সেই_মেয়েটি❤,শেষ_পার্ট
লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ
জিবনে চলার পথে, অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । রুপ সৌন্দর্য অহংকার এই সব সব সময়ে থাকে না । কিন্তু আমাদের সমাজটা এইসব বিষয়ে প্রাধন্য দেয় বেশি ।
– শরৎকাল আকাশে নীল মেঘেরা উড়ছে,
ব্যস্ত শহর আরো ব্যস্ত হয়ে পড়ছে, ঘর ফেরা মানুষ ঘরে ফিরছে ।
কেটে গেলো অনেক সময়, সমাপ্ত হলো অনেক কাহিনির, এই ছোট্ট জিবনে অনেক তোলপাড় হয়ে গেছে । যা বর্ণনা করতে গেলে গল্পটা বড় হয়ে যাবে ।
আজ ছয়টা মাস হয়ে গেলো মেহেদি কাজের জন্য কুড়িগ্রাম গেছে ।
ঘুম থেকে মেরিন কাদা শুরু করলো,
উহ আপনাদের তো বলা হলো না, মেহেদি আর মাধুরি তাদের বাচ্ছার নাম রেখেছে মেরিন । খুব সুন্দর এবং ফুটফুটে বাচ্ছা ।
এর মধ্যে মাধুরির শাশুড়ি নিজের ভুল বুজতে পেরেছে এবং তিনি এর জন্য অনুতপ্ত । মাধুরির শাশুড়ি অনেক জোরাজোরি করছে বাসায় যেতে কিন্তু মাধুরি বেকে বসলো সে মেহেদিকে ছাড়া যাবে না । সে আসলে যাবে ।
– মাধুরির শাশুড়ি আর কিছু বললো না, খানিকটা নাতীর সাথে দুষ্টামি করে চলে গেলো, হাতে গুজে দিলো নতুন কচে কচে একশত টাকার পাচঁটা নোট ।
সৌন্দর্য আর রুপ থেকে ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়া ভালো । এটা সব সময়ে মনে রাখবে ( পাঠক-পাঠিকারা)
রাত হলে মেয়েটাকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে থাকে মাধুির ।
মাধুরি একসময় কল্পনা করতে পারে নাই তার । জিবন এমন সুন্দর হবে , একটা ফুটফুটে বাচ্ছা হবে, সাজানো সংসার হবে । এই সব কিছুর অবদান মেহেদির ।
জিবনটা কত অদ্ভুত । কাকে কোথায় নিয়ে যায় তা সৃষ্টিকর্তাই জানে !! এই সুন্দর পৃথিবীটা মনে হয় এমনই ।
– মেহেদি ছেলেটা খুব ভালো, তা না হলে শূর্ণ থেকে একটা অসহায় মেয়েকে ভালোবাসে কেউ ।
দিন যত যায় মাধুরি মেহেদির জন্য ছটপট করতে থাকে । পাজি লোকটা নাম্বারটা পযন্ত দিয়ে যায় নি । আর্জেন কাজ বলে সে যে গেলো আর ফিরার নাম করছে না ।
তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো, মাধুরি এখন ছোটখাটো চাকরি করে ওই মেহেদির বন্ধু সবুজ ওনি চাকরিটার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, মাধুরির কাজ দেখে অফিসের বস তাকে বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে ।
– এই তো সেইদিন বিকেল বেলা মেরিনের জন্য চকলেট আনতে গেলো মাধুরি ।
পিছন থেকে চেনা শুরু মাধুরি ডাক শুনে থমকে গেলো । পিছনে ফিরে চেয়ে দেখলো তার প্রাণের বন্ধু তানহা দাড়িয়ে রয়েছে ।
মাধুরি দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো তানহাকে, কতদিন পর দেখা তার সাথে….????
মাধুরিঃ- কিরে কুত্তী ওইদিনের পর থেকে উধাও হয়ে গেলি আর খোজ নেই.
তানহাঃ- সেইইই অনেক কাহিনি , বলতে গেলে গল্পটা বড় হয়ে যাবে । আর লেখক চাচ্ছে না গল্পটা আর বড় করতে । অন্য একদিন সব কথা শুনাবো ।
মাধুরিঃ- তোকে একটা কাহিনি শুনাবো, ওইই যে আগে বলছিলাম ওইটার মতো…??
তানহাঃ- আরে রাখ তর কাহিনি, আগে আমার ট্টিট দেয় মেহেদি ভাইয়ের সাথে তর বিয়ে হয়ে গেছে এটা জানি আমি!!
এর মধ্যে বাচ্ছাদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে তারা সামনে তাকিয়ে দেখলো..
মেরিন আর তাসিকের মধ্যে এক প্রকার হাতাহাতি চলছে ( তাসিক হলো তানহা আর সাকিবের বাবু….)
মাধুরি আর তানহা গিয়ে ঝগড়াটা থামালো,
মেরিনঃ- আম্মু এই পচা তেলেটা আমার থেকে চকলেট নিয়ে গেছে !
তাসিকঃ- না আম্মু, এটা আমার চকলেট । অনেকক্ষন ধরে এই মেরিন আর তাসিকের ঝগড়া চললো, মাধুরি আর তানহা তো হাসতে হাসতে শেষ ।
মাধুরিঃ- আচ্ছা কোথায় বাসায় নিয়েছিস ।
তানহাঃ- এইতো সামনের গলিতে, একদিন সময় করে আসিস এখন মনে হয় সাকিব অফিস থেকে চলে আসছে । আমি যাই ভালো থাকিস । আর লাভ ইউউউ আম্মুটা ( মেরিনের গাল ধরে টান দিয়)
তাসিকঃ- আম্মু তুমি ওইইইই বাবুটার গাল ধরলা কেনো… ( রাগী স্বরে..)
তানহা মুচকি হেসে সরি বললো । আচ্ছা যাইইরে মাধুরি ।
মাধুরিঃ- আচ্ছা ঠিক আছে দেখা হবে । মেরিন চলো চলো সন্ধ্যায় হয়ে আসছে তুমার বাবা আসবে ।
মেরনিঃ- আম্মু তুমি সবসময়ে বলো আব্বু আসবে কিন্তু আব্বু আসে না কেনো…??
মাধুরি আর কিছু বললো না, মেরিনকে কোলে করে নিয়ে হন হন করে হাটা শুরু করলো ।
*
*
*
*
কলিংবেল বেজে উঠলো একবার, এর পরেরবার আর থামাথামি নেই কলিংবেলটা বাজা শুরু করলো এক নাগাড়ে । ওই পাশে যে কলিংবেলটা বাজাচ্ছে সে মনে হয় খুব অস্থির হয়ে আছে ।
মাধুরি দরজা খুলে দিয়ে দেখলো মেহেদি দাড়িয়ে আছে, মাধুরি কিছুক্ষণের জন্য থমকে দাড়ালো, এটা কি দেখছে মেহেদি তার সামনে । মাধুরির বুুকটা ধুক ধুক করছে ।
– মেহেদি মাধুরিকে উপেক্ষা করে মেরিনকে কোলে নিয়ে একনাগাড়ে পাপ্পি দিতে থাকলো । ঘুমন্ত মেরিন বাবার স্পর্শ পেয়ে উঠে গেলে ।
বাবাই বলে বাবাকে জড়িয়ে ধরলো ।
মাধুরি দূর থেকে বাবা মেয়ের খুনসুটি তৃপ্তি সহকারে দেখছে, মনটা ভরে যাচ্ছে । ( একজন নারী হয়ে সবাই এমনটাই সুখ আসা করে সংসারে মাধুরি ও ঠিক তাই…)
কিন্তু মেহেদি মাধুরির দিকে তাকাচ্ছে না ।
সে মেরিনকে নিয়ে দুষ্টামিতে মেতে উঠছে ।
হঠাৎই কারো চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেলো মাধুরির । উঠে দেখলো মেরিন কাদছে । সে মেরিনকে বুকে টেনে নিলো ।
আর এইসব কি হলো মেহেদি কোথায় ?? তাহলে সে কি এতক্ষণ স্বপ্ন দেখলো ।
– প্রতিদিন রাতে এমন কিছু না কিছু স্বপ্ন দেখে মাধুরি।
সে ক্লান্ত, বিরহে পুড়ে যাচ্ছে, অপেক্ষার অবসান কাটিয়ে কখন যে আসবে মেহেদি ।
রুপ কথার গল্পে কেনো কাহিনিতে ঠাই পাবে সেই মেয়েটির কেনো কথা !! তাতে তার নায়ক হিসাবে সে মেহেদিকে চায়.!!
সমাপ্ত