#সুখের_নেশায়,পর্ব_১
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
পাত্রপক্ষ যখন চৈত্রিকার বয়সের ত্রুটি ধরতে ব্যস্ত তখন চৈত্রিকার সম্পূর্ণ নজর কেবল পাত্রের পাশে ভাবলেশহীন, স্থির বসে থাকা ভালোবাসার মানুষটার দিকে। অন্তঃস্থল প্রচন্ড কাঁপছে তার। ক্রমাগত ভারী হয়ে আসছে শ্বাস। আঁড়চোখে, বিমূর্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মানুষটার দিকে। খুশিতে চোখে ভিড় জমিয়েছে জল। এত বছর!এত বছর পর মানুষ টা কে দেখতে পেয়েছে। আচ্ছা মানুষ টা কি তাকে চিনতে পারে নি?নাকি সে ভুল চিনেছে?
গম্ভীর কন্ঠের ডাক কর্ণপাত হতেই চৈত্রিকা নড়েচড়ে উঠল। বাবার দিকে দৃষ্টি ফেলে পরমুহূর্তেই নত করে ফেলল মাথা। ব্যাথায় বিষিয়ে আছে মন। হাত টা ওড়নার নিচে লুকিয়ে মুঠো করে রাখল। বাবার দিকে তাকানোর সাহস নেই তার। সকালের আঘাতের কথা মনে পড়লেই চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। নিজের শ্বাস নিজেই বন্ধ করে মরে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছা জাগ্রত হয় তার মাঝে। কিন্তু হায় সে তো নিরুপায়। আত্মহত্যা করার কল্পনা মনে মনে হাজার বার করলেও তাকে বাস্তবতায় রূপ দেওয়ার সাহস তার নেই। বাবা নামক মানুষ টা তার জীবনে অভিশাপ ব্যতীত কিছুই নই।
‘ দেখুন আপনাদের মেয়ের বয়স বেশি। ছাব্বিশ বছরের একটা মেয়েকে আমি আমার ছেলের বউ করে নিতে পারব না। আপনারা চাইলে আপনাদের ছোট মেয়ের ব্যাপারে আগাতে পারি আমরা।’
সামনে বসে থাকা ভদ্রমহিলার কথা শুনে চৈত্রিকা তাচ্ছিল্য হাসল। মাথা নত রেখেই হাসল সবার অগোচরে। সবাইকে দেখিয়ে হাসার মতোন সাধ্য তার নেই। এই যে ভদ্রমহিলা তার বয়স নিয়ে ত্রুটি ধরল সে চাইলেই অনেক কথা শুনিয়ে দিতে পারে। তারপর কি হবে?তার মাথার উপর থেকে ছাদ চলে যাবে,রাস্তায়-ফুটপাতে কাটবে রাত। রাত কাটবে কিনা তাতেও সন্দেহ আছে। একা একটা মেয়েকে গভীর রাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো পুরুষ মানুষের এই ঢাকা শহরে খুবই অভাব। রূপে,গুণে তো কোনো ত্রুটি নেই চৈত্রিকার। ত্রুটি কেবল বয়সে। চৈত্রিকার মা ছলছল নয়নে মেয়ের দিকে চাইল। নত মস্তকে বসে থাকা মেয়েটার রূপের কমতি নেই। গায়ের রং অত্যাধিক ফর্সা বললেও ভুল হবে কারণ তার চেয়ে অধিক মায়া লেপ্টে আছে পুরো মুখে। তবুও কেন এই সমাজ তার বয়স টা-ই বিবেচনা করছে?মায়া টা কি চক্ষে বিঁধে না?
মেয়েটা গত কয়েক বছরে হেসেছে কিনা তা কেউ দেখে নি। স্বামী কে বার বার মেয়ের বিয়ের কথা বললে তিনি এক কথায় বলে দিতেন এই মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব তিনি নিতে পারবেন না। যেখানে বাবা হিসেবে দায়ভার নেন নি কখনও, বিয়ের দায়িত্ব নিবে এটা আশা করাও বৃথা। মেয়ের একাকিত্ব জীবনে ধুঁকে ধুঁকে মরে যাওয়া টা সহ্য করতে না পেরে স্বামীর পায়ে পড়তে দ্বিধাবোধ করেন নি তিনি। মা হিসেবে মেয়ের একটুখানি সুখ চাই। কিন্তু একের অপর এক পাত্রপক্ষ রিজেক্ট করে যায় চৈত্রিকা কে বয়সের দোহাই দিয়ে।
চৈত্রিকার বাবা আহমেদ উঠে দাঁড়ালেন৷ থমথমে গলায় বললেন,
‘ আমার মেয়ে এখনও ছোট। ইন্টার পরীক্ষা দেওয়ার পর ওর বিয়ের চিন্তাভাবনা করবো। চৈত্রিকা কে আপনাদের পছন্দ নাহলে আসতে পারেন।’
ছেলের মা মুখ বাঁকিয়ে বলে উঠলেন,
‘ এটার মতো ছোট টাকে ও বুড়ি বানাবেন নাকি!নিজ থেকে আপনাদের মতো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে ছেলের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি তা আপনাদের সাত জনমের ভাগ্য। ভেবে দেখবেন ছোট মেয়েটার ব্যাপারে।’
জামা খামচে ধরে বসে রইল চৈত্রিকা। মহিলার হৃদয়ক্ষত করা বাক্য তার হৃদয় ক্ষত করতে ব্যর্থ। যেই হৃদয়ে আগে থেকেই বিশাল বড় ক্ষতের সৃষ্টি তাতে নতুন ক্ষতের প্রভাব পড়ে না খুব একটা। চোখ দিয়ে এক ফোঁটা অশ্রুও গড়ালো না। গড়তে দেয় নি চৈত্রিকা। নিজের প্রাণ টিকিয়ে রাখতে হলে তাকে এমন হাজারো তীক্ষ্ণ বাক্য শুনতে হবে। শুনেই আসছে সর্বদা। তাই আজকাল চোখের অশ্রুকণা গুলোকে বড্ড দামী মনে হয় তার। যা কিছু জঘন্য, নিচু মনমানসিকতার মানুষের জন্য একদম ঝরতে দিবে না সে।
চৈত্রিকা তার অতি পরিচিত মানুষটার দিকে মুখ তুলে তাকালো। তারই দিকে তুখোর দৃষ্টিতে চেয়ে আছে সাফারাত। এক পলক চেয়ে সাফারাত উঠে দাঁড়াল। বিরক্তিকর ভঙ্গিতে বলে উঠল,
‘ আন্টি আপনার যেহেতু এই মেয়েকে দিহানের জন্য পছন্দ হচ্ছে না তাহলে এখানে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। আমার জরুরি মিটিং আছে বিকালে। আপনার অনুরোধে সাথে আসলাম। এখন যেতে হবে।’
এই মেয়েকে!কতটা অচেনা প্রকাশ করলে মানুষ এই মেয়ে বলে সম্বোধন করতে পারে!এতসময় অব্দি কঠোর হয়ে থাকা চৈত্রিকার ভিতর টা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে কেউ চিৎকার করে বলছে তুই মরে যেতে পারিস না চৈত্রিকা?কেন ক্লান্ত হোস না নিজের এই মরিচীকার ন্যায় জীবনটা নিয়ে?সকলে বেরিয়ে যাচ্ছে দরজা দিয়ে।সেই সাথে চলে যাচ্ছে এতগুলো বছর পর দেখতে পাওয়া ভালোবাসার মানুষ টা।
চৈত্রিকা উঠে দাঁড়াল। ড্রইং রুমে উপস্থিত বাবা-মা,বোন কে অগ্রাহ্য করে দৌড়ে এল বেলকনিতে। চোখ দুটো নিক্ষেপ করল নিচের দিকে। গাড়িতে বসে পড়ল সাফারাত। একটা বার ফিরেও তাকালো না। দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছে চৈত্রিকা। চোখের সামনে ভাসছে শুধু গাড়িটির চলে যাওয়া। কালো শার্ট পরিহিতা,সুঠাম দেহের অধিকারী, ফর্সা,গম্ভীর যুবকের সাথে বহু বছরের আগের সাফারাতের মিল পাচ্ছে না সে। তবুও তার মন বলছে এটা সাফারাত। তার কিশোরী মনে প্রথম প্রণয় সৃষ্ট করা সেই যুবক। কিন্তু প্রশ্ন একটা থেকেই যায় সাফারাত কেন তাকে চিনল না?এতো কাছের হয়েও কি চিনতে ভুল হয়?কই তার তো হয় নি। হয়তো চিনতে পারে নি আকস্মিক দেখায়। যে করে হোক সাফারাতের সাথে যোগাযোগ করতে হবে তার।
ধীর পায়ে হেঁটে এসে চৈত্রিকা মায়ের রুমের সামনে দাঁড়াল। দরজা হালকা করে ভেজানো। নক করতে ভয় হচ্ছে তার,যদি বাবা থাকেন ভিতরে!এমনিতেই তার ছায়া দেখলেই যেন বাবার চোখে মুখে বিরক্তি ফুটে উঠে। তবে ফিরে যাবে না সে। সাহস জুগিয়ে নক করল। ভিতর থেকে মায়ের কন্ঠ শুনে দরজা ঠেলে প্রবেশ করল রুমে। তার মা বিছানায় বসে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে নিরবে। মুহুর্তেই বুকে পাথর সমান ওজন অনুভব করল সে। মনে মনে বললো,
আমার জলেই টলমল করে আঁখি
তোমার চোখের অশ্রু কোথায় রাখি?(নির্মলেন্দু গুণ)
মায়ের পাশে গিয়ে বসল সে। রুমের চারদিকে চোখ বুলিয়ে ক্ষীণ স্বরে বললো,
‘ আজ যেই পাত্রপক্ষ আমাকে দেখতে এসেছিল তাদের ঠিকানা টা দেওয়া যাবে মা?অথবা ছেলেটার নাম্বার?’
সন্দিহান, অবাক দৃষ্টিতে তাকালো চৈত্রিকার মা। নরম কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
‘ কেন চৈত্রি?তুই তাদের উল্টা পাল্টা বলতে যাস না। তোর বাবা মেরে ফেলবেন।’
‘ চিন্তা করো না মা। এমন কিছুই না৷ বিশ্বাস রাখতে পারো আমার উপর।’
দিহানদের বাড়ির এড্রেস লিখে চৈত্রিকার হাতে ধরিয়ে দিল তার মা৷ বিনা বাক্যে কাগজ টা নিয়ে চৈত্রিকা রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে এলো। গায়ের কাপড় পাল্টে ব্যাগে নিয়ে বের হওয়ার পূর্বে মিম দৌড়ে এসে বললো,
‘ কোথায় যাচ্ছিস আপু?’
‘ সুখের খোঁজে।’
‘মানে?’
‘ কিছুই না। টিউশনি তে যাচ্ছি।’
_________
দিহানের অফিসে বসে অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত চৈত্রিকা। কাঁচের জানালা দিয়ে বাহিরে নজর যেতেই দেখল দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়েছে। এই তো ঘন্টা খানেক আগে দিহানের পরিবার তাকে রিজেক্ট করে এসেছে,অপমান করেছে। অথচ সে মান সম্মানের তোয়াক্কা না করে সেই দিহানের কাছেই ছুটে এসেছে। তৎক্ষনাৎ বুক চিরে বেরিয়ে এল দীর্ঘশ্বাস। মা অফিসের এড্রেস দিয়েছিল। তাই সরাসরি অফিসেই এল সে। একটা মেয়ে এসে বললো দিহান পারমিশন দিয়েছে ভিতরে যাওয়ার। বিলম্ব না করে দ্রুত গতিতে কেবিনে ঢুকল সে।
ফাইলে মুখ ডুবিয়ে রেখেছিল দিহান। চৈত্রিকা কে দেখা মাত্র চমকে উঠল। তড়িঘড়ি করে বললো,
‘আপনি?’
‘ আমাকে সাফারাতের এড্রেস টা দিন প্লিজ!’
সরাসরি অনুরোধ করে কিছু চাওয়ায় বিস্মিত হয়ে পড়ল দিহান। ভালো করে একনজর তাকালো চৈত্রিকার দিকে। মেয়েটাকে তার ভালো লেগেছিল খুব৷ কিন্তু তার মায়ের পছন্দ হয় নি। বাবা নেই, মাকে নিয়ে তার জীবন। ফলস্বরূপ মায়ের মতামত অমান্য করতে পারে নি।
‘ সাফারাত কে আপনি কিভাবে চিনেন?’
‘ পরে বলব। আগে এড্রেস টা দিন দয়া করে। ‘
দিহান ভ্রুঁ কুঁচকে এড্রেস টা দিয়ে দিল। চৈত্রিকা বেরিয়ে যাবার পর সাফারাত কে ফোন দিতে গিয়েও দিল না। রাতে তো দেখা হবেই।
_______
এতো বড় বাড়ি সাফারাত দের তা জানতো না চৈত্রিকা। বহু কষ্টে ভিতরে ঢুকতে পেরেছে। দারোয়ান দিচ্ছিল না। দুই পাশে ফুলের বাগান মাঝে লম্বা একটা রাস্তা,যা সোজা বাড়ির সদর দরজা পর্যন্ত। ভয়ার্ত মন নিয়ে দরজা পর্যন্ত এসে থমকে গেল। ভিতরে উঁকি দিতেই হতবাক। বাহিরের চেয়ে ভিতর টা অধিক পরিমাণে সুন্দর।
‘ হু আর ইউ?’
আচমকা মেয়েলি তীক্ষ্ণ কন্ঠে হকচকালো চৈত্রিকা। পিছিয়ে গেল কয়েক কদম। সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটা মেয়ে। নিচ হতে উপর পর্যন্ত তার পুরো দেহে চোখ বুলালো মেয়েটা। কাঠ কাঠ গলায় বলে উঠল,
‘ জবাব দিচ্ছেন না কেন?’
‘ আমি চৈত্রিকা। সাফারাত এই বাড়িতেই থাকে?’
কপাল কুঁচকে তাকাল মেয়েটা। ক্রুব্ধ কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
‘ তুমি কি সাফারাতের অফিসের কর্মচারী?ওয়েট আমি জানাচ্ছি। ভিতরে এসে বসো।’
বলেই দ্রুত প্রস্থান করল মেয়েটা। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে চৈত্রিকা দাড়িয়ে রইল এক কোণে। সার্ভেন্ট রা কাজ করছে অথচ কেউই তার দিকে ফিরে তাকাচ্ছে না। অদ্ভুত লাগছে সবকিছু। সিঁড়ির দিকে চোখ যেতেই দেখতে পেল শার্টের হাতা ফোল্ড করে নেমে আসছে সাফারাত। নিমিষেই চৈত্রিকার সব ভয় দূর হয়ে গেল। এই ছেলের সান্নিধ্যে একদমই ভয় হয় না তার। খুশিতে সিঁড়ির কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়াল সে।
সাফারাত নিচে এসে স্থির হলো। তাকে দেখে ভ্রুঁ জোড়া স্পর্শ করল কপাল। কন্ঠে গম্ভীরতা এঁটে বলে উঠল,
‘ কে আপনি?’
পুরো দুনিয়া কিছু সেকেন্ডের জন্য যেন থমকে গেল চৈত্রিকার। ঠোঁটে কার্ণিশে বহমান হাসি টা উদাও হয়ে গেল। ব্যথিত চাহনি নিক্ষেপ করল সাফারাতের দিকে।
‘ আমি চৈত্রি। তোমার মনে নেই? সিলেটের কথা ভুলে গেছো?তোমার হয়ত মনে নেই এতো বছরে। আজ দুপুরেও তো তুমি আমাদের বাসায় গিয়েছিলে তোমার ফ্রেন্ড দিহানের সাথে।’
‘ প্রথমত আমাকে তুমি করে বলা বন্ধ করুন৷ হুট করে অপরিচিত মেয়েদের মুখ থেকে তুমি ডাক টা মানায় না। নিঃসন্দেহে এটা অভদ্র মেয়েদের পরিচয়। দ্বিতীয়ত আমি আপনাকে খেয়াল করি নি দুপুরে। এখন আপনার কথায় বুঝতে পেরেছি আপনি সেই মেয়ে, যাকে রিজেক্ট করে এসেছিলেন আন্টি। আপনি আমার কাছে কেন এসেছেন?’
চৈত্রিকার চোখ ঝাপসা হয়ে এসেছে। ভীষণ অপমান অনুভূত হলো তার। জল গড়িয়ে পড়া শুরু করে দিয়েছে চোখের মণিকোঠা হতে। কোনো কিছু না ভেবে সাফারাতের শার্ট টা টেনে ধরল নিদারুণ অধিকারবোধ নিয়ে।
‘ ভালো করে তাকিয়ে দেখো। চিনতে পারছো না নাকি ভান করছো?’
আয়েশি ভঙ্গিতে হাতের মুঠো থেকে শার্ট ছাড়িয়ে ঝারি মেরে চৈত্রিকা দূরে ঠেলে দেয় সাফারাত। পড়তে পড়তে নিজেকে সামলে নিল চৈত্রিকা। চারদিকে চোখ ঘুরাতেই দেখল পুরো ড্রইং রুমে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে গেছে। এতক্ষণ তো কেউ ছিল না। হয়ত এখানে উপস্থিত ছিল না। চৈত্রিকা টলমল চক্ষু ফেলতেই সাফারাত রোষপূর্ণ অগ্নিময় চাহনি নিক্ষেপ করল। ঝাঁঝালো দৃষ্টিতে বলে উঠল,
‘ গেট আউট ফ্রম মাই হাউজ। এই মেয়েকে বের করে দিন।’
কথাটা বলে একমুহূর্তও অপেক্ষা করল না সাফারাত। একজন গার্ড চৈত্রিকার হাত ধরে টান দিতেই সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ঘাড় কাত করে চাইল সাফারাত। গার্ড টা হাত ছেড়ে দিয়ে একজন মহিলাকে ইশারা করল চৈত্রিকা কে বাহিরে বের করে দিতে। চৈত্রিকা নড়ছে না, দাড়িয়ে আছে ঠাঁই। টলমল চক্ষু জোড়া নিয়ে তাকিয়ে রইল সাফারাতের অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত। পরক্ষণেই গাল ব্যাথায় টনটনিয়ে,,
#চলবে,,!