূর্তে হলেও আমি আমার আর আদির ভালবাসার আমানত কে তোর কাছে পৌছে দিব।কিন্তু অবাক করা বিষয় দেখ আমি বলার আগেই তুই আদির আমানতকে নিজের আমানত হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছিলি।যখন আমি স্মৃতি হারানোর অভিনয় করছিলাম তুই কিছু না জেনেই আদির বাচ্চার যত্ন নেওয়া শুরু করেছিলি আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম আদি কি করে উপযুক্ত মালিকের কাছেই তার আমানত রেখে গেল? ও তো ওর সন্তানকে তা বাবা মার কাছে দিয়ে আসার কথাও বলতে পাড়ত কিন্তু আদি চেয়েছিল ওর সন্তান তোর কাছে থাকুক।
কথা বলতে বলতে রুহি কেঁদে ফেলেছে এতক্ষন পর রুহি খেয়াল করল জয় নিশব্দে চোখের পানি ফেলছে আর তার হাত থেকে অঝোর ধারায় রক্ত ঝরছে।
রুহিঃ কি করছিস জয় ছাড় বলছি।
জয়ের হাতে একটা কাঁচেএ টুকরা ছিল রুহি জোর করে সেটা ছাড়িয়ে নিয়ে বলল কি করছিস।
জয়ঃ যে আদি আমাকে এত ভরসা করত আমি তার জন্য কিছু করতে পাড়ি নি রুহি। আমি নিজেকে কি করে ক্ষমা করব বলতে পাড়িস?
রুহিঃ ভাগ্যের উপড় কারো হাত নেই জয়।
কিছু করতে পাড়িস নি কিন্তু এখন করবি ওর বাচ্চার দেখাশুনা করবি তাহলেই হবে এসব বলতে বলতে রুহি জয়ের হাতে বেন্ডেজ করে দিল।
জয় রুহির পেটে চুমু খেল তারপর রুহির কপালে চুমু খেয়ে বলল আজ আমি তোমায় কথা দিলাম আদি জয়ের দেহে শেষ রক্ত বিন্দু থাকতে তোমার আমানত আর তোমার ভালবাসার গায়ে একটা আঁচ লাগতে দিব না।
মরার আগ পর্যন্ত আমি আমার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করব আদি।
রুহিঃ হুম হুম শুধু দায়িত্বই পালন করে যা সারাজীবন।
২ বছর ধরে বিয়ে করে বউকে স্পর্শ করিস নি আর এখন ২য় বার বিয়ে করেও বাসর রাতে বউ কে ঘুমোতে বলছিস।এখন কি হবে বলতো?
জয়ঃ কি আবার হবে?
রুহিঃ গল্পটা যারা পড়ছে তারা ভাব্বে জয় দেখতে হ্যান্ডসাম আর মাফিয়া হলেও সে ছেলে নয় ৩য় জেন্ডার বোঝেছিস?
জয়ঃ রুহি…..??
রুহিঃ ঠিকি তো বল্লাম যদি ভুল বলে থাকি লিপ কিস করে সবাইকে দেখিয়ে দে।
জয় আর কিছু না বলে রুহির ঠোঁটে ঠোঁট চেপে দিল।
রুহি চোখ বন্ধ করে মনে মনে বলল আদি ত আমাকে এটাও বলেছিল আমি যেন তোকে সুখে রাখি…. ঠোঁটে ঠোঁট বিচরন কালে রুহি ভেজা ভেজা অনুভব করল
রুহিঃ কিরে পাগল কাঁদছিস কেন?
জয়ঃ এত কিছুর পর, এত কষ্টের পর, ভালবাসার মানুষটাকে আপন করে নিজের কাছে পাওয়ার আনন্দ তুই কি বোঝবি রুহি?
রুহিঃ থাক আমার বোঝে কাজ নেই সারাজীবন এভাবেই ভালবাসিস তাহলেই হবে আর এখন লাইট টা অফ কর জুনিয়র আদি কিন্তু তার মা বাবার সব দুষ্টামি দেখছে…
জয়ঃ তাই নাকি?
জয় আবার রুহির পেটে চুমু খেল আর বারবার চুমু খেতে খেতে বলল আমার সব আদর তো তোমার জন্য তাই না বাবা…..!!!
,
,
,
সমাপ্ত