শুষ্ক_পাতার_ভাজে?১০.
#লাবিবা_তানহা_লিজা?
টেবিল কর্নার রেকে গিজ গিজা ডায়েরির মধ্যে একটা ডায়রির জায়গা ফাকা দেখে চমকে উঠে তৃষা । ডায়েরী গেলো কই? খেয়াল করে দেখে যে গোলাপী ডায়েরিটাই নেই । অস্থির হয়ে উঠে তৃষা । পুরো রেক তন্ন তন্ন করে খুজে । না পেয়ে পুরো রুম আনাচে কানাচে খুজে । মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার পালা । কার হাতে পড়লো ডায়েরী ? কি হবে এবার ? ঘর থেকে বেড়িয়ে রবিনের রুমে এলো । সেদিন ডায়েরী নিয়ে রবিন কথা বলছিলো । তাহলে রবিন ই নেয় নি তো ? পুরো রুম খুজে না পেয়ে রবিনকে ফোন দেয় । রবিন ফোন ধরে বলে
–হ্যা তৃষা বল ।
–ভাইয়া কোথায় তুমি?
–আছি এক জায়গায় বল কি বলবি ।
পাশ থেকে আওয়াজ আসে –কে ফোন দিয়েছে বাবু?
–ভাইয়া কোথায় তুমি ? পাশে মেয়ের আওয়াজ পেলাম । কে মেয়েটা ?
রবিন মেয়েটাকে বলে –তৃষা ফোন দিয়েছে । মেয়েটা বলে –ওকে কথা বলো ।
এদিকে তৃষার রাগ সপ্তম আকাশে । চেচিয়ে বলে উঠে
–রাত দশটা বাজে এখন আর তুমি জি এফ নিয়ে ঘুরাঘুরি করছো । কোন মেয়ে এতো রাতে বফ এর সাথে থাকে বলোতো ? তোমার জুথিকা তাই না ? ছেড়ে যদি থাকতেই না পারো তাহলে আছো কেনো ? বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসলেই তো পারো ।
–বেশি বলিস না তো ।
–আমি বেশি বলি তাই না ? বাড়িতে তো আমাবশ্যার চাদ হয়ে গেছো । এখন আমি বেশি বলি ? রাত বারো টার পর বাড়ি ফিরো আবার কথা বলো ! মামাকে সব বলে দিবো আমি ।
–ঐঐঐ তুই আমার বোন নাকি ঘরের বউ ? এতো জেরা করস কেনো ? ভাই প্রেম করছে সাপোর্ট দিবি তা না আবার জিগায় ! ফোন রাখ ।
তৃষা মন খারাপ করে সেখানেই কিছুক্ষন বসে থাকে । তারপর আবার উঠে তৃনার রুমে আসে । তৃনা পরিক্ষার খাতা দেখায় ব্যস্ত। তৃষা পুরো রেক চোখ ঘুরিয়ে দেখে নিলো । আশে পাশেও খুজলো কিন্তু পেলো না। অগত্যা রবিনের রুমে এসে বসে রইল ।
রবিন একটার দিকে বাড়ি ফিরলো । রবিন তৃষাকে দেখে বলে –ঘুমোস নি ? এখানে কি ?
–জুথিকা ছেড়ে দিলো বুঝি ?
–ঝগড়া করবি নাকি ? এমন ভাব দেখাস কেনো ?
–ঝগড়াই তো করবো । জায়গায় জায়গায় লোক দেখিয়ে প্রেম করে আসবে আর ঝগড়া করবো না ?
–তুই করতে পারলে আমি পারবোনা কেনো ? আঙুল চুসতে বলিস ? আমি তো হাত পর্যন্ত ধরেছি তুইতো অনেক কিছুই ধরেছিস।
তৃষা নিভল ।
–একটা ডায়েরি পাচ্ছি না ভাইয়া ।
–আমি নেইনি ।
–আচ্ছা । সুর সুর করে রুমে চলে যায় তৃষা । রবিন নিলে ঠিক ই দিয়ে দিতো ।
সকাল দিকে ফোন আসে তৃষার ফোনে । আননোন নাম্বার থেকে ফোন । কানে নিয়ে সালাম দিতেই সুরেলা কন্ঠ ভেসে আসে
–তুমি কি তৃষা বলছো ? রায়ানের ওয়াইফ।
–ইয়েস ।
–দেখা করতে চাইছি তোমার সাথে ।
–কে আপনি?
–সামনা সামনি বলি ? রায়ানকে নিয়ে কিছু কথা ছিলো।আমি রায়ানের এক্স বলতে পারো।
–ঠিকাছে ।
ফোনে একটা মেসেজ আসে । একটা রেস্টুরেন্টের এড্রেস । সেই এড্রেস মতো চলে আসে তৃষা । দশ মিনিট ধরে বসে আছে খোজ নেই উল্লেখ্য মানুষটির। অবশেষে মেইন ডোরে একটি মেয়ের দেখা পায় এদিকেই আসছে । সামনে এসে বসতেই তৃষা খেয়াল করে মেয়েটিকে । আটাশ -উনত্রিশ বয়সের মতো হবে চোখ ধাধানো সুন্দরী যাকে বলে । কালো ড্রেসে আরো সুন্দর লাগছে । এর সামনে নিজেকেই কেমন জানি লাগছে । দেয়ালে গ্লাসের দিকে তাকিয়ে আড়চোখে দেখছে দুজনকে তুলনা করে । ভালো ভাবে তুলনা করার পর বুঝলো যে সেই এক ধাচের সুন্দরী আর ঐ মেয়েই এক ধাচের সুন্দরী । তৃষার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে — হাই আমি লিনা ।
তৃষাও হাত এগিয়ে দিয়ে বলে –আমি তৃষা ।
–আমি তোমাকে কেনো ঢেকেছি এখানে জানো কি ?
–না বললে জানবো কি করে আপু ?
–রায়ানের সাথে কতো দিনের রিলেশনশিপ তোমার?
–দুই বছর ।
–আর আমার আট বছর ।
–ঠিক বুঝলাম না ।
–রায়ানকে আমি ভালোবাসি এমনকি বিয়েও করেছি।
আমাদের চার বছরের একটা মেয়েও আছে । হ্যা রুমু আমার মেয়ে । এর মধ্যে তুমি ভুল করে এন্ট্রি নিয়েছো। সেটা তো হতে দেওয়া যায় না তাই না ?
–আপনি কি ভেবেছেন আপনি রায়ানের সম্পর্কে উল্টা পাল্টা কথা বলবেন আর আমি সব বিশ্বাস করে নেবো ? কখনোই না । নিশ্চয় বদ মেয়েদের মতো আপনিও রায়ানের প্রেমে দিওয়ানা হয়ে আছেন তাই আমার কাছে এসে উল্টাপাল্টা কথা বলছেন । শুনুন মিস লিনা আপনার মতো অনেকেই রায়ান চৌধুরীকে সপ্ন দেখে বাট ডু ইউ নো রায়ান ইজ অনলি মাইন । এসব প্রেম বিয়ে বাচ্চা নিয়ে কাহিনী করতে আসবেন না একদম আমার সাথে ।
–অন্ধ বিশ্বাস কর বলে কি সব সত্যি মিথ্যা হয়ে যাবে ?
— কি চাই আপনার ?
— লিভ হিম ।
–কখনোই পসিবল না । আপনি কে যে আপনার কথায় রায়ানকে ছেড়ে দিবো ? দাড়ান আমি রায়ানকে ফোন দিচ্ছি ।
তৃষা রায়ানের নাম্বারে ডায়াল করে রিং হয় কিন্তু রিসিভ করে না । দু বার ফোন দেওয়ার পর ও যখন ধরে না তখন তৃষা রাগ দেখিয়ে সেখান থেকে প্রস্থান করে । লিনা কিছুক্ষন বসে রাগ কন্ট্রোল করে বের হয়ে আসে । হাটতে হাটতে সামনের পার্কে চোখ পড়তেই দাড়িয়ে যায় । রায়ান রুমুকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে আসছিলো । সেই সময় তৃনা একা একা পার্কে বসেছিলো । রুমু তৃনাকে দেখেই মম মম বলতে শুরু করে । রুমু জোর করেই রায়ানকে তৃনার কাছে নিয়ে আসছিলো । রায়ান বলে –তোমার মম নেই তো এখানে । ঐটা একটা আন্টি বসে আছে পাপা ।
–না ঐটাই আমার মম । দেখো এইটা মমের বোলখা । আসো আসো ।
–এক বোরখা অনেক জনের হতে পারে পাপা ।
–এটা মম । তুমি এসো দেখো এটা আমাল মম ।
রায়ান রুমুকে নিয়ে যেতেই রুমু মম বলে ডাক দেয় । তৃনা পিছু ঘুরে দেখে রুমুকে কোলে নিয়ে রায়ান দাড়ানো । বুক কেপে উঠে তৃনার । ঘুরে দাড়িয়ে বলে –রুমু…
রুমু হাত বাড়িয়ে তৃনার কোলে যায় । রুমু বলে –পাপা দেখো আমাল মাম্মা । আমি চিনি তো । কি চুন্দল চোখ আমাল মাম্মাল ।
রায়ান বলে –সরি । একচুয়েলি আপনার বোরখা দেখেই রুমু চিনতে পেরে গেছে আপনিই হসপিটালে ছিলেন ।
তৃনা বলে –আপনি দেখলেও তো চিনতে পারতেন ।
–সরি । আমি আপনার মতো লেডিদের দিক থেকে চোখ গুটিয়েই রাখি । আপনারা ধর্ম পালন ও নিজেদের হেফাজতে রাখার জন্য পর্দা করেন । আমি আপনাদের রেসপেক্ট করি ।
–খুশি হলাম । রুমু মা তুমি কেমন আছো এখন ?
–ভালো মাম্মা ।
–গুড । ঘুরতে এসেছো নিশ্চয় ! যাও পাপার সাথে ইনজয় করো ।
–তুমি আসো না মম । সবাই সবাল মম পাপার সাথে থাকে তুমি কেনো দূলে থাকো ? আমাদেল বাসায় থাকো না কেনো ?
রায়ান রুমুর কথা শুনে বলে –আই এম সরি মেম । সেদিন এই কথাটা না বললে রুমু এমন করতো না । রুমু চলে আসো আমার কাছে ।
তৃনার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে । রায়ানকে না ছুতে পাক রায়ানের সত্বাকে তো নিজের সাথে জড়িয়ে রেখেছে । রায়ানকে বলে–সমস্যা নেই । থাকুক আমার কোলে । এখনি চলে যাবেন নাকি ?
–না আছি কতোক্ষন ।
লিনা পুরো কনফিউজড হয়ে যায় । কাহিনী কি? ঐকটু আগে ও তৃষার সাথে দেখা করেছে তখন তৃষা মর্ডান ড্রেসে ছিলো আর এখনি বোরখা ! সেদিন ও তো বোরখাতেই ছিলো । তাহলে তৃষা কি রায়ানের সাথে থাকাকালীন বোরখা পড়ে ? স্ট্রেঞ্জ ।
লিনা তৃনাকে ফলো করে । ব্যপারটা তৃনা খেয়াল না করলেও তৃনাদের বাসার প্রথম গলির বাড়িটির একজন মধ্য বয়স্ক লোক ঠিক ই খেয়াল করে । লোকটি লিনার পথ রোধ করে । লিনাকে ধমক দিয়ে বলে –এই মেয়ে ! কাহিনী কি ? তুমি তৃনার পিছু পিছু যাচ্ছ কেনো এইভাবে ?
–তৃনা ! না না ভুল করছেন।ঐ মেয়েটির নাম তো তৃষা।
–তৃষা ওর ছোট বোন । কিন্তু আপনার মতলব টা কি বলেন তো ?
–মেয়ে দেখতে এসেছিলাম ।
–ওহ তাই বলেন ।
–আচ্ছা আসি হ্যা ?
লিনা তাড়াতাড়ি করে সরে যায় । বুকে হাত দিয়ে বলে
” বাপরে বাপ । কি জেরা করে লোকটা । বড় শালী তাহলে এটা । কিন্তু মেয়ে দেখতে আসছি শুনে কিছু বললোনা কেনো ?
রাতে ঘুম আসছিলো না রায়ানের । তৃষার সাথে কথা বলার পর কিছুই ভালো লাগছে না । লিনা বড্ড বার বেরেছে । তৃষা জিজ্জাসা করার পর অনেক কষ্টে ব্যপারটা কাটিয়ে দিয়েছে । রুমে পায়চারি করতে করতে মনে পড়ে তৃষার ডায়রীটার কথা । ডায়রীটা বের করে টেবিল ল্যাম্প জালিয়ে দেয় রায়ান । পৃষ্টা খুলতেই চোখে পড়ে লাভ শেপের মাঝে T❤R লেখাটা । কিছুক্ষন তাকিয়ে হসে ফেলে রায়ান । পরের পৃষ্টা উল্টিয়ে দেখে একটা কবিতা । কবিতার হেডলাইন ” আমার তুমি”
” তপ্ত রোদের আবছা ছায়ায় দেখেছিনু একখানা সুকুমার অবয়ব ,
কন্ঠ তাহার কোকিল সুরা সহিত মুগ্ধকর চমৎকার প্রকাশ ,
দীর্ঘদেহি রাজপুত্তুর দেখিয়া চমকে উঠিছিলাম আমি
তাহার সাথে কেপে উঠেছিলো ভীতু এই বুকখানি ।
বাধন হারা চক্ষু আমার বার বার উপরে পড়ে তাহার বদনখানি ,
সেই চক্ষু জোড়ার নজর দিতে দিতে দিয়ে দিলাম এই হৃদয় খানি ।
ফাগুনের আগুনে জালিয়ে দিলো অবচেতন এই মন শরীর খানি ,
ধীরে ধীরে হয়ে গেলে প্রিয় আমার তুমি ।”
কবিতা টি শেষ করে কিছুক্ষন বসে বসে মিটি মিটি হাসে রায়ান । তারপর অপর পৃষ্টা উল্টাতেই আরো একটি কবিতা পায় । যার হেডলাইন “একটু ছোয়া ”
” দূরের মানুষ দূরেই রইবে নাহি পাইব ধরিতে
অনিশ্চিত এই সম্পর্কে তবুও কেনো দাও একটু ছোয়া এই তৃষ্ণার্ত বাহুতে ?
নিচে লেখা –আজ তোমার প্রথম স্পর্শ পেলাম আমি । তোমার এই একটু স্পর্শ আমার হৃদয় ছুয়ে দিয়েছে ।
পরের পৃষ্টায় লেখা
“আমি তোমাকে ভালোবাসি । তুমার একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আমি কাঙাল হয়ে আছি । যদি তোমার আর আমার মাঝে হাজার রকম বাধাও থাকে ..তুমি যদি বিয়েও করো সন্তানের নাতির অভিবাবক ও হও তবুও আমি তোমার জন্য অপেক্ষাই করে যাবো । ”
ফোনটা বের করে তৃষাকে ফোন দেয় রায়ান । তৃষা ফোন ধরে বলে
–একি ঘুমাও নি তুমি ?
–কি করছিলে বাংলার স্টুডেন্ট ?
–এতোক্ষন আপুর সাথে গল্প করছিলাম ।এখন পড়ছি।
–সত্যি?
–না । বই নিয়ে বসে আছি । লিনা নামের মেয়েটির কথা মনে পড়ছে বার বার ।
–ধরো আমি সত্যি বিবাহিতা হলাম আর আমার বাচ্চাও থাকলো তখন তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে তৃষা ?
–আমাকে পরিক্ষা করতে চাইছো ? আমি শুধু জানি আমি তোমাকে ভালোবাসি । আর ঐ সব বিয়ে মেয়ে যে সব মিথ্যা তা আমি ভালো করেই জানি । তোমার সাথে আমি চার বছর থেকে আছি আমি জানি তুমি কেমন ।
–বোকা মেয়ে ।
–তোমার ব্যপারে আমি সত্যিই বোকা ।
–আমি ভালো না তৃষা ।
–তুমি কি আমাকে বিয়ে করবেনা বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছো ?
–না ।
–তাহলে ?
–রাখছি ।
ফোন রেখে দেয় রায়ান । বারান্দায় গিয়ে গ্রিল ধরে বাইরে তাকিয়ে তৃষার কথা ভাবতে থাকে রায়ান ।
তৃষা কি তাকে সত্যিই ভালোবাসে ? তাহলে তৃষার চোখে কেনো তার জন্য ভালোবাসা দেখতে পায়না । নাকি তার ভালোবাসা প্রকাশের ধরন অন্যরকম ? হতেও পারে । সব সময় চোখের ভাষা যে রায়ান ঠিক ঠাক বুঝে তাও তো না ।ডায়রীতে হয়তো তার প্রেম মিলেছে। কিন্তু তৃষা কি মেনে নিবে যে তার একটা মেয়ে আছে ? বড্ড বোকা মেয়েটা নাকি অন্ধবিশ্বাসী? তাকে অন্ধবিশ্বাসীই বলা চলে । শুধু তো তৃষা নয় আরো অনেকের সাথে একসাথে রিলেশন চালিয়ে গেছে রায়ান । ইদানিং সবার সাথে ব্রেকাপ হওয়ার পর এখন তৃষার সাথেই দৃশ্যমান রিলেশনশিপ টাই আছে । এক্সদের সাথে তো কিছুদিন পর পর নাইট মিট করা হয় শুধু । কিন্তু সেটা তো অপ্রকাশ্য । হটাৎ ই রায়ানের চোখে জল চলে আসে । একটা মেয়ের জন্য রায়ানের সব শেষ হয়ে গেলো । সেদিন তৃনলতাকে আঘাত করাতে লিনার সাথে ঝামেলাটা না করলে হয়তো আজ তার জীবনটা এরকম হয়ে যেতো না । সেদিন লিনার সাথে ব্রেকাপ করার পর লিনা কয়েকদিন আর যোগাযোগ করেনি । তারপর হটাৎ ই একদিন লিনার বাবা ফোন দিয়ে বলে লিনা সুইসাইড করতে গিয়েছিলো আর সুইসাইড নোডে তোমার নাম লেখা । আমার মেয়ের যদি কিছু হয়ে যায় আমি তোমাকে ছাড়বো না । নিচে চেচামেচি শুনে এসে দেখে পুলিশ দাড়িয়ে আছে । পুলিশ রায়ান রোহান আর রোহানাকে নিয়ে হসপিটালে যায় । হসপিটালে অসুস্থ বেড়ে শুয়ে থাকা লিনাকে দেখে সবার ই মায়া হয় । রোহান রোহানার বেশ পছন্দ হয় লিনাকে । রোহানের উপর নানা রকম চাপ দিতে থাকে লিনার পরিবার যেহেতু তার ছেলের জন্য এতোকিছু । তারপর কাজী ডেকে হসপিটালেই বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো । বিয়ের সময় রোহানের হিতাহিত জ্ঞান চলেগিয়েছিলো এতো লোকজনের চাপে । সাথে লিনার চোখের জল তো আছেই । সেদিনের থেকে শুরু হয়েছিলো সুন্দরী লিনাকে নিয়ে রায়ানের সংসার । এই বাড়ির প্রত্যেকটা কোনায় কোনায় ছিলো যার পদাচরন । ফুটফুটে এক মেয়ের জন্ম ও দিয়েছিলো তারা । মেয়ে হবার পর হটাৎ রায়ানের ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে সব শেষ হয়ে যায় । দেখা দেয় অর্থনৈতিক মন্দা । যে টুকু আয় হতো তা দিয়ে দিন চলতো । শুরু হয় লিনার পরকিয়া । একসময় দুধের শিশুটাকে কুসংস্কারের ভিত্তিতে অপয়া বলে আর রায়ানকে অক্ষম বলে চলে যায় । সাথে নিয়ে যায় রায়ানের জীবনের সমস্ত সুখ বিন্দু ।
চলবে?