সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
পর্ব_২১
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
–তোর পারতে হবে কারন আমার বন্ধু হবার আগে তুই এক জন ডক্টর। অপেক্ষা করছেন তোর ল্যাবে ডক্টর অরিন্দম।
–স্যার ল্যবে বসে আছেন কিন্তু আমার মন সায় দিচ্ছে না মেঘ
–আকাশ প্লিজ আমাকে তুই একট সাধারণ মানুষ ভাব।
–একটা সাধারণ মানুষ ভাবলেও এ কাজ আমি করতে পারতাম না।
–আকাশ সময় চলে যাচ্ছে।
আকাশ মুখ ঘুরিয়ে চলে গেল।
ওদিকে অন্য এক জন ডক্টর এবং কিছু নার্স এলো,
আমার হাতে কিছু পুশ করার অনুভুতি আমার হলো।
মেঘের শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে ক্রমশ ও ধবধবে সাদায় পরিনত হচ্ছে।
এ দৃশ্য আকাশের দেখা সম্ভব না।
এ যেন যেনে শুনে কোন একটা মানুষ কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া তাও নিজের বান্ধবী কে।
আকাশ বেশ বুঝতে পারে হয় ত মেঘের কাছে আর বেশি সময় নেই।
এক জন মৃত মানুষের মতো ফ্যাকাসে রুপ ধারন করছে মেঘ ধিরে ধিরে।
চোখ বন্ধ করতে মনে হচ্ছে একটা বাগান । চারিদিকে পুষ্পে ভরা অসাধারণ মোহিত এক পরিবেশ।
এ সুগন্ধ আমাকে অন্য এক রকম ফিল দিচ্ছে।
এতো সুন্দর করে এতো যত্ন করে এই বাগান টা মনো হচ্ছে শুধু আমার জন্য তৈরি কর হয়েছে।
একটু সামনে একটা পরিষ্কার পুকুর।
সপটা পেরোতে এক জন মুখোশ পরা লোকের দেখা।
পকেটে হাত গুজে দাঁড়িয়ে আছে আমার দিকে তাকিয়ে।
মুখোশের তলে মিষ্টি সেই হাসিটা অসম্ভব সুন্দর।
আমি দেখতে পাচ্ছি না সেই হাসি কিন্তু আমি ফিল করতে পারছি।
আমি বুঝতে পারছি যে সে আমার প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা।
চোখের সামনে ভেসে আসছে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব।
প্রথম সেই অনাকাঙ্ক্ষিত চড়টা।
তার পর এই মুখোশ পরে আমাকে ভালোবাসার কথা বলাটা।
বিয়েটা ভালোবাসার ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্ত গুলো। সেই সব কিছু যা হয়ত পৃথিবীর বুকে বেঁচে থকবে চিরকাল।
যদিও মানুষ থাকে না চিরকাল
কিন্তু তাদের কৃতকর্মের জন্য তারা লোকমুখে বেঁচে থাকে চিরকাল।
সেই মানুষ টাকে ভিশন ভাবে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে।
এক ছুটে তাকে আকড়ে ধরে এই সময় টাকে আমার উপভোগ করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
এই মিষ্টি ফুলের ঘ্রাণ গুলো তার শরীরের ঘ্রাণের কাছে হার মানে।
তার বুকে মাথা দিয়েই কাটিয়ে দেওয়া যায় চির কাল।
এটা যে সেই #সিক্রেট_গ্যাংস্টার
আমার ভালোবাসা।
অসম্পূর্ণ ভালোবাসার কথা বেঁচে থাকে চিরকাল।
এতো সুন্দর অনুভুতি হটাৎ যেন সব কিছু অন্ধকার হয়ে আসছে সামনে থাকা মানুষ টা আমার থেকে বহু দুরে চলে যাচ্ছে আমি চাইছি তার কাছে যেতে কিন্তু পারছি না।
খুব ইচ্ছে হচ্ছে ছুটে ওর কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে বলি ভালোবাসি তোমার সাথে থাকতে চাই কিন্তু পারছি না।
পায়ে কেউ সেকল দিয়েছে বন্দি হয়ে যাচ্ছি আমি একটা যায়গায়।
পৃথিবীর সমস্ত কষ্ট হয়ত আজ আমার ভেতর এসে যায়গা নিয়েছে।
ভিশন কষ্ট অনুভব হচ্ছে।
নিমিষেই আমার চারিদিকের মৌ মৌ করা সুন্দর পরিবেশ টা কেমন ফ্যাকাসে কালো হয়ে গেল।
সুগন্ধি গুলো হাওয়াতে বিলিন হয়ে গেল।
ফুল গুলো ঝড়ে গেল।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
এতোটুকু বলেই ঋতুর চোখ গুলো খুলে দিলো।
তার চোখে কান্নার অজস্র বিন্দু।
পানিগুলো বাঁধ মেনেছে ভিশন ভাবে নিঃশব্দে কান্না করে চলেছে ঋতু।
–মা তার পর কি হলো?
আরাবের কথায় ধ্যান ফিরলো ঋতুর।
চোখের পানি মুছে ছেলের দিকে তাকালো।
৩ টা ছেলেই তার জানার ভিশন আগ্রহ নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
সে পেছন ফিরতে তারা ৩ জন আবার প্রশ্ন করলো,
–কি হয়েছিল মা তার পর (আদ্রিয়ান)
–হ্যাঁ মা কি হয়েছিল সেই আন্টি টা কই (আদ্র)
–মা বলো না আন্টি আর আঙ্কেল দু’জন কই এখন(আরাব)
কিরন বাহির থেকে তাদের কথা শুনে ভেতরে প্রবেশ করে,
–আরে তোমরা তো দেখি গল্প ভিশন ভাবে করছো এখন আর কিছুর প্রয়োজন নাই পরে রাতে বাকি গল্প হবে এখন চলো আমার সাথে।
–কই যাবো বাবা?
–খেতে এসো ঋতু ওদের খেতে দিতে হবে।
ঋতু চোখ মুছে ফ্রেশ হয়ে বাইরে আসে
সবার মুখে হাসি।
খাবার টেবিলে সবাই বসে গল্প করছে আর খাচ্ছে।
–মা আন্টির কথা না জানতে পারলে না আমার খাবার গলা দিয়ে নামছে না (আদ্রিয়ান)
–হুম আঙ্কেল ও এমন ভালোবাসা কি সত্যি হয়। (আরাব)
ওদের কথায় ঋতু স্তব্ধ হয়ে কিছু সময় বসে রইলো।
সত্যি এতো ভালোবাসা কি হয়।
এ ভালোবাসা তো শুধু গল্পে হয়। কিন্তু কে জানত তা সত্যি হয়ে এভাবে প্রকাশ পাবে।
আর কেই না জানত এ ভালোবাসার পরিনাম শুখের না দুঃখের হবে।
এ পরিনাম কারোর জানা নেই।
কিন্তু ১৪ বছরের আরাব ঠিক বুঝতে পারছে এটা কোন গল্প না এটা সত্যি।
সত্যি তারা দু’জন দু’জনকে এতো ভালোবাসত যে তাদের কে ভুলা সম্ভব নয়।
এটা তো ভালোবাসা যা মানুষ কে চিরকাল জীবিত রাখে।
প্রতি মুহূর্তে অনুভব দেওয়ায় যে ভালোবাসা আছে।
সত্যি মানুষের মধ্যে কতোট টান থাকলে এতোটা ভালোবাসা যায়।
এতো রঙিন একটা অধ্যায় কি সত্যি কালো সমাপ্তি দ্বারা শেষ হবে।
নাকি কোন উপন্যাসের মতো এর কেন শেষ ই হবে না।
এতো মায়া এতো মমতা মিশ্রিত ভালোবাসার গল্পটাকি সত্যি শুভ পরিনতির মুখ দেখতে পেলো না নাকি এর পেছনে আরও কিছু গল্প আছে।
তা নিয়ে ভাবতে ভাবতে এক সময় ৩ ভাই ক্লান্ত হয়ে যায়।
আর ঋতু জানালার কোনে মাথা ঠেকিয়ে ভাবতে থাকে পুরোনো দিনের কথা গুলো
সত্যি দু’টো মানুষ তার জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দু’টো মানুষের মধ্যে পরত।
তাদের কে ভালোবাসার মানুষ হিসাবে বলতে পরাটা সত্যি একটা গর্বের বিষয়।
,
এ গল্পের শেষ কোথায় ছিল তা এক মাত্র ঋতুই বলতে পারবে।
তার সাত পাঁচ না ভেবে ৩ ভাই সোজা ঋতুর কাছে চলে যায়,
–মা এতো রঙিন একটা গল্পের শেষ অন্ধকার করে রাখলে কেন। (আদ্রিয়ান)
–হ্যাঁ মা আমরা জানতে চাই পরবর্তী তে ঠিক কি হয়েছিল প্লিজ মা চুপচাপ করে বসে থেকো না। (আরাব)
–তোমার চোখের পানি দেখে মনে হচ্ছে ওরা তোমার খুব কাছের কেউ ছিল তাই না মা (আদ্র)
–হ্যা মা খুব কাছ থেকে তাদের কে দেখেছো তুমি প্লিজ বাকি টুকু বলো (আদ্রিয়ান)
–বাকি সমাপ্তি টা ঠিক কি ছিল সত্যি কি এখানে সব কিছু অন্ধকার হয়ে গেছিল মা (আদ্র)
চলবে,
(সত্যি কি রঙিন গল্পটার অন্ধকার পরিণতি হয়েছিল?
আজ কিছু গঠন মূলক মন্তব্য করবেব।
প্রথম পর্বে বলেছিলাম যা পড়ছেন তার কিছুই ঘটবে না আপনারা যা ভাব্বেন তার কিছুই ঘটবে না তাই আজ এই পর্ব পড়ার পর আপনাদের মনের কথা গুলো জানতে চাই)