#শুকনো_ঘাস_ফুল?,#part:1
#natasa_islam_muntaha
আহিবার বিয়ে হয়েছে সবে মাএ আজ দুই দিন আর আজই তাকে বরন করে নিতে হচ্ছে নিজের স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের বউ এনি কে ,,,,,,,
?কিনা,,,কপাল তার
আহিবা হাসি মুখে তার স্বামী মি.আহাদ খানকে আর এনি কে বরন করে নিচ্ছে ,,সদ্য বিবাহিত এক দম্পত্তি তারা ,,আহিবার ভিতরে সামান্য আফসোস টুকুও নেই ,,মনে হয় সে আগেই জানতো এমন কিছু হবে
আহিবা : আপনা ভিতরে বসুন …সুমি ( কাজের মেয়ে ) তাদের কে মিষ্টি মুখ করাও আমি একটু রুমটা ঠিক করে সাজিয়ে দেই
সুমি মুখটা হালকা বেকিয়ে : আইছা আফা
আহিবা চলে যায় সদ্য বিয়ে করা নব দমপ্তির বাসর ঘর সাজাতে ,,,খুব সুন্দর ভাবে সাজায় একদম তার মনের মতো করে সাজানো শেষ হতেই এনিকে নিয়ে এসে খাটের মধ্যে বসিয়ে দেয় …তারপর রুম থেকে চলে যায় …
?
?পরের দিন সকালে ,,,,,?
? ?
?
আহিবা আর সুমি টেবিলে খাবার গোচাচ্ছিল তখন আহাদ আর এনি সিরি বেয়ে নিচে নামছে …
আহিবার চোখ যায় এনির সদ্য গোসল করা ভেজা চুল গুলোর উপর না চাইতেও একটা দীর্ঘশ্বাস পরে যায় সে যে বাঙালী নারী তার কাছে সব কিছুর ভাগ থাকলেও স্বামীর ভাগ দেওয়া সব থেকে কঠিন ,,
আহাদ আর এনি এসে টেবিলে বসে সুমি আর আহিবা তাদের খাবার বেড়ে দিচ্ছে ..চুপচাপ করে
এনি : আহিবা তুইও বসনা
আহিবা : আপু থাকনা তুই খা
আহাদ 🙁 হালকা ঝাড়ির সুরে ) আহিবা তাকে সম্মান দিয়ে কথা বলো
আহিবা : আআসসলে এতো দিনন এএর অভ্যাাস তো
এনি : আহ থাক না
আহাদ: আল্লাদ দিও না
এনি : হুম
আহিবা ওখান থেকে চলে যায় রান্না ঘরের দিকে ,,,,
সেখানে গিয়ে সব কিছু ঘুছিয়ে তার রুমের দিকে পা বাড়ায় ,,সকালে খেয়েছে কিনা সেটা জিঙ্গাস করার মানুষটাও নেই ,,,
আহিবা সবে মাএ এস এস সি পরিক্ষা দিয়েছে পরিক্ষার ২ দিন পরই আহাদ এর সাথে তার বিয়ে হয় আর তার ঠিক আজ দিন নিয়ে তিনদিন যদিও তার স্বামী তো তাকে বিয়ে করার দুদিন এর মধ্যেই তারই বোনকে ….
?থাকনা কিছু কথা
পুরনো ডাইরীর ঐ ধুলো মাখা পৃষ্টাটার মধ্যে আঠা
খুজবে না কেউ সেই কথা
ভালো না মন্দ সমৃদ্ধ মনের সেই নদীর ভাটা
ভাগ্যটা বড্ড হাসায়
দড়ি হীন শুন্য ভ্যালায়
তবুও আশার আলো দেখতে চায় মন
কখন আশে সেই অন্তিম ক্ষন,,,
[ কবিতায় জেবিন ]?
আহিবা তার রুমের ঐ ছোট জানলাটার কাছে গিয়ে দারায় জানালাটা খুলে দিবে বলে জানালা ঠাকা দিলেই ক্যাচ ক্যাচ করে খুলে যায় বৃষ্টির পানি পরে জানালার গোড়ায় জং ধরে গিয়েছে আর তার জন্যই এমন শব্দ ,,,
আহিবা তার শান্ত দৃষ্টি নিয়ে বাহিরে একটা আমলকি গাছের উপর থামায় সেখানে তিনটা কালো পাখি বসে আছে একটা যে বাচ্চা তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আহিবা নিজের স্বপ্ন গুলোর কথা ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ,,,
আহিবা: স্বপ্ন গুলো তোমার জন্য না ভুলে যাও নিজের স্বপ্নকে ,,,,,,তাদের হাড়িয়ে যেতে দাও তবেই তুমি ভালো থাকবে ,,,
সুমি:আফা আইজগো কি রানদা করুম
আহিবা:বিয়ে বাড়িতে যা যা রান্না করে …আর তারা মনে হয় আজ দুপুর এ খেয়েই আসবে ,,,এখন রান্নার এতো জের না দিলেও হবে ,,তুই বরং হালকা কিছু রান্না কর
সুমি:আইচ্ছা আফা ,,,আম্মে সকালে খাইছেন মুই দেখি খাওন যেমন বাইড়া থুইছি হেমনই আছে
আহিবা:আমি খাবো না তুই যা আমি আসছি
সুমি:আইছা
বলে রুম থেকে চলে যায় …আহিবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে খোলা চুলগুলো হাত খোপা করতে করতে রান্না ঘরের ূিকে পা বারায় যতোই হোক সে এখন এক বাড়ির বউ না চাইলেও এই বাড়িটা তাকে সামলে রাখতে হবে …..
আহিবা রান্না ঘরে গিয়ে সুমিকে পাঠিয়ে দেয় নব দম্পত্তির রুম ঘোছাতে ,,,তার যেতে ইচ্ছা করছে না …হঠাৎ আহিবার ফোনটা ভেসে ওঠে সেখানে স্পষ্ট মা লেখাটা দেখে আহিবার বুকের ভিতরটা ছ্যাত করে ওঠে ,,আহিবা ফোনটা রিসিভ করতেই তার মা
মা:কেমন আছিস মা
আহিবা:হু ভালো
মা:কি রে রাগ করে আছিস
আহিবা:নাহ
মা:মা দেখবি আহাদ খুব ভালো…তুইও খুব ভালো ভাবে মানিয়ে নিতে পারবি তা তোর শশুর শাশুড়ী কই
আহিবা :(তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে )ঠিক বলেছো মা আর বাবা না তারা তো পরশুই জাপানে চলে গেছে নাইমা আপু নাকি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেছে তাই আসবে হয়তো কয়দিন পর
মা:ওহ ,,ওহ তোকে তো বলতেই ভুলে গেছি এনি নাকি বাড়ি দিয়ে পালিয়ে গেছে কোনো ছেলের সাথে ,,,কি মেয়ে ,,,কার না কার কপাল পুড়ছে আল্লাহই জানে শুনেছি ছেলেটার নাকি আগে বিয়ে আছে ,,,আহাড়ে বেচারী বউটা না জানি এখন কি করছে ,,আর কেমনই বা বউ নিজের স্বামীকে আটকে রাখতে পারে না ,এটা তো কোনো সংসার করার জগ্যই না ছিহ ছিহ শোন
আহিবার এই কথা গুলো একদম ভালো লাগছে না তাই
আহিবা:মা পরে কথা বলো এখন ফোন রাখছি ,,,,
বলেই ঠাস করে ফোনটা কেটে দেয় তার মা কি বলে বা না বলে সেটা শোনার জন্য ওয়েট না করেই ,,,,
আহিবা:কথাটা তিতা হলেও সত্যি আমার যগ্যতা নেই স্বামীর সংসার করার ,,,,,,,রাহুল ভাই ঠিকই বলতো আমার কপালে স্বামী থাকলেও স্বামীর সংসার করার কপাল জীবনেও হবে না ,,রাহুল ভাই তোমার অভিশাপ টা আজ পাইটু পাই মিলে গেছে দেখেছো ,,,এমন অভিশাপ না দিয়ে বলতে মরে যেতে তাওতো ভালো হতো ,,,সবাই বলে কবুলের জোর আসলেই কি কবুল এর জোর আছে …?
বুঝতে পারছি না ,,
তরকারি হালকা পোড়ার গন্ধে আহিবার হুস আসে তারাতারি করে তরকারিটা নামিয়ে রাখে ,,,
তারপর গোসল করতে চলে যায় …
গোসল করে আজ একটা হালকা সবুজ রং এর থ্রিপিজ পরেছে সাড়ি পরতে ইচ্ছা করছে না ..আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে ভালো করে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে আহিবা নিজেকে তার মধ্যে ঠিক কি খুত আছে নাহ সে হাফিয়ে উঠেছে ..এর মধ্যেই আহাদ রুমে আসে ,,,,,,,
আহাদ:এনির মাথা বলেই অপ্রস্তুত হয়ে পরে
সাথে আহিবাও কারন তার গায়ের ওড়নাটা খাটের কোনায় রাখা আহিবা কোনো রকমের দৌড়ে গিয়ে ওড়নাটা টেনে এনে গায়ে জড়ায়
আহিবা কিছুটা দূরে দাড়িয়ে
আহিবা:ববববললুনন ককি বববললততে আসসিললেন
আহাদ:আসলে সুমি কি জানি কাজ করছে এনির মাথা ব্যাথা করছে একটা লেমন জুস করে দিতে পারবে
আহিবা হালকা কেপে ওঠে আহাদ এর মুখে তুমি ডাকটা শুনে
আহিবা : আআচ্ছা আমি দিচ্ছি আপনি আপুর কাছে যান
আহাদ আর এক মুহূর্ত না দারিয়ে চলে যায় আহিবার রুম দিয়ে
আহিবা নিজের মাথায় নিজে চাপর দিয়ে : এখন থেকে আর কখনও ওড়না কোতবাও খুলে রাখবি না নিজে নিজে ইচ্ছা মতো বলতে থাকে তার পর লেমন
জুস বানিয়ে,,,,,
এনির রুমের দিকে আগায় দরজা খোলাই ছিল তাই ডুকে যায় আর গিয়েই দেখে এনিকে বুকে নিয়ে কপালে চুপু খাচ্ছে আর হাতের আগুল গুলো নিয়ে দুজনে ফাজলামি করছে আহিবা এসেছে সেটা ওরা দুজন কেউই দেখে নি আহিবা তারাতারি রুম থেকে বেড়িয়ে যায় জুস হাতে নিয়েই তারপর ডাক ছারে সুমির নাম ধরে
আহিবা: সুমি
সুমি : যে আফা
আহিবা; কি করছিস
সুমি : এই তো থালবারটি গুলা ধুমো হেইয়া নিয়া ভিজাইছি
আহিবা: আচ্ছা ওটা আমি করছি এই নিয়ে গিয়ে তোর ছোট সাহেবের রুমে দিয়ায়
সুমি : আইচ্ছা দেন মোরে
সুমি গ্লাস নিয়ে কিছুদূর যেতেই আহিবা আবার ডাক দেয়
আহিবা: সুমি ?
সুমি ( থেমে আহিবার দিকে তাকিয়ে ): যে
আহিবা: ঘরে ঠোকার আগে জিঙ্গাস করে নিস
সুমি একটু সময় আহিবার দিকে তাকিয়ে কিছু না বলেই আহাদ এর রুমের দিকে পা বারায় ,,,,
আহিবা না চাইতেও বার বার তার চোখ জোরা ভিজে উঠছে ,,,
চলবে,,,,