#শুধু তুই
#পর্বঃ১২,১৩
#Tanisha Sultana (Writer)
পর্বঃ১২
সায়ান অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে আর তুলি টিভি দেখছে
“অফিসে যেতে হবে আপনাকে?
” কেনো?
“টাকা দিয়ে পিএ রেখেছি কাজ করানোর জন্য। বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানোর জন্য না
” করলা
তুলি বিরবির করে বলে
“কি বললেন?
ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে সায়ান।
” আপনার মাথা
তুলি বিরক্তি নিয়ে চলে যায়।
দুইদিন পরে তুলি অফিসে যাচ্ছে কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।
“সবই তো নিয়ে এসেছি তাহলে এমন খালি খালি লাগছে না
তুলি নিজেকে একবার ভালো করে দেখে মনে মনে বলে।
তুলি সায়ানের কেবিনে উঁকি দিয়ে দেখে সায়ান আর জুজুর মা কিছু নিয়ে আলোচনা করছে।
” আসবো বাবু
তুলি নেকা সুরে বলে। সায়ান ড্যাপড্যাপ করে তুলির দিকে তাকিয়ে আছে। জুঁই উঠে দাঁড়ায়।
“কি হলো আন্টি আপনি দাঁড়িয়ে গেলেন কেনো?
তুলির মুখে আন্টি শুনে জুঁই বড় বড় চোখ করে তুলির দিকে তাকায়
” আন্টি
“আপনি বাইরে যান আমরা দরকারি কথা বলছি। সায়ান শক্ত কন্ঠে বলে।
” কি এমন কথা যা আমার সামনে বলা যাবে না
“যেতে বললাম তো
তুলি সায়ানের পাশে চেয়ার টেনে বসে পরে।
” আমি যাবো না
“জুঁই চলো আমরা চলে যায়
” সায়ান ও
তুলি জুঁইকে থামিয়ে জুঁইয়ের সামনে যায়
“আপনার লজ্জা করে না। আমার সংসারটা কেনো ভাঙছেন আপনি? মানছি সায়ান আপনাকে ভালোবাসতো আপনিও সায়ানকে ভালোবাসতেন। আপনার বাবা জোর করে আপনার বিয়ে দিয়ে দিছে। ভালোই সুখে ছিলেন। সায়ানের তো একবারও খোঁজ ও নেন নি। মরে গেছে না কি বেঁচে আছে সেটাও জানতে চান নি। এখন যখন আপনার স্বামী আপনাকে ছেড়ে দিলো তখন আপনি আবার সায়ানের ঘাড়ে চেপে বসলেন
সায়ান তুলিকে সায়ানের দিকে ঘুড়িয়ে ঠাস করে একটা চড় মেরে দেয় তুলির গালে। জুঁই কেঁপে ওঠে। তুলি তাক সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পড়ে যায়।
” যা জানেন না তা নিয়ে কেনো বাড়াবাড়ি করেন আপনি?
চিৎকার করে বলে সায়ান।
“সায়ান তুমি ওর গায়ে কেনো হাত তুললে?
জুঁই তুলিকে তুলতে যায়। তুলি নিজে নিজে উঠে দাঁড়ায়। গালটা লাল হয়ে গেছে। পাঁচটা আঙুলের ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তুলি বেরিয়ে যায়। সায়ান দেয়ালে ঘুসি মারে।
” কি করলে তুমি এটা?
চোখ মুখ শক্ত করে জিজ্ঞেস করে জুঁই
“একটু বেশি পাকনামি করে মেয়েটা। জানে না বুঝে না শুধু শুধু নাক গলায়
” তুলির দিক থেকে তুলি ঠিকি আছে। নিজের স্বামী যদি অন্য একটা মেয়ের পাশে ছায়ার মতো থাকে তাহলে তো খারাপ লাগবেই। আমার ই দোষ
“জুঁই
” অনেক করেছো সায়ান আমার আর জুজুর জন্য। আমার মেয়েটাকে বাবার ভালোবাসা দিয়েছো। বাবার অভাব পূরণ করেছো। তোমার দায়িত্ব শেষ। এবার নিজের লাইফের ওপর ফোকাস করো। তোমাদের ঘড়ে ছোট্ট একটা জুজু নিয়ে এসো।
সায়ান অন্য দিকে ঘুরে যায়।
জুঁই সায়ানের পাশে দাঁড়ায়।
“আমি জানি না অনিক (জুজুর বাবা) বেঁচে আছে কি নে। অনিক তোমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলো তুমি পূরণ করেছো। এবার আমি নিজেই জুজুর দায়িত্ব নিতে চায়
জুঁই আর এক মুহূর্ত দেরি না করে চলে যায়।
দুইঘন্টা যাবৎ তুলি জিসানের রুমে বসে আছে। সায়ানের রুমে যাবে না। ইভেন সায়ানের সামনেও যাবে না তুলি। তুলির শশুর কাকিমনি অনেক করে জিজ্ঞেস করেছে তুলির কাছে কি হয়েছে তুলি কারো সাথে কথা বলছে না। জিসান বাড়িতে নেই।
জিসান বাড়ি ফিরে রুমে ঢুকে দেখে তুলি নাক টানছে আর কাঁদছে। তুলি সাধারণত জিসানের রুমে আসে না। আজ এসেছে আবার কাঁদছেও জিসান চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। তুলির এবার জিসানের দিকে চোখ পড়ে।
” আমি কাঁদছি আর তুই দাঁড়িয়ে দেখছিস আমাকে সান্ত্বনা দে
নাক টেনে বলে তুলি। জিসান এবার তুলির পাশে বসে।
“কাঁদছিস কেনো?
” তোর ভাই মারছে আমারে
“ওহহ তাহলে বেশি করে কাঁদ। জোরে জোরে কাঁদ
তুলি কান্না থামিয়ে জিসানের দিকে কড়া চোখে তাকায়
” আরে এভাবে তাকাচ্ছিস কেনো ভয় পায় তো।
“কেউ ভালোবাসে না আমাকে
তুলি কান্না করে বলে।
” এক কাজ কর ফেসবুকে স্টাটাস দে কেউ ভালোবাসে না আমাকে
“থাকবো না এখানে। তুইও খারাপ
তুলি জিসানের রুমে থেকে বেরিয়ে যায়। ছাঁদে চলে যায়। চোখ বন্ধ করে দোলনায় বসে আছে তুলি।
“কেনো যে বাড়াবাড়ি করি আমি। কি দরকার ছিলো জুঁই কে এতো কিছু বলার। কেনো বললাম আমি? থাক না ওরা ওদের মতো। আমার কি? আমি থাকবো না ওদের মাঝে। চলে যাবো। কিন্তু কথাটা হলো যাবো কোথায়? বাবার বাড়িতে যাওয়া যাবে না আবার গলা ধাক্কা দিয়ে এখানে পাঠিয়ে দেবে।
এতো ভেবে লাভ নেই যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকেই চলে যাবো। তবুও আমি যাবো।
তুলি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। টাকা পয়সা কিছু আনে নি। হাঁটছে তো হাঁটছেই। বিকেল হয়ে গেছে। তুলির পা ব্যাথা হয়ে গেছে। কোথায় চলে এসেছে তুলি সেটাও জানে না। একটা গাছের নিচে বসে পড়ে তুলি
” কেনো যে চলে আসতে গেলাম। এখন কোথায় যাবো? কি করবো? রাত হয়ে আসছে
বিরবির করে এসব বলছে তুলি। রাস্তার পাশে বসে থাকাতে অনেকেই তুলির দিকে তাকিয়ে আছে। আকাশে মেঘ ডাকছে। লোকজন ছুটোছুটি করে যে যার গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। শুধু তুলি বসে আছে। হঠাৎ ঝুমঝুম করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। তুলি গাছের নিচে বসে ভিজছে।
সায়ান অফিস থেকে বাড়ি এসে রুমে চলে যায়। দেখে তুলি নেই। হয়ত ছাঁদে বা জিসানের রুমে আছে এটা ভেবে সায়ান ফ্রেশ হতে যায়। জিসান তুলিকে খুঁজতে এসে দেখে তুলি রুমে নেই। ওয়াশরুমে সাওয়ার চলছে তাই ভাবে হয়ত ওয়াশরুমে আছে।
সায়ান চুল মুছতে মুছতে বাইরে এসে দেখপ জিসান বেডে বসে আছে
“ইডিয়েট টা কোথায়?
সায়ান আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলে
” তুলি রুমে নেই
“নাহহহ
” তাহলে কোথায় গেছে
সায়ানের হাত থেকে টাওয়াল পরে যায়। জিসান বেরিয়ে পরে তুলিকে খুঁজতে। সায়ানও যায়।
সন্ধা হয়ে আসে। সূর্য ডুবে গেছে। বৃষ্টিও কিছুটা কমেছে। তুলি এখনও ওখানেই বসে আছে। অনেকখন ভেজার ফলে তুলির প্রচুর ঠান্ডা লাগছে।
সায়ানের অফিসের এক কর্মচারী তুলিকে এখানে বসে থাকতে দেখে সায়ানকে জানায়। সায়ান আর জিসান তুলির দিকে আসছে।
তুলির সামনে গাড়ি থামে। গাড়ি থেকে জিসান আর সায়ান নামে। জিসান রেগেমেগে তুলির আরেক গালে চড় মেরে দেয়।
“তোর যখন যা ইচ্ছে হবে তুই তাই করবি? এতো কেয়ারলেস কেনো তুই? তোর জন্য কারো চিন্তা হতে পারে তা তুই জানিস?
জিসান চিৎকার করে কথা গুলো বলছে আর হাঁপাচ্ছে। তুলির রাগ বেড়ে যায় একগালে জিসান আরেক গালে সায়ান থাপ্পড় মেরেছে। দুটো গালই লাল টমেটো হয়ে গেছে। সায়ান রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তুলির দিকে।
তুলি আবার চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়। বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গেছে। তুলি ধপাক করে আছাড় খায়। রাগে দুঃখে তুলি ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে ফেলে।
” মানুষ হবেন না
সায়ান তুলিকে উঠাতে যায়। তুলি সায়ানের হাত ধরে টান দিয়ে সায়ানকেও ফেলে দেয়। সায়ান পড়ে যাওয়াতে তুলি ফিক করে হেসে ওঠে। জিসান হো হো করে হাসছে।
“জিসান আমাকে তোল
তুলি হাত বাড়িয়ে দেয়। জিসান তুলির হাত ধরতেই তুলি জিসানকেও ফেলে দেয়। তিনজনই কাঁদায় মাখিয়ে গেছে। সায়ান তুলিকে বকতে চায় কিন্তু তুলির এতো খুশি দেখে আর কিছু বলে না।
” আমাকে ফেললি কেনো?
“আমাকে মারলি কেনো? দেখ গালটা কেমন লাল হয়ে গেছে
অভিমানের সুরে বলে তুলি। জিসান তুলির গালে আলতো কে হাত রাখে
” সরি খুব রাগ হয়ছিলো
“আরেকজনকে সরি বলতে বল
সায়ান এতোখন তুলির বাচ্চামো দেখছিলো।
” আমি এসব বলি না
সায়ান উঠে গাড়িতে বসে।
“গোমড়ামুখো করলা জলহস্তি
তুলি জোরে জোরে সায়ানকে গালি দিতে থাকে। জিসান তুলিকে টেনে তুলে।
চলবে
#শুধু তুই
#পর্বঃ১৩
#Tanisha Sultana (Writer)
“আমি করলার গাড়িতে যাবো না
তুলি উল্টো পথে হাঁটা ধরে বলে। সায়ান বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নামে। জিসান তুলির হাত টেনে ধরে
” জিসান হাত ছাড়
“আমি আর কোনো ড্রামা দেখতে চাচ্ছি না
তুলি জিসানের কাছ থেকে হাত ছাড়িয়ে নেয়
” জিসান চল আমরা বাসে করে যাবো
“কিহহহহ
” শুনতে পাস নাই? চিল্লিয়ে বলতে হবে না কি?
“জিসান তুই আমার সাথে যাবি আর এই মেয়েটাও। সায়ান বলে।
” আমি যাবো না
সায়ান তুলির হাত ধরে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দরজা লক করে দেয়
“ভালো হচ্ছে না কিন্তু।
তুলি বেরোনোর চেষ্টা করতে করতে বলে। সায়ান গাড়ি স্ট্রার দেয়। জিসান দৌড়ে এসে কোনোরকম গাড়িতে ওঠে।
সায়ান ডাইভ করছে। তুলি ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপছে। জিসান শার্ট খুলে তুলির দিকে এগিয়ে দেয়
” এটা পড়ে নে
“বাই এনি চান্স তুই কি হিরো হওয়ার চেষ্টা করছিস
” মানে
“সাধারণত হিরোরা হিরোইনদের শার্ট জ্যাকেট এগুলো দেয়।
” আমার হিরে হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই জাস্ট তোর ঠান্ডা লাগছিলো তাই দিছিলাম।
“আমার ড্রেস ভেজা তো তুই তোর শার্ট দিয়ে কি ঠান্ডা কমাবি?
জিসান বিরক্তি নিয়ে তুলির দিকে তাকায়
” তুই মানুষ হবি না
“গরুকে ঘোড়ার দৌড় শেখানোর বিথা চেষ্টা করছিস তুই।
সায়ান জিসানকে বলে।
” জিসান করলাকে সাট আপ হতে বল নয়ত আমি জুঁই ফুলের রস খাইয়ে দেবো
“স্টুপিট
” আই নো
তুলি বাড়ির পেছনের দিকে যাচ্ছে
“ইডিয়েট টা ওদিকে যাচ্ছে কেনো?
” বুঝতেছি না।
“চল তো
” কোথায় যাস
তুলি ইশারায় চুপ করতে বলে
“আস্তে কথা বল
” কেনো?
“তোর করলা মা যদি জানতে পারে আমি চলে গেছিলাম আবার ফিরে এসেছি তো আমাকে অস্ত গিলে খাবে
” তো এখন কি করতে চাইছিস
“জানালা দিয়ে রুমে যাবো
” হোয়াট?
সায়ান চেচিয়ে বলে।
“জিসান ওনাকে গলা ফাটাতে না কর
” তুলি তুই অন্ধকারে কি করে যাবি
“দেখ না
তুলি চোরের মতো লুকিয়ে রুমে ঢুকে যায়।
” পাগল একটা
সায়ান বিরবির করে চলে যায়।
তুলি ড্রেস চেঞ্জ করে উকিলের সাথে কথা বলে। এক সপ্তাহের মধ্যে ওদের ডিভোর্স পেপার চলে আসবে। তুলির খুশি আর দেখে কে। খুশিতে নাগিন ডান্স করতে ইচ্ছে করছে তুলির।
সায়ান রুমে আসে। তুলি সায়ানকে ঘুরাতে থাকে। সায়ান ঠাস করে বেডে বসে পড়ে
“কি হচ্ছে?
সায়ান রেগে বলে। তুলি কানে হাত দিয়ে বলে
” সরি
তারপর সায়ানের পাশে বসে
“আর এক সপ্তাহ পরেই আমি চলে যাবো। আপনাকে মুক্তি দেবো। কি যে আনন্দ হচ্ছে
সায়ানের বুকের মধ্যে মোচড় দেয় তুলির চলে যাওয়ার কথা শুনে। ফ্যালফ্যাল চোখে তুলির দিকে তাকিয়ে আছে
” খুশিতে দেখি আপনার কথায় বন্ধ হয়ে গেছে। জানেন আপনিই ফাস্ট পারসোন যে আমাকে অপছন্দ করে। জানেন আমি এতো অকাম করি দুষ্টুমি করি তবুও সবাই আমাকে ভালোবাসে। আর আপনার আর আপনার মায়ের সামনে এতো ভালো বিহেব করি তবুও আপনারা আমাকে দুচোখে দেখতে পারেন না।
“এক সপ্তাহ
” অনেক সময় তাই না। কিন্তু কি করবো আর আগানো গেলো না সময়। জানেন আমি তো প্লান ও করে ফেলেছি ফিউচারে কি করবো
“কি করবেন?
” একটা রোমান্টিক ছেলে কে বিয়ে করবো। যে আমাকে ভালোবাসবে। আমার সব আবদার পূরণ করবে। অন্য মেয়ের দিকে তাকাবে না। আমাকে মারবে না। তবে চিন্তার বিষয় এমন ছেলে পাবো কই
তুলি গালে হাত দিয়ে ভাবছে।
“আচ্ছা জিসানকে বিয়ে করলে কেমন হয়? জিসানকে ঘর জামায় করে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাবো। কেমন আইডিয়াটা
সায়ান কিছু না বলে বেলকনিতে চলে যায়।
ভোর পাঁচটায় তুলির ঘুম ভাঙে। পাশে তাকিয়ে দেখে সায়ান নেই।
” গোমড়ামুখোটা কোথায় গেলো? নিশ্চয় গার্লফ্রেন্ডের কাছে চলে গেছে। যাক না আমার কি? চলেই তো যাবো
তুলি উঠে বেলকনিতে চলে যায়। দেখে সায়ান আকাশের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। তুলি পা টিপে টিপে গিয়ে সায়ানের পাশে দাঁড়ায়। তারপর সায়ানের কানের কাছে মুখ নিয়ে জোরে চিৎকার করে। সায়ান ভয় পেয়ে যায়। তুলি জোরে জোরে হাসতে থাকে।
“স্টুপিট
” হুম। আমি তো ভেবে নিয়েছি
তুলি সায়ানের পাশে বসে। সায়ান ভ্রু কুচকে বলে
“কি
” যে কটা দিন আছি আপনাকে জ্বালিয়ে পুরিয়ে মারবো। জানি প্রচুর বিরক্ত হবেন আমাকে ধমক দিবেন তবুও জ্বালাবো
“কেনো
” কারণ আপনাকে জ্বালাতে ভালো লাগে।
“ইডিয়েট
” ভাবছি
“কি
” আমি চলে গেলে আপনি কাকে ইডিয়েট বলবেন
“হুম
সায়ান আস্তে করে বলে।
” জুজুর সাথে কথা হয়েছে
“সরাসরি বললেই তো পারেন জুঁইয়ের সাথে কথা বলেছি কি না
“একই হলো। তাছাড়াও আমার কোনো আপত্তি নেই আপনার যা ইচ্ছে করেন আমার কী?
” হুম
“কি হুম হুম করছেন?
” একটা কথা বলবো
“বলেন
” জুজুর বাবাকে আমি মেরে ফেলেছি
তুলি চারশো বিশ বল্ডের শক খায়। বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। সায়ান স্বাভাবিক ভাবে আছে।
“কি থেকে কি হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না। ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরতে গেছিলাম। অনেক রাত ওবদি গান বাজনা করে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরি। সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি আমার হাতে চাকু আর পাশে জুজুর বাবার লাশটা পড়ে আছে।
সায়ান চোখের পানি মুছে। তুলির চোখেও পানি। এই মানুষটা খুন করছে। কথাটা হজম হচ্ছে না তুলির। কয়েকপা পিছিয়ে যায় তুলি।
চলবে