শব্দহীন_বৃষ্টি (১৪)

0
906

শব্দহীন_বৃষ্টি
(১৪)
#ফারহানা_আক্তার_রুপকথা
__________________________
প্রথমদিনই মাহির রেকর্ড খারাপ সাগরের সামনে৷ ম্যাথ কিছুই সে করতে পারেনি আর নিজ হতবুদ্ধিতার জন্য পাগল উপাধিও পেয়েছে। লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার কথা সেখানে মাহি খুব উপভোগ করেছে সাগরের চোখ রাঙানো। পরেরদিন স্কুলে এসেই গল্প জুড়েছে নিপার সাথে, ” আমি সাদা টি-শার্ট ভাইয়ার কাছে ম্যাথ করি৷ উনি আমার নতুন টিচার। কি যে সুন্দর ভাইয়াটা ইশ ইচ্ছে করে খপ করে ধরে খেয়ে ফেলি “। নিপা কথাটা শুনে নাক সিটকে বলেছিলে, ” ছিহ তুই কি রাক্ষস নাকি”। এরপর জুনাইদ স্যার যখন ক্লাসে এসে আবারও নিজের পড়ানোর কথা তুললেন মাহি মুখ ফসকে বলে ফেলল, ” আমার সাদা টিশার্ট ভাইয়া না মানে আমার ম্যাথ টিচার ও খুব ভালো বোঝায়৷” কথাটা শুনে স্যার প্রশ্ন করেছিলেন তার টিচার কোন স্কুল বা কলেজে আছে। সমুদ্র ফট করে বলে দিলো, ” মাহি তো আমার ভাইয়ার কাছে পড়ে কাল থেকে” ব্যস এতেই স্যারের পিত্তি জ্বলে গেল। জুনাইদ স্যার খুব ভালো করেই চিনেন সাগরকে। সৈকত আর জুনাইদ স্যার এক সাথেই পড়াশোনা করেছিলো অনার্স এ। তবে স্যারের চোখে সাগর তেমন ভালো কিছু নয় কারণ জুনাইদ স্যারের প্রাক্তন সাগরের ফ্রেন্ড ছিলো। সেই প্রাক্তন স্যারকে ছেড়ে সাগরের প্রেমে পড়েছিলো বছর খানেক আগে৷ সাগর অবশ্য সেই বান্ধবী কে বান্ধবীর বেশি কখনো ভাবেনি৷ তবুও মেয়েটি স্যারকে ছেড়েছিলো সাগরকে ভালোবেসেই সেই থেকেই স্যারের চক্ষুশূল সাগর৷ এখন আবার তার নতুন ভালোবাসার মানুষটিও কিনা সাগরের কাছে পড়ে। ঘৃণায় মন ভরে উঠলো।একদম সহ্য হচ্ছে না সাগর তার মাহিকে পড়ায় জানতে পেরে। তার জীবনে মেয়েঘটিত ব্যাপারে সাগরই কেন আসে বারবার!

মাহির বাড়াবাড়ি রকমের ভালো লাগছে কাল রাত থেকে। সাদা টি-শার্ট ভাইয়ার কাছে পড়তে গেলে মাহির শুরু হই হই প্রেমটা সত্যি সত্যিই প্রেমে পরিণত হয়ে যাবে। চকচকে বুদ্ধিদীপ্ত চোখ দু’টো সাগরের সবসময় যেন এক গাম্ভীর্যের আবরণ তুলে ধরে তার মুখে। সুদর্শন একটা ছেলে বয়স কত হবে? পঁচিশ কিংবা ছাব্বিশ। এমনই হওয়ার কথা তার দাদুনী বলেছিলো সাগর পড়াশোনা একটু লেট শুরু করেছে। সে হিসেবে তো অনার্স কমপ্লিট করেছে বয়স এতোটা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। অপেক্ষায় আছে মাহি আবার কখন সন্ধ্যে হবে কখন যাবে সে ও বাড়ি আর দেখবে তার সাদা টি-শার্ট ভাইয়াকে। স্কুল ছুটির পর সাথী আর সমুদ্রকে দেখে একসাথে বাড়ি ফিরে তিনজন৷ দূর থেকে নিপা সমুদ্র কে দেখে নিলো। আজকাল পাগল পাগল লাগে তার নিজেকে। মনের মধ্যে উথাল-পাথাল টের পায় একরকম৷ তবে কি সমুদ্র কে সে অনেক বেশিই ভালোবাসে? কিশোরী বয়সে আবেগ একটু বেশিই শুনেছিলো সে কিন্তু তাই বলে এত বেশি! মাহির মুখে যখন শোনে সাদা টি-শার্ট ভাইয়ার প্রশংসা তখন মনে হয় মাহিও তার মত আবেগে পড়েছে। আর এই আবেগ যদি শেষতোক থাকে আর ওই মানুষ দু’টো তাদের দুই বান্ধবীর আবেগের মূল্যায়ন করে? তবে কতো ভালোই না হবে। দুই বান্ধবী একই পরিবারে তাদের দুই ভাইয়ের ব… আর ভাবতে পারে না । এত বেশি বাড়াবাড়ি ভাবনা ও ঠিক নয়। আকাশ কুসুম ভাবনা থেকে বেরিয়ে নিপা ও পা বাড়ায় বাড়ির পথে।

তাহমিনা চাচী দো’তলায় নিজের ঘর থেকে বের হয়ে সমুদ্রের ঘরের দিকে যাচ্ছিলেন।সিঁড়ির বাম দিক থেকে সৈকতের ঘর পেরিয়ে সমুদ্র আর শৈবালের ঘর তারপর সাগরের ঘর। সৈকতের রুমের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় শিলার ফিসফিস আওয়াজ শোনা গেল। তাহমিনার মনে হলো শিলা কাউকে ফ্ল্যাটে উঠার কথা বলছে। কিন্তু এমন কি বলছে যা ফিসফিস করে বলতে হবে? তাড়া ছিলো বলে আর এগোলো না শুনতে পরে ভাবলো হয়তো ফ্ল্যাটে কোন সমস্যা হয়েছে বা অন্য কিছু। মাস দুই আগেই সৈকতের প্রমোশন হয়েছিলো আর তখনই সে ফ্ল্যাট পেয়েছে। বাড়ির কেউ রাজী হয়নি বলেই ফ্ল্যাট অফার ছাড়তে হয়েছে আর এ নিয়ে শিলা বা সৈকত কখনোই কোন কথা তোলেনি৷ সবাই ধরে নিয়েছে তারা ও পরিবারের সাথে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তাহমিনা চলে যেতেই শিলা বের হলো তার বারান্দা থেকে। চাচী শ্বাশুড়িকে দেখেছে সে পর্দার ফাঁকে আর তখনই বুদ্ধি করে কথা পাল্টেছে। নিজের মায়ের সাথে শিলা ফ্ল্যাট নিয়েই কথা বলছিলো। সে এই পরিবারের থাকতে পছন্দ করে না। একদম গিঞ্জি পরিবার। অনেকটা পুরান ঢাকার ধোলাইখাল,টিকাটুলি এলাকার মতোই গিঞ্জি যেখানে অক্সিজেনের চেয়ে কার্বনডাইঅক্সাইড এর পরিমান বেশি৷ ছোট পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়ে শিলা৷ মন মর্জি মতো চলাফেরা করা তার লাইফস্টাইল অথচ সৈকতকে বিয়ে করার পর থেকে নানা ধরনের রেস্ট্রিকশন আর আলোচনা সমালোচনায় জর্জরিত । নিয়ম নীতির গন্ডির মধ্যে হাসফাস করে টিকতে হচ্ছে একরকম৷ অনেক গুলো মাস কাটিয়েছে ও সে সব কিছু মেনে কিন্তু আজকাল তার মা আর ফুফুদের কূটচালে ফুসলে উঠছে। দোলা ও এখান থেকে যাওয়ার পর বারবার বলছে, “আপু কি করে বেঁচে আছো ওমন সেকেলে পরিবারে?” আদৌ ও সৈকতের পরিবার সেকেলে নয় শুধু কিছু ধরাবাঁধা নিয়ম কানুন মেনে চলে এই আরকি৷ কিন্তু শিলার তাতে অস্বস্তি । নতুন বউ হিসেবে মুখ খোলাটা অভদ্রতা মনে হতে পারে কিন্তু এখন সে এই পরিবারে নিজের অবস্থান শক্ত অনুভব করে তাই ঠিক করেছে কোন ভাবে সৈকতকে রাজী করাবে ফ্ল্যাটে থাকার জন্য৷

আসরের নামাযের পর সাগর একটু বসেছিলো বন্ধুদের সাথে। কথায় কথায় একটা নতুন চাকরির সন্ধান মেলে। মাস্টার্স এর ক্লাস সে করবে না খুব একটা আর না টিউশনি তার সহ্যের মধ্যে তাই চাকরিটা করা দরকার। বন্ধুর সাথে কথা বলে ঠিক করেছে কালই সিভি জমা দেবে আর মাত্র দু’দিন সময়ই নাকি বাকি। আড্ডায় তাকা অবস্থায়ই মাগরিবের আজান হয়। সাথে সাথেই মনে পড়ে একটু পর তাকে সেই মেয়েকে পড়াতে হবে৷ মেজাজটা মুহুর্তেই বিগড়ে যায়। কি বদ একটা মেয়ে প্রথম দিনই কিনা টিচারের চেহারা নিয়ে কথা বলে৷সাগরের মনে পড়ে যায় মাহির বিড়বিড় করে বলা কথাটা, ” এই খোঁচা দাঁড়ি ভরা জঙ্গলে ঢুকলে ও রক্ত খুঁজে পাবি বলে মনে হয় না যেই শক্ত চোয়াল ওনার”। নিজের অজান্তেই সাগরের ডান হাতটা উঠে যায় তার গালের উপর৷ হাতে লাগে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি । শেভ করবে করবে করে ও করা হয়নি কাল আর না আজ। তার ভাবনার মাঝেই বন্ধু জুয়েল ডাকে, ” কিরে নামাজে যাবি না? তুই তো আবার নামাজ মিস করিস না “।

–” হুম যাবো চল” বলেই সাগর আর জুয়েল মসজিদের দিকে রওয়ানা হলো।

আজকে মাহি সাদা একটা সেলোয়ার-কামিজ পড়েছে। সাদা সেলোয়ার সাদা কামিজ । কামিজে সাদা সুতোর কাজ আর তার সাথে লাল রঙের চুন্দ্রি দোপাট্টা । সম্পূর্ণ সাদার সাথে লাল ওড়নায় বেশ স্নিগ্ধ লাগছে মাহিকে৷ লম্বা চুল গুলোতে একটা বিনুনি। হাত দু’টোতে কিছু না পড়লে কানে একজোড়া রুপালি রঙের ছোট ঝুমকো পড়ে নিলো৷ দীর্ঘ দশ মিনিট খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আয়নায় দেখে নিলো নিজেকে৷ উড়ু উড়ু মনটা বলছে কিছু একটার কমতি রয়ে গেছে কিন্তু কিসের? মনে পড়লো একটা কালো টিপ আর একটু কাজলের কমতি৷ পড়ে আবার নিজেই নিজেকে গালি দিলো পড়তে যাবে এতো সাজের কি আছে? শেষ পর্যন্ত কাজল আর টিপের প্ল্যান বাদ পড়লো। বই খাতা নিয়ে হাটা দিলো সাগরদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। গেইট পেরুতেই দেখা হলো নিরবের সাথে হাতে তার একটা প্যাকেট। নিশ্চিত এতে মাহির পছন্দের কিছু আছে৷ অন্য সময় হলে মাহি হামলে পড়তো প্যাকেটের উপর কিন্তু এই মুহুর্তে তার সাদা টি-শার্ট ভাইয়ার কাছে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।নিরব একটু না না অনেকটা অবাক হলো মাহির আচরণে। বলতে গেলে বিষ্ময়ে বাকরুদ্ধ অবস্থা তার হাতের প্যাকেটের দিকে মাহির কোন খেয়ালই নেই।

–” কালকে কিছু কাজ দিয়েছিলাম তোমায় করেছো?” সাগর প্রথম প্রশ্ন মাহিকে করলো।

–” কি কাজ?” উল্টো প্রশ্ন করলো সাগরকে। সমুদ্র তো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল।

–” আর ইউ ম্যাড মাহিয়া? পড়ালেখায় কি তুমি একেবারেই আগ্রহী নও?”

–” আমি তো পড়ালেখার চেয়ে বেশি আপনার প্রতি আগ্র…. ” হায় হায় এ কি বলছে সে! নিজেই নিজের মুখ চেপে ধরেছে মাহি । সাগর রেগে তাকালো তার দিকে৷ সমুদ্র চোখ দু’টো রসগোল্লার মত করে দেখছে। বিশাললললল রকমের একটা কান্ড হয়ে যেতে পারে এখন ।

–” এ্যাই মেয়ে ফাইজলামি করছো আমার সাথে?”

–” স্যরি। ” মাথা নিচু করলো মাহি। তারপর কিছু সময় নিরবে কেটেছে সাগর বুঝে পায় না এই মেয়েটার পড়া শুরু করবে কি দিয়ে। সমুদ্র নিজের মত পড়ায় মন দিলো। আজ আর ভুল করেও ম্যাথ করবে না ভাই রেগে আছে। ইংরেজি পড়া নিয়ে বসেছে সাগর ও কিছু বলেনি। আধ ঘন্টা পর সাগর নিজেই আবার মাহিকে ম্যাথ করতে দিলো৷ মাহি ও এবার আর উল্টা পাল্টা কিছু করেনি৷ ঠিকঠাক ম্যাথ করছে যা ভুল ছিলো সাগর কে বলতেই সে বুঝিয়ে দিলো৷ কোন মতে এক ঘন্টার মধ্যে বিদায় করলো মাহি কে৷ আজ সারাদিনে ও দোলার সাথে কথা হয়নি তাই নিজেই কল দিলো। সাগর নিজের অনুভূতি নিয়ে বিপাকে আছে খুব। দোলাকে তার ভালো লাগে তবে সেই ভালোলাগা এক নাগাড়ে স্থির থাকে না কেন জানে না৷ পাঁচ, দশ মিনিট কথা বলার পরই আবার কেমন অস্বস্তি লাগে। এ কেমন ভালোলাগা বুঝে আসে না তার। প্রেম সে এর আগে ও করেছে কিন্তু তখন এমন কিছুই হয় নি। বরং প্রথম প্রেমটা তার খুব গাঢ় অনুভূতির ছিলো। পরে অবশ্য সেই অনুভূতির মাশুল রাতজাগা নিঃসঙ্গতার মধ্যে দিতে হয়েছিলো। আর দ্বিতীয় বার প্রেমটা ঠিক প্রেম নয়। গায়ে পড়া মেয়েকে একটু নাচানো আরকি। তবুও ডিজলয়্যাল ছিলো না সাগর। কিন্তু মেয়েটারই পোষালো না তাকে দিয়ে।

সাগরের ঘর ছেড়ে বের হতেই দেখা হয়েছে সাগরের দাদুনীর সাথে। মাহি বেশ ঝটপট ওড়ানাটাকে মাথায় তুলে লম্বা করে সালাম দিলো। এতেই বোধ হয় সাগরের দাদুনী বেশ খানিকটা কাত হয়ে গেলেন মুগ্ধতায়।

–” কেমন আছেন দাদুনী?”

–” আলহামদুলিল্লাহ আমি বালা আছি বইন। তুই কিমুন আছোছ?”

–” আমিও ভালো আছি”।

–” উহু, বালা থাকলে আগে আলহামদুলিল্লাহ কইবি।”

–” ভুল হয়ে গেছে দাদী পরের বার মনে রাখবো” বলেই মাহি মিষ্টি করে হাঁসলো। দাদুনীর বোধ হয় সেই হাঁসিটা নজর কাড়লো খুব৷ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বললেন, ” কি সুন্দর কইরা হাসোছ। কিল্লাইগ্যা জানি তরে আমার অন্নেক বাল্লাগে(ভাল্লাগে)। মন চায় আমাগো বাড়িত রাইখ্যা দেই একবারে”।

–” তবে রেখে দেন মানা করলো কে? সাদা টি-শার্ট ভাইয়া তো আছেই আনম্যারিড”। বিড়বিড় করেই জ্বিভ কাটলো মাহি। ইশ, দাদুনী যদি শুনে ফেলে!

–” কিছু কইলি মাহি?”

–” না না দাদুনী। আমি তো বললাম বাড়ি যাচ্ছি “। আমতা আমতা করে বলল মাহি। দাদুনী আর কথা যেখানে দাঁড়িয়ে বলছিলো সে জায়গাটা সমুদ্রের ঘরের দরজার সামনে৷ পর্দার পেছনে ঘরের ভেতর দাঁড়ানো সমুদ্র অস্পষ্ট হলেও শুনতে পেয়েছে মাহির কথা। তার মন বলছে এই দু’দিনে সে যা লক্ষ্য করেছে তা মোটেও ভালো কিছু নয়।

ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই পাখির কিচির মিচির শুরু। বাড়ির পাশে গাছগাছালি তেমন না হলেও দু’চারটে যা আছে তাতেই কিছু সংখ্যক পাখি নিজের নীড় বানিয়ে নিয়েছে। মাহির পরীক্ষা যত কাছে আসছে ততোই তার ঘুম বেড়ে চলছে। কি একটা বাজে অবস্থা । আজ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মাহি সাগরের কাছে ম্যাথ করছে। প্রথম দু’দিনের বিড়বিড় করা আর ম্যাথ না পারার লজ্জা কাটিয়ে উঠেছে সে। এখন যথাসম্ভব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে সাগরের সামনে। আর এই এক সপ্তাহে সমুদ্র কেমন যেন আঠার মত লেগে গেছে তার সাথে। সবসময় মনে হয় সমুদ্র কিছু একটা সন্দেহ করে কিন্তু কি তা বোঝে না মাহি। আর সমুদ্রের এমন জোকের মত লেগে থাকাটা খারাপ লাগে নিপার। তার ধারণা সমুদ্র তার বেস্টুর প্রেমে পড়েছে। মাহি বিছানা ছেড়ে এলোমেলো চুলেই নিজের ঘর ছেড়ে মায়ের ঘরে পা বাড়ালো। সকাল নয়টা বেজে গেছে তার মানে বাবা আর মাহিম কেউ এখন বাসায় নেই। তাই ওড়না ছাড়াই আলুথালু বেশেই মায়ের ঘরে ঢুকলো মাহি। মা বলে ডাকতে গিয়েই থমকে গেল মাহি তারপর কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যেই ভূত দেখেছে এমন ভয়ে চিৎকার করে উঠলো, ” আআআআআআআআ”

চলবে

(ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here