শুষ্ক_পাতার_ভাজে?১৪

0
1998

শুষ্ক_পাতার_ভাজে?১৪
#লাবিবা_তানহা_লিজা?

.

বাসা থেকে বেরোনোর সময় দারোয়ান এসে একটা চিঠি রায়ানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে “স্যার একজন মহিলা আপনাকে এই চিঠিটা দিয়ে যেতে বলেছেন । ”
রায়ান হেসে দিয়ে বলে, ” চিঠি! এই যুগে আবার কেউ চিঠি দেয় নাকি ! মহিলার নাম বলে নি ? ”
” না স্যার শুধু বলেছে আপনার হাতেই যেন দেই ।”
” দেখতে কেমন ?”
” বোরখা পড়া ছিলো স্যার । ”
“ওকে।গেইট খুলো । গাড়ি বের করবো। ”
চিঠিটা হাতে নিয়ে রায়ান ভাবতে থাকে কে দিলো চিঠি ? আবার কি খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে ? গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে । রেস্টুরেন্টে এসে বসে । সামনে বিয়ে জন্য তারাহুরা করে সব ক্লাইন্টের সালে মিটিং গুলো করে ফেলতে হচ্ছে । ক্লাইন্টকে ফোন দিতে গিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করতেই চিঠিটা পড়ে যায় । রায়ান চিঠিটা তুলে নেয় ।ক্লাইন্টের সাথে কথা বলে যানতে পারে ত্রিশ মিনিটের মধ্যে পৌছে যাবে । এতক্ষন ওয়েট করতে হবে জন্য একটা কফি অর্ডার করে। বসে চিঠিটা হাতে তুলে নেয় । খুলতেই হাতের লেখা দেখে মনে হয় খুব চেনা হাতের লেখা । পড়তে থাকে —
আসসালামু আলাইকুম,
মি. রায়ান চৌধুরী আমি আপনার হবু বড় শালিকা তৃষার বড় বোন । আশা করি চিনতে পেরেছেন । একপ্রকার বাধ্য হয়েই আপনাকে চিঠি লিখলাম । আপনার কাছে বিশেষ অনুরোধ যে আপনি আমার এই চিঠি লেখার কথা নিজের মাঝেই রাখবেন । আমি আপনার অতীত বর্তমান সম্পর্কে অনেকটাই জানি । আর তৃষাকে চিনি । জানেন তো আমি কখনো চাই নি আপনার মতো কারো সাথে তৃষার বিয়ে হোক । শুধু আমি কেন সব বোনই চাইবে তার আদরের বোনটার এমন একজনের সাথে বিয়ে হোক যে হবে উত্তম চরিত্রের পুরুষ । আপনার কতটুকু টান আছে তৃষার প্রতি আমি জানি না কিন্তু তৃষার কথা জানি । এমন পরিস্থিতিতে তৃষা দোটানায় ভুগছে এবং আমি এটা স্বাভাবিক মনে করি । ব্যপারটা বিয়ে অব্দি গড়িয়েছে এবং দুদিন পর আপনাদের বিয়ে তাই আর সম্ভব না পিছিয়ে যাওয়া । আপনারা সুখী হন মনে প্রানে চাই কিন্তু আপনার মেয়েটাও একটু ভালো থাকুক সেটাও চাই । দুদিনে মেয়েটার প্রতি মায়া পড়ে গেছে । জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি হুটহাট একজনের মেয়েকে নিজের মেয়ে বলে মেনে নেওয়া যায় না । আস্তে আস্তে মায়া পড়ে যায় । রুমুর সম্পর্কে যা জানলাম মেয়েটা জন্মের পর থেকে দুঃখী । হয়তো তার ভাগ্য ই এমন । তৃষার না হয় একটু সময় লাগবে অন্যের মেয়ে তাই কিন্তু আপনার তো নিজের মেয়ে । প্লিজ নতুন জীবনের সূচনার ঢেউয়ে মেয়েকে ভুলে যাবেন না। রুমুর আপনি ছাড়া আর কেউ নেই । আপনার বাবা মা আর কতো দিনই বা বাচবে । মেয়ের প্রতি যত্মশীল হন । অনধিকার চর্চা করে ফেললাম । ক্ষমা করবেন ।
ইতি,
রুমুর শুভাকাঙ্খী

চিঠিটা পড়ার পর থেকে রায়ান ভাবুক হয়ে উঠে । তৃষার যদি রুমুকে নিয়ে কোন দ্বিধা থেকে থাকে তাহলে এই বিয়ে কিছুতেই করা উচিত নয় । প্রত্যেক্ষ ভাবে রুমুকে একজন মম দেওয়ার জন্যই এই বিয়ে । নয়তো আমার কারো প্রতি কোন ___

রোহানা রায়ানকে ডেকে বলে, ” এতোগুলো গহনা কারো হাতে পাঠানোর সাহস পাচ্ছি না । তুই একটু যানা বাবা দিয়ে আয় গহনা গুলো । ”
” মম আমার যাওয়া কি ঠিক হবে ? পরশু বিয়ে আজ কি ভাববে সবাই ?”
” মাসুদ টা তো কাজে ব্যস্ত। নয়তো ওকে দিয়েই দিতাম দিয়ে আসার জন্য । যা না বাবা প্লিজ । ”
” ওকে । ”
রায়ান হাতে গহনার বক্স গুলো নিয়ে তৃনাদের বাড়িতে চলে আসে । বাড়ি সাজানো হচ্ছে ডেকারেশনের লোক দিয়ে। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে জন্য ভিতরেই সাজাচ্ছে। রায়ান ও গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে ঢুকতে যতক্ষন লাগে ততক্ষনে ভিজে গেছে । রায়ান ভেতরে যেতেই রায়ানকে দেখে কয়েকজন গিরে ধরে রসিকতা শুরু করে দেয় । পারুলকে বলে তোমার জামাই এসেছে গো । কোথায় সরে থাকছো জামাই কে ছেড়ে । তৃষার সমবয়সীরা বলে আমাদের তৃষার কি কপাল ..বিয়ের একদিন বাকি তাতেই যে তর সইছে না । দেখা করতে চলে আসছে একদম ভিজে ভিজে। রায়ান এতো মানুষের মাঝে বাড়ির কাউকে দেখতে পায় না । রান্নাঘর থেকে পারুলকে আসতে দেখে ভিড় ঠেলে পারুলের কাছে যায় । পারুল গহনা গুলো হাসি মুখে নিলে রায়ান কিছুটা সংকোচ নিয়েই বলে
” আন্টি বাড়ির আর সবাই কোথায় ? ”
পারুল বুঝতে পেরে মুচকি হেসে বলে, ” উপরে বাবা । যাও তুমি । ”
রায়ান উপরে চলে আসে । উদ্দেশ্য তৃষার সাথে কথা বলা রুমুকে নিয়ে । রুমে এসে দেখে কেউ নেই। বেরিয়ে যেতেই সিড়ির দিকে একটা মেয়েকে যেতে দেখে । এগিয়ে যেতেই সিড়ি বেয়ে উঠতে দেখে এক রমনী কে । ছাই রঙ্গের জরজেট শাড়িতে ছিমছাম গড়নে নজর কেডে নিচ্ছে । শাড়ি লুজ হয়ে পেছনে কোমড়টা বেরিয়ে আছে । হাটু পর্যন্ত লম্বা চুলের বেনুনী হাটার তালে তালে দুলছে । তৃষা কখনো শাড়ি পড়বেনা এই সময় আর পড়লেও এই রঙ্গের পড়বেনা ‌। তাহলে কে? তৃষার বোন ? পেছন পেছন পা বাড়ায় রায়ান । ছাদের দরজা পেরিয়ে বৃষ্টির জলে গা ভিজিয়ে দেয় । ছাদের রেলিং ধরে আকাশের দিকে মুখ করে নিজেকে উৎসর্গ করে বৃষ্টি জলে ।দরজা অব্দি থেমে যায় রায়ান । বৃষ্টিতে ভিজে শরীরে লেপ্টে গেছে শাড়ী । বুকের ভিতর ডিপ ডিপ করে রায়ানের । ঘোর লেগে যায় রায়ানের চোখে । বৃষ্টির সুরে মিস্টি কন্ঠে গান ভেসে আসে—

যদি মন কাদে তুমি চলে এসো চলে এসো এক বরষায়
এসো ঝরঝর বৃষ্টিতে ,জলভরা দৃষ্টিতে
যদি কোমলও শ্যামলও ছায়
চলে এসো তুমি চলে এসো এক বরষায়
যদি মন কাদে তুমি চলে এসো চলে এসো এক বরষায়
যদিও তখন আকাশ থাকবে তৈরী
কদমগুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরী
উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো
ঝলকে ঝলকে নাচিবে বিজলি আলো
তুমি চলে এসো এক বরষায়
যদি মন কাদে তুমি চলে এসো এক বরষায় ।…

পিছু ঘুরতেই চমকে উঠে দু পা পিছিয়ে দরজায় লেগে পড়ে রায়ান । মাথাটা ঘুরে যায় এক মুহুর্তের জন্য । শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ পতঙ্গ যেনো আর্তনাদ করে উঠে তৃনলতা বলে । পায়ের নিচে ছাদটা যেনো কাপছে মনে হয় । আর দাড়িয়ে থাকতে না পেরে বসে পড়ে রায়ান । কাপা ঠোটে মৃদু স্বরে বলে উঠে ” তৃনলতা…”।
অসার দেহটি তুলে কোনমতে উল্টোদিকে পা ফেলে ।

তৃষা একটু বের হবে কিন্তু মনোয়ার একা বেরোতে না করেছে । তৃনা মাত্রই বাসায় ফিরেছে । টায়ার্ড থাকার জন্য যেতে পারছেনা । তৃনা বলে
” তৃষা তুই ভাইয়াকে নিয়ে যা । ”
” কিন্তু ভাইয়া কোথায় ?”
” ফোন দে তাহলেই তো হবে । ”
তৃষা ফোন তৃনার হাতে দিয়ে বলে ” তুমি বলো আপু । আমার সাথে ঝগড়া করেছে । ”
” তোরা আবার ঝগড়া করেছিস ! পারিস ও বটে । ”
তৃনা ফোন দিচ্ছে কিন্তু ধরছে না রবিন । পারুল এসে বলে “রবিন তো বাসাতেই আছে ।”
তৃনা রেগে যায় । রবিন কে কক্ষোনো পায় না ।রবিনের রুমে এসে দেখে রবিন নেই । হতাশা নিয়ে বিছানায় বসে আবার কল দেয় । রুমেই ফোন বেজে উঠে । এদিক ওদিক খুজে দেখে বালিশের নিচে ফোন বাজছে । তার মানে রবিন বাসাতেই আছে । রবিনের ফোন হাতে নিয়ে চমকে উঠে । যুথিকা ইজ কলিং! তৃনা ফোন কেটে আবার ফোন দেয় । আবার স্কিনে ভেসে উঠে ” যুথিকা ইজ কলিং ” । ফোন কেটে তৃনা রবিনের কল লিস্ট দেখে সবার নাম্বার সবার নামে সেভ করা শুধু যুথিকা নামের নাম্বারটা তৃষার নাম্বার । আননোন নাম্বার আর খুজে পায় না তৃনা । তার মানে কি? তৃনা গ্যালারি তে ঢুকে আরো অবাক । যুথিকা দিয়ে এক গ্যালারি ভর্তি শুধু তৃনার ছবি । তার মানে যুথিকাই তৃনা? তৃনাই ভাইয়ার যুথিকা!
খট করে বাথরুমের দরজা খুলে বেড়িয়ে আসে রবিন।
তৃনার হাতে নিজের ফোন দেখে দৌড়ে এসে ছো মেরে নিয়ে নেয় । রবিনকে কিছু বলতে না দিয়ে তৃনাই বলে “যুথিকা ভাবিই আমাদের তৃষা তাই না ভাইয়া ?”
রবিন পিছু ঘুরে বলে , ” না । তৃষা কেনো হবে ?”
” মিথ্যা বলো না ভাইয়া । তুমি তৃষাকে ভালোবাসো । তৃষাকেই তুমি যুথিকা বলে ডাকো । এর জন্যেই যতবার আমি যুথিকাকে দেখতে চেয়েছি ততোবার ই তুমি আমাকে এড়িয়ে গিয়েছো । ছবিও দেখাওনি । কখনো বলোনি আমাকে তৃষাই তোমার যুথিকা । এর জন্যেই তৃষার প্রতি তোমার এতো রাগ এতো ক্ষোভ । তৃষার বিয়ে ঠিক হবার পর থেকে তুমার সব কিছু চেঞ্জ হয়ে গেছে । আমি আর চিনতে পারিনা আমার ভাইয়াকে । তুমার মুখে সব সময় কষ্টের ছাপ দেখতে পাই আমি । ”
” চুপ হয়ে যা তৃনা । বোনের বিয়ে মজা কর যা । ”
তৃনা এসে রবিনের দু হাত ধরে বলে , ” এ হয় না ভাইয়া । এতো যখন ভালোবাসো তখন কেনো ওর বিয়ে হতে দিচ্ছো ? আমি পারবোনা আমার ভাইয়াকে এভাবে দিনে দিনে কষ্ট পেতে দেখতে। তুমি আমার ভাইয়া আমি তোমাকে চিনি । তুমিও আমার মতোই জীবন বেছে নিচ্ছো । যে কষ্ট আমি পেয়েছি সেই কষ্ট আমি তোমাকে পেতে দিবো না । এই বিয়ে এক্ষুনি পন্ড করবো আমি । তুমি আমাকে আগে কেনো বলোনি ভাইয়া … ”
” চুপ চুপ । আর একটাও কথা নয় । তুই বলেছিস তোর কোন কথা ? ”
চুপ হয়ে কাদতে থাকে তৃনা ।
” ভাইয়া এখোনো সময় আছে ফুপি আর বাবাকে বলো প্লিজ । ”
” বলেছিলাম । ”
” কি বলেছে উনারা ? রাজি হয় নি তাই না ?”
” দুই বছর আগে তোর মনে আছে আমি ড্রিংস করতাম ? তৃষার জন্য করতাম । বাবাকে বলেছিলাম বাবা আমি তৃষাকে বিয়ে করতে চাই । বাবা অবাক হয় । তারপর আম্মু বাবাকে বুঝিয়ে বলে যে নিজেদের মেয়ে এতোবছর ভালোবাসা দিয়ে লালন পালন করলো বাইরে কোন ছেলের হাতে না দিয়ে নিজেদের ঘরের মেয়ে ঘরেই রাখলে ভালো । তার পর বাবা ফুপির কাছে এই প্রস্তাব রাখতেই ফুপি বলে ” আগেই বলতে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে যেতাম । এতো বছর খাওয়ালে পড়ালে জন্য এখন শোধ বোধ চাইছো ?”
বাবা অপমান বোধ করে ‌। তারপর রাতে ফুপি আমার রুমে এসে আমার গায়ে হাত তুলে । অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে । আমি নাকি তৃষার যোগ্য না । সুন্দরী দেখতে বলে বোনের দিকে লোলুপ দৃষ্টি দিই । আমার থেকে হাজার গুন ধনী ভালো ছেলে তৃষা ডিজার্ব করে । আমি সামান্য চাকরী করি তৃষার খরচ বহন করার ক্ষমতা আমার নেই । তৃষা রাজরানী হয়ে থাকবে তৃষার পেছনে কতো ধনী বাবার ছেলেরা ঘুড়ে বেড়ায় সেখানে আমি কোন ছা পোষা ! আমাকে কসম দেয় যেনো আমি আর তৃষার দিকে হাত না বাড়াই । শুধু আমাকে না তোর নামেও অনেক বাজে কথা বলে আমি তোকে বলতে পারবো না সেসব কথা । দরজায় দাড়িয়ে বাবা সব ই শুনে । বাবা ফুপির উপর রেগে যায় । ফুপিকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায় । কিন্তু আম্মু বাবাকে বুঝায় যে ফুপির বাবা ছাড়া কোন স্থান নেই । ফুপি ভুলভাল কথা বলেছে কিন্তু তৃষা তো কিছু করেনি । ফুলের মতো মেয়েটা রাস্তায় পড়ে থাকবে এটা কিভাবে হতে দেওয়া যায় ? বাবা মেনে নেয় । পরদিন বাবা আমাকে ডেকে সাবধান করে দেয়। আমি যেনো তৃষাকে বোন ছাড়া অন্য কোন চোখে না দেখি আর তৃষার থেকে দূরে দূরে সরে থাকি কথা আদায় করে নেয় । আমি মেনে নিয়েছিলাম সবটা । কিন্তু সহ্য করতে পারিনি । এতোটা অপমান আমার পাওনা ছিলো না ‌। শুরু করি ড্রিংস করা । তারপর যুথিকা নামে একটা ফ্রেন্ড আমার জীবনে আসে । আমাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনে । অয়েকদিন পর ওর বিয়ে হয়ে যায় । যুথিকার দিকে আমি সবসময় তাকিয়ে থাকতাম । ওর মধ্যে আমি তৃষাকে দেখতে পেতাম সব সময় । আমার মনে হতো এইতো তৃষাকে পেয়েছি আমি। তৃষার নাম দিলাম যুথিকা । আমার যুথিকা বিয়ে হবে এবার । ”
” একবার চলে গেলে আর পাবে না ভাইয়া । চলো বাবাকে বলো । আমিও এবার ফুপিকে বুঝাবো । তুমাকে কষ্ট পেতে দেখতে পারবো না আমি । ”
” তৃষাকে কষ্ট পেতে দেখতে পারবি ? তৃষা কিন্তু রায়ানকে ভালোবাসে বিয়ে করছে আর রায়ান ও । এখন চাইলেও কিছুই আটকানো যাবে না তৃনা । ওদের যে গায়ে হলুদ । আর আমি চাই তৃষা ভালো থাকুক ।”
” আমি তোমার কষ্ট ও সহ্য করতে পারবোনা আর তৃষার কষ্ট ও সহ্য করতে পারবো না । ”
” তৃষার কষ্ট তোকে সহ্য করতে হবে না । তুই আমার কষ্ট সহ্য কর যেমনটি আমি করেছিলাম যখন তুই হুট করেই দুই দিন অজ্ঞান হসপিটালে পড়ে ছিলি । ছেলেটা কে আমি আজো জানতে পারলাম না । ”
তৃনা ছল ছল চোখে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে হেসে বলে
” জানো ভাইয়া ছেলেটা কে ?”
” কে? বল আমাকে । আমি খুজে বের করবো ওকে । ”
” তোমার যুথিকার হবু বর । ”

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here