শ্যাম_বরণ_কন্যা,পর্ব-২২,২৩
নীল মাহমুদ
পর্ব-২২
রিয়া আর আমি রুমে বসে আছি,
মাইসা দরজা দিয়ে মাঝে মাঝে উঁকিঝুঁকি মারছে,
আমি – রিয়া তুই অভিনয় টা বেশি করে ফেলছিস,
রিয়া- আচ্ছা তোর বউ দেখতে মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর ঠিক তোর সেই সাদিয়ার মতো,
রিয়া- আচ্ছা তুই এখন বলতো কেন ডিভোর্স দিতে যাস,
নীল- দেখ রিয়া হয়েছিস তো ফর্সা কালো বা শ্যামলা মেয়েদের কস্ট বুঝবি কি করে,আমি সাদিয়া কে খুব কাছ থেকে দেখেছি ওর কস্ট গুলা উপলব্ধি করেছি,
রিয়া- তা এখন কি করবি,
নীল- আমি জানি মাইসা দেখতে শুনতে অনেক ভালো আমি ডিভোর্স দিয়ে দিলে যে কোন ছেলে মাইসা কে একবার দেখলে পাগল হয়ে যাবে বিয়ের জন্য,
রিয়া- কিন্ত মাইসার চরিত্রে যে কালো দাগ পড়ে যাবে সেটার কি হবে,
নীল- আমি এত কিছু জানি না,আমি মাইসা কে ডিভোর্স দিয়ে কালো মেয়ে বিয়ে করবো,
রিয়া- এতে করে তোরা ৪জন মানুষ কস্ট পাবি,মাইসা,তুই,সাদিয়া,আর যাকে বিয়ে করবি,
নীল- কেমনে কস্ট পাবো,
রিয়া- আল্লাহয় মাথা দিছে ভেবে দেখ, তুই যদি ফোনে এই সব বলতি আমি কোন দিন আসতাম না.
৩ঘন্টা পর,,,,,
নীল- রিয়া তুই নাকি চলে যাবি লিমা বলল,
রিয়া- হুম চলে যাবো কেনো?
আমি লিমার কাছ থেকে সব শুনেছি,
আর ফোনে যা বলছিস সব মিথ্যা,
রিয়া- দেখ নীল তুই এমন টা করিস না তোর বউ খুব ভালো একটা মেয়ে,
এমন মেয়ে লাখে একটা হয় কি সন্দেহ,
আমি তোর সংসার ভাঙতে পারবোনা,
নীল- যা তোকে লাগবে না,আসছে জ্ঞান দিতে,
রিয়া- সত্যিকারের বন্ধু কখনো খারাপ বুদ্ধি দেয়, যদি আমাকে বেষ্ট ফ্রেন্ড ভেবে থাকিস,
রিয়া এত গুলা জ্ঞান দিয়ে চলে গেলো।
কিছুই ভালো লাগছে না,
শুধু টেনশন হচ্ছে কি করবো,
নীল রাতে না খেয়ে শুয়ে পড়লো ফ্লোরে,
মাইসা এসে দেখে নীল ঘুমাচ্ছে, মাইসা নীলের দিকে তাকায় মুখ কালো হয়ে আছে,
ফর্সা মানুষ টা,
মাইসা মাথার কাছে গিয়ে নীলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,
আর মাইসার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে,
মাইসার ইচ্ছে ছিলো বিয়ের পর নিজের স্বামীর সাথে চুটিয়ে প্রেম করবে,
স্বামীর হাত ধরে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াবে,
স্বামীর বুকে মাথা রেখে প্রতিদিন ঘুমাবে
কিন্ত বুকে দূরের কথা তার খাটেই জায়গা হয় না,
মাইসা উঠে খাটে গিয়ে ঘুমায় কিন্ত
নীল ঘুমাইনি, হয়তো মাইসার ছোঁয়াতে ঘুম ভেঙে গেছে,
এদিকে মাইসা লাইট অফ করে ঘুমিয়ে
পড়ে মাইসার ঘুম আসছে না,
একবার এপাশ ওপাশ করে কিন্ত কিছুতেই ঘুম আসে না,
তখন মাইসা পুরোদিনের কথা ভাবতে লাগলো,
মাইসার বান্ধবীরা সবাই প্রেম করতো তারা তাদের bf এর সঙে কত ভঙ্গিতে কথা বলতো,বাবু, সোনা,তামা, কত কি বলতো,মাঝে মাঝে মাইসারো ইচ্ছে হতো কিন্ত মাইসা মন কে সান্ত্বনা দিতো বিয়ের পর প্রেম টা জামাইর সঙেই করবো
কিন্ত হল বিয়ের দিনি ডিভোর্স এর কথা শুনতে হল কি কপাল,
এই সব হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে রাত প্রায় ১২টা বেজে গেলো,
এদিকে বাহিরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যেই,,,
৫মিনিটের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো,
আর হাল্কা শীত শীত লাগছে,
হাল্কা শীত বলতে ভালোই শীত এর মধ্যে আবার ঝড় শুরু হয়ে গেলো,
নীল আবার ঝড় দেখে ভয় পায় এর মধো আবার বজ্রপাত হচ্ছে,
নীল এবার ভয়ে খাটে গিয়ে ধপাস করে
শুয়ে পড়লো,
মাইসা চমকে যায় কিন্ত বুঝতে পারে নীল কিছু না জিজ্ঞেস চুপ করে থাকে
মাইসা নীল কিছু বলে কিনা,
মাইসা উল্টো দিক হয়ে শুয়ে আছে
হঠাৎ নীল মাইসা কে জরিয়ে ধরে,
বাসায় থাকলে ঝড় বৃষ্টি হলে মায়ের আঁচল ধরে বসে থাকতো কিন্ত এখানে তো আর মা নেই তাই,
কিন্ত ঐ দিন জরিয়ে ধরা ছাড়া আর কিছুই হয় না,
সকাল হতেই মাইসা কেমন জানি নীলের সামনে আসতে লজ্জা লজ্জা পাচ্চগে নীলও বুঝতে পারে মাইসা জেগে ছিলো,
তো এভাবেই চলতে থাকে নীল শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজের বাসায়,
অফিসের ছুটি শেষ হয় বিয়ের জন্য এক মাস ছুটি পেয়ে ছিলো,
কিন্ত নীল আর মাইসার ভিতর রিলেশন টা আগের মতোই নীল খাটে আর মাইসা নিচে,
নীলের অফিসের কাজ অনেক বেড়ে গেছে, অফিসের কাজের জন্য চট্রগ্রাম যেতে হয় মাসে ৩-৪বার, বাসায় থাকার তেমন সময় পায় না,
বিয়ের ৬মাস পর,,,,
নীল তখন চট্টগ্রাম একটি হোটেলে ঘুমাচ্ছিলো সময় টা রাত ৯টা,
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়,
হাল্কা বাতাসে জানালার পর্দা গুলো উড়ছে, নীলের মনে হলো কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে জানালার গ্রিল ধরে,,
নীল চোখ ভালো কচলাতে কচলাতে আবার তাকায় দেখে সেই শ্যাম বরণ মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে,
নীল- সাদিয়া তুমি (নীলের চোখে পানি)
সাদিয়া নীলের দিকে ঘুরে কিন্ত সাদিয়ার চোখে পানি,
নীল- তোমার চোখে পানি কেনো,
সাদিয়া- তুমি আমাকে কস্ট দিচ্ছো তাই,
নীল- আমি তোমাকে কস্ট দিচ্ছি কি করে দিচ্ছি বলো,
সাদিয়া- এই যে তোমার বউ কে তুমি স্বামীর অধিকার দিচ্ছো না,
নীল- চুপ।
সাদিয়া- নীল বেঁচে থাকতে তো আমার কথা রাখো নাই প্লিজ আমার এই কথা টা রাখো তুমি মাইসা কে মেনে নাও,
মাইসা খুব ভালো মেয়ে আর ও দেখতে ফর্সা আমি কালো এটাই পার্থক্য,
তুমি ওকে কস্ট দিলে আমি কস্ট পাবো,ওকে ভালো রাখলে আমি ভালো থাকবো,
নীল কিছু বলতে যাবে হঠাৎ কলিং বেল টা চেঁচিয়ে উঠে,
দরজার দিকে তাকায় নীল,
নীল- দেখো সাদিয়া (সাদিয়ার দিকে তাকাতেই দেখে সাদিয়া নেই)
নীলের খুব রাগ কে এই অসময় কলিং বেল টিপলো,
দরজা খোলে দেখে নীলের বস,৷
বস- বিরক্ত করলাম কি?
নীল- নো স্যার,ভিতরে আসেন,
বস- না আসলে ঘুম আসছে না,আপনারা কাছে ঘুমের ট্যাবলেট হবে,,
নীল- সরি স্যার নেই,৷
বস- it’s ok,
বস চলে গেলো, নীল রুমে এসে ইচ্ছে মতো বস কে গালাগাল দিতে লাগলো,
একা একা,,
সকাল হতেই বিছানায় শুয়েই সিদ্ধান্ত নিলো মাইসা কে মেনে নিবে না হলে সাদিয়া কস্ট পাবে,
তাই উঠে ফ্রেশ হয়ে বের হলো শপিং করতে মাইসার জন্য,
শপিং করা শেষ হলে নীল ফোন দেয় শ্বশুর বাড়ি ফোন দিয়ে জানে মাইসার কি কি পছন্দ খেতে, কি খেতে বেশি পছন্দ করে, সেই অনুযায়ী কেনাকাটা করে,,,
নীল পরেরদিন দুপুরে বাসায় ব্যাক করে,
নীলের দু হাতে অনেক জিনিসপত্র।
দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই নীলের রুমে আসে,
নীল কিছু টা অবাক হয় সবাইকে নিজের রুমে দেখে,
আবার সবার মুখে মুচকি মুচকি হাসি,
নীল কিছু বুঝতে পারছে তাই নীল জিজ্ঞেস করলো,বাবা মা হটাৎ তোমরা আমার রুমে এই সময়,
বাবা- তোর রুমে আসা কি আমাদের
বারণ।
নীল- কিন্ত সবাইকে দেখে খুশি মনে হচ্ছে,
মা- মনে হবে না,আমরা অনেক খুশি
খবর টা শুনলে তো তুইও অনেক খুশি হবি,
নীল- কি হয়েছে বলো না,
মা- তুই বাবা হতে চলেছিস,
নীল গম্ভীর হাসি দিয়ে মা তোমরা মজা করছো,
বাবা-আরে পাগল ছেলে না,বিশ্বাস না হলে তোর ডাক্তার আংকেল ফোন দিয়ে
জিজ্ঞেস কর,
তখন নীলের মুখ থেকে হাসি বিলুপ্ত হয়ে গেলো,নিমিষেই মুখ টা কালো রুপ ধারণ করলো, পোস্টের নোটিফিকেশন পেতে রিকু দিন। মাইসার হাসি টাও বিলীন হয়ে গেলো,বড় কোন বিপদের সংকেত
পাচ্ছে মাইসা,
বাবা মা যাই বলল শুধু চাপা হাসি দিয়ে গেলো,
বাবা মা চলে যাওয়ার পর,,নীল মাইসা কে জিজ্ঞেস করে,,
নীল- এই বাচ্চা কার, ছি ছি মাইসক তুই
এত খারাপ,
মাইসা- আপনি এই সব কি বলছেন,আমার পেটে আপনানার বাচ্চা,
নীল- তোর আর আমার মধ্যে তো তেমন কোন সম্পর্ক হয়নি তো বাচ্চা আসে কোথা থেকে,,
চলবে
#শ্যাম_বরণ_কন্যা
#পর্ব-২৩
,
নীলের প্রশ্ন হল,আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি তো বাচ্চা আসলো কোথা থেকে,
কিন্ত মাইসা বলল,আপনি যা ভাবছেন তা সম্পন্ন ভুল,
আমাদের মধ্যে কয়েক বার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে,
নীল- আর আমি জানি না,
দেখ মাইসা আমি চেয়েছিলাম আগের সব কিছু ভুলে নতুন করে সব কিছু শুরু করতে চেয়েছিলাম,
কিন্ত মাঝখান থেকে তুই এমন করলি
আমার ভাবতেও কস্ট হচ্ছে,
তোর মতো মেয়ে, আরে আমি তো তোকে ডিভোর্স দিতেই চেয়েছিলাম তুই শুধু একবার বলতি,
সত্যি আমার ভাগ্যেটাই খারাপ,
মাইসা কিছু বলবে কিন্ত তার আগে নীল মাইসা কে থামিয়ে বলল চুপ আর একটা কথা বলবি না তোর কথা শুনতে চাই না,
বলে নীল বের হয়ে গেলো বাসা থেকে,
এই কথা বাবা মায়ের সাথে কেমনে শেয়ার করবে,
কিন্ত নীল যত দূর জানে মাইসা এমন মেয়ে না,
কিন্ত তারপরেও কি করে সম্ভব নীল মাথায় প্রেসার দিলো মনে করার ট্রাই করছে কখনো কিছু করেছে কিনা,
কিন্ত না নীল কিছু করে নাই
নীল আরিফ কে ফোন দিলো দেখা করতে বলল,
কোন বিপদে পড়লেই একমাত্র আরিফ ভাই,
কিন্ত আরিফ বলল বাসায় আসতে,
বাসায় গেলো নীল,,,
আরিফ-আরে নীল ভাই আজই আসলেন চট্টগ্রাম থেকে এর মধো কি হল এত ইমার্জেন্সি,
এর মধ্যে আরিফের বউ মানে ভাবি এসে বসলো,
ভাবি- নীল ভাই কেমন আছেন,
নীল- ভাবি বেশি ভালো নেই।
আরিফ- কেনো কি হয়েছে,
নীল- সব বলে দুজন কে খোলে,
সব কথা শুনে আরিফ আর ভাবি থো মেরে বসে ছিলো,
কি বলবে নীল কে বুঝতে পারছে না,
তারপরও আরিফ ভাই নীল কে কে বলে,তোমার মনে হয় কোথাও ভুল হচ্ছে,আর এটাও হতে পারে ডাক্তারের ভুল তুমি ভালো কোন হসপিটালে টেস্ট করাও মাইসা কে ভুল হতে পারে,
নীল- কিন্ত মাইশা তো বলছে ও শারিরীক সম্পর্ক করছে আমার সাথে,
কিন্ত আমি তো করি নাই,
আরিফ ভাই- আগে আপনি টেস্ট করার তারপর জানা যাবে,
নীল কিছু টা ভরসা পেলো হয়তো টেস্টে ভুল আছে তাই নীল পরের মাইসা কে নিয়ে হসপিটালে গেলো টেস্ট করাতে,
ডাক্তারি অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষা করার পর এবার রিপোর্ট বের হবে,।
মাইসা আর নীল বসে আছে রিপোর্টের জন্য,
নীল আল্লাহ আল্লাহ করছে যাতে আগের রিপোর্ট টা ভুল প্রমাণিত হয়,
খুব উত্তেজনা নিয়ে বসে আছে নীল এমন সময় নার্স এসে বলল,
মাইসা আক্তার মালিহা কে?
কিন্ত নীল দৌড়ে এগিয়ে গেলো,
নার্স ভয়ে চমকে গেলো,আর বলল আপনি মাইসা,আপনি তো ছেলে আপনি তো,,,,
নীল- আমি উনার স্বামী যা বলার আমাকে বলেন,,
নার্স- ও আচ্ছা তাই বলেন,এই যে রিপোর্ট আর আপনার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট নন,
নীল খুশিতে লাফিয়ে উঠলো কিন্ত নার্স বললেন আপনি একমাত্র স্বামী যে স্ত্রী প্রেগন্যান্ট না বলে খুশি,
নীল- ও আপনি বুঝবেন না,
কিন্ত মাইসার মুখ টা মলিন হয়ে আছে,
নীল মাইসা কে নিয়ে বাসায় গেলো।
কিন্ত এখন বাড়ি গিয়ে বাবা মা কে
কি জবাব দিবে,
মাইসা- আচ্ছা বাসায় বাবা মা কে কি বলবো,
নীল- কেনো।
মাইসা- এই যে রিপোর্ট ভুল।
নীল- হুম বলবো রিপোর্ট ভুল ছিলো,
মাইশা- তারা কস্ট পাবে না,।
নীল- হয়তো পাবে কিন্ত ঠিক হয়ে যাবে,
আপনারা সবাই সামনের কথা জানেন
কিন্ত পিছনে ঘটনা কেউ জানেন না,
তো আমি বলছি
মাইশা খুন করতে চলেছে নিজের পেটের বাচ্চাটা কে.যে পাপ করতে চলেছে তার কোন ক্ষমা নেই,
মাইশা আজ পর্যন্ত জেনে বুঝে কোন পাপ কাজ করেনি সংসার রক্ষার জন্য নিজের সন্তান কে বলি দিতে হচ্ছে,
,,,মাইসা কে টেস্ট করানোর জন্য নেওয়া হয় তখন মাইসা
ডক্টর কে বলে,
রিপোর্ট যেনো ভুল হয়,
ডক্টর কৌতুল হয়ে জিজ্ঞেস করে কেনো,
মাইসা তখন চোখের পানি ফেলে সব বলে, আর ডক্টর মাইসার চোখের পানি
দেখে মনটা নরম করে,
আর রিপোর্ট টা ভুল প্রমাণিত করে দেয়,
মাইশা বাড়ি আসে তার কিছু ভালো লাগে না,সে এত বড় পাপ করবে তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না,,
আর যদি এই ব্যাপার টা নীল কোন দিন
জানতে পারে তাহলে সেদিন কি হবে,
মাইসা পড়ে গেছে দুটানায়,
রাত ৯টা বাজে নীল আর মাইসা এই প্রথম এক সাথে এক খাটে ঘুমাবে,
বলতে গেলে আজ বাসর বলা চলে,
নীল মানুষিক ভাবে প্রস্তুত থাকলেও মাইশা মানুষিক ভাবে রেডি না,
তাই নীল কাছে যেতে চাইলে মাইসা না করে বলে,আমার পিরিয়ড চলছে(মিথ্যা)
ব্যাপার টা নীলের কাছে কেমন খঠকা লাগে কিন্ত নীল কিছু বলে না,
কিন্ত নীলের মনে আবার সন্দেহ ঢুকে
গেলো,
চলবে