শ্রাবন_আধারে_তুমি_২,পর্ব-০১,০২

0
1304

#শ্রাবন_আধারে_তুমি_২,পর্ব-০১,০২
#লেখিকা_আফরিন_ইসলাম
#পার্ট_১

“তোকে আমি সন্তান হিসেবে অস্বীকার করলাম ৷ আজ থেকে জানবো আমার দুই ছেলে আর এক মেয়ে ৷ আজ থেকে তুই আমার কাছে মৃত ৷ যেই মেয়ে নিজের বোনের পেটের বাচ্চাকে মারতে পারে ৷তাকে আমি আমার ঘরে আর ঠাঁই দেব না ৷”

রাই নিজের বাবার পা দুটো জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদঁতে কাদঁতে বলল ,

“বিশ্বাস করো বাবা আমি এমন কাজ করি নি ৷ আমি আপুর এতবড় সর্বনাশ করি নি ৷ তুমি তো আমাকে সবার থেকে বেশি ভালোবাসো বাবা ৷তুমি সবার মতো ভুল বুঝো না আমাকে ৷আমায় এভাবে সবাই ভুল বুঝো না বাবা ৷তুমিও যদি আমাকে দূরে সরিয়ে দাও তাহলে আমি কার কাছে যাবো ৷

“তনিমা রাইকে বলে দাও সে এখন আমাদের কাছে মৃত ৷ তাকে আমি সন্তান হিসেবে আর মানি না৷ আর যেই হাত দিয়ে সে আমার বড় মেয়ের বাচ্চা শেষ করেছে ৷সেই হাত দিয়ে যদি আমাকে আর এক মুহুর্তের জন্য স্পর্শ করে ৷তাহলে সে আমার মরা মুখ দেখবে ৷ তাকে বের হয়ে যেতে বলো আমার বাড়ী থেকে ৷”

রাই বাবার পা ছেড়ে দিল ৷ তারপর দৌড়ে বড় বোনের কাছে গিয়ে তার পা জরিয়ে ধরে বলল,

“আপু তুই আজ চুপ করে থাকিস না ৷ দয়া করে সবাইকে সবটা বলে দে ৷ আর কেউ না জানলেও তুই তো সবটা জানিস ৷ আল্লাহ সয্য করবে না এত বড় মিথ্যা ৷”

রাই বোনের পা জরিয়ে চিৎকার করে কথা গুলো বলতে ছিল ৷হঠাৎ করেই কেউ একজন রাইকে হেচঁকা টানে উপরে তোলে ৷তারপর তার গালে সজোরে এক চড় বসিয়ে বলে ,

“এই তোর লজ্জা করছে না ৷ নিজের বড় বোনের এত বড় সর্বনাশ করেও তোর শান্তি হয় নি ৷হ্যা রে আমরা কি তোকে কম ভালোবাসতাম ৷ যখন যা চেয়েছিস তাই এনে দিয়েছি ৷কিন্তু আজ বিনিময়ে আমাদের পিঠেই ছুড়ি দিয়ে আঘাত করলি ৷বেড়িয়ে যা এই বাড়ী থেকে ৷আর কখনো তোর এই মুখ আমরা দেখতে চাই না ৷আজ থেকে সবার কাছে তুই মরে গিয়েছিস ৷ আজ থেকে আমরা তিন ভাইবোন ৷আমরা মনে করবো তুই মরে গিয়েছিস ৷”

এতক্ষন কথা গুলো রাইয়ের বড় ভাই রায়হান মাহমুদ বলেছে ৷ রাই দৌড়ে নিজের মায়ের কাছে গেল ৷ কিন্তু নিজের মাকে কিছু বলার আগেই তিনি বললেন ,

“শুনতে পাও নি তোমার বাবা আর বড় ভাই কি বলেছে ? আজ থেকে তুমি সবার কাছে মৃত ৷ উপরে ফুলিকে পাঠিয়েছি ৷সে তোমার সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে আসছে ৷ তারপর নিজের সব কিছু নিয়ে বেড়িয়ে যাও এই বাড়ী থেকে ৷ আর কখনো তোমার এই মুখ যেন দেখতে না হয় ৷কথা গুলো বলেই রাইয়ের মা সেখান থেকে চলে গেল আচঁলে মুখ গুজে ৷ আর রাই ফ্লোরে বসে পড়লো ৷ তারপর ফ্লোরে বসে শব্দ করে কাদঁতে লাগলো ৷রাই কাদঁতে কাদঁতে বলল ,

আমি কিছু করি নি ৷ কেউ কেন আমার কথা বিশ্বাস করছো না ৷ আমি আর নিতে পারছি না ৷এর মধ্যে রাইদের বাসার কাজের মেয়েটা ফুলি ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে আসে ৷ তারপর রাইয়ের বড় ভাই রায়হান বলে ,

এবার চলে যা এখান থেকে ৷তোর ভাগ্য ভালো আমরা তোকে বের করে দিয়েছি ৷তোর জায়গায় অন্য কেউ হলে তাকে পুলিশে দিতাম এতক্ষনে ৷ এখন বেড়িয়ে যা ৷ চলে যা চোখের সামনে থেকে ৷

রাই কাদঁতে কাদঁতে চিৎকার করে বলল ,

“আমি কোথাও যাবো না ৷আমি এখানেই থাকবো ৷ তোমরা আমাকে যা ইচ্ছে শাস্তি দাও ৷কিন্তু আমাকে দয়া করে বের করে দিও না ৷ একটু দয়া করো আমার উপর ৷রাই নিজের মেজো ভাই ফয়সাল মাহমুদের কাছে দৌড়ে যেয়ে বলল ,

ভাইয়া তুই আজ চুপ করে থাকিস না ৷ আমাকে বিনা অপরাধে বের করে দিস না ৷তুই তো আমাকে অনেক ভালোবাসিস ৷ তুই একটু সবাইকে বোঝা ৷

রাইয়ের মেজো ভাই রাইকে এক পলক দেখে বলল ,

আজ তুই যা করেছিস তার কোনো ক্ষমা হয় না ৷চলে যা তুই ৷

তখনই রাইয়ের বড় ভাই রাইকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো ৷ আর রাই চিৎকার করে কাদঁতে লাগলো ৷ রাই কাদঁতে কাদঁতে আবার বলল,

আপু দয়া করে সত্যিটা স্বীকার করে নাও ৷ আমাকে বিনা দোষে এত বড় শাস্তি দিও না ৷আল্লাহ সয্য করবে না এতবড় পাপ ৷ নিজের বোনের সাথে এত বড় অন্যায় করো না ৷ আমি কোথাও যাব না ৷আমাকে বের করে দিও না ৷ আমি কিছু জানি না বাবা ৷ আমি সত্যি কিছু জানি না ৷

রাইয়ের বড় ভাই রাইকে বাইরে বের করে দিল ৷তারপর একটা ব্যাংকের চেক বের করে রাইয়ের দিকে ছুড়ে দিয়ে বলল ,

“এখানে সাইন করা আছে ৷ভাই হিসেবে দয়া করে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিলাম ৷টাকা টা তুলে নিস ৷ ব্যাগে তোর প্রয়োজনীয় সব কিছু আছে ৷তাই এই দিকে আর কখনো আসবি না ৷যোগাযোগ করার আর চেষ্টা করবি না আমাদের সাথে ৷মনে করবি আমরা সবাই মরে গিয়েছি ৷”

রাই কিছু বলবে তার আগেই ওর ভাই গেট লাগিয়ে দিল ৷রাই ফ্লোর থেকে উঠে গেট ধাক্কা দিতে লাগলো ৷কিন্তু কেউ এসে গেট খুলে দিলো না ৷

রাই তার বাবা আজাদ মাহমুদকে ডাকতে লাগলো ৷ বড় ভাই রায়হান আর মেজো ভাইকে ডাকতে লাগলো ৷কিন্তু কেউ সাড়া দিল না ৷ অতঃপর রাই নিজের ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে গেল বাসা থেকে ৷শহরে বড় হলে খুব একটা রাস্তাঘাট তার চেনা নেই ৷বড় দুই ভাই আর বাবা মায়ের বড্ড আদরের ছিল সে ৷কেউ কখনো একটা ফুলেও টোকা তার শরীরে লাগতে দেয় নি ৷ কিন্তু তারাই আজ তাকে বিশ্বাস করলো না ৷একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস রাইয়ের বুক ভেদ করে বেড়িয়ে এলো ৷

চলবে…..

#শ্রাবন_আধারে_তুমি_২
#লেখিকা_আফরিন_ইসলাম
#পার্ট_২

রাস্তার পাশের ফুটপাতে বসে আছে রাই ৷কোথায় যাবে তা জানে না ৷শুধু এটাই জানে যে তার পরিবার তাকে ত্যাগ করছে ৷সকাল থেকে না খেয়ে থাকায় শরীরটা ক্লান্ত লাগছে তার ৷ হাতের মুঠোয় ভাইয়ের ছুড়ে দেওয়া চেকটা ৷ প্রচন্ড গরমে ঘামে শরীর ভিজে গেছে ৷এক ঘন্টা আগেই বাড়ী থেকে রাই বের হয়ে চলে এসেছে ৷ দরজার সামনে বসে প্রায় দুই ঘন্টা কান্না করার পরেও কেউ দরজা খোলে নি ৷ তাই এক সময় হতাশ হয়ে চলে এসেছে ৷ রাই নিজের ওরনা দিয়ে কপালের ঘাম মুছে নিল ৷ আশেপাশের মানুষ গুলো কেমন করে যেন রাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে ৷ রাই উঠে দাড়ালো আর হাটতে লাগলো ৷ কিন্তু কোথায় যাবে সে ৷ হঠাৎ করেই তার মনে পড়লো প্রিয় বান্ধুবী সায়মার কথা ৷রাই একটু সাহায্যের জন্য বান্ধুবীর বাড়ির দিকে হাটতে লাগলো ৷কিন্তু অনেক দূরের পথ হেটে যেতে হবে ৷ একটা টাকাও রাইয়ের কাছে নেই ৷ যা খরচ করতে পারবে সে ৷ ভাইয়ের দেওয়া টাকাটা সে গ্রহন করবে না ৷ তাতে তার সাথে যাই হয়ে যাক না কেন ৷ রাই খুব জোড়ে নিজের পা চালিয়ে হাটতে লাগলো ৷

প্রায় একঘন্টা হাটার পর রাই প্রিয় বান্ধুবীর বাসায় পৌছে গেল ৷ কিন্তু পায়ের অবস্থা খারাপ ৷জীবনে এই প্রথম এতটা পথ হাটলো সে ৷ পরিবার ছাড়া একটা মানুষ যে কতটা অসহায় সেটা সেই জানে ৷যার পরিবার নেই ৷ রাই কলিংবেল চাপ দিতেই একজন এসে দরজা খুললো ৷

দরজা খুলে নিজের প্রান প্রিয় বান্ধুবীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে এক প্রকার চমকেই গেল সায়মা ৷ রাই মলিন একটা হাসি দিল সায়মাকে দেখে ৷ সায়মা নিজের বান্ধুবীকে জরিয়ে ধরে বলল,

“রাই তোর এই কি হাল হয়েছে ? তোর চোখ মুখের এই অবস্থা কেন ?”

“আমাকে এক গ্লাস পানি দিবি সায়মা ! আমার অনেক পনির পিপাসা পেয়েছে রে ৷”

রাইয়ের সংকোচহীন আবেদন ৷চোখে টলমলে অশ্রু নিয়ে তার ছোট এই আবেদন ৷ যা হয়তো কোটি টাকায় মিটানো যাবে না ৷

সায়মা নিজের বান্ধুবীকে ভেতরে নিয়ে গেল ৷ তারপর এক প্রকার দৌড়ে পানি নিয়ে আসলো ৷রাই পানি পান করে একটা তৃপ্তির নিঃশ্বাস নিয়ে বলল ,

“তোর এই উপকার কোনো দিন ভুলবো না রে ৷ এখন পানি না পেলে হয়তো মরেই যেতাম ৷”

সায়মার চোখ হঠাৎ করেই রাইয়ের পায়ের উপর পড়লো ৷সায়মা ব্যস্ত কন্ঠে বলল,

“রাই তোর পায়ের এই কি হাল হয়েছে রে ৷ তোর পা এভাবে ফুলে গেছে কেন ?”

রাই আবারো মলিন হেসে বলল,

“আরে এটা কিছু না ৷বাদ দে এসব ৷ একটা সাহায্য চাইতে এসেছি তোর কাছে ৷ আমার আজ তোর একটু সাহায্য অনেক দরকার রে ৷”

“তুই আমার কাছে সাহায্য চাইছিস ! বলনা তোর কি উপকার করবো ৷জীবনে তো আমার জন্য কম করলি না ৷তোর জন্যই তো অনিকের মতো স্বামী পেয়েছি ৷ তোর উপকার কি ভুলে যাওয়ার মতো ৷ তোর একটু উপকার করতে পারলে আমার নিজেকে অনেক হালকা মনে হবে ৷”

“আমাকে কয়েক দিন এখানে থাকতে দিবি সায়মা ৷ আমি কথা দিচ্ছি কয়েক দিন পরেই চলে যাব এখান থেকে ৷খরচ নিয়ে চিন্তা করিস না ৷ আমি কাজ করে যা খরচ হয় দিয়ে দেব ৷”

রাই সায়মার হাত দুটো ধরে অনুরোধের কন্ঠে একটু আশ্রয় চাইলো ৷ চোখ থেকে ঝড়ে পড়লো এক ফোটা কষ্টের অশ্রু ৷

সায়মা নিজের হাত ছাড়িয়ে বলল ,

“কি সব পাগলের মতো বলছিস ৷ নিজের বাসা থাকতে এখানে কেন থাকবি তুই ? কি হয়েছে তোর ?কাকু কিছু বলেছে তোকে ?নাকি রাগ করে চলে এসেছিস ? তুই বসে থাক ৷আমি কাকুকে কল করছি ৷”

সায়মা নিজের ফোন থেকে কল করবে ৷ঠিক সেই সময় রাই বলল,

“বাবাকে কল করিস না ৷বাবা এখন আর আমাকে সন্তান হিসেবে মানে না ৷ আমাকে সে ত্যাগ করেছে ৷ বাসা থেকে বের করে দিয়েছে আমাকে ৷”

সায়মা যেন রাইয়ের কথায় চমকে গেল ৷কারন রাইয়ের বাবা ছেলে মেয়েদের মধ্যে রাইকে সব থেকে বেশি ভালোবাসেন ৷রাই যেন তার কলিজার টুকরো ৷ যে কেউ রাইয়ের প্রতি তার বাবার ভালোবাসা নিয়ে হিংসে করবে ৷আর সেই বাবাকে তার মেয়েকে ত্যাগ করেছে ৷এটাও কি সম্ভব ৷সায়মার হাত থেকে ফোনটা পরে গেল ৷

সায়মা দেখলো রাই মাথা নিচু করে কাপঁছে ৷ বান্ধুবীর মাথায় হাত রাখতেই রাই সায়মাকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদঁতে লাগলো ৷ অতঃপর রাই আবারো বলল ,

“আমি কিছু করি নি বিশ্বাস কর তুই ৷ ওরা আমাকে মিথ্যা অপবাদে বের করে দিয়েছে ৷ আমি বড় আপুর বাচ্চা নষ্ট করি নি ৷”

সায়মা রাইকে শান্তনা দিয়ে বলল,

“এই একদম কাদঁবি না পাগলী মেয়ে ৷এখন চল ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিবি ৷আর এখানে কিছু দিন না ৷যত দিন ইচ্ছে থাকবি ৷তোর দুলাভাই অনেক খুশি হবে দেখিস ৷ এখন চল তাড়াতাড়ি ৷তোর সব কথা পরে শুনবো আমি ৷”

সায়মা নিজের বান্ধুবীর চোখের পানি মুছে দিল ৷তারপর নিজের সাথে নিয়ে গেল ৷

বড় মেয়ে জেরিনের শ্বশুড় বাড়ীতে বসে আছে রাইয়ের বাবা আর ভাইয়েরা ৷তাদের পাশেই বসে আছে জরিনের শ্বশুড় বাড়ীর লোকেরা ৷রাইয়ের বাবা মাথা নিচু করেই বললেন,

“আমরা কেউ বুঝতে পারি নি রাই এমন একটা কাজ করবে ৷নিজের বোনের সাথে কেউ এমন করতে পারে তা আমার জানা ছিল না বেয়াই সাহেব ৷আমাদের ক্ষমা করবেন ৷ যদি জানতাম তাহলে জেরিনকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে যেতাম না ৷ ”

জেরিনের শ্বশুড় আফজাল খান শান্ত গলায় বলল ,

রাইকে অনেক ভালো মেয়ে মনে করে ছিলাম ৷ কিন্তু সে এমনটা করবে তা আমরাও ভাবতে পারছি না ৷আমার বড় ছেলের ঘরের দ্বিতীয় সন্তানকে জন্মের আগেই সে শেষ করে দিল ৷জানি না রাই কেন এমন কাজ করলো ৷কিন্তু সে অনেক বড় অপরাধ করেছে ৷আমরা তাকে পুলিশে দেব ৷ তাকে তার অন্যায়ের শাস্তি পেতেই হবে ৷”

“আমি ওকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি ৷ওকে সন্তান হিসেবে ত্যাগ করেছি ৷আর কোনো সম্পর্ক নেই ওর সাথে আমাদের ৷রাইয়ের বাবা কথা গুলো আফজাল খানের দিকে তাকিয়ে বললেন ৷”

আফজাল খান উত্তেজিত কন্ঠে বললেন ,

“আপনি রাইকে বের করে দিলেই তো সমস্যার সমাধান হবে না ৷সে আমার ছেলে আর বউমার যা ক্ষতি করেছে তা কখনো কি ক্ষমার যোগ্য ৷ আমার বড় ছেলে এই কষ্ট কিভাবে নেবে বুঝতে পারছেন ৷ ছেলেটা একমাস হলো বিদেশ গেছে ব্যবসার কাজে ৷আমার ছেলে এগুলো নিতে পারবে না ৷ রাইকে নিজের মেজো ছেলে আবরার জন্য নিয়ে আসতে চেয়ে ছিলাম ৷আবরার যদি এগুলো জানতে পারে ৷তাহলে তার কি হবে একবার ভেবে দেখুন ৷পাগল হয়ে যাবে সে ৷ আবরার রাইকে যতই পছন্দ করুক ৷রাইয়ের এই অন্যায় সে কিছুতেই মানবে না ৷ আমার তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলের কষ্ট বাবা হয়ে কিভাবে দেখবো আমি ৷আমি আর ভাবতে পারছি না ৷ছেলেদের এই ঘটনা কিভাবে জানাবো আমি ৷ আবরার কাল আমাদের দেখে যথেষ্ট সন্দেহ করেছে ৷তাকে কিভাবে বলবো রাইয়ের এই কাজের কথা ৷

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here