সিক্রেট_গ্যাংস্টার♥পর্ব_১১
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
সব গুলো ক্লাস শেষ করে ঋতুর সাথে বের হলাম।
বাইরে এসে দাঁড়িয়ে আমানের জন্য অপেক্ষা করছি।
সাথে কিরন ভাইয়া ও আছে।
–কি গো আপু নতুন সংসার কেমন চলে?
–আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া ভালো।
আপনি কেমন আছেন?
–খুব ভালো,
ভাইয়ার কথা শেষ হতে না হতে আমান হাজির।
–মেঘ এসো।
–দোস্ত বাই।
–ওকে বাই।
আমি আমানের সাথে বাসায় চলে এলাম।
বাসায় এসে গোসল করে দুপুরের খাওয়াটা সেরে নিয়ে বসলাম।
বাবা নেই অফিসে খাবেন তাই আমি আর আমান খেয়ে নিলাম
।
আমি খাওয়া শেষ করে মাকে ফোন করলাম।
মায়ের সাথে কথা বলে বেশ ভালো লাগলো।
–মেঘ এখন ঘুমাও রাতে পড়তে হবে।
–হ্যা একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছে।
কিন্তু মাথাটা টা ব্যাথা করছে।
আমান আমার কথা শুনে আমার দিকে এগিয়ে এলো,
এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।
–ঘুমাও।
আমি মৃদু হেসে চোখ বন্ধ করে নিলাম।
কিছু সময়ের মধ্যে ঘুমিয়েও গেলাম।
আমান তার মেঘকে দেখছে খুব কাছ থেকে দেখছে।
এ দেখার কোব শেষ নাই।
মহাকাশ যেমন অসিম সীমানার অধিকারী।
তেমনি মেঘকে দেখাটাও আমানের কাছে অসিম সিমানার অধিকারী।
খুব ভালো লাগে চোখের সামনে নিজের ভালোবাসাকে এতো কাছ থেকে দেখতে।
ভেতরে এক রাস ভয় নিয়ে মেঘের ঘুমন্ত মায়া ভরা রুপে তলিয়ে আছে আমান।
,
,
,
বিকালে,
♩ ♪ ♬
♬ ♩ ♪
বিষাদের দুপুর
গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে,
চাঁদ নামেনি এখনোও
প্রাণহীন সন্ধ্যাতারা ফুটেছে।
ইচ্ছে ও স্বপ্ন
মিশে গেছে আঁধারে,
তোমার চলে যাওয়া
বদলে দিয়েছে আমাকে।
অহেতুক তুমি ছুটেছো
মিঠি স্বস্তি খুঁজেছো,
তোমার আমার ব্যবধান
এখনো সর্বোচ্চ।
আয়নায় চেয়ে দেখো
চোখ কী বলে,
ঠোঁটে হাসি নেই তোমার
আমি আজ নেই বলে।
বিষাদের দুপুর
গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে,
চাঁদ নামেনি এখনোও
প্রাণহীন সন্ধ্যাতারা ফুটেছে।
ইচ্ছে ও স্বপ্ন
মিশে গেছে আঁধারে,
তোমার চলে যাওয়া
বদলে দিয়েছে আমাকে
বদলে দিয়েছে পুরোটা আমাকে,
তোমার চলে যাওয়া
বদলে দিয়েছে আমাকে।
চাইলে তুমি পারতে
একটু আস্হা রাখতে
আমি ঠিকই, সব গুছিয়ে নিতাম।
তুমি বিশ্বাস রাখোনি
চলে গেছো সুখের মোহে,
আমার কান্না পায়ে মাড়িয়ে।
হারিয়ে, হারিয়ে
গেছো ঐ সুদূরে,
হারিয়ে, হারিয়ে
গেছো কোন সুদূরে।
অহেতুক তুমি ছুটেছো
মিঠি স্বস্তি খুঁজেছো,
তোমার আমার ব্যবধান
এখনো সর্বোচ্চ।
আয়নায় চেয়ে দেখো
চোখ কী বলে,
ঠোঁটে হাসি নেই তোমার
আমি আজ নেই বলে।
বিষাদের দুপুর
ড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে,
চাঁদ নামেনি এখনোও
প্রাণহীন সন্ধ্যাতারা ফুটেছে।
ইচ্ছে ও স্বপ্ন
মিশে গেছে আঁধারে,
তোমার চলে যাওয়া
বদলে দিয়েছে আমাকে, আমাকে।
♬ ♩ ♪
♬ ♩ ♪
গানটা খুব যত্ন কষ্ট আর আবেগের সাথে সম্পূর্ণ করলো আমান।
আমানের কন্ঠে এমন গান শুনে মেঘের চোখে পানি টলমল করছে।
কিসের জন্য সে এমন গান গাইছে।
আমান ও কাঁদছে গিটার টা হাতে রেখেই।
সামনে তার আর মেঘের বিয়ের বিশাল এক ছবি।
আমানের মনে যেন মেঘকে হারাবার ভিশন ভয় কিন্তু মেঘ কেন ওর থেকে দুরে যাবে এটা ভেবে পাচ্ছে না মেঘ।
কিছু সময় আগে,
ঘুম থেকে কারোর গিটারের শব্দে উঠে আশে পাশে খোঁজ করছিলাম কই থেকে আসছে আওয়াজ।
কিছু সময় পর গানটা শুরু হলো আমনের কন্ঠে।
উঠে সেই কন্ঠো অনুসরণ করে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম আমাদের রুমের সামনে একটা রুমে সে বসে আছি।
আমি সে রুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে রইলাম৷ ভেতরে না গিয়ে পুরো গানটা বাইরে থেকে শুনলাম।
আমান গান শেষ করে পাশে দিকে তাকিয়ে আমাকে লক্ষ্য করতে চোখের পানি গুলো লুকিয়ে ফেলে।
কিন্তু ওগুলো যে আমার চোখ এড়ায় নি।
–কি ব্যাপার ঘুম ভালো হয়েছে।
মৃদু হেসে আমার দিকে এগিয়ে এসে।
–হুম আপনি এতো সুন্দর গান করেন আগে জানতাম না।
–আরে মাঝে মাঝে একটু একটু করি।
তুমি এসো।
আমাকে সরিয়ে ঘরটা তালা বন্ধ করে দলেন আমান।
–এখানে তালা দিলেন কেন।
–এমনি তুমি বুঝবে না এসো।
আমাকে এড়িয়ে গেলেন উনি।
আমাকে নিয়ে ঘরে এলেন,
–খাবার খাবে কিছু?
–না।
–আমি সুন্দর চা বানাতে পারি এটা ট্রায় করাই যায়।
–ওই বেলকনিতে দোলনায় আপনার পাশে বসে ঠিক আছে?
আমান আমার কথা শুনে হেসে দিলেন,
–হুম এক দম ঠিক আছে। তুমি যাও আসছি আমি।
উনি কথাটা বলে এগিয়ে গেলেন আমি বেলকনিতে তার দোলনায় বসে বসে তার সেই গানের কথা ভাবছি।
সত্যি কি মায়া কি পরম আদরে গাওয়া ছিল সেই গানটা।
কিন্তু কেন এতো কষ্ট নিয়ে গানটা গেয়েছেন তিনি।
আমার ভাবনার অবসান ঘটিয়ে কিছু সময় পর আমান হাতে চা নিয়ে হাজির।
সন্ধ্যার লাল আভা কাটিয়ে রাত নামতে চলল
আকাশটা এই বিল্ডিং এর উপর থেকে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।
কারন আাশে পাশে কোন তেমন বড়ো বিল্ডিং নাই।
আমি আমনের কাঁধে মাথা রাখলাম,
–একটা কথা বলবো?
–হুম ১০০০ টা বলো।
–এতো মায়া এতো কষ্ট কিসের জন্য?
–মায়া তোমার জন্য কষ্ট তোমাকে হারাবার ভয়।
–কেন আমাকে হারাবার ভয় কেন?
–জানি না কেন জানি না ভয় করে।
–কিছু কি হয়েছে আমান?
আমান বুঝতে পারে মেঘের কিছু সন্দেহ হচ্ছে এবং সে ভালো ফিল করছে না।
তাই সে চা টা রেখে মেঘকে জড়িয়ে ধরে,
–না রে সোনা বৌ টা আমার কিছু হয় নি।
–সত্যি তো।
–এক দম ৩ সত্যি।।
মেঘ হেসে আমানের বুকে মুখ লুকায়।
এভাবে তারা সময় কাটায় অনেকটা।
তার পর আমন মেঘকে পড়তে বসায়।
পড়া শেষে মেঘ আমান আর আরিফ খান মিলে গল্প করে ডিনার করে।
তার পর যে যার রুমে ঘুমাতে যায়।
,
রাত প্রায় ২ টা,
সেই অচেনা মুখোশ পরা লোকটা তার ল্যাবে কিছু নিয়ে কাজ করছে।
আশে পাশে কড়া গার্ড।
এক জন লোক তাদের মধ্যে দিয়ে বলে উঠলো,
–স্যার কাজটা কি ঠিক হচ্ছে।
–কেন?
–না মানে সব কিছু ভেবে এই পদক্ষেপ টা নিলে ভালো হতো।
–১০ বছরের পরিকল্পনা আজ থেকে তার কাজ শুরু করতে চলেছে আর তুমি এমন অবস্থায় এসে বলছো ঠিক হচ্ছে কি না?
–না মানে তখন এক রকম ছিল আর এখন এক রকম।
চাইলে কিন্তু সুন্দর সুস্থ একটা জীবন পেতে পারি আমরা সব থেকে বেশি আপনি।
–আমারা সুন্দর জীবনের ই অধিকারী হবো তুমি চিন্তা করো না। এটা তা যা কখনো আমাদের উপর প্রভাব ফেলবেই না।
–স্যার আমাদর উপর প্রভাব পড়বে না সেটা জানি কিন্তু,
–কিন্তু কি?
–কিন্তু এটা তো বেআইনী কাজ।
–তুমি কি বলতে চাইছো এতো দুর এসে থেমে যাবো?
–স্যার আপনি যা ভালো বুঝেন সব সময় আমরা আপনার পাশে আছি।
–গুড।
মুখোশ পরিধানকারী লোকটা আবার তার কাজ শুরু করে।
,
,
,
সকালে,
সকাল সকাল উঠে আমানকে ওয়াসরুম থেকে বের হতে দেখে প্রশ্ন করলম,
–এতো সকলে গোসল?
–তুমি উঠে গেছো।
–হুম।
–ওই খুব গরম পরেছিল তো তাই চলো নামাজ আদায় করি।
–আপনার চোখ দুটো লাল কেন?
রাতে ঘুমান নি।
–তুমি পাশে আছো আমি না ঘুমিয়ে পারি।
ওটা এমনি লাল।
–ওকে।
আমি উঠে ওজু করে ওনার সাথে নামাজ আদায় করে নিলাম।
সত্যি লোকটা আমার মনের মতো এক জন।
চলবে,
(বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন আমি এখনো ভালো করে সুস্থ না তাই হয়তো ভুল থাকতে পারে)