শেষ_থেকে_শুরু পর্ব_৩

0
1123

শেষ_থেকে_শুরু
পর্ব_৩
নন্দিনি_চৌধুরী

৫.
রাতের তারা ভোরা আকাশের নিচে বসে আছে মুগ্ধ দূর আকাশের পানে তাকিয়ে আছে সে।নিজের জীবনের হিসাব মিলাতে মিলাতে ক্লান্ত সে।ছোট থেকে জীবনে লড়াই করতে করতে আসতে হয়েছে এখনো লড়াই করে যেতে হবে টিকে থাকার লড়াই।কবে শেষ হবে এই লড়াই।তাই ভাবছে সে।

“তুমি যদিজীবনচক্রের হিসাব মিলাতে গিয়ে হেরে যাও তবে থেমে থেকোনা তবে নতুন করে আবার শুরু করো দেখবে ঠিক মিলাতে পারবে”

মুগ্ধ:জানিনা কি আমার অপরাধ ছিলো যে তাএ জন্য আজ আমাকে তুমি একা করে চলে গেলে আরিশ।আমি জানিনা আমি কোনদিক থেকে ব্যার্থ ছিলাম।তবে আরিশ তুমি ভালো আছো এটাই অনেক ভালো থাকো যার সাথে ভালো থাকার আশায় আমাকে ছাড়লে তাকে নিয়ে ভালোথেকো।কিন্তু জানোতো ভাবতে পারিনি ডিভোর্সি নামক বিষাক্ত তোকমাটা আমার নামের আগে লেগে যাবে ভাবতেই পারিনি সেটা।সমাজে ডিভোর্সি হয়ে টিকে থাকতে আমাকে অনেক শক্ত হতে হবে যেটা আমি পারবোকিনা জানিনা।

“তুমি সুখো যদি নাহি পাও যাও সুখেরো সন্ধানে যাও আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয় মাঝে আরো কিছু নাহি চাইগো আমারো পরানো যাহা চায় তুমি তাই তুমি তাই গো আমারো পরানো যাহা চায়”[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর গানের লাইন]

মুগ্ধ ছাদে দাঁড়িয়ে একা একা কথা গুলো ভাবছে। বিকালে বাসায় আসার পর থেকে সে কেঁদেগেছে শুধু। সে ভাবতেও পারেনি লোকেদের কথা তাকে এইভাবে শুনতে হবে।

মেহের আসতে করে ছাঁদে এসে দেখে মুগ্ধ দাঁড়িয়ে আছে।আসতে করে বোনের কাছে গিয়ে কাধে হাত রাখে সে।মুগ্ধ সামনে মুখ করে রেখেই বলে,

মুগ্ধ:কিছু বলবা ভাইয়া?
মেহের:চড়ুইপাখি মন খারাপ তোর?
মুগ্ধ:না ভাইয়া আমার মন খারাপ না আমার মতো মেয়ের কি মন খারাপ হতে পারে বলো?
মেহের মুগ্ধকে ওর দিকে ঘুরিয়ে বুকে জরিয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,

মেহের:তুই লোকের কথা কান দিবিনা বুজলি।সমাজের কিছু লোক এমন আছে যারা অন্যের দিকে আজ্ঞুল তুলার আগে নিজের দিকে তাকায় না।এই সমাজের এমন কিছু মানুষের কারনেই আজ দেশের এই অবস্থা।তবে তুই ভেংগে পরবিনা।তুই সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবি।মনে রাখবি তোর ভাইয়া তোর পাশে আছে।

মুগ্ধ:কিন্তু ভাইয়া আমার যে অনেক কষ্ট হয়। আমি কি করে লড়াই করে টিকে থাকবো।
মেহের:পারতে হবে তোকে দুনিয়াকে দেখিয়ে দিতে হবে ডিভোর্সি হয়েও মেয়েরা দুনিয়াতে এগিয়ে যেতে পারে।তারাও সব করতে পারে।
মুগ্ধ:আচ্ছা ভাইয়া আমি করবো তুমি যেভাবে বলবে সেভাবেই সব করবো।আমি টিকে থাকার এই লড়াইয়ে লড়বো।
মেহের:হুম এখন চল খেতে চল।

মেহের মুগ্ধকে নিয়ে নিচে চলে আসলো।নিজ হাতে বোনকে খাইয়ে দিয়ে ঘুম পারিয়ে দিলো।

খানভীলা,,,,,

খাবার টেবিলে বসে খাচ্ছেন সায়মা,সালমা,মেহেরাব।মেহেরাব শুধু সায়মার চালচোলন দেখছে বসে বসে মেয়ে তার কতটা অভদ্র হয়েছে তাই দেখছে।

সায়মা:মা আমি ভাবছি আরিশ আর আমার বিয়েটা তাড়াতাড়ি করে আমার বাহিরে চলে যাবো।
সালমা:হুম এটাতো ভালো কথা।তা আরিশকে বলেছিস কিছু এ বিষয়ে?
সায়মা:না কাল জানাবো।
সালমা:আচ্ছা তুই জানিয়ে আমাসের জানাস।
মেহেরাব:বেশ ভালো শিক্ষাই দিচ্ছো মেয়েকে।এক মেয়ের সংসার ভেংগে এখন সেই জায়গায় আবার নিজের মেয়েকে বসাচ্ছো।একবার ও তো শাসন করলেনা দুইগালে দুটো থাপ্পর মারলেনা যে মেয়ে হয়ে ও কিভাবে আরেক মেয়ের ঘর ভাংলো।তাও আবার নিজের বোনের যে ওকে লালনপালন করেছে।
সালমা:মেহেরাব!কি বলছো তুমি এসব।এখানে সায়মার কি ভুল আরিশ কেন তার বউকে ছেড়ে সায়মার কাছে এসেছিলো।সায়মা তো বলেনি ওকে আসতে।ও নিজেই এসেছে।আর শোনো তোমার অই মেয়ে এতো ভালো হলেনা ডিভোর্স দিয়ে চলে যেতোনা।হাতে পায়ে ধরতো থাকার জন্য।হুহ দেমাগ দেখিয়ে ভাইয়ের সাথ্ব ডেংডেং করে চলে গেছে।ভালো হয়েছে আপদ আমার বাসায় আনিনি।সাক্ষাত একটা আপদ অই মেয়ে।
মেহেরাব:ঠিক বলেছো হাতে পায়ে ধরেনি বলেই আজ মেয়েটা মেহেরের সাথে চলে গেছে।সেখানেই ভালো আছে।আমার মেহের ওর বোনকে সব থেকে ভালো রাখবে।তোমার আমার মতো অমানুষের কাছে ও না এসেই ভালো করেছে।
কথাটুকু বলেই মেহেরাব খাবার ফেলে চলেগেলো।
সায়মা:এই মুগ্ধ তো চলে গিয়েও শান্তি দিচ্ছেনা।নাহ ওর একটা ব্যবস্থা আমাকে করতে হবে।তবে তার আগে আরিশকে বিয়ে করে করতে হবে [মনে মনে]

পরেরদিন সকালে,,,

মুগ্ধ ফজরে উঠে নামাজ পরে একটু বই মিয়ে বসে টুকটাক কিছু পড়াশুনা করলো।এখন রেডি হচ্ছে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে।একটা বেবিপিংকালার থ্রিপিজ পরেছে সাথে ব্লাক একটা হিজাব মাথায় সুন্দর করে বেধেছে।ওড়নাটা চাদরের মতো করে গায়ে দিয়েছে।রেডি হয়ে নিচে এসে খাবার টেবিলে বসলো।মেহের অনেক আগেই রেডি হয়ে মুগ্ধের জন্য অপেক্ষা করছে।রুহি মুগ্ধকে খাইয়ে দিচ্ছে।

মেহের:আজ শুনেছি কলেজে নিউ প্রফেসর আসবে।
মুগ্ধ:ও আচ্ছা
মেহের:হুম শোন কলেজে প্রায় সবাই আমার চেনাজানা।কোনো সমস্যা হলে যে কাউকে বলবি।তারা সমস্যা সমাধান করে দিবে আর এরপর তো আমি আছি ঠিক আছে।
মুগ্ধ:হুম ঠিক আছে।
মেহের:এই নে এই ব্যাগটা ধর।
মুগ্ধ:কি আছে এটাতে?
মেহের:তোর জন্য ফোন,ল্যাপ্টপ আরো কিছু তোর প্রয়জোনীয় জিনিশ আছে।
মুগ্ধ:ও আচ্ছা ভাইয়া শুনো।
মেহের:হুম বল।
মুগ্ধ:আসলে ভাইয়া আমাকে একবার অই বাসায় যেতে হবে।
মেহের:কেন?
মুগ্ধ;অনেক দরকারি ডোকুমেন্টস ফাইল রেখে আসছি অগুলা আনতে হবে।
মেহের:তোর যেতে হবেনা আমার অফিসের মেনেজারকে দিয়ে আনাবো।
মুগ্ধ:আচ্ছা।
মেহের:হুম চল।
রুহি:শুনো আশার সময় মুগ্ধকে নিয়ে আসবে?
মেহের:মনে হয় পারবোনা মিটিং আছে আমি গাড়ি পাঠিয়ে দেবো।
রুহি:আচ্ছা মুগ্ধ সাবধানে যাস।
মুগ্ধ:আচ্ছা ভাবিপু।

এরপর মুগ্ধ মেহেরকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো কলেজের জন্য।প্রায় ২০মিনিট পর চলে আসলো কলেজে।মেহের মুগ্ধকে কলেজে নিয়ে এসে প্রিন্সিপাল এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।কয়েকজন স্যার এর সাথেও পরিচয় করিয়ে দিলো।তারপর মুগ্ধকে ক্লাসে ডুকিয়ে দিয়ে মেহের চলে আসলো।মুগ্ধের একা একা কেমন একটু ভয় লাগছে।নতুন যায়গা তারপর কাউকে চেনেনা।তাই নার্ভাস লাগছে।মুগ্ধ জানালার পাশে বসে ছিলো তখন একটা মেয়ে পাশ থেকে বলে উঠলো,

মেয়েটা:উহুম কিছু মনে না করলে আমি কি এখানে বসতে পারি?

মুগ্ধ মেয়েটার দিকে তাকালো।বেশ মিষ্টি মেয়েটা।মুগ্ধ হেসে বললো,

মুগ্ধ:সিওর বসো।

মেয়েটা সিটে বসে মুগ্ধের দিকে হাত বারিয়ে দিয়ে বল্লো,

মেয়েটা:হাই আমি সাদিয়া হাসান।
মুগ্ধ:হাই আমি মুগ্ধ।
সাদিয়া:নিউ রাইট?
মুগ্ধ:হ্যা তুমিও?
সাদিয়া:হুম।আচ্ছা আমরা কি বন্ধু হতে পারি?
মুগ্ধ:উম হ্যা পারি।
সাদিয়া:ওকে তো আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ড।
মুগ্ধ:ওকে।
সাদিয়া:আজ আমাদের ক্লাসের নিউ প্রফেশর আসবেন ফিনিক্স সাব্জেক্টের।
মুগ্ধ:শুনেছি নতুন একজন আসবেন কিন্তু আমাদের ক্লাসে তা জানতাম না।
সাদিয়া:ওহ আচ্ছা।

এভাবে আরো কিছুক্ষন দুজোনে গল্প করতে থাকে।এর মাঝে প্রিন্সিপাল সাহেব আর সাথে একটা সুদর্শন যুবোক ক্লাসে আসলেন।সবাই তাদের দেখে দাঁড়িয়ে সালাম দিলো।

প্রিন্সিপাল:গুড মর্নিং স্টুডেন্টস।কেমন আছো তোমরা?
স্টুডেন্টস:গুড মর্নিং স্যার।আমরা ভালো আছি।আপনি?
প্রিন্সিপাল:আমিও ভালো আছি।আচ্ছা স্টুডেন্টস তোমরা জানো তোমাদের আগের ফিজিক্স টিচার রিসেন্ট বদলি হয়েছেন।তাই তোমাদের জন্য নিউ ফিজিক্স টিচার এসেছে।ইনি হলো তোমাদের নিউ টিচার মিস্টার সাদমান হাসান সাদাফ।উনি আজ থেকে তোমাদের নতুম ফিজিক্স এর প্রফেসর।সবাই ওনার সাথে সুন্দর করে ক্লাস করো।মিস্টার সাদাফ আমি এখন আসি আপনি ক্লাস কোন্টিনিউ করুন।

সাদাফ:জি।

প্রিন্সিপাল চলে যাওয়ার পর সাদাফ সবার সাথে পরিচয় হতে লাগলো।

সাদাফ:ডিয়ার স্টুডেন্টস।তোমরা তো শুনলেই আমি তোমাদের নিউ ফিজিক্স টিচার সাদমান হাসাম সাদাফ।আশা করি আমার সাথে তোমাদের ক্লাস করে ভালো লাগবে।আজকে প্রথম দিন তাই আমরা আগে পরিচিত হবো সবার সাথে।সবাই একে একে নিজের নাম বলবে ওকে।

সবাই একে একে নিজের নাম বলতে লাগ্লো।এখন মুগ্ধের পালা সাদাফ মুগ্ধকে নিজের নাম বলতে বল্লো,

সাদাফ:ওকে নেক্সট ইউ তোমার নাম কি?
মুগ্ধ:মেহরুবা ইসলাম মুগ্ধ।
সাদাফ:মুগ্ধ!!তোমার নামের অর্থ কি তুমি জানো?
মুগ্ধ:জি।
সাদাফ:বলতো কি?
মুগ্ধ:মেহরুবা নামের অর্থ হলো,প্রিয়তমা,স্ত্রী,জীবনসজ্ঞী,ভালোবাসা প্রেমিকা।আর মুগ্ধ নামের অর্থ,বশীভূত,অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করার মতো,মোহিত,বিহ্বল।আ
সাদাফ:আসলেই নামের অর্থের মতো দেখেও তেমনি।(মনে মনে)ওকে ধন্যবাদ বসে পরুন।
সাদাফ সবার পরিচয় নিয়ে ক্লাস করানো শুরু করলো।ক্লাসের ঘটনা পরলে ক্লাস শেষ করে চলে যায় সে।

মুগ্ধ:আচ্ছা একটা কথা বলি তোমাকে?
সাদিয়া:হুম বলো।
মুগ্ধ:না মানে উনি সাদমান হাসান তুমি সাদিয়া হাসান তোমরা কি,..।
সাদিয়া:হুম উনি আমার ভাইয়া।
মুগ্ধ:কি!তোমার ভাই উনি?
সাদিয়া:হুম।
মুগ্ধ:অহ আচ্ছা।
সাদিয়া:সাদমান হাসান সাদাফ।ভাইয়া একজন টিচার + একজন বিজনেসম্যান ও ভাইয়া শখের বসে এই টিচার হয়েছে।আর এই কলেজের প্রিন্সিপাল আমার বাবার ফ্রেন্ড উনি ভাইয়াকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন ফিজিক্স এর ক্লাস নিতে তাই ভাইয়া রাজি হয়েছে।এমনি ভাইয়া আগে কোথাও পড়ায়নি।তবে অনেকে ভাইয়ার কাছে এসে পড়তো।আমাদের বাসায় আমি আমার আম্মু আর ভাইয়া থাকি।
মুগ্ধ:অহ আচ্ছা।

এরপর মুগ্ধ বাকি ক্লাস করে বেরিয়ে আসে কলেজ থেকে।সাদিয়া সাদাফের সাথে চলে গেছে।যাওয়ায় সময় মুগ্ধ সাদাফের চোখাচোখি হয়েছিলো।সাদাফ নিজের মতো করে গাড়িতে গিয়ে বসে চলে যায়।আর মুগ্ধ সেদিকে পাত্তা না দিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসে।গাড়ি চলছে নিজ গতিতে।মুগ্ধ জানালার সাথে মাথা হেলান দিয়ে বসে বাহিরের রাস্তা দেখছে।তখন হঠ্যাৎ ওর চোখ যায় একটা দিকে।মুখ থেকে বেরিয়ে আসে,,,

“আরিশ”

৬.
আরিশ আর সায়মা রাস্তার ধারে দারিয়ে কিজানি কথা বলছে। সায়মা কথা বলতে বলতে আরিশের গায়ে পরছে।আরিশ একটু পর পর হাসছে।মুগ্ধের এসব দেখে চোখে পানি চলে এসেছে সে চোখ ফিরিয়ে নিলো।আর বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,

বেশ সুখেই আছো তুমি আরিশ।সুখে থাকো এটাই চাই।

“তুমি অন্য কারো সজ্ঞে বেধো ঘর”

?
বিকালে সাদাফ বসে ল্যাপ্টপে কাজ করছিলাও তখন ওর খেয়াল হয় মুগ্ধের কথা।

সাদাফ:অই চোখ দুটো আমার এতো পরিচিত কেন মনে হচ্চে?নানা অই চোখের মালিক এর এই চোখের মালিক কিভাবে এক হবে।এটাতো হতেই পারেনা।অই চোখের মালিক বেইমান একটা বেইমান।

সাদাফ ল্যাপ্টপ রেখে বেলকোনিতে গিয়ে দাঁড়ালো।খুব রাগ লাগছে তার যখনি তার কথা মনে পরে রাগ হয় সাদাফের।সাফার নিজে নিজে বলতে থাকে,

“খুব সুখে আছো তাইনা।স্বামী সংসার নিয়ে।এতোদিনে তো বোধয় বাচ্চার মাও হয়েগেছো।কিন্তু আমার সাথে কেন ছলনা করলে।ছলনা করে আমাকে ঠকিয়ে চলে গেলে।এতো লোভ তোমার।ঘৃণা করি তোমাকে ঘৃনা করি। আমার সাথে সব শেষ করে নতুন শুরু করেছো তুমি।কিন্তু আমি আজো ও #শেষ_থেকে_শুরু করতে পারিনি।”

এদিকে

মুগ্ধ বসে আছে তার রুমের সোফায়।দুপুরের ভাইয়ার অফিসের মেনেজার অই বাসা থেকে সব কিছু এনে রেখেগেছে।মুগ্ধ সেগুলো সব বের করছে।সব বের করতে করতে একটা ফোটো ফ্রেম হাতে আসে তার।তাদের ফ্যামিলি ফোটো।কত হ্যাপি ফ্যামিলি ছিলো তারা।সে ভাইয়া তাদের মা বাবা সব এক নিমিষে শেষ হয়ে গেলো।মুগ্ধ ফোট ফ্রেমে একটা চুমু দিয়ে পাসে রাখে।বাকি সব কিছু বের করে গুছিয়ে নেয়।সব গুছগাছ করে মুগ্ধ একটু বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরে।সারাদিনের ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে যায় একটু পর

সায়মা আরিশ একটা ক্যাফেতে বসে আছে।

সায়মা:আরিশ আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই?
আরিশ:হুম বলো।
সায়মা:আরিশ আমাদের এখন বিয়ে করে নেওয়া উচিত।এতোদিন অপেক্ষা করেছি তোমার ডিভোর্স এর জন্য।এখন তোমার ডিভোর্স হয়ে গেছে সো চলো বিয়ে করে ফেলি।
আরিশ:এটা পসিবল না সায়মা।আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা।
সায়মা:কেন সমস্যা কি?নাকি আমাকেও ঠকাতে চাও দেখো আমি তোমার এক্স ওয়াইফ মুগ্ধ না ওকে।আমার সাথে চালাকি করতে এসোনা।
আরিশ:তুমি কি পাগল হয়ে গেছে।মাত্র তিনদিন হলো আমার ডিভোর্স হয়েছে।এখন আমি বিয়ে করে ফেললে সবাই যাতা ভাব্বে।কিছুদিন যাক তারপর এটা নিয়ে ভাবা যাবে।

আরিশ আর কিছু না বলে ক্যাফ থেকে চলে আসলো আর এদিকে সায়মা রাগে ফুসছে।

সায়মা:বিয়েতো করতেই হবে তোমাকে আরিশ।
Just Wait And Watch.

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here