শেষটায় তুমিআমি,পর্ব-৫(শেষ)
tani tass ritt
রিদিতা আস্তে করে বলে উঠলো তিহাম।
কিন্তু তিহামের কান অব্দি পৌঁছালো না। তিহাম রিদিতার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে প্রিয়র পাশে গিয়ে বসলো।
রিদিতা খুশি হবে নাকি কষ্ট পাবে বুঝতে পারছে না।
“বাহ বিয়ে করে ভালোই সংসার করছে।অথচ আমার সংসার করা হলোনা। ”
রিদিতা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
“পাপা পাপা এই আন্তিতাকে আমি যেনো কোথায় দেখেছি? ”
তিহাম মুচকি হাসি দিয়ে,
“না মা কোথাও দেখনি।”
“আত্তা পাপা।”
“প্রজ্ঞা তুমি একটু প্রিয়র সাথে বোসো।আমি আসছি।” বলেই সেখান থেকে চলে গেলো তিহাম।
প্রজ্ঞা রিদিতার দিকে তাকিয়ে রইলো।খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছে সে রিদিতাকে।
রিদিতা ডায়েরি বের করে লিখায় মনোযোগ দিলো।
“আবার আমার অতীত আমার সামনে এসে দাড়ালো।কিন্তু আজ কষ্ট হচ্ছে না। বরং ভালোই লাগছে।তিহাম ওর জীবনের এগিয়ে গিয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই আমার আর প্রিয়তার পছন্দ একই ছিলো।দেখা যেতো দুজন একই জিনিস পছন্দ করতাম।সবাই মজা করে বলতো আমাদের নাকি যমজ ছেলের কাছে বিয়ে দিবে।তা না হলে একজকে নিয়ে টানাটানি লেগে যাবে।খুব ভালোই চলছিলো সব কিছু।কিন্তু বাবামার বনিবনা হচ্ছিলোনা।একটা সময় তারা কঠিন সিদ্ধান্ত নেন সেপারেশনের। আমাদের দু বোনকে আলাদা হতে হয়। আমি দেশের বাইরে চলে যাই বাবার সাথে আর প্রিয়তা মায়ের সাথে দেশেই থেকে যায়। কি কান্নাটাই না করেছিলাম সেদিন।”
রিদিতার চোখ থেকে পানির ফোঁটা পরলো ডায়েরির পেইজে।চোখ মুছে আবার লিখা শুরু করলো।
“এভাবেই দিন কাটতে লাগলো।একদিন প্রিয়তা আমাকে তিহামের ছবি দেখালো।প্রথম দেখাতেই ক্রাশ খেয়ে যাই আমি। এমন সুন্দর ছেলে দেখে যে কেউই ক্রাশ খাবে।প্রিয় আমাকে সব বলতো। দিনে দিনে তিহামের প্রতি আমার মুগ্ধতা বাড়তে লাগলো। একটা সময় মনে হলো আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি।কিন্তু আমার যে কিছুই করার ছিলোনা কারণ প্রিয়তার জান ছিলো তিহাম।মেয়েটা তিহাম বলতে অজ্ঞান ছিলো।তাই নিজের ভালোলাগাকে মাটিচাপা দিলাম।কিন্তু মনের কষ্ট দিন দিন বাড়তে লাগলো।এরপর তিহাম আমার বোনের সাথে যা করলো এটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলামনা আমি।তিহামের উপর খুব রাগ হলো।সব থেকে রাগ হলো নিজের উপর। এমন ছেলেকে নাকি আমি পছন্দ করেছিলাম।
৮ বছর আগে যদি তিহামের সাথে দেখা না হতো তাহলে হয়তোবা আমার জীবনটা এমন ছন্নছাড়া হতো না।”
হঠাৎ তিহামের আওয়াজ পেয়ে রিদিতার হাত থেকে কলমটা পড়ে গেলো।হকচকিয়ে গেলো সে।
তিহাম ঠিক তার অপসিটে বসে আছে।পাশেই প্রিয় আর তার পাশে প্রজ্ঞা।বাহ বেশ মানিয়েছে তাদের।
তিহাম কলমটা তুলে রিদিতার হাতে দিলো।রিদিতা কলমটা নিয়ে আবার লিখায় মনোযোগ দিলো।
“তিহামকে দেখে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলাম।আমার বোনের সাথে ও যা করেছে এর দাম তো ওকে দিতেই হবে।কিন্তু আমি নিজেই ফেসে গেলাম।তিহামের এতো কেয়ারিং এতো লাভ সব কিছুতে আমি মুগ্ধ হচ্ছিলাম।ছেলেটার মধ্যে অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে আকর্শন করার।তাইতো আমার বোনের আজ এই পরিণতি। দিন যত যেতে লাগলো আমি ওর প্রতি দুর্বল হয়ে পরলাম।কিন্তু আমাকে তো ভুলে গেলে চলবেন যে ও আমার বোনের খুনি।তাইতো রিভেঞ্জ টা নিয়েই নিলাম।কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার আমি খুশি হতে পারিনি।কেমন যেনো সব খালি খালি লাগতো।খুব ইচ্ছে করতো ওর সাথে কথা বলতে কিন্তু আমি যে নিরুপায় ছিলাম।
এই ঘটনার একমাস পর ইনভাইটেশন পাইতমার বিয়ের।তমার আমার আর প্রিয়তার ছোটবেলার বান্ধুবি ছিলো। না চাইতেও বিয়েতে এটেন্ড করা লেগেছে।ওখানে তুর্য আর ওর ফ্রেন্ডরা আসে ফ্রিতে খাবার খেতে। আমরা বান্ধুবিরা মিলে ধরে ফেলি ওদেরকে।সেদিন কি কান্ডটাইনা ঘটেছিলো। ভেবেই রিদিতা নিজের অজান্তে হেসে উঠলো।”
তিহাম আড় চোখে দেখছে রিদিতাকে।হাসির কারণ বুঝতে চেষ্টা করলেও ব্যার্থ হলো।
“তারপর কাকতালিওভাবে আমার শুধু তুর্যর সাথে দেখা হতে থাকে।ছেলেটা আমার জন্য কি পাগ্লামিটাই না করতো।ওর চোখে নিজের জন্য ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।ভাবলাম এবার বুঝি সবটা ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস আবার ঐ একই জায়গায় এনে দাড় করালো আমাকে। তুর্যকে নিয়ে নতুনভাবে বাঁচতে চেয়েছিলাম। কেননা তিহামের স্মৃতি আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়াতো। লাভ টা কি হলো আবার সেই তিহামের সামনে গিয়েই পরলাম।
তুর্য রিভেঞ্জ নেয়ার জন্য বিয়ে করলেও আমি জানি সে আমাকে অনেক ভালোবাসে।আমি ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসা কাতর ছিলাম।মাকে সেভাবে কাছে পাইনি যে।
কথায় আছে না তুমি কাকে ভালোবাসো তার থেকেও বেশি জরুরি কে তোমাকে ভালবাসে।
তিহামের ভালোবাসা ছিলো প্রিয়তা।আমিতো শুধু কিছু দিনের জন্য ওর জায়গাটা নিয়েছিলাম।কিন্তু তুর্য আমাকে ভালোবাসে। শুধুই আমাকে। এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। এটা নিয়েই আমি খুব ভালো আছি। ও আমার সামনে আসলে ওকে প্রত্যাখ্যান করার মতো শক্তি আমার নেই।ভালোবাসা কে ই না চায়। এখন আর তিহামের জন্য কোনো কষ্ট হয়না এমনকিন কোনো রাগ ও হয়না।সময়ের ব্যাবধানে ভালোবাসাটা কেমন যেনো ফিকে হয়ে গিয়েছে।তাইতো মনে হয় আমি কোনোদিন ওকে ভালোই বাসিনি।”
রিদিতা ডায়েরিটা অফ করে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখলো।
প্রিয় ঘুমিয়ে গিয়েছে প্রজ্ঞার কোলে।তিহাম নেই।হয়তো কোথাও গিয়েছে।
“আমার আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো। “প্রজ্ঞা বললো।
” জি আপনি আমাকে বলছেন? “রিদিতা অবাক হয়ে বললো।
” হ্যা আপনাকেই বলছি।আপনি আর প্রিয়তা আপু হুবহু একই দেখতে?”
এবারতো রিদিতা বেশ অবাক হলো।
“জি ” কিন্তু আপনি কিভাবে জানলেন?
প্রজ্ঞা মুচকি হাসি দিলো।
“আপনি খুব সুন্দর মাশাল্লাহ। ছবির থেকে সামনাসামনি আপনি বেশি সুন্দর।দেখেই কেমন যেনো এক আকর্শন কাজ করে।যে একবার আপনাদের দুই বোনের প্রেমে পড়বে কোনোদিন ভুলতে পারবে বলে মনে হয়না।আপনি নিজেকে অভাগী ভাবলেও আমি আপনাকে এমনকি প্রিয়তা আপুকে খুব লাকি মনে করি।”
রিদিতা প্রজ্ঞার কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারলো না।রিদিতা কিছু বলতে যাবে তখনি প্রজ্ঞার কল এলো।তাই সে কিছু বলতে পারলো না।
রিদিতা উঠে কেবিন থেকে বাহিরে বেড়িয়ে দেখলো তিহাম ট্রেইনের দরজার কাছে দাড়িয়ে সিগারেট টানছে।
এটা দেখেই রিদিতার রাগ উঠে গেলো।
“তুমি সিগারেট খাওয়া শুরু করলে কবে থেকে? তোমার বউ কিছু বলেনা?”
তিহাম রিদিতার দিকে তাকিয়ে রইলো।তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে,
“আমার কোনো ব্যাপারে কারো হস্তক্ষেপ আমি পছন্দ করিনা।”
রিদিতা তিহামের কথা শুনে চমকে উঠলো। এতটা রুডভাবে কথা তিহাম কোনোদিনো বলতোনা।মানুষটা অনেক বদলে গিয়েছে। এই ৭ বছরে কত পরিবর্তন তার।
রিদিতা আর কিছু বললো না। তিহামের সাথেই দাড়িয়ে রইলো।
“তোমার জন্য যে একজন এতোগুলো বছর ধরে অপেক্ষা করছে তোমার কি ইচ্ছে হয়নি একটাবার তার সাথে যোগাযোগ করতে।”
“ভাগ্যে থাকলে হয়তোবা কোনোদিন তার সাথে যোগাযোগ হবে।”
“খুব ভালোবাসো তুর্যকে?”
“ভালোবাসি নাকি জানিনা। তবে হ্যা এই ৬ বছরে এক সেকেন্ডের জন্যও তার কথা মাথা থেকে ফেলতে পারিনি।হয়তো তার ভালোবাসার শক্তি এতটাই প্রখর ছিলো যে আমি ধরা দিতে বাধ্য হয়েছি।”
তিহাম শুধু হাসলো।আচমকাই রিদিতাকে জড়িয়ে ধরলো।এতো তাড়াতাড়ি ঘটানাটা ঘটলো যে রিদিতা কিছুই বুঝতে পারলোনা।কিছুক্ষণ পর ওকে ছেড়ে দিলো।
“তুমি প্লিজ আমার সামনে থেকে যাও।”চিৎকার করে বললো তিহাম।
রিদিতা এবার ভয় পেয়ে গেলো।তার কেমন যেনো লাগছে সব।তাকে প্রজ্ঞার থেকেই জানতে হবে সব।
রিদিতা আবার কেবিনে যেয়ে বসলো।ততক্ষণে প্রিয় উঠে পড়েছে। রিদিতা প্রিয়কে ডাক দিয়ে কোলে নিয়ে বসলো।
কিছুক্ষণ পর তিহাম এসে প্রিয়কে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।
রিদিতার খুব রাগ হলো।একটু কোলেই তো নিয়েছিলাম এমন কেন করলো লোকটা।
” আপনাদের বিয়ে হয়েছে কতদিন হলো?” আমতা আমতা করে বললো রিদিতা।
প্রজ্ঞা মলিন একটা হাসি দিয়ে,
আই উইশ আমি তার বউ হতে পারতাম।কিন্তু সেই ভাগ্য কি আমার আছে নাকি।জানো আপু গত ৫ টা বছর ধরে আমি তাকে পাগলের মতো ভালোবেসেছি।আমার আব্বু ওনার ট্রিটমেন্ট করছিলো।ওনার যখন মানসিক অবস্থা ঠিক ছিলোনা তখন থেকেই আমার তার প্রতি মায়া জন্মায়। এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করতো তার জন্য।আর ধীরে ধীরে তা ভালোবাসায় রূপ নেয়।এই অব্দি কতবার যে তাকে প্রপোজ করেছি কিন্তু সে প্রতিবার আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।আমাকে ভালোবাসা নাকি তার পক্ষে সম্ভব না।সে কোনোদিন আমাকে ভালোবাসতে পারবেনা। ”
এতটুকু বলেই থেমে গেলো প্রজ্ঞা। নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে হুহু করে কেঁদে ফেললো সে।
রিদিতার অনেক মায়া হচ্ছে তার জন্য।তাহলে তিহামের বউই বা কে আর প্রিয়ই বা ওকে পাপা বলে ডাকছে কেনো।প্রজ্ঞা এমনিতেই কাঁদছে। আর কি জিজ্ঞেস করবে তাকে।
তখনি তিহাম এসে বসলো। কেউ আর কোনো কথা বললোনা।প্রিয় একাই বক বক করে গেলো সারা রাস্তা। বাতাসে রিদিতার চুলগুলো উড়ছে।তিহাম এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে রিদিতার দিকে।প্রজ্ঞার খুব কষ্ট হচ্ছে।কিন্তু তার কি ই বা করার আছে।
ওরা ৪ জন ই কক্সবাজার নামলো।
প্রজ্ঞা রিদিতাকে হাগ করলো।
“আপু ভালো থেকো।আর সামনের মাসে আমার বিয়ে তোমাকে কিন্তু অবশ্যই আসতে হবে।”বলেই সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো প্রজ্ঞা।
রিদিতা প্রিয়কে কোলে নিয়ে আদর করে দিলো।তিহাম প্রিয়কে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।
রিদিতার তার বাবার কাছে এসেছে।তার মা ২ বছর হলো মারা গিয়েছে। তারপর থেকে তার বাবা তার চাচাদের সাথেই থাকে।রিদিতার বাবা দেশের বাহিরে যেতে চাইলেও রিদিতা রাজি হয়নি।
দুদিন পর,
রিদিতা সমুদ্রে খালি পায়ে হাটছে।তার বেশ লাগে জায়গাটা।সে এখনো প্রিয়কে নিয়ে ভাবছে।হিঠাৎ সে হাতে টান অনুভব করে।নিজেকে সামলাতে না পেরে কারো বুকে যেয়ে পরে।তাকাতেই দেখে তুর্য।এত বছর পর তুর্যকে দেখে সে কিভাবে রিয়াক্ট করবে বুঝতে পারছে না।তুর্য রিদিতাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।ছেড়ে দিলে বুঝি চলে যাবে।
” প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও রিদিতা।আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি তোমাকে ভুল বুঝে।আমাকে মাফ করে দাও।আমার থেকে দূরে যেও না।”
রিদিতাও তুর্যকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এই কান্না যে সুখের কান্না।
কিছুক্ষন পর রিদিতা তুর্যকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে,
“তুমি সত্যিটা জানলে কি করে? ”
“তোমার চিঠিটা পড়ার পর থেকে আমার কেমন যেনো খটকা লাগে।কিন্তু অনেক খুঁজেও আমি কিছু পাইনি।”
তুমি যাওয়ার পর থেকে আমার সব কিছু কেমন যেনো উলোটপালোট হয়ে গিয়েছিলো।একা হাতে সব কিছু করা লাগতো।তুমি যাওয়ার ১ বছর পর আমি আমাদের জীবনে আসে প্রিয়।ওকে আমি রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। ওকে দেখে এতো মায়া লেগেছিলো।ওকে যখন বাসায় নিয়ে আসি তখন ওকে দেখার সাথে সাথে ভাইয়া অনেক খুশি হয়ে যায়।তার পর থেকে শুধু প্রিয়কে নিয়েই থাকতো।নিজেই ওর নাম প্রিয় রাখে।প্রিয় আসার পর থেকে ভাইয়া মাঝে অদ্ভুত পরিবর্ত আসে।ধীরে ধীরে সে সুস্থ হতে থাকে।প্রজ্ঞা এবং আংকেল মানে ভাইয়ার ডক্তর অনেক হেল্প করে।আর ভাইয়াও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যায়।এরপর থেকেই ভাইয়া প্রিয়কে নিয়েই আছে।প্রিয় ছাড়া সে কিছু বুঝেনা।ভাইয়া সুস্থ হওয়ার পর ভাইয়ার থেকেই আমি সব জানতে পারি।ভাইয়া খুব অনুতপ্ত তুমি প্লিজ ওকে মাফ করে দাও।”
রিদিতা হা করে তাকিয়ে আছে তুর্যের দিকে।তার মানে প্রিয় তিহামের মেয়ে না।
“তোমাকে আমার খোঁজ নিশ্চই তিহাম দিয়েছে।”
তুর্য কিছু বললোনা।হাসি দিয়ে রিদিতাকে আবার জড়িয়ে ধরলো।
“অনেক তো হলো এইসব মান অভিমানে পালা। #শেষটায়_তুমিআমি এক হয়ে নতুন এক জীবনের রচনা করি।
রিদিতা আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো তুর্যকে।
আশেপাশের মানুষ হা করে তাকিয়ে তাদের কান্ড দেখছে।তাদের মধ্যে তিহামও শামিল হয়েছে।সে এই ভালোবাসার সাক্ষী থাকতে চেয়েছিলো।
“আমি আজো জানিনা আমি প্রিয়তাকে ভালোবাসি নাকি রিদিতাকে।দুজন আলাদা আলাদা হলেও সত্তা যে একই।আমি যাকেই ভালোবাসি বড্ড বেশি ভালোবাসি।আমার কাছে আমার প্রিয় তো আছেই। তাকে নিয়েই না হয় বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিবো।”
তুর্য প্রিয়কে কোলে নিয়ে কোনো এক অজানা গন্তব্যের দিকে যেতে লাগলো।
সমাপ্তি।