শ্যাম_বরণ_কন্যা
পর্ব-০৩
সাদিয়া আর নীলের মধ্যে এমন একটা মুহুর্ত চলে আসে যে তারাভফিজিক্যাল রিলেশন করতে প্রস্তুত কিন্ত হঠাৎ নীলের টনক নড়ে এটা আমি কি করছি,নীল বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে
,নীল ভাবে এটা আমি কি করছিলাম সাদিয়াও বুঝতে পারে, তাও নিজেকে সামলে ফেলে,
সাদিয়া কাঁদছে আর নীল নিচের দিকে মাথা দিয়ে বসে আছে চুপ করে দুজনের ভুলের জন্য এই পাপ কাজটি হতে যাচ্ছিলো,
সাদিয়া এমন সময় বলল,,,
সাদিয়া- এখন আর আমার মরা ছাড়া কোন উপায় নেই,,,
সাদিয়া- আমি যে পাপ করেছি তার কোন ক্ষমা নেই,,,আমি একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম আর শাস্তিও পেলাম,
নীল কি করবে বুঝতে পারছেনা,,সাদিয়া কে কি বলে শান্তনা দিবে,
নীল- আরে কিছু তো হয়নি এত ভাবছেন কেনো,
সাদিয়া- আর একটু হলেই তো,
নীল- সব সময় নেগেটিভ চিন্তা ছাড়া আর কিছু মাথায় আসে না,,,
সাদিয়া- তুমি কি বুঝবে,তুমি তো আর মেয়ে না,মেয়েদের কি সমস্যা হবে তুমি বুঝবে কি করে,,,
নীল- এখন তো কোন সমস্যা হচ্ছে না যখন হবে তখন দেখা যাবে, প্লিজ এখন চুপ থাকুন, আর ঘুমান,বলে নীল শুয়ে পড়লো,
কিন্ত সাদিয়া সারা রাত একটুও ঘুমায়নি কান্না করেছে শুধু,
সকাল হতেই নীল ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছে,
কিন্ত এত সাদা ঝকঝকে ছেলে কাইল্লা ছেলে নীল কোথায়,
সাদিয়া নীল কে দেখে অবাক হয়ে যায়,
সাদিয়া – এই তুমি এমন সাদা হলে কেমনে,
নীল- আমি তো এমনি,
সাদিয়া- এই হোটেলে কি শাওয়ার নিলেই ফর্সা হওয়া যায়, তাহলে আমিও নিবো,
নীল- কাল যা বলছি মিথ্যা আমি দেখতে কালো না, ঐ টা মেকাপ ছিলো একটা মেয়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে ছিলাম,সে অনেক কথা তারাতাড়ি বের হন,
সকাল সকাল নীল সাদিয়া কে নিয়ে বের হল বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তার আগে সাদিয়া কে বুঝালো কোন উল্টা পাল্টা কাজ করা যাবে না,,,
আর এই কান্না বন্ধ করেন না হলে বাসায় ফেঁসে যাবেন,
নীল সাদিয়া কে সব শিখিয়ে দিলো,
রিকশা টা গিয়ে থামলো সাদিয়ার বাসার সামনে,
সাদিয়া- এটাই আমার বাসা আমি আসি তাহলে,,,,
নীল- আচ্ছা।ভালো থাকবেন,
সাদিয়া- ভালো থাকবো মানে আমাদের আর দেখা হবে না,,,
নীল- হবে তো,
সাদিয়া- তাহলে ভালো থাকবো মানে?
নীল- আচ্ছা আমার ভুল হয়েছে সরি,,,
সাদিয়া-চল না,আমার বাসায় যাবে,
নীল- তা কি করে হয়, আমার ক্লাস আছে,
সাদিয়া- তোমার নাম্বার দেও,
নীল- আমার নাম্বার দিয়ে কি করবেন।
– দিতে বলছি দিবা কোন কথা বলবা না।
।
সাদিয়া বাসার ভিতরে প্রবেশ করে,
সবাই বসে গল্প করছিলো কিন্ত একটি বার কেউ খোঁজ নেয়নি সাদিয়া কোথায় ছিলো,
সাদিয়া বাসায় যেতেই মা বলল,তুই এত সকালে কই গিয়ে ছিলি,
সাদিয়া তাদের কথা শুনলে বুঝলো তাদের যে আরেক টা মেয়ে আছে হয়তো তাদের মনেই ছিলো না,
সাদিয়া কিছু বলল না,
রিয়ার বর ও বসে ছিলো।
বিয়ে টা আমাদের বাসায় হয় আর রাতে এখানে ছিলো।
রিয়া রুমে যাচ্ছে এমন সময় মা বলল,ঐদিকে কোথায় যাচ্ছিস,।
– কেনো আমার রুমে যাচ্ছি।
মা বলল,, ঐটা তে রাফি আর রিয়া ছিলো তুই তোর দাদুর রুমে থাক কিছুদিন,
সাদিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আচ্ছা,
দাদু মারা গেছে আজ ৫ বছর দাদুর দুই রুমের ঘর মানে আলাদা ঘর মা ভালো করেই জানে আমি দাদুর রুমে দিনে জেতেই ভয় পাই আর মা সেখানে কিছু দিন থাকতে বলছে,
রুম টা অপরিষ্কার আমি রুম টা পরিষ্কার করে নিলাম।
মা আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব
দিয়ে গেলো,
আমি মা কে বললাম, উনাদের এই রুমে থাকতে দিতা,,,আমি তো ভ,,,,,,,,।
আমার কথা শেষ না হতেই মা বলল,
তুই জানিস না রিয়া ভয় পায়,
বলে চলে গেলো মা,
রিয়া স্বামী নিয়ে থাকবে সে ভয় পায়
আর আমি একা থাকবো সে কথা চিন্তাও করলো না।
আসলে আমি এখন সবার বোঝা হয়ে গেছি।
তাই তো সবাই অবহেলা করছে,
তারা এখন সরকারি চাকরি ওয়ালা মেয়ের জামাই পাইছে,
আমি যখন সবার বোঝা তখন ভূতের ভয় কিসের ,, আমি মরলে তো সবাই বেঁচে যায়,
তখন সাদিয়া খাটের উপর বসে একটু জোরে জোরে বলে দাদু তুমি আল্লাহ কে বলো আমাকে যেনো তারাতাড়ি নিয়ে যায়, আমিও তোমার সাথে থাকতে চাই, নাকি আমি কালো শ্যামলা বলে আল্লাহ আমাকে অবহেলা করে,,,,
কথা গুলো বলা হয়তো পাপ কিন্ত একটি কালো শ্যামলা মেয়ের মন আসলে তাই বলে, মনের দুঃখে.
৬দিন পর,,
সাদিয়া কলেজে যায়, মনে পড়ে নীলের কথা,
তাই নীলের ক্লাসে যায় নীল কে খোঁজতে,
ক্লাস রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে দেখলো দুটো পরীর মতো মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে,
সাদিয়া দরজায় দাঁড়িয়ে সব দাঁড়িয়ে দেখছে আর নীল কে খুব কিউট লাগছিলো নীল ধবধবে ফর্সা,
কালো শার্ট পড়ে আসছে খুব সুন্দর লাগছিলো কিন্ত স্বপ্ন দেখে লাভ নাই,
নিজের কথা তো ভুলেই গিয়ে ছিলাম,
সাদিয়া ভাবলো ওদের মধ্যে না যাওয়াই ভালো,
সাদিয়া চলে যাবে হঠাৎ নীল পিছন থেকে ডেকে উঠে আপু আপু,
সাদিয়া পিছন তাকিয়ে দেখে নীল ফুল হাতে হাঁটু গেড়ে বসে সাদিয়া কে বলল, আই লাভ ইউ।