সেই তুমি?
পর্ব -১৯
Samira Afrin Samia(nipa)
পুরো রুমে স্তব্ধতা বিরাজ করছে। নাজমা চৌধুরীর দু চোখের পানি গাল বেয়ে ইয়াশের হাতের উপর পড়লে ইয়াশ তার মায়ের দিকে তাকিয়ে কিছু না বলে নাজমা চৌধুরীর চোখের পানি মুছে দেয়।
— ইশিতা এখন কোথায় ইয়াশ?
— ও নিচেই আছে মা।
— মেয়েটা না জানি কত কিছু সহ্য করেছে। আমি জানি সমাজের মানুষ গুলো কেমন হয়। তারা অন্য কে ছোট করার জন্য কতটা নিচে নামতে পারে।
— মা তুমি মন খারাপ করো না। আর ইশিতা এখন ঠিক আছে। ও আগের সব কিছু ভুলার চেষ্টা করছে।
— ইয়াশ তুই আমার কাছে সত্যি করে বল কে ইশিতার সাথে এমন করেছে। আমার থেকে কিছু লুকাবি না।
— কি দরকার আগের কথা মনে করার?
— তোকে বলতে বলছি। এক কথা এক বার বললে হয় না?
বার বার বলা লাগে কেন?ইফান মনে মনে ভিষণ ভয় পাচ্ছে। নাজমা চৌধুরী সব কিছু জেনে গেলে কিছুতেই ইফান কে হ্মমা করবে না।
ইয়াশ ইফানের দিকে তাকাচ্ছে বার বার। ইফানের চোখে ভয়ের ছাপ স্পর্শ দেখতে পাচ্ছে ইয়াশ। তাই ইয়াশ নাজমা চৌধুরীর কাছ থেকে সব কিছু লুকাতে চেয়ে কথা এড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
— কি হলো তোকে বলতে বলছি। তুই বার বার ইফানের দিকে তাকাচ্ছিস কেন?
এখন কি আমার কাছে কোনো কথা বলার জন্য তুই ইফানের থেকে পারমিশন নিবি?
— মা থাক ওসব। আমি অফিসে যাবো। আমার লেট হচ্ছে।
ইয়াশ রুম থেকে বের হতে নিলে
নাজমা চৌধুরী পেছন থেকে ডেকে
— তোকে আমার কসম লাগে। তুই আজ আমার থেকে কিছু লুকাবি না। ইশিতা আমার ছেলের বউ। এই চৌধুরী বাড়ির বড় বউ। ওস সম্পর্কে সব কিছু জানার আমার অধিকার আছে।
ইয়াশ নাজমা চৌধুরীর কথা শুনে দরজার সামনে গিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে গেল। ইয়াশ এক পা ও নড়তে পারছে না। নাজমা চৌধুরী ইয়াশ কে নিজের কসম দিলো এখন ইয়াশ কি করে সব কিছু না বলে থাকবে?
— আমি জানি তুই অতন্ত্য আমার সাথে মিথ্যে বলবি না। কি হলো বল বাবা।
ইয়াশ কিছু ভেবে না পেয়ে বাধ্য হয়ে একসময় নাজমা চৌধুরীর কাছে সব কিছু বলে দিলো।ইফান কিভাবে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইশিতার সাথে ভালোবাসার নাটক করে ওকে ধোঁকা দিয়েছে। বন্ধুদের সাথে প্লেন করে কিভাবে কি কি করেছে তা সব প্রথম থেকে এক এক করে নাজমা চৌধুরীর কাছে বলেছে ইয়াশ। ইশিতার গর্ভে ইফানের সন্তান এটা জেনেও ইফান এই সন্তান কে অস্বীকার করেছে। বাচ্চা টার দায়িত্ব নেওয়া থেকে পিছুপা হয়ে গেছে। ইশিতা কে একা ছেড়ে দিছে সমাজের মানুষ গুলো অপমান ও লাঞ্ছনার স্বীকার হওয়ার জন্য।
সব কিছু শুনে নাজমা চৌধুরী স্তব্ধ হয়ে বসে আছে। মুখে কোনো কথা আসছে না। নিজের পেটের সন্তান এমন একটা জঘন্য কাজ করতে পারবে এট নাজমা চৌধুরী কোনো দিন স্বপ্নে ও কল্পনা করেননি। ছোট থেকে ইফান কে নিয়ে কত কষ্ট করেছে নাজমা চৌধুরী। তার পর ও ইফানের উপর একটু আঁচ আসতে দেয়নি। কত করুন পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে কতো কষ্ট করে ইফান কে বড় করে তুলেছে। এতো কষ্টের পর আজ এমন একটা দিন দেখতে হবে তা নাজমা চৌধুরীর জানা ছিল না।
নাজমা চৌধুরী ইফানের দিকে তাকিয়ে আছে। ইফান মাথা নিচু করে পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। নাজমা চৌধুরীর দু’চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। নাজমা চৌধুরী এটা ভেবে কাঁদছে উনার এতো দিনের কষ্ট বিফলে গেল। যে শিক্ষা দিয়ে ইফান কে গড়ে তুলতে চেয়েছিল। সে শিক্ষা উনি ইফান কে দিতে পারেন নি। ইফান এমন হয়েছে এটা উনার ই ব্যথতা। নাজমা চৌধুরী বসা থেকে উঠে এক পা দু’পা করে ইফানের দিকে এগুচ্ছে।
ইয়াশ নাজমা চৌধুরী কে ইফানের দিকে যেতে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে গেল।
— মা!
ইয়াশের ডাকে নাজমা চৌধুরী সাড়া শব্দ না করে ইফানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।ইফান নাজমা চৌধুরী কে ওর কাছে আসতে দেখে মাথা উপরে তুলে নাজমা চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে
— মা আমার কথা টা ও তো একবার শুনবে।
নাজমা চৌধুরী সাথে সাথে ইফানের গালে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। ইফান থাপ্পড় খেয়ে গালে হাত দিয়ে ওর মা’র দিকে তাকিয়ে আছে।
ইয়াশ নাজমা চৌধুরীর কাছে এসে উনাকে ধরে
— মা এসব কি করছো তুমি? তুমি ইফানের গায়ে হাত তুললে?
নাজমা চৌধুরী কান্নায় ভেঙে পড়ে
— আমার নিজের সন্তান এমন হবে এটা আমি কখনও ভাবতে পারিনি। আমি যদি আগে জানতাম আমার পেট থেকে এমন একটা অমানুষ জন্ম নিবে তাহলে আমি কখনও ই একে গর্ভে ধরতাম না এই দুনিয়াতে আনতাম না। আল্লাহর কাছে এটাই চাইতাম আল্লাহ যেন কখনও আমাকে মা না বানায়।
মায়ের দায়িত্ব সন্তান কে সঠিক শিক্ষা দিয়ে আদর্শ মানুষ করে গড়ে তুলা। আমি পারিনি আমার সন্তান কে সঠিক শিক্ষা দিতে। আমি পারিনি আমার সন্তান কে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। এটা আমার ই তো ব্যর্থতা। আমি ই হয়ত মা হওয়ার যোগ্যতা রাখি না।
— মা এমন করে বলো না ইফান বাচ্চা তাই বুঝতে পারেনি। মানছি ও ভুল করে ওই ভুলটা শুধরে না নিয়ে আরও বড় ভুল করেছে।
কিন্তু ও যতই ভুল করুক তাই বলে তো আমরা ওকে দূরে ঠেলে দিতে পারি না। ওর ভুল টা ধরিয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
— তুই আর ওর পহ্ম নিস না বাবা। আমি একটা অমানুষ জন্ম দিছি। তুই ওকে বল আমার সামনে থেকে চলে যেতে। আমি আর এক মুহূর্ত ও ওকে আমার চোখের সামনে দেখতে চাই না।
ইফান মনে মনে রাগে ফোসছে। ওর নিজের মা ওকে বিশ্বাস না করে একটা বাইরের মেয়েকে বিশ্বাস করে ওর থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সে যা করেছে তা যদি অন্যায় হয় তাহলে ইশিতা যা করেছে তা কেন অন্যায় হবে না?
ইশিতা আগে তাকে ধোঁকা দিয়েছে, শুধু ধোঁকা না সবার সামনে অপমান করেছে আর এজন্যই তো ইফান ইশিতার থেকে প্রতিশোধ নিয়ে ওকে ও ধোঁকা দিছে।
— আল্লাহ আমার কোন পাপের জন্য এই জানোয়ার টা কে আমার গর্ভে দিয়েছেন?
ইফান এবার রেগে গিয়ে
— অনেক হয়েছে মা। সেই কখন থেকে তোমরা শুধু আমাকে নিয়েই কথা বলে যাচ্ছো। আমার দোষ টা ই শুধু দেখে যাচ্ছো। ইশিতার কোনো দোষ তো তোমাদের চোখে পড়ছে ই না। আমি যদি কোনো দোষ করে থাকি তাহলে ইশিতা ও দোষ করেছে। আমি অপরাধী হলে ইশিতা ও সমান অপরাধী।
— কি বলতে চাইছিস তুই?
— আমি কি বলতে চাইছি তা তুই বুঝতে না পারলে কে বুঝতে পারবে ভাই?
তুই প্রথম থেকে সব কিছু জানিস।
তাহলে তো তোর এটাও জানার কথা কে কাকে আগে ধোঁকা দিছে। আমি ইশিতা কে আগে ধোঁকা দেয়নি। আমি তো ইশিতা কে মন থেকে ভালোবেসে ছিলাম। কিন্তু ও আমাকে ভালোবাসে নি। ও আমার সাথে শুধু মাত্র ভালোবাসার নাটক করেছে। আমি কি দোষ করেছিলাম যার কারনে ও ওই দিন ভার্সিটির সবার সামনে আমার গালে চড় মেরেছে। আমাকে অপমান করে ওর কি লাভ হলো? ও কেন আমার সাথে এমন করলো এটা কি একবার ও তোমরা ইশিতা কে জিঙ্গেস করেছো?
আমি নাকি ইশিতা কে বেড রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওর সাথে ভালোবাসার এক্টিং করেছি। শুধু ইশিতা কেন আমি নাকি আরও অনেক মেয়েদের সাথে রিলেশন করে ওদের কে বেড রুম পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে তাদের কে ছেড়ে দিছি।
আমি তো ইশিতার আগে অন্য কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে ভালো করে তাকাই ই নি।
তার পর ও ইশিতা আমার নামে এমন অপবাদ দিলো।
— ইশিতা তোর সাথে কেন এমন করেছে তা তুই একবার ও জানতে চাইলি না?
ওই কারণ টা খুঁজে বের করলি না যার জন্য ইশিতা তোকে থাপ্পড় মেরেছিল।
— ইশিতা নাহয় তোকে ভুল বুঝে তোর গালে একটা থাপ্পড় মেরেছে। তাই বলে তুই ওর সাথে এতো বড় অন্যায় করবি?
প্রতিশোধ নেওয়ার কি আর কোনো পথ ছিল না?
ইশিতা যা করেছে তা হ্মমা করা যায়। কিন্তু তুই ইশিতার সাথে যা করেছিস তা হ্মমার যোগ্য না।
তোদের দুজনের ভুল বুঝাবুঝির স্বীকার হয়ে একটা নিষ্পাপ শিশু কেন এই সমাজের মানুষের লাঞ্ছনার স্বীকার হবে?
— আমি তো ইশিতা কে বলিনি এই বাচ্চার জন্ম দিতে। ইশিতার ইচ্ছে হলে ও এ্যাবরেশন করিয়ে নিক। তাকে করে বাচ্চা টা ও দুনিয়াতে এসে কারো লাঞ্ছনার স্বীকার হবে না।আর ইশিতার ও বদনাম হবে না।
ইয়াশ ইফানের কথা শুনে রেগে গিয়ে ইফান কে একটা ঘুসি মারলো।
— তুই কি মানুষ? তোর ভিতরে মানুষের আত্মা নাকি জানোয়ারের?
তুই নিজের সন্তানের দায়িত্ব দিতে পারবি না বলে ওকে পৃথিবীতে আসতে দিতে চাস না।
আরে ইশিতা নাহয় তোর কেউ না কিন্তু ইশিতার গর্ভে তো তোর ই অংশ।
আর এখন তো তোকে কারো দায়িত্ব ই নিতে হবে না।
আমি ইশিতা কে ইসলামিক নিয়ম মেনে বিয়ে করেছি। এখন ইশিতা আমার ওয়াইফ। সে দিক দিয়ে ওর বাচ্চা আমার ও বাচ্চা। এই বাচ্চা আমার পরিচয় নিয়ে এ পৃথিবীতে আসবে। আমার নামে আমার পরিচয়ে বড় হবে। ওর প্রতি তোর কোনো দাবি থাকবে না। তুই কোনো দিন ওর সামনে ওর বাবার পরিচয় নিয়ে দাঁড়াতে পারবি না।
আমি জানি একদিন তুই ঠিকই তোর ভুল বুঝতে পেরে এই বাচ্চা টা কে আপন করে নিতে চাইবি। কিন্তু সে দিন আসা পর্যন্ত আর কিছুই করার থাকবে না।
— আমার কোন ইচ্ছে নেই এই বাচ্চা কে নিজের পরিচয় দিতে। তোর ইচ্ছে হলে তুই খুব করে এই বাচ্চা কে নিজের পরিচয়ে বড় করে তুল।
আর হ্যা ভাই কথায় কথায় আমার গায়ে হাত তুলবি না। হাত কিন্তু আমার ও আছে।
ইফানের কথায় নাজমা চৌধুরী রেগে চিৎকার দিয়ে
— ইফান তুই কি এখন বড় ভাইয়ের উপর হাত তিলবি?
— বড় ভাই যদি কথায় কথায় আমার গায়ে হাত তুলতে পারে তাহলে আমি কেন পারবো না।
ভাইয়ের কোনো অধিকার নেই আমার গায়ে হাত তুলার।
ইফানের কথা শুনে ইয়াশ হতভম্ব হয়ে গেল। যে ভাই কে ছোট থেকে নিজের বুকে আগলে রেখে মানুষ করেছে সে আজ তাকে মারার কথা বলছে।
নিজের বুক উজাড় করে ভালোবাসা দিছে আজ সে বলছে তাকে মারার অধিকার নেই।
ইয়াশের চোখে পানির বিন্দু গুলো চিকচিক করছে। শুধু চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে না।
— সত্যি ই বলেছিস তুই হাত তো তোর ও আছে। আর হ্যা তোকে মারার সত্যি ই আমার অধিকার নেই। আমার ভুল হয়ে গেছে ভাই।
বড় ভাইয়ের এই ভুলটা হ্মমা করতে পারবি না?
— ইফান তুই আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যা। আজ থেকে এ বাড়িতে তোর জন্য জায়গা হবে না।
— তোমার বাড়িতে থাকার আমার ইচ্ছে ও নাই। তুমি তোমার বড় ছেলে আর তার বউ কে নিয়েই থাকো। আমি এসব আদিখ্যেতা দেখে এ বাড়িতে থাকতে পারবো না। আর একটা কথা বলে দিয়ে যাচ্ছি যত দিন এ বাড়িতে ইশিতা থাকবে ততদিন আমি এ বাড়ির চৌকাঠে পা রাখবো না।
ইফান কথা গুলো বলে সাথে সাথে রুম থেকে বের হয়ে চলে গেল। এক বার ও পিছনে ফিরে দেখলো না। সবার আগে গল্প পড়তে আমাদের নীল ক্যাফের ভালোবাসা পেজের সাথেই থাকুন
নাজমা চৌধুরী কেঁদে যাচ্ছে। ইয়াশ ঠিক একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আজ যেন নাজমা চৌধুরী এক নতুন ইফান কে দেখলো। যে ইফানের সাথে আগে কখনও পরিচয় ছিলো না।
— ইয়াশ আমাদের ইফান টা এমন কি করে হয়ে গেল?
ইফান তো আগে এমন ছিল না। আমি তো ইফান কে এই শিক্ষা দিয়ে মানুষ করিনি তাহলে ওর এমন হলো কি করে?
— ইফান তো ওর দিক দিয়ে ঠিকই আছে মা। ওর গায়ে হাত তুলার ওকে শাসন করার অধিকার তো আমার নেই।
আমাদের ইফান এখন বড় হয়ে গেছে মা।
— আমাকে হ্মমা করে দিস বাবা। আমার সামনে ইফান আজ তোর সাথে এমন ব্যবহার করলো আর আমি কিছুই করতে পারলাম না।
— তুমি আমার কাছে হ্মমা চেয়ে আমাকে পাপের ভাগীদার করো না মা। সন্তান মায়ের মা কাছে হ্মমা চাইতে পারে কিন্তু মা কোনো দিন সন্তানের কাছে হ্মমা চাইতে পারে না। মা সন্তানের কাছে হ্মমা চাইলে আল্লাহ ওই সন্তানের উপর নারাজ হবেন।
নাজমা চৌধুরী ইয়াশ কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে
— ইফান কেন তোর মত হলো না বাবা? ছোট থেকে তোরা এক সাথে থেকে বড় হয়েছিস তার পর ও ইফান আর তোর মধ্যে কত পার্থক্য।
ইয়াশ নাজমা চৌধুরীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে
— কেঁদো না মা সব ঠিক হয়ে যাবে।
— কি করে সব ঠিক হবে?
আর কিছুই তো ঠিক হওয়ার মত রইলো না।
সপ্তাহ কয়েক হয়ে গেল। ওই দিনের পর থেকে ইফান এখন পর্যন্ত একদিন ও বাসায় আসেনি। নাজমা চৌধুরী ইফানের কথা ভেবে সারা দিন চোখের পানি ফেলে। ইয়াশ ও আগের থেকে কেমন যেন হয়ে গেছে। ঠিক মত বাসায় আসে না খাওয়া দাওয়া ও ঠিক মত করে না। সারা দিন কাজের মাঝে নিজেকে ব্যস্ত রাখে।
চলবে…..
(এক্সাম এর জন্য গল্প দিতে একটু লেট হচ্ছে। লেখার সময় হয়ে ওঠে না তাই দুই দিন পর পর দিচ্ছি। কিন্তু এক্সাম শেষ হলে আবার নিয়মিত দিব। এ পর্যন্ত সবাই একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে)