সেই তুমি?
পর্ব -২৭
Samira Afrin Samia(nipa)
নাজমা চৌধুরীর হাসি খুশি ভরা ছোট পরিবার টায় কার যেন নজর লেগে গেল। এক ভাই আরেক ভাইয়ের বিরুদ্ধে চলে গেলে। নিজেদের মধ্যে সব কিছু ভাগাভাগি করে নিতে চাইছে। যা নাজমা চৌধুরী কখনও চাইতেন না। নাজমা চৌধুরী সারা জীবন এটাই চেয়েছেন উনার দুই ছেলে যেন এক সাথে এক পরিবারে সুখে শান্তিতে থাকে।
এক সপ্তাহ হলো
নাজমা চৌধুরী নিজের রুম থেকে বের হন না। ইশিতা নাজমা চৌধুরীর রুমে আসে।
— মা। তুমি রুম থেকে বের হও না কেন?
কোনো কিছুর জন্য ই নিচে যাও না। খাবার সময় ও ডাইনিং টেবিলে না গিয়ে রুমে বসে খাও।
তুমি এমন করলে আমাদের কি হবে?
— আমি আমার সন্তান কে ঠিক মত মানুষ করতে পারিনি। ওকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারিনি। আমার জন্যই আজ ইফান এমন হয়েছে। সন্তান খারাপ হলে তা মায়ের কারনেই হয়।
— একদম ওসব কথা বলবে না। সব সন্তান এক রকম হয় না। যেমন ইফান তোমার বড় ছেলের মত হতে পারেনি।
— ইফান আমার নিজের ছেলে ওকে আমি গর্ভে ধরেছি। তার পর ও আমি ওকে মানুষ করতে পারিনি। ইফান আমাকে মায়ের সন্মান দিতে জানে না।
আর ইয়াশ আমার নিজের সন্তান না ওকে আমি গর্ভে ধরিনি। তার পরও ইয়াশ আমাকে কতটা সন্মান করে। কতটা ভালোবাসে।
— মা ইফান যা বলছিল তা কি সত্যি?
ওরা দুজন কি তোমার ছেলে না?
— ওরা দুজন আমারই ছেলে। তবে ইয়াশ কে আমি গর্ভে ধরিনি। তাই বলে কোনো দিন ওকে সৎ ছেলে ও মনে করিনি। গর্ভে ধরা ছাড়া কি মা হওয়া যায় না?
— মা কিছু মনে না করলে একটা কথা জিঙ্গেস করবো?
— কি জানতে চাস বল।
— তোমার প্রথম বিয়ে কেন ভেঙে গেছিলো?
— ইফানের তখন চার বছর বয়স। ওর বাবা উনার অফিসের এক মহিলা কে ভালোবেসে তাকে বিয়ে করার জন্য আমাকে ডিভোর্স দিছে। আমি বাড়ি থেকে আসার আগে ইফান কে সাথে করে নিয়ে আসি। উনি কোনো বাঁধা দেয়নি। অবশ্য বাঁধা দিলেও আমি ইফান কে ওখানে একা ছেড়ে আসতাম না।
— তারপর কি হয়েছিল?
— তার পর আমি ইফান কে নিয়ে কিছু দিন বাবার বাড়ি থাকি। কত দিন অন্যের ঘাড়ে বসে খাবো?
আর কত দিন ই বা বাবা মা বেঁচে থাকবে, কতদিন উনারা ইফানের আর আমার ভরনপোষণ করবেন?
এটা ভেবেই আমি একটা চাকরির খোঁজ নিতে আমার এক পরিচিত ভাইয়ের কাছে যাই। খলিল ভাইকে আমি আগে থেকে চিনতাম তবে তেমন ভাবে না। উনি শুধু কয়েক বার আমাদের বাসায় গিয়েছিল।
— কোন খলিল মা?
— আরে তুই চিনবি না। ইয়াশের বাবার বন্ধু। খুব ভালো মানুষ ছিলেন খলিল ভাই।
— তা তো বুঝলাম কিন্ত উনার পরিচয় টা তো বলবে।
— খলিল আহমেদ। আমার উনার সাথে ঢাকায় পরিচয় হয়। আগে মনে হয় উনারা সবাই গ্রামে থাকতো তবে বিজনেসের কারনে অনেক আগেই শহরে চলে এসেছিল।
— উনার পরিবারে কে কে ছিল মা?
— উনি উনার স্ত্রী আর উনার একমাত্র মেয়ে।
— উনার স্ত্রীর নাম সাবিন আহমেদ উনার একমাত্র মেয়ের নাম ইশিতা আহমেদ।
— হ্যা উনার মেয়ের ভালো নাম ইশিতা ছিল তবে সবাই ইশু বলে ডাকতো। কিন্তু তুই এতো কিছু জানলি কিভাবে?
— ওই ছোট ইশু টা যে আজ এতো বড় হয়ে গেছে। আর তোমার সামনে বসে আছে পরেও তুমি তোমার ছোট ইশু দুষ্টু টা কে চিনতে পারছো না।নাজমা চৌধুরী ইশিতা কে বুকে জড়িয়ে নিয়ে
— তুই সেই ছোট ইশু?
— হুম মা।
— তোর মা বাবা এক্সিডেন্টে মারা যাবার পর তোকে তোর মামা নিয়ে গেছিল। অনেক খুঁজেছি তোকে। কিন্তু তোর মামা তোকে নিয়ে কোথায় গিয়েছিল তা আমরা কেউ ই জানতাম না।
তুই আগে বলিস নি কেন তুই সেই ইশিতা।
— আমার তো তোমাদের কথা তেমন কিছুই মনে ছিল না। আজ তোমার মুখে বাবার নাম শুনে বুঝতে পারলাম। মামা বাবার যে বন্ধুর গুলো কথা বলতো তা তোমরা ই।
— সত্যি ই তো। এতো বছর আগের কথা তোর মনে থাকবেই বা কি করে। তখন তো তুই অনেক ছোট ছিলি। তখন মনে হয় তোর চার বছর হবে হয়ত। চার বছরের ছোট একটা মেয়ে কতটাই বা মনে রাখতে পারবে।
— হুম মা।
— ইয়াশের কথা তোর মনে নেই ইশু?
তুই আর ইয়াশ এক সাথে কত খেলা করতি। তুই তো বেশির ভাগ সময়ই ইয়াশের সাথে থাকতি। ইফানের সাথে তোর এতো মিল ছিল না।
— তোমাদের ছেড়ে মামার সাথে যাওয়ার পর। প্রথম প্রথম তোমাদের কথা খুব মনে পড়তো। মামার কাছে প্রায়ই তোমাদের কথা জিঙ্গেস করতাম।
মামা কখনও তোমাদের কথা কিছুই বলতে চাইত না। মামা চাইতো আমি যেন আমার অতীত টা ভুলে যাই।
আর সময়ের সাথে সাথে তাই হতে লাগলো। আমি আস্তে আস্তে তোমাদের সবার কথা ভুলে যেতে লাগলাম। এমনকি সব কিছু ভুলেও গেলাম।
ইশিতা আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিচে থেকে ইফানের কন্ঠ ভেসে আসলো।
— সব একসাথে গিয়ে কোথাই মরলো। কেউ আছেন?
হ্যালো। কেউ থাকলে একটু নিচে নেমে আসেন। সবার সাথে আমার কিছু কথা ছিল।
ইফানের ডাক শুনে নাজমা চৌধুরী আর ইশিতা তড়িঘড়ি করে নিচে নেমে আসলো। নাজমা চৌধুরী সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে
— চেঁচাচ্ছিস কেন? এটা ভদ্র লোকের বাসা নিশ্চয় তুই এটা জানিস। চেচাঁমেচি না করে কি বলার তা শান্ত ভাবে বললেই পারিস।
— ও আমার মাতাজি। এটা কোথাই আর ভদ্র লোকের বাসা রইলো?
তোমার বড় ছেলে এমন একটা মেয়েকে
— চুপ তোর কাছে এসব কথা শুনতে আসিনি। কি বলবি বলে ডেকেছিস তা বল নয়তো আমরা চলে যাই। এখানে থেকে তোর ড্রামা দেখার ইচ্ছে নেই। আর তেমন ফালতু সময় ও নেই।
— আমি খুব বড় করে একটা গেটটুগেদারে ব্যবস্থা করেছি। আজ রাতেই।
আমি বিয়ে করলাম আর শহরের কেউ জানলো না। কাউকে তেমন ভাবে বলতে পারলাম না। ইফান চৌধুরীর বিয়ে আর তা পুরো শহর কে না জানিয়েই হয়ে গেল এটা কি মেনে নেওয়া যায়।
তাই ভাবলাম আজ রাতে খুব বড় করে পুরো শহর কে জানিয়ে একটা পার্টি দিব।
— তোর যা ইচ্ছা তুই তা কর। আমাদের কে জানিয়ে কি হবে?
— না জানিয়ে রাখলাম যেন পার্টিতে সবার সামনে কোনো ড্রামা না করো।
নাজমা চৌধুরী ইফানের সাথে আর কথা বাড়ালো না। নাজমা চৌধুরী জানে ইফান এখন কতটা অসভ্য হয়েছে। এমন অসভ্য মানুষের সাথে কোন কথা বলাই ভুল।
বিকেল থেকেই ইফানের কথা মত লোকজন এসে বাড়ি সাজাতে লাগলো। সন্ধ্যার দিকে পুরো বাড়ি সাজানো শেষ হয়ে গেল। সব কিছু ইফানের মন মত হয়েছে। ইফান যেমন ভাবে সাজাতে বলেছিল ঠিক তেমন ভাবেই সাজানো হয়েছে।
ইয়াশ এখনও অফিসে বাসায় কি হচ্ছে তার সম্পর্কে ইয়াশের কোন ধারনা নেই।
ইফান শহরের সব বড় বড় বিজনেসম্যান দের পার্টিতে ইনভাইট করেছে।
সন্ধ্যার পর থেকে পার্টিতে সবাই আসতে লাগলো। রিহা তো খুশিতে আত্মহারা। ইফান তাকে মেনে নিয়েছে। তাই তো এতো বড় করে ওদের বিয়ের রিসেপ্টশন উপলক্ষ্যে পার্টি রেখেছে।
রিহা নিজের হাতে ইফানের রুমে সাজাচ্ছে। ওদের বিয়েটা ওমন পরিস্থিতিতে হওয়ায় তাদের বাসর হয়নি। আজ ইফান নিজে থেকে পার্টি রেখেছে। তাই আজ ওদের ঘর টা বাসর ঘরের মত করে সাজিয়ে ইফান কে চমকে দিবে রিহা। আজ ইফান কে পুরোপুরি ভাবে নিজের করে নিবে।
— ইফান আজ আমি তোমাকে নিজের করে নিব। আমাদের মধ্যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। তুমি একবার আমাকে আপন করে নিলে আর দূরে সরিয়ে দিতে পারবে না।
নাজমা চৌধুরী ইশিতা কেউ নিচে পার্টিতে আসছে না। ইশিতা এমন অবস্থা নিয়ে এখন এসব পার্টিতে আসতে চায় না। আর ইয়াশ যদি জানতে পারে ইশিতা এমন শরীর নিয়ে পার্টিতে এসেছে তাহলে খুব রাগ করবে। তাই ইশিতা নিজের রুমেই বসে আছে।
রাত আটটা
পার্টির সব গেস্ট রা এসে গেছে। নাচ গান ড্রিঙ্ক হৈহোল্লর সব মিলিয়ে একাকার। ইফান পার্টিতে ঘুরে ঘুরে সব গেস্টদের সাথে কথা বলছে।
রিহা সেজেগুজে নিচে পার্টিতে এসে ইফানের পাশে দাঁড়ায়
— দেখো তো ইফান আমায় কেমন লাগছে?
ইফান একপলক রিহার দিকে তাকিয়ে
— হুম ভালো।
— শুধু ভালো?
— বললাম তো ভালো লাগছে। এর থেকে বেশি কি বলবো।
ইফান রিহা কে রেখে অন্য গেস্টদের কাছে চলে গেল।
— ইফান তুমি সব সময় আমার সাথে এমন করো।
তবে আজকের পর থেকে আর করবে না।
রিহা নিজে নিজেই লজ্জা পেয়ে হেঁসে দিলো।
ইয়াশ অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখে বাসায় পার্টি চলছে। এতো মানুষের মাঝে ইয়াশ ইফান কে কিছু না বলে সোজা নিজের রুমে চলে গেল।
পার্টি বেশ জমে উঠেছে। সবাই খুব এনজয় করছে। অনেকে গানের সাথে তাল মিলিয়ে নেচে যাচ্ছে। আবার অনেকে ডিংক্স হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে তা উপভোগ করছে।
হঠাৎ ইফানের ফোন বেজে উঠলো। ইফান ফোন হাতে নিয়ে দেখে আননোউন নাম্বার তাই ফোন তুললো না। কয়েকবার এক লাগালাগি ফোন বাজলে ইফান ফোন রিসিভ করে। তবে পার্টিতে হৈচৈ এর কারনে কথা বুঝা যায় না।
ইফান বাইরে চলে আসে
— হ্যা কে?
ওপাশ থেকে কাঁপাকাঁপা কন্ঠে
— ইফান
— কে রাফি! এতো দিন কোথায় ছিলি তুই?
তোর কোনো খোঁজ খবর নেই। আঙ্কেল আন্টি তোকে কত খুঁজছে। তুই কোথায় চলে গেছিস?
— ইফান ফোনে এতো কিছু বলা যাবে না। তুই একটু আমার সাথে দেখা করতে পারবি?
— এখন?
— হুম। প্লিজ দোস্ত। তোর সাথে খুব জরুরি কথা আছে। তোকে এমন কিছু বলার আছে তা জানা তোর খুব দরকার।
— আচ্ছা আমি আসছি।
পার্টির সবার মধ্যে রিহা পাগলের মত ইফান কে খুঁজছে
— এই ইফান টা আমাকে একা রেখে কোথায় চলে গেল?
রিহা কয়েক বার ইফান কে ফোনে ট্রায় করে। কিন্তু ইফানের ফোন সুইচ অফ বলছে।
ইফান রাফির সাথে দেখা করতে আসে।
— রাফি তোর এই অবস্থা কি করে হলো?
আর এতো দিন কই ছিলি?
— আমার এই অবস্থার জন্য জানিস কে দায়ী?
রিহা।
— কি! রিহা কি বলছিস তুই?
— হুম দোস্ত। তোর থেকে এতো দিন সত্যি টা লুকিয়ে সত্যিই আমি অনেক বড় ভুল করেছি।
পারলে আমাকে এর জন্য মাফ করে দিস।
— কোন সত্যি, আর কিসেরই বা সত্যি?
— রিহা স্বাভাবিক না দোস্ত।
— মানে?
— তুই এখনও বুঝতে পারলি না। রিহা মানসিক ভাবে অসুস্থ। ও তোকে পাওয়ার জন্য সব কিছু করতে পারে।
— আমি তোর কথা কিছু বুঝতে পারছি না। তুই সব কিছু খুলে বল।
— ইশিতার সাথে তোর ভুল বুঝাবুঝি কে তৈরি করেছে জানিস?
রিহা। রিহা ওই দিন ইশিতা কে বলেছিল তুই রিহা কে ভালোবাসিস। আর ওর সাথে তোর সব কিছু হয়ে গেছে।
রিহার কাছে তোর এমন কিছু পিক আছে। যা দেখে মনে হবে তোরা খুব ক্লোজ। তোর সাথে ঘনিষ্ট হয়ে রিহা কিছু পিক তুলে রেখেছে। যা ইশিতা কে দেখিয়ে ইশিতা কে এই বিশ্বাস দিয়েছে,যে তোর আর রিহার মাঝে ফ্রেন্ডশিপ থেকেও বেশি কিছু ছিল।
— মানে?
কি বলছিস তুই? তুই আগে এসব সম্পর্কে সব কিছু জানতি?
— হুম দোস্ত আমি তখন রিহার কথায় রিহা কে হেল্প করেছিলাম।
ওই পিক গুলো দেখেই ইশিতা তোকে অবিশ্বাস করে। আর রাগের মাথায় ভার্সিটির সবার সামনে তোকে অপমান করে তোর গালে চড় মারে।
এতে ইশিতার কোন দোষ ছিল না।
ইফান রাফির কথা শুনে মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে ধপ করে বসে পড়ে।
— এর পর ও ইশিতা তোকে আবার বিশ্বাস করেছিল। কিন্তু ততদিনে রিহা তোর মাথায় ইশিতার সম্পর্কে অনেক নেগেটিভিটি ঢুকিয়ে দিয়েছে। তোর মাথায় প্রতিশোধ নেওয়ার মনোভাব তৈরি করে দিয়েছে।
আর তুই রিহার কথায় অন্ধ হয়ে কিছু না জেনে না বুঝে ইশিতার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেলি।
এসবে অন্ধ হয়ে তুই নিজের বাচ্চা কে ও অস্বীকার করলি। ইশিতা কে বিয়ে করা তো দূর ওকে ছেড়ে দিলি সমাজের মানুষের কথা শুনার জন্য।
ইফান হঠাৎ করে বসা থেকে উঠে রাফি কে মারতে শুরু করে দিলো।
— কুত্তার বাচ্চা তুই এসব আমাকে আজ জানাচ্ছিস। যখন এসব কিছু হচ্ছিল তখন কোথাই ছিলি তুই।
ইফান রাফি কে লাগালাগি কয়েকটা ঘুসি মেরে নিচে ফেলে দেয়।
— ইফান আমি জানি আমার ভুল হয়েছে। তখন আমার রিহার সঙ্গ দেওয়া ঠিক হয়নি। এর জন্য আমি শাস্তি ও ভোগ করেছি। রিহার সাহায্য করার জন্য রিহা নিজেই আমাকে শাস্তি দিয়েছে। তুই চাইলে আরও দিতে পারিস।
— তোকে আমি জানে মেরে ফেলবো।
আমি তোদের কে নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করতাম। আর তোরা আমার সাথে এমন করলি।
রিহা! ওই রিহা কে আমি টুকরো টুকরো করে কেটে কুকুর কে দিয়ে খাওয়াবো। রিহার জন্য আমি ইশিতার সাথে কত জঘন্য একটা কাজ করেছি। নিজের সন্তান কে অস্বীকার করেছি।
— তুই রিহা কে কিছু করতে পারবি না ইফান। রিহা একটা পাগল। ও তোকে পাওয়ার জন্য সব করতে পারে সব।
রিহা আমাকে মাথায় আঘাত করে কোথায় নিয়ে রেখেছিল জানি না। আজ কোনো ভাবে ওদের থেকে ছাড়া পেয়ে সোজা তোর কাছে এসেছি। তোকে সব কিছু বলার জন্য। আমি আরও আগেই তোকে সব বলে দিতে চাইছিলাম।
ইফান রাফি কে জোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে
— রিহা কে আমি কি করবো তা আমি নিজেও জানি না। তবে তুই কোনো দিন আমার সামনে আসিস না তাহলে আমি তোকে জানে মেরে দিবো এটা খুব ভালো করেই জানি।
চলবে….