সে_আমার_অসুখ,শেষ_পর্ব

0
2022

সে_আমার_অসুখ,শেষ_পর্ব
লিখা_মুনিয়া_রহমান

আমি চাওয়ার আগেই যেন আমার সামনে সব কিছু এসে হাজির।কোন ঝগড়া নেই, মান অভিমান নেই। সম্পর্কটা কেমন জানি এক ঘেয়েমী পর্যায় চলে গেল। আমি খুব করে চাইতাম ইবতিয়াজ আমার সাথে ঝগড়া করুক। ও যেন আমাকে রাগ করে সেইজন্য বিভিন্নভাবে ওকে বিরক্ত করা শুরু করলাম। এই যেমন ইচ্ছে করে সকালে দেরিতে ঘুম থেকে উঠতাম। রাতে রান্না না করে রেখে দিতাম। ইবতিয়াজ অফিস থেকে এসে যাতে কাপড় না পায় তার জন্য কাপড় গুলো অন্য জায়গায় লুকিয়ে রাখতাম। চা,কফি কিছু চাইলে মুখের উপর বলতাম পারবো না বানিয়ে খাও। আমার এই উদ্ভট সকল কাজ কর্ম ইবতিয়াজ খুব ঠাণ্ডা মাথায় সামলাতো। কাপড় খুঁজে নেয়া, নিজে চা বানিয়ে নেয়া। এই সব কিছু হাসি মুখে করতো। আর আমাকে বলতো
–ঝিনুক! এখনই যদি এত অলস হয়ে পড়ো। যখন দুই বাচ্চার মা হবে তখন কি করবে ? কি করে সংসার সামলাবে বলোতো ?
–তখনও তুমিই এভাবে সামলাবে।
–হ্যা সেটাই! আমি এখন এক হাতে অফিস আর এক হাতে ঘর সামলাবো। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া দুটো হাতের যথার্থ প্রয়োগ করবো।

আমি তখন বিড় বিড় করে বলি, নে গরু! যত সময় তুই আমার সাথে ঝগড়া না করবি। এমন করেই আমি তোর উপর অত্যাচার করবো।
আমার করা অত্যাচার অন্য দিকে ইবতিয়াজের নিরবে সহ্য করা। এভাবেই দিন গুলো কাটছিলো।

এরই মাঝে হুট করে একদিন আমার শ্বাশুড়ি মা আর ইবতিয়াজের মামাতো বোন শাম্মী গ্রাম থেকে আমাদের বাসায় আসে।এভাবে হঠাৎ করে গ্রাম থেকে আাসার কারণ হিসেবে শ্বাশুড়ি মা বললেন শাম্মীকে ইদানীং গ্রামের কয়েকটা ছেলে খুব বিরক্ত করছে। যার জন্য মামা খুব চিন্তা করছিলেন।অবশেষে তারা সিদ্ধান্ত নেয় শাম্মীকে গ্রামে আর রাখবেনা। শহরের কোন একটা কলেজে ভর্তি করে দেবে। আর এখন থেকে ও শহরেই থাকবে। ইবতিয়াজকে দায়িত্ব দিলো ওকে কলেজে ভর্তি করার। ইবতিয়াজ বাধ্য ছেলের মতই মায়ের কথায় রাজি হলো।

শাম্মীর বয়স উনিশ ।সারা গায়ে উপচে পড়া সৌন্দর্য। যে কেউ একবার দেখলেই তার মনে ধরে বসবে। শাম্মীর এত সৌন্দর্য দেখে হুট করে নিজের মধ্যে অনেক খানিক অসস্তি তৈরি হলো আমার। এই অসস্তি তিনগুণ হলো যখন শাম্মির সাথে কথা হলো। মেয়েটা আকারে ইঙ্গিতে অনেক কিছুই বোঝাতে চাইলো আমাকে
— ভাবী তুমি কি জানো ইবতিয়াজ ভাইয়ার ঝাল করে গরুর মাংস ভুনা অনেক পছন্দ? তুমি এমন মিষ্টি মিষ্টি করে রান্না করো। ভাইয়া এগুলো কি করে খায়?
–কই আমি জানিনাতো ? ইবতিয়াজতো আমাকে কিছু বলেনি যে ওর ঝাল মাংস পছন্দ।
–বলেনি নাকি তুমি জানতে চাওনি ?
শাম্মীর এমন কথায় আমি কোন উত্তর খুঁজে পেলাম না। সত্যি বলতে আমিতো জানতে চাইনি।
এরপর আমি খেয়াল করলাম ছোট খাটো অনেক সাধারণ ব্যাপারই আমি জানিনা অথচ শাম্মী জানে।অপরদিকে শাম্মী একটু বেশিই ইবতিয়াজের খেয়াল রাখা শুরু করেছে।যেমন সন্ধ্যায় ইবতিয়াজের পছন্দের নাশতা। দুপুরে আমি রান্না করার পরও ইবতিয়াজের পছন্দ অনুযায়ী আরও আইটেম রান্না করা। ইবতিয়াজের শুকনো কাপড় ঘরে এনে ভাজ করে রাখা। প্রথম প্রথম ব্যাপারটায় পাত্তা না দিলেও ইদানীং খুব চোখে লাগে ব্যাপারগুলো আমার।
ইবতিয়াজ যেদিন শাম্মীকে ভার্সিটিতে ভর্তি করতে যাবে। সেদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি। আমি বাসার বেলকনি থেকেই দেখতে পেলাম ইবতিয়াজ শাম্মীকে নিয়ে একটা রিকশায় উঠলো। ওরা দুজন রিকশায় উঠতেই। রিকশাওয়ালা মামা হুট উঠিয়ে দিলো।
সারাদিন আমার চোখে শুধু রিকশার ওই হুট ওঠানোর ব্যাপারটাই ভাসলো। আর মনের এক কোণে জানান দিলো। ইবতিয়াজ বুঝি হারিয়ে যাচ্ছে আমার জীবন থেকে।

সন্ধ্যায় ইবতিয়াজ ফিরলো হালিম নিয়ে। হালিমের বাটি ডাইনিং টেবিলে রেখেই বললো
–শাম্মীকে ডাক দাও। ওকে বলো আমি হালিম এনেছি।
— শাম্মী হালিম খেতে চেয়েছিলো?
–হু! সকালে শাম্মীকে ভার্সিটিতে নামিয়ে দেওয়ার সময় ও বললো হালিম খাবে। তখন বলেছিলাম সন্ধ্যায় বাসায় আসার সময় আমি নিয়ে আসবো। একসাথে সবাই মিলে খাবো।

শাম্মীর প্রতি ইবতিয়াজের এত কেয়ার আমার একদম অসহ্য লাগলো। আমি না খেয়ে রুমে গিয়ে শুয়ে রইলাম। ইবতিয়াজ কিছু সময় পর খাবারের প্লেট নিয়ে রুমে আসলো।
–ঝিনুক ওঠো খেয়ে নাও। এই দেখো আমি ভাত এনেছি।
–খাবো না আমি৷ ভাত রেখে আসো।
–তা বললে কি হয়? উঠে বসো আমি নিজে হাতে খাইয়ে দেবো।
আমি উঠে বসলাম ঠিককিন্তুু এর পরে যা করলাম তার জন্য ইবতিয়াজ মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।আমি এক ধাক্কায় খাবারের প্লেট ফেলে দিলাম। ইবতিয়াজ বিস্ময় নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো
–কি হয়েছে খাবার ফেললে কেন?
–খাবো না আমি ! বাইরে একজনের সাথে রঙ ঢং করে এসে আমার সাথে আদিখ্যেতা দেখাচ্ছ। বলো শাম্মির সাথে তোমার কি এমন সম্পর্ক? আমি যা জানিনা শাম্মি তা সব জানে। শাম্মিকেই যদি এত ভালোবাসো তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন ? আমার আপুর কথায় দয়া দেখিয়ে?
–ঝিনুক চুপ করো। কি আবোল তাবোল বলছো তুমি ?
— ও! এখন আমি বললে আবোল তাবোল আর শাম্মি বললে সব সুন্দর।
–বার বার শাম্মিকেই কেন টানছো। ও আমার বোন। এর বেশি কিছু নয়।
–বোন বলেই বুঝি হুট তোলা রিকশায় উঠতে হবে।গায়ে গা লাগিয়ে বসবে।কয়দিন পরতো যেখানে সেখানে বসে সময় কাটাবে। বোন বোন বলে পরে বউ বানিয়ে ঘরে তুলবে ।

আমার এমন কথা শুনে ইবতিয়াজ আমাকে কষে একটা থাপ্পড় মারে। আমার মাথা তখন ঝিম ঝিম করছে। আমাকে থাপ্পড় মেরে ইবতিয়াজ আর এক মুহূর্ত রুমে দাড়ায়নি। দ্রুত পায়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।

সে রাতে ফ্লোরে বসে চোখের পানিতে রাত কাটে আমার। ইবতিয়াজ আমাকে কখনও ভালোবাসেনি। আপুর কথায় দয়া করে বিয়ে করেছে।এরকম বিভিন্ন চিন্তায় মাথাটা ভার হয়ে চোখের পাতা ঝাপসা হয়ে আসে আমার।

পরের দিন সকালে পুরো বাসায় খুঁজেও ইবতিয়াজকে পায়নি।যে সংসারে ভালোবাসা নেই শুধু দায়বদ্ধতা করবোনা সে সংসার আমি। নিজের জামা কাপড় ব্যাগে ভরে রুম থেকে বের হতেই শাম্মির সাথে দেখা হলো। আসার সময় ম্লান হেসে শুধু বলেলাম,আমি আসছি!

ইবতিয়াজের ওখান থেকে সরাসরি আমাদের বাসায় এলাম। এভাবে হুট করে আসাতে মা অনেক প্রশ্ন করলো। আমি শুধু চুপচাপ শুনলাম। কিন্তুু ঝামেলা বাঁধলো তিন দিন পর। আপু ফোন দিয়ে মাকে বললো আমি ইবতিয়াজের সাথে ঝগড়া করে এসেছি।মা অনেক ভাবে অনেক কিছু বুঝালো। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এর মাঝে এক বারও ইবতিয়াজ আমায় ফোন দিলো না। এতে আমার অভিমান যেন পাহাড় সমান হলো।

পঞ্চম দিনে আমার বাসায় আমার নামে একটা পার্সেল এলো। কে দিয়েছে এটা ভাবতে ভাবতে পার্সেল খুললাম। পার্সেল খুলে আমার চোখ কপালে উঠে যাওয়ার মত অবস্থা।দুটো সুতি শাড়ী।দু জোড়া দুল আর এক বোতল আলতা। আমার এই দুঃসময়ে এই উপহার কে পাঠলো ? শাড়ী দুটো বের করতেই ভেতর থেকে একটা হলুদ রঙের খাম বের হয়ে আসলো। প্রচণ্ড উৎসাহে আমি খামের মুখ খুলতেই একটা চিঠি পেলাম। চিঠি খুলতেই হাতের লেখা দেখেই বুঝে গেলাম এই চিঠির প্রাপক কে ?

প্রাণের বিয়ানসাফ,

নিশ্চয় ভালো আছো।অবশ্য ভালো থাকার জন্যইতো ও বাড়িতে গেছো। শোনো আমি কিন্তুু তোমার অভিমান ভাঙানোর জন্য চিঠিটা পাঠাচ্ছিনা।মূলত আমি তোমায় কিছু ব্যাপার জানানোর জন্যই চিঠিটা লিখছি।তুমি জানো আমার বাবা নেই। এই নেই মানে কিন্তুু আমার বাবা যে মারা গেছে এমন নয়। আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। সে তার দ্বিতীয় বউ এবং তাদের সন্তানদের সাথে থাকেন। এবার তোমার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে। আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে কেন করলো ?শোনো তবে আমার বাবা আর মায়ের কিন্তুু লাভ ম্যারেজ ছিলো। তিন বছরের সম্পর্ক সাত বছরের সংসার।এই দীর্ঘ সময়ের পরিচিত মানুষটা একটা সময় আমার মায়ের কাছে ভীষণ রকম অপরিচিত হয়ে উঠলো। আমার মা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আমার বাবা বর্তমানে অন্য নারীতে মগ্ন হয়ে উঠেছেন। আমার মা এ বিষয়ে বাবার সাথে কথা বললে তাকে জানিয়ে দেয়া হলো আমার বাবা নামক মানুষটা আর আমার মায়ের সাথে সংসার করতে চায় না। আমার মা বাবার কথায় কোন প্রতিবাদ না করে তার সিদ্ধান্তটাকে সমর্থন করলো। আমাদের পুরানো একতলা বাড়িতে আমার বাবার নতুন সংসার গড়ে উঠলো। অপরদিকে আমাদের ঠাঁয় হলো মামা বাড়িতে।প্রতিটা মানুষের কাছে বাবা মানে আবদার, ভালোবাসা, শাসন। আর আমার কাছে বাবা মানে আমার মায়ের কষ্ট, চোখের পানি আর আমার মায়ের মুখের হারিয়ে যাওয়া হাসি।আমি বুঝতে শিখার পর কোনদিন আমার মাকে হাসতে দেখিনি। “পুরুষ মানুষ” এই শব্দটা শুনলে আমার মায়ের বুকের মধ্য থেকে এখনও একটা কষ্টের দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
এরপর বলি আমার মামার ব্যাপারে যে মানুষটা আমাদের একদিন তার বাড়িতে ঠাঁই দিয়েছিলো। তার বিপদে তার পাশে না থেকে কি করতাম বলো ? শাম্মীকে আমি আমার ছোট বোন মনে করি। ওর ব্যাবহারে তোমার খারাপ লাগছে। এই ব্যাপারটা আমাকে ভালো ভাবে বলতে পারতে।আমরা দুজন এক সাথে বসে ব্যাপারটা সমাধান করতাম।
এবার বলি তোমার সাথে পরিচয়ের ব্যাপারটা। আমি তোমায় প্রথম দেখি প্রায় দুই বছর আগে। আপুর সাথে পরিচিত হওয়ার পর। আপু নিজেই তোমার পরিবারের সকলের ছবি দেখিয়ে ছিলো। আমি তখনই দেখেছিলাম তোমাকে।ছবিতে দেখেই আমি তোমার প্রেমে পড়ে যাই। মাকে এই ব্যাপারটা বলতেই মা আমাকে একটা কথাই সেদিন বলেছিলো সারাজীবন হাতটা ধরে রাখার মানসিকতা নিয়েই যেন তোমার হাতটা ধরি।মায়ের এমন কথায় তখনই ঠিক করি তোমাকে আমার প্রেমিকা নয় একবারে বাড়ির বউ করে ঘরে তুলবো।তবে আপুর কাছ থেকে প্রতি নিয়ত তোমার খোঁজ খবর রাখা।মাঝে মাঝে তোমার পছন্দের জিনিস গুলো কিনে দেওয়া শুরু করি।এভাবেই দুই বছর কেটেছে।
সব পুরুষ বিশ্বাসঘাতকতা করেনা।কেউ কেউ ভালোবেসে সারাজীবন পাশে থেকে যায়।আমি তোমাকে ভীষণ রকম ভালোবাসি ঝিনুক। ঠিক যেমনটা ভালোবাসে একজন পানিতে ডুবন্ত মানুষ অক্সিজেনকে। আমি বলবোনা তুমি ফিরে এসো।তবে আমি সারা জীবন তোমার জন্য অপেক্ষা করবো।
ইতি
তোমার অনুপস্থিতিতে কাতর হয়ে ওঠা তোমার এক মাত্র বর।

পরিশেষে, আমার বড় ছেলে সবে ক্লাস টেনে উঠেছে।এই বয়সেই নাকি প্রেম করছে। সোর্স আমার ছোট ছেলে। যে কিনা এবার ক্লাস সেভেনে। আজ সে স্কুল থেকে বাসায় ফিরেই আমাকে এব্যাপারটা নিশ্চিত করেছে। আপাতত অপেক্ষা করছি ইবতিয়াজের জন্য ভাবছি ও বাসায় ফিরলে আগে ওর সাথে এই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করবো। পরে ছেলের সাথে কথা বলবো।
ইবতিয়াজ বাসায় ফিরলো রাত নয়টার দিকে। ও রুমে আসতেই ঘ্যান ঘ্যান করা শুরু করলাম ছেলে প্রেম করছে, ছেলে প্রেম করছে বলে!
হাত, মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে আমাকে ওর পাশে বসালো।ওর পাশে বসেই বড্ড রাগ নিয়ে বললাম
— ছেলে প্রেম করছে!
–কোন জন?
–বড়টা। তুমি একবার ভাবো সবে ক্লাস টেন। এই বয়সে প্রেম ?
–তা ভালোতো প্রেম করছে করতে দাও।
— প্রেম করতে দেবো মানে? আমরা বাবা – মা। আমরা যদি এখন শাসন না করি। তাহলে সামনে কি ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে তুমি বুঝতে পারছো।
ইবতিয়াজ আমাকে এক হাতে টেনে একদম ওর বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। তারপর খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে বললো
–প্রেম করছে করতে দাও।পারলে ওর সাথে এ ব্যাপারে সুন্দর ভাবে কথা বলো। আর ওকে বলো প্রেম করছে করুক কিন্তুু বিশ্বাস যেন না করে। প্রেম করছে এ ব্যাপারে ওকে কিছু না বললেও যদি কখনও শুনি মেয়েটার বিশ্বাস ভেঙেছে তাহলে কিন্তুু ওর জন্য কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা করবো আমি।
আমি চরম বিস্ময় নিয়ে বলি
–তুমি এমন কেন ?
–কারণ আমি সারা জীবন একটা মেয়েকে ঠকে যাওয়ার কষ্ট বুকে চেপে জীবন কাটাতে দেখেছি। আমি চাইনা সেই দুর্বিষহ জীবন আর কোন মেয়ের জীবনে আসুক।

আমি তখন মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে বলি “হে করুণাময় আমি আমার বাকি জীবন ইবতিয়াজ নামক অসুখে অসুস্থ হয়েই থাকতে চাই। তুমি শুধু এই মানুষটাকে সুস্থ রেখ”

সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here