শূন্যতায় অস্তিত্ব (৯ম পর্ব)

0
1622

শূন্যতায় অস্তিত্ব (৯ম পর্ব)
লেখাঃ তাজরীন খন্দকার

তিয়াস পায়ের তাল পেছন দিকে রেখে, মুখের উপর হাত রেখে ভীষণ হতাশার সহিত বললো,
___ কি শুনছি আমি? না না প্রীলি অন্য কারোর হতে পারে না। তার ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার কেবল আমারি আছে। আমার প্রীলি শুধুই আমার! এই এই প্রীলি তুমি না আমাকে…(কিছুটা এগিয়ে এসে বলতে চাইলো)

আমি সরে গিয়ে ধমকে বললাম,
___ দূরে থাকো তুমি। ঠিক যেভাবে দূরত্ব বাড়িয়েছিলে। তুমি বুঝতে পারছো না আমি তোমাকে কতটা ঘৃণা করি? কেন আসছো বারবার? আর হ্যাঁ আমি যেমন তোমাকে একপাক্ষিক পুরো দেড় বছর ভালোবেসেছিলাম, তেমন করে আজ সাড়ে তিন বছর ধরে রায়ান ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে। তবে তফাৎ এইটুকুই আমি তোমার মতো করে তালে তাল মিলিয়ে নাটক শুরু করিনি। কিন্তু এতোদিনে আমার মধ্যে তার অস্তিত্ব টের পেয়েছি। হতে পারে আমি তার উপর বিরক্ত প্রকাশ করি, কথা বলতে চাইনা। তাতেও মানুষটা নিঃস্বার্থভাবে আমাকে প্রচন্ডরকম ভালোবাসে। আর শুনো, তোমার মতোও নয় উনি, এর চেয়ে ভালো অনেক ভালো বংশের!
বর্তমানে ক্যাডার হয়ে প্রতিষ্ঠিত একজন। আমার চেয়েও উনি ব্রিলিয়ান্ট ছিলেন, এবং তিন বছর সিনিয়র ছিলেন। তবুও তিনি বিয়ের কোনো নাম নিচ্ছেন না শুধু আমার অপেক্ষায়!

আমি ওড়নাটা আংশিক মাথায় টেনে দেওয়ার চেষ্টা করে সামনে পা বাড়ালাম। তিয়াস ওখানেই থেমে আছে। সেও হয়তো মূহুর্তেই বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে!

এদিকে আমার পাগুলো কেমন শীতল হয়ে আসছে, হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। নিজেকে এতোটা শক্ত করার পরেও ওর চোখ দুটো আজ ভীষণভাবে দূর্বল করে দিচ্ছিলো।
এক মূহুর্তের জন্য মনে হচ্ছিলো সত্যিই কি সে ভুলের জন্য অনুতপ্ত? সেও কি এতটা কষ্ট পেয়েছে, যতটা পেলে তাকে ক্ষমা করা যায়?
খুব বেশি অনুতপ্ত হলে তাকে ক্ষমা করা যেতেই পারে। কিন্তু সুযোগ দেওয়া অসম্ভব! তার উপর আমার জন্য অন্য একটা মানুষের কতো বছর ধরে অপেক্ষা!

রায়ান ভাইয়াকে ইউভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার প্রথমে চিনতাম না। সেকেন্ড ইয়ারে একটা সমাধানের জন্য স্যার আমাকে উনার কাছে যেতে বলেছিল। আমার মাধ্যমিক জীবনের পরে আমি কোনো ছেলের সাথে ভালো করে কথা বলিনি। এমনকি ছেলে মেয়ের মধ্যে ভালো মেলামেশা দেখলে বিরক্ত হতাম। এর জন্য আমাকে অসংখ্যবার বাসা বদলাতে হয়েছে।
অনেক ছেলেই প্রপোজাল নিয়ে আসতো,কিন্তু রিজেক্ট করার কিছুদিন পরে দেখা যেতো আবার অন্য মেয়ে নিয়ে ঠিকি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু একমাত্র রায়ান ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে সেটা এখন পর্যন্ত বলেনও নি। শুধু এইটুকু বলেন, তুমি যেদিন বিয়ে করবে আমিও সেদিন বিয়ে করবো। আচ্ছা প্রীলিয়া তুমি বিয়ে কখন করবে?
আমি হেসে কথাটা ফেলে দিতাম। অথবা কথার মোড় ঘুরিয়ে দিতাম।

উনার সাথে দেখা হওয়ার পরে ইউভার্সিটিতে অন্য কোনো ছেলে আর আমার দিকে তাকানোর সাহস পায়নি। বেশিরভাগ সময় আমি ক্যাম্পাসে বসে বই পড়তে পড়তে খেয়াল করতাম, উনি দূরে বসে তাকিয়ে আছেন। আমি তাকালেই এদিক ওদিক মনোযোগ দেওয়ার বৃথা চেষ্টা করতেন। লাইব্রেরিতে বসলেও নিউজপেপার নিয়ে আমাকে দেখার শত বাহানা করতেন। তবে প্রতিদিন এই পাগলামিগুলো কমে আসলো। উনার ফাইনাল পরিক্ষা, তারপর বিসিএস প্রস্তুতি। তারপর এখন আবার ক্যাডারের কর্মজীবন। পরিচয় হওয়ার প্রথম বছরই উনি আবেগী বয়সের ন্যায় পাগলামো করতেন। আজকাল উনাকে কম দেখা যায়, সবার আড়ালে অনেকটাই মিস করি। কিন্তু যেদিনই সুযোগ পান ভার্সিটিতে চলে আসেন। আমি উনার আগমনকে ভীষণভাবে গ্রহণ করতে পারি সেটা আজ পর্যন্ত বুঝাইনি। তবে আমি ঠিকি এই মুখটা দেখার অপেক্ষা করে যাই। ফেইসবুকে তেমন একটা যাওয়া হয়না, উনি প্রায়ই নক করেন। কিন্তু আমার চ্যাটিং করতেও বিরক্ত লাগে। সেই দেড় বছরের বিশ্রী অভ্যাসগুলোও কেন জানি ঘৃণায় পরিণত হয়ে গেছে।


সেদিন রুমে ফিরে ফ্রেশ হয়েই কেমন দু-টানায় ভুগছিলাম। মা-বাবাকে দেখতে ভীষণ ইচ্ছে করছে। ফোনটা হাতে নিয়ে ভিডিও কল দিলাম। কিন্তু রিং হওয়ার সাথে সাথে কেটে যাচ্ছে। আমিও বারবার দিতে লাগলাম। আমি ভালো করেই জানি আমার ফাজিল ভাইটা ফোন নিয়ে গেইম খেলতেছে। কয়েকবার দেওয়ার পরে বিরক্ত চেহেরায় সে সামনে এসে বললো,
___আপ্পি আপ্পি একটু পর ফোন দাওনা। কেমন একটা জায়গায় তুমি ফোন দিলা বলোতো।

আমি ধমক দিয়ে বললাম,
___তোর জন্য আমি আলাদা ফোন কিনে দিয়েছি না? তাহলে মা-বাবার ফোনে ধরিস কেন? এটা শুধুমাত্র উনাদের সাথে কথা বলতে দিয়েছি। যাহ ফোন দে।

___ আপু আমার ফোনে চার্জ নেই তাই এটা দিয়ে খেলছিলাম। আর তুমি তো মা-বাবাকে দামী ফোন দিছো। আমারটা দিয়ে খেলতে ভালো লাগে না। অনুমতি দাও বদল করে ফেলি।

আমি আবার ধমকে বললাম,
___ এই বিচ্ছু সারাদিন তো ফোন তোর কাছেই থাকে। আমি কি সারাক্ষণ ফোন দেই? আর সময় হলে দামী ফোন পাবি। ভালো করে পড়ালেখা করে ইউনিভার্সিটিতে আয়। তাছাড়া শুন আবার আসলে তোর জন্য গিফট নিয়ে আসবো। এখন ফোনটা দে!

সে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো,
___ বাবা দোকানের নতুন মালামাল তুলতে শহরে গেছে। মা’কে দিচ্ছি।

আমি মুচকি হাসলাম। সত্যিই ওর মতো বয়সটা ভীষণ খারাপ। তবে মানুষের মন নিয়ে খেলার চেয়ে মোবাইলে গেইম খেলা ভালো। সে এমনিতেই পড়ালেখায় মনোযোগী না, তাই মা’কেও কিছু বলতে মানা করেছি। কিছুদিন গেলে এমনিতেই বুঝতে পারবে!

কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোনের স্ক্রিনে আমার মায়ের মুখটা ভেসে উঠলো। মা’কে দেখেই কলিজাটা কেমন শীতল হয়ে গেলো। আমি স্বচ্ছ একটা হাসি দিয়ে বললাম,
___ এই মা তোমার গালে কালি লেগে আছে। রান্না করছিলে?

মা হেসে বললো,
___ হ রান্না শেষ করলাম। তুই ফোন দিয়েছিস শুনে কালি টালি খেয়াল করি নাই। তুই কেমন আছিস লিয়া?

আমি মাথা ঝাকিয়ে বললাম,
___ ভালো আছি মা। দাদু কোথায়? উনার শরীরটা ভালো তো?

মা দাদুর দিকে ক্যামেরাটা ঘুরিয়ে বললো,
___এই দেখ তোর দাদু তোর ফোনের কথা শুনে আমার পাশে বসে তোর দিকে তাকিয়ে আছে।

কিছুক্ষণ চুপ করে তাকিয়ে থেকে আমি আস্তে আস্তে বললাম,
___ আচ্ছা মা কেউ ভুল করে অনুতপ্ত হলে তাকে কি ক্ষমা করা উচিত?

মায়ের হাসিমুখটা অন্যরকম হয়ে গেলো। উদাস চেহেরায় বললেন,
___ লিয়া তিয়াস কি তোর সন্ধান পেয়েছে? ক্ষমা চাচ্ছে এখন?

আমি হ্যাঁ সূচক জবাব দিলাম।তৎক্ষনাৎ মায়ের চোখেমুখে রাগ স্পষ্ট ভেসে উঠলো। বললো,
___ লিয়া তখন তোর ভাগ্য ভালো ছিলো বলে শক্ত মনোবলে উঠে দাঁড়িয়েছিস। কিন্তু এমন পর্যায়ে গিয়ে কতো মানুষ জীবন দিয়ে দেয়। আচ্ছা ভাব তো সেদিন যদি তুইও যদি এমনটা করতি তাহলে সে কার কাছে ক্ষমা চাইতো? ফিরে পেতো তোকে? আর তাছাড়া যে একবার মন নিয়ে খেলে সে অসংখ্যবার খেলতে পারে। তাকে বিশ্বাস করবিনা লিয়া। এরপরও যদি সে ভীষণভাবে অনুতাপ করে, নিজেকে দোষারূপ করে, তবে সর্বোচ্চ ক্ষমা করবি কিন্তু দ্বারেকাছে ঘেঁষতে দিবিনা।
এই শহরে দেহের খুনের বিচার হয় কিন্তু মনের খুনের বিচার হয় না। সেই খুনের সাজা মনের মধ্যে দিয়েই ফিরিয়ে দিতে হয়,তুইও সেটাই করবি!

আমি ভ্রু কোঁচকায়ে বললাম,
___ মা মা তুমি না খুব নরম মনের ছিলে। এতো প্রতিবাদী হলে কবে থেকে?

মা দাদুর দিকে তাকিয়ে হেসে বললো,
___ যবে থেকে আমার মেয়ের গল্প জেনেছি তবে থেকেই!

আমার চোখ ছলছল করে উঠলো। একটা সার্থকতার হাসি হেসে বললাম,
___ মা এখন রান্না বসাতে হবে।

মা হাত বাড়িয়ে বললো,
___ নিজের খেয়াল রাখিস মা।

আমি হাত দিয়ে টাটা দিয়ে ফোন কেটে দিলাম।

সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার মাথা হ্যাং হয়ে ছিল। সত্যিই কি তিয়াস ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য? মায়ের কথাগুলোও কিন্তু মিথ্যে নয়!

এসব ভাবতে ভাবতে রাত হলো।
রাতে কি ভেবে যেন ফেইসবুক লগ ইন করলাম।
গিয়েই আমি চমকে উঠলাম।
রায়ান ভাইয়া আমাকে একটা ছবি দিয়েছে, সেটাও সন্ধ্যার দিকে। যেটা তিয়াসের সাথে আমার অনেক বছরের পুরনো ছবি। যেদিন প্রথমবার তিয়াসের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল নবীন বরণে। ছবিটা তুলেছিল আরাফ।
সেই ছবি রায়ান ভাইয়ার কাছে কি করে পৌঁছালো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।

ফোন থেকে নাম্বার খুঁজে উনার নাম্বারে ফোন দিলাম। এর আগেও একদিন কি করে জানি উনি আমার নাম্বার যোগাড় করে ফেলেছিল, কয়েকদিন ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিতে চাইতো। কিন্তু এরপর আমি আরো দুইবার সিম পাল্টেছি। নতুন নাম্বার উনি আর জানেন না।
রিং বাজার সাথে সাথেই উনি রিসিভ করলেন, আমি গলা ঝেড়ে বললাম,
___ প্রীলিয়া বলছি। আচ্ছা তিয়াসের সাথে আমার এই ছবিটা কোথায় পেলেন?

ওপাশ থেকে ভীষণ থমথমে আওয়াজ। একটু গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,
___, সে আমাকে নিজেই দিয়েছে। জানিনা কি করে খুঁজে বের করেছে! তোমার সম্পর্কে অনেক কথা বললো, যার পুরোটাই ভিত্তিহীন বলে আমি মনে করি। আচ্ছা তুমি আমার সাথে দেখা করতে পারবে আগামীকাল? তার ব্যাপারে অনেক কথা বলার আছে। আর তিয়াস আমাকে তোমার থেকে দূরে রাখতে এটা করেছে। কিন্তু সে যদি জানতো আমি কে, তাহলে জীবনেও এই সাহস পেতোনা। সে যাই হোক ওর সম্পর্কে আমার জানা কিছু কথা তোমাকে জানানো ভীষণ দরকার!

আমি শুধু জবাব দিলাম,
___ আচ্ছা, কাল দেখা হবে।

বিকেলে ভীষণ আগ্রহ নিয়ে গেলাম। আমি ভেবেছিলাম তিয়াসের ব্যপারে পজিটিভ কিছুও হতে পারে । কিন্তু সেই কতক্ষণ থেকে দাঁড়িয়ে আছি উনি শুধু ভাবছেনই এটা ওটা। আমি অধৈর্য্য হয়ে গেলাম। গলা উঁচিয়ে বললাম,
___, কিছু বলবেন তো নাকি? সে কি করেছে? ছবি দিয়ে বলেছে আমি তার গার্লফ্রেন্ড এইতো? এখন আপনি আমার সাথে সেটার বুঝাপড়া করতে চান?

আমার কথা শুনে উনি কেমন যেন কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন,
___প্রীলিয়া তোমার সাথে কি তখন খুব খারাপ কিছু হয়েছিল? সে পড়ালেখার ক্ষতি করতে চেয়েছিল?

এটা শুনে আমি আৎকে উঠলাম। চোখ থেকে চশমাটা নামিয়ে বললাম,
___, সে এসবও বলেছে? এসব কি করে জানেন?

উনি বিচলিত হয়ে বললেন,
___ না না সে আমাকে এসব কিছুই বলে নি। আমার মনে হয় সে শুধু এক দুইটা মেয়ের সাথে এমন করেনি। অসংখ্য মেধাবীদের সাথে এমন করেছে। ওর সব ঝোঁক মেধাবীদের দিকে। তোমার ক্লাসেরই তো ছিল দীপ্তি। সে আমার ফুফাতো বোন হয়, সেটা জানো?

আমি আরো চমকে গেলাম। তোতলাতে তোতলাতে বললাম,
___ দীপ্তি? তিয়াসের গার্লফ্রেন্ড ছিল। আমার সামনে ওকে প্রপোজ করেছিল।

আমার আগেই উনি বললেন,
___ সে দীপ্তিকেও ঠকিয়েছে। মেয়েটার সব জায়গায় রেজাল্ট ভালো ছিল মোটামুটি চেষ্টাও করতো কিন্তু ফাইনালে সে খারাপ করেছে। শুধু তিয়াসের জন্য এমনটা হয়েছে।

আমি তাচ্ছিল্যের স্বরে বললাম,
___, দীপ্তি তো পরিক্ষার মধ্যে দূর্নীতি করেও প্রথম হতে চাইতো। সে নাকি আবার প্রথম স্থান ছাড়া কিছু মানতে পারেনা।

রায়ান কিছুটা হাসিসুলভ হয়ে বললো,
___আরে, আমার ফুফা বিরাট বিজনেসম্যান। একমাত্র মেয়ে তো তাই ওর মধ্যে ভাবের পরিমাণটাও বেশি ছিল। আসলে ওটা বয়সের দোষ ছিল। ঠিকঠাক বুঝজ্ঞান হয়নি তখন। কিন্তু আমার কাছে সবকিছু শেয়ার করতো। আমি দীপ্তির ফোনেই তিয়াসের ছবি দেখেছিলাম। পরবর্তীতে সে আমাকে বলেছিল ক্লাসে লিয়া বলে একজনের সাথেও তিয়াস এমন প্রতারণা করেছে যেটার আংশিকও সে জানতোনা। পরিক্ষার আগে আগে সব জানতে পেরেছিল। এরপর দীপ্তির মধ্যেও বিভিন্ন খারাপ চিন্তারা ভর করেছিলো। তাইতো পরিক্ষা এতো খারাপ করছে, তবে রেজাল্টের পরেই আমেরিকায় চলে গেছে আর এখন ওখানেই আছে ।
এদিকে আজকে আমি তিয়াসের পাঠানো ছবি দেখে বুঝতে পারছি দীপ্তির বলা সেই লিয়াই আমার শত ভালো লাগার এই প্রীলিয়া!

উনার কথাগুলো শোনার স্থিরতা আমার মধ্যে শূন্য হতে থাকলো। বুক কেঁপে ওঠতে লাগলো বারবার!
মানুষ এতটাও খারাপ হয়? ছি! ছি!
এর মধ্যে আমি কিনা ক্ষমা করার কথা ভেবে বসেছিলাম? আমার মা তাহলে একদম ঠিক বলেছিল, যে একবার মন ভেঙে মজা পায় সে বারবার সেটা করতে পারে এবং সবার সাথে! ….

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here