#নাম: সিনিয়র বস
#পার্ট: ১৩,১৪
#লেখক Osman
পার্ট: ১৩
মনি আপু: ওকে। আগামীকাল অফিসে দেখা করিস।
__আমি বাসায় চলে আসলাম। এসে আবার নতুন করে সব পরিষ্কার করলাম। অনেক জিনিসই চট্টগ্রামে রাইখা আসলাম। ইকা মেয়েটার জন্য অনেক খারাপ লাগছে। যাইহোক এখন আমাকে সামনে ফোকাস করতে হবে। টাকার বিনিময়ে আমি ইকার সাথে সময় কাটিয়েছি । নিজের ইচ্ছায় না। চট্টগ্রামে পনেরো দিনের টাকা মাইর গেলো। অনেক জিনিসপত্র কিনতে হবে । বেশ কিছু ড্রেস সেখানে ফেলে এসেছিলাম। হাতেও তেমন টাকা পয়সা নেই। মনে হলো মার একাউন্টে কিছু টাকা আছে। সেগুলো খরচ করতে হবে। আবার ভাবলাম না। মার টাকা গুলো আল্লাহর রাস্তায় দান করবো। রাহাতের কাছে মনে হয় টাকা নেই। আবার খাবারের বিল দিতে হবে। কি করবো মাথা কোনো কাজ করছে না। কার কাছে টাকা চাইবো। ভাবলাম আবার চট্টগ্রাম যাবো। গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে আসবো। নাহ যদি মনি আপু জানে আমি আবার চট্টগ্রাম গিয়েছি । তাহলে আমার আর রক্ষা নেই। এক কাজ করা যায় মনি আপুর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তারপর যাবো। আমি সারাদিন রুমে বসে রইলাম। রাতে রাহাত আসলো। ড্রেস চেঞ্জ করতে করতে বলতে লাগলো।
রাহাত: দোস্ত ম্যাসের খাবার আমার পক্ষে খাওয়া সম্ভব না।
আমি: তাহলে কি খাবি?
রাহাত: আমি চিন্তা করলাম রুমে গ্যাসের চুলা কিনে আনবো নিজেরা যা রান্না করতে পারি তাই খাবো।
আমি: কথাটা খারাপ না। এখানে তো অনেক গুলো টাকার কাজ। এই মাসটা মেসে খেয়ে আগামী মাসে এগুলো কিনে আনবো।
রাহাত: তর কাছে টাকা নাই।
আমি: না চট্টগ্রাম অনেক কিছু ফেলে এসেছি। মনি আপুর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আবার চট্টগ্রাম যেতে হবে। যদি মনি আপু অনুমতি না দেয়। তাহলে আমি মারা খাইছি। কারণ এগুলো আবার নতুন করে কিনতে হবে। আর সে টাকা আমার কাছে নেই।
রাহাত: দেখ কি করতে পারস? কিন্তু আগামী মাসে কিন্তু সিউর গ্যাসের চুলা আনবো।
আমি: আচ্ছা। সারার সাথে দেখা করবি।
__রাহাত মুচকি হাসি দিয়ে বললো।
রাহাত: হরে । কবে?
আমি: আগামীকাল রাতে ।
রাহাত: কিভাবে?
আমি: তার জন্য তকে একটু কষ্ট করতে হবে। আর মার খেতে হবে।
রাহাত: কার কাছ থেকে।
আমি: সারার কাছ থেকে।
রাহাত: তার কাছ থেকে মার খেতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
আমি: শুন তকে বলি আমার বুদ্ধিটা । রাতে মনি আপুকে বাসায় দিয়ে সারা তারপর নিজের বাড়ি যায়। সারার বাড়ি থেকে মনি আপুর বাসা আধা কিলোর থেকে কম হবে। তাই সে রাতে এতটুকু রাস্তা হেঁটেই বাড়ি চলে যায়। তাই আগামীকাল তুই ছিনতাই কারির ভাব ধরে সারার সামনে যাবি। তখন দেখবি সারা কি করে। তখন তুই তার সাথে যেটা মনে চায় করিস।
রাহাত: একা যে যায়। হেঁটে সারার কি ভয় করে না?
আমি: আমার তা মনে হয় না। আজকে একটু মারামারি প্রেকটিস কর।
রাহাত: তাহলে আগামীকাল সারার সাথে দেখা হচ্ছে।
আমি: হুম।
__আমি পরদিন অফিসে গেলাম। গিয়ে সারাকে খুঁজে বের করলাম। সারা দেখি তার অফিসে। আমি গিয়ে বললাম। মনি আপুর সাথে দেখা করবো।
সারা বললো
সারা: ম্যাডাম আজ কারো সাথেই কথা বলবেন না। ম্যাডামের সকল কাজ আজ আমি করতাছি।
আমি: উনি এখন কোথায়? অফিসে নাকি বাড়িতে।
সারা:কেনো? উনি কারো সাথে দেখা করবে না।
আমি: আমার সাথে দেখা করবে। আপনি বলেন।
সারা: তর সমস্যা কি? তর কি চাই আমাকে বল?
আমি: আমি চাই মনি আপুর সাথে দেখা করতে।
সারা: ধুর যাতো তুই এখান থেকে।
__সারার মোবাইলে কে জানি কল দিলো। সারা ফোন ধরে বলতে লাগলো
সারা: জী ম্যাডাম…. ও চাচ্ছে আপনার সাথে দেখা করতে …… ওকে ম্যাডাম।
__সারা ফোন রেখে আমাকে বললো
সারা: শুন এখান থেকে সোজা লিফটের কাছে যাবি। গিয়ে এই কার্ডটা স্ক্যান করাবি। তারপর নাইনে চাপ দিবি। ঐখানে ম্যাডাম আছে।
আমি: ওকে।
__সারার দেওয়া কথা মতো সেখানে চলে গেলাম। এক সুসজ্জিত রুমে আমাকে নিয়ে আসলো। দেখি চারপাশ দিয়ে মনিটরিং করা। খুবই উন্নত মানের আসবাবপত্র। আর বসার টেবিল মাঝখানে সোফা দেখি শুয়ার খাট ও আছে। আরো কত কিছু। বলে শেষ করা যাবে না। আশেপাশে তাকিয়ে দেখি ক্যামেরাও নেই। এক কোনা থেকে দেখি পানির আওয়াজ আসছে। সম্ভবত গোসল করছে মনি আপু আমি গিয়ে সোফায় বসলাম। কিছুক্ষণ বসে রইলাম
বুঝতে পারছি না এটা মাটির উপরে নাকি নিচে। বাইরের জগতের সাথে কোনো সম্পর্কই পাচ্ছি না। একটু পর মনি আপু দেখি আসছে আমি তাকিয়ে অবাক হয়ে যাই। মনি আপুর শরীরে শুধু একটা পাতলা কাপড়। ভিতরে ব্রা দেখা যাচ্ছে। চুল গুলো কাপড় দিয়ে খুপা দেওয়া। আমি নিচে তাকিয়ে বসে রইলাম। আমি বললাম
আমি: ম্যাডাম আমি পরে আসবো ।
মনি আপু: না বস। কি জন্য দরকার বল?
আমি: আমার চট্টগ্রাম যাওয়া দরকার। সেখানে অনেক জিনিস পত্র ফেলে এসেছি। সেগুলো আনতে হবে।
মনি আপু: তর সেখানে যাওয়া হবেনা।
আমি: কেনো?
মনি আপু: এমনি।
আমি: কিন্তু ম্যাডাম। আমার সেগুলো লাগবে।
মনি আপু: না তুই সেখানে যেতে পারবি না। গেলে একেবারে চলে যা।
__এই বলে মনি আপু আমার পাশে এসে বসলো । আমি দুরে সরে গেলাম। মনি আপু আবার আমার পাশে এসে বসলো। বললো
মনি আপু: দূরে চলে যাস কেনো? ভয় পাস ?
আমি: হুম।
মনি আপু: আমাকে ভয় পাবার কি আছে আমি বাঘ না ভাল্লুক।
আমি: না আপনাকে ভয় পাই।
মনি আপু: বল আমাকে তর কেমন লাগে।
আমি: ভালো। খুব ভালো।
মনি আপু: আমার চোখের দিকে তাকা।
__আমি মনি আপুর চোখের দিকে তাকালাম। দেখি চোখে তার কামনার নেশা। আমি অবাক হয়ে যাই। মনি আপু করছেটা কি। সে আমার সাথে কি করতে যাচ্ছে। আমার মাথায় কোনো কাজ করছে না।
আমি: ম্যাডাম আমাকে পাঁচ হাজার টাকা দেন। এই মাস শেষ হলে দিয়ে দিবো।
মনি আপু: পাঁচ হাজার না তকে পাঁচ লাখ দিবো। শুধু আজকের দিনটা আমার সাথে কাঁটা।
আমি: পাগল নাকি।
দেখি মনি আপুর চোখ দুটো বুঝে আসছে। মনি আপু আমার শরীরে হাত দিলো। মনি আরো কাছে আসতে লাগলো। এসে আমার দুই গালে ধরলো । ধরে তার নিজের ঠোঁটের কাছে নিতে লাগলো। বলতে লাগলো
মনি: তরে দেখলেই আমার পা দুটো অবস হয়ে যায়। তরেই আমি চাই।
মনি আমার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট লাগাতে যাবে। আমি ধাক্কা দিয়ে বলতে লাগলো
আমি: মনি আপু! মনি আপু!
__এমন সময় মনি আপু চোখ দুটো বড় বড় করে তাকালো । তখন আমার ঠোঁটের কাছ থেকে মনি আপুর গোলাপী ঠোট আর এক ইঞ্চি দূরে। মনি আমাকে ছেড়ে দিলো । এখন আমাকে স্বাধীনতা দিয়ে দিলো। আমি মুখ সরিয়ে নিলাম।
আমি: ম্যাডাম আপনি আমাকে ব্যাবহার করছেন।
মনি: আসলে আমার জানি কি হয়েছিলো?আমার মাথা কাজ করছিলো না। সরি!
আমি: আপনি এতো বড় কোম্পানি চালান । এখানে আপনার মাথা কাজ করে না। যত্তসব ফালতু কথা।
যদি এতই উত্তেজিত থাকেন তাহলে বিয়ে করেন না কেনো? আর একটু হলেইতো সব শেষ ছিলো।
মনি: তুই থামবি। আমার সব খেয়ালেই ছিলো।
আমি: তাহলে আপনি ইচ্ছা করেই করছেন। কেনো?
মনি: তরে পরিক্ষা করছি। তর না বলে টাকা দরকার কতো?
আমি: লাগবে না টাকা আমাকে এখান থেকে বের করেন।
মনি আপু: কিন্তু ঐ সময়যে বলেছিলি।
আমি: আপনি যেহেতু চট্টগ্রাম যাইতে দিচ্ছেন না।
তাহলেতো আমার জিনিস পত্র গুলো কিনতে হবে। সেজন্য আমার টাকা দরকার এখন সে টাকা আপনি দিবেন।
মনি আপু: আমিতো দিতেই চাচ্ছি । এই নে।
__মনি আপু টাকা হাতে দিয়েও আবার নিয়ে গেলো। বললো
মনি: আমিও আজকে শপিং এ যাবো। চল দুজনে একসাথে যাই।
আমি: আপনার সাথে । আপনার অসম্মান হবে না।
মনি : ধুর রাখ তর সম্মান।
আমি: একটু আগে আমি আর আপনি যেটা করতে যাচ্ছিলাম। কেও যদি সেটার ছবি তুলে রাখে।
__মনি আপু হাসি দিয়ে বললো
মনি: এটা মাটির নয়তলা নিচে । এখানে আসার অনুমতি আছে শুধু তিন জনের। আমি তুই আর সারা। এটার কথা আমি জানতাম না। এই কিছুদিন আগে। আব্বা আমাকে এটার সম্পর্কে বলে। এবং এটার ভিতরে আসার অনুমতি দেয়। এখন আব্বা এটার ভিতরে আসতে পারে না। আমি মাঝে মাঝে এখানে এসে থাকি। যায়গাটা খুব নিরব। খুব ভালো লাগে। তর জন্য একটা কার্ড বানাবো । তুই ইচ্ছে হলে এখানে আসতে পারবি।
আমি: থাক দরকার নেই। আমার এখানে আসার কোনো ইচ্ছা নেই। এখন এখান থেকে বের করেন।
মনি আপু: দাঁড়া আমি রেডি হয়ে নেই।
আমি: ওকে।
__মনি আপু আরো আধাঘণ্টা লাগিয়ে সাজলো। সাজানোর সব জিনিসপত্র এখানে আছে। বুজলাম টাকা উড়ানোর আর যায়গা পায় না। তারপর আমি আর মনি উপরে আসি। মনি আপু বললো
মনি: এটার কথা কাওকে বলবি না। বললে তুই বিপদে পড়বি ।
আমি: মানে।
মনি উঠে: মানে হলো এটার কথা কাওকে বলবি না। এটাই আমার আদেশ।
আমি: ওকে।
__আমরা এখন মনি আপুর অফিসে বসে আছি।
আমি বললাম
আমি: আচ্ছা ম্যাডাম আপনার না বয়ফ্রেন্ড আছে তাহলে আমার সাথেই কেনো?
মনি আপু: তরে কে বলছে । আমার বয় ফ্রেন্ড আছে।
আমি: সারা।
মনি আপু: সারারে নিয়ে যে আমি কি করি। ওর মুখে কিছু আটকায় না। মি: আজিমের সাথে আমার একটা ঝামেলা হবে। ওর সাথে চুক্তিতে একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু উনি বিষয়টা গুরুত্ব দিচ্ছে না। উনি যেহেতু গুরুত্ব দিচ্ছে না লসটা তারই হবে। এখন এটা উনার বিষয়। উনার সাথে দুই তিনবার ডেটে গিয়েছিলাম। তখন সারাই আমার সাথে ছিলো । ওর কাছে জিজ্ঞেস করলেই সব জানতে পারবি। তুই আমার কল লিস্ট চেক করে দেখতে পারিস। আমি অধিকাংশ মানুষের সাথে কথা বলি সারার মোবাইল দিয়ে।
আমি: ওহ ভালো।
__আমি আর মনি আপু শপিং মলে গেলাম। মনি আপুর সাথে কোথাও যেতে আমার কোনো দ্বিধা বোধ নেই কারন ছোট বেলা থেকেই মনি আপুর সাথে কাটিয়েছি। তাই তাকে ভয় পাইনা। যদিও একবার সমস্যা হয়েছিলো। সেটা মানিয়ে নিলাম।
চলবে….
#নাম: সিনিয়র বস
#পার্ট: ১৪
#লেখক: Osman
__আমি আর মনি আপু শপিং মলে গেলাম। মনি আপুর সাথে কোথাও যেতে আমার কোনো দ্বিধা বোধ নেই কারন ছোট বেলা থেকেই মনি আপুর সাথে কাটিয়েছি। তাই তাকে ভয় পাইনা। যদিও একবার সমস্যা হয়েছিলো। সেটা মানিয়ে নিলাম। কিন্তু আজকে মনি আপু কি করলো? আমাকে কিস করতে যাচ্ছিলো। মনি আপু কি আমাকে ভালোবাসে নাকি আমাকে ব্যাবহার করছে এখন সেটাই বুঝা মুশকিল। যদি ভালোবেসে আমাকে কিস করতে যেতো। তাহলে অবশ্যই আগে তার ভালোবাসার কথা বলতো । কিন্তু মনি সেটা করে নি। তাহলে আমাকে সে ব্যাবহার করতে যাচ্ছে। আমি সে সুযোগ দিবই না। আগে ভালোবেসে আমাকে বিয়ে করুক। পরে নাহয় আমার সাথে যা মনে চায় করুক। আমি মনি আপুর সাথে শপিং মলে গিয়ে । প্রয়োজনীয় সকল জিনিস কিনলাম। সকল কিছুর টাকা মনি আপু পে করলো। মনি আপু যাওয়ার সময় আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে গেলো। বললো
মনি: আগামীকাল থেকে তুই আবার আগের পোস্টে কাজ করবি।
আমি: ওকে। ম্যাডাম আজকে রাতে কি সারা আপনার বাসায় যাবে।
মনি : মনে হয়।
আমি: ধন্যবাদ এতো বড় একটা উপকার করলেন।
মনি আপু: অসুবিধা নেই।
আমি: ওকে। এই নে আমার পার্সোনাল নাম্বার।
__এটাতে ফোন দিলে আমাকে সব সময় পাবি।
আমি মনি আপুর ফোন নাম্বার নিয়ে। রুমে চলে আসলাম। সন্ধ্যার দিকে রাহাত আসলো। এসে ফ্রেস হলো । আমি কিরে সারার সাথে দেখা করবি।
রাহাত বললো
রাহাত: কখন?
আমি: রেডি হয়ে নে। মাথায় কেপ দে । আর মুখটা ভালো করে ডেকে নে। আর এই নে ছুরি।
রাহাত: ওকে তুই দাঁড়া।
__রাহাত ও আমি এমন ছদ্মবেশে নিলাম। এক জন আরেকজনকে চেনা যাচ্ছে না। তারপর দুজন গিয়ে মনি আপুর বাসার সামনে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কখন সারা বের হয়। প্রায় এক ঘন্টা হয়ে গেলো ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম। রাহাত বললো।
রাহাত: তুই সিউর সারা মনি আপুর বাসায় আছে।
আমি: হুম সিউর।
রাহাত: আমার ভয় করছে । যদি খারাপ কিছু হয়ে যায়।
আমি: যখন দেখবি সারা মারতে আসছে। তখন ছুরিটা ফেলে দিবি। আর তার সাথে হাতে মারামারি করবি। জানি তুই পারবি না। যতটুকু পারস।
রাহাত: ওকে।
আমি: ওয়েট মনি আপুকে কল দেই।
__আমি মনি আপুকে কল দিলাম। ফোন ধরলো
আমি: মনি আপু আমি রাফিদ সারা আছে এখানে।
মনি: সারা এই মাত্র বের হলো।
__আমি ফোন কেটে দিয়ে বললাম।
আমি: সারা আসছে। এই নে ব্লোথো । যদি দেখস বেশি মারছে। তখন ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে আসবি।
রাহাত: ওকে।
__একটু পর দেখি সারা আসছে। আমি বললাম
আমি: যা আর শুন কন্ঠটা একটু চেঞ্জ করে নিস ।
__রাহাত গুটি গুটি পায়ে গিয়ে সারার সামনে হাজির হলো। ছুরিটা সামনে ধরে বললো
রাহাত: যা আছে সব কিছু দিয়ে দে।
সারা: ভালই ভালই বলছি চলে যা। নাহলে কিন্তু খবর আছে।
রাহাত: চুপ যা আছে সব কিছু দিয়ে দে। দেখছত এটা কি?
সারা: সরি ভুল হয়েছে। এই নে ব্যাগ আর এই নে মোবাইল।
__সারা মোবাইল এগিয়ে দিলো নেওয়ার জন্য । রাহাত হাত দিলো মোবাইল নেওয়ার জন্য। সারা মোবাইল দিয়ে বাড়ি দিয়ে রাহাতের হাত থেকে ছুরি ফেলে দিলো। ঠিক রাহাতের পায়ে একটা কিক চালালো। তারপর পায়ের মধ্যে পেচ লাগিয়ে মাটিতে ফেলে দিলো। সবকিছু যেনো মূহুর্তের মধ্যে হয়ে গেলো । রাহাত নিরুপায় হয়ে সারার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর সারা তার পা দিয়ে । কোমড়ে কয়েকটা কিক চালালো। সারা বললো
সারা: পালাবি নাকি । আরো কয়েকটা দিবো। ছিনতাই করতে আসছে। এই নে টাকা বললেই হতো খেতে পাইস না । টাকা দরকার ।
আমি: রাহাত চলে আয়।
__রাহাত ওঠে এক দৌড় দিলো। আমি এক দৌড় দিয়ে। সোজা বাসায় আসলাম। রাহাত বললো
রাহাত: ভাই আমি আর নাই। এই মেয়ে একটা আগুন। একটু হলে আমাকে মেরেই ফেলতো।
আমি: কি কস? আমার কাছে তো একদম সিম্পল মনে হয়েছে।
রাহাত: সালা একটা লাথি খেয়ে দেখতি কেমন লাগে। ওরে বাবারে আমার কোমড়টা শেষ?
আমি: আমি ভাবছিলাম তুই কয়েকটা দিবি।
রাহাত: আমিতো চান্সই পাইনাই। মুহুর্তের মধ্যেই আমাকে মাটিতে ফেলে দিলো।
আমি: যাইহোক ভালই লাগছে।
রাহাত: আগামীকাল আবার যাবো । আগামীকাল কিছু না কিছু করবোই ।
আমি: ওকে।
__আমি আর রাহাত পরদিন আবার গেলাম। কিন্তু আজকে সারা আরো অনেক দেরিতে বের হলো তখন রাস্তাতে কোনো মানুষ নেই এমনিতেই এই রাস্তাতে খুব কম মানুষ আসে । গতকালকের মতোই একটা ছরি নিয়ে গিয়ে বললো
রাহাত: যা আছে সবকিছু দিয়ে দে ।
সারা: তুই আবার আসছস। গতকালের মাইর মনে নাই।
রাহাত: যা আছে দিয়ে দে?
সারা: কি লাগবে তর?
রাহাত: সব কিছু ? সাথে তোমাকেও
সারা: আমাকে লাগবে মানে। আমাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করতি। তর সাহস তো কম না।
রাহাত: চুপ যা আছে সব কিছু দিয়ে দে।
__এই বলার সাথে সাথে সারা লাফি দিয়ে রাহাতের হাত থেকে ছুরি ফেলে দিলো। তারপর আবার পায়ের মধ্যে পেচ দিয়ে ওলটিয়ে মাটিতে ফেলে দিলো। রাহাত তখন সারার পায়ে লাথি দিলো। সারা টাল সামলাতে না পেরে রাহাতের বুকের উপর পড়ে গেলো। তখন রাহাতের ঠোঁট আর সারার ঠোঁট ইঞ্চি তিনেক দূরে । রাহাত সারাকে ধরলো ? যাতে রাহাতের বুক থেকে উঠতে না পারে । এক হাতে রাহাত আস্তে আস্তে নিজের মুখ থেকে কাপড় সরালো। সারা বললো
সারা: একি রাহাত আপনি?
__রাহাত এই সুযোগটা কাজে লাগালো। সোজা সারার ঠোঁটের সাথে রাহাতের ঠোঁট লাগিয়ে দিলো । সারা ইচ্ছা করেও ছুটতে পারছে না । যতই কথাই বলুক এই যায়গায় মেয়েরা দুর্বল। রাহাত ত্রিশ সেকেন্ডের মতন সারার ঠোঁট নিজের ঠোঁটের সাথে লাগিয়ে রাখলো। যখন কেও কাউকে ছাড়ছে না তখন আমি বললাম
আমি: সালা কি শুরু করছত? মানুষ আসবে তো।
__রাহাত আস্তে আস্তে নরমাল হলো। সারাকে ছেড়ে দিলো সারা সোজা হয়ে দাঁড়ালো। সারা রাহাতকে দাড় করালো। বললো
সারা: আপনি আমাকে আগে বলবেন না। নিশ্চয় এটা রাফিদের কাজ।
রাহাত: আসলে আপনাকে আমার ভালো লাগে?
সারা: সত্যি বলেছেন তো।
রাহাত: হুম।
সারা: আসলে এতো দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম কখন আপনার সাথে দেখা করবো। রাফিদ শুধু শুধু ঘুরাচ্ছিলো । যাক ফাইনালি আপনার সাথে দেখা হলো। আর আপনি যে এরকম অবস্থায় আসবেন আমি কল্পনাও করিনি। আসলে আপনাকে আমি মারছি । দুঃখিত
রাহাত: আপনি আমার কোমড়ে মারছেন এতেই আপনার লস।
সারা: আমার লস মানে ।
রাহাত: ভেবে দেখুন।
সারা: এসব ঠিক করে ফেলবো। আপনার নাম্বার দেন ।
__রাহাত নিজের নাম্বার দিলো। সে ব্লোথো ডিসকানেক্ট করে দিলো। দেখি তারা দুজন হাসাহাসি করে কথা বলতাছে। আমি আর অপেক্ষা করতে পারলাম না। আমি চিপা থেকে বের হয়ে আসলাম। আমি গেলে রাহাত বললো।
রাহাত: এ হলো সারা।
আমি: হইছে আর চিনা লাগবে না।
সারা: রাফিদ আপনি কি কিছু দেখছেন?
আমি: না আমার চোখ বন্ধ ছিলো।
সারা: সব দোষ তোমার রাহাত। তুমি আগে এসে পরিচয় দিতা। রাফিদের কাছে কি অসম্মান টাই না হলাম।
রাহাত: অসম্মানের কি আছে ? সেই তো আমাকে তোমাকে এই সিচুয়েশনে ফেলেছে।
আমি: রাহাত আমি রুমে গেলাম যাবি।
সারা: রাফিদ ভাই আপনি যান। রাহাত পরে যাবে।
আমি: ওকে।
__আমি হাটা ধরলাম। সারা আমাকে আপনি করে বলছে। বলবেই তো কারন এখন ওলটা পাল্টা কিছু করলে খবর আছে। আমি বাসায় আসলাম। এক ঘন্টা পর রাহাত আসলো। আমি রাতে কিছুক্ষন মোবাইল টিপে ঘুমিয়ে গেলাম। পরদিন ওঠে অফিসে গেলাম। গিয়ে টেবিলে বসে রইলাম। সারা কল দিলো
বললো
সারা: রাফিদ ভাই আপনার একটা কাজ আছে। আপনি যেহেতু বসে আছেন আজাইরা । তাই ম্যানেজার সাহেবের সাথে দেখা করেন। উনি আপনাকে একটা কাজ দিবে । কাজটা সুন্দর করে পালন করবেন।
আমি: ওকে।
সারা: আর রাফিদ ভাই আগামীকালের জন্য ধন্যবাদ।
আমি: ওয়েলকাম।
আমি ম্যানেজার রুমে গেলাম। ম্যানেজার কিছুটা মনি আপুর বাবার বয়সি।
চলবে….