সোনালী,part-১২ last
রোজান যতটা পারছে তার নিজের ভয়কে সংযত রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু সোনালীর একেকটা কথা তার মাথাকে একেকবার চক্কর মারতে বাধ্য করছে।
কোনোভাবেই সে সোনালীকে বিশ্বাস করতে পারছেনা! সোনালী রোজানের ভয়ার্ত চুপচাপ মুখে মুখে তাকিয়ে নিজেও স্থির হলো। সে বুঝতে পারলো রোজান এভাবে কিছুতেই তাকে বিশ্বাস করবেনা।
সে তার বোরকার একটা পকেট থেকে ফোন বের করলো, রোজান তখনো নিরব!
সোনালী ইন্টারনেট চালু করে কাউকে ভিডিও কল দিলো। রোজান শুধু রিং শুনছে, সোনালী এর মধ্যে তাকে সম্পূর্ণ চুপ থাকার ইশারাও করেছে।
এক মিনিট পেরুতেই ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে রোজানের খুব চেনা একটা স্বর ভেসে এলো। পাশে একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। তবুও বেশ উৎফুল্লের সাথে বলে উঠলো,
‘ এরেএএ সোনালী। কেমন আছিস পরীবোন আমার?
সোনালী হেসে বললো,
‘ আপু খুব ভালো আছি। তোমার বাচ্চা কান্না করছে কেন? দুলাভাই কোথায়?
রোজান অবাকচোখে শুনছে, তার একসময়কার পৃথিবীজুড়ে থাকা সেই মানুষটার বর্তমান সময়ের কথা। রাইসা!
রাইসা জবাব দিলো,
‘ ও তো এখনো ঘুমিয়েই আছে, অফিসে যাওয়ার আধ ঘন্টা আগে ওঠবে। এদিকে বাবু ফজরের আগেই জেগে যায়, মাঝে মাঝে আবার ঘুমিয়েও থাকে। কিন্তু আমাকে ঠিকি জেগে থাকতে হয়, রান্না করতে হবে না?
সোনালী হাসিটা আড়াল করে বললো,
‘ দুলাভাই তাহলে কেয়ারিং না একদম,তাইনা?
রাইসা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। গুটিগুটি পায়ে রুম থেকে বের হয়ে আস্তে আস্তে বললো,
‘ সবাই-ই একরকম বুঝলি? আর থাকবেই না কেন বল? সে যে ১০ টায় বাসা থেকে যায় রাত ১০ টা পর্যন্ত কাজের উপরেই থাকে। এরপর কার ভালো লাগবে এতোদিকে খেয়াল করার? তাই বলে কম ভালোবাসেনা, শুধু প্রকাশের মতো সময় পায়না। যদি আগে বুঝতাম তাহলে আর রোজানকে হারানোর কারণ নিজেই হতাম না। মনে হতো সময় দিচ্ছেনা মানে সে আমাকে আর ভালোবাসেনা। হাহাহা বাদ দে। আচ্ছা তুই কি ঢাকায়? তোর পেছনের দেয়ালটা অচেনা লাগছে!
সোনালী রোজানের দিকে তাকিয়ে একবার হাসলো। আর রাইসা যেন রোজানকে দেখতে পারে তাই পেছনের ক্যামেরা প্রয়োগ করলো।
রোজানকে দেখেই রাইসা বলে উঠলো,
‘ এতো সকালে তুই কোথায়? আর রোজান!
বলেই কেমন যেন নিরব হয়ে গেলো। রোজান যখন বুঝলো সোনালী তাকে দেখাচ্ছে তখনি সে ফিরিয়ে নিলো। সোনালী আবার তার দিকে ক্যামেরা এনে বললো,
‘ এসব তোমাকে পরে বলবো। রাখি এখন!
এটা বলেই সোনালী ফোনটা কেটে আবার পকেটে রাখলো। এর মধ্যে রাইসা আবারও ফোন দিলো,কিন্তু সোনালী রিসিভ করলোনা।
এবার সোনালী রোজানের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ বুঝেছো তোমাকে কোথা থেকে চিনি? রাইসা আমার খালাতো বোন। আম্মুর বোনের মেয়ে! নইলে জিজ্ঞাসা করে নিও। আর তোমাকে আমার কথা বলেনি আমি জানি, অবশ্য আমার কথা পরিচিত কেউই কারো কাছে বলেনা, বাবার বারণ আছে। আচ্ছা তোমার কি এখনো কি মনে হচ্ছে আমি মানুষ নই?
রোজান গলা ঝাড়লো। আর ধিরে ধিরে বললো,
‘ কিন্তু এটা ছাড়াও এতকিছু কীভাবে আগে আগে জেনে যাও?
সোনালী মুচকি হেসে বললো,
‘ আমার বাবার জন্য!
রোজান চকিত চোখে বললো,
‘ হাবিল সাহেব সব জানেন?
সোনালী হেসে বললো,
‘ উনার আত্মা আমি, আর সেই আত্মায় কেউ জুড়ে বসলে উনি না জেনে থাকবেন? তোমার আসা, যাওয়া, আমাকে খুঁজে চলা, সবকিছুই উনি লক্ষ্য করেছেন। এবং এটাও দেখতে চেয়েছেন তুমিও কি টাকার বিনিময়ে আমাকে দিয়ালী ম্যামের নিকট ফিরিয়ে দিতে চাও কিনা! আর তোমরা যে সোনালীকে আমাদের বাড়িতে দেখেছিলে? সে রূপালী, আমারই বোন। আর আবার মা-বাবার নিজের সন্তান। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমার বাবারও শহরে ব্যবসা রয়েছে। দিয়ালী ম্যাম যেমন আমাকে খুঁজতে সব ছেড়ে বাংলাদেশে পড়ে আছেন, আমার বাবাও আমাকে রক্ষা করতে সেসব লোকেদের দিয়ে করিয়ে মৌয়াল বেশ ধারণ করেছেন। অবশ্য বাবা এই কাজে অনেক পরিপক্ক হয়ে গেছেন এখন। অগোছালো নিজেও থাকছেন, মাকেও করে রেখেছেন। আর মাও আমাকে এতটা ভালোবাসে যে রূপালীর কিছু হলে মানতে পারবে কিন্তু আমার কিছু হলে একদম মরে যাবে! আমাকে যখন কুড়িয়ে পেয়েছিলো তখন উনারা নিঃসন্তান বলে হয়তো।
রোজান একটু থেমে এসব কথা ঘুরিয়ে বললো,
‘ বালির নিচে চিরকুটটা কোন ভরসায় রেখেছিলে?
সোনালী হেসে বললো,
‘ কারণ আমি জানি তুমি আমাকে আড়াল থেকে সেদিন দেখছিলে, মনে হয়েছিল এই জায়গায় তুমি খুঁজতে পারো! তবে সেটাতে একদম ১০০ ভাগ কনফার্ম ছিলাম না। সম্ভাবনার উপর রেখেছিলাম, নাহলে দেওয়ার অন্য ব্যবস্থা করতাম!
রোজান আড়চোখে বললো,
‘ কি করে জানতে আমি তোমাকে আড়াল থেকে দেখেছিলাম?
সোনালী হুহু করে হাসতে হাসতে বললো,
‘ এতো বোকা হলে আমাকে রক্ষা করতে পারবে? আরে বললাম না জঙ্গলে আসা প্রতিটা মানুষকে আমরা দেখতে পাই। আর ডিজিটাল যুগে এ এমন কি কঠিন কাজ বলো? শুনো সেদিন বাবা কোনো মধু সংগ্রহের কাজে যায়নি। সবকিছুই উনি জানতেন, শুধু তোমাকে ভেতর থেকে পরিক্ষা করাতে চাইলেন তুমি সত্যিই আমাকে চাও কিনা! আশেপাশেই ছিলেন আর শামিম ভাইদেরকে একটু দেখা দিয়ে তোমাকে সতর্ক করে দিলেন তাড়াতাড়ি চলে আসতে। কারণ জঙ্গলে সেদিন অপরিচিত দুই মানবের আগমন ঘটেছিলো।
রোজান নিজের চুল ধরে নুয়ে পড়লো। সোনালী ক্ষীণ স্বরে বললো,
‘ আমাকে সন্দেহের অবকাশে এখন ফিরিয়ে দিবে? ভালোবাসতেও কি এতকিছু জানার দরকার হয়? আচ্ছা বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে থাকো তুমি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এভাবে আর লুকিয়ে থাকবোনা। নিজের মায়ের সামনে দাঁড়াবো, মানুষটাকে সব জেনে অন্তত কষ্ট দেওয়া উচিত না। আমার বাবাও বলেছেন উনি যদি বাংলাদেশে থাকতে রাজী হন, আর সবাইকে নিয়ে থাকতে সম্মতি দেন তাহলে আমি যেন উনাকে মেনে নেই। কেননা এমনিতে আমার স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত, মানুষ টাকার জন্য আমার পিছু ছাড়বেনা। এভাবে তো জীবন চলবেনা তাইনা? এখন তুমি চাইলে আমার জীবন আরেকটু আলাদা হবে, না চাইলে আমি পরিবার নিয়ে দিব্যি একটা নতুন জগতের সৃষ্টি করবো। কোনো অর্থলোভী মানুষের পাল্লায় পড়ে আমি উনার কাছে যেতে চাইনা।
বলেই সোনালী মুখের আবরণটা ফেলে আবার মুখ ঢেকে নিলো। শামিমের দিকে একবার তাকিয়ে গটগট করে বেড়িয়ে গেলো।
শামিম রোজানের দিকে তাকিয়ে আছে। সোনালীও দরজা পর্যন্ত গিয়ে একটু থেমেছিলো তাকে ডাকবে এই আশায়। কিন্তু রোজান স্থির, কোনো নাড়াচাড়াও করছেনা।
একটু অপেক্ষা করে সোনালী আর তাকালোনা। সোজা হাঁটতে লাগলো। শামিম এবার জোরে বললো,
‘ স্যার আবারও হারাতে চান? অপেক্ষা করছেন সোনালীর একটা বাচ্চা হওয়ার পরে এই সংবাদ অন্য কারো মাধ্যমে জানার? যেমনটা রাইসা আপুর ক্ষেত্রে হয়েছে?
রোজান চোখ তুলে তাকিয়ে বললো,
‘ শামিম আমি কি করবো? আমার বাবা? আমার মামা! আমি ওকে নিয়ে কোথায় যাবো? আর ও বলছিলো যে দিয়ালী ম্যামের নিকট ফিরে যাবে, নিজেই যাবে। আমি হতবিহ্বল হয়ে গেছি শামিম, তার উপর ওকে নিয়ে এতো উল্টো চিন্তা, আমি এই ঘোর থেকে বের হতে পারছিনা। ভয় করছে, আমি পারবো তো?
শামিম আস্তে আস্তে এগিয়ে রোজানের মাথায় হাত রেখে বললো,
‘ সোনালী মানুষ! আর ওদের এলাকায় ওদেরই রাজত্ব শুধু, সেখানে একটা কাক গেলেও তারা এটার খবর রাখে। তাই তারা আগে থেকে বুঝেই সোনালীকে সরিয়ে নিয়েছিলো! সোনালী বেশ বুদ্ধিমতী, কোনো ভিন্ন প্রাণী নয় স্যার। আর আমার যা মনে হলো ওইদিকের সবটা কোনো উনারা ক্যামেরাবন্দীতে রেখেছেন, ভেতর থেকে দেখতে পান।
রোজান তড়িঘড়ি করে উঠে খালি পায়ে বের হতে হতে বললো,
‘ আমি সোনালীর কাছে যাচ্ছি শামিম।
শামিম হাসলো, আর হাসিটাতেই শুভকামনা জানালো। রোজান পায়ের পাতা মাটিতে লাগতে দিলোনা, এতো জোরে দৌঁড়াচ্ছে। কিন্তু বাইরে গিয়েও আশেপাশে সোনালীকে দেখতে পেলোনা। অনেকদূর পর্যন্ত সে ছুটলো, কিন্তু নাহ সোনালী উধাও! কোথায় চলে গেলো এতো তাড়াতাড়ি? এতো সকালে গাড়ীই বা পাবে কোথায়?
রোজান চিন্তার সাথে আবার মাথা চুলকাতে গিয়েও হাত নামিয়ে ফেললো। নাহ আজেবাজে কিছু ভাব্বেনা, শামিমের কথাই ঠিক, সোনালী বুদ্ধিমতী! কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি আড়াল হয়ে যাবে কীভাবে? এই মেয়েটা সবকিছুতেই এতো ফাস্ট!
রোজান আরো কিছুক্ষণ ভালো করে খুঁজলো, পাহাড়ায় থাকা লোকদেরও জিজ্ঞাসা করলো, ওরা জানালো কিছুক্ষণ আগেই বেড়িয়ে গেছে, কোনদিকে গেছে দেখেনি।
রোজান নিজের মাথায় থাপ্পড় মেরে নিজের বোকামির উপর ক্ষিপ্ত হলো। ফোন নাম্বারটা অন্তত রাখার দরকার ছিল। এটা ভাবতেই তার মনে পড়লো রাইসার কথা, রাইসার নাম্বার তো তার কাছে আছে।
সে এক দৌঁড়ে ভেতরে চলে গেলো। নিজের ফোন হাতে নিয়ে একটা এসএমএস করলো,
‘ রাইসা সোনালীর নাম্বার থাকলে দাও।
রাইসা মিনিট দশেক পরে নাম্বার সেন্ট করে সাথে লিখলো,
‘ আমাকে একদমই মনে পড়েনা তোমার?
রোজান সেটাকে এড়িয়ে গেলো। না গিয়েই বা কি করবে? যে তাকে বুঝতে পারেনি, তাকে মনে রেখে অযথা কষ্ট পাবে কেন?
সে সোনালীকে ফোন দিলো। প্রথম রিংটা শুধু বেজেই গেলো, সোনালী রিসিভ করলোনা।
পরেরবার দিতেই সোনালী রিসিভ করে বললো,
‘ রোজান ঢাকায় ফিরে যাও। এখানে আর এক মূহুর্তও থাকবেনা।
রোজান অবাক হয়ে বললো,
‘ না আমি তোমাকে ছাড়া যাবোনা।
সোনালী ব্যস্ত স্বরে বললো,
‘ বাদ দাও এসব অদ্ভুত কথা। আমাকে এখানে আর খুঁজে পাবেনা। তুমি চলে যাও।
রোজান আরো কিছু কিংবা সরি বলতে যাবে তার আগেই কেটে দিলো। এরপর ফোনটাই বন্ধ।
একটা ঢিল ছুঁড়ে মোবাইলটা এক কোণায় ফেলে দিলো। শামিম এসবে কোন ভূমিকা রাখছেনা। শুধু শুনছিলো। কেননা জানে কিছু বললেই বলবে,শামিম চলো নদীর পাড়ে যাবো। কিন্তু শামিমের মনে হচ্ছে সোনালী যেহেতু বলেছে এখানে খুঁজে পাবেনা সেহেতু সে এখানে নেই। রোজানের উপর রাগ করে হয়তো আড়াল হয়ে গেছে।
কিন্তু কি বুঝে যেন রোজানও বললো,
‘ শামিম চলো এখনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই।
শামিম অবাক হয়ে বললো,
‘ সে কি৷ আমার ভাবনার বিপরীত যে। আমি আরো ভাবলাম নদীর পাড়ে যেতে বায়না করবেন!
রোজান ব্যাগ গোছাতে দাঁড়িয়ে বললো,
‘ সোনালীকে আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করে নিয়েছি শামিম। সোনালীর কথা শোনা উচিত।
শামিম এতক্ষণে একটা স্বচ্ছ হাসি দিলো। আর নিজেও তৈরি হতে গেলো।
‘
রোজান তার বাড়িতে প্রবেশ করতেই চমকে উঠলো।
সোনালীর কাঁধে হাত রেখে দরজায় দিয়ালী হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। রোজান পা রাখতেই উনি নিজে একা একটা ঝুড়ি থেকে ফুলবর্ষন করতে লাগলেন। রোজান আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো এখানে সবাই উপস্থিত। হাবিল সাহেবের পরিবার এমনকি তার মামাও আছে। সবাই-ই হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে।
রোজান সোনালীর দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ এসব কি? এতো তাড়াতাড়ি সবকিছু এমন হয়ে গেলো কীভাবে?
দিয়ালী রোজানের মাথায় হাত রেখে বললো,
‘ তোমার জন্য। তোমাদের জন্য! ভাবতেই আনন্দ হচ্ছে আমার মেয়ের জামাই তুমি। ভাগ্যবান রোজান।
সোনালী আস্তে আস্তে বললো,
‘ কেউ ওকে বলে দাও হঠাৎ এসব পরিবর্তনের রহস্য, নাহলে জ্বর চলে আসতে পারে!
রোজানের বাবা বলে উঠলো,
‘ আরে সোনালী নিজেই নিজের মায়ের কাছে এসেছে, মানে পুরো পুরষ্কারটাই তার একার, আবার দিয়ালীর একমাত্র মেয়ে হিসেবে তো সব সম্পত্তি সে একাই পাবে।
রোজান নাকের ডগা ফুলিয়ে বললো,
‘ আর তুমি খুশি হয়েছো আমি সোনালীকে বিয়ে করে সবকিছু পেয়ে যাবো বলে?
রোজানের বাবা চাপা হাসির সাথে সম্মতি প্রকাশ করলো। রোজান আরো রেগে যাওয়ার আগেই দিয়ালী বললো,
‘ আরে এসবে রাগারাগি করো না রোজান। এটা তোমার লোভের নয়, ভালোবাসার জয়। আমরা একসাথে থাকতে পারবো এটাই তো আনন্দের। এসবকে কেন বড় করে দেখছো বলো?
রোজান শান্ত হলো, তবে তার মামার খুশি হওয়ার কারণ বুঝলোনা। হয়তো ভাইগ্নার পাওয়াতেই সে খুশি।
সোনালী আলতো হেসে বললো,
‘ রোজান আমরা সবাই একসাথে থাকবো। সবাইকে নিয়ে আমাদের বিশাল একটা পরিবার হবে। একটা সোনালী সুন্দর জীবনের অধ্যায়ন করবো একসাথে।
চলো পেছনের সব ভুলে যাই!
রোজান সবার সামনেই সোনালীকে জড়িয়ে ধরলো।
সবাই একসাথে আনন্দে হেসে উঠলো!
(সমাপ্ত)