শুষ্ক_পাতার_ভাজে?২

0
2102

শুষ্ক_পাতার_ভাজে?২
#লাবিবা_তানহা_লিজা?

ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামায পড়ে নেয় তৃনা । বেরিয়ে এসে তৃষার রুমের দরজায় কড়া ঘাত করতেই দেখে দরজা খুলা । এই মেয়েটা যে দরজা লক না করেই পুরো রাত কাটিয়ে দিয়েছে বুঝতে পারে । দরজা লক না করা তার একটা বদঅভ্যাস । তাই বলে বাসার মতো তো হোটেলে চলাচল করলে হয় না। ভিতরে ঢুকে দেখে বিভোরে ঘুমুচ্ছে বালিশে মুখ গুজে । তৃনা বুঝতে পারে তৃষা কেদেছে রাতে । কিছু হলেই ও বালিশে মুখ গুজে কাদে । বাইরে থাকা কালীন ব্যাগে মুখ গুজে কাদে । শিয়রে এসে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে আস্তে করে কয়েকবার ডাকতেই সাড়া দেয় তৃষা। ধুরমুর করে উঠে বসে তৃনার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বুকে হামলে পড়ে কাদতে কাদতে বলে
–আপু বিলিভ কর ওর ব্যপারে আমি সিরিয়াস । আমি ওকে ছাড়া বাচবোনা । কাল থেকে আমার ফোন রিসিভ করে নি ।রেগে আছে খুব ।আমাকে ভুল বুঝে দুরে চলে গেলে এই জীবন আর রাখবো না আমি কিছুতেই না ।
তৃনা শান্ত চোখে বোনকে দেখলো কিছুক্ষন । তৃষা যে সিরিয়াস সেটা ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে । এই মুহুর্তে ওকে কিছু বুঝালেও বুঝবে না । কিন্তু এই অনিশ্চিত জীবনে বোনকে ঠেলে দিতে পারে না । অপারগ মাথায় হাত রেখে বললো
–তৃষা…তুমি রায়ান চৌধুরীকে ভালোবাসো এটা মেনে নিলাম । কিন্তু আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে রায়ান চৌধুরীকে তুমি পুরোপুরি চেনো না বা তার সবকিছু সম্পর্কে খুব কমই জ্ঞান আছে তোমার । এমন যদি হয় তার জীবনে অন্যকেউ থাকা সত্যেও তিনি তোমার রুপে মুগ্ধ হয়ে তোমাকে নিয়ে খেলছে কিন্তু তুমি বুঝতেও পারলে না তখন কি হবে?বোকামোর দন্ড সারাজীবন দিতে হবে তোমাকে ।
–আপু তুমি সব কিছুতেই একটু বেশি ভাবো । এমন কিছুই নয় । আর রায়ান চৌধুরী বড়লোক হ্যান্ডসাম তার পিছু তো মেয়েরা লেগেই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এরকম ছেলে থাকলে সব মেয়েরাই পিছু লাগে ।
তৃনা হাতটা মুঠো করে গুটিয়ে জানালার দিকে উদাস তাকালো । তবে কি সেও বড়লোক আর হ্যান্ডসাম দেখে প্রেমে পড়েছিল ? ভালোবাসা কি এসব কারনে হয় ? না এটা মানা যায় না । ভালোবাসা হলো মনের ব্যপার । চোখে সৌন্দর্য বা ভোগ বিলাসিতার ব্যপার নয় । তবে তৃষা ভুল করছে বিরাট ভুল করছে । উঠে দাড়িয়ে বললো
–তৃষা আমার যতদূর মনে হয় তোমার ভবিষৎ তোমাকে কাদিয়েই ছাড়বে ।
–ভালোবাসায় কান্না ছাড়া সুখ আসবে না আপু তুমিই তো বলো ।
–আমি চাই তুমি ভালো ভাবে খুজ খবর নিয়েই তারপর সামনের দিকে এগোও। এ ব্যপারে আমার থেকে পূর্ন সাপোর্ট পাবে । সাথে সাথে দূর্ধর্ষ এক হৃদ যন্ত্রনা সহ্য করার জন্য তৈরী হও। আমি আবারো বলছি পরে আবার আমাকে বলোনা যে আমি তোমাকে সাবধান হতে বলিনি ।
–আপু আমি কাদবোনা তুমি দেখো । ওকে আমি প্রায় চার পাচ বছর থেকে চিনি । অনেক ভালো সে ।
–নামাযটা পড়ে নাও বলে আর দাড়ায় না তৃনা । নিজের রুমে চলে আসে ।

বিচের সামনে ছাতার নিচে বসে ডাব খাচ্ছে তৃনা আর তৃষা। তৃষা লম্বা পাইপে একটা করে চুমুক দিচ্ছে আর ফোনে উকি দিচ্ছে । তৃনা আড়চোখে খেয়াল করেও না খেয়ালের মতো করে বসে আছে । তৃষা উশখুস করতে করতে শব্দ করে কোলের উপর ফোনটা রেখে তৃনার দিকে তাকালো । তৃনা ভ্রু কুচকে কি জিজ্জাসা করতেই তৃষা একরাশ হতাশ মুখে বলে
–আপু এখনো কল দিলো না আমাকে । কি করবো বলোতো ? পাগল হয়ে যাচ্ছি আমি।
–তুমিতো কল দিতে পারো ।
— তুমিতো একটু আগে বলতে পারো । খুশি মনে কল দিতেই ওয়েটিং এ পায় । কিছুক্ষন পর আবার কল দিলেও ওয়েটিং এ পায় । এখন কান্না আসছে । কিন্তু ব্যাগ পাবে কোথায় ? সাথে তো পার্স এনেছে । আপাদতো কান্না অফ থাক । তৃনা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে –তৃষা যদি কখনো জানতে পারো রায়ান চৌধুরী মেরিড পারসন তখন কি করবে তুমি ? বা এর থেকে আরো বড় কিছু জানতে পারলে তখন ?
–এগুলো কিছুই নয় । আর যদি ভুলেও হয়ে থাকে তাহলে আমার মৃত্যু ঘটবে ।
–কথায় কথায় মরার কথা বলবেনা তৃষা । মনে হচ্ছে তোমার হেবিট হয়ে গেছে এটা । মরা এতো সহজ নাকি ? কই আমিতো মরিনি ।
চুপ হয়ে যায় তৃনা। মনে মনে পুষে রায়ান চৌধুরীর ব্যপারে পুরোটা জানলে তুমি একা একাই ঐ পথ থেকে চলে আসবে । এইটাই বিশ্বাস আমার। তবে ভয় হচ্ছে ঐ সময়ের কথা ভেবে যখন তুমার জীবন নরকের মতো লাগবে । কোন উল্টাপাল্টা কিছু না করে ঠিক থাকলেই হয় ।হয়তো আমি আছি তোমাকে সামলে নেওয়ার জন্য ।

পরদিন রওনা হয় ঢাকার উদ্দ্যেশে । বাসে উঠার পর তৃষা আবার ফোন দেয় রায়ানের নাম্বারে । দু দিন কন্টিনিউয়াসলি ফোন দেওয়ার পর আজ এইবার অবশেষে ফোনটা রিসিভ করে রায়ান। হ্যালো বলতেই তৃষার প্রশ্নের ঝুড়ি তে খই ফুটে
–তুমি কেমন আছো ?ফোন কেনো তুলছোনা? ফোন ওয়েটিং কেন ?আমার উপর কি এখোনো রেগে আছো ? আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না ? তুমিকি দেখা করতে পারবে এক্ষুনি ?
–স্টপ প্লিজ। আমি ঢাকার কাছাকাছি । চলে এসছি ।
–চলে গেলে একবারো বলে গেলে না ..। আচ্ছা রাখি বলে মন খারাপ করে ফোন কেটে দেয় তৃষা । চলে যাবে বললেই তো হতো । একসাথে গাড়ি করে যেতে পারতো প্রেম করতে করতে । আপুতো বন্ধুর মতো আমাদের দেখে কিছুই ভাবতো না । এখন আপুর মতোই বলতে ইচ্ছা করছে কেউ ভালুপাসে না । আনরোমান্টিক লোক একটা বলেই জিহ্বায় কামড় দেয় । আনরোমান্টিক বললে দাহা মিথ্যা কথা বলা হয়ে যাবে । লজ্জায় লাল হয়ে যায় । কি কান্ডটাই না করলো সেদিন হোটেলে । তৃষার এই লজ্জা মাখা মুখটা দেখে তৃনার বুকে চিন চিন করে ক্রমশ ব্যথা বেড়ে যায় । বোন যে তার মতোই একটা মস্ত বড় ভুল করছে সেটা ভেবেই চোখের কোনে জল চিক চিক করে উঠে । কিন্তু না সেই জল চোখ অব্দিই রয়ে যায় । চোখের জল তো শুকিয়ে গেছে অনেক আগেই এখন কি আবার ভিজে উঠতে যাচ্ছে ? না এই চোখ কে আর ভিজতে দেওয়া যাবে না কিছুতেই না ।
বাসায় পৌছতেই শিল্পি বেগম দরজা খুলে দেয় । উপরে বারান্দায় দাড়িয়ে রাস্তা পানে তাকিয়ে এতোক্ষন তাদের জন্যেই অপেক্ষা করছিলো । তিনটা দিন পর চাদমুখ দুটো দেখে মনটা ভরে যায় । ফ্রেশ হয়ে আসতে বলে রান্নাঘরের দিকে চলে যায় । রাস্তায় তৃষা কিছু খেলেও তৃনাযে খায় নি সেটা জানা তার । বাইরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের হোটেলের খাবার একদমি পেটে সহ্য হয়না তার । বমি করে সব ফেলে দেয় তাই একগাদা চকলেট সবসময় ব্যাগে রাখে । তৃনা তৃষা উপরে গিয়ে পারুলের সাথে দেখা করে। পারুল মেয়ে আর ভাতিজিকে দেখেই বলে
–লাস্ট পাচ ঘন্টা থেকে ফোন তুলছিস না । টেনশন আর কতো দিবি আমাকে । তৃষা পারুলকে জড়িয়ে ধরে বলে
–আম্মু রাস্তায় ফোন বের করা নিশেধ আপুর কথা । ফোন হাতে দেখলেই ছেসরা গুলো আশে পাশে চুক চুক করবে হাতানোর জন্য । দু বছর আগে যে আপুর ফোনটা নিলো মনে নেই তোমার ? আহারে কতো ভালো ফোনটা ছিলো আর আমার কতো গুলো ওয়াও ওয়াও সেলফি কুলফি সব জলে গেলো । তৃনা চলে যেতে যেতে বলে আমি রুমে গেলাম । তৃষা ফ্রেশ হয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে বের হতে নিলে পারুল বলে উঠে
–সব সময় এতো আপু আপু করিস আবার এইটা বলে নিস না যে আপুর মতো আয়বুড়ো হয়ে মামার ঘাড়ে পড়ে থাকবো । লামিয়া ঘুরে দাড়িয়ে বলে –আম্মু..আপু মামার ঘাড়ে পড়ে থাকেনা । আপু একজন প্রফেসর । নিজের টাকায় নিজে চলে আর এই বাড়িতে আপুর অধিকারেই থাকে। মামার ঘাড়ে তুমি আর আমি পড়ে আছি যদিও স্টাডি শেষ হলেই একটা কিছু করবো আর বিয়েও করবো ।
–আমিও আমার অধিকারেই এই বাড়িতে থাকি ভুলে যাসনা ।
–হা তবে চলো মামার টাকায় । মাসে মাসে মামা তোমার জন্য আলাদা ভাবে টাকা রাখে । তোমার স্বামীর তো একআনাও পাও নি ।
–তৃষা..আর একটা কথাও বলবিনা তুই ।
তৃষা আর কথা বাড়াতে চায়না তাই ঘর ছেড়ে চলে আসে । নিচে এসে দেখে মনোয়ার হোসেন টেবিলে বসে আছে । তৃষা মনোয়ারের পাশের চেয়ারে বসে পড়ে । মনোয়ার হাসি মুখে বলে
–আমার মামুনির কেমন হলো সমুদ্র দেখা ? –অসাধারন মামা । টুর টা দারুন ছিলো । আবারো যেতে চাই ।
–অবশ্যই যাবে । তবে আমার জামাই বাবার সাথে যাবে । পারুলকে নামতে দেখে বলে পারুল মামুনি ও আমার দেখতে দেখতে বড়ো হয়ে গেলো । এবার তো বিয়ে দিতে হবে। ছেলে দেখা শুরু করি কি বলিস ?
তৃষা লজ্জায় খেতেই পারছে না । পারুল চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলল, সেই ভালো হবে ভাইজান । আমিতো অনেক আগে থেকেই বলছি । বড় জনের বিয়ে না দিয়ে তো ছোট জনের বিয়ে দিতেই চাইলে না । পারলে নাতো …এতোদিন শুধু শুধু আমার মেয়েটাকে বসিয়ে রাখলে । বাপ ছাড়া মেয়ে যতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দিবে ততো তাড়াতাড়ি রেহাই পাবে ।
–এ কথা ভুলেও বলবিনা পারুল । তৃষা আমারো মেয়ে । আমি ওর বাবার দায়িত্ব কর্তব্য ভালোবাসা সবটা দিয়ে বড় করেছি । ওর বিয়েও আমিই দিবো । কারো জন্য তৃষার বিয়ে আটকে থাকবে না । কথাটা শিল্পির দিকে তাকিয়ে বলে হাত ধুয়ে চলে গেলো । তৃষা খেয়ে তৃনার রুমে এসে বিছানায় বসে । ওয়াশরুম থেকে শাওয়ারের আওয়াজ আসছে । আওয়াজ বন্ধ হলে বলে
–আপু আর কতোক্ষন লাগবে তোমার?আমি ডাইনিং এ তোমাকে তো পেলাম না। তাই খেয়ে নিয়েছি বড্ড ক্ষিধে লেগেছিলো । তৃনার কোন উত্তর না পেয়ে সেখানেই বসে থাকে । মিনিট দশেক পর তৃনা বের হয়ে বলে
–সবাই খেয়ে নিয়েছে ?
–হুম ।
–আমিও খেতে যাবো । কাপড় গুলো ছাদে মেলে দিয়ে আসি ।
–তুমি গিয়ে খেয়ে আসো। আমাকে দাও । আমি নেড়ে দিয়ে আসি । ফুল গুলোও দেখে আসি কতগুলো গাছে কতোগুলো ফুটলো । আমাকে গগনার দায়িত্ব দিয়ে তো বেচেই গেছো। এতো গুলো গাছের এতো গুলো ফুল কিভাবে গুনতে তুমি বলোতো?আমি তো হাপিয়েই যাই । ধৈর্য্য আছে তোমার বলতে হবে । আচ্ছা আমি আসছি ।
তৃষা বেড়িয়ে যেতেই তৃনা নিচে নেমে আসে । টেবিলে শিল্পীকে বসে থাকতে দেখে নিজেও বসে পড়ে । শিল্পি মেয়ের পাতে ভাত বেড়ে দিয়ে নিজের পাতেও বেড়ে নেয় । তরকারি নিয়ে খাওয়া শুরু করে ।তৃনা শিল্পির দিকে তাকিয়ে বলে
— আম্মু আব্বু খেয়েছে ?
–হ্যা।
–ভাইয়া খেয়েছে ?
–বাইরে থেকে খেয়ে আসছে । ও আর বাসায় থাকে কতোক্ষন আর খায় কখন ..সব বাইরেই চলে তার ।
–আম্মু তোমাদের জন্য শাল কিনে এনেছি । উপজাতিদের হাতে বুনা । অনেক সুন্দর দেখতে । খেয়ে উঠো তারপর দেখাচ্ছি ।

তৃনা ছাদে কাপড় মেলতে মেলতে ক্ষনে ক্ষনে হাসির আওয়াজ পায় । এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে কেউ নেই । ফুল গুলো ছুয়ে ছুয়ে গুনতে গেলে আবারো আওয়াজ পায় । অনুসরন করে গুটি গুটি পায়ে পানির ট্যাংকের আড়ালে এসে উকি দিতেই দেখে রবিন ফোন কানে নিয়ে হাসছে আর বলছে –আমি কিন্তু কামড়ে দিবো ।
তৃষার চোখ উপড়ে উঠে যায় ।ধুপ করে সামনে এসে দাড়াতেই চমকে উঠে রবিন । ফোনটা হাত থেকে পড়তে গেলে ধরে ফেলে । কপাল কুচকে সন্ধিহান চাহনি দিয়ে বলে
–ভাইয়া তুমি ট্যাংকের পিছনে লুকিয়ে ফোনে কাকে কামড়ানোর হুমকি দিচ্ছো? কামড় তো কুকুরে দেয় । তুমি তো মানুষ । ব্যপারকি ভাইয়া ? তুমি কি বাই এনি চান্স জংঙি দলে নাম লিখিয়েছো ?
রবিন পরে কথা বলছি বলে ফোন কেটে দিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে উঠে দাড়ায় ।তৃনার মাথায় গাট্টা মেরে বলে –বুদ্ধু কথাকার । এতো এতো ছেলের সাথে প্রেমালাপ করতে পারো অথচ নির্বোধের মতো কথা বার্তা বলো । তুমার ব্যবস্থা করছি দাড়াও । ধরে বেধে এক ঘাটের জল খাওয়াবো এবার ।
— কেসটা কি ? জুথিকা ভাবি ? ওরে বাবা আমি এটাই বুঝলাম না । কিন্তু মানুষ জি এফ কে কিস দিতে চায় বাট তুমি কামড় দিতে চাইলে কেনো ?
–বিয়ের পরে যদি তোর জুথিকা ভাবি ননদ দুইটার সাথে কখনো মিসবিহেভ করে তাহলে তোরা কামড়ে দিবি সেটাই বলছিলাম । তোরা না পাড়লে আমিই কামড়ে দিবো ।
–ওমা তাই নাকি ? এই সুযোগ টা কবে আসবে বলোতো ভাইয়া ? জুথিকা ভাবী মিসবিহেব না করলেও জোর করে করাবো । দাতটা সার্প করতে হবে । একটা সার্প করা পেস্ট এনে দিয়তো ভাইয়া ।
–তোদের ব্যাপারটা কি বলতো ? সেদিন তৃনা পেস্ট চাইলো আর আজ তুই..আমিতো এমনি এমনি বললাম জুথিকাকে কামড়ানোর কথা । সত্যি কামড়াবি নাকি ?
— বক বক না করে আমাকে ফুল গুনাতে হেল্প করো আসো । আপুকে আবার হিসাব দিতে হবে । তুমি এদিকটা গুনো। আমি ঐ দিকটা গুনি।
রবিন তৃষা বাগানের ফুল গুনতে থাকে । গুনতে গুনতে রবিনের চোখ পড়ে তৃষার দিকে । গোলাপ গুলোর মতো গোলাপিই মেয়েটার গায়ের রং । হাস্যজ্জল মুখটা দেখে বুঝার উটায় নেই ফুটন্ত গোলাপ কোনটা আর হাসন্ত মুখ কোনটা ? সব যেনো মিলে মিশে একাকার ।

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here