সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
পর্ব_১৮(রহস্য সমাধানের দিকে)
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
দিন পেরিয়ে বিকাল হলো।
রুমের মাঝে বসে বসে মিষ্টি কে নিয়ে খুটিনাটি টুকটাক করছি।
এর মাঝে হটাৎ আমান এলো,
–মেঘ বাইরে যাচ্ছি ২ ঘন্টার মধ্যে ফিরে আসবো তুমি থাকো বাবা ও নেই অফিসে গেছে কাজে আমি জলদি ফিরে আসবো।
কথটা বলে আমার কপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলেন।
আমি ওনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম
তার পর মিষ্টির দিকে তাকালাম,
–আমার সাথে আজ তুই যাবি মিষ্টি আজ আমরা হয় তো কোন বড়ো সত্যির মুখোমুখি হবো।
জানিস মিষ্টি ওকে না খুব ভালোবেসে ফেলেছি আমি চাইনা এমন কিছুর মুখোমুখি হতে যাতে আমার ভালোবাসার মধ্যে কোন বড়ো বাঁধা আসুক।
মিষ্টি আমার দিকে তার মায়াবি চোখ দুটো নিয়ে তাকিয়ে আছে।
পশুপাখি হয় তো কথা বলতে পারে না কিন্তু চোখের ভাষা বুঝে।
আমি মিষ্টিকে একটা ব্যাগে নিলাম
সাধারণত এ ব্যাগ গুলো বিড়ালের ই।
এ বাড়িতে আগে একটা বিড়াল ছিল আমান ওর জন্য এই ব্যাগটা কিনেছিল।
আজ আমি মিষ্টি কে ওটার মধ্যে নিয়ে শাড়ি পাল্টে থ্রি পিচ পরে নিলাম।
আর মিষ্টির বাসায় লুকানো সেই ছবিটা আমার পার্সে নিয়ে নিলাম।
তার পর বাসা থেকে সোজা ভার্সিটির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
রিকশা করে সোজা ভার্সিটি তে পৌঁছে গেলাম।
সেখানে গিয়ে সোজা লাইব্রেরি তে।
যা ভেবেছিলাম তাই মালি দাদা ওখানেই আছে।
আমাকে দেখে উনি কিছুটা অবাক হলো।
–মা তুমি এখন এখানে
–হ্যাঁ দাদা আমি এখানে ।
–সে দিন হলো কি পেছন থেকে কেউ ডাক দিলো সেই ডাক শুনতে গিয়ে দেখি তুমি নেই মা কই গেছিলে।
–সেদিনের কথা বাদ দেও এটা দেখো তো।
আমি পার্স থেকে ছবিটা বের করলাম,
–কি এটা?
–দেখো ত এটাই কি সেই স্যার।
দাদা হাত থেকে ছবিটা নিলেন।
ভালো করে কিছু সময় তাকিয়ে রইলেন,
–দাদা বলো।
মনে মনে আসা করছিলাম যেন দাদা বলেন না।
কিন্তু আমার সমস্ত আসায় পানি দিয়ে দাদা বলল,
–হ্যা।
এই মুহূর্ত টা সব থেকে খারাপ বলে মনে হচ্ছে আমার।
পুরো পৃথিবী টাই উল্টো মনে হচ্ছে।
যা সন্দেহ করছি তার ৫০% ঠিক হলো।
বাকি ৫০% ঠিক হলে।
ভাবতেই মাথা ঘুরছে।
–মা তুমি ঠিক আছো?
–দাদা বাসায় যেতে হবে ভালো থেকো
–কিন্তু কি হয়েছে সেটা তো বললে না। আর এই ছবিটা বা তুমি কই পেলে।
–তেমন কিছু না গো ভালো থেকো দাদি কে সালাম দিও।
কথাটা বলে বেরিয়ে গেলাম
।
হাঁটার শক্তি হারিয়ে যাচ্ছে।
কি করব কি না করব কিছু বুঝতে পারছি না।
আমান নয় এটা ।
মানে এই ভার্সিটির প্রোফেসর নয় আমান ।
আমান তার নামের সাথে মিল এমন কোন প্রোফেসর এর যায়গায় নিজেকে বসিয়েছে।
কিন্তু কেন।
সব কিছু প্রশ্ন হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
কে আমান?
কি ওর পরিচয়?
কিছুটা সময় একটা যায়গায় বসে থাকলাম
মাথাটা ঘুরাচ্ছে।
তার পর উঠে রওনা হলাম ।
বাসায় পৌঁছাতে হবে জলদি আমানের আসার আগে।
দৌড়ে রিকশায় উঠলাম
যতো দ্রুত সম্ভব বাসায় পৌছালাম
সোজা রুমে গিয়ে ব্যাগ থেকে মিষ্টি কে বের করে শাড়ি নিয়ে বাধরুমে ঢুকলাম।
শাড়ি পরে বাইরে বের হতে ৪২০ ভোল্ট এর ঝটকা খেলাম
আমান সামনে দাঁড়িয়ে।
আমার দিকে স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে,
আমিও মারাত্মক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
–কি হলো মেঘ তুমি এমন করে তাকিয়ে আছো কেন?
আমি সাভাবিক ভাবে বললাম,
–কি ভাবে তাকাবো আমার বরের দিকে আমি তাকাবো না।
আমান ভ্রু কুঁচকে বলল,
–আমি কি বলেছি তাকিও না।
–প্রশ্ন করছেন কেন?
–এমনি।
কথাটা বলে সে বাথরুম গেল।
আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
ও মা মিষ্টি কে ব্যাগ থেকে বের করে ব্যাগ উঠায় নি জলদি করে সেটা উঠালাম
আমান বের হয়ে আমার কাছে এসে আমার হাতটা ধরলেন,
আমি চুপচাপ আছি,
–বাইরে গেছিলে?
–না (সাবাভিক ভাবে)
–ওহ তবে মিষ্টি ব্যাগ বাইরে ছিল যে।
–দেখছিলাম ওর যায়গা হয় নাকি ওর মধ্যে।
–হাহা ও পিচ্চি একটা বিড়াল এতো বড়ো ব্যাগে ওকে ধরবে না।
–আমি তে শুধু দেখছিলাম
–হ্যাঁ তুমি তো তাই পারো।
উফ বাবা বাঁচলাম কিছু সময়ের জন্য দম গেছিল মনে হচ্ছিল
।
কিন্তু আমার ভেতর যে সমস্যার সৃষ্টি হলো তা তো নিরমল হচ্ছে না।
হবেও না।
রাতে খাবার খেয়ে আমি রুমে এসে মিষ্টি কে খাবার দিয়ে বাবার রুমে দিকে গেলাম
বাবা আর আমান বাবার রুমে আছে,
আমি বাবার রুমে যাবো এমন সময় শুনতে পেলাম,
–তোমার মা যে ভ্যাক্সিন এর জন্য প্রাণ দিয়েছে তুমি সেই ভ্যাক্সিন এর ভাইরাস কি ভাবে তৈরি করতে পারো আমান।
–আমি চাই ওই লোকটা ঠিক ওভাবে মরুক যেভাবে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
–তুমি কি পাগল আমান
তুমি বুঝতে পারছো এই সমস্যা টা তুমি করলে এটা সব যায়গায় ছাড়িয়ে যেতে পারে।
–জানি বাবা সব ভেবেই ঝুঁকি নিচ্ছি।
কি বলছে এনারা কিছুই বুঝতে পারলাম না।
রুমে প্রবেশ করলাম,
–বাবা কি হয়েছে।
আমাকে দেখে আমান আর বাবা ভুত দেখার মতো চমকে উঠলেন।
–মেঘ মা তুই।
–বাবা তুমি খাবার শেষ করে ঔষধ নিয়েছো?
আমার কথায় বাবা যেন শান্তির নিশ্বাস নিলো
–নারে মা।
–ঔষধ নেও অনেক কাজ করেছো এখনো কাজ করছো ঘুমাও।
–হ্যাঁ রে মা ঘুমাতে হবে
বাবা ঔষধ খেয়ে নিলেন,
–আমি এখনি ঘুমিয়ে পরবো।
–আচ্ছা।
আমান আমাকে নিয়ে বাইরে চলে এলেন,
–মেঘ,
–জি?
–তুমি কি করছিলে,
–আরে আর বলো না মিষ্টি কে খাবার দিয়ে তোমাদের রুমপ আসতে যাবো তখনি শুমতে পেলাম। মিষ্টির ডাক বাবা কি জোরে জোরে ডাকছিল।
দৌড়ে আবার ঘরে চলে গেলাম
–ওহ। কেন ডাকছিল।
–ওর লেজের উপর বই পরেছিল।
–ইস কি বলো এখন কি করে।
–খাওয়া শেষ ঘুম।
–ওহ
–হ্যাঁ।
আমান আমাকে নিয়ে ঘরে এলো।
আমি সোজা বেলকনিতে গেলাম
কিছু সময় পর অনুভব হলো কেউ পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি নড়ালাম না।
এক জোড়া হাত কোমড়ে পরলো আর তার মুখ আমার চুলের মধ্যে।
মিষ্টি বাতাস পাশে প্রিয় মানুষ টা।
সত্যি অদ্ভুত শান্তি।
,
এভাবে কাটলো ৫ দিন,
মেঘ এর মধ্যে অনেক চেষ্টা করেছে আমানের সত্যি পরিচয় জানার কিন্তু আমানকে বুঝতে দেয় নি কিছু৷
সব সাভাবিক ই রেখেছে।
আজ ঋতুর গায়ে হলুদ কাল বিয়ে
মেঘ একটা হলুদ শাড়ি পরে সেজে নিলো যাবার জন্য।
আমান ও যাবে। তাই ওকেও রেডি হতে পাঠিয়েছি।
ঋতুর বিয়ে বলে কথা।
বাহিরের সব চিন্তা বাদ দিয়ে দিলাম।
শুধু বান্ধবীর বিয়েতে ফোকাস করবো,
চলবে,
(১০০ শব্দ কম হয়েছে জানি আসলে সকাল থেকে হুট করে অসুস্থ হয়ে পরেছি তাই গল্প ধির গতিতে লিখলাম।
রিচেক দিতে পারি নি ভুল হলে ক্ষমা করবেন সাজিয়েও লিখতে পারি নি।
ইনশাআল্লাহ পরের পর্ব গুলো ভালো করে দেবার চেষ্টা করব)