শিশিরের কহিনুর,১৩,১৪

0
711

#শিশিরের কহিনুর,১৩,১৪
#লেখিকাঃআরোহী নুর
#পর্বঃ১৩

শিশির অফিসে বসে আছে,লেপটপে কিছু কাজ করছে আপন মনে,তখনি ওর কেবিনে কেউ ঢুকে ভিতর থেকে দরজা লক করে নেয়,শিশির মাথা তুলে তাকিয়েই দেখে মাহি,আধোআধো কাপড় পড়ে এসেছে হয়তো শিশিরকে একটু মোহিত করবে বলে,শিশিরের মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে ওর মাহির দিকে তাকানোর কোনো ইন্টারেস্টও নেই,মাহি এঁকেবেঁকে কোমড় দুলিয়ে হেঁটে আসতে শুরু করলো শিশিরের পানে,সে কি চালঢালই না ওর,বিড়ালের মতো হাঁটতে হাঁটতে একদম শিশিরের পাশে এসে ওর কোলে বসবে ওর আগেই শিশির ওর চেয়ারখানা পিছনে নিয়ে নিলো আর বেচারি বেড়ালের মা ঠাস করে পরে গেলো নিচে,শিশির এতে বাঁকা হাসলো,বিড়ালনিটা কোমড় হাতাতে হাতাতে উঠে নেকা কান্না করে বললো।

বেবি তুমি এমন কেনো করলো।

এই বন্ধ কর তোমার নেকামো,আমি তোমার বেবি হলাম কি করে এতো বড় ছেলেকে কেউ বেবি বলে না কি।এখানে কেনো এসেছো এটা বলো?

আসলে তুমি আমাকে ব্লক করে দিয়েছো তোমায় না পেয়ে তোমার স্বরনেই আসলাম,আর শুধু আমি না রিতা,নিতা মিরা,ববি,নেন্সি,তারা এমনকি সবাইকেও তুমি ব্লক করে দিয়েছো।সবাই সে কি কষ্টে আছে তুমি ছাড়া।

এরা সবাই আবার কারা(ভ্রুযোগল কুঁচকে)

ওদের তুমি ভুলেগেছো শিশির ওরা তো তোমার এক্স।

ওরা আমার এক্স, ওহ মনে পড়েছে তো তুমি ওদের কোথাও পেলে।(আবারও ভ্রুযোগল কুঁচকালো শিশির)

সবাইকে আমি ফেসবুকে সার্চ করে করে বের করেছি আমরা সবাই মিলে একটা গ্রুপ তৈরী করছি,গার্লফ্রেন্ডস অফ শিশির, যেখানে শুধু তোমার গার্লফ্রেন্ডরাই আছে,ওখানে মোট ১৬০ জন মেয়ে আছে আরও ৫০-৬০ জন কে আমি এখনও খুঁজে পাই নি ওরাও তোমার এক্স।এমনকি এর থেকেও বেশি হতে পারে

শিশির তখন কফি খাচ্ছিলো কথাটা শুনে ওর কাশি উঠে গেলো,মুখ থেকে কফি ছিলটকে বেড়িয়ে গেলো,অবাক স্বরে বললো।

আমার এতো গার্লফ্রেন্ড ছিলো আর আমিই জানি না,বুঝেছি খোদা এজন্যই এমন মেয়ের উপর আমার মনটা আনলেন যে আমাকে সহ্যাই করতে পারে না,হয় তো বা এসব আমার বাঁদরামোর সাজাই আল্লাহর তরফ থেকে।

কি বলছো এসব বেবি বিড়বিড় করে,বলো না আমায় কেমন দেখাচ্ছে।

দেখো রিতা,শশী,মিতা সরি কি যেনো নাম তোমার,অহ মাহি তোমরা সবাই ভালো করে জানো আমি তোমাদের কারো সাথেই সিরিয়াস ছিলাম না আর তোমরাও তো সিরিয়াস ছিলে না,এখন আবার ওসব কেনো,দেখো আমি একা তো আর সবার হতে পারবো না,আর আমি কারো হবোও না,আমি শুধুই কহিনুরের, জীবনে এই প্রথম খোদা আমার মনে ভালোবাসার ফুল ফুটিয়েছেন আর সে ফুল কখনো মরবে না,কহিনুর আমার নিশ্বাসের সাথে মিশে গেছে,তাই ভালো করে শুনে রাখো আর তোমার ওই সখিগুলোকেও বলে দিও যে কাউকেও যেনো আমি আমার আশেপাশে না দেখি,নইলে কিন্তু কারো জন্যই ভালো হবে না,সবাই আমায় ভালো করেই চেনো,নাও গো,কহিনুর আসছে,আমি লোক পাঠিয়েছি ওকে আনতে ও এসে আবার তোমার সাথে আমায় দেখলে অন্য কিছু ভাবতে পারে,আর আমি চাই না ও আমায় ভুল বোঝুক,এমনিতেই আমায় বুঝতে চায় না।

কি বেবি,এসব ভালোবাসার কথা তোমার মুখে মানায় না,কাম টু মি আই উইল মেইক ইউ হেপি।

নেশালো কন্ঠে কথাটা বলে মাহি ওর পড়নের শার্টটা খুলতে শুরু করার আগেই ঠাস করে ওর গালে শিশির বসিয়ে দেয় শক্ত একটা,মাহি ঠাস করে পড়ে যায় ফ্লোরে,গালে হাত দিয়ে কান্নাভরা চোখে তাকিয়ে আছে শিশিরের দিকে,শিশির বর্জ্য কন্ঠে বলে উঠে।

গেট আউট বজ্জাত মেয়ে,নিজের ইজ্জত সামলাতে শিখো কেউ চোখ তুলে তাকানোর সাহস পাবে না,নাও গেট লস্ট, আমি আবার নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে জানি না আর তা তোমার ভালোয় জানা আছে নাও গো রাইট নাও।

মাহি আর দাঁড়ালো না সেখানে কারন ওর জানা আছে শিশিরের রাগ সম্পর্কে তাই বেড়িয়ে গেলো কান্না করতে করতে,যাবার পথেই ধাক্কা লাগলো কারো সাথে, সেটা আর কেউ না নুর ছিলো,পিছন থেকে লেডি গার্ড এসে ছুঁটে ওকে ধরলো আর বললো কহিনুর ম্যাম আপনি ঠিক আছেন তো,তখন মাহি বললো।

অহ আই সি,তবে তুমি নুর।শুনেছি শিশির তোমাকে নিয়ে অনেক পাগলামি করছে,তবে মনে রেখো মেয়ে সে পাগলামি বেশি দিনের না,ও তোমায় ছুঁড়ে ফেলবে নিজের মন ভরে উঠলো,যেমনটা আমি এবং আমার মতো অনেক মেয়েকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে,ও কখনোই তোমার হবে না,কারন ও কারোই হাতে আসার ছেলেই না,ও শুধুই তোমায় ইউজ করবে,শুধুই ইউজ,কথাটা বলে মাহি চলে গেলো ছুঁটে।

এ কি বলে গেলো মেয়েটা,উনি আমায় ইউজ করবেন,উনি ওই মেয়েটাকেও ইউজ করেছেন,এমনকি আরও মেয়েকেও।

আমার ভাবনার মাঝেই উনি কেবিন থেকে বেড়িয়ে এলেন মুখে অনেক রাগের ছাঁপ ছিলো যা আমাকে দেখতেই এক ফালি হাসিতে পরিণত হয়ে গেলো,ম্যানেজারকে অফিস দেখতে বলে আমাকে কোলে করে পুরো অফিসের সামনেই বাইরের দিকে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলেন,বজ্জাত ব্যাটা লজ্জা-শরম নেই,কথায় কথায় যারতার সামনে আমায় কোলে নেয় যেনো আমি হাঁটতেই জানি না,কোচিং গেছিলাম আজকে,আমার সিকিউরিটি ইনি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন,আগের মহিলা গার্ডগুলো পাল্টে আরও শক্তিশালী গার্ড রেখেছেন আমার সাথে,উনি সকালে আমায় কোচিং এ নিয়ে দিয়ে গার্ডগুলোকে আমার সাথে রেখে এসেছিলেন যেমনটা উনি রোজ করেন,আজকে ওদের বললেন কোচিং শেষে যেনো ওরা আমায় উনার অফিস নিয়ে আসে উনি না কি আমায় নিয়ে ঘুরতে যাবেন,তাই আসা, আজকে উনার সাথে ঘুরতে যাবো এটা শুনে কেনো যেনো খারাপ লাগলো না বরং অনেকটা ভালোই লাগছিলো,কিন্তু মেয়েটার কথা শুনে খারাপ লাগছে এখন,কিন্তু এমন কেনো হচ্ছে আমার,যেখানে খারাপ লাগার সেখানে লাগছে না আর যেখানে না লাগার সেখানে লাগছে,কিন্তু কেনো?মাথা আমার কনফিউশনে ভরে গেছে,মনটাও কেনো খচখচ করছে জানি না,মনটা যে আজ কাল আমার কোনো কথাই শুনে না।বার বার কেনো যেনো ওই মেয়েটার বলা কথা মনে পড়ছে,উনি আমায় ইউজ করবেন,উনার লাইফে আমার আগেও অনেক মেয়ে ছিলো,কিন্তু তবে আমার কি,উনাকে যখন আমি ভালোই বাসি না তবে উনি আমায় ইউজ করবেন কি করে,তাছাড়া উনার লাইফে অন্য মেয়ে থাকলেও বা আমার কি,কেনো খারাপ লাগবে আমার,কিন্তু কোনো মতে নিজের খারাপ লাগা ভুলতে পারছি না আমি,এদিকে উনি আনমনে ড্রাইব করছেন,একপলক তাকালাম উনার দিকে,মুখে একটা কিউট স্মাইল ঝুলিয়ে ড্রাইব করছেন উনি,ফর্সা গালে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি তার উপর এই বাকা হাসি,ঘন চোখের পাপড়িগুলো উপড়ের দিকে অনেকটা বাকিয়ে দেখতে যে কি লাগে,আমি এর আগে কোনো ছেলের এরকমটা দেখি নি,কেনো যেনো উনাকে দেখে যেতেই ইচ্ছে হচ্ছে আমার আজ,উনার লুকে কি করে কোনো মেয়ে ঘায়েল হবে না,এর মানে কি আমিও উনাতে ঘায়েল হচ্ছি,আরে না আমি কেনো উনার মাঝে ঘায়েল হবো,আমি কখন থেকে সুন্দরের পূজারী হয়ে গেলাম,ভালোবাসা যায় সুন্দর একটা মনকে যে মন উনার কাছে নেই,আর তাই আমার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতাও উনার নেই,চোখ ফিরিয়ে নিলাম উনার থেকে,কিন্তু হঠাৎ মনে দুইটা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে লাগলো কোনো কিছু না ভেবেই উনাকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম।

মি.খান আমার আগেও কি আপনার জীবনে অনেক মেয়ে ছিলো?আমাকেও কি ওদের মতো ছুঁড়ে ফেলবেন।

কথাটা বলতেই জোরে ব্রেক কষলো ব্যাঙটা,ব্রেকের তাল সামলাতে না পেরে আমি সামনে বারি খেতে নিয়েছিলাম কিন্তু তার আগেই আমার মাথার আগে উনি হাত রেখে দিলেন যাতে আমার মাথাটা বেঁচে গেলো।

আমি বেঁচে থাকতে তোমার কিছুই হবে না কহিনুর।

কথাটা বলে এগিয়ে এসে আমার কপালে চুমু কাটলেন আর মুখে হাসি ঝুলিয়ে বললেন।

হ্যাঁ তোমার আগে আমার জীবনে অনেক মেয়ে ছিলো,যাদের কারো নামও আমার ভালো করে মনে নেই,কারন ওদের কাউকেই আমি ভালোবাসতাম না,আসলে ভালোবাসা নামক জিনিসটাই আমার কাছে নিরর্থক ছিলো, কিন্তু তোমাকে দেখার পর থেকে ভালোবাসা নামক অনুভুতি আমায় জড়িয়ে নিলো নিজের সাথে মায়াবিনী, সত্যি বলতে আমি তোমার রুপ দেখে তোমার শরীরের মোহে পড়ি নি,পড়েছি তোমার ওই মনের লোভে,কখনো কাউকে নিয়ে ভাবিও নি,কিন্তু তোমায় নিয়ে পাগলামি চেঁপে থাকে মাথায় সর্বক্ষণ, তোমাকে আমি আমার সুখ দুঃখ সব কিছুর সাথী করতে চাই,তোমার কোলে মাথা রেখে কাটিয়ে দিতে চাই সারাজীবন,এমনকি চাই আমার মনরটাও যেনো তোমার কোলেই হয়,কারন আমি তোমায় ভালোবাসি কহিনুর।ওরা শুধুই টাইম পাস ছিলো আর তুমি আমার ভালোবাসা,তোমার আগে হয়তো অনেক মেয়ে আমার জীবনে ছিলো কিন্তু তোমার পর আর কেউ নেই আর কখনো থাকবেও না,কারন তুমি প্রথম মেয়ে যার উপর আমার মন এসেছে,যাকে আমি ভালোবেসেছি,আর তুমিই আমার প্রথম আর শেষ ভালোবাসা,আমার সবকিছু,আই লাভ ইউ কহিনুর।

কথাগুলো এতোসময় আমার দুগালে আলতো স্পর্শে ধরে বলছিলেন উনি,এবার আবারও আমার কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ে বললেন,

এবার আর কোনো কথা না আমরা বাইরে লাঞ্চ করবো তারপর অনেকখানে ঘুরতে যাবো তারপর সপিং তারপর বাড়ি কেমন।

কথাটা বলে উনি ড্রাইব করতে শুরু করলেন।

‌___________

হে রিয়া,আরে না তুমি দাঁড়াও আমি আসছি,আজকে দুজন মিলে বাইরে কোথাও লাঞ্চ করবো তারপর হাসপাতাল যাবো আবার, হুম আমি আসছি।কথাটা বলে কল টা কেটে চলে যেতে নিলে পথ আটকালো রোদেলা।

কি আছে ওই রিয়ার মাঝে যা আমার মাঝে নেই,কেনো তুমি এমন করো ভাইয়া বলো?

দেখ রিয়ার সাথে নিজের তুলনা করতে আসিস না, তোর মাঝে এমন কিছুই নেই যা ওর মাঝে আছে,ও তোর মতো এতো ইমমেচোওর,ফাজিল,আর বেহায়া মেয়ে না,ও যথেষ্ট মেচোওর আর আত্মসম্মান সম্পন্ন তাই ওর সাথে নিজের তুলনা করতে আসিস না,এবার সর আমার সামনে থেকে আমার দেড়ি হচ্ছে।

হ্যাঁ আমি ইমমেচোওর,বেহায়া ফাজিল,কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি,তুমি ছাড়া আর কাউকে কখনো ভালোবাসি নি আর বাসতেও পারবো না,আর তোমার মন জয় করার জন্য আমি যে কোনো কিছু করতে পারবো,এতে আমার কিছু যায় আসে না।আজ তুমি আমায় ফিরিয়ে দিচ্ছোতো ভাইয়া ঠিক আছে কিন্তু একদিন দেখো সেই তুমিই আমার একটু ভালোবাসার জন্য ছটফট করবে আর হয়তো সেদিন অনেক দেড়ি করে ফেলবে তুমি।

হা হা হা সেদিন আর আসবে না আমি এটা ভালোয় জানি,এবার পথ ছাড় আমি যাবো।

কথাটা বলে হাসতে হাসতে আকাশ চলে গেলো,রোদেলা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চোখের জল মুছে চলে গেলো ঘরের ভিতর।

‌__________

সন্ধ্যা হয়ে গেছে বাড়ি ফিরছি আমরা,উনি ড্রাইব করছেন,উনি আমায় প্রথম একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিলেন,সেখানে আমার খেতে একটুও ভালো লাগে নি কারন এটা নয় যে খাবার ভালো লাগে নি কারন হলো এটা যে চারপাশের মেয়েগুলো উনাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিলো,যেখান যেখানেই গেলাম আশেপাশের মেয়েগুলো শুধু উনাকেই গিলে খাচ্ছিলো,হা হয়ে তাকিয়ে থাকে,হয়তো এমনটা সবসময় ঘটে কিন্তু আমি আজকেই লক্ষ্য করলাম ওই মেয়েটার কথায় হয়তো এখন এসব খেয়াল হচ্ছে আমার,এ তো যেখানেই যাক এক সাথে ১০০ টা মেয়ে পটিয়ে নিয়ে আসতে পারবে খনিকেই তবে কেনো আমার পিছনই পরে আছে,আমিও যে হুরপরী এমন কিছুও তো নয়,তবে কেনো আমার পিছন পরে থাকে,না আবার আমার থেকে লুকিয়ে আরও অনেকটা রিলেশনেও আছে ব্যাঙটা,আর থাকলেও বা আমার কি,ধুর কিছুই বুঝতে পারছি না আমি।এদিকে কি না কি সপিং করিয়ে দিয়েছে আমায়,এতো সপিং কেউ একদিনে করে না কি,এ তো মনে হয় আমার জন্য পুরো বাড়িটাকেই শপিং মল বানিয়ে দিবে,প্রথমে কিছু কিনতে চাই নি,বাড়ি যেতে চেয়েছিলাম খাওয়া পড়েই কিন্তু এর রাগি লুক দেখে বাড়ির নামটাই ভুলে গেলাম,এর খুশিমতো সপিং করলাম,ঘুরতে গেলাম,আর জানি না কোথা থেকে আমার পছন্দ অপছন্দ সব জেনে নিয়েছে,আমার টেডি পছন্দ জানতো তাই বলে এক সাথে ১০ টা হিয়া বড় বড় টেডি কিনে দিলো, কেউ নিজের বউকে এতগুলো টেডি একসাথে কিনে দেয় না কি,নিজের বাচ্চাকেও লোক আজকাল এতো টেডি একসাথে দেয় না হয়তো,আসলেই পাগল লোকটা,কেনো এমন পাগলামি করে এই জানে,মনে হয় ছোটবেলায় মাথায় বারি টারি খেয়েছিলো তাই মাথা একটু উল্টো চলে।

হঠাৎ উনার একটা কল আসলে উনি গাড়ি থামালেন,হয়তো লুকন্ত কোনো কাজের কথা তাই উনি গাড়ি থেকে নেমে একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলেন,গার্ডগুলো আমাদের গাড়ির পিছনের গাড়িতে,আমি গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি,হঠাৎ খেয়াল করলাম একটা মহিলা রাস্তার অপরপাশে বসে আছেন,মহিলাটির হাতে কিছু আছে,হয়তো কোনো ছবি,আর মহিলাটি মনে হচ্ছে ছবিটি দেখে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে কাঁদছেন,তখনি জড়ো একটা বাতাস বইলো,আর সেই বাতাসে মহিলার কাছ থেকে ছবিটা উড়ে উল্টো হয়ে এসে ঠিক আমার কোলে পড়লো,ছবিটা উড়ে আসায় মহিলাটি পাগলপ্রায় হয়ে ছবিটির পিছন উঠে আসতে লাগলেন,কিন্তু আমি কিছু করবো এর আগেই উনি এসে গাড়িটা ছেড়ে দিলেন,আমি উনাকে কিছু বললাম না,যে পাগল লোক কখন কি থেকে কি করে দেয় একে কিছু বলতেও ভয় করে আমার,ছবিটা আমি হাতে নিলাম,দেখতে পেলাম একটা ছোট বাচ্চার ছবি,কিন্তু এই ছবিটা আমি এর আগেও কোথায় জানি দেখেছি,কিন্তু কোথায়?ছবিটা আমি নিজের পার্সে ঢুকিয়ে নিলাম।

‌____________

বাড়ি পৌঁছে খাওয়াদাওয়া করে আমি আমাদের রুমের বারান্দার দোলনায় বসে পা দুলিয়ে দুলিয়ে আপেল খাচ্ছি আর চাঁদ দেখছি,উনি জরুরি কাজে বাইরে গেছেন, একটু সময়ের জন্য হলেও এখন আমি স্বাধীন তাই ভালো লাগছে,তখনি আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন রিনা খান,মানে আমার দাদী-শাশুড়ি,আমি ভয়ে কাচুমাচু হয়ে আছি উনাকে দেখে,উনি যে দৃষ্টিতে তাকান যেনো উনি বাহুবলি ২ ফিলমের রাজমাতা।রাজমাতা কঠোর স্বরে বলতে লাগলেন আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টি বজায় রেখে।

শুনো মেয়ে আমি জানি তুমি আমার নাতিকে ফাঁসিয়েছো,এত বড়লোক ছেলে কে হাতছাড়া করতে চায়,আমি এখানে বেশি কিছু বলতে আসি নি শুধু এটা বলতে এসেছি যে তুমি আমার নাতিকে ছেড়ে দাও,ওর মনে নিজের জন্য ঘৃণা তৈরী করো বদলে তুমি যা চাইবে তাই পাবে,টাকা পয়সা সোনা গয়না দিয়ে ভরিয়ে দিবো তোমার পরিবারকে,যাতে আর কখনো কোনো বড় ঘরের ছেলেকে পটাতে হবে না তোমাদের এগুলো দিয়েই তোমাদের জীবন আয়েশে কেটে যাবে।

চলবে……

#শিশিরের কহিনুর
#লেখিকাঃআরোহী নুর
#পর্বঃ১৪

রিনা খানের কথায় আমার অনেক খারাপ লাগলো,আমি মাথা নিচু অবস্থায়ই বললাম।

উনি আমায় জোর করে এখানে রেখেছেন,আমি বা আমার পরিবার উনাকে পটানোর কোনো ধান্দা করি নি,হয়তো আমাদের এতো অর্থ বিত্ত নেই তার মানে এই নয় যে আমার মা বাবা টাকার লোভে নিজের মেয়েকে ছেলেদের পিছন লেলিয়ে দেবেন।

চুপ বেয়াদব মেয়ে ছোট মুখে আবার বড় বড় কথা,ভালো করে চিনি আমি তোমাদের মতো ছোটলোকদের,ভালো প্রপোজাল নিয়ে এসেছিলাম মানলে না তো কিন্তু শুনে রাখো মেয়ে আমার নানু ভাইয়ের জীবন থেকে আমি তোমায় উপড়ে ফেলবোই।

উনি ধমক দিয়ে কথাটা বলে ওখান থেকে চলে গেলেন, আমার চোখ দিয়ে পড়ছে অজোরে জল,আমার আর আমার পরিবারকে নিয়ে এসব কথা শুনে খারাপ লাগছে, চাইলে আমিও জবাব দিতে পারতাম কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই দেই নি কারন আমার মা বাবা আমায় বড়দের অসম্মান করতে শিখান নি।

এদিকে সমস্ত ঘটনা চোখে পরলো রোদেলার,ও তখন বারান্দার দরজার সামনেই খাড়া ছিলো,আসলে ও এসেছিলো নুরের সাথে কিছু গল্প করবে বলে আর এসে এসব চোখে পড়লো ওর।রোদেলা এবার এগিয়ে গেলো নুরের কাছে।

ভাবি তুমি দাদিমার কোনো প্রতিবাদ করলে না কেনো,উনি কি করে এসব তোমায় বলতে পারেন।আমি ভাইয়া এলে সব বলবো।

না না রোদেলা এমনটা করো না,তোমার ভাইয়া শুনলে অনেক রাগ করবে,আর আমি চাই না আমার কারনে দাদিমা আর মি.খানের মধ্যে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হোক।

এতো ভালোমানুষি আজকাল দেখানো ঠিক না ভাবি,আমি ভাইয়া এলে সবকিছু বলবো,দ্যাট’স ফাইনাল।

আরে শুনো রোদেলা,আমার কথা শুনো।

রোদেলা হনহনিয়ে রুমের বাইরে চলে গেলো,নুরও ওর পিছন পিছন গেলো ওকে বুঝানোর জন্য।

‌__________

রোদেলাকে অনেক বুঝালাম কিছুতেই বুঝছে না ও নাকি মি.খানকে সব বলে দিবে,আর আমি জানি বিষয়টি শুনলে উনি কি করবেন,আমি যে চাই না আমাকে নিয়ে উনি কারো সাথেই কোনো সমস্যা সৃষ্টি করুক,আমি কখনোই কোনো অশান্তির কারন হতে পারি না,এদিকে দাদিমার বলা কথাগুলোও মন থেকে যাচ্ছে না, অনেক খারাপ লাগা কাজ করছে আমার ভিতর তাই কান্নাও আসছে অনেক,বিছানায় বসে শান্তিমতো কান্না করছিলাম হঠাৎ দরজা দিয়ে উনি প্রবেশ করলেন,উনার উপস্থিতি টের পেয়েই আমি ঝটফট চোখ মুছে ফেললাম কিন্তু ব্যার্থ হলাম এই ঈগলের চোখ ফাঁকি দিতে,ছুটে আসলো আমার পাশে আর পাগলপ্রায় হয়ে জিজ্ঞেস করতে শুরু করলো।

কহিনুর কি হয়েছে তোমার,কান্না করছো কেনো?কেউ কিছু বলেছে তোমায়,কে কি বলেছে শুধু নাম বলো আমায়,বলো না কহিনুর কি হয়েছে?

কিছু না, আসলে ওই বাড়ির কথা মনে পড়ছিলো তাই।

ভাবি মিথ্যে বলছে ভাইয়া সত্যটা আমি বলছি।

ঠক করে রোদেলা রুমে প্রবেশ করলো আর কথাটা বলেই সেসময়ের সমস্ত ঘটনা হুবহু উপস্থাপন করলো উনার সামনে,আমি ইশারা দিয়ে কতো মানা করলাম একটা কথাও শুনে নি,এবার ষাঁড় টারে কে সামলায়,খনিকেই ফর্সা মুখ রক্ত বর্ণ ধারন করলো,দাদিমা বলে চেঁচিয়ে হন হন করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো আমরা দুজনও সাথে দৌঁড় দিলাম,আমি উনাকে বার বার আটকাতে চাইছি আমার কোনো কথা কানেই যেনো ঢুকাচ্ছেন না,উনার চেঁচানোতে সমস্ত ঘর একত্রে এসে গেলে খনিকের মধ্যেই,দাদিমাও বেড়িয়ে এলেন।

কি হয়েছে নানুভাই, এভাবে ডাকছিস কেনো?

তুমি কহিনুরকে কি বলেছো দাদিজান।

ওহ, তো আসতে না আসতেই ছোটলোকটা সব কিছু সুর সুর করে বলে দিয়েছে।

কথাটা দাদিমা আমার দিকে তাকিয়ে ব্যাঙ্গ করে বললেন, কথাটা শুনার সাথে সাথে উনি শক্ত কিছু নিয়ে একদম দাদিজান এর কানের সাইড বরাবর ছুঁড়ে মারলেন যা দাদিমায়ের পিছনের দেয়ালে গিয়ে পড়লো,দাদিমা কেঁপে উঠলেন চোখ উনার ছলছল করছে,উনি গর্জে উঠে বললেন।

আজ যদি তুমি আমার দাদিজান না হয়ে অন্য কেউ হতে তবে ফুলদানিটা কানের পাশ দিয়ে না গিয়ে ঠিক মাথা বরারবর যেতো,আমার কহিনুরকে ছোটলোক বলার অপরাধের সাজা যে মৃত্যু থেকেও ভয়াবহ হতো তোমার জন্য।

কথাটা বলে উনি রাগে সবকিছু ভাঙতে শুরু করলেন,রাগটা দাদিমার উপর বার করতে পারছেন না তাই ভারী সবকিছু দাদিমার আশপাশ দিয়ে ছুঁড়ে ফেলছেন,দাদিমা বাড়ে বাড়ে কেঁপে উঠছেন,উনি জোড়ে জোড়ে চেঁচাচ্ছেন,এটা ওটা ভাঙছেন,উনার এই রুপে সবাই টগবগিয়ে কাঁপছে। উনি গর্জে গর্জে বলছেন।

কেনো দাদু, দাদু কেনো,কোনো তুমি এমন করলে?তুমি জানো না কহিনুর আমার জন্য কি,তুমি জানো না,ও আমার সব,আমার সুখ আমার শান্তি,কেনো তুমি এমন করলে?আমার মায়ের পর একমাত্র তোমাকেই আপন মেনেছিলাম আমি কিন্তু আজ তুমিও আমার পর হয়ে গেলে,তুমি শুধুই আমার পর,আমার কহিনুরকে তুমি ওসব বলেছো,তুমি আমার কহিনুরকে আমার থেকে আলাদা করতে চেয়েছো তুমাকে আমি বাঁচিয়ে রাখবো না,তোমাকো আমি মেরে ফেলবো,শেষ করে দেবো আমি তোমাকে।

কথাটা বলে একটা ধারালো চাকু নিয়ে উনি দাদিমায়ের দিকে তেঁড়ে যেতে লাগলেন,সবাই হতবাক হয়ে আছে মি.খান যে অতিরিক্ত রাগে কাউকেই চেনেন না,যা তা করতে পারেন সবাই তা জানে,সবাই কি করবে ভেবে পাচ্ছেন না,দাদিমা একজন কাজের লোককে জোর গলায় বললেন কিসের একটা ওষুধ ঝটফট নিয়ে আসতে,এদিকে উনি অনেক এগিয়ে গেছেন দাদিমায়ের দিকে,অঘটনটা এখন এই মুহুর্তে শুধু আমিই আটকাতে পারি তা আমার ভালোয় জানা আছে,তাই আর অন্য কিছু না ভেবে আমি গিয়েই উনাকে জড়িয়ে ধরলাম,আর বলতে লাগলাম।

আমি আপনাকে কখনোই ছেড়ে যাবো না মি.খান। যে যাই বলুক আমি কারো কথায় কখনো আপনাকে ছেড়ে যাবো না,আমি আপনার সাথে থাকবো সবসময় সারাজীবন,আপনি প্লিজ শান্ত হন।

এতোগুলো মিথ্যে কথা আমি উনাকে শান্ত করার জন্য বললাম,আর হয়তো তা কাজেও দিয়েছে।

নুরের এভাবে ধরায় আর এসব বলায় শিশির থমকে গেলো, নিমিষে শান্ত হয়ে পড়লো,হাত থেকে পরে গেলো ওর চাকুটা,ও যেনো হিংস্রতার জগত থেকে স্বাভাবিক জগতে ফিরে এলো,নুর এবার ওকে ছেড়ে ওর গালে হাত দিয়ে বললো।

হয়েছে আর রাগ করতে হবে না,এবার চলেন আমার সাথে।

কথাটা বলে নুর শিশিরের হাত ধরে ওকে নিয়ে যেতে লাগলো,শিশির শান্ত ছেলের মতো ওর সাথে যেতে শুরু করলো,সবাই হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে,যে শিশিরের এমন রাগ কখনো ওকে শান্ত করার ওষুধ ছাড়া ধমে না সে রাগ আজ নুরের একটু ভালোবাসা খনিকে উধাও করে দিলো,সবাই হতবাক হয়ে আছে কারো যেনো উক্ত এই ঘটনাতে বিশ্বাসই হচ্ছে না,সবার বুঝতে আর বাকি রইলো না যে এখন শিশিরের রোগটাও যেমন নুর ওর ওষুধটাও নুরই।

আজ ওই মেয়ের জন্য আমার দাদুভাই আমায় মারতে এসেছিলো যে নাকি কখনো আমার কোনো কথার অবাধ্য হয় না,তবে আমিও দেখে নিবো ওই মেয়েটাকে,আমার নানুভাইকে একদম বশে করে নিয়েছে।

রুমে এসে উনি জেদ করা শুরু করলেন উনি আর আমাকে নিয়ে এখানে থাকবেন না,উনি আমাকে নিজের ভুতিয়া মহলে নিয়ে যাবেন আর সেখানে না কি আমার পুরো পরিবারকে এনে দিবেন যাতে আমি খুশি থাকি তবুও উনি এখানে আমাকে নিয়ে থাকবেন না,উনি আমাকে নিয়ে কোনো চান্স নিতে চান না আর,কিন্তু আমি চাই না এভাবে উনাকে উনার পরিবার থেকে আলাদা করি তাই অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে নিজের কোলেই ঘুম পারালাম সকালে যাবো বলে,এখন আপাতত শান্ত করলাম ষাঁড় টাকে সকালে বুঝিয়ে যাওয়া থেকে আটকাবো নে,অনেক পঁচা লোকে বলে নারীরা নাকি ছলনাময়ী হয়,আমি সেটা কখনো মানি না কিন্তু আজ যে আমিও ছলনার আশ্রয় নিলাম,যে লোকটাকে আমি সহ্যই করতে পারি না তাকে শান্ত করতে মিথ্যে ভালোবাসা দেখালাম,এমনকি নিজের কোলে ঘুম পারিয়ে বসে আছি,লোকটা ঠিক বাচ্চাদের মতোই অবস্থা করে আর বাচ্চাদের মতোই ঘুমোয়,কতো নিষ্পাপ লাগছে এখন একে দেখতে,কতো সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে,মুখে যে এখন কোনো হিংস্রতার ছাঁপ নেই,খারাপ লাগছে আমার অনেক,লোকটার সাথে ছলনা করে আমি ঠিক করি নি,কিন্তু আমার কি করার ছিলো আমি তখন উনাকে না আটকালো উনি তখন কি অঘটনটাই না ঘটিয়ে দিতেন,আর আমি জানতাম আমিই পারবো উনাকে আটকাতে,কারন উনি আরও অনেকবার এভাবে আমায় আকরে ধরে নিজের রাগ কন্ট্রোল করেছেন আর সেই ট্রিক আজ আমি কাজে লাগিয়েছি।

‌‌_______________

সকাল সকাল উনি আমাদের কাপড় প্যাক করে নিয়েছেন আমি অনেক বলেও উনাকে কোনো কথা শুনাতে পারছি না,কেউই উনাকে আটকিয়ে কথা মানাতে পারছে না,রিনা খান ভয়ে ভয়ে উনার কাছে মাফ চাইলে উনি উনার দিকে তাকাচ্ছেনও না,তারপর অনেক কষ্ট করে রিনা খান উনার কাছ থেকে মাফিনামাটা পেলেন কিন্তু সেটা শর্ত অনুযায়ী,উনার শর্ত ছিলো যে রিনা খান আমার কাছে মাফ চাইলে উনি উনাকে মাফ করবেন,তারপর রিনা খান না চাইতেও কতো ভাবভঙ্গি নিয়ে আমার কাছে মাফ চাইতে এলেন হাত জোড় করে,হাত জোড়টাও উনার শর্তের মধ্যে ছিলো তাই,তবে আমি সম্মান করে উনাকে মাফ চাইতে দেই নি,যাক অবশেষে কোনোরকমে পরিস্থিতি যে সামলে গেছে সেটাই অনেক,তারপর উনি সবাইকে আবারও একটা শর্ত দিলেন যে ঘরের কেউ যাতে আমাকে ফুলের টোকাও না দেয়,কারন আবার এমন কিছু হলে উনি ঘর ছেড়ে পরে যাবেন আগে সে সদস্যকে সঠিক স্থানে পৌঁছাবেন।

‌_________

উনি অফিসে গেছেন,বাড়ির সবাইও এই মুহুর্তে যার যার কাজে,আমি আপন মনে বসে আছি আমাদের রুমের বারান্দার দোলনায়,তখনি কালকের সেই মহিলাটির কথা মনে পড়লো,ছবিটার কথা তো আমি ভুলেই গেছিলাম,ভাবলাম ছবিটা বের করে দেখি,ছবিটা এর আগেও তো আমি কোথাও যেনো দেখেছিলাম,রুমে গিয়ে পার্স থেকে ছবিটা বের করলাম,অনেক ভাবার পর আমার খেয়াল হলো আমি ছবিটা উনার একটা এলবামে দেখেছিলাম,এলবামটা উনার আলমারিতেই আছে,আমি আলমারি খুলে এলবামটা বের করলাম,ওটার উপরে বড় করে লেখা বেস্ট ডেইজ ওফ মাই লাইফ,এটা আমি আগেও দেখেছি একবার উনার কাপড় বাজ করতে গিয়ে চোখে পড়েছিলো তখন আজ আবারও দেখলাম নতুন করে,ওখানে অনেক সুন্দরী একজন রমণীর সাথে একটা ছোট ছেলের ছবি,রমণীর চোখ মুখ নাক ঠিক দেখতে উনার মতো,আর রমণীর সাথের ছেলেটারও গঠন প্রকৃতি ঠিক উনারই মতো,তবে কি এটা মি.খানের ছোটবেলার ছবি আর এই মহিলাটি কি উনার মা,কিন্তু তাজ্জবের কথা হলো কালকে আমি যে ছবিটা পেয়েছি ওই ছবিটা এই এলবামেও আছি,কিন্তু এলবামের ছেলেটা যদি উনি হয়ে থাকেন তবে এই ছেলেটাও উনি,কিন্তু ওই মহিলাটির কাছে উনার ছবি গেলো কি করে,কে ছিলো ওই মহিলা,মাথায় আমার অনেক প্রশ্ন ঘোরপাক খেতে শুরু করলো।

এদিকে মাহেরা কালকের ঘটনার পর অনেক চিন্তায় পড়ে গেছে,ও যতটা সহজ ভেবেছিলো শিশিরকে নুরের মায়া থেকে বের করা ততোটা সহজ নয়,তাই সে অনেক ভেবেচিন্তে বড়সড় কিছু প্লেন করছে।

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here