#শুকনো_ঘাস_ফুল?,part::11,12
#natasa_islam_muntaha
#part::11
???
??
?
আহিবার চোখ থেকেও টপ টপ করে পানি পরছে …….আহিবা কি বলে আহাধকে শান্তনা দিবে সেটা তার জানা নেই ….আহাধ বাচ্চাদের মতো ফুপিয়ে কাদছে ..আহাধ এর জ্বর থাকায় সে সেন্সলেজ হয়ে ঢলে পরে আহিবার উপরেই
আহিবা:রাফি ভাইয়া ওনাকে ধরো
রাফি:আরে কি হলো
আহিবা:ওনার জ্বর কাল রাত থেকে
রাফি:ওহ …কি যে শুরু হয়েছে দেখি তুমি সরো আমি ওকে রুমে নিয়ে যাচ্ছি
রাফি আহাধকে অনেক কষ্টে রুমে নিয়ে যায় …
আহিবার বাসায় ও এই খবর চলে গেছে যে আহাধ এর আব্বু আম্মু আর আহাধ এর বোন আতিকা …America থেকে আসার পথে accident করেছে তার তিন জনই সেখানেই মারা যায় কিন্তু গাড়িতে কোনো ড্রাইভার ছিল না গাড়িটা মাঝ পথে এসে হঠাৎই ব্লাস্ট করে আর এতেই আহাধ এর পরিবার শেষ হয়ে যায় ..
রাফি ওদের বাসার ডাক্তারকে ফোন করে আসতে বলে সে এসে আহাধকে ২ ঘন্টা ঘুমানোর একটা ইন্জেকশন দিয়ে সাথে জ্নর থাকার জন্য সেটাও যাতে কমে যায় …
রাফি গিয়ে তাকে এগিয়ে দিয়ে আসে
…আহাধ এর দাদী স্টোক করেছে তাকে ICU তে ভর্তি করানো হয় …আহাদ এর কাকা সেই কখন থেকে তার ভাইয়ের লাশ এর কাছে বসে আছে সে যেন কাদতে ভুলে গেছে …
তখন একজন এসে একটা পার্সেল দিয়ে যায় সুমি হাতে আর বলে বাড়ির কাউকে এটা দিতে
আহিবা:এটা কি
সুমি:মুই কেম্মে কমু আফা
আহিবা:এদিকে দে তো
সুমি :নেন
আহিবা ওটা নিয়ে ওর কাকির কাছে যায়
আহিবা:কাকি
কাকি:কি রে কিছু বলবি হাতে কি এটা
আহিবা:জানি না কেউ একজন সুমির কাছে এটা দিয়ে গেল তুমি একটু দেখো না
কাকি :আচ্ছা দে
কাকি প্যাকেট টা খোলার পর ভিতরে একটা চিঠি দেখে
কাকি:এটা কি চিঠি কিন্তু কে দিলো
আহিবা:না খুল্লে দেখবে কি করে
কাকি চিঠি খুলে দেখে সেখানে বড় বড় করে লেখা
“পাঠিয়ে দিলাম সাজিদ …অন্তিকা আর আতিকার লাস এর পর আরো কিছুর জন্য অপেক্ষা করো সবাই …আরো অনেক কিছু বাকি আছে
MR.AKIB KHAN “””
কাকি হাত দুয়ে চিঠিটা ফেলে দেয়
আহিবা:কি হলো
কাকি:ততততোর কাকা কই
আহিবা:সামনে বসে আছে
কাকি আর কিছু না বলে চিঠিটা উঠিয়ে হাতে নিয়ে ছোটে কাকার কাছে
আহিবাও তার পিছন পিছন যায়
কাকি:শুনছো আককককিব
কাকা:কি আকিব
কাকি:চিঠি ও ফিরে এসেছে ….কাউকে ভালো থাকতে দিবে না
কাকা:কি যাতা বলছো ও তো জেলে
কাকি:নাহ ..আজ ও ছারা পেয়ে গেছে তারিখ দেখো আজ 29 জুন আর ওর ৯ বছরের জেল শেষ ও মুক্তি পেয়ে গেছে আার ওই ভাই ভাবী আর আতিকাকে মেরেছে
কাকা:মমমমানে
কাকি:এই দেখো
চিঠিটা এগিয়ে দিয়ে তিনিও চিঠিটা পরে স্তব্ধ হয়ে বসে আছে আহিবা কিছুই বুঝতে পারছে না
আহিবা:কাকি কে এই আকিব
কাকি:তোর ছোট কাকা শশুর
আহিবা :মানে
কাকি:হুম যে এতো বছর জেলে ছিল তার কু কর্মের জন্য আজ মুক্তি পেলো আর আজই
আহিবা :মানে ক্লিয়ার করে বলো না
কাকা:দারা সব বলবো ….
তার আগে শেষ কাজ টা করে নেই ..
আহাধ এর সেন্স আসতেই ..কাকা রাফি সবাই মিলে ওর বাবা মা আর বোন এর …….কবর দিয়ে …..কাজ শেষ করে সবাই সোফায় বসে আছে …..
আহাধ:কাকাই এই আকিব কে
কাকা :তবে শোন
আহাধ তখন অনেকটাই ছোট …আতিকা তখন হয়নি …আকিব আমাদের ছোট ভাই তবে সে ছিল ..ড্রিক …নেশা ..ড্রাগ…মদ….জুয়া যত খারাপ আর বাঝে অভ্যাশ সব কিছুই তার মধ্যে বিরাজমান ….একটিন তোর মা আর তোর কাকি সে সময় সবাই এক সাথেই থাকতাম …তার রান্না ঘরে কাজ করছিল আর আকিব মদ খেয়ে মাতলামি করতে করতে এসে তোর কাকিকে নিয়ে টানা টানি শুরু করে …তোর মা আকিবাকে আটকানোর চেষ্টা করে অনেক কওন্তু আকিব তোর মাকে ধাক্কা মারে …আর সে ছিকটে গিয়ে দেয়ালের উপর পরে মাথা ফেটে রক্ত পরে …সে ওখানেই ঙ্গান হাড়ায় ….বাসায় বাবা ছিল মা তার বাবার বাড়ি গিয়েছিল কোনো একটা কাজে ….বাবা শব্দ পেয়ে রান্না ঘরের দিকে যায় গিয়ে দেখে আকিব তোর কাকির আচল ধরে টানা টানি করছে ….বাবা গিয়ে ওকে আটকায় …আকিবা বাবাকেও ধাক্কা মারে কিন্তু বাবা এসে আকিবকে উঠিয়ে সজোরে একটা থাপ্পোর দেয় ….আকিবা নেশা গ্রোস্থ অবস্থায় ছিল তাই ও কি করছে তা ওর ধারনা ছিল না …..আকিব পাশে থেকে একটা ছুরি দিয়ে বাবাকে খুন করে ফেলে ..আমি আর তোর বাবা সবে মাএ বাসায় ডুকি আর তখনই বাবার চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে ভাইয়া দৌড়ে গিয়ে বাবাকে গিয়ে ধরে আর আমি গিয়ে পুলিশকে ফোন করি পুলিশ ও তারাতারি এসে পরে …ভাইয়া আকিব কে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয় …আর মামলা করে ….এদিকে মা এসে সব কিছু শুনে …কান্নায় ভেগে পরে ……একদিকে নিজের স্বামী অন্যদিকে নিজের ছেলে ….
বাবার মৃত্যুর পর আকিব এর সুনানি শুরু হয়ে যায় …ওর পক্ষে কেউ ছিল না ..আর আমাদের পক্ষে সবাই ছিল সেই দিন ওর জেল হয়ে যায় ৯ বছরের..কারন ওর কোনো ঙ্গান ছিলনা সে মাতাল ছিল …
সেদিন আকিব বার বার চিৎকার করে বলেছিল এর প্রতিশোধ সে নিবেই …আর আজ ওর বাহিরে.আসে সকালে আর এসেই
আহাধ:ছারবো না ঐ আকিব কে ছারবো না
রাফি:বাবা থাকে কই সে কিছু জানো
কাকি:নাহ …ও তো আজ মাএ বার হলো
আহিবা:কাকা ছোট কাকা কি বিয়ে করেছিলেন
কাকা:হুম ..একটা ছেলেও আছে কি জানি নাম ..আজিব ওদের উপর অনেক অত্যাচার করতো আর রুপশা মানে আকিব এর বউ এর পরিবার ছিল অনেক বড় আর সমরাজ্য পরিবার …..তাই তারা তাদের মেয়েকে মামে রুপশা আর তার ছেলেকে নিজেদের কাছে নিয়ে যায় …পরে রুপশা আকিব কে ডিভোর্শ দিয়ে দেয় ….ওদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক রাখে না ..এমন কি আকিব যেদিন জেলে গিয়েছিল রুপশা জানতো তবুও দেখতে যায় নি …সে বাবার ওখানেই ছিল ….
আহিবা:ওহ
রাফি:বাবা ওই আকিব কে যে করেই হোক খুজে বার করতে হবে
তখনই দরজা দিয়ে কত গুলো কালো পোশাক পরা ৬ ৭ জন লোক আসে
তার ভিতর থেকে একজন
খুজতে হবে না আমি চলেই এলাম
কাকা:আকিব তুই
আহাধ, রাফি:মানে
আকিব:হুম আমি …কিন্তু তোরা কারা আহাধ আর রাফি রাইট
রাফি:যাক ভালোই চিনছেন তাহলে
আকিব:যতোই হোক ভাগ্নে বলে কথা ..কিন্তু ঐ মেয়েটা কে আহিবাকে দেখিয়ে
কাকি:ও আহাদ এর বউ
আকিবা:এই তোমার নাম কি
আহিবা:আমমি আহিবা
আকিবা:ওয়াও …খুব সুন্দর নাম তো …
আহাধ:কেন এসেছেন
আকিবা:great question ..
কাকা:কি চাস
আকিবা:তোদের শেষ করবো ..সব গুলোকে
কাকা:মানে
আকিবা ওর লোক গুলোকে ইশারা করে সবাই ওদের মাথায় পিস্তল ধরে দারায় শুধু আহিবাকে বাদে
আকিব:মামনি তুমি ভয় পেয়োনা কেমন …ওরা তোমায় কিছু করবে না ….তোমায় আমি আমার সাথে নিয়ে যাবো
আহিবা :মমমমাননননে ছোট আব্বু
আকিবা:তুমি আমার কাছে আমার মেয়ের মতো থাকবে তুমি ওখানে বসে থাকো কেমন
আহিবা আস্তে করে বসে পরে ..আর সোফার পাশে থাকা টেলিফোনটা দিয়ে পুলিশ কে ফোন দেয় …তারপর খুব জোরেই বলে ওঠে ওদের বাড়ির ঠিকানা
আহিবা:আমায় বাচায় আমায় তারা মেরে দিবে
আকিব আহিবার দিকে ভ্রু কুচকে তাকায় :কি হলো
আহিবা খুব সাবধানে ফোনটা কেটে দেয় ….
আহিবা:নাহ ছোট আব্বু সবাই এমন করবে তো তাই আমি একটু অভিনয় করে দেখাচ্ছিলাম …
আকিব :ওহ হো
আহিবা:ছোট কাকা আমি একটা পিস্তল নিবো …আমার না খুব ইচ্ছা আছে কিন্তু আমি না চালাতে পারি না
আকিব ও আহিবার এমন কথায় গলে যায়
আকিবা :এই কেউ একটা পিস্তল ওর কাছে দে
আহিবার কাছে পিস্তলটা দিতেই আহিবা খব করে নিয়ে উঠে
সোজা আকিব এর কাছে যায় …
আহিবা:আমায় শিখিয়ে দিবে
আহাধ আহিবার এমন করা দেখে কওছুটা ডাউট হচ্ছে …তাই শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে …আর আহাধ সবাইকে কথা বলতে বারন করে দিয়েছে
আকিব:হা কেন না এই দেখো
আকিব আহিবাকে পিস্তল চালানো শিখায় আর যেই আহিবার হাতে পিস্তল টা দেয় তখনই পুলিশের গাড়ি এসে ওদের বাসার গেট এ আসে আকিব উঠতে গেলেই আহিবা পিস্তলটা আকিবা এর মাথায় ধরে
আহিবা:সরি ছোট আব্বু সবাইকে ছেরে দিতে বলো না হলে তোমার মাথা উরিয়ে দিবো
আকিব:নাহ সবাই ওদের ছেরে দে
এর মধ্যেই পুলওশ এসে ওখানে হাজির হয় …আহাধ তাদের সব বলে পুলিশ আকিব আর তার চ্যালাদের দিয়ে যায় …আর সবাই আহিবাকে নিয়ে খুব খুশি হয়ে যায় …
তারপর
আস্তে আস্তে সবাই আবার সাভাবিক হতে থাকে এই ভাবেই কেটে যায় আরো ২ মাস …
আহাধ আর রাফি এখন এক সাথেই অফিস করা শুরু করেছে ..আহিবা ওর কাকি আর সুমি তিন জন বাসায় থাকে আর ওর কাকা সে বাহিরে গিয়ে ওদের ব্যবসা দেখা শুনা করে …আর আকিব কে মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত করে ……
আহাধ আহিবাও বেশ ভালোই আছে …সব মেঘ কাটিয়ে ওরা সবাই আলোর নিশান পেয়েছে
রাফি,আর আহাধ অফিসে থেকে ফিরে …ফ্রের হয়ে রাতে সবাই এক সাথে খেতে বসে…আহিবা সবাইকে খাবার বেরে দিচ্ছে
কাকি:কি রে তুই বসিস না
আহিবা:ইচ্ছা করছে না
রাফি:সেকি বসো খেতে
আহিবা:না ভাইয়া
আহিবা আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই ডলে পরে যায় ….
আহাদ রাফি সুমি আর কাকি সবাই খাবার ফেলে দৌড়ে গিয়ে আহিবার কাছে যায় ..
আহাদ আহিবার চোখে মুখে পানি দেয় কিন্তু কোনো লাভ হয় না …তার পর আহিবাকে রুমে নিয়ে ছোটে ..রাফি ওদের পারিবারিক ডাক্তার কে ফোন দিয়ে তারাতারি বাসায় আসতে বলে …
ডাক্তার তারাতারি চলে আসে
রাফি তাকে নিয়ে আহিবার কাছে যায় গিয়ে চেস্ট করতে দেয়
আহাধ:আন্টি কি হয়েছে
ডা.মুন্নি :আহাধ আমি টেস্ট এর আগে কিছু বলতে পারছি না….তুমি এক কাজ করো ওর ঙ্গান ফিরলে এই টেস্ট গুলো করিয়ে এনো
আহাধ:হুম
ডা.মুন্নি :ওকে তাহলে আমি আজ আসি ..
রাফি গিয়ে তাকে এগিয়ে দিয়ে আসে
চলবে,,,,,,,,,
[সবাই just sad ending এর জন্যই এতো অবহেলা করছো ??আচ্ছা sad ending দিবো না ]
#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::12
???
আহিবার ঙ্গান আসতেই আহাদ ওকে নিয়ে টেস্ট করাতে নিয়ে যায় ….
টেস্ট করিয়ে রাফিকে বলে রিপোর্ট গুলো ডা.মুন্নির কাছে নিয়ে পাঠায় আর আহাদ আহিবাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে ………
বাসায় এসে চুপ চাপ বসে থাকে ..আহিবা নিজের রুম গিয়ে সুয়ে আছে …রাফি কিছুক্ষন এর মধ্যেই বাসায় চলে আসে
আহাধ:কি রে ডাক্তার কি বল্লো
রাফি:দা ভাই আমার সাথে একটু রুম চল
কাকা:কেন এখানে বল্লে কি হবে
রাফি:বাবা প্লিজ …দা ভাই তুই আয় না
আহাধ:আচ্ছা চল
আহাধ রুমে যেতেই রাফিও যায় দরজা লাগিয়ে দেয় …রাফি মাথা নিচু করে বসে আসে ..
আহাধ:কিরে কিছু বলবি তো
রাফি দীর্ঘশ্বাস ফেলে :দা ভাই আহিবা pregnant
আহাধ:কি সত্যি বলছিস তুই ও না এমন একটা খবর এখানে এনে দিচ্ছিস …ধূর চল তো বসার রুমে
রাফি:দা ভাই দারা আরো আছে
আহাধ :মানে ..কি বলতে চাস ক্লিয়ার করে বল
রাফি :pregnant আর আহিবার মাথায় যে সিটি স্কানটা করতে দিয়েছিল সেটাতে কি রিপোর্ট এসেছে যানিস ..ওর ব্রেন টিউমার
আহাধ:কিহহহহ
(ধপ করে খাটের কোনার মাটিতে বসে পরে
??
রাফি:দা ভাই ওর টিউমার টা অনেক বড় হয়ে গেছে …এখন অপারেশন করানো অনেকটাই রিক্স আর pregnancy এর জন্য আরো রিক্স….ডাক্তার ওর বেবীটা নস্ট করে দিতে বলেছে না হলে আহিবাকে বাচানো যাবে না …কিন্তু একেই তো ওর বসয়টা বেশী না [আমার কাছে একজন জানতে চেয়েছেন ওদের বয়সের পার্থক্য কত ….ওদের বয়সের পার্থক্য এা একটু বেশী ..এনির সাথে ঠিক হলেও আহিবার সাথে ৮ বছরের পার্থক্য …আর আহাধ বিজনেস যাস্ট দেখা শুনা করে নিজেদের এই জন্য তা ছারা সেও পড়াশুনা করে ] আর এর জন্য ওর ফাস্ট বেবী যদি নস্ট করে দেওয়া হয় তবে ওর pregnant হওয়ার ক্ষমতা ৭০ থেকে ৭৫ % কমে যাবে …এমনকি মা হওয়ার ক্ষমতাটাও হাড়িয়ে ফেলতে পারে ….
আহাধ চুপ করে নিচে তাকিয়ে আছে চোখ থেকে টপ টপ করে তার পানি গড়িয়ে নিচে পরছে ….কি বলবে সে ….কি করবে তার কি করার আছে …প্রকৃতি বরউ নিষ্টুর ..
রাফি:দা ভাই নিজেকে শক্ত কর না হলে কি করে হবে ..
আহাধ এবার আর নিজেকে আটকাতে পারে না …কেদে দেয় সে রাফি কি বলবে তা তার জানা নেই ..
?
আহাধ:কেন এমন হয় বলতে পারিশ …ভালোই তো ছিলাম ..তবে আজ কেন প্রকৃতি আবার এমন সব এলো মেলো করে দিলো কেন …বাবা মা বোনকে হাড়িয়ে তো নিস্ব হয়ে গিয়েছিলম আহিবাই তো আমায় আবার এই হাসি খুশির মধ্যে মিলতে শিখেয়ে ছিল ..তবে আজ আবার এ কোন পরিক্ষ এসে সামনে হাজির হলো ..কি করবো ..আহিবা কখনই সন্তান হাড়ানোর চিন্তাও মাথায় ও আনবে না ..যা করার আমায় করতে হবে …কিন্তু বাবা হয়ে নিজের সন্তানকে নিজের হাতে কি করে শেষ করবো ..কি করে নিজের সন্তানের খুনি হবো …না হলে আহিবাকেই বা বাচাবো কি করে …..কেন এমন হয় কি করবো আমি …ঠিক কি করবো …
??
রাফি কি বলবে তার ও জানা নেই ….রাফির চোখ থেকেও আজ পানি পরছে …সে তো কখনও এমনটা চায় নি …আহিবাকে অসজ্য করতো তাকে শেষ করে দিতে চাইতো কিন্তু এক সময় নিজের ভুল বুঝে আপন বোন বানিয়ে নিয়েছিল ..ভালোবাসে সে আহিবাকে নিজের বোনের মতো…আর আজ এ কেমন কঠর পরিস্থিতিতে দারিয়ে আছে সবাই …কি জবাব দিবে যখন আহিবা রাফির কাছে কি রিপোর্ট এ এসেছে সপটা জানতে চাবে …এর উওর জানা নেই রাফির ..
এর মধ্যেই হঠাৎ রুমের দরজায় আহিবা টোকা দেয়
আহিবা:তোমরা কি করছো বলো তো দুজন কাকা বল্লো সেই কখন থেকে এক সাথে কি গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছো হুম আমাদের বলা যায় না …ভাইয়া দরজা খুলো
আহাধ আর রাফি তারাতারি করে নিজেদের সামনলে নিয়ে দরজা খুলে ..
দরজা খুলতে দোরী আহিবার রুমে ডুকতে দেরী নাা|
আহিবা:কি করছিলে তোমরা আর ভাইয়া তুমি কাদছিলে কেন
রাফি এবার জোরেই কেদে দেয় …কাদতে কাদতে খাটে গিয়ে বসে পরে
আহিবা :কি হলো তুমি কাদছো কেন …এই আপনি কিছু জানেন ভাইয়া কাদছে কেন (আহাধ কে উদ্দেশ্য করে )
আহাধ:নাহ তো
রাফি:ও জানবে কি রে ..?আমার প্রমিকা আমায় ছ্যাক্যা দিয়েছে
আহিবা জোরেই হেসে দেয়
আহিবা:তুমি ছ্যাক্যা খেয়ে ব্যাকে হয়ে গেছে ভাইয়া ?..আহারে আবার বাচ্চাদের মতো কাদছেও
রাফি:মজা নাও তুমি
আহিবা:নাহ একদমই না?
রাফি আহাধ এর দিকে তাকায় ..আহাধ এর দৃষ্টি শুন্যের দিকে
আহিবা:ওহহ দেখেছো যার জন্য এসেছিলাম ঐ রিপোর্ট এ কি এসেছে
রাফি চট করে আহাধ এর দিকে তাকায় আর আহাধ আহিবার দিকে
আহাধ:রিপের্ট একদম ঠিক আছে
আহিবা:আচ্ছা আমায় একটু দাও …ওহ এই তো পেয়েছি ..
আহিবা রিপোর্টের প্যাকেট টা হাতে নেওয়ার সাথে সাথে রাফি সেটা ছো মেরে নিয়ে যায়
আহিবা:এটা কি হলো
রাফি:কিছুনা তুমি বুঝবা না …পিচ্চি
আহিবা:এটা কোনো কথা বল্লা ..দাও না আমি একটু দেখি না
আহাধ ধমকের সুরে :না করেছে যখন জেদ ধরছো কেন ….বড়দের কথা মানতে হয় শুনতে হয় জানো.না……এটা কোন ধরনের বেয়াদবি
আহিবা মাথা নিচু করে :সরি
বলেই রুম থেকে চলে যায় …আহিবা কষ্ট পেয়েছে সেটা ওরা দুজনই বুঝতে পেরেছে
রাফি:দা ভাই এটা কি করলি
আহাধ:কি করতাম বল ও জোর করে হলেও রিপোর্টটা দেখতো আর ও মা হতে চলেছে এটাও যেনে যেতো
আহিবা দরজার বাহিরে গিয়েছিল কিন্তু কিছু একটা মনে করে আবার আসে তখনই আহাধ এর কথা শুনতে পায়
আহিবা:মানে
রাফি আর আহাধ দুজনই দরজার দিকে তাকায় ..তারপর একজন আর এক জনের দিকে
আহাধ:মমমমানে কি
আহিবা:আমমমমমি মমমা হহহবো …আপনারা এটা বলেন কি কেন
আহাধ দীর্ঘশ্বাস ফেলে :তোমায় সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম
আহিবা :আপনারা বড্ড খারাপ
বলেই হন হন করে নিজের রুমে চলে যায় আহাদ আবার খাটে বসে পরে
আহাধ:এখন কি করবো
রাফি:আহিবা যেনে শুনে কিছুই করতে দিবে না …দা ভাই বুঝতে পারছি না এর ফল ঠিক কি হবে …
আহাধ চুপ করে বসে আছে ……..
??
এনি আর রাহুল এর মধ্যে এই দুমাসে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে এনিও বদলে গিয়েছে অনেকটাই|এখন আর আহাধ এর কথা তার মনে পরে না যদিও রাহুল পরতে দেয় না …
রাহুলের মা একদিন দুজনকে ডেকে অনেক কিছু বুঝায় …যাতে তারা তাদের অতীত ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করে…অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে সে এনি আর রাহুলকে বুঝাতে সক্ষম হয় ..আর আজ রাহুলদের বাড়ি না না রং এর আলোর সজ্জায় সজ্জিত …চারিদিকে মেহমান আর মানুষ গিজ গিজ করছে ..বাচ্চাদের খুশির আর্থনাথ …হৈ হুল্লুর …সবার মুখেই আজ হাসির রেখা ফুটে উঠেছে …সবাই আনন্দে মেতে উঠছে …আর তাদের এই আনন্দের মুল কারন এনি আর রাহুল …হুম আজ তাদের বিয়ে ..স্টেজে বসে আছে একজন বর সাজে আর একজন কনো সেজে ….রাহুল একটু ওর পর এনিকে জ্বালাচ্ছে আর এনি কিছু না বলতে পেরে রাগী চোখে তাকাচ্ছে বার বার…কিন্তু রাহুল এটা গায়েই লাগাচ্ছে না …এনি অতিষ্ট হয়ে গেছে তবুও নতুন বউ কিছু বলতে পারছে না …….
বাসর ঘরে বসে আছে এনি বউ সেজে …তবে আজ আর তার পুরনো কথা মনে পরছে না …নতুন করে স্বপ্ন দেখছে সে ..ওহ বর একটা কথা এই দু মাসে ডিভোর্স হয়ে গেছে এনি আর আহাধ এর …….
রাহুল রুমে আসতেই এনি আস্তে করে উঠে রাহুল এর সামনে দারায় রাহুল মুচকি হাসে ..এনি তাকে সালাম দেয় ….
সালাম দিয়েই নিজের ঘোমটা নিজেই টান দিয়ে খুলে ফেলে এনি
রাহুল :এটা কি হলো
এনি:কি হলো তাই না …স্টেজে বসে ইচ্ছা মতো জালিয়েছো তোমার খবর আছে …
রাহুল :এটা ঠিক না আজ না আমাদের বাসর
এনি:রাখো তোমার বাসর ..আগে তোমায় পিটাই তারপর দেখা যাবে
রাহুল:এই না
কে শোনে কার কথা দুজন মিলে রুমে দৌড়া দৌড়ি শুরু করে দেয় ..রাহুল এর বাধ্য হয়ে দু চারটা কিল খেতে হয়
রাহুল:আহহহহ থামো
এনি:হুহ
রাহুল তার বাহু ডোরে এনিকে আবদ্ধ করে নেয়
এনি:তততততুমমমমি
রাহুল:হুস
বলেই কোলে তুলে নেয় এনিকে …এনিও রাহুল গলা জড়িয়ে ধরে আছে ..
হাড়াতে চায় একজন আর একজন এর জগৎ এ …ডুবে থাকতে চায় পুরনো অতীত ভুলে ….তাদের সাজানো জগৎ এ ….থাকুক তারা তাদের মতো ….
[আমি কাবাব মে হাড্ডি হতে চাই না আমি গেলাম …আপনারার চলেন এখান থেকে কেমন ??]
?
আহিবা ঘুমিয়ে পরেছে আহাধ এর চোখে ঘুম নেই ..
??
আহাধ আস্তে করে আহিবার কপালে চুপু দিয়ে বেলকনিতে চলে যায় …সিকারেট খাওয়ার তার মোটেও অভ্যাস নেই তবে আজ খাবে …সিকারট এর আগুন টা জ্বালিয়ে বারান্দায় যায় …সিকারেটের ধোয়ায় নাকি কষ্ট ভোলা যায় আদোও কি সম্ভব এটা …আহাধ রাতের অন্যকারে নিশ্চুপ শহরটার দিকে তাকিয়ে আছে….কোনো বাড়িতে আলোর ছিটে ফোটাও দেখা যাচ্ছে না …রোড লাইটের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে রাস্তা …তার পাশেই ঘুমিয়ে আছে কিছু কুকুর …আহাধ আপন মনে সিকারেটের ধোয়া ছারছে তবুও শন্তি পাচ্ছে না সে ….আহাধ এর চোখ দিয়ে পানি পরছে টপ টপ করে …বাহিরের আকাশ টাও ডাকা ডাকি করছে অনেক হয়তো বৃষ্টি নামবে তার জানান দিচ্ছে …মেঘ গুলো তার শব্দ দিয়ে …
কারো জন্য এই রাত টা সুখের আর কারো জন্য নিত্তান্তই কষ্টের …যেমন আহাধ আর আহিবা ….আহিবা জানেই না কিছু কিন্তু আহাধ ঠিক ই কষ্টে পুরছো …সে দিক খুজে পাচ্ছে না কি করবে আর অন্যদিকে এনি রাহুল ..যারা সব অতীত ভুলে নতুন ভালোবাসার রাজ্যে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত …হুম এটাই জীবন …
চলবে ,,,,,,,