সে_আদরের_অন্য_নাম ? পর্ব_১৩

0
667

? #সে_আদরের_অন্য_নাম ?
পর্ব_১৩

হিয়া আর কিছু ভাবতে পারে না,আলতো করে উজানের কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ে উঠে পড়ে,তারপর উজানের ঘর থেকে হালকা একটা চাদর এনে ওটাকে উজানের গায়ে মেলে দিয়ে লাইট ওফ করে ওর রুমের বারান্দার দরজা ভালো করে লাগিয়ে উজানের রুমে শুতে চলে যায়,

সকাল আটটার দিকে উজান উঠে তড়িঘড়ি করে ফ্রেশ হয়ে হিয়াকে গিয়ে আলতো করে ডাকে,

উজানঃ হিয়া__হিয়া___হিয়া উঠো গেট টা লাগিয়ে দাও শুধু একটু কষ্ট করে,হিয়া

হিয়াঃ আপনি উঠে গেছেন,কটা বাজে(একটা হাই তুলে)

উজানঃ আমার অফিসে একটা মিটিং আছে হিয়া আমি হয়তো তোমাকে নিতে আসতে পারবো না,তবে গাড়ি পাঠিয়ে দেবো,তোমাকে কোচিং-এ নামিয়ে দেবে

হিয়াঃ (চোখ কচলাতে কচলাতে) আমার গাড়ি লাগবে না আমি একায় চলে যেতে পারবো,আপনি সকালে কি খেয়েছেন,দাড়ান আমি আপনার জন্য রুটি করে দেই

উজানঃ (হিয়ার কপালে একটা স্নেহের পরশ একে) লাগবে না জানপাখি,আমি অফিসে খেয়ে নেবো আর সময়ো নেই এমনিতে লেট হয়ে গেছে অনেক___খালা আসবে একটু পর আর তুমি প্লিজ কোচিং যাবার সময় অন্তত কিছু একটা খেয়ে বের হইও,আমি টেনশনে থাকবো নাহলে

হিয়াঃ আমাকে নিয়ে আপনাকে এতো ভাবতে হবে না,আপনি নিজে আগে অফিস গিয়ে কিছু খেয়ে নিবেন কেমন

উজানঃ ঠিক আছে__আর ফোন টা করলে প্লিজ রিসিভ করো,প্লিজ

হিয়াঃ হুম

উজানঃ আর ড্রসিং টেবিলে কিছু টাকা রাখলাম ওগুলো সাথে করে রাখবা বাহিরে দরকার পড়তে পারে,ঠিক আছে

হিয়াঃ আমার লাগবে না আপনি নিয়ে যান ওগুলো

উজান আর কোনো কথা না শুনে হিয়াকে জোরে করে একবার জড়িয়ে ধরে উঠে পড়ে অফিসে চলে যায়

হিয়াঃ এতো বার বলি জড়িয়ে না ধরতে তাও উনি এভাবে,ওনার থেকে দূরে থাকবো বলে আলাদা রুমো করে নিলাম তারপরো উনি এই এসে জড়িয়ে ধরছে,এই এসে কামড়ে দিচ্ছে,ধুর

হিয়া উঠে গেট লাগিয়ে ওর রুটিন মতো সব কিছু সেড়ে কোচিং এর দিকে হাটা ধরে

________________

রাত ৭টার কিছু পর উজান বাড়িতে আসে,আজ হিয়া ঘুমোয়নি একটা বই হাতে নিয়ে শুইয়ে আছে,উজান এসে একবার হিয়াকে দেখে নিয়ে ওর রুমে গিয়ে লাইট ওন করে ওর ঘড়ি আর সানগ্লাস টা খুলে ড্রেসিং টেবিলে রাখতে যাবে ওমনি দেখে ওর দেওয়া টাকা গুলো ওখানে ওভাবেই পড়ে আছে,উজান একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে ফ্রেশ হতে যায়,ফ্রেশ হয়ে এসে হিয়ার কাছে গিয়ে হিয়ার পাশের বালিশে শুইয়ে পড়লে হিয়া দুম করে উঠে বসে

উজান আজ ফ্রেশ হয়ে একটা হলুদ টি শার্ট আর ওফ হোয়াইট হাফ প্যান্ট পড়েছে,দেখে বোঝা যাচ্ছে ভালো করে গা টা মুছে নাই এখনো পায়ের লোম গুলো ভিজে আছে,আর আলোতে চিক চিক করছে,সাথে তো সাদা পায়ের এক জায়গাতে কি যেনো একটা কামড়ে লাল করে দিয়ে ঔ জায়গাটাকে আরো সুন্দর করে রেখেছে,এদিকে হিয়া উজানকে মাথা থেকে পা অবধি সম্পূর্ণ একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে নিজের সাথে নিজ মনে বকবক শুরু করে

হিয়াঃ এতো সুন্দর হলে কি করে হয়,ওনার তো আগা গোড়া পুরোটাই সুন্দর লাগে আমার চোখে,কোনো কমতি নেই যেনো কিছুতে,সাধে কি আর ভার্সিটিতে নাম হয়েছিলো ক্রাশবয়,মেয়ে গুলো নাকি শুনেছি ওনাকে দেখার জন্যেই ক্লাস করতে আসতো,আচ্ছা ওনার অফিসে কোনো মেয়ে কাজ করে না ঔ মেয়ে গুলো কি ওনার দিকে ওভাবে তাকিয়ে থাকে,নাকি সাথে ফ্লাটো করে মাঝেমধ্যে,আমিই বা এসব এতো ভাবছি কেনো______আমাকে কি এরকম করে seduce না করলেই ওনার হয় না,আমারো তো ইচ্ছে করে ওনাকে মাঝে মাঝে একটু ঔ আদর করে দেই,হাজারহোক হাসবেন্ড বলে কথা

উজানঃ প্রলোভন তুমিও আমাকে প্রতিনিয়ত করো জানপাখি,একটা ছেলে হয়ে সেটাকে কি করে সংযত রাখি এটা একমাত্র আমি জানি

উজানের কথায় হিয়া আবার চোখ বড় বড় করে উজানের দিকে তাকিয়ে উঠে,কি করে উজান প্রতিবার ওর মনে আসা সব প্রশ্ন গুলো বুঝে ফেলে উওর দিয়ে দেয়,হাউ!!

হিয়া উজানকে আর কিছু না বলে উঠে গিয়ে বারান্দায় মেলে দেওয়া কাপড় গুলো তুলে এনে গোছাতে থাকে,উজান তোতোক্ষণে চোখ বন্ধ করে পুরো বিছানায় গা মেলে দিয়ে শুইয়ে পড়ে

হিয়াঃ আপনি আপনার ঘরে গিয়ে ঘুমোন না,আমি পড়তে বসবো তো

উজানঃ ডিস্টার্ব করো না তো হিয়া

হিয়াঃ আচ্ছা মুশকিল তো,আমি পড়তে বসবো না

উজানঃ না এখন পড়তে হবে না,একটুপর আযান পড়বে এশার,গিয়ে নামায পরে এসে আর বাকি কি কাজ আছে সব কম্পিলিট করে নিয়ে আমার কাছে বসবা,আমি তোমাকে পড়াবো

হিয়াঃ আমি আপনার কাছে পড়বো না না না

উজানঃ আবার কথা(ঝারি দিয়ে)

হিয়াঃ ধুর জ্বালা,কেনো আসেন আপনি অফিস থেকে হ্যা?সারাটাদিন আমি একাই কি সুন্দর স্বাধীনমতো বাড়ি টা তে থাকি,আপনি আসলেই আমার সব স্বাধীনতা কেড়ে নেন

উজানঃ কালকের মতো আবার কামড় খেতে না চাইলে এই ঘর থেকে বের হও,আর নেক্সট ২০মিনিট কোনো রকম ডিস্টার্বেন্স ক্রিয়েট না করে আমাকে ঘুমোতে দেও,আই নিড এ ন্যাপ ডিপলি আন্ডারস্ট্যান্ড

হিয়াঃ আই নিড এ ন্যাপ ডিপলি ঢংকুমার একটা,সত্যি আরো কতো যে রঙো দেখবো এনার কে জানে

হালকা ন্যাকামো প্লাস রাগ দুটো মিক্সড করে কথা টা বলে হিয়া ওর রুমের লাইট টা ওফ করে দিয়ে উজানের রুমে চলে যায়,তারপর এক এক করে সব কাজ করে যেই উজানকে ডাকতে যাবে ওমনি গিয়ে দেখে উজান একবারে গা ছেড়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছে,হিয়া আর উজানকে ডেকে তুলে না,প্রায় রাত দশটার দিকে উজানের ঘুম ভাঙ্গলে উজান তড়াৎ করে উঠে ওর রুমে গেলে দেখতে পারে হিয়া মন দিয়ে ওর পড়াশুনা টা করছে,উজান একটা হাসি দিয়ে আবার গিয়ে ধপ করে হিয়ার কোলে মাথা রাখলে হিয়া কপট রেগে উঠে

হিয়াঃ কি হচ্ছে এটা

উজানঃ ডাকো নি কেনো আমাকে

হিয়াঃ আপনি বলেছিলেন আমাকে ডাকতে

উজানঃ হ্যা বলিনি তাই জন্য আমাকে তুমি ডাকবে না__

হিয়াঃ না ডাকবো না

উজানঃ তা কেনো ডাকবে,আমি ঘুমিয়ে থাকলে তো আপনার ডানা গুলো আবার গজিয়ে উঠে না,তখন আর আমার কাছে পড়তে আসতে হয় না,ফাঁকিবাজ একটা

হিয়াঃ এই যে শুনুন আমি মোটেও ফাঁকিবাজ না,আমার অল পড়া কম্পিলিট আর একটা চ্যাপ্টার রিভাইস দেওয়া বাকি আছে ওটা কাল সকালে উঠে দেখে নিলেই হবে____আপনি উঠুন তো আমার কোল থেকে উঠুন

উজানঃ কাল কেনো এখন নয় কেনো

হিয়াঃ এমনি ইচ্ছে করছে না

উজানঃ না তোমাকে এখনি ওটা শেষ করতে হবে

হিয়াঃ মহাজ্বালা তো দেখছি,আপনাকে কে ঘুম থেকে উঠতে বললো, যান তো যান গিয়ে আবার ঘুম দিন,অসহ্য

উজানঃ ঘুমোলে কিন্তু তোমাকে জড়িয়ে ঘুমোবো রাজি

হিয়াঃ আচ্ছা লোক তো আপনি,আমি আপনার সংস্পর্শে আসবো না দেখে আলাদা বিছানা পর্যন্ত বানিয়ে নিলাম আর আপনি কি না ঘুরে উল্টে সেই আমার পিছে পিছে

উজানঃ তুমি আমার সংস্পর্শে আসবে না বলে আলাদা বিছানা বানিয়েছ,হায় রে,কি করে ভাবলে ঔ আলাদা বিছানা আমাকে তোমার থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে,আমার মন তো চাইলেই তোমাকে ইউ নো

হিয়াঃ আপনি না একটা ঔ লুচু টাইপ ছেলে (বুম বুম বুম)

উজানঃ হোয়াট!!কি বললে তুমি__এই শোনো এই সব ইডিয়টিক ওয়ার্ড আমার উপর ইউস করবে না কিন্তু বলে রাখলাম

হিয়াঃ এরকম অসভ্য টাইপ ছেলে কে ঔ সব ওয়ার্ড বলবো না তো কি বলবো

উজানঃ তবে রে আমি অসভ্য

এই বলে উজান ছো মেরে হিয়ার গলা থেকে হিয়ার ওড়না টা কেড়ে নিয়ে হাতে মুঠ করে নেয়,উজানের এই কান্ডে হিয়া তো আবার পুরো থ,চোখ বড় বড় করে চুল গুলো টপাটপ সামনে এনে মেলে ধরে হিয়া এবার প্রচুর রেগে যায়

হিয়াঃ এটা কি হলো,দিন আমার ওড়না টা দিন বলছি___এসব কি অসভ্যতামি হচ্ছে শুনি

উজানঃ অসভ্য লোক তো অসভ্যতামিই করবে

হিয়াঃ ভালো হচ্ছে না কিন্তু,দিননন নাআআআ

উজানঃ (হিয়াকে ওড়না পড়িয়ে দিয়ে)দিলাম__এখন তুমি আমার কথা শুনবে আর সেটা হলো তুমি এক ঘন্টার মধ্যে বাকি পড়া টা কম্পিলিট করবে বিকজ কাল সন্ধি আসছে বাড়িতে,ওর পরশু একটা ইন্টারভিউ আছে আর এই ঢাকায় আমার বাড়ি ছাড়া ওর আর কোনো থাকার জায়গা নেই

হিয়াঃ (মুখে এক বালতি হাসি দিয়ে) সত্যিইইই,সত্যি সত্যি কাল আপু আসবে?

উজানঃ হুম ওজন্য বললাম পড়া টা শেষ করো,কারণ সন্ধি এলে তো তুমি আবার

হিয়া এবার একটু আবদারের কন্ঠে সুরালো ভাবে বলে উঠে

হিয়াঃ তাহলে আমি কাল অবন্তীকেও ডেকে নেই এখানে খুব মজা হবে

উজানঃ ঔ হলো,আবার আরো একজন

হিয়াঃ এই শুনুন না কাল আপনি সকাল সকাল অবোকে নিয়ে আসুন না প্লিজজ(আদুরে কন্ঠে)

উজানঃ নেভার

হিয়াঃ প্লিজজ ভাইয়াআআ

উজানঃ ভাইয়া বললে তো আমি আরো আনবো না,নো ওয়ে

হিয়াঃ আচ্ছা সরি সরি আর ডাকবো না,এবার তো নিয়ে আসবেন বলুন

উজানঃ ঠিক তো

হিয়াঃ হুম পাক্কা পাক্কা

উজানঃ ঠিক আছে আনবো,এখন উঠো তো পড়াটা পড়ে নেও আমি কফি করে আনছি

হিয়াঃ আমি কিন্তু খাবো না

উজানঃ সন্ধি কে এসে যেতে দেও তারপর আমি তোমার ব্যবস্থা করছি

হিয়া একটা ভেংচি কেটে দিয়ে বই হাতে নিয়ে বাকি পড়া টা শুরু করে,এদিকে উজান হিয়ার কোল থেকে উঠে ওয়াশরুম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে কফি করে আনে কিন্তু হিয়া খায় না,উজান হিয়াকে বেশি জোর ও করে না,এগারো টার কাছাকাছি এসে হিয়ার পড়া হয়ে গেলে হিয়া ওর সব বই গুছিয়ে ডাইনিং এর দিকে পা বাড়ালে উজান হিয়ার হাত ঘপ করে ধরে নিয়ে হিয়াকে নিয়ে গেট খুলে বাহিরে দাঁড়িয়ে পড়ে

হিয়াঃ এটা কি হচ্ছে আমরা এখন কোথায় যাবো

উজানঃ (গেট লক করতে করতে)ছাঁদে যাবো,ছাঁদে গিয়ে হাওয়া খাবো,আকাশ দেখবো তারা গুনবো আরো কতো কতো কি

হিয়াঃ এই এই এতো রাতে ছাঁদে

উজানঃ হোয়াট এতো রাত সবে তো জাস্ট ১১

হিয়াঃ এটা রাত না

উজানঃ না

হিয়াঃ আমি যাবো না,আপনি যান গিয়ে হাওয়া খেয়ে আসুন

উজানঃ তুমি তো কখনোই আমার সাথে জেদ করে পারো না তাহলে শুধু শুধু আমি যাবো না আমি খাবো না আমি পড়বো না এতো ঢং করো কেনো,ইডিয়ট?

হিয়া মুখ বাকিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই উজানের গেট লক করা হয়ে গেলে উজান হিয়াকে টেনে নিয়ে ছাঁদের দিকে এগুতে ধরে,বাট ঔ যে কপাল,গিয়ে দেখে ছাঁদের গেটে তালা দেওয়া,তালা দেওয়া দেখেই তো উজানের মেজাজ পুরো হাই ডিগ্রি তে চলে যায়,আর উজানের এরকম বাংলারপাচেঁর মতো মুখ দেখে হিয়া ফিক করে হেঁসে উঠে??

হিয়াঃ বেশ হয়েছে,আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এলেন,এখন হলো তো__যান,যান না,গিয়ে হাওয়াআআআ খেয়ে আসুন

উজানঃ জাস্ট কিপ ইউর মাউথ শাট ওকে

হিয়াঃ কেনো কেনো,কেনো আমি মুখে কলুপ এঁটে থাকবো,আমি তো বলবোই

উজানঃ হিয়া

হিয়াঃ ছাঁদে চড়বে,হাওয়া খাবে,আকাশ দেখবে,তারা গুনবে হুহ শখ তো যেনো উচলে উচলে পড়ছে?

উজান আর কিছু না বলে হিয়াকে নিয়ে নিচে নেমে এসে ওদের ফ্লোরে যাবে তখনি দেখে ফয়সালের মা ফারিহা কে গেটের কাছে দাঁড়িয়ে রাতের খাবার খাওয়াচ্ছে

উজানঃ হে প্রিন্সেস ফারিহা যে

উজান ফারিহা কে কোলে তুলে নেয়,ফারিহাও এই রাতে উজানের কোলে চড়তে পেরে ব্যাপক খুশি

উজানঃ হিয়া,ইনি ফয়সালের আম্মু

হিয়া ফয়সালের আম্মু কে সালাম দিলে ফয়সালের আম্মু খুশি হয়ে হিয়াকে কাছে টেনে নিয়ে বলে কি মিষ্টি দেখতে তোমার বউ টা উজান,উজান প্রতিউওরে বলে সে তো শুধু দেখতেই মিষ্টি আন্টি বিয়ের পর যা অতিরিক্ত সিরকা যোগ হচ্ছে ওর মধ্যে,কোনদিন না আবার বেশি তেঁতো হয়ে উঠে,উজানের কথায় ফয়সালের মা হেঁসে দিলেও হিয়া ভূ কুঁচকে কপট দৃষ্টিতে উজানের দিকে ওর রাগ???? ছুড়ে দেয়,এদিকে ফয়সাল ওর বন্ধুর গলা পেয়ে দৌড়ে এসে উজানকে টেনে ওদের ফ্লাটে নিয়ে গিয়ে নতুন কিসব ভিডিও গেম কিনেছে ওগুলো দেখাতে থাকে,যাওয়ার আগে অবশ্য ফারিহাকে ওর মার কোলে দিয়ে যায়,এদিকে হিয়া ফয়সালের আম্মুর সাথে ওটুকু সময়ে অনেকটা ভাব বিনিময় করে ফেলে,ফয়সালের আম্মু বেশ পছন্দ হয় হিয়াকে,খানিক্ষন পর উজান বেড়িয়ে এলে হিয়া ফয়সালের আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ওদের ফ্লাটে ঢুকে যায়,এসে ফ্রেশ হতে রাত প্রায় তখন ১২টা পার হবে হবে এমন

হিয়া সেদিনের মতো আজো ভাতের সাথে ডিম পোস খাবে বলে ফ্রিজ থেকে ওর ভাত টা বের করছিলো,কিন্তু ভাত গুলো ঠান্ডা থাকায় হিয়া ওগুলো ডিমের সাথে প্যানে ভেজে নেয়,এদিকে উজানো তখন খাবে দেখে ওর ভাত প্লেটে সাজিয়ে নিচ্ছিলো,এমন সময় অবন্তীর ফোন এলে হিয়া চুলা টা ওফ করে দিয়েই দৌড়ে রুমে গিয়ে ফোন টা রিসিভ করে কথা বলতে শুরু করে,পাঁচ মিনিটে টুকিটাকি মানে কাল কখন আসবে কি করবে ওগুলো বলেই অবন্তী ফোন রেখে দেয়,এদিকে ফোন থুয়ে আবার রান্নাঘরে ঢুকে নিজের কড়াইয়ের উপর চোখ পড়লে হিয়া এমন বিদঘুটে চিৎকার দিয়ে উঠে যে উজান নিজেও ঔ মুহুর্তে খানিকটা ভয় পেয়ে যায়

হিয়াঃ আআআআ___ইইইই___এটা কি করে এখানেএএএএ

উজানঃ কি হলো হিয়া এভাবে চিৎকার করছো কেনো,is everything all right?

হিয়াঃ ওটাআআআ কিইই আমার খাবারে,আরশোলাআআআআ

উজানঃ আরশোলা!! আরশোলা কোথা থেকে আসতে যাবে

হিয়াঃ আমি জানি নাআআআআ,আমি খাবার খোলা রেখে অবোর সাথে কথা বলতে গিয়ে এসে দেখি

উজানঃ তুমি না,এতো ইরেসপন্সিবল হলে কি করে হবে খাবার টা তো অন্তত ঢেকে যাবে তা না করে,দেখি আসো এদিকে,বসবে আসো

হিয়াঃ আমি এখন রাতে কি খাবোওওও,আমার তো খিদেয় পেটে ছুঁচো দৌড় দিচ্ছে,চালও তো আর নেই যে আবার ভাত বসিয়ে দেবো

উজানঃ কাম ডাউন কাম ডাউন হিয়া রিলাক্স,আরে তুমি কি জানতে না-কি যে এরকম হবে,ইটস ওকে

হিয়াঃ কি কি ইটস ওকে,আপনার এই ফ্লাট নাকি খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তাহলে আরশোলা কোথা থেকে আসলো

উজানঃ আরে আমি জানবো কি করো,প্লিজ হিয়া এরকম বাচ্চা দের মতো বিহেভ করা ওফ করো প্লিজজ

হিয়াঃ আমি কি খাবো এখন,আমি আমি আপনাকে টাকা দিচ্ছি আপনি গিয়ে আমাকে চাল বা আটা কিছু এনে দিন না প্লিজ

উজানঃ নো ওয়ে আমি পারবো না

হিয়াঃ আপনি কি চাইছেন আমি না খেয়ে থাকি

উজানঃ নাআআ,তবে তুমি চাইলে আজকে রাত টা আমি তোমাকে আমার খাবার শেয়ার করতে পারি

হিয়াঃ আপনি শেয়ার করুন আর যাই করুন আমি আপনার কিচ্ছু খাবো না

উজানঃ আরে আমার কোথায় খেতে বলছি,তুমি এখন আমার টা খাও কাল না হয়ে আমাকে রাতে খাইয়ে দিয়ে শোধ দিয়ে দিও তাহলেই তো মিলে গেলো হিসাব

হিয়াঃ হ্যা কিন্তু

উজানঃ ভেবে দেখো এর চাইতে বেটার অপশন এই মুহুর্তে আছে বলে তো আমার মনে হয় না

হিয়াঃ খিদে তো আমার প্রচন্ড পেয়েছে সেই দুটোয় খেয়েছি তারপর থেকে তো পানি গিলে গিলেই পেট ভরলাম,কিন্তু সারারাত কি করে

উজানঃ কি হলো এতে এতো ভাবতে হচ্ছে

হিয়াঃ বেশ তাহলে কাল আপনি আমার এখানে রাতে খাবেন যদি এ শর্তে রাজি হোন তবেই আমি

উজানঃ ওকে যাও ডান

উজান একটা অমায়িক হাসি দিয়ে হিয়ার জন্য খাবার বেড়ে আনে,আজ খালার তাড়া ছিলো বলে উনি শুধু টাটকা কষা মাংস রেধেছিলেন আর গরম ভাতের সাথে কষা মাংস আর কি লাগে___দুজনে বসে খেতে থাকে উজান হিয়াকে খাইয়ে দিতে চাইলেও হিয়া মানা করে,তাই উজান আর জোর করে না যাক আজ দুদিন পর তার ইডিয়ট টা একটু ঠিক মতো খাচ্ছে এতেই তার শান্তি

উজানঃ ফয়সালের আম্মুর কিন্তু তোমাকে খুব পছন্দ হয়েছে জানপাখি

হিয়াঃ পছন্দ আর কি__যখন উনি জানবেন আমি আপনার মতো বড় কোনো ঘর থেকে আসিনি আমার সামর্থ্য অতি সামান্য তখন উনার এই পছন্দ টাও অপছন্দের তালিকায় গিয়ে জমা হবে

উজানঃ হিয়া!!___ফয়সালের আম্মুকে দেখে তোমার তাই মনে হলো

হিয়াঃ personal experience তো তাই বলে, কি বলুন

উজানঃ তুমি না দিনদিন কি রকম জেনো হয়ে যাচ্ছ হিয়া

হিয়াঃ তাই

হিয়ার কথায় উজানের মেজাজ পুরো বিগড়ে যায়,অনেক কষ্টে দাঁত মুখ খিচে নিজেকে সংযত করে বাকি ভাত টুকু শেষ করে উজান ওর রুমে চলে যায়,হিয়ার সাথে একটা কথা বলে না,হিয়া বুঝে উজান ক্ষেপে গেছে,তাই সে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে নিজের খাবার টুকু শেষ করে সব ফ্রীজে গুছিয়ে নিজের রুমে শুতে চলে যায়,
_________________
পরেরদিন হিয়া ওর কোচিং থেকে ফিরে রুমে ঢুকতে যাবে ওমনি ফয়সাল এসে হিয়ার ওড়না টেনে ধরে হিয়ার পিছে পিছে ওদের ফ্লাটে ঢুকে,আজ উজান ছুটি নিয়েছে কারণ সন্ধি আসবে আর হিয়ার বায়না অনুযায়ী তাঁকে আবার একটুপর গিয়ে অবন্তী কে নিয়ে আসতে হবে

ফয়সালঃ বন্ধু তোমাকে এখনো ডানা কিনে দেয়নি

হিয়াঃ নাআআ গো মিকিমাউস তোমার বন্ধু এখনো আমাকে ডানা কিনে দেয়নি,আর ডানা না দিলে আমি উড়বো কি করে বলো তো,

ফয়সালঃ আচ্ছা ওয়েট আমি একটু আসছি,তুমি এগুলো রাখো তো

হিয়াঃ কি রাখবো

ফয়সাল হিয়ার হাতে একটা আরশোলা তুলে দিলে হিয়া আঁতকে উঠে ওটা ফেলে দিয়ে হালকা চেচিয়ে উঠে

হিয়াঃ ইইইই,কি কি এটাআআআ___আরশোলা কেনো দিচ্ছ আমার হাতে তুমি,ওটা নোংরা জিনিস ভাইয়া, ওগুলো ধরে না সোনা,

ফয়সালঃ (আরশোলা টা তুলে)আরে এটা আসল না,ধরো ধরো আরে দেখো এটা নকল__আরে বন্ধু তো কাল আমার কাছ থেকে একটা নিয়ে এসেছিলো তুমি দেখো নি বন্ধু তোমাকে দেখায়নি

হিয়াঃ তোমার বন্ধু আর–শোলা নিয়ে এসেছি-লো মানে

ফয়সাল বলে কাল রাতে যখন উজান কে ও ওর ভিডিও গেম দেখাচ্ছিল তখন উজান ওগুলো ফ্লোরে দেখতে পেয়ে একটা টুক করে তুলে নিয়ে বলে এই নকল আরশোলার বিনিময়ে তাকে একটা বড় দেখে ডেইরি মিল্ক কিনে দেবে,আর চকলেটর লোভে ফয়সাল রাজি হয়ে যায়,এই তো হয়ে গেলো এখন হিয়ার মাথায় সব পরিষ্কার কাল তাহলে উজান ইচ্ছে করে,এবার হিয়ার রাগ কোথায় গিয়ে থামে,এতোদিন উজান রাগ রাগ করে করে সব কিছু করেছে আর আজকে সেই রাগের চার ডবল রাগ ভর করেছে হিয়ার উপর

হিয়া কিছু না ভেবে আরশোলা টা নিয়ে গিয়ে দুম করে উজানের সামনে দাঁড় হয়,উজান তখন ওর ল্যাপটপে কিছু ফাইল চেক করছিলো,হিয়া গিয়ে দাঁড়াতে উজান আড় চোখে হিয়াকে দেখে নিয়ে একটা মিচকে টাইপ হেঁসে দিয়ে আবার ল্যাপটপের স্ক্রিনে মনোনিবেশ করে

হিয়া সপাটে উজানের কলার চেপে ধরে ল্যাপটপের উপর দিয়ে উজানের উপর উঠে বসে

উজানঃ কি করছো হিয়া,ফয়সাল আসবে

হিয়াঃ আমাকে বোকা বানিয়ে আপনি এভাবে হাসঁছেন,আজ আপনার একদিন কি আমার

এই বলে হিয়া উজানের ঠোঁটে ওর ঠোঁট ডুবিয়ে এমন এক কামড় বসিয়ে দেয় যেটা উজানের আগের সব কামড় কে হার মানিয়ে দিতে সক্ষম,উজান শুধু দাঁত মুখ খিচে এক হাতে বিছানার চাদর আর এক হাতে হিয়ার হাত খামচে ধরে দাঁতে দাঁত চিপে কামড় টা সহ্য করে যায়

হিয়া উজান কে কামড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়,উজান চোখ খুলে হিয়ার দিকে তাকালে হিয়া দেখতে পারে উজানের চোখে হালকা পানি

হিয়াঃ এর-পর,এরপর আর কখনো আমাকে বোকা বানালে আজকে শুধু কামড়ে দিয়েছি,এরপর আপনার মাথার একটা চুলো আস্ত রাখবো না হু

কথাটা বলেই হিয়া একটা ভেংচি কেটে ওর রুমে চলে যায়,এদিকে এতোদিন উজানের কাজকর্মে হিয়া থ মেরে গেলেও আজ হিয়ার এই কান্ডে উজান পুরো থ,কিছুক্ষণ বোকার মতো বসে থেকে উজান যেই ওর হাত টা নিচের ঠোঁটে রাখে ওমনি খেয়াল করে ওর হাতে খানিকটা রক্ত,উজান দৌড়ে আয়নায় গিয়ে নিজেকে দেখলে বুঝতে পারে হিয়া আসলে ঠিক কি রকম করে ওকে কামড়িয়েছে

উজানঃ পরী থেকে কখন তুমি রাক্ষসী পরীতে ডাইভার্ট হয়ে গেলে হিয়া!!
_____________

উজান ওর ঠোঁটে হালকা বরফ লাগিয়ে সন্ধির সাথে সাথে অবন্তীকে আনতে বেড়িয়ে পড়ে,দুজনকে নিয়ে ফিরতে উজানের প্রায় চারটে বেজে যায়,এদিকে বাড়িতে এসেই হিয়া সন্ধি আর অবন্তী কে জাপ্টে ধরে ভেতরে নিয়ে কি থেকে কি বলতে থাকে তারা তিনজনের কেউ ই জানে না,অবন্তী হিয়াকে টেনে ওর রুমে নিয়ে গেলে সন্ধি একটু থেমে উজান কে আঁটকে দিয়ে

উজানঃ হোয়াট সন্ধি

সন্ধিঃ কামড়াকামড়ি তাহলে ভালোই চলে দেখছি

উজানঃ হোয়াট কামড়া কাম-ড়ি?

সন্ধিঃ এই যে লেহনে লেহন ডুবিয়ে দিয়ে তুমি আর হিয়া যে কামড়াকামড়ি করো তার কথা বলছি

উজানঃ সব কিছু ছেড়ে তোর নজর আমার ঠোঁটে এসেই পড়লো

সন্ধিঃ হে হে__কেমন লাল হয়ে আছে ছিঃ

উজানঃ যা তো আমার সামন থেকে

সন্ধিঃ খুব প্রেম চলে তাই না রে

উজানঃ হ্যা খুব,আছিস না দু দিন দেখতেই পারবি কতো প্রেম চলে

সন্ধিঃ তবে রে
___________________
সন্ধি আর অবন্তী আসার পর থেকে কিরকম করে যে দিন পেড়িয়ে রাত হয়ে আসলো কারোরি কোনো খেয়াল নেই,এই সারাটা দিন তিনজনের বাড়ি কাপানো চিৎকারে উজান পুরো পাগল হয়ে গিয়েছিলো,কতো বার যে উজান এসে এসে তিনজনকে আস্তে কথা বলতে একটু লাফালাফি কম করে করতে বলে যাচ্ছিলো সে হিসাব নেই,এতো এতো করে সন্ধিকে বলছে তোর কাল ইন্টারভিউ তুই একটু ঠিক করে প্রিপারেশন নে কিন্তু কে শোনে কার কথা,ওরা তিন মাথা তো এক হয়ে গল্প দিতেই ব্যাস্ত,শেষে উজান বাধ্য হয়ে ওর রুমের গেট লাগিয়ে অফিসের ফাইল নিয়ে ঘাটতে বসে,রাতে আর উজান হিয়াকে এক্সট্রা কোনো রান্না করতে দেয় না,বাহির থেকে সবার পছন্দ মতো খাবার ওডার করে রাতের ডিনার টা শেষ করে,

সন্ধিঃ এই উজান আজকে কিন্তু আমার তিনজনে এ ঘরে থাকবো তুই গিয়ে ফ্লোরে ঘুমো যা___হিয়া কি থাকতে পারবা তো বরকে ছাড়া

হিয়াঃ কি যে বলেন না আপু আমি আর ভাইয়া তো আলাদাই থাকি,উনি এ ঘরে ঘুমোন আর আমি ফ্লোরে

হিয়ার কথায় সন্ধি আর অবন্তী পুরো থ

অবন্তীঃ মানে কি তুই আর ভাইয়া

সন্ধিঃ তোমরা এক বাড়িতে থাকো বাট আলাদা আলাদা ঘরে

সন্ধির কথায় হিয়া একটা হাসি দিয়ে হ্যা সূচক মাথা নাড়ে,উজান এসে সন্ধির হাতে একটা ফাইল ধরিয়ে ওর সিগারেট আর লাইটার টা নিয়ে ও ঘরে যেতে যেতে বলে উঠে

উজানঃ খুব না প্রেম দেখবার শখ ছিলো মিটে গেলো শখ!!
___________________
রাত একটার দিকে উজান তখন হিয়ার রুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছিলো,সন্ধি এসে উজানের পাশে গ্রীলে দাঁড়িয়ে

সন্ধিঃ এখনো তাহলে ভার্জিনিটি ঠিক আছে দেখছি,

উজানঃ আমার কবে ভার্জিনিটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো বেয়াদব

সন্ধিঃ কেন কটেজে,এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলি

উজানঃ তুই যেভাবে মনে রাখছিস আমি কি আর ভুলতে পারি

সন্ধিঃ আচ্ছা শোন একটা কথা, কাল____আমি আর তুষার____বিয়ে করবো

উজানঃ হোয়াট!!বিয়ে!!মানে সিরিয়াসলি

সন্ধিঃ হুম সিরিয়াসলি,সকালের ফ্লাইটে রুপম আসছে তুষার কে নিয়ে,রুপম হবে তুষারের সাক্ষী আর তুই হবি আমার

উজানঃ মানে সত্যি তোরা কাল

সন্ধিঃ সত্যি

উজানঃ এটা নিশ্চয় তোর ডিসিশন

সন্ধিঃ এই তো আমাকে খুব ভালো চিনিস মাই বেস্টু__তবে তুষারের হাত টা একটু ফাঁকা এদিক টা তোদের কেই ম্যানেজ করতে হবে

উজানঃ যা এখন গিয়ে শুইয়ে পড় আমি সব ব্যবস্থা করে রাখবো

সন্ধি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে হিয়াদের সাথে শুতে চলে গেলে উজান ফ্লোরে গিয়ে শুইয়ে পড়ে,এদিকে এ রুমে তিন জনের কেউ ই রাতে ঘুমোয়া না রাত প্রায় চারটে পর্যন্ত তিন পাগলিতে টিভি দেখে গল্প করে তারপরই ঘুমে ডুব দেয়
_____________
পরেরদিন সকালে

উজানঃ প্লিজ তোরা এবার একটু উঠে রেডি হতে শুরু কর,এরপর তুই ইন্টারভিউ মিস করলে কিন্তু আমাকে কিছু বলতে পারবি না

সন্ধিঃ হচ্ছি হচ্ছি,অবো আগে তুই গিয়ে রেডি হয়ে আয় তো যা

অবন্তী রেডি হয়ে আসলে সন্ধি টপাটপ রেডি হয়ে নেয় এদিকে সময়ো আর বেশি নেই ওদিকে উজান তাড়া দিচ্ছে কি একটা অবস্থা

হিয়া এতোক্ষন ছাঁদে গিয়েছিল কিছু ভেজা জামা কাপড় মেলতে,জামা কাপড় মেলে এসে সন্ধি আর অবন্তী খুব করে হিয়াকে তাড়া দিতে শুরু করে,কখন এতো বেজে গেলো সন্ধির তো পুরো মাথা শেষ!!

হিয়া টপাটপ ওর লাগেজ থেকে একটা কমলা রঙের জামা আর নীল চুড়িদার ওড়না বের করে পড়বে বলে কিন্ত চেন্জ টা করবে কোথায়,অবন্তী বলে ভাইয়াকে তো দেখছি না মনে হয় নিচে চলে গেছে তুই ওয়াশরুমের সাথে আলাদা যে চেন্জ করবার জায়গাটা আছে ওখানে গিয়ে চেন্জ করে নে,হিয়া মাথা নাড়িয়ে দুম করে ওয়াশরুমে ঢুকে জলদি জলদি রেডি হবে বলে হাতের জামা গুলো হ্যাঙ্গারে থুয়ে টপাটপ ওর জামাকাপড় খুলতে শুরু করে__কিন্তু এবার ঘটে অন্য এক কান্ড আসলে উজান তখন ছিলো ওয়াশরুমে,মানে সে ওয়াশরুমের কিনারে দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট টানছিলো,ঘরে সিগারেট টানলে ধোঁয়া হয় বলে হিয়া বলে দিয়েছিলো সে যেনো সিগারেট খেতে মন চাইলে ওয়াশরুমে চলে যায়,তাই উজান তখন ওভাবে দাঁড়িয়ে____এদিকে হিয়া তো ওসময়টাতে তাড়াহুড়ো তে ছিলো তাই ভেতরে কেউ আছে কি না সেটা খেয়াল না করেই পেছন ফিরে চেঞ্জ করতে শুরু করে,আর উজান পেছন ফিরে পর্দা টা সারাতেই হিয়াকে ওভাবে দেখে পুরো থ,

উজানঃ স্পাইনাল কর্ডের মাঝ বরাবর একটা তিল,কোমড়ের কাছে আবার একটা লাল তিল,দ্যাটস গ্রেট!! আর

উজান আর তিল গুনতে পারে না তার আগেই হিয়া জামা টা পড়ে নেয়,এদিকে সন্ধি আবার এপাশ থেকে তাড়া দিতে শুরু করে

হিয়াঃ হ্যা হ্যা বের হচ্ছি হয়ে গেছে আমার,আসছি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here