শুকনো_ঘাস_ফুল?,part::13,14

0
1731

#শুকনো_ঘাস_ফুল?,part::13,14
#natasa_islam_muntaha
#part::13

???

পরের দিন সকাল হতেই আহাধ ছোটে ওদের ফ্যামিলি ডা.মুন্নির কাছে
?
ডা.মুন্নি তার চেম্বারেই ছিলেন

ডা.মুন্নি:আরে আহাধ তুমি
আহাধ:হুম …..আহিবার রিপোর্টটা তুমি দেখেছো

ডা.মুন্নি :দেখো আহাধ তোমায় যে কোনো একটা অপশন বেছে নিতে হতে নয় আহিবাকে নয় তোমার সন্তান কে …সন্তান বাচাতে গেলে বাচবে কি না এটা সিওর দিতে পারবো না ….এটা কেবল আল্লাহর হাতেই …আর আর রিপের্টটা আমি নিজে করেছি …একটা বাচ্চা প্রথম থেকেই মায়ের রক্ত দিয়ে একটু একটু করে নিয়ে তার পর তৈরী হয় আর একটা টিউমার ও ঠিক এমন …মানুষের শরীর থেকে একটু একটু করে রক্ত চুষে নিতে থাকে …আহিবা যতেষ্ট ছোট এই বসয়ে pregnancy টাই অনেক রিক্স এর তার উপর ওর ব্রেন টিউমার ..আহাধ আমি অনেক জন বড় ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি সবাই বলছে বাচ্চাটে এবশন করিয়ে নিতে …তারপর অপারেশনটা যত তারাতারি করা সম্ভব করে নিতে …আর এতে আহিবার মা হওয়ার চান্স কমে যাবে ..হয়তো কখনই মা হতে পারবে না …এখন তুমি ডিসাইড করো তোমরা কি করবে ….বাচ্চা সহ আহিবাকে হরাবে নাকি শুধু বাচ্চা

আহাধ:আর কোনো উপায় নেই
ডা.মুন্নি :থাকলে আমি অবশ্যই তাই করতাম
আহাধ:আমি আহিবাকেই চাই
ডা.মুন্নি :তবে যত তারাতারি সম্ভব এবর্শন করিয়ে ফেলে
আহাধ:কিন্তু আহিবা এতে কখনই রাজি হবে না
ডা.মুন্নি :তুমি একটা কাজ করো আমি একটা মেডিসিন এর নাম লিখে দিচ্চি কারন ওর pregnancy বেশীদিন হয়নি মেডিসিন এই হয়ে যাবে …এটা ওকে যেভাবে পারো খাইয়ে দিয়ো তাহলেই হবে

আহাধ দীর্ঘশ্বাস ফেলে :আচ্ছা …দাও

ডা.মুন্নি আহাধকে মেডিসিন এর নামটা লিখে দিয়ে দেয় ….

আহাধ এর প্রচন্ড রকমের হাত কাপছে যতোই হোক এটা আর পাচটা বাবাদের মতো খুশি হওয়ার সময় না …এটা তার হাড়ানোর সময় …হারানো এটা মনে হয় আহাধ এর ভাগ্যের সঙ্গে মিশে গিয়েছে ..যাই হোক আহাধ মেডিসিন কিনতে দোকানে যায় …ফার্মেসি ওয়ালা মেডিসিন দিচ্ছে আর আহাধ এর দিকে বার বার তাকাচ্ছে ..চোখ ঘুড়িয়ে …..আহাধ মেডিসিন এর দাম টা দিয়ে কিছু দূর যেতেই সেই লোকটার কথা কানে ভেসে আসে

লোকটা:আরে বুঝতে পারছিা না ..অবৈধ সন্তান তাই নষ্ট করে দিতে চাইছে সমাজের মানুষের কাছে না হলে কি পরিচয় দিবে

আহাধ স্তব্দ হয়ে যায় তার এখন এই সব কথা শোনার মোটেও ইচ্ছা নেই তবুও শুনতে হচ্ছে আহাধ আর এক মুহুর্ত না দাড়িয়ে সোজা বাসায় চলে আসে ..আহিবা এখনও ঘুম থেকে উঠে নেই হয়তো শরীর ক্লান্ত এই জন্যই …..

এনি রাহুল এর আজ ফ্যাংশন …সকাল হতেই এনিকে নিয়ে যাওয়া হয় সাজানোর জন্য …রাহুল বেচারা বউ ছারা রুমের বাহিরে পায়চারি দিচ্চে

মা :কি রে এই খানে এই ভাবে হাটছিস কেন
রাহুল:না মা কিছু না এমনি
মা:বউকে মিস করছো বুঝি
রাহুল:আম্মু কি যে বলো না ধূর আমি ছাদে গেলাম

রাহুল এর মা হাসতে হাসতে ওখান থেকে চলে যায়

রাহুল ছাদে গিয়ে চুপ চাপ বাহিরে নীল আকাশের দিকে তাকিয়প আছে ছাদটা এখনও শুকায় নি …রাতে জোর বৃষ্টি হয়েছিল ..তাই ঘাসের উপরে বৃষ্টির পানি গুলো মুক্তোর মতো লাগছে দেখতে

রাহুল:জানি না তুই কোথায় আছিস ..আর কেমন আছিস ….সেদওন আমি তোকে বড্ড কষ্ট দিয়ে কথা গুলো বলে ফেলেছিলাম তাই না …কিন্তু আজ মোন থেকে বলছি খিব সুখি হোস তুই ..খুব সুখি …আমিও আজ সুখি একজন মানুষ …আসলে তোর দোষ ছিলো না তুই তো বড্ড ছোট ছিলি তখন ..নারে বজ কষ্ট হচ্ছে খুব তোকে ওভাবে না বল্লেও পারতাম

এর মধ্যে রাহুল এর দুটে বন্ধু এসে ওকে নিয়ে যায় …

রাহুল কালো একটা পান্জাবী আর কালো ধুতী পরেছে ..রাহুল হঠাৎ ওর রুমে আসে ফোন নিতে ..দেখে এনি রুমেই বসে আছে ..খুব সুন্দর লাগছে তাকে ..কালো শাড়ির উপর সাদা স্টোন বসানো …আজ এনিকে অন্যদিন এর থেকে বড্ড বেশী সুন্দর লাগছে
এনি:কি হলো ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছো কেন …নজর লেগে যাবে .
রাহুল:তুম
[রাহুলকে থামিয়ে ]
এনি:আমি জানি আমি খুব সুন্দর আর তোমায় বলতে হবে না ..হুহ
রাহুল:কে বলেছে সুন্দর …তুমি একদম পেত্নির মতো পেত্নি চিনো পেত্নি …না চিনলে গিয়ে আয়নায় দেখো
এনি:কি বল্লা তুমি …

বলই পাশের বালিশ ধরে ছুরে মারে রাহুল এর গায়ে …রাহুল এনির অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে গরা গরি খাওয়া শুরু করে …

আহিবা নিজেকে অনেক সাবধানে সামলে চলছে …তার মধ্যে যে আরো একজন এর অস্তিত্য আছে ..সিরি দিয়ে নামছে যতেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে ..আহাধ সোফায় বসে ঠিকই সব দেখছে আর দীর্ঘস্বাস ফেলছে হয়তো আজ দিনটাই আহিবা তার অস্তিত্যকে পাবে কাল হয়তো পাবে না …

কাকি:কি রে আহু (আহিবাকে ছোট করে সবাই আহু ডাকে )এমন করে হাটছিস কেন কছ্বব এর মতো
আহিবা;আহহহ কাকি কিছু না ..আমি তো ট্রাই করছি মানুষ কিভাবে আস্তে আস্তে হাটে
কাকি:আসলেই কি তাই আমার কিন্তু অন্যকিছু ডাউট হচ্ছে
আহিবা:কি
কাকি:নতুন অতিথী আসবে নাকি

আহিবা খানিকটা লজ্জা পেয়ে :না মানে হ্যা

বলেই সোজা রান্না ঘরের দিকে ছোটে

ওর কাকি কতক্ষন আহিবার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে জোরে হেসে দেয়

কাকি:কি রে আহাধ মিষ্টি খাওয়াবি না …এতো বড় একটা সুখবরের
আহাধ:কাকিয়া খাওয়াবো তো কিন্তু পরে
কাকি:পরে কেন এখনই যা
রাফি :মা কি শুরু করছো
কাকি:আরে আহিবা অন্তস্বতা তার মিষ্টি খাবো না এটা কি করে হয়
রাফি:মা তোমার সুগার আছে তুমি মিষ্টি খেতে পারবে না
কাকি:আর রাখ তোর সুগার …আগে নাতির মিষ্টি খাই তার পর সুগার এর কথা ভাববো

আহাধ কিছু না বলে ওখান থেকে উঠে সোজা নিজের রুমে চলে যায় ..রাফি আহাধ এর এমন ভাবে চলে যাওয়ার কারনটা ঠিকই বুঝতে পেরেছে ..সে চুপ করে সোফায় বসে পরে

আহাধ এর কাকি কিছুই না বুঝে আহাধ এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন ..

চলবে,,,,,,,,

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::14

???

আহাধ রুমে গিয়ে হাতে মেডিসিন এর প্যাকেট টা নিয়ে বসে আছে

আহাধ:কি করবো আমি ..নিজের সন্তানের খুনি হয়ে যাবো এভাবে …কিন্তু তা না হলে যে আহিবা নাহ আর ভাবতে পারছি না

আহিবা:কি ভাবছেন এতো

আহাধ তারাতারি করে মেডিসিন এর প্যাকেট টা সরিয়ে ফেলে

আহাধ:কই কিছু না …তুমি কি করছো …রান্না শেষ
আহিবা:আপনি ঠিক আছেন …আমি না মাএ গেলাম রান্না ঘরে এর মধ্যে কি করে হয়
আহাধ:ওহ হ্যা আচ্ছা তুমি বসো আমি তোমার জন্য লাচ্চি বানিয়ে আনছি
আহিবা:আরে আপনাকে যেতে হবে না আমি আনছি
আহাধ:আৃমি লাচ্চি ভালো বানাই
আহিবা :আমি জানি …তুমি চুপ চাপ বসো তো

আহাধ আহিবাকে বসিয়ে রেখে রুম থেকে চলে যায় …লাচ্চি বানিয়ে সেটার সাথে ঐ মেডিসিনটা মিলিয়ে দেয়

আহিবা:ওটা কি দিলেন

(আহাধ যখন মেডিসুিনটা মিশিয়ে ছিল তখন আহিবা আহাধ এর পিছনে দারানো ছিল )

আহাধ তারাতারি প্যাকেট টা সরিয়ে ফেলে

আহাধ :কককই কিছু না
আহিবা:আমি যে দেখলাম
আহাধ:তুমি ভুল দেখেছো
আহিবা:হয়তো
আহাধ:নাও তো এটা খেয়ে নাও তারাতারি
আহিবা:আপনি খাবেন না
আহাধ:নাহ তুমি খাও
আহিবা:ওকে

আহিবা একেবারে সমস্ত লাচ্চিটা খেয়ে শেষ করে ..আহাধ এর চোখ জোরা ছল ছল করছে

আহিবা:..আপনি লাচ্চির সাথে ওটা কি দিয়েছেল ..আমমমার বেবির কিছু হলে আমমি আপনাকে কখনই মাফ করবো না …….রুমে যাবববো আমমমমি

আহাধ:ওকে চলো …

আহিবা দুপা হাটতেই মাথা ঘুরে মাটিতে পরে যায় …

আহাধ রাফিকে তারাতারি এম্বুলেন্জ ডাকতে বলে ….রাফি ও তারাতারি এম্বুলেন্জ আসতে বলে আহিবাকে নিয়ে hospital এ চলে যায়

আজই আহিবার অপারেশন করিয়ে ফেলবে এমন ভাবেই কথা বলা ডা.মুন্নির সাথে আহাধ এর …সাথে আগেই কথা হয়েছে তার ..আহিবাকে আনার সাথে সাথেই অটিতে নিয়ে যাওয়া হয় ..
কাকা কাকি ও hospital এ আশে সাথে রাফিও …আহাধ সবাইকে সবটা বলে

আহাধ এর কাকা কাকি দুজনই সবটা শুনে স্তব্ধ হয়ে আছে

.আহাধ চুপ করে ওটির লাইটের দিকে তাকিয়ে আছে রাফি তার পাশে ..

.রাফির মা তো আহিবা যাতে তারাতারি ভালো হয়ে যায় সব কিছু যানি ঠিক ভাবে হয়ে যায় তার জন্য যত জায়গার নাম ছিল সব জায়গায় মানত করছে আর দোয়া দুরূদ পড়া শুরু করছে ..

ডা.মুন্নি একবার বেয়িয়ে O+ রক্ত জোগাড় করতে বলে ইমিডিয়েটলি
রাফির রক্তের গ্রুপ মিলে যাওয়ায় …রাফিই রক্ত দেয় …সবাই বসে আছে ওটির দরজার সামনে …বসে আছে …সময়ের ঘরি যেন আজ চলতেই চাচ্ছে না ….সে আজ প্রচন্ড আস্তে গতিতে চলছে ..চাইলেও তাকে কেউ তারাতারি চালাতে পারছে না…আহাধ এর কাছে প্রতি সেকেন্ড এক এক ঘন্টার সময় মনে হচ্ছে কি করবে বা কি করা উচিত তা ওর জানা নেই ….

রাহুল এর মায়ের হঠাৎ বিপি বেরে যাওয়ায় তাকে নিয়ে সবাই hospital এ দৌড় …

রাহুল এর মাকে hospital এ ভর্তি করানো হয়েছে…তাকে আজ ছোট একটা সার্জারী করাতে হবে …তাই আগে বিপি নরমাল আনতে হবে ….তার জন্য রাহুল ডাক্তারের সাথে কথা বলে ওষুধ আনতে যায় …বেশ কওছু সময় হয়ে গেছে রাহুল আসছে না দেখে এনি রাহুলকে খুজতে বার হয় ….অনেক ক্ষন খোজার পর হঠাৎ চোখ যায় ওটির পাশে বসে থাকা আহাধ এর দিকে

এনি :আহাধ এখানে কেন

এনি একপা একপা করে আগায় আহাধ এর দিকে আহাধ মাথা নিচু করে বসে আছে তাই এনিকে খেয়াল করেনি
এনি আহাধ এর সামনে হাটু ভাজ করে বসে

এনি:আহাধ (কাপা কাপা কন্ঠে )

আহাধ চট করে সামনে তাকায়

আহাধ:এনি তুমি এখানে
এনি:আমার শাশুরী মা অসুস্থ তাকে নিয়ে এসেছি …কিন্তু তুমি এখানে কেন সব কিছু ঠিক আছে
আহাধ:কিছু ঠিক নেই এনি
এনি:মানে কি হয়েছে
আহাধ:আহিবার ব্রেন টিউমার অপারেশন হচ্ছে আজ
এনি যেন আকাশ থেকে পরেছে :মমমমানে কি জাতা বলছো

আহাধ একে একে সব কাহিনী খুলে বলে এনি ওখানেই ধপ করে বসে পরে কিছু বলার শক্তি পাচ্ছে না সে …..

হঠাৎ এনির হাতে থাকা ফোনটা বেজে ওঠে এনি তাকিয়ে দেখে রাহুল এর ফোন ..আহাধ এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কোনো ভাবে শাশুরীর কেবিন এ যায়

রাহুল কেবিন এই ছিল

রাহুল:কোথায় গিয়ে ছিলে
এনি:রাহুল আমার বোন
রাহুল:কি বলো তোমার বোন

এনি সবটা রাহুলকে খুলে বলে রাহুলের ও কষ্ট লাগছে খুব ..

রাহুল :আচ্ছা তোমার বোন এর অপারেশন শেষ হলে আমরা গিয়ে দেখে আসবো ..তুমি চাইলে সেখানে যেতে পারো আমি মায়ের কাছে আছি
এনি:নাহ থাক এক সাথেই যাবো
রাহুল:হুম ওকে

টানা ৫ ঘন্টা অপারেশন এর পর ডাক্তার রা ওটি থেকে বার হয়

আহাধ দৌড়ে ডা.মুন্নির কাছে যায়

আহাধ:আহিবা কেমন আছে
ডা.মুন্নি মাথা নিচু করে :আসলে আহাধ আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু
আহাধ:কিন্তু
ডা.মুন্নি:আসলে ঠিক করে এখন ও কিছু বলা যাচ্ছে না …৭২ ঘন্টার আগে কিছুই বলা যাবে না …৭২ ঘন্টার মধ্যে ঙ্গান না ফিরলে কোমায় চলে যাবে কত দিন এ ঠিক হবে তার নিশ্চয়তা নেই আর কোমা থেকে বার হলেও ওর সৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে মেন্টাললি সমস্যা দেখা দিতে পারে…আর বেবীটা নেই

আহাধ ধপ করে মাটিতে বসে পরে রাফি এসে আহাধ এর পাশেই বসে

কাকা:ডা. ওকে কেবিনে শিফট করবেন না
?
ডা.মুন্নি :হ্যা একটু পরেই আপনারা চাইলে দেখে আসতে পারবেন কিন্তু কেউ কোনো কথা বলবেন না ….আর নিজেকে শক্ত করো আহাধ …?.আহিবা শুধু মাএ ভাগ্যের জোরে বেচে গেছো ..আল্লাহকে ডাকো তিনিই একমাএ আহিবাকে ঠিক করে দিতে পারেন …আমাদের হাতে যত টুকু সামর্থ ছিল আমরা তা করেছি বাকিটা আল্লাহর উপর

ডা.মুন্নি আর কিছু না বলে চলে যায় ….

সবাই চুপ হয়ে গেছে ..

কিছু ক্ষন পরই তিন জন নার্স মিলে আহিবাকে ওটি থেকে বার করে ..আহুবার পুরো মাথা ব্যান্ডেজ করা ..এই টুকু সময়ই চোখের নিচে কালি জমে গেছে …আহিবার মাথা ভর্তি কোমর পর্যন্ত বাদামি চুল গুলো সব কেটে ফেলা হয়েছে …

.আহাধ আহিবার দিকে তাকিয়েই রাফিকে ধরে কেদে দেয় .

..রাফির ওর বাবা মা সবার চোখ দিয়েই পানি টপ টপ করে পরছে আহাধ এখন পারছেনা চিৎকার করে কাদতে …

এনি এক প্রকার দৌড়েই ওখানে আসে

এনি:আহাধ আহিবা কেমন আছে

আহাধ এনির দিকে তাকিয়েই কেদে ওঠে

এনি:আহাধ এর হাত ধরে ঝাকি দিতে দিতে
এনি:বলো না
রাফি:আমি বলছি
রাফি সবটা খুলে বলে এনিকে ..
এনি:আমমমি বোনকে দেখবো
রাহুল:এনি কি হয়েছে

এনি রাহুলকে জড়িয়ে হাউমাউ করে ওঠে …রাহুলকে সব খুলে বলে

রাহুল:আচ্ছা চলো দেখে আসবে কিন্তু তার আগে কান্না থাৃমাও
এনি :কি করে থামাবো …আহিবা যে ছোট কি করে এমন হলো কেন হলো বলো

রাহুল:এনি শান্ত হও …এনি চলো দেখে আসবে

রাহুল এনিকে নিয়ে আহিবার কেবিন এর দিকে যায় সাথে সাথে আর সবাই

রাহুল এনিকে নিয়ে আহিবার কেবিন এ যায় …আহিবার মাথায় ব্যান্ডেজ দেখেই এনি ওখানেই বসে পরে ..রাহুল আহিবার দিকে তাকিয়ে যপন বড় সব একটা ঝাটকা …..খায়

রাহুল:এ কি করে এখানে আসতে পারে ও তো সেদিন বাচার কোনো কথা ছিল না তবে ……..

চলবে,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here