#সিন্দুক রহস্য,পর্ব ১
#শেলী ভট্টাচার্য
“২১, রজনী সেন রোড। একটু তাড়াতাড়ি চলুন।” ট্যাক্সিতে বসেই বেশ গম্ভীর গলায় তাড়া দিলাম ড্রাইভারকে। ব্যাপারটা যতক্ষণ না ফেলুদাকে বলতে পারছি ভেতরে একটা অস্বস্তি হচ্ছে। সত্যি বলতে কী, এই রকম একটা ঘটনার খবর এখনও কীকরে আমাদের বাড়ি অবধি এসে পৌঁছায়নি, তাই ভেবেই অবাক লাগছে। আমার ভাবনাকে ছিন্ন করে দিয়ে গাড়িটা সজোরে হর্ণ বাজাল। সামনের রাস্তায় চোখ বুলিয়ে খেয়াল করলাম, দুপুরেও সাদার্ন এভিনিউয়ে বেশ যানজট হয়েছে। সামনে কালীপূজা। একটা বেশ বড়সড় কালী ঠাকুর নিয়ে যাচ্ছে ম্যাটাডোর করে। তাতে অল্প বয়সী ছেলেরা সব হুল্লোড় করছে।
একবার মনে হল, ফেলুদাকে ফোন করে কথাগুলো বলে পেটটাকে একটু হাল্কা করে নি। পরমুহূর্তেই মনে হল, না এরকম একটা কেস ফেলুদার সামনে বসে ওকে রসিয়ে কষিয়ে পরিবেশন করলে ওর যে মুখের অভিব্যক্তিগুলো চোখে পড়বে, তা মিস হয়ে যাবে তাতে। আগে যখন শুধুমাত্র টেলিফোন আর টেলিগ্রামই ভরসা ছিল, তখন ক্লায়েন্টরা হঠাৎ করে সকাল সকাল কলিংবেল বাজিয়ে সোজা বৈঠকখানার সোফায় এসে বসতেন। আর সাহায্যপ্রার্থী হয়ে তাদের সমস্যাগুলোকে বলতে থাকতেন। ফেলুদা ব্যায়াম সেরে চাট্টি ভেজা ছোলা বাদাম চাবাতে চাবাতে এসে বসত তাদের সমস্যাগুলো শুনতে। তখন কেসের আলোচনা শুনতে শুনতে আমি মুগ্ধ হয়ে দেখতাম ফেলুদার মনোসংযোগ আর বুদ্ধিদীপ্ত চাউনিকে।
“সাহাব” ড্রাইভারের ডাকে বাইরে চেয়ে দেখলাম বাড়ির গেটে এসে পৌঁছে গেছি। কোনো রকমে ড্রাইভারকে টাকা দিয়ে জোরে পা চালিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠে বারান্দা বরাবর সোজা গেলাম দক্ষিণে। দরজার বাইরে থেকে দেখলাম ফেলুদা হেলান দিয়ে বসে ট্যাবে কিছু পড়ছে। আমি প্রায় হুড়মুড়িয়ে ওর ঘরে ঢুকে বিছানায় গিয়ে ওর মুখোমুখি বসতেই আমায় একটা লিমেরিক শোনাল ফেলুদা
“জীবন চলেছে ছুটে একরোখা ছন্দে
আমরা রয়েছি বেঁচে নিজ ভালোমন্দে
দিনরাত রাতদিন
একঘেয়ে ঘিনঘিন
সাসপেন্স খুঁজে নিই সব দ্বিধা দ্বন্দ্বে।।”
ফেলুদার মাথায় সময় বিশেষে বিশেষ রকম ঝোঁক দেখা দেয়। কখনও কিউরিও শপে গিয়ে ইতিহাস খুঁড়তে থাকে, কখনও তাস হাতে নিয়ে হাতসাফাই অভ্যাস করে, আবার কখনো লিমেরিক লেখায় মন বসায়। এইমুহূর্তে বোধ হয় …
“কিছুক্ষণ আগে লালমোহন বাবু ফোন করেছিলেন। ওর সঙ্গে কথা বলার পর ফোন রেখে এই লিমেরিকটা লিখে ফেললাম। কেমন লাগল?” আমার ভাবনাকে ছিন্ন করে বলে উঠল ফেলুদা।
আমি মুচকি হেসে বললাম “দারুণ। এ হল গিয়ে ফেলুদার সিগনেচার লিমেরিক।”
“বুঝলি তোপসে, আমার অবস্থা হয়েছে সেই লিমেরিকের মতো। দিনরাত রাতদিন সেই একঘেয়ে জীবন কাটিয়ে চলেছি।” বলে ট্যাবটা বন্ধ করে পাশে রাখল ফেলুদা।
ওর কথাটা শুনে আমার ভেতরে একটা আশার আলো ঝিলিক দিল। মনে হল, এটাই উপযুক্ত সময়, বলে ফেলি ঘোষাল বাড়ির কথাটা।
ঠিক তখনই আমায় আড়চোখে দেখে ফেলুদা কিছু একটা আন্দাজ করে প্রশ্ন করল “চারমিনারের স্কুলের পিটিএম সেরে ফিরতে এতো দেরি হল কেন তোর? ওখান থেকে অন্যকোথাও গিয়েছিলি?”
আমার আট বছরের মেয়ের নাম মিনু। মিনু হয়েছিল যে বছর, সে বছর প্রথম ডাক্তারবাবু ফেলুদার সিগারেট খাওয়ার উপর লাগাম দিতে বলেছিলেন। তখন ফেলুদা নিজের প্রিয় সিগারেটের ব্র্যাণ্ডের নাম অনুসারে আমার মেয়ের নাম দিয়েছিল ‘চারমিনার।’ ফেলুদা বলত, একদিন যখন আমাকে সিগারেটকে পুরোপুরি ছাড়তে হবে, তখন এই চারমিনারকে নিয়ে সময় কাটাব আমি।
ঘড়ির দিকে চেয়ে বুঝলাম, দেড় ঘন্টার লেটটা ফেলুদার মাথায় অন্যকিছুর ইঙ্গিত দিয়েছে। তখন নিজের পেট হাল্কা করতে বলতে শুরু করলাম “ঢাকুরিয়ার দিকে গিয়েছিলাম।”
আমার বাকি কথার গতিরোধ করে ফেলুদা বলে চলল “৪৫ নম্বর, বাসব বাজার, ঢাকুরিয়া। এই ঠিকানায় নাকি সেই পাড়ার অমৃতাদের বাড়িতে গিয়েছিলি?”
আমি তো থ। কাকে কী বলতে এসেছিলাম! অস্ফুটে বললাম শুধু “তুমি জানলে কীকরে?”
“তোর জামার পকেটে বাসের টিকিট। সাধারণত বাসে তুই চাপিস না। খুব দরকার হলে চারমিনারের স্কুলে পিটিএম সেরে অটো ধরে মার্কেট সেরে ফিরিস। বাসের টিকিট বোঝাল, অন্যকোনও পথে গিয়েছিলি আজ। আর হ্যাঁ, ইন্সপেক্টর বাগচী ফোন করেছিলেন। একবার ওর সাথে দেখা করতে বললেন। বাসব বাজারের ঘোষাল বাড়ির খুনের কথাটা বললেন। তাই শুনে আন্দাজ লাগালাম, হয়তো চারমিনারের বেস্ট ফ্রেন্ড অমৃতার বাবার সঙ্গে স্কুলে তোর দেখা হয়েছে। আর গোয়েন্দাগিরির নেশাটা আমার মতো তোকেও ভেতরে ভেতরে উত্যক্ত করছে। সম্ভবত তাই বাসে চেপে সোজা ঢাকুরিয়ায় অমৃতাদের পাড়ায় অর্থাৎ কিনা বাসব বাজারের অকুস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলিস তুই।”
আমার মুখে আর কোনও কথাই নেই। বিনা বাক্যব্যয়ে আমার ঢাউস পেটটা নুইয়ে গেল। বাগচীর উপর মনেমনে দাঁত কড়মড় করে মুষড়ে যাওয়া গলায় বললাম “তাহলে তো সব জেনেই গিয়েছো?”
ফেলুদা মাথা দুদিকে নাড়াল।
“সব কি আর সহজে জানা যায় রে তোপসে? বাগচীর মতো মানুষরা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী মেপে কথা বলে। আমায় সংক্ষেপে বলল …এই কেসটার ব্যাপারে। জানাল ওকে উপরতলা চাপ দিচ্ছে। প্রসূন বাবু বেশ গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন। ভাষাবিষয়ক গবেষণায় ওঁর বেশ নামডাক হয়েছিল একসময়। রাস্ট্রপতি পুরষ্কারও পেয়েছিলেন নাকি।
তাছাড়া বললেন, ওঁর বড় ছেলে এলাকায় প্রভাবশালী প্রোমোটার। ছোটো ছেলে নিজের দাদাকেই বাবার খুনের আসামি সন্দেহে থানায় ডায়েরি করেছে। কেসটাতে আমায় ঠিক কী জন্য দরকার, সেটা অবিশ্যি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি আমি।” গলায় ধোঁয়াশা নিয়ে বলল ফেলুদা। তারপর কিঞ্চিৎ হেসে বলল
“গোলকধাম রহস্যে তুই যখন মিস্টার দস্তুরের ছদ্মবেশটাকে ধরতে পেরেছিলি, আমি তখনই বুঝেছিলাম তোর মধ্যেও আমার মগজের রোগটা কিছুটা সংক্রমিত হয়েছে। যেমন সিধু জ্যাঠার অবর্তমানে তার ভাইয়ের ছেলে এখন নিয়মিত সেই নেশাতে কাগজ পড়ে আর সেরকম কিছু দেখলেই কাটিং করে চিপকে রাখে। কতকটা সেরকম।”
ফেলুদার কথাকে সর্বান্তকরণে স্বীকার করে এবার হেসে ফেললাম আমি। বললাম “সঠিক ধরেছো। এই ছাপোষা জীবনে একটু রহস্যের আঁচ না পেলে কেমন যেন হাঁপিয়ে উঠছি আজকাল। বেশ ক’বছর হল তুমি তো সেভাবে …”
আমায় থামিয়ে দিয়ে ফেলুদা বলল “ভালোই করেছিস। মগজটা না খেলিয়ে এমনি ফেলে রাখলে , ওতে মরচে পড়ে যায়। আজকাল সেরকম রহস্য আর পাই কোথায়? সবই তো ফরেন্সিকের আওতায় সমাধান হয়ে যাচ্ছে।” বলে একগাল হাসল ফেলুদা। তারপর পদ্মাসনে টানটান হয়ে বসে আমায় বলল
“এবার তুই বল দেখি, কী কী জানতে পারলি ও বাড়ি সম্পর্কে।”
ফেলুদার কথায় আমি বুঝে গেলাম, ঢাকুরিয়া কেসে ফেলুদা ইন্টারেস্টেড। আমিও একপা ভাঁজ করে জমিয়ে খাটের স্ট্যান্ডে হেলান দিয়ে বসে বলতে শুরু করলাম “ব্যাপারটা আমিও তোমার মতো প্রথম টিভিতেই দেখেছিলাম। তাও ছোটোর উপর দিয়ে। আজ অমৃতার বাবা অনিমেষ বাবু স্কুলে এসে আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমার মেয়ে কেমন পড়াশুনা করছে, ওর মেয়ের হালহকিকত কী … এসব আগডুম বাগডুম কথা হতে হতেই সেই খুনের প্রসঙ্গ তুললেন ও। তখন কথায় কথায় জানতে পারলাম মৃত ব্যক্তি প্রসূন ঘোষালের বাড়ি ওদের পাড়াতেই। তারপর আমিই কৌতুহলী হয়ে ব্যাপারটার গভীরে ঢুকতে চাইলাম। অনিমেষ বাবু তোমার পরিচয় জানত। তাতে করে আমার আগ্রহের ইঙ্গিতটাও বোধ করি আন্দাজ করতে পেরেছিলেন। তখন বললেন, একবার ওই বাড়িটা বাইরের দিক দিয়ে দেখে আসবেন নাকি? মনে করে দেখলাম, এখন হাতে তেমন কাজ নেই। তাই সময়ের আনুকুল্যে প্রস্তাবটা মনে ধরল। বাসে চেপে ওর সঙ্গে গিয়ে ঘোষাল বাড়িটা দেখে আসলাম। ফেরার পথে খালি ভাবছিলাম, কখন তোমায় সবটা বলব।”
“এবার ঘোষাল বাড়ির অন্দরমহলের কথা বল।” বুঝলাম ফেলুদা ঘোষাল বাড়ির ইতিবৃত্ত জানতে চাইছে।
“বাড়িটা দোতলা, বেশ পুরানো। পাঁচিল ঘেরা, সামনে লোহার গেট। বাড়ির চারপাশে টুকটাক বাগান আছে। বর্তমানে ঘোষাল বাড়ির মোট সদস্যসংখ্যা একটি চাকর সহ ৭ জন। মৃত প্রসূন ঘোষাল ছিলেন বাড়িতে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। পেশায় ও নেশায় ভাষাবিদ ছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময় প্রায় আশি বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। গত পাঁচ ছয় মাস ধরে বার্ধক্যজনিত বিবিধ অসুখে ভুগছিলেন প্রসূন বাবু। তবে উনি নাকি বেশ শক্তপোক্ত মানুষ ছিলেন। এক দেড় বছর হল অ্যালোপ্যাথি ওষুধ ধরেছিলেন। এর আগে হোমিওপ্যাথিই চলত। অনিকেতের জেঠুই ওর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করতেন। প্রসূন বাবুর দুই ছেলে সুমন ও রমেন, আর দুই মেয়ে সবিতা ও অনিতা। সবাই বিবাহিত। বড় ছেলে এলাকায় প্রভাবশালী প্রোমোটার। ছোটো ছেলে কাপড়ের একটা ঘরোয়া ব্যবসা করে। তবে পরের জেনারেশনে কেউই প্রসূন বাবুর মতো মেধাবী হয়নি। হেঁসেলে এক হাঁড়ি চড়লেও দুই ভাইয়ের মধ্যে সদ্ভাব তেমন নেই। বড়ছেলের একমাত্র মেয়ে রুবি, এ বছরের গোড়ার দিকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরি নিয়ে পুনেতে চলে গেছে। ছোটো ছেলের এক ছেলে শুভ্র, আর এক মেয়ে ববি বাড়িতেই থাকে। এদের পড়াশুনা চলছে। এদের মধ্যে ববি হল অমৃতার বন্ধু। এক টিচারের কাছে নাচ শিখতে যায়।
এই ঘোষাল বাড়িতে দুটো অকাল মৃত্যু হয়েছিল। ছয় বছর আগে বাড়ির ছোটো বৌ মারা গিয়েছিল। আর নয় বছর আগে প্রসূন বাবুর বড় মেয়ে জামাই অ্যাক্সিডেন্টে মারা গিয়েছিল। তার একমাত্র ছেলে সঞ্জীবও এ বাড়িতেই থাকে। শোনা যায়, অন্দরমহলে সব মাতৃহারা সন্তানদের একা হাতে সামাল দেন বাড়ির বড় বৌ রুমা দেবী। প্রসূন বাবুর ছোটো মেয়ে বাবার অমতে বিয়ে করায়, এ বাড়িতে প্রায় আসে না বললেই চলে। বিয়ের পর থেকেই সে স্বামী কন্যাসহ মুম্বাইবাসী। আর আছে এক অল্প বয়স্ক চাকর মিলু।”
ফেলুদাকে দেখলাম আমার কথার মাঝেই খাট থেকে নেমে উঠে গেল। আর নিজের হিজিবিজি লেখার ডায়েরি আর পেনটাকে হাতে করে নিয়ে টেবিল সংলগ্ন চেয়ারটায় বসল। আমি বুঝে গেলাম, ওতে ঘোষালদের ফ্যামিলি ট্রি আঁকা হবে। এরপর কেসটার গভীরে ঢুকলে, ছকে লেখা এক একটা নাম ধরে নিজের মতো করে যুক্তিতর্ক জুড়বে আর মুছবে ও। কিছুক্ষণের মধ্যে খসখস করে কীসব লিখে ফেলুদা বলল “নে, এবার বল খুনটা কখন হয়? কে প্রথম দেখতে পায়?”
এবার আমার স্টক ফুরিয়ে এসেছিল। আমতা আমতা করে বললাম “যতটকু বুঝছি, একটা রহস্যময় সিন্দুক আছে ও বাড়িতে। কম্বিনেশনে লকড। তাকে ঘিরেই খুনের মোটিভ। এরপর জানতে হলে বাড়ির ভেতরে গিয়ে ঢুকতে হবে।”
ফেলুদা উঠে গিয়ে একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে বলল “আবার সেই ত্রিনয়ন ও ত্রিনয়ন কেস। সিন্দুকের কম্বিনেশন! এইবার মিঃ বাগচীর আমাকে ডাকার কারণটা যেন কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি।” বলে পর পর দুবার ধোঁয়ার রিঙ হাওয়ায় ছুঁড়ল ফেলুদা।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেলুদাকে দেখলাম পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে ফোন লাগাল। আমি উৎকীর্ণ হয়ে রইলাম। এদিক থেকে ফেলুদার গলায় কিছুক্ষণ পরপর শুনতে পেলাম …
“মিঃ বাগচী, আমরা একঘন্টার মধ্যেই আসছি।”
“পোস্টমর্টেম হয়েছিল তো?”
“বেশ, সেই রিপোর্টের ব্যাপারে কিছু জানব। আর … আপনার ওখান থেকেই সোজা চলে যাব ওই বাড়িতে।”
শেষে মুচকি হেসে বলল “সে আপনি ভাববেন না, ঘোষাল বাড়িতে ঢোকার জন্য পরিচয় কিছু একটা জুটিয়ে নেব ক্ষণ।” বলে ফোনটা রেখেই আমার দিকে না ফিরে ওয়াড্রব থেকে নিজের জামা বের করতে করতে ফেলুদা বলল “শিগগির তৈরি হয়ে নে। এখন বেরলে বেলা থাকতে থাকতে সব সেরে একবার লালমোহন বাবুর বাড়িতে ঢু মেরে আসব। এতোদিন পর রহস্যের গন্ধ পেলে, উনিও বেশ খুশি হবেন।”
কথাগুলো শুনতে শুনতে আমি অনেকদিন পর আবার সেই আগের উদ্যমে দেখলাম ফেলুদাকে।
(ক্রমশ)
(সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে তাঁর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা অর্পণ করে, সামান্য প্রচেষ্টা করলাম)