স্টুডেন্ট_The_One_Villain,পর্ব_১১

0
1610

স্টুডেন্ট_The_One_Villain,পর্ব_১১
লেখক_সুর্য_হুসাইন

— মেয়েরা রাতে বিছানায় ইয়ে বিসর্জন করে তাই তারা কালো রঙের ফিতা পড়ে ।
(আমি)

— ইয়ে মানে?
(মেয়েটি)

— থাক বলার দরকার নাই ।
(আমি)

— বলেন,,
(মেয়েটা)

— আচ্ছা,, মেয়েরা বিছানায় মূত্র বিসর্জন করে তাই এটা পড়ে,,
(আমি)

আমার কথায় মেয়েটি পিছন ফিরে চলে যেতে লাগলেই, আমি তার হাতটা ধরে ফেলি,, আর তার উপহার সরুপ মেয়েটার হাতের পাঁচটা আঙ্গুলের পুরষ্কৃত হই,,,,,,,,,,,একটা থাপ্পড়ের দ্বারা । সেখানে কয়েকজন লোকও তাকিয়ে তাকিয়ে শুধু দেখলো ।
কিন্তু তারপরও আমি পিছুপা না হয়ে হাতটা ধরে দোকানের কাছে নিয়ে এলাম ।
মেয়েটা অনেক মোচড়দ মুচড়ি করতেও
লাগলো ।

দোকানদারকে বললাম,,

— চাচা এক বতল পানি দেন তো!
(আমি)

আমার কথায় দোকানদার চাচাও পানির বতলটা এগিয়ে দিলো আমার দিকে ।

বতলের মুখাটা আমি নিজের মুখ দিয়ে খুলে মেয়েটার পায়ের গিড়ায় মারলাম । তার তাতে সেই চায়ের শরবতটা চলে গেল । তার সাথে সাথেই অনুর স্কুল ছুটির ঘন্টাও বাড়ি দিলো পিয়নে এসে ।আর তাতেই সবাই হৈ চৈ করে বেড়োতে লাগলো । তারপর আমি তার হাত ছেড়ে দিয়ে চায়ের দোকানের বিলটা দিয়ে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অনুকে খুজতে লাগি ।

এর মধ্যেই সেই মেয়েটি আমার সামনে এসে বললো,,

— সরি প্লিজ!
(মেয়েটি)

— আপনি তো দোষ করেননি,, দোষটা তো আমারই ছিলো । তাই আমিই সরি,,
(আমি)

— থাপ্পড় মারার জন্য সরি,,, আমি কিন্তু কানে ধরবো,, সরি কবুল না করলে,,,
(মেয়েটি)

— আচ্ছা থাক,, ওকে ৷,,
(আমি)

অনুও চলে এলো আমার কাছে,,,,,

— আরে মেম আপনি এখানে?
(অনু মেয়েটির দিকে তাকিয়ে)

আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে বললাম,,

— অনু,,, মেম,,? কই?
(আমি)

— কেন? তোমার সাথেই তো!
(অনু)

আমি হাত দিয়ে ইশারা করে,,

— উনি তোমাদের মেম?
(আমি)

— হুম,,
(অনু)

— আরে না না,,, আমি মেম নই,,,,
(মেয়েটি)

— তাহলে? বুঝিয়ে বলুন তো?
(আমি)

— আসলে আমার আব্বু এই স্কুলের টিচার্স ।
তিনিই আমাকে কলেজে দিয়ে আসেন,, আর আমি আজকে তার জন্য অপেক্ষা করছি৷। মাঝে মধ্যে স্কুলের ভিতরে ক্লাস রুমে ঢুকি । আর তাই হয়তো বা সকল স্টুডেন্ট টিচার্স ভাবে আমায় ।
(মেয়েটি)

— ওহহ, এই ব্যাপার,,,,
(আমি)

— আচ্ছা অনু উনি কে হয় তোমার?
(মেয়েটি আমার দিকে ইশারা করে অনুকে জিজ্ঞেস করলো)

— এ হলো আমার বড় ভাইয়া,, আর আমার ভাইশা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাইয়া!!
(অনু আমার হাতের আঙুল ধরে)

অনু মেয়েটার সাথে কথা বলছে, তখন আংকেলের ফোন আসলো।
আমি রিসিভ করলাম,,

— অনু কি তোমার সাথে এখন?
(আংকেল)

— জ্বী আংকেল,,
(আমি)

— তাড়াতাড়ি তোমরা বাসায় চলে এসো । কারা যেন!
বলার সাথে সাথেই আংকেলের কলটা,কেটে গেল)

আমি একটু ঘাবড়ে গেলাম,,,, আমি ভাবলাম হয়তো সেই কিরণের বাবারই কাজ,,
তাই আমি একটু তাড়াহুড়ো করে অনুকে বললাম,,

— চলো অনু বাসায় যেতে হবে!
(আমি)

— আচ্ছা,, বাই মেম ভালো থাকবেন!!
(অনু মেয়েটাকে বললো)

— তুমিও ভালো থেকো,, বাই,,
(মেয়েটি)

আর মেয়েটি আমাকে বললো,,

— আমার নাম একা । আর আপনার?
(মেয়েটি)

— অন্যদিন কথা হবে!! আল্লাহ হাফেজ !
(আমি)

বলেই বাসায় যাবার জন্য অটোতে বসে পড়লাম ।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এলাম বাসায় ।
কিন্তু বাসায় এসে দেখি অনেকগুলো লোকজন মিলে আংকেলের চেয়ারের চারপাশে দাড়িয়ে আছে । আর আংকেলকে বসিয়ে রেখেছে । আর সবার হাতেই
চাকু ।
লোকগুলো আমাকে দেখতে পেয়ে আংকেলকে রেখে আমার দিকেই এগোতে লাগলো ।
অনু অনেক ভয়,পাচ্ছে বুঝতে পারলাম ।

তাই আমি অনুকে বললাম,,

— তুমি আব্বুর কাছে যাও!! আমি এদের দেখছি?
(আমি)

— কিন্তু ভাইয়া!

— যা বলছি তাই করো ।

আমার কথায় অনু সাইড হয়ে আংকেলের কাছে চলে গেল । এবং সেই লোকজনগুলো আমার হাত পিছন দিক করে বেধে নিয়ে আসলো একটা পুরাতন বাড়িতে । সেখানে এনে মাটির সাথে বসিয়ে রেখে সবাই চলে গেল সেখান থেকে রুমের বাহিরে । আর একজন বসে ছিলো চেয়ারে ।
পিছনের দিক করে । শুধু পিছনের দেহটাই দেখতে পারছিলাম । কিন্তু চেহারা দেখতে পারছিলাম না ।

আমি রাফির মোবাইলে ফোন করলাম আমার হাতে ধাকা ঘড়ি থেকে চাপ দিয়ে,,
রাফিও রিসিভ করলাে ।
তারপর আমি বলতে লাগলাম,,,

— আমাকে এভাবে ধরে আনার কারণ কি আপনার শুনি?
আমি আপনার কিইই বা ক্ষতি করেছি ।
আমি তো আপনাকে চিনিই না!! কে আপনি?
(আমি)

আমার এগুলো কথায় চেয়ারটা পিছন দিকে ঘুরালো সেই লোকটি ।
আর আমি তো হতভম্ব । কারণ এটা আমার কলেজের বন্ধু মারুফ………….

চলবে..?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here