সম্পূর্ণা-১
লেখনীতে : তামান্না আক্তার তানু
“আর কতদিন এভাবে অবিবাহিতার তকমাটা কপালে লাগিয়ে রাখবেন মিস নোভা? বয়স তো আর কম হলো না। এবার অন্তত আমাদের মতো উদার মনের কলিগদের কথা ভেবে বিয়েসাদীর খবর শোনান। একটু ভালোমন্দ খাওয়া-দাওয়া হোক। সানাই বাজুক। বরযাত্রী আসুক। এভাবে তো নিজেকে চিরকুমারী বানিয়ে রাখবেন দেখছি।”
তাচ্ছিল্যের সুরে নোভার ডেস্কের সামনে এসে কথাখানি তুললেন অফিসের সবার প্রিয় কৌতুকপ্রিয় মানুষ জিসান আহ্সান। অবশ্য তিনি যে শুধু হাসাহাসি নিয়ে মেতে থাকেন সেটা নয়। কথাচ্ছলে এমন সব বাস্তব আর ব্যাঙ্গাত্মক কথাবার্তাও বলবেন যার ফলে ওপাশের মানুষটা কেমন বোধ করলো, না করলো তাতে অবশ্য তিনি কিছু মনে করেন না। হেসে হেসে অনেক সময় কিছু তিক্ত কথাও বলে ফেলেন তিনি। এখনও সেটাই করলেন। নোভা সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না দিলেও কেন যেন প্রচণ্ড রাগ হলো তার। আজকাল মানুষ তাকে নিয়ে ভীষণ আজেবাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে, যেটা শুনতে তার ইচ্ছে না হলেও কানের পর্দা ভেদ করে সেই তিক্ত কথাটা মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। তখন কেবল হাসির মাধ্যমে সেটাকে উড়িয়ে দিতে পারে না সে। হাতের মুটোয় কলমটা চেপে ফাইলের উপর রেখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে জিসানের দিকে তাকিয়ে বলল,
“তো সেই দায়িত্বটা আপনিই নিন না। বিয়ে করে উদ্ধার করুন আমায়। আমি তো বানের জলে ভেসে যাচ্ছি, কোনো খড়কুটোর নীড়ও খুঁজে পাচ্ছি না। আপনাদের মতো মহান আর দয়াবান মানুষরা যদি আমার দিকে একটু নজর না দেন তবে কীভাবে আমার বিয়ে হবে বলুন তো?”
কথাটা জিসানের গায়ে লাগলো খুব। ভ্রু কুঁচকে নোভাকে পর্যবেক্ষণ করলেন তিনি। দিনে দিনে সে তাহলে আরো মুটিয়ে যাচ্ছে। কত খায় মেয়েটা? দু’দিনেই তো রাস্তার ফকির বানিয়ে ছাড়বে। টাইয়ের বাঁধন টেনেটুনে বললেন,
“আমি তো বিবাহিত মিস! আপনার মতো হইনি তো, সেজন্য মেয়েরা আবার আমাকে দেখে ভীষণ হিংসে করে। দেখি, আমার মতো কোনো দয়াবান পাত্র খুঁজে পাই কি-না। আচ্ছা আপনার ওজন কত?”
দাঁতে দাঁত চাপলো নোভা। এ পর্যন্ত এই কথা বহুবার শুনেছে সে। খারাপ লাগে ভীষণ। এখন অবশ্য সয়ে গেছে সেটা। নিজের আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী লোকজন যেখানে রোজ কথা শোনায় বাইরের লোকজন আর ভালো কথা কীভাবে শোনাবে? এসব কথা হজম করতেও রুচিতে বাঁধে তার। কিন্তু কিছু করার নেই। কেউ আসবে না, তার দিকে এই দৃষ্টিকোণ পালটে ভালোবেসে তাকাবে। এসব আর আশাও করে না সে। এখন তো শুধু বাঁচার জন্যই বেঁচে থাকা। কারো ঘরণী হয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে সে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
“একশ বিশ কেজি। পাত্রও যেন আমার মতো মোটা হয়। আপনাদের মতো হ্যান্ডসাম হলে তো আবার অহংকারের শেষ থাকবে না। যান এবার দয়া করে। কাজে লেগে পড়ুন।”
দু’হাত জোর করে মিনতির সুরে বলল নোভা। আসলে তার ওজনটা এতটাও বেশি না। পঁচানব্বই কেজি। ভদ্রলোকের এমন কথাতেই বিরক্ত হয়েই এক প্রকার রেগেমেগে এভাবে বলতে বাধ্য হলো সে। জিসান সাহেবও আর কথা বাড়ালেন না। ঠোঁট মুড়িয়ে কী যেন ভেবে নিজের ডেস্কের দিকে চলে গেলেন।
নোভার ডেস্কের টেলিফোনটা বেজে উঠলো। বড়ো স্যার ফোন করেছেন নিশ্চয়ই। কানে তুলে ওপাশের আওয়াজ শুনে বলল,
“হ্যাঁ স্যার, আমি লাঞ্চটাইমে দেখা হবে আপনার পছন্দের অর্ডারসহ!”
*****
স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছে নোভা। মেইন রোডের পাশের ধানক্ষেতে চার-পাঁচটা আট-দশ বছরের বাচ্চা ফুটবল খেলছিল। কিক লেগে বলটা ধানক্ষেতে লাগোয়া ছোটো খালে পড়ে গেছে। দু’জন সেটাকে তুলে আনার চেষ্টা করছে। এই দৃশ্য দেখে সোজা সেখানে থেমে গেল সে। স্কুটি থেকে নেমে কয়েকপা এগিয়ে গেল বাচ্চাদের দিকে। পানি বেশি না, তবে কোমর অবধি ভিজে যাবে। বাচ্চারা হয়তো সাহস পাচ্ছে না দেখেই একটা গাছের ডাল দিয়ে বলটা আনার চেষ্টা করছে। ওদের এই কাজ দেখে এগিয়ে গিয়ে বলল,
“সাঁতার জানো না তো এখানে খেলতে এসেছো কেন? পড়ে গেলে কী হবে!”
ছোট্ট একটা বাচ্চা মুখ ভেঙালো! বলল,
“জানি। ওখানে কচ্ছ’প আছে। যদি কা’মড় দেয়!”
নোভা হাসলো। জুতো খুলে দু’পা এগিয়ে খালে নেমে গেল। বিশাল এই খাদে পানির চেয়ে কাদা বেশি। সেটা নামার পরেই টের পেল সে। বলটা তুলে বাচ্চাদের হাতে ধরিয়ে কোনোমতে পাড় অবধি উঠে এলো। ততক্ষণে পুরো জামাকাপড় এমনকি হাত-পা তার কাদায় মাখামাখি! নিজেকে এখন তার মাটির তৈরি মুর্তি মনে হচ্ছে। মুখটা শুধু রেহাই পেয়েছে কাদামাটির হাত থেকে। হাত-পায়ের কাদা সবুজ ঘাসের উপর মুছে জুতো পায়ে দিয়ে ভেজা শরীরেই স্কুটিতে উঠলো আবার। পিছনে তাকিয়ে দেখলো একগাদা বাচ্চাদের শৈশবের মিষ্টি হাসি। চমৎকার দৃশ্য! একদম মন ভালো করে দেয়ার মতো দৃশ্য। এই হাসিগুলোই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এদের মধ্যে লুকিয়ে আছে হাজারো প্রতিভা। এখান থেকে অনেকেই একদিন স্বপ্ন পূরণের পথে এগোবে। দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। কী সুন্দর একটা দিন অপেক্ষা করে আছে সবার জন্য!
বাড়ির ভেতর ঢুকে স্কুটিটা দাঁড় করিয়ে কলপাড়ে ভালোমতো হাত-মুখ, আর পা পানি দ্বারা ধৌত করে নিল। ভেতরে ঢুকার আগেই প্রথমে ড্রয়িংরুমটা ক্রস করতে হয়। কাদামাটি অল্পস্বল্প তখনো তার গায়ে মাখামাখি! ভেতরে এক’পা ফেলতেই চোখ দুটো চড়কগাছ তার। অফিসের বসকে দেখে রীতিমতো হাত-পা কাঁপছে। ভয়ংকর সারপ্রাইজড সে। সেইসাথে আতঙ্কিতও। অথচ বসের আগেই সে অফিস থেকে বেরিয়েছিল। নিজের এই অবস্থার দিকে দৃষ্টি দিল একবার। ভয়ে ভয়ে সালাম ঠুকলো। রেদোয়ান হাসান তাকে দেখেই সালামের জবাব দিয়ে মার্জিত কণ্ঠস্বর তুলে বললেন,
“তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। এ-কী অবস্থা! কোথাও দুর্ঘ’টনা ঘটলো নাকি?”
“না স্যার! বাচ্চাদের ফুটবলটা খালে পড়ে গিয়েছিল। ওটা তুলতে গিয়েই কাদার সাথে একদফা যু’দ্ধ হয়ে গেছে।”
“যাও ফ্রেশ হয়ে আসো। তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে!”
“জি? কীসের সারপ্রাইজ?”
“এভাবেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনবে? নাকি এই বুড়ো বাপটার পাশে দু’মিনিট শান্তিতে বসে মনের কথা বলবে?”
নোভা রীতিমতো বিস্মিত! বসের সাথে শান্তিমতো কথাবার্তা মানেই রান্না বিষয়ক বকবক করা। নতুন খাবারের রেসিপি ছেঁকে দেখতে তিনি নিশ্চয়ই বাসা অবধি আসবেন না! তবে কী নিয়ে আলোচনা করতে এসেছেন? অন্তরাত্মা কেবল অজানা ভয়ের আভাস দিচ্ছে!
রুমে ঢুকে ফ্রেশ হওয়া মাত্রই নায়লা এসে ঝটপট হাতে তাকে শাড়ি পরিয়ে দিতে শুরু করলো। নোভা ভরকে গেল এমন আরচণে। শাড়ি ফেলে রুমের ভেতরে পায়চারি করতে করতে দু’গ্লাস পানি খেয়ে ধপাস করে বিছানায় বসে পড়লো। দু’তিনটে পকোরা গিলে বলল,
“এইসব শাড়ি-গহনা সরিয়ে কাহিনী কী সেটা বলো! আমার নতুন রেসিপি য়্যু’টিউবে দেয়া লাগবে।”
“আজ রান্নাটা না করলে হয় না? তুই তো তোর স্যারকে জানিস। কী করি বলতো! আমিও অসুস্থ মানুষ, ঠিকভাবে আপ্যায়নটাও যদি না করাতে পারি তোর ভাই এসে বকবে।”
“আগে বলো তো, কী হয়েছে? স্যার হঠাৎ বাসায় কেন? আমাকেও তো অফিসে কিছু বলেননি!”
“তোর রান্নাকে তিনি ভালোবেসে ফেলেছেন। এসেছেন নিজের পুত্রবধূ করতে। পাত্র নাকি ব্যস্ত। তাই সে আসতে পারেনি। তবে আগামীকাল তোর সাথে রেস্টুরেন্টে দেখা করবে। এবার আর অমত করিস না সোনা। তুই তো নিজের চোখে সব দেখছিস!”
“স্যারের ছেলে! পুত্রবধূ! তাও আমি! আমার মাথায় তো কিছু ঢুকছে না ভাবী।”
“আমার লক্ষ্মী বোন। তুই আমাকে কথা দে, যেকোনোভাবে এই বিয়েতে রাজি হবি। পাত্র যেমনই হোক, আর পিছাবি না। দেখ, মুনের কথাও তো ভাবতে হবে আমাদের। পড়াশোনাটা ওরও শেষের দিকে এগোচ্ছে।”
“খুব বোঝা হয়ে গেছি, তাই না ভাবী? কী করবো বলো! পাত্র কালো, খুঁ’ড়া, কুঁঃজো এমনকি অ’ন্ধ হলেও আমার তো আপত্তি নেই। আপত্তি তো তাদের হয়, আমার স্বাস্থ্য নিয়ে। আমি কি ইচ্ছে করে মোটা হয়েছি? কীভাবে পাত্রের সামনে দাঁড়াই বলো তো! এত অপমান আর নিতে পারছি না। বিশ্বাস করো ভাবী, আমিও চাই অন্তত একজন ভিক্ষুকও এসে আমাকে উদ্ধার করুক। পরের ঘাড় ম’টকে কতদিন আর দাঁড়িয়ে থাকবো আমি! সহ্য হয় না এসব।”
নায়লা দু’হাতে নোভার চোখের পানি মুছে শাড়িটা যত্ন করে পরিয়ে দিল। বাড়তি কোনো সাজগোছ করলো না। রেদোয়ান হাসানের সামনে মোটামুটি অভ্যস্ত সে। তিনি নিজেও তাকে ভালোমতো চিনেন। মূল সমস্যা পাত্র। তার মুখোমুখি কীভাবে হবে সেই নিয়েই দু’টানায় অস্থির হয়ে পড়ছে নোভা।
*****
হ্যালো ভিওয়ারস! আসসালামু আলাইকুম। নিত্যনতুন রান্নার স্বাদ নিয়ে আপনাদের সাথে আছি আমি, মুমতাহিনা’স কিচেনের রানী, আপনাদের সবার আদরের মুম। কেমন আছেন আপনারা? নিশ্চয়ই ভালো? আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ! গতদিন যে রান্নাটা দেখেছিলেন আপনারা সেটা কি ট্রাই করেছেন একবার? অবশ্যই ট্রাই করবেন আর আমার পেইজে ছোটো একটা ম্যাসেজ পাঠিয়ে তার গুণাগুণ কিংবা ত্রুটিগুলো আলোচনা করবেন। তো চলুন চলে যাই আমাদের আজকের বিশেষ রান্নায়। আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি শীতকালের টাটকা শাকসবজি নিয়ে সুস্বাদু এক রেসিপি! চলুন দেখে নিই, কী কী উপকরণ থাকছে আমাদের আজকের রেসিপির জন্য। উপকরণগুলো স্ক্রিনে লিখে দিয়েছি। অনুগ্রহপূর্বক আপনারা সেটা নোট করে নিন। তার আগে যারা আমার চ্যানেলে নতুন জয়েন করেছেন দ্রুত সাবস্ক্রাইব করে শেয়ার করুন আমার চ্যানেলটি। এবার যাওয়া যাক আমাদের আজকের মূল রান্নায়।
ভিডিওটা শেয়ার করা মাত্রই অসংখ্য লাইক, কমেন্টে ভরপুর হতে শুরু করলো চ্যানেলটি। মোবাইলটা ফেলে রেখে বিছানায় বসে ল্যাপটপ নিয়ে অফিসের কাজে মনোযোগী হয়ে পড়লো সে। রাতের খাবারের পর ড্রয়িংরুমে পারিবারিক বৈঠকে যোগ দিল নোভা। মামা-মামী, ভাই-ভাবী, এমনকি মুনতাহা, মোটামুটি সকলেই উপস্থিত! অসময়ে এমন আলোচনা দেখে ঘাবড়ে গেল সে। তবুও হাসিমুখে সবার সামনে গিয়ে খালি সোফায় বসলো।
সাদাফ নিজেই প্রথমে মুখ খুললো। নোভা তখনো নিশ্চুপ। পুরো কথা না শুনে আপাতত কোনো মন্তব্য সে করছে না। সবার সাথে মোটামুটি একটা আলোচনা হলো। মুনতাহা রীতিমতো খুশিতে দিশেহারা। এক্ষুনি পারলে নাচতে শুরু করবে সে। তবুও সবার সামনে নিজের চঞ্চলতাকে চেপে রেখে নোভার হাতটা শক্ত করে ধরলো। খানিকটা ভরকে গেল নোভা। ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল,
“এত এ্যাক্সাইটেড হোস না। পরবর্তী কাহিনী আমার মুখস্থ! এ পর্যন্ত রিজেক্টের সংখ্যা চল্লিশের উপরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংখ্যা পঞ্চাশ, একশো অবধিও পৌঁছাতে পারে।”
“উঁহু! যারা রিজেক্ট করে তারা নিশ্চয়ই চোখে ভুল দেখে। কারণ তারা শুধু তোমার বাইরের দিক দেখে, ভেতরটা দেখে না। তোমার এত গুণাগুণ যদি কোনো পাত্র জানে, তবে…!”
“হুসস্! চুপ থাক। মামা বকবে।”
এবার সকলের দৃষ্টি নোভার দিকে। খালিদ সাহেব ভাগনীর দিকে তাকিয়ে বললেন,
“তোমার অফিসের বস আজকে কেন এসেছিলেন এটা নিশ্চয়ই শুনেছো?”
“জি…জি মামা।”
“দেখো তুমি আমার একমাত্র বোনের ফেলে যাওয়া আমানত। আমরা যা আয়-রোজগার করি তাতে তো সংসারের টানাটানিটা তোমার চোখেই পড়ছে।”
“সেজন্য তো আমি আমার সেলারির টাকা দিচ্ছি মামা। বাড়তি আয়টাও করছি যাতে তোমাদের কষ্টটা হালকা করতে পারি।”
“কষ্ট বড়ো কথা নয়রে মা, আমরা চিন্তিত তোমার আর মুনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। লোকের মুখ বন্ধ করার কোনো উপায় আমাদের জানা নেই তাই হয়তো একটু মেজাজ দেখিয়ে ফেলি। কিন্তু তুমি তো বুঝো তোমার কী করা উচিত?”
“আমায় কী করতে হবে?”
“আগামীকাল রেস্টুরেন্টে পাত্রের সাথে দেখা করবে। কোনো বাজে ব্যবহার করবে না আশাকরি। শেষে আবার এই প্রস্তাবটাও ঘুরে যাবে।”
“জি মামা।”
“যাও এবার, নিজের কাজে মনোযোগ দাও।”
মামার এই রুক্ষমূর্তি চেহারার ভাবভঙ্গি নোভা বুঝে। পঁচিশ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে তার। তবুও বিয়ের কোনো নামগন্ধ নেই। এজন্য পাড়ায় বের হলেই মুরব্বি মানুষটাকে অসংখ্য কথা শুনতে হয়। খাওয়ার খোটা শুনে, ওজন নিয়ে কতশত বাজে মন্তব্য আসে, তবুও সেসব হজম করে নেয়। কী করবে সে? যেচে কেউ জীবনে না আসলে জোর করে কার জীবনে প্রবেশ করবে! জোর করে হয়তো ভোগ করা যায় কিন্তু সুখ পাওয়া যায় না। অনেক ভেবে অজু করে রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদ নামাজে খোদার দরবারে হাত তুললো নোভা। এবার অন্তত কপালে সুখ আসুক, নয়তো তার জন্য মুনের ভবিষ্যতটাও যে আটকে থাকবে!
*****
চলবে…
[এটা নোভা! নায়ক হিসেবে কে থাকছে, আইডিয়া আছে? একদম ঠিক ভাবছেন। ওইপাশের মানুষটা আদনানই। ভালো না? শুরুটা মনে ধরেছে তো?]