সত্যি ভালোবাসো,বোনাস পার্ট
writer Fatema Khan
আরিশ তাহিয়ার কপালে নিজের ঠোঁটের ছোয়া দিয়ে কোলে তুলে নেয়।তাহিয়াকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তার ঠোঁটের দিকে এগিয়ে গেলো।তাহিয়া তার চোখজোড়া বন্ধ করে ফেললো।তখনই আরিশের মোবাইলে কল আসলো।আরিশ বিরক্ত হয়ে বললো সব আমার শত্রু।তাহিয়া হেসে দিলো আর বললো রিসিভ করতে।আরিশ পকেট থেকে মোবাইল বের করে নাম্বার দেখে তার চেহারার রঙ পালটে গেলো।
তাহিয়াঃকি হলো,কে কল করেছে?
আরিশঃতুমি বসো,আমি কথা বলে আসছি
তাহিয়াঃবাইরে তো বৃষ্টি
আরিশঃআমি আসছি(আরিশ বাইরে বের হয়ে যায়।)
তাহিয়াঃকার এমন কল এলো যে চলে গেলো? সত্যি আমাদের ভালোবাসায় সব শত্রু(বলেই হেসে দিলো)
আরিশ ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বললো-
আরিশঃচলো আমাদের এখন বাসায় যেতে হবে।
তাহিয়াঃকেনো?
আরিশঃতোমাকে বাসায় দিয়ে আমার একটু কাজে বের হতে হবে।
তাহিয়াঃকি কাজ?
আরিশঃএতো কথা জেনে কি করবা চলো তো।
__________________________________
তাহসিনঃআপনার বাড়ি এসে গেছে।(গাড়িতে ব্রেক কষে)
জারাঃ হুম।ভিতরে আসুন
তাহসিনঃনা আজ না,দেরি হয়ে গেছে এমনিতেই।
জারাঃআচ্ছা।
(জারা ও তাহসিন গাড়ি থেকে নেমে।জারা ভিতরে ঢুকতে যাবে তাহসিন তাকে ডাক দেয়।)
তাহসিনঃতারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিবেন না হয় জ্বর আসতে পারে রাতে।
জারাঃঠিক আছে,আর আপনিও তারাতাড়ি যান না হলে আপনারও জ্বর আসবে।
(তাহসিন জারাকে বিদায় দিয়ে চলে গেলো)
________________________________
(আরিশ কোথায় যাবে আর কে কল করলো,আমাকেই বা কিছু বলতে চায় না কেনো কিছুই মাথায় আসছে না।আর কল আসার পর থেকেই কেমন অস্থির হয়ে গেছে সেখানে যাবার জন্য।)
আরিশঃকি ভাবছো?গাড়ি থেকে নামো আমরা এসে গেছি।
তাহিয়াঃতুমি ভিতরে আসবে না?
আরিশঃনা আমার কাজ আছে। (বলেই তাহিয়াকে নামিয়ে চলে গেলো)
তাহিয়াঃমা,বাবা কেউ যানে না আমাকে আরিশ বাসায় দিয়ে গেছে,তাহলে আমি আরিশের পিছনে যাবো আজ আমাকে যে জানতেই হবে আরিশ কি এমন লুকানোর চেষ্টা করছে আমার থেকে।
(একটা সি.এন.জি. তে উঠে যায় তাহিয়া,তারপর আরিশের গাড়ির পিছনে।অনেক দূরেই আরিশের গাড়ি তবু্ও রাস্তা ফাকা হওয়ায় আরিশের গাড়ি তাহিয়া ঠিক চিনতে পারছে।তাহিয়া যেদিকে বলছে সি.এন.জি. চালকও সেদিকেই নিচ্ছে।)
__________________________________
তাহসিন ফ্রেশ হয়ে মাত্র রুমে আসলো।আয়নার সামনে চুল ঠিক করছে আর জারার করা বাচ্চামোর কথা ভাবছিলো আর আনমনে হাসছিলো-
তাহসিনঃপাগলী একটা।কিন্তু মনটা অনেক ভালো।আমি চেষ্টা করবো ওর মুখে সবসময় হাসি ফুটিয়ে রাখার।
(এদিকে জারাও তাহসিনের কথা ভেবে লজ্জায় লাল হয়ে আছে।)
জারাঃছিঃ কি করে পারলাম তাকে জড়িয়ে ধরতে,আর কিসব বলছিলাম।কি ভাববে আমাকে নিয়ে কে জানে।আবার দেখা হলে তো আমাকে নিয়ে অনেক মজা করবে।না না আমি আর তাহসিনের সামনেই যাবো না।
__________________________________
তাহিয়া একটা বড় বিল্ডিং এর সামনে আরিশের গাড়ি দাড় করানো দেখলো।সে টাকা দিয়ে সি.এন.জি. বিদায় করলো।
তাহিয়াঃআরিশের এখানে কি এমন কাজ,আর বিল্ডিং এর কাজও অসম্পূর্ণ।
তখনি গুলির আওয়াজ কানে আসে।তাহিয়া গুলির আওয়াজ শুনে একমুহূর্তও ব্যয় না করে উপরে ছুটে গেলো।
তাহিয়াঃআমার আরিশ ঠিক আছে তো, কে গুলি চালালো,আর আরিশের এখানে কেনো আসা লাগলো।
তাহিয়া গিয়ে দেখে দুইজন লোক সেখানে আছে।একজন নিচে বসে আছে একহাত দিয়ে অন্য হাত চেপে ধরে, আরেকজন একটা পিস্তল হাতে দাঁড়িয়ে আছে।তাহিয়া আরেকটু এগিয়ে গিয়ে যা দেখলো সে পুরাই অবাক।সে বলে উঠলো-
তাহিয়াঃতূর্য ভাইয়া তুমি এখানে!(বলেই বসে পড়লো।তার চোখের সামনে যা দেখছে তা যেনো সে বিশ্বাস করতে পারছে না)
তূর্য একহাত দিয়ে যেখানে রক্ত পড়ছে সেখানে চেপে ধরে আছে আর আরিশ তার সামনে পিস্তল নিয়ে দাড়িয়ে আছে
চলবে ,,,