সেম_এজ_রিলেশন_বিয়ে,part-3,4
লেখিকাঃ জিহান জারা
part-3
মাহিন মিরাকে বিয়ের কথা বলতেই তুলি এসে বলে,
তুলিঃ মিরা আমি আগেই বলেছিলাম তোর আর মাহিনের সেম এজ। তুই একটা মেয়ে তাই তোর বিয়ে আগে হবে স্বাভাবিক,,,মাহিনের জন্য ওয়েট করা পারবি না। শুধু শুধু ওকে কষ্ট দিলি।
মিরার চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে। কিছু বলছে না। এর মাঝে মিরার আরও দুইটা ক্লোজ ফ্রেন্ড আসে তানজিন আর আশা। তানজিন বলে চল আমার বাসায় যাই। মিরা বলে না। লেট হয়ে যাবে। আশা বলে আরে চল। প্রাইভেট তো পড় নাই। ওই টাইম তো আছেই। তারপর মিরা আর মাহিন একটা রিকশাতে,,দিয়া আশা একসাথে আর তানজিন আর তুলি একসাথে। রিকশাতে বসে আছে মিরা। মাহিন বলে —
মাহিনঃ আমরা বিয়ে করব। আমি তোমাকে হারাতে দিব না। থাকবে তো আমার সাথে?
মিরাঃ কিভাবে বলো? আমাদের এজ কম। সাথে টাকা নাই। জামা কাপড় নাই। কোথায় যাব? কি করব?
মহিনঃ আমাদের ফোন তো আছে। তা বিক্রি করব। চাকরি করব
মাহিন তার এক ফ্রেন্ড কে ফোন দিয়ে বলে আমি মিরাকে বিয়ে করব। সেই ফ্রেন্ড ওকে বুঝায়। কিন্তু ও বুঝে না। তানজিনের বাসার সামনে রিকশা থামে।তানজিন ওদের বাসায় নিয়ে যাই। ওর মাকে বলে যে মা মিরা কিছুদিন এখানে থাকবে। ও বাড়ি থেকে চলে এসেছে। তানজিনের বাবা পুলিশ। ওনি বলে না এসব ঝামেলা আমি নিতে পারব না।
এদিকে মাহিন মিরাকে এখানে রেখে নিজের বাসায় গেছে। কারণ তানজিন বলেছিল তুই যা।আমি পারব। আশা দিয়া তুলি সবাই চলে গেছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে গেছে। মিরা এখন কোথায় যাবে??? তখন তানজিন ক্লাসের আরেক মেয়েকে ফোন দিয়ে সব জানায়৷ তার বাসায় রাখতে বলে
তানজিনঃঃ ইলা..মিরাকে তোর বাসায় রাখ। ও বিপদে পড়েছে। আমার আব্বু রাখতে দিব না আমাকে।
ইলাঃ আমি তো নানা বাসায় আছি। কাল নিয়ে আসিস। আজ তুই রাখ প্লিজ।
কিন্তু তানজিনের বাবা কিছুতেই মানছে না। তানজিনের মা তানজিনকে বলে লোভাকে বলে দেখ। লোভা তানজিনের ভাইয়ার গফ। বাসায় জানে সবাই। একটু পরে লোভা আসে–
লোভাঃ আন্টি আসতে বলেছেন এই সম? কি হয়েছে?
লোভা সব শুনে মিরাকে তার বাসায় নিয়ে যাচ্ছে এমন সময় মাহিনের সাথে রাস্তায় দেখা। সাথে মেহেদী আছে ওর ফ্রেন্ড।
মাহিনঃ এই মিরা। কোথায় যাও?
লোভাঃ আমার বাসায় নিয়ে যাই তোর বউ কে।
মাহিনঃ সবটা বুঝেছিস তো। আজকে রাতটা শুধু রাখ। সকালে আমি ব্যাবস্থা করব।
এদিকে মাহিনকে মিরার বোন ফোন দিয়ে বলে ভাইয়া মিরা কোথায়। মাহিন বলে কেন ও বাসায় যায়নি? না জানার ভান করে। মিরার বাবা তাকে সব জায়গায় খুঁ। প্রাইভেটের ম্যাম বলে আজ মিরা প্রাইভেট এ আসেনি।ওর বাবা বাসায় গিয়ে মিরার বই খাতা খুজে দেখতেছে কিছু পাওয়ার আশায়। একটা ডায়েরি পেল যাতে মিরা মাহিনের সব কথা লিখত। ওর বাবার কিছু বুঝতে দিল না। বাসায় বলল মিরা মরে গেছে। আর এলাকায় বলে দিল মিরা ঢাকা তার চাচার বাসায় থেকে পড়বে।
এদিকে লোভার বাসায় যাওয়ার পর—
লোভার মাঃ এই লোভা ও কে?
লোভাঃ আমার ফ্রেন্ড। ও তার নানু বাসায় যাবে সাভা। এখানে রাত হয়ে গেছে তাই আজ এখানে থাকবে। সকালে আমি কলেজ যাওয়ার সময় আমার সাথে যাবে।
লোভার মা আর কিছু বলে না। কিন্তু মিরার মুখ দেখে সন্দেহ হয়। মিরা তার ফোন অফ করে সিম রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল। মাহিনের সাথেও তাই আর কথা হয় না।
রাত ১১ টায়….
লোভার দাদাঃ লোভা ও কে?
লোভাঃ মিরা। আমার ফ্রেন্ড।
লোভার দাদাঃ তুমি এখানে এসেছ। তোমার বাবা জানে?
মিরাঃ হুম। ( ভয়ে ভয়ে)
লোভার দাদাঃ তোমার বাবাকে ফোন দাও। এই নাও ফোন।
লোভা এগিয়ে এসে….
লোভাঃ আরে দাদা। কি শুরু করেছ। ওর বাবা কি এখনও জেগে আছে নাকি। ঘুমিয়ে গেছে। সকালে দিও ফোন।
মিরা তো ভয়ে শেষ। লোভার দাদা চলে যায়। মিরার ঘুম আসে না। বাসার কথা মনে প। ওর বাবা আর ভাই বোনের কথা । সকালে—–
মিরাঃ এই লোভা উঠে পড়।
লোভাঃ হুম। উঠি।
ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে দুজনে না খেয়ে বেড়িয়ে যায়। কারণ লেট করলে লোভার দাদা জেগে যাবে। ফোন দিতে বলবে। মাকে বলে বাইরে খেয়ে নিবে তারা।
রাস্তায় গিয়ে দেখে ইলা মাহিন দাড়িয়ে আছে। মাহিন বলে ইলা তোর বাসায় নিয়ে যা। ইলা বাসায় দিয়ে আবার কলেজে গেল। ওরা কলেজ কেই মিস দিল না কারণ তাহলে ওদেএ ডাউট করবে। ইলার মা খুব ভাল। ইলার ছোট বোন আর ভাই আছে। মিরা গোসল করে। ইলার মা ওকে ইলার ড্রেস দেয়। সারাদিন শুয়ে থাকে মিরা। খারাপ লাগছে। বাসার কথা মনে পড়ছে। বিকেলে ইলা আসে। ওরা খেয়ে ঘুমায়। রাতে মাহিন আসে।
মাহিনঃ মিরা কেমন আছ?
মিরাঃ হুম ভাল। আন্টি খুব ভাল। ধন্যবাদ ইলা।
মিরা আগে ইলাকে দেখতে পারত না কারণ মাহিনকে বলত ব্রেক আপ এর কথা। ইলা তুলির বেস্ট ফ্রেন্ড।
ইলা আর ওর মা বেড়িয়ে গেলে মিরা মাহিনক জড়িয়ে ধরে কান্না করে। খুব শক্ত করে ধরে আছে।
মাহিনঃ কাদছ কেন? আমি তো তোমাকে বিয়ে করব।
মিরাঃ আমাকে ছেড়ে যাবে নাতো। আমি তোমাকে খুব ভালবাসি তাই তো বাসা ছেড়েছি।
মাহিন ওকে শান্তনা দিয়ে চলে যায়। মিরা তখনও কাদছে। ইলার মা মিরাকে খাইয়ে দেয়। খুব আদর করে। পরের দিন মাহিন বলে আজ বিয়ে করব। কাজী বাসায় আসবে।মিরা খুব খুশি। আজ সে মাহিনকে সারাজীবনের জন্য পাবে। ইলা মিরা বউ সাজিয়ে দেয়। মাহিন আর ওর কিছু ফ্রেন্ড আসে। ইলার মা রান্না করেছে। মাহিন নকল জন্ম সনদ বানিয়ে এনেছে। বিয়েতে লাগবে তাই। ওহ মিরার ফোন ইলার মা কিনে নিয়েছে। নিউ ফোন। বাইশ হাজার দিয়ে এক মাস আগে কিনেছিল। ইলার মা আট হাজার দিয়ে কিনে নিল। ওর খুব প্রিয় ছিল। মাহিন বলে আমি আবার কিনে দিব তোমাকে। মাহিন কিন্তু ওর ফোন বিক্রি করে না। তাও মিরার কিছুই মনে হয়না।
রাতে…
কাজী এসেছে। ইলা মিরাকে নিয়ে আসে। মাহিন হা হয়ে তাকিয়ে আছে। মিরাকে খুব সুন্দ্র লাগছে।
কাজী বিয়ে পড়িয়ে দিল। তিন লাখ টাকা কাবিন হল। ইলার বাবা মা মিরার উকিল বাবা মা হল?
ইলার রুমে মিরা আর মাহিন। আর কেও নেই। মিরা আয়নার সামনে নিজেকে দেখছে। শাড়ি পড়ি তার কোমর দেখা যা। মাহিন এসে তার কোমরে হাত দিল। মিরা চমকে গেল। মাহিন কানের কাছে গিয়ে বলল,
মাহিনঃ বউ?
মিরাঃ হুম।
ঘুরেই মুখ লুকাল মাহিনের বুকে। মাহিন মিরার কপালে ভালবাসার পরশ দিয়ে চলে গেল। তাদের বাসার হবে না আজ। কারণ মাহিনের বাসায় জানে মাহিন কারও জন্মদিনে আছে। তাই বাসায় তাকে যেতেই হবে।
এভাবে মাহিন কিছুদিন মিরাকে ফোন দিয়ে কথা বলে। মাঝে মাঝে আসে। ওদের এক্সাম চলছিল। একদিন আবার সবাই ঘুরতে যায়। বিয়েতে ৬০০০ টাকা লাগে। ১০০০ মিরার কাছে ছিল। আর ১০০০ এদিক সেদিক খরচ হয়। মাহিন শুধু ২৫০০ টাকা মিথ্যা বলে নেয় বাসা থেকে। তাও উল্টা পাল্টা খরচ করে ফেলে। একদিন মিরা তার চাচাকে ফোন দিয়ে জানায় সব। মিরার বোনকেও জানায়। মিরার বড় বোন ও জানতে পারে। মিরা বলে মাহিন খুব ভাল। ও জব পেলেই আমারা রুম ভাড়া থাকব। ১৫ দিন হয়ে গেছে মিরা ইলার বাসায়। এক রাতে মিরা মাহিনকে ফোন দেয়….ফোন তুলে মাহিনের মা..
মিরাঃ হ্যালো মাহিন
মাহিনের মাঃ কে তুমি?
মিরাঃ আপনি কে?
মাহিনের মাঃ আমি মাহিনের খালা।
মিরা তাই সাহস পেল। বলে–
মিরাঃ মাহিন আমাকে বিয়ে করেছে। আর সব বলে দিল।
মাহিনের মাঃ এই মেয়ে তুমি জান মাহিনের মা জব করে শুধু মাহিনের জন্য। উনি কত আঘাত পাবে জান? কাল আমার সাথে দেখা কর। কাল সাদা কাগজে লিখে দিবা তুমি কোনোদিন অধিকার নিয়ে আসবা না।
মিরাকে খুব বকা দেওয়াই মিরা হ্যাঁ বলে দিল৷ সারা রাত মিরা কাদে।
এদিকে মাহিনকে তার মা খুব মারে। তার ফোন নিয়ে নেয়। মাহিনের বাবা সকালে সব জানে। মাহিনকে রুমে অফ করে রাখে….
তারপরে মিরাকে ফোন দিয়ে বলে…
চলবে…..
#সেম_এজ_রিলেশন_বিয়ে
#part-4
লেখিকাঃ জিহান জারা
মাহিনের বাবা সব জেনে তাকে রুমে অফ রাখল আর মিরাকে ফোন দিল…..
মিরাঃ আসসালামু আলাইকুম
মাহিনের মাঃ মিরা তুমি মাহিনের জীবনে আসবে না কোনদিন । অনেক দূরে চলে যাও। মাহিন ও তাই চায়। ও বুঝতে পেরেছে যে ও ভুল করেছে। ও ফোন অফ রেখেছে তোমার জন্য। ওকে বিরক্ত করবে না।
মিরা মেহেদীকে ফোন সব জানাল। সে অনেক দূরে চলে যাবে। মেহেদী এসে বলল —
মেহেদীঃঃ দেখ মাহিন আমার বেস্ট ফ্রে। তাই আমি সব জানি। তুমি ভুল করেছ। ও এমন ছেলে না যে কাজ করে খাওয়াবে তোমাকে। ও খুব আরামপ্রিয় ছেলে। ঝোকের মাথায় এমন করেছে।
মিরাঃ আগে কেন বলনি(কাদতে কাদতে)
মাহিনঃ আগে জানালে কি বিশ্বাস করতে নাকি?
মিরা বলে চল সাভারে যাই। আজকের দিন দেখি ও কি করে। ওরা স্মৃতিসোধ এ গিয়ে বসে আছে। হঠাৎ মিরার ফোন আসল আননোন নাম্বার। রিসিভ করে দেখে মাহিনের বাবা—
মাহিনের বাবাঃ মিরা?
মিরাঃ আসসালামু আলাইকু।
মাহিনের বাবাঃঃ এমন কাজ যে করেছ এখন কি করবা ?
মিরাঃ আপনি বলে দেন।
মাহিনের বাবাঃ আমরা যেহেতু আগে জানতাম না তাই যা মন চায় কর। মাহিন চলে গেছে। তোমরা যা ইচ্ছে করতে পার।
বলেই কেটে দিল। আবারব আননোন নাম্বার থেকে ফোন-
মিরাঃ হ্যালো কে?
ফোনের ওপাশে মাহিন-
মাহিনঃ মিরা তুমি কোথায়? আমি আসতেছি তোমার কাছে। আমি বাসা ছেড়ে।
মিরাঃ আমি সাভার।
মাহিন এসে মিরাকে জড়িয়ে ধরে রাখল। মেহেদীর কথা গুলো মিরার মনে ছিল তাও বলে নি। কারণ মেহেদী ওর ভাল ভেবে বলেছিল। মাহিন বলে সে খালি হাতে এসেছে। মিরার কাছে যা টাকা ছিল তা দিয়ে তিন জনে দুপুরে খাবার খেয়ে ইলার বাসায় গেল। ইলার মা রুম ভাড়া নিয়ে দিল। একটা পুরোনো খাট আর কিছু হাড়ি পাতিল দিল। রাতে এলার বাসায় খাবার খেয়ে ওরা নতুন বাসায় যাবে তখন–
ইলাঃ মিরা আজ তোদের নতুন জীবন শুরু। কোন ভুল করিস না। বলে জড়িয়ে ধরল।
মিরা লজ্জা পেয়ে চলে গেল। ছোট্ট একটা রুম। একটা জানালা তাও খোলা যায় না। ১২০০ টাকা রুম ভাড়া।মিরা আর মাহিন এমন রুমে কখনও থাকেনি। মিরা চুপ করে খাটে বসে আসে। মাহিন ওর পাশে এসে বসে। মিরার দিকে তাকিয়ে বলে আমি জানি তোমার ভাল লাগছে। আমি জব টা পাই তারপর অন্য বাসা দেখব। মিরা বলে আরে চলবে এইটা। মিরাকে ইলা আজকেও সাজিয়ে দিয়েছে। খুব সুন্দর লাগছে।
মাহিনঃ আমার পরী টাকে খুব সুন্দর লাগছে।
মিরাঃ লজ্জা পেয়ে লাল হয়ে গেছে।
মাহিনঃ আমাকে মনে হয় প্রথম দেখছ?
মিরাঃ হুম প্রথম তো। বিয়ের পরে কাছ থেকে আজ প্রথম।
মাহিনঃ এখনও তো কাছেই আসলাম না?
মিরাঃ??
মাহিনঃ রাগ কেন?
মিরাঃ চল ঘুমাই?
মাহিনঃ ??ঘুমাতে দিলে তো ঘুমাবে?
মিরাঃ ঘুমাতে দিবে না কে…..
কথা শেষ না করতেই মিরার ঠোঁটের মধ্যে নিজে ঠোঁট ডুবাল মাহিন??এই ভাবে তাদের ভালবাসার নতুন অধ্যায় শুরু করল তারা।
সকালে মাহিনের মা ফোন দেয় মিরাকে। বলে মাহিনকে পাঠিয়ে দিতে। মিরা মাহিনকে যেরে বলে মাহিন যায় না। মাহিন মিরাকে রেখে কাজের খোজে যায়। ( না মাহিন তার মায়ের কাছে গেছে)
এদিকে মিরা কি রান্না করবে বুঝে না। ও পারে শুধু বিরিয়ানি রান্না করতে। ইলার মা এসে চাল ডাল দিয়ে গেছে যা যা লাগে আর কি অল্প অল্প। মিরা ভাত আর ডাল রান্না করে। পাশে দোকান ছিল। ডিম এনে তা ভাজে। মাহিনের খবর নেই।
মিরা না খেয়ে থাকে। ইলা একবার এসেছিল ওকে বলে সে খেয়েছে…
রাতে আসে মাহিন। জানায় তার মা ফোন দিয়ে কান্না করেছে তাই গিয়েছিল। দুপুরে সেখানে খেয়েছে। মিরার চোখ দিয়ে পানি পড়ে সে লুকিয়ে রাখে।
মিরাঃ এখন খাবে না?
মাহিনঃ হুম
জানতে চায় না মিরা খেয়েছে কিনা। ভেবেছিল খেয়েছে।
মাহিন মিরাকে খাইয়ে দেয়। নিজেও খায়। তারপর মাহিনের বোন জুই ফোন দিয়ে মিরাকে খুব বকে। মিরা চুপ করে থাকে।
পরের দিন—
মিরাঃ এই মাহিন উঠো??
মাহিনঃ সরো তো( মিরার গালে থাপ্পর দিল)
মিরা অবাক হয়ে গেল। কিছু না বলে বাইরে গেল। মাহিন তার বাসায় গিয়ে জামা কাপড় এনেছিল। আর মিরাকে ইলার মা কিছু দিয়েছিল। মাহিন উঠে মিরাকে ডাকে।
মিরাঃ ?হুম বল ?
মাহিনঃ কোথায় ছিলে? আমাকে ডাকলে না কেন?
মিরাঃঘুমিয়েছিলে তাই।?
মিরা সকালের কথা বলে না। ভেবে নিল ঘুমের ঘোরে মেরেছে থাক। মিরা ওকে কিছু বলে না কারন এখন মাহিন ছাড়া তার কেও নেই।
এদিকে মিরার ছোট বোন মিরাকে ৭০০ টাকা দেয়। তা দিয়ে এক্টা ফ্যান কিনে আনে মাহিন। রুমে খুম গরম । ফ্যান ছাড়া কষ্ট হয় তাই। রাতে মাহিন বিরিয়ানি খাবে তাই সব আনল। মিরা তো অবাক। এই অবস্থায় বিরিয়ানি????
মিরা রান্না করে দিল। ইলার বাসায় ও দিল। খুব মজা হয়েছে । দুদিন পরে ঈদ। মিরা বলে সারাজীবন বাবা মায়ের সাথে ঈদ করেছ। এইবার ও করবে । বাসায় যাও আর আমি আপুর বাসায় যাই। আপু কিছু বলবে না।
কিন্তু মাহিনের মা ফোন দিয়ে বলে…
মাহিনের মাঃ এই মিরা। তুমি তো ছোটলোক। আমার ছেলে ফাসিয়ে বিয়ে করেছ। তোমার মত মেয়েকে আমি বউমা হিসেবে মানি না। তুমি জান আমি কত সুন্দর। তোমাকে মানব না জীবনেও। আমার ছেলের জন্য আমি সুন্দর বউ আনব(মিরাকে না দেখেই)
মিরা খুব কাদতে লাগল। মাহিন কিছু বলে না। মিরা তার বোনের বাসায় যায়। আর মাহিন তার বাসায়। মাহিন ভাবে না মিরার তো বিয়ের পরে প্রথম ঈদ। তার সাথে থাকা দরকার। আর কথায় তো এসেছিল মিরা। ২-৪ দিন হয়ে যায় মাহিন মিরাকে আসতে বলে না। ও খুব ব্যাস্ত। বাসায় মেহমান এসেছে তাদের নিয়ে।
মিরাকে তার আপুর শাশুরি বলে….
চলবে….