সেদিন_বর্ষায় #পর্বঃ৬ #আয়েশা_আক্তার

0
653

#সেদিন_বর্ষায়
#পর্বঃ৬
#আয়েশা_আক্তার
🍁

একটানা ৫ দিন কলেজে আসতে পারি নি। সামনে ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষা। তাই আজকে ভাইয়া কলেজে নিয়ে এসেছে। কলেজে আমার তেমন ভালো লাগে না। কারণ আমর মাত্র দুটো বন্ধু সাদিয়া আর মিথি এই দুটো কলেজে আসে নি কলেজ শেষ করে ভাইয়ার জন্য দাড়িয়ে আছি তখনই আবির ভাইয়া এসে হাজির।

আরে পিচ্চি যে?? কলেজ ছুটি?? চলো বাসায় পৌঁছে দিই।

আমি কপাল কুঁচকে উত্তর দিলাম, কিন্তু ভাইয়া তো বলেছে ভাইয়া আসবে আমাকে বাসায় নি যেতে। আর লাঞ্চের সময় ও হয়ে এসেছে ভাইয়া এখনই এসে পরবে।

আবির আমার ঠিক সামনে দাড়িয়ে,

তিথি…. তানভীর হয়তো ব্যস্ত আছে। অফিসে নতুন জয়েন করেছে কিনা? তা না হলে এতক্ষণে এসে যেতো। তুমি বরং আমাদের বাসায় চলো দুপুরের খাবার খেয়ে না হয় বাসায় চলে যাবে।

আমি মুখ গোমড়া করে,

কিন্তু ভাইয়া যে খায়নি এখনো।

ওকে আমি তানভীর কে কল করে বলে দিচ্ছি খেয়ে নিতে কেমন??

এই বলে আবির তানভীর কে কল দিল।কল বেজে বেজে কেটে গেলো।তিন বারের মাথায় তানভীর কল রিসিভ করলো।

হ্যালো, আবির কোথায় আছিস তুই?? তিথির কলেজ ছুটি হয়ে গেছে অনেক আগেই বাট আমি অনেক ব্যস্ত কাজে।তুই একটু ওকে বাসায় দিয়ে আসবি প্লিজ?? আর শোন, কষ্ট করে ওকে একটু খাইয়ে দিস কেমন? তুই তো জানিস ও নিজ হাতে খেতে পারে না।

আবির ফোন টা কানে রেখেই অন্য হাতে কপাল চুলকে,

তুই একাই বকবক করছিস। আমাকেও কিছু বলার সুযোগ দে প্লিজ।

তানভীর হেসে জবাব দিল,

হুম বল।

আমি এখন তিথির কলেজের সামনে তিথির সাথেই দাড়িয়ে আছি। কত করে বলছি চল বাসায় দিয়ে আসি কিন্তু ও তুই না এলে কোথাও যাবে না।

কি বলিস?? ওকে দে আমি কথা বলছি।

হুম নাও।বলে আবির তিথির হাতে ফোন টা ধরিয়ে দিলো।

তিথি হাসি মুখে ফোন হাতে নিয়,

হ্যা ভাইয়া কোথায় তুমি??

তানভীর করুণ সুরে,

সরি, বোন।অফিসে কাজের অনেক চাপ ভাইয়া আসতে পারছিনা। তুই আবিরের সাথে চলে যা।প্লিজ রাগ করিস না, লক্ষি বোন আমার।

আরে ভাইয়া এভাবে কেন বলছো? আমি আবির ভাইয়ের সাথেই যাচ্ছি। কিন্তু উনি তো আমাকে উনার বাসায় যেতে বলছে। দুপুরে খেতে ও বলছে। কিন্তু তুমি তো কিছুই খাওনি।(কাঁদো কাঁদো মুখে কথা টা বললো তিথি)

তানভীর হেসে,

বোন এই কথা!!তুই নিশ্চিন্তে যা আবিরের সাথে আমি একটু পরে খেতে বসেই ভিডিও কল দিচ্ছি আবিরকে।তখন দেখিস?

ওকে ভাইয়া,বাই।

ওকে বোন লাভ ইউ।।

লাভ ইউ টু মেরি ভাইয়া।

কল কেটে তিথি আবিরের দিকে ফোন টা বাড়িয়ে দিল। আবিট ফোন হাতে নিয়ে পকেটে পুরে,সব ভালোবাসা ভাইয়াকে দিয়ে দিচ্ছো জান পাখি আমার জন্য ও একটু জমিয়ে রাখো।(মনে মনে)

তিথি কপাল কুঁচকে, ঐ আপনি ফিসফিসিয়ে কি বলছেন?

কিছু না চলো।

না আগে আপনি বলবেন ফিসফিস করে কি বলছিলেন তারপর যাবো।

উফফ… তুমি ও না।বিকেলে তোমাকে আইসক্রিম খাওয়াবো সেটাই বলছিলাম আরকি।(মনে মনে ডাহা মিথ্যা কথ)

তিথি খুশি হয়ে, ওহ এই কথা। এটা ফিসফিস করে বলতে হয়?? আমি এমনিতেই রাজি হয়ে যেতাম। আইসক্রিম আমি অনেক পছন্দ করি।

হুম চলো এবার। আমার অনেক খিদে পেয়েছে। (আবির পেটে হাত দিয়ে)

হুম চলুন।

আবির আর তিথি একসাথে আবিরের বাসায় আসলো।রাফসান সাহেব তিথি কে পেয়ে অনেক খুশি। আর রাহেলা বেগম ও ভীষণ খুশি। তিনি তিথি আর আবির কে একসাথে খাইয়ে দিলো।তারপর সবাই মিলে একসাথে আড্ডা দিলো।বিকেলে আবির ওর কদম গাছ থেকে এক গুচ্ছ কদম ফুল নিয় তিথি কে দিলো।তিথি খুশি হয়ে গেলো।এরপর তারা তিথির বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরলো।রাস্তায় আবির তিথি কে আইসক্রিম খাওয়ালো।

🍁

চলবে……

আসসালামু আলাইকুম। সবাই একটু বেশি বেশি কমেন্ট করবেন প্লিজ। যেনো পেইজের রিচ বাড়ে।হেপি রিডিং 🖤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here