লেডি_ডন সিজন_২ পার্ট_১৩,১৪

0
1614

লেডি_ডন
সিজন_২
পার্ট_১৩,১৪
লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona
পার্ট_১৩

জয়ঃ রুহি খাবি নাকি জোর করব?
রুহিঃ খাচ্ছি বাবা খাচ্ছি…. যতসব,
অল্প খেয়ে রুহি বলল হইছে আর খাব না।এবার তুই যা।
জয় ঠিক আছে বলে চলে গেল।
,
,
,
পরদিন সকালে
নাস্তার টেবিলে, লিজা এসে জয়কে বলল
আজ তোমার অফিসে যেতে হবে না বাসায় থাকো।
কথাটা বলেই লিজা রুহির দিকে তাকাল।আর রুহিকে ইশারা করে বলল রুহি যেন জয়কে অফিসে যেতে বলে।

রুহি তাই করল,কারন শর্ত এটাই ছিল যে লিজা যা বলবে রুহির তার উল্টো বলতে হবে।

রুহিঃ না জয় তুই আজ অফিসে যাবি।

জয়ঃ আরে রুহি তুই কি বাচ্চা হয়ে গেছিস নাকি? শুধু শুধু ঝামেলা পাকাচ্ছিস কেন?লিজা তো ভাল কথাই বলছে।তুই ওর সাথে লাগছিস কেন?

রুহিঃ আমি লিজার সাথে লাগছি মানে?আমি তো তোকে কথাটা বলছি?ওকে তো কিছু বলি নি ছল ছল চোখে বলল রুহি….ক্ষমা চাইতে হবে?

জয়ঃ আহ রুহি কি হচ্ছে আমি কি তাই বলছি নাকি,উফফ কি ঝামেলায় পড়লাম রে বাবা।

রুহিঃ সত্যিই তাই আমি তোদের মাঝে ঝামেলা তৈরি করছি তাই না? চিন্তা করিস না ঝামেলা মিটিয়ে দিব।বলে রুহি উপড়ে চলে গেল।

জয় পিছন থেকে বলতে লাগল আরে রুহি আমি সেটা বলি নি আমি শুধু বল্লাম বাড়িতে থাকলেই তো ভাল সারাদিন একসাথে থাকতে পাড়ব।
ততক্ষনে রুহি ঘরে চলে গেছে জয়ের কথা শুনে নি।
জয়ঃ আমি কিছুতেই বোঝতে পাড়ছি না হঠাৎ করে রুহি এমন বাচ্চাদের মত ব্যবহার করছে কেন।
লিজাঃআমি বল্লেই দোষ হবে তাই কিছু বলব না।

জয়ঃ থাক তুমার আর কিছু বলতে হবে না।মেয়েদের মাথায় যে গোবর থাকে এই পরিস্থিতিতে না পড়লে জানতেই পাড়তাম না যাইহোক আমি বরং যাই রুহির ফেবারিট আইস্ক্রিম নিয়ে আসি তাতে যদি ম্যাডামের রাগ ভাংগে।

জয় বাইরে চলে গেল।
,
,
,
লিজা নিজের রুমে গেল একটু পড়েই রুহি লিজার ঘরে আসল,

রুহিঃ congratulated…. বাজিতে তুমি জিতেছো।

লিজাঃ খেলা তো এখনো শেষ হয় নি, আজ সারাদিন টা আছে।

রুহিঃ আর খেলতে ইচ্ছা করছে না।আমি জয় ফিরে আসার আগেই চলে যেতে চাই।

লিজাঃ সেতো খুব ভাল কথা
তো দাঁড়িয়ে আছো কেন নাকি বাজির শর্ত চেঞ্জ করতে এসেছো? যদি তা করতে চাও তাহলে বলি সেটা সম্ভব না।

রুহিঃ ভুল ভাবছো লিজা রুহি কখনো প্রতিজ্ঞা ভংগ করে না।

লিজাঃ বড় বড় ডায়লগ না মেরে বিদায় হও তো যতসব।

রুহিঃ ভাল থেকো লিজা,আর জয়ের খেয়াল রেখো।বলে রুহি বেড়িয়ে গেল।

লিজাঃ ছো ছো ছো…..বেচারি রুহি, তোমার প্রতি জয়ের যে ভালবাসা সেটাকে পুঁজি করেই আজ আমি জিতে গেলাম কিন্তু তুমি তা বোঝতেই পাড়লে না।আবারও সেই একই ভুল করলে যা ২ বছর আগে করছিলে।

তুমি তো জানতেই পারলে না জয় কেন আমার কথা শুনে তার পিছনে কার অবদান।

কিছুক্ষন পর জয় রুহির প্রিয় আইস্ক্রিম নিয়ে রুহির ঘরে ঢুকল
জয়ঃ রুহি….. রুহি কোথায় তুই দেখ তোর জন্য কি এনিছি…??
আরে কোথায় তুই? আচ্ছা বাবা এই দেখ কান ধরছি আর কখনো এমন করব না। সরি বেবি প্লিজ সামনে আয়।
কিরে,বেশিই রাগ করে ফেলছিস তাই লুকিয়ে আছিস তাই না? আচ্ছা আমি আর তোর কথার উপড়ে একটা কথাও বলব না বেরিয়ে আয়।
আরে পাগলি এভাবে লুকিয়ে থাকলে দম আটকে মরে যাবি ।আমাকে যা শাস্তি দেওয়ার সামনে এসে দে তবুও সামনে আয় প্লিজ।

বিষয় টা মোটেও সুবিধে লাগছে না এতক্ষন ধরে ডাকছি কোন সাড়া নেই, কোথায় রুহি?
জয় ঘরের সব জায়গায় খুঁজে দেখল রুহি কোথাও নেই।
জয় ভাবল বাকি ঘর গুলি তে দেখবে,তাই যখন বাইরে যেতে চাইল একটা কাগজ চোখে পড়ল জয়ের।
জয় কাগজ টা হাতে নিয়ে খুলল,
কাগজ টা খুলে জয়ের মনে হল এটা তার কাছে কোন সাধারন কাগজ না মহামুল্যবান।
কারন এটা একটা চিটি যা রুহি জয়কে উদ্দেশ্য করে লিখেছে।

রুহিঃ জয়,যখন তুই এই চিটি টা পড়ছিস তখন আমি তোর থেকে অনেক দূরে জানি অবাক হচ্ছিস কিন্তু এটাই সত্যি।আমি তোর বাড়ি ছেড়ে তোকে ছেড়ে সারাজীবনের মত চলে এসেছি।আমি কাল রাতে বাজি ধরেছিলাম আর লিজাকে কথা দিয়েছিলাম তুই যদি আমায় ভালবাসিস তাহলে আমি তোর কাছে থাকব আর তুই যদি আমায় করুনা করিস তাহলে আমি সেখান থেকে চলে যাব।
বাজিতে আমি হেরেছি এই প্রথম রুহি কোন চ্যালেঞ্জ এ হেরেছে তাও এমন একটা বিষয়ে হেরেছে যা সে কল্পনাও করতে পাড়েনি।তুই আমায় করুনা করছিস?জয় তার রুহিকে আর ভালবাসে না এটা মানতে কেন জানি খুব কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু তুই নিজে আমার চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিস আমি তোর কেউ না লিজাই তোর কাছে সব।নিজের মুখে বলেছিস আমি তোর জীবনে ঝামেলা তৈরি করছি।
বিশ্বাস কর তোদের মাঝে ঝামেলা লাগানোর কোন ইচ্ছা আমার ছিল না।
আমি তো তোর খুশিকেই সারাজীবন নিজের খুশি ভেবে এসেছি আজও তাই ভাবি।তুই ভাল থাকলেই আমি হ্যাপি।
তোরা ভাল থাকিস এটাই চাই।
আর আমার কথা ভাবিস না,আমার বাচ্চার খেয়াল আমি নিজেই রাখতে পারব জয়, তার জন্য তোর করুনার দরকার হবে না।
একটা অনুরোধ,
আমি জানি বাজির কথা জানার পর তোর হয়ত খারাপ লাগবে তুই লিজার সাথে এই নিয়ে ঝামেলা করবি কিন্তু ওর কোন দোষ নেই রে ও যদি বাজি না ধরতো আমি তো বোঝতেই পাড়তাম না আমি তোর জীবনে ঝামেলা বাড়াচ্ছি? তাই শেষ অনুরোধ টুকু রাখিস ওকে তুই কিছু বলিস না।

আর আমাকে খোঁজার চেষ্টা করিস না জয়। তুই জানিস রুহি কখনো প্রতিজ্ঞা ভংগ করে না। তাই যদি পুলিশ বা গার্ডদের দিয়ে আমাকে খোঁজার চেষ্টা করিস তাহলে আমার চলার পথটা একটু কষ্টকর হয়ে যাবে ঠিকি কিন্তু ওরা আমায় ধরতে পাড়বে না। তাই শুধু শুধু আমার কষ্ট বাড়াস না।ওরা আমাকে খোঁজে পেলেও আমি তোর বাড়িতে আর ফিরব না নিজের ক্ষতি করব তাও ফিরব না কারন লিজাকে আমি তেমন টাই কথা দিয়েছি। ভাল থাকিস জয় নিজের আর লিজার খেয়াল রাখিস।খোদা হাফেজ।

চিটিটা পড়ে জয়ের মাথা খারাপ হয়ে গেল,কি বল্লি তুই এগুলা রুহি? আজ তো লিজাকে কেউ বাঁচাতে পাড়বে না।
কিন্তু রুহি তুই তো আমায় চিনিস তুই কি করে ভাবলি আমি তোকে করুনা করছি?তোর জায়গায় লিজাকে বসিয়েছি?
আরে তোর কথাতে যেদিন বিয়ে করলাম সেদিনি বোঝেছিলাম আমি সবসময় তোকেই জীবন সংগি হিসেবে চেয়ে এসেছি আর কাওকে সেখানে বসাতে পাড়ব না। কিন্তু সময় থাকতে তা বোঝি নি। তাই নিজের বিয়ে করা বউ কে কোনদিন আপন করে নিতে পাড়িনি।
সারা দুনিয়ার কাছে আমরা স্বামী স্ত্রী হলেও প্রথম রাতেই আমাদের বিছানা আলাদা হয়ে গেছিল। আমি পাড়িনি লিজাকে স্পর্শ করতে।আমি বলেছিলাম লিজাকে চলে যেতে।নিজের মত করে জীবন সাজাতে তার জন্য যত ক্ষতিপুরন দিতে হয় আমি দিতে রাজি। লিজাই যায় নি সে বলেছিল আমাকে তার দরকার নেই।দুনিয়ার সামনে বউ এর পরিচয় দিলেই ও খুশি আর কিছু চায় না। যদি বিয়েটা ভেংগে যায় সমাজের সামনে সে ছোট হয়ে যাবে তাই সে এখানে ছিল।
আর যে মেয়েটা নিজের সব স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে স্বামীর আদর ছাড়া ২ বছর ধরে একটা মিথ্যে সম্পর্ককে আখঁরে ধরে বেঁচে আছে তার ছোট ছোট ইচ্ছাগুলি যদি আমি পুরন না করতাম তুই কি আমায় ক্ষমা করতি রুহি?
তাই তো আজ অব্দি আমি লিজার কোন ইচ্ছা আমি অপুর্ন রাখি নি।যখন যা চেয়েছে সব দিয়েছি।যতই অন্যায় করুক একটা ধমক দিয়েও কখনো কথা বলি নি।সত্যি বলতে ওকে আমি সব দিয়েছি শুধু স্বামীর সোহাগ টাই দিতে পাড়িনি।
কিন্তু লিজা তো জানত আমি তোকে কতটা ভালবাসি তারপরেও তোর সাথে এমন বাজি কিভাবে ধরল? আমি এই ভুলের জন্য ওকে ক্ষমা করতে পাড়ব না। ও তোর অবস্থা জেনেও কি করে তোকে রাস্তায় নামিয়ে দিল তোকে?

কিন্তু লিজাকে শাস্তি দিলেও আমি তোকে কোথায় পাব রুহি? তোর যে কিছুই মনে নেই তার উপর শরীর এর এই অবস্থা তুই কোথায় যাবি? তোর কাছে তো কোন টাকাও নেই।আমি এখন কি করব? তোকে খোঁজা খোঁজি করছি জানলে তুই নিজের ক্ষতি করবি।
এ কোন যন্ত্রনায় ফেলে গেলি আমায়?

জয়ঃরুহিকে কি আমি সত্যিই হারিয়ে ফেললাম? আর কখনো ফিরে পাব না! আর যদিও বা পাই কি অবস্থায় থাকবে ও? কম বয়সি একটা মেয়ের জন্য একলা রাস্তায় রাত কাটানো টা কি খুব সোজা? আর বেবির কি হবে তুই তো নিজের খেয়ালেই রাখতে পাড়িস না রুহি বেবির কি করে রাখবি।
এত শাস্তি কেন দিচ্ছিস আমায়…??? ফিড়ে আয় প্লিজ।
,
,
,
,
চলবে…!!!

#লেডি_ডন
#সিজন_২
#পর্বঃ১৪
#লেখিকাঃ Snigda Hossain Mona

আমাকে এত বড় শাস্তি তুই দিস না রুহি,
২ বছর ধরে অনেক কষ্ট পেয়েছি আর দিস না প্লিজ। আমি আর কত সহ্য করব বলতে পাড়িস? আমিও তো রক্ত মাংসে তৈরি একটা মানুষ আমারো যে একটা মন আছে, কষ্ট যে আমারও হয় সেটা তোরা কেউ বোঝলি না…..
,
,
,
,
রুহির ঘর থেকে বেরিয়ে জয় লিজাকে খুঁজতে লাগল কিন্তু লিজাও কোথাও নেই।

জয়ঃ এই মেয়ে আবার কোথায় গেল? যেখানেই যাক আজ আমি ওকে ছাড়ব না।
জয় লিজাকে ফোন দিল।

জয়ঃ হ্যালো লিজা কোথায় তুমি?তোমার সাথে ইম্পর্টেন্ট কথা আছে।

লিজাঃজয় তুমি জানো না,রুহি বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে? আমি ত ওকেই খোঁজতে এসেছিলাম আর পেয়েও গেছি।কিন্তু রুহি বাড়ি যেতে রাজি হচ্ছে না।তাই আমি এখনো বাসায় ফিরতে পারছি না।

জয়ঃরুহি সত্যিই তোমার সাথে?Thanks God. কোথায় আছো, সেটা শুধু বলো আর রুহিকে একটু আটকাও আমি এক্ষুনি আসছি।

লিজাঃঠিক আছে আর আমরা লেকের পাড়ে আছি তুমি তাড়াতাড়ি এসো।

জয় আর কিছু না ভেবে লেকের উদ্দেশ্য রওনা হল….

কিন্তু সেখানে পৌছে, জয় পুরাই অবাক হয়ে গেল।কারন,সেখানে রুহি বা লিজা কেউ এই নেই।
আছে কেবল কিছু মুখোশদারি গার্ডস।

জয়ের পিছন লিজা বলে উঠল ওয়েলকাম মিঃ জয়।

জয়ঃ লিজা এসব কি?আর রুহি কোথায়…..???

লিজাঃ রুহি হা হা হা…..??? যাকে এত কাহিনি করে বিদায় করলাম সে এখানে থাকবে কেন?

জয়ঃ তারমানে কি?

লিজাঃ মানেটা বোঝাব বলেই তো তুমাকে এখানে আনা। এই কে আছিস স্যার কে আপ্যায়ন এর ব্যবস্থা কর।
কয়েকজন এসে জয়ের হাত পিছন থেকে বেঁধে দিল।

জয়ঃ কি হচ্ছে এসব লিজা?কি করতে চাচ্ছ তুমি?

লিজাঃ তোমার প্রিয় স্থানে তোমার সমাধী তৈরি করতে চাচ্ছি।

জয়ঃ বাহ ভাল তো…. তা আমার সাথে তোমার কিসের শত্রুতা?

লিজাঃ তোমার সাথে তো কোন শত্রুতা নেই, যা আছে রুহির সাথে।

জয়ঃ মানে কি?রুহি তোমার কি করেছে?

লিজাঃ কি করেনি সেটাই বলো,
রুহি আমার সব প্লেনে সবসময় জল ঢেলে এসেছে।অনেক চেষ্টা করেছি ওকে শিক্ষা দেওয়ার কিন্তু রুহির তো কই মাছের জান কিছুতেই কাবু হয় না তাই ওর প্রিয় মানুষগুলিকে কষ্ট দিয়েই তার শোধ তুলব।

জয়ঃ রুহি কি করেছে শুনি একটু?

লিজাঃ শুনতে যখন চাচ্ছ তখন বলেই দেই শোন,আমার ভালবাসা কেড়ে নিয়েছে। যা যা আমার পাওয়ার কথা ছিল সব রুহি নিজের করে নিয়েছে।আমার প্রথম টার্গেট ছিল আদিত্য চৌধুরী তার সব সম্পত্তি নিজের করে নেওয়ার জন্য ১ বছর ধরে আদির পিছনে সময় দিলাম আদির ভাল বন্ধু হলাম।নানা বাহানায় ওর অফিসেও ঢুকলাম আদি কিছুই বোঝল না। আদি জানত আমি সময় কাটানোর জন্য অফিসে যাই কিন্তু আমিত আমার উদ্দেশ্য পুরনের জন্য যেতাম।

আমি সব যখন প্রায় গুছিয়ে নিয়েছি ঠিক তখনি রুহি এসে সব উলট পালট করে দিল।
শুধু উলট পালটই না আদিকে একেবারে বিয়ে করে নিল।যদিও আদির সম্পত্তির প্রতিই আমার আকর্ষন ছিল কিন্তু আদির সাথে থাকতে থাকতে আদিকে আমি পছন্দ করতে শুরু করলাম।কিন্তু রুহি এসে আদিকে কেড়ে নিল।
তবুও আমি চুপচাপ ছিলাম কারন তখন তোমার উপড় নজর পড়ল।কিন্ত বিয়ের রাতেই বোঝলাম রুহি নামক আপদ অন্যজনের বউ হলেও তোমার মনের মধ্যে রাজত্ব করছে।
তাই ওকে তোমার জীবন থেকে বিদায় করার প্লেন করলাম।আর প্লেন সফল ও হল।
তারপর ২ বছর ধরে চেষ্টা করে তোমাকে একটু একটু করে মাফিয়া থেকে ভিজা বিড়ালে পরিণত করলাম কিন্তু সেই….আবারো রুহি এসে সব প্লেনে জল ঢেলে দিয়ে তোমাকে আবার মাফিয়া বানিয়ে দিতে চাইল। আমি এসব কি করে মানি বলো?

তাই ২ বছর আগে রুহিকে যেভাবে তোমার জীবন থেকে সরিয়ে ছিলাম সেভাবেই আজো সরিয়ে দিলাম।

জয়ঃ২ বছর আগে সরিয়েছিলে মানে?

লিজাঃ আরে হ্যা, তোমার কি মনে হয় রুহি শুধু শুধু তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল?না তার পিছনেও একটা ঘটনা ভহিল যেদিন তুমি আমার সাথে রাগ করে রুহির ছবি ছিড়ে ফেললে সেদিন ভিডিও করে রুহিকে সব পাটিয়েছিলাম।আর বলেছিলাম জয় তোমাকে একদমি পছন্দ করে না তুমি এতদিন জয়ের উপড় বোঝা হয়েছিলে। তাই রুহি তোমার সাথে এতদিন কোন যোগাযোগ রাখে নি।

তবে আজব ব্যাপার দেখো রুহি আবার ফিড়ে আসল, কিন্ত এবার তুমি নিজের মুখে বলেছো রুহি তোমার জীবনে ঝামেলা হয়ে দাঁড়িয়েছো তাই যাই হয়ে যাক রুহি আর কখনো তোমার কাছে ফিড়বে না কারন রুহির প্রচন্ড জেদ,আর কি বলতো এতক্ষনে ওর কি অবস্থা হয়েছে,
কে জানে…..আফটার অল পাগল বলে কথা।

জয় চিৎকার করে বলল লিজা কি বলছো এসব? কে পাগল?রুহির ব্যাপারে একটাও বাজে কথা বলবা না আর আমার রুহির যদি কিছু হয় আমি তোমাকে ছাড়ব না।

লিজাঃ আগে তো নিজে বাঁচো।এই নাও এটাতে সাইন করে দাও তা না হলে সোজা উপড়ে পাটিয়ে দিব।

জয়ঃএটা কি?

লিজাঃদেখতে পাচ্ছ না?এটা একটা দলিল….এটাতে লিখা আছে তুমি নিজের ইচ্ছায় তোমার সব সম্পত্তি আমায় দিয়ে দিচ্ছো।

জয়ঃ আমি তো তোমাকে বিয়ের দিনেই বলেছিলাম তোমার যত ইচ্ছা বলতে পাড়ো আমি তোমায় দিব আপত্তি তো করিনি আর তুমি যেহেতু আমার স্ত্রী আমার সবকিছু তো তোমারেই হবে তাহলে এসবের কি মানে?

লিজাঃ বিয়ের দিন দিলেই বা কি দিতে? ১,২ বা ৫ কিন্তু আমার তো তোমার সমস্থ্য সম্পত্তি চাই।আর তোমার বউ হয়ে থেকে কি আমি বুড়ি হব নাকি?আমার বয়ফ্রেন্ড আছে আমি তার কাছে চলে যাব।আমরা সব ঠিক করে রেখেছি এখন শুধু তোমার সাইনের অপেক্ষা।

জয়ঃ লিজা তুমি কি জানো কার সামনে দাঁড়িয়ে কি বলছো?

লিজাঃ হুম ভাল করেই জানি,কিন্তু তুমি জানো না আগের সেই জয় আর আজকের এই জয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য।
২ বছর আগের জয়কে দেখে সবাই ভয় পেত,কেউ তার সামনে দাড়ানোর সাহস পেত না।
কিন্তু আজকের এই জয় একজন অসহায়,তার পাশে কোন গার্ডস নেই, হাতে বন্দুক নেই আর সবচেয়ে বড় কথা তার পাশে তার আত্মা রুহি নেই আর সে অনেক আগেই মারামারি ছেড়ে দিয়েছে। আজ তোমার কিছুই নেই জয়, তুমি আজ নিঃস্ব।

ঠিক তখনি পিছন থেকে একজন গার্ডস এসে
নিজের মুখোশ খুলতে খুলতে বলল,
হুম ম্যাডাম একদম ঠিক বলেছেন, আজ জয়ের কাছে গান নেই, গার্ডস নেই আর রুহিও নেই তার হাতও বাঁধা কিন্তু………
,
,
,
চলবে…!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here