সত্যি ভালোবাসো,part_10
writer Fatema Khan
তপ্ত দুপুরে বেঘোরে ঘুমিয়ে আছি আমি।হয়তো শরীর দূর্বল তাই এখনো ঘুম থেকে উঠা হয়নি।আমার মাথায় কেউ হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।তবুও চোখ খুলতে ইচ্ছে করছে না।তার অধরজোড়া আমার কপালে ছোয়ালো।সাথে সাথে আমি চোখ খুলে তার দিকে তাকাই।সে অতি নরম কন্ঠে বললো উঠো ফ্রেশ হয়ে খাবে আসো।আমার খিদে পেয়েছে।আমি কোনো উত্তর দিচ্ছি না তার দিকে তাকিয়ে আছি।ভালোবাসলে যে মানুষ বেহায়া হয়ে যায় তা শুধু বইয়ের পাতায় পড়েছি আজ আমার সাথেও তা হচ্ছে।সে ভ্রু নাচিয়ে বললো-
আরিশঃকি হলো এভাবে তাকিয়ে কি দেখছো?
তাহিয়াঃতোমাকে।
আরিশঃআমি তো তোমারই এভাবে দেখার কি আছে?
তাহিয়াঃজানিনা,কিন্তু তোমাকে শুধু দেখতে ইচ্ছে করে।মনে হয় এটাই হয়তো আমি তোমায় শেষ দেখছি।আমার মনে হয় হারিয়ে ফেলবো তোমায়।
আরিশঃপাগলী একটা যাও এখন তারাতাড়ি করো ঘুরতে যাবে না।আর মাথার কি অবস্থা?
তাহিয়াঃআমি এখনি যাচ্ছি।আর মাথার অবস্থা এখন তো অনেকটাই বেটার।
আরিশঃআচ্ছা যাও এখন আমি ওয়েট করছি।
“আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।আরিশ ওয়েট করছে আমার জন্য।প্রায় ৩০মিনিট পর আমি বেরিয়ে আসলাম।তারপর দুইজনে খেয়ে নিলাম।”
_____________________________
“আরিশের দেয়া লাল রঙের শাড়ি পরবো আমি।ব্লাউজ আর পেটিকোট আর উপরে টাওয়েল পরে শাড়ি হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছি।”
তাহিয়াঃআচ্ছা তুমি জানো আমি শাড়ি পরতে পারি না তবে শাড়ি পরতে বললে কেন?এখন কে আমাকে শাড়ি পরিয়ে দিবে?
আরিশঃকেনো আমি পরিয়ে দিবো। আর সুন্দর করে শাড়ি পরিয়ে দিবো দেখে নিও।আচ্ছা এখন টাওয়েলটা সরাও।
তাহিয়াঃতুমি কি পাগল হয়ে গেলে আজ,আমি তোমার সামনে শুধু ব্লাউজ পরে থাকবো।ছিঃ ইম্পসিবল।
“আরিশ নিজেই তাহিয়ার গায়ের থেকে টাওয়েল সরিয়ে নিলো।তাহিয়া তো লজ্জায় মাথা তুলে তাকাতে পারছে না।আর আরিশ যেনো ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে আছে।আমার হাত থেকে শাড়ি নিয়ে পরানো শুরু করলো।শাড়ি পরানোর সময় তার হাত আমার শরীরে লাগছিলো আর তার ছোয়াতে আমি বারবার কেপে উঠছিলাম।কুচি করার সময় আরিশ নিজের হাতে আমার কুচি গুজে দেয় আমি শরীরে যেনো ছোটখাটো একটা ঘূর্নিঝড় বয়ে গেলো।”
“চোখে কাজল আর ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে নিলাম ব্যাস আমার সাজ কমপ্লিট।”
তাহিয়াঃকেমন লাগছে আমাকে আরিশ?
আরিশঃলাল বাদর লাগছে একদম।এখন চলো।
তাহিয়াঃআমি লাল বাদর,তুমি একাই যাও আমি যাবো না।আমি গেলে সবাই তোমাকে দেখে হাসবে।(ঠোঁট ফুলিয়ে কাদো কাদো ভাব নিয়ে বললাম)
আরিশঃচোখ ফেরানো যাচ্ছে না তোমার থেকে।আমার পবিত্র অন্যায়গুলো করতে ইচ্ছে করছে।
“আমি লজ্জায় লাল নীল হয়ে গেলাম”
তাহিয়াঃহয়েছে হয়েছে এবার চল।
আরিশঃ হুম চলো।
“তারপর আমরা হোটেল থেকে বেরিয়ে গেলাম।সমুদ্রের পানিতে পা ভিজিয়ে হাত ধরে হাটতে লাগলাম।অন্যরকম অনুভুতি কাজ করছে। মনে হচ্ছে সময়টা থেমে গেলে মন্দ হতো না।দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।সূর্যাস্ত দেখে আমরা বাইরে থেকে খেয়ে একেবারে হোটেলে আসলাম।”
__________________________❤️
আমি ওয়াশরুমে যাবো চেঞ্জ করতে কিন্তু তার আগেই আরিশ আমার হাত ধরে নিলো।আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলি–
তাহিয়াঃকি হয়েছে?আমি চেঞ্জ করবো তো।
“আরিশ আমার হাত ধরে টান দিতেই আমি তার বুকে গিয়ে পরি, আরিশ আমার কপালে ঠোঁট ছোয়ালে আমি লজ্জায় তার বুকে মাথা লুকাই।আরিশ আমার মাথাটা উঠিয়ে আমার কপালের সাথে তার কপাল ঠেকিয়ে বলে আজ তোমাকে চাই,খুব আপন করে পেতে চাই,জানিনা কি হলো আজ আমার কিন্তু আজ তোমাকে না পেলে যে মরে যাবো সত্যি।”
তাহিয়াঃকি ধরনের কথা আমাকে ছেড়ে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না তোমার।
“আরিশ আমার ঠোঁটের দিকে এগিয়ে আসছে। আমি কাপছি,আমার কম্পমান ঠোঁট জোড়া তাকে আরও টানছে।আমি সরে আসতে চাইলে সে আমার কোমর জড়িয়ে কাছে নিয়ে এলো।তার ঠান্ডা হাত আমার উন্মুক্ত কোমরে লাগাতে আরেকদফা কেপে উঠলাম আমি।সে আমার ঠোঁট জোড়া দখল করে নিলো।অনেকক্ষণ পর সে আমার ঠোঁট ছেড়ে দিলো।আমি হাপাতে লাগলাম।তারপর সে গলায় মুখ ডুবালো।ধীরে ধীরে তার ভালোবাসা বাড়তে থাকলো।সে আমাকে কোলে তুলে খাটে নিয়ে গেলো।আমার উপর তার শরীরের ভার ছেড়ে দিলো।রাত যত বাড়লো ভালোবাসাময় অত্যাচার বাড়তে থাকল।”
চলবে,,,