#শুকনো_ঘাস_ফুল?,#part::2,3
#natasa_islam_muntaha
??
?
আহিবা না চাইতেও বার বার তার চোখ জোরা ভিজে উঠছে ,,,কি আর করার তার যে কিছুই করার নেই বিয়ের দিন রাতেই যে সে তার স্বামীকে ২য় বিয়ে করার পার্মিশন টা দিয়ে দিয়েছে ,,,এতে তার স্বামীরই বা দোষ কোথায় ,,,
আহিবা রুমে চলে আশে আর বার হয় না সারাদিন এ ..রাতে একবার বেড়িয়ে দেখে নিয়েছে সবাই খেয়েছে কি না ,,,গভীর রাতে চারিদিকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর ঝোনাকির ঝাক এ মো মো পরিবেশ ..আহিবা বিছারা ছেরে উঠে বারান্দার দরজায় হেলান দিয়ে বসে পরে মাথাটা ঠেকিয়ে দেয় দরজায় ,,মেঘ হীন চাদ হীন তারা হীন নীল আকাশ টার দিকে
?
আহিবা:আমি একা উহু তোমরাও সবাই একা ,,,কারো সাথে কোনো সঙ্গি নেই ,,সবাই নিসংঙ্গ ,যানো আমার জীবনটা এমন ছিল না কত্তো সুন্দর ছিল অডেল সব কিছু না থাকলেও কোনো কিছুর অভাব ছিল না ,,,সারাদিন কত হৈচৈ এর মধ্যে থাকতাম কিন্তু আজ,,,,,,আজ আমি করো বাড়ির বউ সব কিছুতেই আমার সাম্যতা বজায় রেখে চলতে হবে ,,না চাইলেও মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলতে হবে ,,, কারন ,,,উহু আমার তো জানা নেই তোমাদের কি কারো জানা আছে ,,,,আমি এতোটাই হত ভাগী নিজের স্বামীকে অন্যের ঘরে দিয়ে আসি অন্যকে বুকে নিয়ে সুতে দেখি ,,,আমি অন্যের ক্যানো বলছি সেতো আমার বোন ,,,আমি তাকে এমন কথা কেন বলছি ,,,কেন এগুলো সজ্য করতে পারছি না আমি কেন এতো কষ্ট হচ্ছে ,,বুকের ভিগরে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে ,,,আহিবা একটা কবিতা মনে পরছে শুনবে
?
অন্ধকার রাত আবছায় আলো
মনটা তবুও মেঘে ডাকা আকাশ কালো
লক্ষিপেচা ঐ গাছের ডালে
মনে কেন প্রেমের হাওয়া দোলে
চোখ দুটো বড্ড বেহায়া ক্ষনে
ছুটে যায় শুধু তার পানে
যতোই করি বারন
শোনে না কোনো কারন
মাথাটা চায় বার বার তার গেসতে কাধ
কিন্তু এটা যে ঘোর অপরাধ
(কবিতায় জেবিন )
আহিবা চোখ বন্ধ করে তার সাথে কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া কথা গুলো ভাবতে থাকে
একসময় চোখ থেকে পানি পরতে পরতে হাড়িয়ে যায় ঘুমের দেশে
?
আজই মাএ এস এস সি পরিক্ষা শেষ হয়েছে …বাড়িতে নাচতে নাচতে আসে এসেই এনিকে নিয়ে ঘুড়তে থাকে
এনি:আরে করছিস কি ছার
আহিবা:হুস বুড়া মানুষ এর মতো কথা বলো কেন …আপু আজ বিকালে আমরা অনেক ঘুরবো
এনি:আচ্ছা আচ্ছা এখন যা ফ্রেস হয়ে নে
আহিবা :ওকে
এনি:এই শোন
আহিবা:হা বলো
এনি:আজ বিকালে একটা মানুষের সাথে তোর পরিচয় করিয়ে দিবো
আহিবা: কারে সাথে ?
এনি:গেলেই দেখবি আনে
আহিবা:ওক্কে বনু লাভ লু
এনি:হাহাহা লাভ লু থু ??
আহিবা রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে দুপুর এর খাবার খেয়ে এনির সাথে গল্প করে পার করে দেয় বিকাল হতেই এনি আর আহিবা রেডী হয়ে বেড়িয়ে পরে তাদের উদ্দেশ্যের সেই স্থান এর দিকে
আহিবা:আমি আজ হেটে যাবো
এনি:কিন্তু
আহিবা:প্লিজ যাই না
এনি:আচ্চা বাবা চল
আহিবা:☺
ওরা একটা কফিশপে বসে আছে
আহিবা:এখন ও আসে না কেন ,,,এভাবে বসে থাকা যায়
এনি:ওয়েট কর না এসে যাবে আরে ঐ তো ও হচ্ছে আহাদ খান আমার জীবন
আহিবা তাকিয়েই দেখে একটা ছেলে ডার্ক রেড সার্ট কালো ব্লেজার কালো প্যান্ট চোখে লাল সানগ্লাস হাতে একটা কালো বেল্টের ঘড়ি …ছেলেটা এসেই এনির পাশে বসে পরে
আহাদ:হায় তুমি
আহিবা:আমি আহিবা
এনি:আমার মামাতো বোন যেটার কথা তোমায় বলতাম
আহাদ:ওহ হো আমার প্রেম করার মধ্যে প্রেম এর কথা কম আহিবার কথা বেশি
এনি:আরে কি যে বলো না
আহাদ :এই বসো আমি কফি ওডার্র দিয়ে আসছি
এনি:হুম
আহাদ যেতেই
আহিবা:বনু একটা কথা বলি
এনি:হুম
আহিবা:আমি না সেইইইইইই লেভেলের ক্রাস খাইছি রে তুই প্রেম করার আগে একে আমি কেন দেখলাম না তাইলে তো আমিই পটাই সোজা কাজি অফিসে গিয়া পটা পট দুইটা সাইন দিয়া বিয়ের রেজিস্ট্রি করে নিতাম
এনি:ওরেহহহহ হাহাহাহা
এর মধ্যেই আহাদ চলে আসে
আহাদ:কি কথা হচ্ছিল হুম
এনি:ও বলে কি জানো
আহিবা:আপপপপু
এনি:ও বলে তারপর সব টা বলে দেয় আহাদ কে আর আহিবার তো ইচ্ছা করছে মাটির সাথে মিলে যেতে কেমন বদ বোন তার সবটা বলে দিলো
আহাদ:হাসতে হাসতে ,,,,,আমার কিন্তু কোনো সমস্যা নেই দুটো বউ রাখতে
এনি:এই তুমিও না
সেইদিন মতো ওরা সেখান থেকেই বিদায় নেয় …আর অল্প কিছুক্ষন থেকে …পরের দিন ও ঠিক তেমনি ওরা আবার ঘুরতে যায় ..আহাদ ও আসে তবে তাকে আজ খুব বেশি খুশি খুশি লাগছে ..এনি আজ একটা সবুজ আর হালকা সাদা রং এর সাড়ি পরেছে যদিও সেটা আহাদ এর জোড়াজুড়িতে …এনি একা সাড়ি পরে যেতে ইচ্চা করছিল না তাই আহিবাকেও জোড় করে সাড়ি পড়ায় আহিবা ফুল সাদা একটা সাড়ি পরে সাড়িটার পারেও মোটা সাদা সুতার কাজ করা …আচলে হালকা সবুজ রং এর সুতার কাজ …
দুজনে রেডি হয়ে চলে যায় নদীর পড়ে আহাদ আজ আগেই এসেছে তার গায়ে সাদা একটা পান্জাবি সাথে হালকা সবুজ রং এর সুতার কাজ করা
এনি আর আহিবাকে আসতে দেখে আহাদ উঠে তাদের কাছে যায় ….আহাদ এর হাতে এক গুচ্ছো গোলাপ ফুল তবে সব সাদা গোলাপ ?
আহাদ ওদের সামনে এসেই এনিকে প্রপোজ করে আহিবার কেন জানি কষ্ট হচ্ছিল খুব
এনি ও প্রতিবারের মতো আহাদকে accept করে নেয়
তার পর নদীর পাড়ের একটা বসার জায়গায় গিয়ে বসে পরে
এনি:কি ব্যাপার মিস্টার আজ এতো খুশি কেন
আহাদ:তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে
এনি:আমার জন্য কি ছারপ্রাইজ
আহাদ :এখন বলবো বাসায় গেলেই জানতে পারবে
এনি :হুহ
আহিবা:আপু আমি চরে গিয়ে হাটি
এনি:যা তবে সাবধান তুই কিন্তু সাতার জানিস না
আহিবা:চিন্তা করো না তো
এনি:হুম
?
আহিবা নদীর পারে হাটতে থাকে হঠাৎ নদী দিয়ে একটা বড় লন্চ যাওয়াও নদীতে প্রচুর ঢেউ ওঠে আহিবা হাটতে হাটতে অনেকটাই ভিতরে চলে গিয়েছিল আর এতো বড় ঢেউ এর জন্য নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে পানিতে পরে যায়
আহিবা:আপপপপু (বলে জোরে চিৎকার করে)
আশে পাশের মানুষ সব জরো হয়ে গেছে আহাদ আর এনি ও দৌড়ে যায়
এনি:আহাদ কিছু করো আমার বোন (বলেই হুহু করে কেদে দেয় )
আহাদ কি করবে কিছু ভেবে না পেয়ে নিজেই ঝাপ দিয়ে পানিতে পড়ে তার পর আহিবাকে নিয়ে উপরে উঠে আসে …আহিবা ঙ্গান হাড়িয়ে ফেলেছে
এনি:আহিবা বলে ওকে নাড়াতে থাকে
কিন্তু কিছু তেই কোনো কাজ হচ্ছে না …
আহাদ:এনি সরো ওর পেটে চাপ দিয়ে পানি বার করতে হবে অনেক পানি খেয়ে ফেলেছে
এনি :হুম
আহাদ একটা বাজে পরিস্থিতীতে পরে গিয়েছে কি করে আহিবার পেটে হাত দিবে এটা নিয়ে
আহাদ:এনি তোমার হাতটা দাও
এনি:কেন
আহাদ:আহ দাও না
আহার এনির হাতটা আহিবার পেটের উপর রেখে তার পর নিজের হাত দিয়ে এনির হাতের মাধ্যমে পেটে চাপ দেয় অনেক পানিও বার হয় তবুও ওর ঙ্গান ফিরে না
এনি তো সেই কখন থেকে কেদেই যাচ্ছে
আহাদ:এনি কেদো না তো সর ওকে গাড়িতে নিয়ে যাই চলো
এনি আগে আগে গিয়ে গাড়ির দরজা খোলে
এনি :আহাদ ওকে সোয়াও আমি ব্যাগ দুটো নিয়ে আসি
আহাদ:আচ্ছা
?
আহিবাকে সোয়াতে গিয়ে আহাদ এর হাত নিচে পরে যায় আহিবা কিছুটা জোরেই সিটের উপর পরে যায় আর আহাদ ও আহিবার উপর এতো টাই ঝুকে পরে যে আহিবার ঠোঁট ছুয়ে যায় আহিবা এতো জোরে পরার জন্য ঙ্গান হালকা হালকা আসে আর তখনই এমন হয় আহিবা পুরে শক খেয়ে নরা চড়ার ক্ষমতা হাড়িয়ে ফেলেছে আাহাদ তারাতারি করে উঠে যায় কিন্তু আহিবার গলার লকেট টার সাথে আহাদ এর পান্জাবির বুতাম খুব ভালো ভাবে এতে যায় এক সময় জোরে টান দিতে গিয়ে সেটা ছিরেই যায় ..আহাদ ভাবলো পরে দিয়ে দিবনে সাড়িয়ে ..
এর মধ্যেই এনি চলে আশে
এনি এসে আহিবার পাশে বসে আহিবার মাথাটা নিজের কোলে নিয়ে আস্তে আস্তে আহিবাকে ডাকতে থাকে ..
এনি :আহি এই আহি কথা বল বোন কথা বল
আহিবা এনির ডাকে হালকা নরে ওঠে
এনি:আহি তুই ঠিক আছিস
আহিবা পিট পিট করে চোখ খুলে তাকায়
আহাদ:ঙ্গান ফিরেছে (গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে )
এনি:হুম
আহাদ:ওহ
আহিবা আস্তে করে উঠে বসে এনি ওকে ধরেই বসে
এনি:আহাদ আমাদোর বাসার সামনে নামিয়ে দাও
আহাদ:হুম চলো
এনি আর আহিবা বাড়ির সামনে আসতেই দেখে পুরো বাড়ি সাজানো হচ্ছে প্রায় শেষ পর্যায় সাজানো পুরে বিয়ে বাড়ি বিয়ে বাড়ি মনে হচ্ছে
আহিবা:আপু এটা কি আমাদের বাড়ি তাহলে সাজাচ্ছে কেন কারো বিয়ে নাকি ..তুমি বা আমি তো এখন কেউ বিয়ে করছি না তবে কি দাদু আবার বিয়ে টিয়ে করবে নাকি
আহাদ আহিবার এমন কথায় হেসে দেয় জোরেই আহিবা খানিকটা লজ্জা পেয়ে যায়
আহাদ:like seriously তোমার দাদু এই বয়সে বিয়ে করবে ?
এনি:ওর মাথা মনে হয় পানিতে পরে পুরাই গেছে নাম গাড়ি দিয়ে চলে বাসায় গিয়ে দেখি কি হচ্ছে
আহিবা:হুম চলো
এনি আর আহিবা আহাদকে বিদায় দিয়ে বাড়ির ভিতরে চলে যায় বাড়ির ভিতরে যেতেই মিসেস রুজি (এনির মা )
মিসেস রুজি:আরে আহিবা ভিজলি কি করে
আহিবা:আমি একটা নতুন বাড়ি করেছে ওটার নিজ দিয়ে আসছিলাম তখন উপর থেকে একটা বাচ্ছা একটা ভরা বলতি পানি ডেলে দিছে (মাফ করো ফুপু মিথ্যা বল্লাম না হয়ে চিন্তা করবে )
এনি:হুম
মিসেস রুজি :আচ্ছা বুঝলাম এনি তুই ওকে ওর রুমে নিয়ে যা আর এই নে এই হলুটা ওট গালে লাগিয়ে হালকা গোসল করে বার হতে বল পার্লারের মহিলা রা সেই কখন থেকে বসে আছে ওকে সাজাবে বলে
আহিবা আর এনি এক সাথে:মানে
মিসেস রুজি ?:তোদের এতো বুঝতে হবে না তারাতরি যা
এনি আর আহিবা বকা খেয়ে রুমে যায় আহিবা হলুদ লাগাবে না তবুও জোর করে এনি ওর গায়ে হলুদ লাগিে দেয় আর জোরাজুড়ির ফরে এনিও হলুদ এর মাখামাখি হয়ে যায় দুজনই তারপর গোসল করে বার হায় …ওরা দুজন গল্প করছিল এর মধ্যেই আহিবার মা হুরমুর করে দুজন মহিলা নিয়ে রুমে আসে সাথে একটা পিতলের থালায় সাদা একটা ল্যাহেঙ্গা অনেক ভাড়ি ভারি কয়কটা গয়না
আহিবা:এগুলো কি মা আর কার জন্য
মা:এগুলো তোর আর আপনারা একে রেডী করিয়ে তারাতরি নিয়ে আসুন এনি ওর সাথে থাক মা একটু পরেঔ বর চলে আসবে
আহিবা;বর মানে
মা:আজ তোর বিয়ে রে মা ,,,তোর বাবার এক বন্ধুর ছেলের সাথে ছেলেটা বেশ ভালো দেখতে তোর বাবাও তাদের কথা দিয়ে দিয়েছে এই বাড়ির মান সম্মান সব তোর হাতে,,,,না করিস না বাবা মা যা চায় সন্তানের ভালোর জন্যই রে মা রেডী হয়ে নে বলে তিনি কাপরের আচলে চোখ মুছতে মুছতে রুম থেকে বেড়িয়ে যায় আহিবা পাথরের মতো বসে আসে
এনি:আহি
বলতে দেরী আর ওকে জড়িয়ে কাদতে দেরী না ..আহিবা হুহু করে কেদে ওঠে ুনির চোখের কোনাও ভিজে ওঠে তবে সেটা আহিবা দেখার আগেই মুছে নেয়
এনি:আহিবা বোন তৈরী হয়ে নে তারা যে চলে আসবে দেখবি খুব ভালো থাকবি তুই আর মামা মামি কখনই তোর খারাপ চায় না …
এনি (মহিলা দুজনকে উদ্দেশ্য করে): ওকে সাজানোর ব্যাবস্থা করুন
?
মহিলা দুজন ও লেগে পরে তাদের কাজ করতে প্রায় ২ ঘন্টা পরে তারা আহিবাকে কনে সাজিয়ে প্রস্তুত করে পুরো সাদা কনে …বিয়েতে তো লাল কাপড়ে মোড়ানো থাকে কোনো আর আহিবা সাদা ল্যাহেঙ্গা সাদা জুইলারী সাদা ওড়না সাদা টিপ শুধু মাএ ঠোটেঁই হালকা গোলাপি লিপস্টিক ..
এনি এসে আহিবার মুখটা হালকা উচু করে :বাহ খুব সুন্দর লাহছে তো জানিস আহাদ ও নাকি ঠিক এমন সাজিয়ে তার ঘরে আমায় নিবে নব বধু রুপ
আহিবা একটা শুকনো হাসি দেয় …..
কিছু সময় পরই বাহির দিয়ে তিব্র ধন্নি ভেসে বসে বাচ্চাদের :বর এসেছে বর এসেছে
আহিবার বুকটা কেপে ওঠে …
আর তখনই এনি দৌড়ে বাহিরে যায় আর ভেজা চোখ নিয়ে আসে আহিবার সামনে আহিবার দিকে তাকিয়েই নিজের মুখ চেপে দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায় ,,,,,,আহিবা এনির রুমের দিকে যাবে তার আগেই ওকে কিছু পারার মেয়েরা এসে পরে নেওয়ার জন্য
?
চলবে,,,,,, ,
???
#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::3
??
?
কিছু সময় পরই বাহির দিয়ে তিব্র ধন্নি ভেসে বসে বাচ্চাদের :বর এসেছে বর এসেছে
এনি :তুই বস আমি গিয়ে তোর বরটাকে দেখে আসি বুঝলি
?
বলেই এনি উঠে বর দেখতে চলে যায় গেট এর সামনে যেতেই সাজানো একটা বিয়ের গাড়ি বাড়ির ভিতরে ডুকতে দেখে এনি ভালো ভাবে গাড়ির দিকে তাকাতেই তার আত্তা কেপে ওঠে কারন গাড়িতে আর অন্য কেউ না আর প্রিয় আহাদ এনির চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পরতে থাকে আহাদকে এনির মা আর আহিবার আম্মু বরন করে নিচ্ছে আহাদ এনির দিকে তাকিয়ে থাকে আহাদ এর চোখ ছল ছল তবে সে কাদছে না ছেলেদের যে কাদতে নেই ..এনি আর সজ্য করতে না পেরে দৌড়ে বাসার ভিতরে চলে যায় এনির রুমের আগে আহিবার রুম হওয়ায় এনি আহিবার রুমের সামনে দাড়িয়ে আহিবার দিকে তার ভেজা চোখ নিয়ে আহিবার দিকে তাকিয়েই নিজের মুখ চেপে দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায় ,,,,,,আহিবা এনির রুমের দিকে যাবে তার আগেই ওকে কিছু পারার মেয়েরা এসে পরে নেওয়ার জন্য আহিবা চাইলেও আর যেতে পারে না এনির কাছে ওকে নিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয় আহাদ এর পাশে আহিবা এক বারো পাশে তাকিয়ে তার হবু বরকে দেখেনি …বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায় ..আহিবাকে যখন যা করতে বলা হয়েছে সে তখন তাই করছে এখন বিদায়ের পালা সবাই কাদছে কিন্তু আহিবা কোনো কিছু বলছে না হয়তো তাদের প্রতি অভিমান এর জন্য …
?
.আহিবার আম্মু ওকে ধরে প্রচুর কাদে ,,তারপর আহিবাকে গাড়িতে উঠিয়ে বিদায় দেওয়া হয় ,,,কিছু সময় এর মধ্যে ঐ বাড়িতেও চলে আসে আহিবার এসব কিছুই ভালো লাগছে না তাই চুপ করে আছে ,,,,বিয়ে বাড়ির নিয়মের অভাব থাকে না ঠিক তেমনি আহিবার ও নিয়ম পালন করতে করতে অবস্থা খারাপ এখন আয়নার মুখ দেখার পালা …আহিবা আর আহাদকে আয়নায় একে অপরের মুখ দেখতে বলা হয়েছে আহিবা আয়নায় তাকিয়ে আতঙ্কে ওঠে সাথে সাথে ওর সামনে বসে থাকা মানুষটার দিকে তাকায়
?
আহিবা হালকা ভাবে নলে ওঠে :আপনি
আহাদ কোনো কথা বলছে না সে চুপ করে আছে
আহিবা কিছুই বুঝতে পারছে না ,,,সব নিয়ম শেষ করে তাকে নিয়ে বসানো হয় বাসর ঘরে ..
আহিবা: কি হচ্ছে এগুলা আহাদ ভাই কি করে ,,
?
,এর মধ্যেই আহাদ রুমে ডোকে দরজা লক করেই এসে আহিবার দুই বাহু চেপে ধরে
আহাদ: এটাই চেয়েছিলে তুমি তাই না ( চিৎকার করে )
আহিবা : মমমাননে
আহাদ: কিচ্ছু বুঝতে পারছো না তাই না ,,,তোমার জন্য আমি আমার এনিকে হাড়ালাম শুধু তোমার জন্য নাহ আমি তাকে হাড়াতে দিবো না আমি তাকে ভালোবাসি তুমি জীবনেও আমার থেকে নিজের স্বামীর অধিকার পাবে না কখনই না
আহিবা বার বার ব্যাথায় কুকিয়ে উঠছে তবুও এটা আহাদের গায়েও লাগছে না
আহিবা: আমমমি কককি কককররেছি
আহাদ: কিছু করিস নি তাই নাহহহহহহ ( জোরেচিৎকার দিয়ে খাটের পাশে থাকা ল্যাম লাইট টা ধরে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় সাথে সাথে সেটা ভেগে গুড়িয়ে যায়..আহিবা কেপে ওঠে )
আহাদ: আমি এই বিয়ে মানি না তুই বুঝেছিস মানি না আমি এনিকেই বিয়ে করবো তাকে নিয়েই সংসার করবো তোকে নিয়ে না
আহাদ এর মুখে বিয়ের কথা শুনতেই আহিবার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পরে ,,,
আহিবা আস্তে করে খাট দিয়ে নেমে এক সাইডে গিয়ে দারায়
আহিবা:আপপপনি ঘুমমমমিয়ে পপপরুন…আমি এই খানেই আছি …
আহাদ:তুই স (আহাদের কথা থামিয়ে দিয়ে )
আহিবা:চিননন্তা করররবেন আমমি কোনননো সসসুজগ নিবববো না আআর কউউকে বললবো ও না আপপনি ঘুমমমিয়ে পরররুন
আহাদ কিছু না বলে চুপ চাপ সুয়ে পরে
আহিবা আস্তে করে আহাদ এর রুমের বারান্দায় চলে যায় …আহিবা আকাশের দিকে তাকিয়ে
আহিবা:এমন কেন করলে আমি তো চাইনি এমন ,,,কতো সাজানো স্বপ্ন ছিল বাসর নিয়ে কিন্তু কি হলো …আমি আজ এতো বড় হতভাগীনি যে কিনা বাসর ঘরেই স্বামীর মুখ দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার কথা শুনতে হচ্ছে ,,,কি কপাল আমার ..
আহিবার মনে পরে যায় সেই দিনের কথা যেদিন আহাদ এর বাবা মা ওদের বাড়ি গিয়েছিল এনিকে দেখতে ,,,কিন্তু আহাদ এর মা পছন্দ করে ফেলে আহিবাকে সেটা সে সবার সামনেই বলে দেয় আহিবাও সবার সামনে না করে দেয় এতে তিনি কষ্ট ও পান তবুও কোথা দিয়ে কি হলো বুঝতে পারছে না হঠাৎ রুম থেকে ফোনের ম্যাসেস টিউন বেজে ওঠে আহিবা গিয়ে ম্যাসেসটা অন করে ম্যসেস টা এনি তাকে দিয়েছে
?
“আহিবা তুই বিয়েটা ভাগতে পারলিনা ,,,আমি কখনও তোর খারাপ লাগে এমন কিছু বলি নি কিন্তু বজ বলছি কখনও সুখী হতে পারবি না ”
আহিবা ম্যসেস টা দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে
আহিবা:অবশেষে তুমিও ভুল বুঝলে ,,আমায় ,,,কিন্তু সেদিন তো তুমিই আমায় ওখানে বসিয়ে ছিলে তাদের
????
হঠাৎ আহিবার ঘুম ভেগে যায় চারিদিকে পাখির কিচির মিচির ডাক ফজরের আজান দিচ্ছে আহিবা তাই আার না সুয়ে উঠে পরে ফজরের নামায আদায় করে নেয় সে সব সময় নামায পরলেও ফজরের নামায তার পরাই হতো না এই ঘুমের জন্য আর আজ,,,নিজেই নিজের কাজে হেসে দেয় …
নামায সেরে সুমিকে গিয়ে ডেকে তোলে ,,,তারপর গিয়ে নাস্তা বানাতে শুরু করে …নাস্তা বানাতে গিয়ে ভুল করে তেলে জোরে রুটি দিয়ে ফেলে যার জন্য হাতে ছিটে ওঠে আহিবা আহ বলে দূরে সরে যায় আহাদ নিচে এসেছিল পানি নিতে আহিবার এমন আওয়াজে আহাদ দৌড়ে যায় গিয়ে দেখে আহিবা হাত নিয়ে লাফাচ্ছে আর ফু দিচ্ছে
আহাদ:হাত দাও এই দিকে
আহিবা সে তার মতো ফু দিয়েই যাচ্ছে
আহাদ বুঝতে পারে আহিবা তার কথা শুনবে না তাই আহিবার হাত ধরে টেনে বেসিন এর কাছে নিয়ে গিয়ে পানি ছেরে দেয়
আহাদ:সুমি ফ্রিজ থেকে ঠন্ডা পানির বোতলটা দে তো
সুমি বোতল এনে :নেন ছোট সাহেব
আহাদ বোতলটা নিয়ে সেখান থেকে ঠান্ডা পানি আহিবার হাতে দিয়ে দেয় ..হঠাৎ করেই আহিবার চুলের খোপা খুলে চুল গুলো আহিবার মুখে ছরিয়ে পরে আহাদ সেটা হাত দিয়ে সরিয়ে দেয় আহাদ আহিবার দিকে বেশ খানিকটা ঝুকেঔ হাতে পানি দিচ্ছিল কিন্তু এনি
?
এনি দূর থেকে দাড়িয়ে সব দেখছিল আর আহাদ আহিবার দিকে এতো ঝুকে যাওয়াতে এনি আহিবা আর আহাদকে নিয়ে ভুল ভাবে তাই রেগে মেগে নিজের রুমে চলে যায়
আহাদ: যাও হাতটা মুছে আমার রুমে এসো আমি ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছি
আহিবা:ততততার দদরকারর নেইই
আহাদ:চুপ আসতে বলেছি আসবা না হলে
আহাদ আর কিছু না বলে রুমে চলে যায়
?
আহিবা ও হাত মুছে চুপচাপ আহাদ এর রুমের দিকে যায় আর গিয়েই দেখে এনি আহাদের গলা জড়িয়ে ধরে আছে আর আহাদ তার কোমড় একজন একজনকে ভালোবাসার পরশ দিতে ব্যস্ত আহিবা এক মূহুর্ত না দাড়িয়ে ওড়না নিজের মুখে চেপে রুমে চলে আসে ..এনি এটা ঠিকই দেখেছে আহিবার মুখে ওড়না চেপে দৌড়ানো …তার কষ্ট লাগলেও শান্তি
এনি:তুই স্বামীর ভাগ দিতে পারিশ কিন্তু আমি না ,,,আমি কখনই তার ভাগ তোকে দিতে পারবো না (মনে মনে )
আহিবা দৌড়ে এসেই খাটের উপর সুয়ে মুখে বালিস চেপে কেদে দেয়
আহিবা:আমি তো তাকে ভালোবাসি না তবে কেন আমি কষ্ট পাচ্ছি কেন ,,,কেন ,,,,,?
আহাদ খেয়ে অফিসে যেতেই এনি আসে আহিবার রুমে আহিবা রুম ঘোচাচ্ছিল …এনি আহাদ এর কাছে সুনছে আহিবার হাত পুড়েছে কিন্তু এখন তার এতে মাথা ব্যাথা নেই কোনো
এনি:আহিবা
আহিবা:আরে আপু বসো কিছু বলবে
এনি:তুই আর আহাদ এর সামনে যাবি না ওর …সামনে যানি তোকে না দেখি বুঝেছিস
আহিবা :আপু কি বলছো আমি খখন তার সামনে গেলাম
এনি:এই তুই থাম আমার সব জানা আছে তুই যাবি না ,,,,তোকে যানি কখনও না দেখি ও আমার স্বামী আমার স্বামীর ভাগ আমি কাউকে দিবো না
আহিবা (শান্ত সরে)”আপু ভুলে যেওনা সে কওন্তু আমারও কবুল বলে বিয়ে করা স্বামী
কথাটা বলতে দেরী কিন্তু এনির চর মারতে দেরী না
আহিবা গালে হাত দিয়ে ছল ছল চোখে
আহিবা:আপু তুমি
এনি:হুম এটা আগেই করা উচিত ছিল আহাদ শুধু বমার সে শুধু আমায় ভালোবাসে ,,,,,,তুই কিচ্ছু না
??
স্বামী এমন একটা জিনিস যার ভাগ কেউ দিতে রাজি না …আহিবা না দিতে চাইলেও তার স্বামীই তার থাকতো না …আর এনি সে তার স্বামীর ভাগ কারো সাথে করবে না দেখে নিজের প্রিয় বোনের গায়েও হাত দিতে তার বাধলো না কারন সে স্বামীর ভাগ দিবে না ,,, ,
চলবে,,,,,,,,