শুকনো_পাতার_বৃষ্টি [১২] শেষ_পর্ব

0
669

#শুকনো_পাতার_বৃষ্টি [১২] শেষ_পর্ব
#ফারজানা_আক্তার

নিস্তব্ধ নিরব পরিবেশ। সাইমন সবার সামনেই সানিয়াকে জিজ্ঞেস করে সব। সানিয়া একবার খালেদা খাতুনের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে গড়গড় করে সব বলে ফেলে। রাগে ফুঁসছে খালেদা খাতুন। সাইমন আর একমিনিটও সেই স্থানে না দাঁড়িয়ে বাহিরে চলে যায়। সন্ধ্যার দিকে ফিরে আসে সাইমন। সানিয়া নিজের রুমের জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে। সাইমন আসতেই কাঁপা কাঁপা কন্ঠে সানিয়া বলে “তোমাকে কষ্ট দেওয়ার কোনো ইচ্ছে ছিলোনা আমার কিন্তু মনের ভেতর আর চেপেও রাখতে পারছিলাম সবটা তাই বলে ফেলেছি সব।”
সাইমন সানিয়ার কথায় কোনোরকম রিয়েক্ট না করে বলে “খুব দ্রুত ডিভোর্স পেপার পেয়ে যাবে। চিন্তা করিওনা।” সানিয়া নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ভাবছে “মানুষটা এতো ভালো কেনো? নিজের কথা কখনোই ভাবেনি শুধু আমার কথায়-ই ভেবে গেছে বিয়ের পর থেকে। সত্যিই খুব মায়া হচ্ছে আজ মানুষটার জন্য। ”
রাতে খাবার টেবিলে সবার মুখ গম্ভীর। আদিবার কেমন জানি অদ্ভুত খুশি হচ্ছে সাইমনের চিন্তিত মুখটা দেখে। সবার মুখ এমন ভু’ত প্যাঁ’চা’র মতো দেখে বেশ আনন্দ হচ্ছে আফিয়ার। এটাই সুযোগ কা’টা গায়ে লবণ মরিচ ছিঁটানোর। তাই আফিয়া আর এক মুহুর্তও দেরি না করে আহানকে উদ্দেশ্য করে বলে “আহান তুমি কি বুঝতে পারছোনা এখনো সাইমন ভাই কেনো এতো সহজে সানিয়াকে ছাড়তে রাজি হয়ে গেছে? এতোটা বোকা কবে থেকে হলে তুমি?”
সবার নজর আফিয়ার দিকে। আফিয়ার মুখে শ’য়’তা’নি হাসি। আফজাল খান এবার রেগে গিয়ে খালেদা খাতুনকে বলেন “তোমার ভাইয়ের মেয়ে কিন্তু এবার বেশি বাড়াবাড়ি করছে। অশান্তির মধ্যে নতুন অশান্তি সৃষ্টি করতে নিষেধ করো ওকে নয়তো আমি ঘাঁড় ধা’ক্কা দিয়ে ওকে বাসা থেকে বের করতে বাধ্য হবো।”
মামুন সাহেব আজ নেই। উনি ঢাকা গেছেন গুরুত্বপূর্ণ কাজে। আফিয়া রাগে ফাঁস ফাঁস করে মোবাইলে একটা ভিডিও চালু করে দেখায় সবাইকে। ভিডিওটা দেখে সবাই সাইমন আর আদিবার দিকে তাকায়। খালেদা খাতুন ভয়ে চুপসে যায় এবার যদি উনার গোপন সূত্র টা ফাঁস হয়ে যায় সেই ভয়ে। ভিডিওতে শুধু এই টুকুই উঠেছে। সাইমন আদিবাকে বলে “এখনো খুব বেশি মিস করি তোমায়। ভুলগুলো সব ক্ষমা করে দাও প্লিজ। তখন মাথা ঠিক ছিলোনা আমার।” আর আদিবা বলেছিলো “পৃথিবীতে যত খারাপ আছে তার সর্বোচ্চে আমি তোমাকে রাখলাম। জ’ঘ’ন্য রকম ঘৃ’ণা করি তোমায় আমি। প্লিজ আমার সংসারে আ’গু’ন লাগাইয়ো না আর। আমার মেয়ের কাছ থেকে দূরে থাকবে। আমি চাইনা তোমার সংস্পর্শে সিয়া আসুক।”
আহানের মাথা গরম হয়ে যায়, সে সামনে থাকা ভাতের প্লেট ছুঁড়ে ফেলে আদিবাকে দাঁড় করিয়ে ওর দুই বাহু চেপে ধরে বলে “কি এসব? কি সম্পর্ক তোমাদের মাঝে?”
আদিবা আহানের এমন রাগ দেখে কান্না করে দেয় কারণ এর আগে আহান ওর সাথে আর এভাবে কথা বলেনি কখনো। সাইমন কিছু বলতে চাইলে আহান ওকে থামিয়ে বলে “তোর কথা তো পরে শুনবো। আগে এর কথা শুনে নেই।”
আদিবার এবার খুব অভিমান হতে লাগলো। সব না জেনে আহান এভাবে কথা বলছে এটা সে সহ্য করতে পারছেনা। আদিবা খুব ব্যাথা পাচ্ছে কারণ একটু জোরেই আহান ওর বাহু চেপে ধরেছে। আহান এবার চিল্লিয়ে জিজ্ঞেস করতে এক নিঃশ্বাসে আদিবা বলে দেয় “সাইমন সিয়ার বাবা আমার প্রাক্তন স্বামী”
এবার আহান ছেড়ে দেয় আদিবাকে। আদিবা চোখ বন্ধ করে হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে, খুব ব্যাথা হচ্ছে হাতে। উপস্থিত সবাই নির্বাক। আফিয়ার মাথায় কিছুই আসছেনা কি হচ্ছে এসব। তারপর সবার নির্বাক চাহনি দেখে আদিবা বলা শুরু করে “সাইমন কলেজে আমায় দেখে প্রেমে পরে আমার। ভালোবেসেই বিয়ে করি আমরা। আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়িও মেনে নেয় আমাদের। খুব সুন্দর-ই চলতে থাকে আমার সংসার। আমার বিয়ের একমাস তিনদিন পর এক ভদ্র মহিলা আসেন বাসায় তারপর কিছুদিন যাওয়ার পর থেকেই আমার সংসারটা ধীরে ধীরে চেঞ্জ হতে শুরু করে। আমার বিয়ের যখন ছয়মাস চলে তখন থেকেই সাইমন একটু বেশিই অবহেলা করা শুরু করে আমায়। কথায় কথায় বলতো বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে আমায়,, ডিভোর্স দিয়ে দিবে আমায়। অথচ তখন ওর পাঁচ মাসের সন্তান আমার গর্বে সেটা সে একবারও ভাবেনি। যখন অবহেলার মাত্রা বেড়ে যাচ্ছিলো আর আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। যখন আমি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন আমি শ্বশুড় শ্বাশুড়ি থেকে দোয়া নিয়ে চলে যায় আমাদের বাসায়। খুব অসহায় ভাবে দিন কাটাতে লাগলাম আমি, সাথে মানুষের নানা কটুবাক্য তো আছেই। তবুও আমি বিশ্বাস রেখেছিলাম যে যেদিন আমাদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে সেদিন সাইমন ছুটে আসবে আমাদের নিতে আর সাইমন সত্যিই এসেছিলো সিয়ার জন্মের দিন কিন্তু আমাদের নিতে নয় আমার হাতে ডিভোর্স পেপার ধরিয়ে দিতে। সাইমন একবারো সদ্য জন্ম নেয়া মেয়ের দিকে তাকায়নি, আমার মুখে ডিভোর্স পেপার টা ছুঁড়ে দিয়ে চলে এসেছিলো অথচ আমার মা দৌড়ে এসে ওকে বলেছিলো ওর কন্যা সন্তান হয়েছে। সেদিন ও একটুও সময় পায়নি নিজের মেয়ের মুখটা দেখার তাহলে আজ কেনো ওকে আমি আমার মেয়েকে ছুঁতে দিবো? কখনোই না। কোনো বেইমান কখনো আমার মেয়ের বাবা হতে পারেনা।”

আদিবা কথাগুলো শেষ করে বসে পরে চেয়ারে। সাইমনের চোখে আজ অশ্রু। আদিবার মুখের প্রতিটি শব্দ ঝ’ড় তুলেছে সাইমনের বুকে। সবাই ঘৃ’নি’ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাইমনের দিকে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে আহান সাইমনকে জড়িয়ে ধরে বলে “ধন্যবাদ ভাই। তোমার জন্যই আজ আদিবা আর সিয়াকে পেয়েছি আমি। তুমি যদি সেদিন আদিবাকে ডিভোর্স না দিতে তাহলে আমি কখনোই আদিবাকে আমার করে পেতাম না। ”
কথাগুলো বলেই আহান নিজের রুমের দিকে পা বাড়ায়। আহানের এমন খুশি হওয়ার কারণ টা এখনো অজানা সবার কাছে। সানিয়া খুব রাগ নিয়ে নিজের রুমে চলে যায় হনহন করে সাইমনও ওর পেঁছন পেঁছন ছুটে যায় ওর ভুল ভা’ঙ্গা’নো’র চেষ্টায়। আফজাল খান সিয়াকে নিয়ে বাগানে হাঁটতে চলে যান, ঘরে ভালো লাগছেনা এসবের মধ্যে উনার আর। আফিয়া যেনো স্বপ্ন দেখছে সব এমনভাবে হা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে থ মে’রে। খালেদা খাতুন একপ্রকার জোর করেই ওকে টানতে টানতে ওর রুমে নিয়ে যায়। আদিবা সেটা খেয়াল করে চোখ-মুখ মুছে ওদের পেঁছনে যায়।
খালেদা খাতুন আফিয়াকে থাপ্পড় দিয়ে রাগি কন্ঠে বলে “এসব করার আগে একবারও আমাকে জানাতে পারিসনি? কেনো একা একা করতে গেলি সব? শেষ পর্যন্ত কি তোর জন্য আমার সংসার ছেলে মেয়ে সব হারাবো আমি?”

“ফুফি তুমিও আমাকে গায়ে হাত তুললে?”
“বেশ করেছি। তোকে ইচ্ছে করছে খু’ন করতে আমার। মাথা মোটা একটা মেয়ে?”
“কি বলছো এসব তুমি? কি হয়েছে তোমার?”
“তুই জানিস পাঁচ বছর আগে আমার জন্যই সাইমন আর আদিবার সংসার ভে’ঙ্গে’ছে? জানিস না তো। এখন তো সব গোপন সূত্র ফাঁস হয়ে যাবে তাও তোর মতো ভাতিজীর জন্য।”
“কি বলো এসব তুমি? তোমার ভুলের জন্যই তাহলে আমার আহান আমার হয়েও হয়নি।”

আদিবা সব শুনছে আঁড়ালে দাঁড়িয়ে। আফিয়ার বুদ্ধিতে সেও সব ভিডিও করে ফেলে। তারপর ওদেরকে সম্পূর্ণ কথা বলতে না দিয়ে রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে বলে “বাকি কথা ড্রয়িংরুমে এসে সবার সামনে বলুন শ্বাশুড়ি মা। আজকে আর রেহাই নেই আপনাদের। আমি আগেও সব আন্দাজ করতে পেরেছিলাম শুধু প্রমাণ ছিলোনা আমার কাছে।” এটা বলেই আদিবা নিজের রুমে গিয়ে আহান কে ডেকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে আসে। আহান সবাইকে কল করে ড্রয়িংরুমে ডেকে নেয়। আফজাল খান বিরক্ত হয় এতে, বারংবার ঝামেলা আর ভালো লাগছেনা উনার।
সবাই উপস্থিত হলে আদিবা ভিডিওটা অন করে। আর বলে ওর বিয়ের তিনমাস পর আর কেউ নয় খালেদা খাতুনই গিয়েছিলেন বাসায়। ভিডিও দেখার পর সাইমন সোফায় বসে পরে মাথায় হাত দিয়ে। আফজাল খান খালেদা খাতুনকে জেরা করে অনেক কিন্তু কিছুই বলছেননা উনি। পরে আহান বলে আজ যদি উনি সত্যি না বলে তবে আহান চিরদিনের জন্য এই ঘর থেকে চলে যাবে আর কখনোই ফিরবেনা। সানিয়া খান আর আফজাল খানও একই কথা বলে। খালেদা খাতুন খুব নরম সুরে কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলতে শুরু করে “আমি আর সাইমনের মা ওদের জন্মের পর থেকেই ওদের দু’জনের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলাম। সেদিন ওই বাসায় গিয়ে এই মেয়েকে দেখে আমার খুব রাগ হচ্ছিলো। তাই সাইমনের সামনে সবসময়ই ওর খারাপ দিক তুলে ধরতাম, ওর নামে বাজে কথা রটাতাম। সাইমনকে বলেছিলাম এই গরিব ঘরের মেয়ে বিয়ে করে ও কোনো সম্মান পায়নি যে সম্মান বড় ঘরের মেয়ে বিয়ে করলে পাবে। এমন আরো অনেক কথা বলে সাইমনকে বিভ্রান্ত করেছিলাম। এভাবেই ওদের ডিভোর্স হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে সাইমনকে আদিবার নামে এটা ওটা বলেই যেতাম। ভাবছি সাইমন ডিভোর্সি হলে কি হয়েছে টাকা তো আছে, সুখী হবে আমার মেয়ে তাই নিজের কসম দিয়ে সানিয়াকে এই বিয়েতে রাজি করায় তাও একবছর লেগেছে আমার ওকে রাজি করতে। সাইমনও অপেক্ষা করেছে একবছর।”
“ছিঃ মা ছিঃ। আপনাকে মায়ের জায়গায় বসিয়ে নিজের জীবন ধ্বং’স করেছি আমি। আগে যদি জানতাম আপনি এতোটা লোভী তবে কখনোই এতোটা সম্মান আপনাকে দিতাম নাহ।”
সানিয়া সাইমনের দিকে আজ প্রথম এতোটা মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকায়। আফজাল খান রেগে গিয়ে খালেদা খাতুনকে ঘর থেকে বের করে দিতে চাইলে আদিবা আটকায়। খালেদা খাতুন কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। আদিবা সব সামলিয়ে নেয় নিজের মতো করে। সবাই নিজ নিজ রুমে চলে গেলেও আদিবা দাঁড়িয়ে থাকে খালেদা খাতুনের পাশে আর বলে “আপনাকে মন থেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবোনা। পারলে আফিয়াকে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়ে একটা সাহায্য করুন।”
এটা বলেই আদিবা নিজের রুমে চলে যায়। খালেদা খাতুন লোভের জন্য আজ সব হারালো। আজ বড্ড বেশি আফসোস হচ্ছে তবে কিছুই করার নেই, নিজের দোষেই নিজে দোষী আজ।

*
সাইমন সানিয়ার কাছে গিয়ে বলে মিনহাজের সাথে কথা কথা বলার জন্য। সাইমন নিজেই সানিয়াকে মিনহাজের কাছে নিয়ে যায় সেই রেস্তোরাঁয়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে মিনহাজ বিয়ে করেছে এক বছর হতে চললো। ওর মায়ের জন্য ওকে বিয়ে করতে হয়েছে। সানিয়া ওর বিয়ের কথা শোনে বেরিয়ে আসে সেখান থেকে। সাইমন পেঁছনে আসে ওর। রাস্তা দিয়ে আনমনা হয়ে চোখে অশ্রু নিয়ে হাঁটছে একাকি সানিয়া। সাইমন পাশে দিয়ে এসে বলে “এভাবে ভে’ঙ্গে পরিওনা সানিয়া, সব ঠিক হয়ে যাবে।”
সানিয়া কিছু না বলে নিশ্চুপ হয়ে সাইমনের বুকে মিশে যায়। সাইমন অবাক হয়ে যায় ওর এমন কান্ডে। তবুও কিছু বলেনা মেয়েটা একদম ভে’ঙ্গে পরেছে বলে। সাইমনের সাড়াশব্দ না পেয়ে সানিয়া বলে “সারাজীবন এই লোনাজলে তোমার শার্ট ভেজানোর অধিকার দিবে কি?”
সাইমন কিছু বলেনা। শুধু মুচকি হাঁসে। রাতের আকাশটা সাক্ষী হলো তাদের প্রণয়ের।

*
আদিবা চুপচাপ আহানের বুকে শুয়ে আছে। আহান কিছু বলতে চাই কিন্তু পারছেনা বলতে। আদিবা জিজ্ঞেস করে আহানকে সে কিছু বলতে চাই কিনা কিন্তু আহান সাড়া দিচ্ছেনা। খানিক পরে আহান বলে উঠে “আমার সম্পর্কে যদি কখনো কোনো সত্য জানো যা তুমি কখনোই কল্পানাতে আনোনি এমন কথা তবে কি ছেড়ে চলে যাবে আমায়?”
“উঁহু কোনো সত্যি আর আমাদের আলাদা করতে পারবেনা। আপনার মতো জীবনসঙ্গী আমি হারাতে চাইনা কিছুতেই।”
“তুমি জানোনা সত্যি টা। সত্যি টা জানলে তুমি…”
“আপনি বাবা হতে পারবেননা কখনো তাই তো?”
আহানকে পুরো কথা বলতে না দিয়ে ওর কথার মাঝখানে আদিবা বলে উঠে কথাটা। আহান অবাক হয়ে শোয়া থেকে উঠে বসে। তখন পেঁছন থেকে বলে “এতো চিন্তার কিছু নেই। তোমার কাবার্ডের ড্রয়ারে পেয়েছিলাম রিপোর্ট টা। কখনো ছেড়ে যাবোনা তোমায়। তোমার ভালোবাসার চেয়ে আর কিছুই দামি নয় এই পৃথিবীতে আমার কাছে।”
“তুমি আমাকে তুমি করে বলেছো আজ প্রথম? ”
“কেনো বলতে পারিনা? ”
“হুম। পারো বলতে। এটার জন্যই তো অপেক্ষায় ছিলাম। তুমিই তো একজন এই হৃদয়মাঝে ভালোবাসার রাণী।”
দুজনে দু’জনের চোখে হারিয়ে যায় যেনো বহুকালের তৃষ্ণা।

************সমাপ্তি**************

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here