শুষ্ক_পাতার_ভাজে?৯

0
1673

শুষ্ক_পাতার_ভাজে?৯
#লাবিবা_তানহা_লিজা?

.

ঠান্ডা হাওয়ায় রাতের অন্ধকারে ছাদে বসে আছে তৃনা । ফুলের গন্ধে চারিদিক মৌ মৌ করছে । হটাৎ তৃষা এসে পাশে বসে পড়ে । কিন্তু কোন কথা না বলে চুপ চাপ বসে আছে । তৃষার মনে খচ খচ করছে তৃনা এতোদিন কোথায় ছিলো কিভাবে ছিলো জানার জন্য । কিন্তু সাহস পাচ্ছে না । কিছুক্ষন পর তৃনাই বললো
“বাবা পাঠিয়েছে না তোকে ?
“হুম”
” বাবাকে বলিস আমি পুরান ঢাকায় একটা হোটেলে ছিলাম । ”
” আচ্ছা । ”
” তোর লাভ স্টোরি টা বলতো। সংক্ষেপে বলিস।”
তৃষা পেছন দিক একবার তাকিয়ে রবিনকে দেখে নিলো । আর কেউ নেই দেখে স্বস্তি পেয়ে বলতে শুরু করলো
” চার বছর আগে আমি তখন লিখনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি । একটা মেলায় স্টলে বসে কফি খাচ্ছিলাম । সেখানেই প্রথম রায়ান আমাকে দেখে । রায়ান অন্য ছেলেকে দিয়ে লিমনকে ডেকে নিয়ে আমার পাশে এসে বসে । টুকটাক কথা বলে । পরিচয় জেনে নেয় ।
তারপর একদিন ভার্সিটিতে দেখতে পাই । তখন তাকে গাড়ি থেকে নামতে দেখেই ক্রাস খাই । কি যে হ্যান্ডসাম ছিলো ! তারপর গিয়ে কথা বলি । প্রথমে চিনতে না পারলেও পরে চিনিয়ে দেই। তারপর যখন লিমনের সাথে ব্রেকাপ হলো তখন ফেসবুকে একটা গ্রুপে রায়ানকে দেখি । তারপর আইডিতে রিকুয়েষ্ট দেই । আমার ডিপি দেখেই চিনে ফেলে । তারপর টুকটাক কথা হতে হতে প্রেমটা হয়ে যায় । ”
তৃনা পেছন ফিরে রবিনকে বলে ” ভাইয়া বাবাকে বলে আসো আমি কোথায় ছিলাম ।” পরিস্থিতি বুঝে রবিন চলে যায় । তৃনা এবার জিজ্জাসা করে ” তৃষা রায়ান চৌধুরী তোর সাথে কেমন বিহেভ করে ? যেমন ধর রোমান্সের ক্ষেত্রে । তোরা ঐসব কিছু করিস নি তো এখনো ?
” না আপু । তবে রায়ান অনেক রোমান্টিক । এমনিতেই অনেক আদর করে আমাকে । অনেক ভালোবাসে । অনেক গিফট দেয় । ”
” কখনো তার ফেমেলির কারো সাথে যোগাযোগ করিয়েছে ?”
” না । এই দিকে এগোয় নি । ”
” তুই যদি কখনো জানতে পারিস যে তুই ছাড়া আরো অনেকেই আছে তার জীবনে তখন কী করবি ?”
তৃষা উঠে পড়ে । বিরক্তি দেখিয়ে বলে ” উফ আপু আবার শুরু করলে তুমি । আমার আর রায়ানকে আলাদা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছো তুমি । কতটুকু চিনো তুমি রায়ান কে ? কিছুই জানো না তার সম্পর্কে । তোমার থেকে শতগুন বেশি জানি চিনি ওকে । ও অনেক ভালো ভদ্র একটিভ রিচ একজন মানুষ । আমার মামা হাজার চেষ্টা করলেও ওমন ঘরে বিয়ে দিতে পারবেনা আমায় । নিজের কপাল নিজে ঠিক করছি আমি । ”
রাগে হন হন করে চলে আসে । তৃনা বলে ” নিজের কপাল নিজে খাচ্ছিস তুই । ”

রায়ানের অফিসে বসে আছে তৃষা । রায়ান ঢুকতেই সিকিউরিটি জানায় তৃষা নামের একটা মেয়ে দেখা করতে এসেছে । রায়ান পাঠিয়ে দিতে বলে । তৃষা দরজায় নক করে। রায়ান ভিতরে আসতে বললেই ভিতরে আসে। রুমটা একবার চোখ ঘুরিয়ে দেখে নেয় । খুব সুন্দর করে সাজানো । রায়ান বলে
” বসো”
তৃষা বসে ।
” কেমন আছো । ”
” ভালো আছি । তুমার কি খবর বলো তো । আমাকে কল দিলে না কয়েকদিন । ”
” কল তো আমি খুব কমই দেই । তুমি দিলে না যে ?”
” একটা সমস্যায় ছিলাম তাই । মামা আমার জন্য ছেলে দেখছে । আমি চাই তুমি মামার সাথে গিয়ে দেখা করো । আজি । ”
” ছেলে দেখছে দেখতে দাও । আমার তো এখন বিয়ে করা সম্ভব নয় । ”
” তুমি মামার সাথে কথা বলো এই ব্যাপারটা নিয়ে । দেখো উনি কি বলে । ”
” তৃষা আমি এখন বিয়ে করবো না । আমার আরো অনেক দুর আগানোর আছে । ”
” এদিকে মামা আমার বিয়ে দিয়ে দিক । তখন চাইলেও আমাকে পাবে না তুমি । ”
এরি মধ্যে রোহান আসে । রায়ান রোহানকে দেখে বলে
” পাপা তুমি ? অফিসে আসলে যে । ফোন দিলেই তো আমিই চলে যেতাম । ”
তৃষার দিকে তাকিয়ে বলে ” তৃষা তুই ওয়েটিং রুমে গিয়ে একটু ওয়েট কর প্লিজ।”
” আমার কথার উত্তর টা দাও । তুমি মামার সাথে দেখা করবে আজি । নয়তো মামা আমাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিবে । মামাকে বলে এসেছি আমি তোমাকে নিয়ে যাবো বলে । ”
রোহান বলে ” বিয়ে দিয়ে দিবে মানে ? রায়ান তোর গার্লফ্রেন্ড? মাশাআল্লাহ সুন্দরী অনেক । তো বিয়ে করতে সমস্যা কি ?”
তৃষা ঝপাঝপ বলে ” আসসালামু আলাইকুম পাপা । পাপা আপনার কি আমাকে ছেলে বউ হিসাবে মেনে নিতে প্রবলেম আছে ? আমাদের দু বছরের রিলেশন কিন্তু রায়ান কিছুতেই আমাকে এখন বিয়ে করতে চাইছে না। এদিকে আমার ফেমেলি পেলে এখনি বিয়ে দিয়ে দেয় । ”
” স্টপ তৃষা । বাইরে যাও। আমি তোমার সাথে পরে কথা বলছি ।”
তৃষা বাইরে যেতেই রোহান চেয়ার টেনে বসে । টেবিলে হাত রেখে বলে ” তৃষা নাম । মেয়েটা সুন্দরী আর চটপটে । ভালোই লেগেছে । বিয়ে করে নে । ”
” এই বিয়ে নামক ব্যাপারটা আমার কাছে তুচ্ছ পাপা। প্রথমে প্রেম দেখিয়ে বিয়ে করবে তারপর কিছুদিন সংসার করার পর কাবিনের টাকা নেওয়ার জন্য ডিভোর্স দিবে । ”
” সবাই এক হয়না । ”
” ৯৯% এরকম হয় পাপা । চার পাচ টা মেয়ের মতো এই মেয়েও সুন্দরী , চটপটে , লোভী । নিজেকে খুব সস্তা ভাবে । ”
” আমার যত দূর মনে পড়ে তুমিও অতি সস্তা ।”
চুপ হয়ে যায় রায়ান ।
” শোন রায়ান । সবার আগে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখবে যে তুমি কি । তুমাকে বিয়ে করতে চায় । পরিবারকে জানিয়েছে । নিশ্চয় পরিবারের বাধ্য মেয়ে সে । তাই আগের বারের মতো হওয়ার সম্ভাবনাও কম। এতোদিন সমস্যা ছিলো তোমার ডিভোর্স হয়নি বলে কিন্তু এখন তো কোন সমস্যা নেই । আমি যত দূর জানি এখন অন্য কোন মেয়ের সাথে রিলেশনশিপও নেই তোমার । আমার বেশ পছন্দ হয়েছে । কথা বলে আসো তার মামার সাথে । ”
” পাপা একটা প্রবলেম আছে। আমার পাস্ট সম্পর্কে কেউ জানে না । আর আমার মেয়েকে কত টুকু কেয়ার করবে সেটাও দেখার বিষয় । আচ্ছা বাদ দাও ।কি বলতে এসছিলে বলো ।”
” রুমু মম মম বলে কান্নাকাটি করছে । সেদিন ঐ মেয়েটাকে তুমি ওর মম বলেছিলে নাকি ? এখন ঐ মেয়ের কাছে রেখে আসো । আমরা আর সামলাতে পারছি না । ”
” এটা কিভাবে সম্ভব পাপা ?”
” তার জন্য ই বলছি বিয়ে করো। আর আজ দেখা করো । পরে না হয় ধীরে সয়ে রুমুর কথা বলো । যদি মানে তো মানলই নয়তো অন্য কাউকে দেখতে হবে ।”

রায়ান এসে মনোয়ারকে বাসাতেই পেলো। মনোয়ার রায়ানে দেখেই খুশি হয়ে গেছে । ভাগনী রাজপুত্র ধরে এনেছে। পারুল তো খুশিতে মুখ দিয়ে কথাই বের করতে পারছে না । রবিন , তৃনা কেউই বাসায় নেই । মনোয়ার এটা ওটা জিজ্জাসা করছে । পারুল বসে বসে শুনছে । শিল্পি নাস্তার ব্যবস্থা করছে । মনোয়ারের রায়ানের কথা আচরন দেখে খুব ই ভালো লাগে। তৃষা কে বলা হয় রায়ানকে নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য । তৃষা রায়ানকে নিয়ে নিজের ঘরে আসে । রায়ান রুমে এসে খুটিয়ে খুটিয়ে রুম টাকে দেখছে । তৃষা এসেই দরজা বন্ধ করে এক দৌড়ে রায়ানকে জড়িয়ে ধরে । রায়ানের দুই গালে চুমু দিয়ে দেয় । চোখে চোখ রেখে বিশ্ব জয়ের হাসি হাসে ।রায়ান দু হাতে তৃষাকে তুলে ধরে । তৃষা গলা জড়িয়ে ধরে বলে ” মামা পছন্দ করে ফেলেছে । এবার তোমার পাপা মমকে ডেকে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে নিতে বলে । ” রায়ান এবার দুষ্টুমি শুরু করে দেয় । তৃষাকে জড়িয়ে ধরে । তৃষা রায়ানের কাধ থেকে ব্যাগটা ছুড়ে মারে বিছানায়।
তৃষাকে দেয়ালের সাথে ঠেকিয়ে ঠোটে ঠোট মিশিয়ে দেয় । তৃষাও রেসপন্স করে । খানিক পর তারা হাপিয়ে গেলে সরে আসে । দুজনের মুখেই হাসি । রায়ান তৃষাকে ঘুরিয়ে নিয়ে আয়নার সামনে দাড়ায় । তৃষা আয়নাতে রায়ানকে দেখতে থাকে । রায়ান তৃষার ঘাড়ে থুতনি রেখে বলে
” মিসেস চৌধুরী হচ্ছো তাহলে তুমি ! ”
” রায়ান । লুক ,উই আর মেড ফর ইচ আদার । পারফেক্ট কিউট কাপল । ”
” হুম। ”
” কফি খাবে ? আমি কিন্তু খুব ভালো কফি করতে পারি ।”
” মিস করতে চাইছি না প্লিজ । ”
তৃষা হেসে নিচে চলে যায় । রায়ান খাটে বসে এদিক ওদিক তাকায় । পুরো দেয়াল জুড়ে তৃষার ছবি । হাস্যজ্জল মুখটা দেখেই ভালো লাগে তার । চোখ যায় টেবিল কর্নারে । অনেক গুলো বই ডায়রিতে ভরা । দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক যত্ম করে রাখা । এর মধ্যে সব থেকে সুন্দর গোলাপী রংয়ের ডায়রিটা চোখে পড়ে রায়ানের । হাতে তুলে নিয়ে দেখে অনেক সুন্দর ডায়রীটা । কিছু না ভেবেই পাতা উল্টায় । প্রথম পাতাতেই চোখ আটকে যায় । পুরো পাতা জুড়ে লাভ চিহ্ন । তার মাঝে {T লাভ R} লেখা। পাশে কলমের অনেক সুন্দর ডিজাইনে ফুল আকা । কি সুন্দর! মনটা ভরে যায় একদম । এই ডায়রি তৃষা রায়ানকে নিয়ে লিখেছে ভেবেই ঠোটে হাসি ফুটে উঠে । কি লিখেছে দেখতে হবে ভেবেই ব্যাগে নিয়ে নেয় । তৃষা কফি নিয়ে রুমে আসে। রায়ান কফিতে চুমুক দিতে দিতে কিছুক্ষন গল্প করে । একটা ফোন আসে । কথা শেষ করে তৃষাকে বলে
“তৃষা আমার যেতে হবে ।”
” একি খেয়ে যাবে না তুমি ?”
” আর্জেন্ট যেতে হবে আমাকে । ”
ব্যাগ নিয়ে চলে আসে ড্রয়িংরুমে । শিল্পি টেবিলে খাবার দিচ্ছিলো । রায়ান মনোয়ার কে বলে “আংকেল আমাকে এক্ষুনী যেতে হবে । আমি আসি । অন্য দিন আবার আসবো। ”
পারুল বলে ” কিছু তো মুখেই দিলে না বাবা । একটু খেয়ে যাও প্লিজ । ”
” আন্টি অন্যদিন এসে খাবো । আজ আসি আমি । ”
রায়ান বেরিয়ে এসে সোজা হসপিটালে আসে । কেবিনে ঢুকে দেখে লিনা রুমুকে কোলে নেওয়ার চেষ্টা করছে রোহানা লিনাকে বার বার সরিয়ে দিচ্ছে । রোহান এক টানে রুমুকে কোলে নিয়ে লিনার গালে কষে চড় দেয় । লিনা চড় খেয়ে চিল্লিয়ে উঠে । রোহান আরো একটা চড় দিয়ে বলে “আমার মেয়ের দিকে হাত বাড়ানোর সাহস কি করে হয় তোর ? আমার অবর্তমানে তুই এখানে এসে আমার মেয়েকে নেওয়ার চেষ্টা করছিস ? রাক্ষসী বের হ এখান থেকে তুই । ”
” রুমু আমার মেয়ে । আমি ওকে জন্ম দিয়েছি । আমি ওর মম । আমার রাইট আছে ওকে নেওয়ার । ”
রায়ান রুমুকে রোহানার কোলে দিয়ে লিনার হাত ধরে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে আসে । পাশের একটা রেস্টুরেন্টে বসিয়ে দিয়ে সামনে বসে পড়ে । কলারটা উপরের দিকে টেনে দিয়ে বলে
” তুমি কি চাও লিনা?”
” আমি আমার হারানো সংসার ফিরে পেতে চাই । ”
” হারানো সংসার! তুমি তো কিছু হারাও নি লিনা । তুমি ছেড়ে চলে গেছো । তোমার অপেক্ষাতে কেউ কখনো বসে থাকবে ভাবলে কি করে ?”
” রায়ান এমন করো না প্লিজ । মানলাম তোমার না হয় বউ আছে কিন্তু রুমুর? রুমুর মমের প্রয়োজন রায়ান। আমার মেয়েটা ছোট । ও মম মম বলে কাদছে আর আমি মম হয়ে ওর কাছে যেতে পারি না । এটা কেমন বিচার ?”
” লিনা তুমি যখন চলে গিয়েছিলে তখন আমার মেয়েটা দুধের বাচ্চা । ওর প্রত্যেকটা সেকেন্ডে ওর মায়ের প্রয়োজন ছিলো । ঐ সময় তার মা তাকে ছেড়ে চলে গেলো । কিসের জন্য ? টাকার জন্য । সেই সময় আমার কোম্পানি পথে বসে গিয়েছিলো । তোমার অতিরিক্ত বিলাসিতায় বাধা পড়েছিলো বলে এই রুপ দেখিয়ে অন্য একজনের গলায় ঝুলে পড়লে । ছোট বাচ্চাটিকে মেনে নিবে না বলে আমার কাছে রেখে চলে গেলে । সন্তানের উপর কোন টান ছিলো না তোমার । ছিলো শুধু টাকা পয়সা বিলাসিতার লোভ ।
ঐ টুকুন বাচ্চাটিকে আমার মম এতোদিন বড় করেছে। নিজের ঐ সংসার ভেঙে গেছে বলে মেয়ের দোহায় দিয়ে 2বার আমার লাইফে আসার চেষ্টা করছো যা আমি কোনদিন হতে দিবো না । ওর এখন মমের কোন প্রয়োজন নেই ।
–মমের প্রয়োজন সারাজীবন ই থাকে । আর আমার মেয়েটা মাত্র চার বছর । ওকে আমার চাই চাই ।
–রুমুর মম আছে । তোমার মতো কুলাংগার ল
নোংরা মমকে লাগবেনা ওর ।
–পরের মেয়েকে কেউ নিজের মেয়ে ভাবে না ।
–এই চিন্তা তোমার মাথাতেই আসবে । কারন তুমি তো নিজের মেয়েকেই নিজের মেয়ে ভাবতে পারোনি । ভাবলে কখনো মেয়েকে ছেড়ে যেতে পারতে না ।
আমার মেয়ের জীবনে আসার চেষ্টাও করবে না।

রায়ান হসপিটালে ব্যাক করতেই রুমু কোলে আসে । মেয়েকে কোলে নিয়ে কপালে চুমু দেয় । রুমু রায়ানের গাল ধরে বলে ” পাপা ঐ আনতি টা কে? আমাকে মম বলতে বলে বালে বালে । আমার মম তো ঐদিন আসছিলো । আমাকে আদর দিচে । বলো পাপা বলো”
” হুম মা । ইনি তোমার মম নয় । তোমার তো মম আছে তাই না ? সেদিন তোমাকে কোলে নিয়েছিলো না ? ”
” হুম । কিন্ত মুখ ডাকি রাখছে কেনো ? আমি তো মম কে দেখতেই পেলাম না । চোখ দেখেছি। আমার মতো বলো বলো চোখ । চুন্দর । হি হি ।”
” ওষুধ খেয়ে নাও পাপা। ”

চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here